একটুখানি_প্রেম ❤️ #পর্বসংখ্যা_১২

0
344

#একটুখানি_প্রেম ❤️
#পর্বসংখ্যা_১২

কাহন নামের একটি অপদার্থ, বেকার ছেলেকে হিয়া মন দিয়ে বসে আছে— এ খবর রেলে হতে দেরি হলো না। মেয়ের পাগলামি দেখে ভয়ে আধমরা হয়ে গেলেন মৌসুমি। মেয়ের বাপকে তিনি চেনেন! অতি রাগী লোকটা এই খবর শুনে কি করবেন সেটা ভাবনার বাইরে! কিন্তু তবুও তিনি স্বামীকে এই কথাটা না জানিয়ে পারলেন না। কারণ যতো দেরি হবে ততো ঝামেলা বাড়বে। মনজুর আলম সহজ পাত্র নন!
__

আজ বাড়ি ফিরতে ফিরতে দেরি হয়ে গেছে কাহনের। এগারোটা পার হয়েছে বহু আগেই! এখন কয়টা বাজে সঠিক জানা নেই ওর। কিন্তু আন্দাজ করতে অসুবিধে হয় নি রাতের গভীরতা কতো! মামী অবশ্যই তাকে ছেড়ে কথা বলবেন না। এতরাতে বাড়ি ফিরে তার কাছ থেকে কি-কি শুনতে হতে পারে তাও জানা আছে। শুরু হবে নতুন একটা গঞ্জনার অধ্যায়! ভেবেই শ্বাস ফেলে পা বাড়ালো।

উঠান পার হতেই দেখলো ঘরের সামনের বারান্দায় পা ঝুলিয়ে বসে আছে কান্তা। অন্ধকারে মুখের অভিব্যক্তি স্পষ্ট নয়। তবুও আন্দাজ করলো কেমন থমথমে চেহারা ওর। পাশে ঘুমঘুম চোখে বসে ঢুলছে পবন, পরাগ। তাদের কোনো বিরাগ নেই!

কাহনের একটু খটকা লাগলো। এরা এতরাতে বাইরে বসে আছে কেন? এতরাত পর্যন্ত জাগা তো ওদের রুটিন পরিপন্থী। দশটা বাজলেই তো ছোট দুটো ঘুমিয়ে যায়। কান্তা হয় তো রাতজেগে পড়ে। কিন্তু এখন তো কান্তার পড়ালেখাও নেই। উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষা তো শেষ। সন্ধ্যে নামলেই ঘুমের আয়োজন চলে ওর। তাহলে?

গলা উঁচিয়ে জিজ্ঞেস করলো,

— “কি রে? এতরাতে বাইরে বসে কি করিস?”

কথাটা যেন শুনতে পায় নি কান্তা। যেমনই বসে ছিল তেমনই রইলো না একপল। পবন-পরাগ অবশ্য সজাগ হলো। বোবা দৃষ্টি মেলে চাইলো বড় ভাই কাহনের পানে। সন্দেহ বাড়লো ওর। কু ডেকে উঠলো মন। চটপটে পায়ে পেরিয়ে এলো উঠান। কান্তার কাঁধে হাত রাখলো, সঙ্গে সঙ্গে চোখ তুলে তাকালো সে। আলো-আঁধারির ওই আবছা দৃশ্যপটেও ছোট বোনের চোখের জল স্পষ্ট দেখতে পেল কাহন। অস্ফুট স্বরে শুধালো,

— “কি হয়েছে, কান্তা?”

সঙ্গে সঙ্গে ভাইকে জাপটে ধরে হাউমাউ করে কেঁদে ফেললো কান্তা। কাহন অবাক হলো। কান্তাদের সঙ্গে তার ছোট বেলা থেকেই উঠা-বসা হলেও তাদের মধ্যে দূরত্ব ছিল সবসময়। কোনো এক অজ্ঞাত কারণবশত নিজের ছেলেমেয়েদের ওর কাছ থেকে দূরে থাকতে বলতেন রাহেলা খানম। তাই চেয়েও আর সখ্যতা গড়ে উঠে নি কখনো। কিন্তু আজ, এই মুহূর্তে কান্তার এমন আহাজারি মেশানো কান্না ওর বুকের ভেতরে ঝড় তুললো। অবচেতন মন জানালো, “কিছু তো একটা হয়েছে! এবং সেটা ভালো কিছু নয়!” কিন্তু মুখ দিয়ে সে প্রশ্ন করবার সাহস হলো না ওর। কান্তা কাঁদতে কাঁদতে হেঁচকি তুলে বললো,

— “ফুপি খুব অসুস্থ, ভাইয়া। বোধ হয় আর বাঁচবে না!”

এই একটি কথা! এই একটি কথাই কাহনের মাথায় বাজ ফেলতে যথেষ্ট। চোখের সামনে আসমান ভেঙে পড়লো যেন। তার মা অসুস্থ? তার মাকে হাসপাতালে নেয়া হয়েছে অথচ তাকে কেউ জানায়ই নি? সে কি এতটাই অপদার্থ যে মায়ের অসুস্থতার খবর শুনে আসবে না? তবুও মামামামি একটাবারও জানালো না কেন? অভিমানে, কষ্টে বুক ভার হয়ে আসলো ওর। পৃথিবীতে একটা সন্তানের কাছে এরচে’ বড় কষ্টের আর কি হতে পারে? কোনমতে বললো,

— “কি হয়েছিল?”

সহসা উত্তর দিতে পারে না কান্তা। অনেকটা সময় নিতে ফোঁপাতে ফোঁপাতে যা বলে তার সারমর্ম হচ্ছে,

— “দুপুরে পবনের সাথে চেঁচামেচি করছিলেন। হঠাৎ কি হলো কে জানে, চিৎ হয়ে পড়ে গেলেন মেঝেতে। গলা কাlটা মুরগির মতো তড়পাতে তড়পাতে জ্ঞান হারিয়ে গেলেন। আমি চিৎকার করে মাকে ডাকলাম। পরাগ ছুটে গিয়ে বাবাকে ডেকে আনলো। তারপর ওরা ফুপিকে হাসপাতালে নিয়ে গেছে!”

কি করা উচিৎ ভাবতে সময় নিলো না কাহন। চট করে ভেবে ফেললো। কান্তার দিকে তাকিয়ে নরম সুরে বললো,

— “তুই ওদের নিয়ে ঘরে যা। ঘুমিয়ে নে। আমি হাসপাতালে যাচ্ছি। ভয় পাস্ না আবার। আমার যাওয়াটা জরুরি, বুঝতেই পারছিস!”

কান্তা মাথা নাড়ালো। বললো,

— “তুমি কি আমাকে একটু খবর জানিয়ে দিতে পারবে? মার ফোনটা আমার কাছে আছে।”

ফোনের কথায় কাহনের নিজের ফোনের কথা মনে পড়লো। আজ সকালেই তার ছোট্ট মুঠোফোনটা পানিতে পড়ে বন্ধ হয়ে গেছে! ফলসরূপ আজ সারাদিন সে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন ছিল। আর তক্ষুনি ওর মনে হলো কেন মায়ের খবরটা সে পায় নি। মামী ভুলে যেতে পারেন, মামা তো ভুলবার পাত্র নন। তিনি নিশ্চয় ওকে কল করেছিলেন! কিন্তু ওকে পান নি। ভাবতেই নিজের উপর ধিক্কার জন্মালো ওর। কেমন অপদার্থ ছেলে সে!

ঘরে ফেরা আর হলো না কাহনের। কান্তাকে বিদায় দিয়ে আবার ছুটলো হাসপাতালের উদ্দেশ্যে!
__

মৃত্যু খুব আকস্মিক একটা বিষয়। কিন্তু অনিবার্য। পৃথিবীতে কার হায়াত কতটুকু কেউ জানি না আমরা। সম্পূর্ণ বিষয়টাই আমাদের সৃষ্টিকর্তা মহান আল্লাহ্ পাকের তত্ত্বাবধানে। তারপরও নিজেদের ইহজনমের অভিজ্ঞতা থেকে আমরা অনেক সময়ই অনেক কিছু বলতে পারি। রোগ শয্যায় শায়িত একজন মুমূর্ষু রোগীকে দেখে যেমন ডাক্তারেরা তাদের মৃlত্যু আশঙ্কা করেন। কিন্তু কোনো রোগ নেই, আকস্মিক কেউ মারা গেলে সেটাকে আমরা কেমন করে নেই?

শেষরাতে মারা গিয়েছেন পাগলিনী রেবেকা। লোকে বলে পাগলদের জান কৈ মাছের মতো। সহজে প্রাণবায়ু বেরোয় না। কিন্তু কে জানতো রেবেকা এতো জলদিই এই ধরার মায়া ত্যাগ করে পাড়ি জমাবেন ওপারে?

মিরাকেল ব্যাপারটা এ জগতে প্রায়ই হয়। যে রোগীর মৃত্যু হবার কথা নয়, সেই হুট করে মরে যায়। আবার মৃত্যুর দুয়ার থেকেও কেউ কেউ ফিরে আসেন।

রেবেকার জীবদ্দশায় তার মানসিক ভারসাম্য ফেরানোর জন্য বেশ কিছু চিকিৎসকের কাছেই গিয়েছিলেন ভাই মুজাহিদ সাহেব। কিন্তু কোনোটাতেই লাভ পান নি। ডাক্তাররা বলেই দিয়েছিলেন, রেবেকার সুস্থ হওয়ার আর সম্ভবনা নেই!

অথচ তিনি সুস্থ হয়েছিলেন। মৃত্যুর ঠিক কিছুক্ষণ আগে সম্পূর্ণ রূপে চেতন হয়েছিলেন তিনি। হাসপাতালে ভাই-ভাবী আর একমাত্র সন্তানকে দেখে চিনতে পেরেছিলেন। কথা বলেছিলেন হাসিমুখে।

কাহন এসে বসেছিল মায়ের পাশে। হাসপাতালের বদ্ধ সেই কেবিনে তখন আর কেউ উপস্থিত ছিলো না। নিভৃতে-নীরবে কাঁদছিল কাহন। চোখের কার্নিশ বেয়ে ফোঁটায় ফোঁটায় গড়াচ্ছিল নোনাজল। রেবেকা হেসেছিলেন নিঃশব্দে। দূর্বল লিকলিকে হাতে আঁকড়ে ধরেছিলেন পুত্রের হাত। হাত কাঁপছিল অথর্ব বৃদ্ধার ন্যায়, বোঝা যাচ্ছিল শরীরে বল নেই, তবুও আদর করে ছুঁয়ে দিয়েছিলেন ছেলের গাল। ক্ষীণ কণ্ঠে বলেছিলেন,

— “আমি খুব খারাপ মা, তাই না? তোর জীবনটা আমিই নষ্ট করে ফেলেছি।”

কাহন চমকিত নয়নে তাকালো। মায়ের জীর্ণ ঠোঁটে মলিন হাসি বিদ্যমান। বলতে চেয়েছিল,

— “না, মা। তোমার কোনো দোষ–”

কিন্তু ওকে বলতে দেয় নি রেবেকা। সেদিন তো শুধু তার বলার সময় ছিল,

— “হ্যাঁ আমি দায়ী। তোর বাপের সাথে চাইলেই হয় তো সব ঠিকঠাক করা যেত— ঝগড়া-ঝাটি না করে। লোকটা হয় তো তাতে দ্বিতীয় বিয়ে করতে পারতো না। আসলে আমার ধৈর্য কম ছিল। অল্পতেই হেরে গিয়েছিলাম। নয় তো আজ তোর এ অবস্থা হতো না।”

রেবেকা যেন সব দোষ নিজের ঘাড়ে নিতে ব্যস্ত ছিলেন। যেন কায়সার মাহমুদের কোনো দোষ ছিল না। তিনিই ভুল করেছেন। যে ভুলের মাশুল দিচ্ছে তার ছেলে। কাহনের এই ব্যাপারটা ভালো লাগে নি। যে নিষ্ঠুর লোকটার জন্য মা পাগল হলেন, আজ এতোগুলো বছর পর সেই লোকটার জন্যই মা আকুল হচ্ছেন। সন্তানের সামনে তার বাপের দোষ ঢাকতে তিনি সচেষ্ট। আচ্ছা, মায়েরা কি এমনই হয়?

ডাক্তার কথা বলতে নিষেধ করেছেন তবুও তিনি অবিরাম বলে যাচ্ছিলেন নিজের কথাগুলো গুলো। তাকে অসুস্থ মনে হচ্ছিল না আর। সুস্থ-স্বাভাবিক মানুষের মতো বলছিলেন। মায়ের উন্নতি দেখে মনে আশা জেগে উঠছিল কাহনের। মনে-প্রাণে চাইছিল মা ভালো হয়ে যাক। সুস্থ হয়ে যাক।

রেবেকা কাঁদছিলেন। ওর হাত জড়িয়ে হাউ-মাউ করে। একটা সময় পর কান্না থামিয়ে ছেলের দিকে চেয়ে বললেন,

— “আমায় মাফ করে দিস?”

কাহন কিছু বলতে পারলো না। তার আগেই অনুভব করলো মায়ের কি যেন হয়েছে। চট করে ডাক্তার ডাকতে উঠলো সে। কিন্তু সে সময়টাও হলো না। অদ্ভুত একটা ভঙ্গি করে নিশ্বাস ছাড়লেন রেবেকা। কাহন সেদিকে চেয়ে স্তম্ভিত হয়ে গেল। মায়ের চোখ খোলা অথচ কোনো সাড়া নেই! একটুও নড়ছেন না তিনি। কি আশ্চর্য! কাহন তখনো বুঝতে পারে নি, ক্ষণিক আগেই যে মানুষটার ভালো হয়ে যাওয়া নিয়ে সে স্বপ্ন দেখছিল, সেই মানুষটা এই মুহূর্তে পৃথিবী ছেড়ে বিদায় নিলেন!
___

নশ্বর দুনিয়ায় মানুষ আসে খুব সল্প আয়ু নিয়ে। সময় ফুরিয়ে গেলে চলে যেতে হয়। এটাই নিয়ম। যার কোনো ব্যতিক্রম হয় না। একটা মানুষ মরে গেলে আমরা হাহাকার করি, তার শোক পালন করি, কান্নাকাটি হয়, কিন্তু সেটা কতদিনের জন্য?

একটা সময় আমরা মৃত মানুষটিকে ভুলে যাই, তার শোক কাটিয়ে উঠি। গতানুগতিক ধারায় জীবন শুরু করি। কখনো এমনও হয় যে, পারিপার্শিক জীবনে ওই মানুষটির মৃত্যু আর কোনো গুরুত্বই রাখে না। হোক না, মানুষটি কাছের কেউ!

রেবেকার শোক কাটিয়ে উঠতে সময় লাগলো না কারো। সবাই খুব দ্রুতই ভুলে গেল তার কথা। মেতে উঠলো নিজস্ব জীবন নিয়ে। শুধু একজন হলো তার ব্যতিক্রম। সে কাহন! মার প্রতি সে কোনো দায়িত্ব পালন করতো না, নিয়মিত খোঁজ-খবরও নিত না। কিন্তু তারপরও মায়ের মৃত্যু তাকে গভীর শোকাচ্ছন্ন করে ফেললো!
__

মায়ের মৃত্যুর পর খুব মন্থর গতিতে এগোচ্ছিল কাহনের জীবন। কোনো পরিবর্তন নেই, সেই পুরোনো জীবন। কিন্তু হিয়ার জীবন তেমন রইলো না। তার জীবনের পরের ঘটনা গুলো খুব দ্রুতই ঘটে গেল। মনজুর আলম সাতদিনের ছুটি নিয়ে বাড়ি ফিরে এলেন। কারো সঙ্গে কথা নেই, বার্তা নেই হুট করে ফুয়াদের পরিবারকে ডাকলেন। আনুষ্ঠানিক মেয়ে দেখা এবং আংটি বদল। হিয়া কিছুই বুঝতে পারলো না এর। মর্মবিদ্ধ হরিণীর মতো কেবল করুণ চোখে তাকালো মায়ের দিকে। মৌসুমি অপারগ! কি করবেন তিনি? স্বামীর মতের বিরুদ্ধে যে যাবার উপায় নেই তার!

আজ হিয়ার আংটি বদল হবে। সেই উপলক্ষে সকাল থেকে ব্যস্ত মৌসুমি-মনজুর। ছেলে যতই তাদের ভাগ্নে হোক, তবুও তো মেয়ে জামাই হতে যাচ্ছে! অ্যাপায়ণের ত্রুটি রাখা যাবে না কিছুতেই। এটা তাদের মানসম্মানের ব্যাপার।

হিয়া অস্থির হয়ে পায়চারি করছে ঘরে। ব্যাকুল হয়ে ভাবছে কি উপায় করা যায়। মায়ের কাছে ছুটছে কখনো। কিন্তু লাভ হচ্ছে না। অত্যন্ত নিষ্ঠুর আচরণ করছেন তিনি। বারবার বলছেন কাহন নামের মানুষটিকে ভুলে যেতে। কিন্তু সেটা কি সম্ভব? যে মন একবার কাউকে দিয়ে দেয়া যায় তাই কি ফেরানো যায়?

— “এ-কি তুই এখনো রেডি হস নি? এসব কি হচ্ছে হিয়া?”

ঘরে ঢুকেই প্রশ্ন ছুঁড়লেন মৌসুমি। হিয়া গোসল সেরেছে অনেক্ষণ হলো। কিন্তু এখনো শাড়ি পড়ে নি। পুরোনো জামা গায়ে হেঁটে বেড়াচ্ছে সারা ঘরময়। ভেজা চুল থেকে টুপ-টুপ করে পড়ছে জল, মেঝে ভিজে যাচ্ছে। ভেজা টাওয়াল টোপলা বেঁধে ফেলে রেখেছে বিছানায়। বিছানার বালিশ, চাদর সবকিছুই এলোমেলো করা। অগোছালো ঘর। সারা ঘরে চোখ বুলিয়ে হতাশ হলেন মৌসুমি। বাড়িতে এতো কাজ, এরমধ্যে মেয়ের ঘরটাও যদি তাকে গোছাতে হয় তবে তিনি চলবেন কী করে?

কিছু একটা বলতে যাবেন ঠিক তার আগেই মুখ খুললো হিয়া। মায়ের দিকে স্থির দৃষ্টি নিক্ষেপ করে জানালো,

— “এই বিয়ে আমি করবো না, মা। ফুয়াদ ভাইদের নিষেধ করে দাও!”
— “পাগলামি করিস না, মা। তোর বাবা একথা শুনলে আর আস্ত রাখবে না!”
— “তোমরা আমায় জোর করতে পারো না। ভুলে যেও না আমার বিয়ে নিয়ে অবশ্যই আমি মতামত দেবার অধিকার রাখি!”
— “তুমিও ভুলে যেও না, তোমাকে মানুষ করেছি আমরা। রক্তের ঋণ বলেও কিছু আছে!”

চলবে___

#মৌরিন_আহমেদ

[ গল্পটা শেষে দিকে, কিন্তু আমার হাতে সময় নেই। প্রচন্ড ব্যস্ত। এরমধ্যে তাড়াহুড়ো করলে গল্পটা লিখতে পারবো না ঠিকঠাক মত। লিখলেও পাঠকদের পছন্দ হবে না। তাই আমি সময় চাইছি। আশা করি সমস্যাটা বুঝবেন!]

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here