প্রণয়_কোন্দল #মাশফিয়াত_সুইটি(ছদ্মনাম) পর্ব:১২

0
919

#প্রণয়_কোন্দল
#মাশফিয়াত_সুইটি(ছদ্মনাম)
পর্ব:১২

‘তোমার কি নিজের ভাই নেই? অন্য একটা ছেলেকে ভাইয়া ডাকছো কেন? আমার কিন্তু বোন আছে তাই আর কোনো বোনের দরকার নেই।’

শতাব্দী ভ্যাবাচ্যাকা খেয়ে গেল। শুকনো ঢুক গিলে বলল,
– আপনি তো আমার থেকে বড়।

– বড় বলে ভাইয়া ডাকতে হবে নাকি?

শতাব্দী দু’দিকে মাথা নাড়ালো।উৎস বলল,
– এখন বাড়িতে যাও।

শতাব্দী একবার উৎসের দিকে তাকিয়ে তারপর চলে যাচ্ছিল তখনি উৎস পেছন থেকে ডেকে বলল,
– শুনো কেউ কিছু বললে কখনও কাঁদবে না নিজের উপর বিশ্বাস রাখবে আর প্রতিবাদ করবে ভয় পায় ভিতুরা আর কান্না করে বোকারা।

কথাটা শতাব্দীর মনে গেঁথে গেল। মুচকি হেসে বাড়ির উদ্দেশ্যে চলে গেল।উৎস শতাব্দীর যাওয়ার দিকে তাকিয়ে আছে পেছন থেকে নাঈম মজা করে বলল,

– মেয়েটাকে মনে ধরেছে নাকি? ভাবী বলে ডাকা শুরু করে দিব?

উৎস মাথা চুলকিয়ে বলল,
– কাঁদা মানবীকে প্রথম দেখায়ই হারিয়ে গেছি তার মধ্যে, মেয়েরা কাঁদলে এত সুন্দর লাগে ওকে না দেখলে জানতেই পারতাম না।

– বুঝলাম আমার বন্ধু প্রেমের সাগরে পড়ে গেছে।

উৎস মুচকি হাসলো।তারপর থেকে রোজ শতাব্দী আর উৎসের দেখা হতো কথা হতো কথা বলতে বলতে একসময় দু’জনেই ভালো বন্ধু হয়ে যায়। এভাবেই সময় যেতে থাকে শতাব্দী এবং উৎস দু’জন দু’জনকে পছন্দ করতো কিন্তু কেউ কাউকে বলতে পারেনি। একসময় উৎস শতাব্দীকে নিজের মনের কথা বলে দেয়, শতাব্দী ইতস্তত করে প্রতিত্ত্যুরে বলে,

– আমার পক্ষে আপনার সঙ্গে কোনো সম্পর্কে যাওয়া সম্ভব নয় বাবা জানতে পারলে অনেক কষ্ট পাবে আমি আমার বাবার বিশ্বাস নষ্ট করতে চাই না।

– আমি তো তোমাকে আমার সঙ্গে কোনো সম্পর্কে যেতে বলছি না এখন যেভাবে আমাদের কথা হয় সেভাবেই হবে পরে না হয়।

– দরকার নেই আর কখনও আমার সঙ্গে কথা বলতে আসবেন না।

– আহী….

শতাব্দী জামার একপাশ খামচে ধরে উল্টো দিকে হাঁটা ধরলো।উৎস কয়েক সেকেন্ড দাঁড়িয়ে থেকে দৌড়ে শতাব্দীর সামনে গিয়ে বলল,

– আমি আমার বাবা-মা’কে নিয়ে যদি তোমার বাবার কাছে যাই তাহলেও আমাকে ভালোবাসতে তোমার আপত্তি আছে?

– বাবা যদি রাজি থাকে তাহলে আমিও রাজি।

উৎস মৃদু হেসে বিদায় নিলো। উৎস আর তার বাবার সম্পর্কটা বন্ধুর মতো, ছোটবেলা থেকেই নিজের সকল সিক্রেট এবং সুখ দুঃখের কথা বাবার সঙ্গেই শেয়ার করেছে। ইসতিয়াক আহমেদকে সবটা বলার পর তিনি হাসিমুখে সবকিছু মেনে নিয়েছিলেন পরেরদিন উৎসকে নিয়ে শাওন হাসানের সঙ্গে দেখাও করেছিলেন কিন্তু শাওন হাসান কোনমতেই রাজি হননি বরং উৎসকে নিয়ে বাজে মন্তব্য করেছেন। সেদিন উৎসকে দুঃখ নিয়েই ফিরতে হয়েছিল, শতাব্দী মনে সাহস সঞ্চয় করে বাবাকে বলে,

– বাবা একটা কথা বলবো?

শাওন হাসান পেপারে মুখ গুজে বললেন,
– হুম বল।

– উৎস অনেক ভালো উনি কিন্তু আমাকে কখনও বিরক্ত করেনি বরং সরাসরি নিজের মনের কথা বলে দিয়েছিল আমি যখন বলেছি বাবাকে না জানিয়ে কোনো কিছুতে জড়াবো না তারপরেই নিজের বাবাকে নিয়ে তোমার কাছে চলে এসেছে।

শাওন হাসান পেপার হাত থেকে রেখে মৃদু হেসে বললেন,
– আমার পাশে এসে বস।

শতাব্দী বাবার পাশে এসে বসলো। শাওন হাসান দীর্ঘশ্বাস নিয়ে বললেন,
– তোর বয়স খুবই কম এই বয়সে মানুষ চেনা এত সহজ নয়, তোর কোনটায় ভালো কোনটায় মন্দ সিদ্ধান্ত নেওয়ার দায়িত্ব আমার।

– কিন্তু উৎসর মধ্যে সমস্যা কোথায় বাবা?

শুভ্র পেছন থেকে বলে উঠলো,
– নিজের ফিউচার নিয়ে চিন্তা নেই সারাক্ষণ আজেবাজে বন্ধুদের সঙ্গে থাকে এমনকি রাজনীতির সঙ্গেও জড়িয়ে আছে এদের কোনো ভবিষ্যৎ আছে নাকি?

শতাব্দী মাথা নিচু করে রাখলো শাওন হাসান শুভ্রকে ইশারা দিয়ে বললেন,
– ছেলের চরিত্রও তেমন ভালো না।

শুভ্র তাল মিলিয়ে বলল,
– হ্যা আমি নিজের চোখে একটা মেয়ের সঙ্গে উৎসকে দেখেছি।

শতাব্দী নিজের থেকেও বেশি বাবা আর ভাইকে বিশ্বাস করে তাই তাদের কথাগুলো বিশ্বাস করে বলল,
– তোমরা আমার জন্য যা ভালো বুঝো তাই করো তোমরা আমার জন্য যা সিদ্ধান্ত নিবে আমি তাতেই রাজি।

শতাব্দী উঠে চলে গেল।শাওন হাসান বললেন,
– কাল থেকে তুই শতাব্দীকে কলেজে দিয়ে আসবি আর নিয়ে আসবি।আমার কলিগের ছেলের সঙ্গে শতাব্দীর বিয়ে ঠিক করেছি পরীক্ষার পর তার সঙ্গেই শতাব্দীর কাবিন করে রাখবো।

– ঠিক আছে বাবা।

রাতে উৎস অনেকবার কল করেছিল কিন্তু শতাব্দী কল ধরছেই না।উৎসও থামার ছেলে নয় বারবার ফোন দিয়েই যাচ্ছে সেও দেখতে চায় কতক্ষণ ফোন না ধরে থাকে শতাব্দী। একপর্যায়ে বাধ্য হয়ে শতাব্দী ফোন ধরে ঝাঁঝালো কন্ঠে বলল,

– প্রবলেম কি? বারবার কেন ফোন দিচ্ছেন? আপনার সঙ্গে আমি কথা বলতে চাই না আমায় হেল্প করেছিলেন তাই সৌজন্য রক্ষার্থে আপনার সঙ্গে এতদিন কথা বলেছি, আমার বাবার আপনাকে পছন্দ নয়,বাবার যাকে পছন্দ নয় আমারও তাকে পছন্দ নয় এরপর থেকে আমার সামনে আসবেন না নইলে আমি দূরে কোথাও চলে যাব।

বলেই শতাব্দী কল কেটে দিল উৎসের কথা শোনার প্রয়োজন মনে করলো না।উৎস রাগে মোবাইল দেওয়ালে ছুড়ে মা’রলো। সত্যি এরপর আর কখনও শতাব্দীর সামনে যায়নি সে দূর থেকেই ভালোবাসার মানুষটিকে দেখে গেছে। এতগুলো বছর দিন সময় উৎসের হারানোর বেদনার সাক্ষী শুধু চার দেয়াল।
.
.
শতাব্দী ঘরে এসে দেখলো উৎস সোফায় হেলান দিয়ে চোখ বন্ধ করে আছে। শতাব্দী উৎসকে ডাক দিতে গিয়েও কিছু একটা মনে করে থেমে গেল তারপর ঘর থেকে বেরিয়ে গিয়ে এক গ্লাস পানি নিয়ে আসলো যেই না উৎসের মাথায় পানি ঢালতে যাবে তখনি উৎস চোখ জোড়া খুলে বলল,

– আমার শরীরে এক ফোঁটা পানি পড়লে তোমাকে বাথরুমে ফেলে দিয়ে আসবো।

উৎস জোরপূর্বক হেসে বলল,
– পানি ঢেলে দেওয়ার জন্য আনিনি আপনার খাওয়ার জন্য এনেছি।

– কেন এনেছ আমি ভালো করেই জানি।

– মা খেতে ডাকছে খেতে চলুন।

বলেই শতাব্দী আগে আগে হাঁটতে লাগলো উৎস শতাব্দীর পেছনে গেল।ডাইনিং টেবিলে শাওন হাসান, শুভ্র, তূর্য বসে আছে, মিসেস তাসলিমা এবং শতাব্দীর ভাবী খাবার পরিবেশন করছে দেখে মনে হচ্ছে এতক্ষণ যেন সবাই উৎসের জন্য অপেক্ষা করছিল।উৎস আসতেই শাওন হাসান নিজের পাশের চেয়ার টেনে দিয়ে বলল,

– এই চেয়ারে বসো জামাই।

উৎস তিক্ষ্ম দৃষ্টিতে তাকালো, শাওন হাসান হেসে বললেন,
– চেয়ারটা মজবুত আছে দাঁড়াও আমি বসে দেখাই।

উৎস ফিচেল হেসে চেয়ারে বসতে বসতে বলল ,
– বসে দেখাতে হবে না।

শতাব্দীও তাদের সঙ্গে বসে পড়লো। মিসেস তাসলিমা উৎসের প্লেটে ভাত দিয়েছেন তরকারি দিতে যাবে তখনি শাওন হাসান বললেন,

– জামাইকে আগে ইলিশ মাছ দাও।

মিসেস তাসলিমা বললেন,
– ইলিশ মাছে অনেক কাঁটা তাই এটা শেষে দিব।

শাওন হাসানের মুখ কালো হয়ে গেল, শতাব্দী বাঁকা হেসে বলল,
– উনি চিংড়ি খান না তুমি ইলিশ মাছটাই দেও মা উনি ইলিশ মাছ অনেক পছন্দ করেন।

উৎস অসহায় দৃষ্টিতে শতাব্দীর দিকে তাকিয়ে আছে আর ভাবছে কবে সে বলল চিংড়ি নয় ইলিশ মাছ পছন্দ। অত্যাধিক কাঁটার জন্যই উৎস ইলিশ মাছ এড়িয়ে চলে তবে অনেক সময় মিসেস উপমা কাঁটা বেছে নিজ হাতে উৎসকে খাইয়ে দিত। এখন উৎসের কাছে মনে হচ্ছে সে বড় একটা যুদ্ধে নেমেছে সেই যুদ্ধে শত্রু হিসেবে ভূমিকা পালন করছে নিজের বউ আর হিটলার শ্বশুর।

শতাব্দী উৎসের অসহায় মুখশ্রী দেখে মিটিমিটি হাসছে। মিসেস তাসলিমা ইলিশের বড় এক পিচ চামচে তুললেন উৎসকে দেওয়ার জন্য উৎস শুকনো হেসে বলল,

– আন্টি আপনি ইলিশ রেখে আমাকে চিংড়ি দিন।

শতাব্দী বলল,
– আপনার তো ইলিশ…

উৎস শতাব্দীকে থামিয়ে দিয়ে দাঁতে দাঁত চেপে বলল,
– প্রিয়র খাতা থেকে ইলিশকে বাদ দিয়ে চিংড়ি লিখেছি তোমার কোনো সমস্যা?

– নাহ।

উৎস কোনমতে খেয়ে উঠে গেল।আজ রাতটা এখানেই থাকবে তারা সন্ধ্যার পর শতাব্দীর চাচা-চাচী,চাচাতো ভাই-বোন, চাচাতো ভাইয়ের বউ এবং তাদের একটা দুধের বাচ্চা সাথে আছে।

শতাব্দীদের বাড়িটাও বেশ বড় অতিথিদের থাকার জন্য আলাদা ঘরের ব্যবস্থা আছে। শাওন হাসান নিজে উৎসের সঙ্গে সবার পরিচয় করিয়ে দিলেন। শতাব্দীর চাচাতো বোন নিশি অনার্স ফাইনাল ইয়ারে পড়ে শতাব্দীর থেকে দুই আড়াই বছরের ছোট।

এত মানুষের মধ্যে উৎসের অস্বস্তি লাগছে। তারপরেও শাওন হাসান জোর করে বসিয়ে রেখেছে নিজের পাশে। নিশির ভাইয়ের মেয়ে সুহার পাশে বসে আছে তূর্য। নিশি শতাব্দীর সঙ্গে তার ঘরে আসলো দু’জনে বিছানায় বসেছে। কথা বলতে বলতে একপর্যায়ে নিশি মৃদু হেসে বলল,

– এত সুন্দর দুলাভাই পেলে কোথায় আপু?

– কোনদিক দিয়ে এই লোককে তোর কাছে সুন্দর লাগে?

– সুন্দর লাগবে কেন দুলাভাই তো সুন্দরই।

– তোর কথা বল বিয়ে করছিস কবে? পছন্দের কেউ আছে নাকি?

– আছে কিন্তু দুলাভাইকে দেখে এখন আর তাকে ভালো লাগছে না তুই চাইলে আমাকে তোর…

– এখানেই থেমে যা ফালতু কথা একদম বলবি না।

– আহা রেগে গেলি আপু।

– রাগার মতো কথা বললে তো রাগবোই।
___________

উৎস বিছানায় আধশোয়া হয়ে কিছু ভাবছে, শতাব্দী দরজা আটকে দিয়ে বিছানায় এসে বসলো উৎসের দিকে গভীর মনোযোগ দিয়ে তাকিয়ে বলল,

– নিশ্চই শয়তানী ভাবনায় মশগুল হয়ে আছেন।

– শয়তানী ভাবনা ভাবার কাজ তোমার আর তোমার হিটলার বাবার।

– আমার বাবাকে হিটলার বলবেন না।

– একশো বার বলবো।

– আমার বাবার উপর আপনার এত রাগ কিসের?

– আমার কোনো রাগ নেই সব রাগ তোমার বাবার তাকে গিয়ে জিজ্ঞেস করো।

– ইচ্ছে নেই।

শতাব্দী ঘুমানোর জন্য লাইট নিভাতে যাবে তখনি দরজায় কেউ কড়া নাড়লো। শতাব্দী গিয়ে দরজা খুলে দিতেই নিশি ভেতরে ঢুকলো।উৎস নিশির দিকে একবার তাকিয়ে দৃষ্টি সরিয়ে নিলো শতাব্দী প্রশ্ন করলো,

– তুই এসময় আমাদের ঘরে?

– আপু আজ আমি তোর সঙ্গে ঘুমাবো।

শতাব্দী উৎসের দিকে তাকালো কিন্তু উৎসের কোনো হেলদোল নেই সে নিজের মতো ভাব নিয়ে বসে আছে। নিশি বুঝতে পেরে বলল,

– দুলাভাই আপনি চাচ্চুর সাথে গিয়ে ঘুমান।

– বাবার সঙ্গে ঘুমালে মা কোথায় ঘুমাবে?

– জানি না চাচ্চুই বলেছে দুলাভাইকে তার ঘরে পাঠিয়ে দিতে।

উৎস নিশির দিকে গম্ভীর মুখে তাকিয়ে বলল,
– আমি আমার বউ ছাড়া ঘুমাবো না তুমি নিজের ঘরে গিয়ে ঘুমাও।

– এমন করেন কেন দুলাভাই? একটা রাতই তো।

– একটা রাতই অনেক আমার বউয়ের স্মৃতিশক্তি দুর্বল একরাত আলাদা থাকলেই আমাকে ভুলে যাবে।

শতাব্দী উৎসকে রাগ দেখিয়ে বলল,
– ফালতু কথা বাদ দিয়ে বাবার ঘরে যান আজ জামাই শ্বশুর একসঙ্গে গিয়ে ঘুমান।

– তোমার বাবার সঙ্গে ঘুমানো অসম্ভব কে জানে ঘুমের মধ্যে যদি বালিশ চাপা দিয়ে আমায় মে’রে দেয় তখন তোমার কি হবে?

– ভালো মতো যাবেন নাকি অন্যকিছু করবো।

– আপন বউ হয়ে আমার সঙ্গে এমন ব্যবহার করো ছিহ পঁচা মেয়ে।

উৎস ঘর থেকে বেরিয়ে গেল। শাওন হাসান উৎসকে ডাক দিলেন,
– আসো ছাদে যাই জামাই তোমার সঙ্গে অনেক গল্প জমে আছে।

– আপনার মতলব ভালো ঠেকছে না ছাদে নিয়ে ফেলে দেওয়ার ধান্দা করছেন না তো?

শাওন হাসান মুখে কাঠিন্যতা এনে ছাদে যাওয়ার জন্য সিঁড়ি বাইতে লাগলেন উৎসও উনার পেছনে পেছনে যাচ্ছে।

ছাদে দু’টো মোড়া রাখা ছিল একটার মধ্যে শাওন হাসান বসলেন।উৎস তার পাশে গিয়ে আরেকটা মোড়ায় বসলো। শাওন হাসান জিজ্ঞেস করলেন,

– আমার কলিগের ছেলের সঙ্গে শতাব্দীর বিয়ে তুমিই ভেঙ্গেছিলে তাই না?

– জ্বি শ্বশুর আঙ্কেল।

– কিভাবে ভাঙ্গলে?

উৎস হেসে উওর দিল,
– তেমন কিছু না এনগেজমেন্টের আগের দিন রাতে একটু পেদানি দিয়েছিলাম তারপর কাজ শেষ।

– অনেক চালাক তুমি।

– আপনার থেকেও!

শাওন হাসান মৃদু হাসলেন।

চলবে…….

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here