#প্রণয়_কোন্দল
#মাশফিয়াত_সুইটি(ছদ্মনাম)
পর্ব:০৬
‘আহহ! শাকচুন্নী আমার হাত কামড়ে ধরেছে কেউ বাঁচাও…….
শতাব্দী নিজের সর্ব শক্তি দিয়ে উৎসের হাত এখনও কামড়ে ধরে আছে।উৎস অনেক চেষ্টা করেও ছাড়াতে পারছে না।কয়েক মিনিট চিৎকার করার পর শতাব্দী উৎসের হাত ছেড়ে দিল, উৎসের হাত থেকে রক্ত বের হচ্ছে উৎস নিজের হাতের দিকে তাকিয়ে রাগি স্বরে বলল,
– সমস্যা কি তোমার? তুমি কি রাক্ষসী? এই নিয়ে দু’বার আমার হাতে কামড় দিয়েছ, ইসস রক্ত বের হয়ে গেছে।
– আপনাকে সোফায় ঘুমাতে বলেছিলাম তারপরেও বিছানায় শুয়েছেন কেন? আবার আমাকে ধরে শুয়ে ছিলেন।
– ঘর আমার বিছানা আমার বউটাও আমার তাহলে আমি কেন সোফায় ঘুমাবো?
– এই জন্যই কামড়ে দিয়েছি যতবার ভুল করবেন ততবার কামড়ে দিব।
– দাঁত শুধু তোমারই আছে আমার তো নেই।
– আপনার দাঁত নেই আপনি বুড়ো লোক।
– আসছে আমার কচি বউ।
শতাব্দী মুখ বাঁকালো। মিসেস উপমা ছেলের চিৎকারের শব্দে ঘরের সামনে এসে দরজা ধাক্কা দিচ্ছেন, শতাব্দী গিয়ে দরজা খুলে দিতেই মিসেস উপমা ঘরে ঢুকে উৎসের উদ্দেশ্যে বললেন,
– সকাল সকাল ষাঁড়ের মতো চিল্লাস কেন?
শতাব্দী মুখ টিপে হাসলো, উৎস কাদুকাদু মুখে বলল,
– আম্মু তুমি আমাকে ষাঁড়ের সঙ্গে তুলনা দিলে?
– হ্যা দিয়েছি তুইও একটা ষাঁড় তোর বাপও একটা ষাঁড় তোর বাপ আমাকে জ্বালায় আর তুই এখন তোর বউকে জ্বালাচ্ছিস।
মিসেস উপমা শতাব্দীর মাথায় হাত রেখে বললেন,
– তোমার জন্য আমার অনেক কষ্ট হচ্ছে বউমা আগে জানলে কখনও এই ষাঁড়ের সঙ্গে বিয়ে দিয়ে তোমার জীবন নষ্ট করতাম না।
– শাশুড়ি আপনি অনেক ভালো।
– ভালো বলেই তো দুইটা ষাঁড় বাড়িতে সহ্য করছি।
শতাব্দী উৎসের দিকে আড়চোখে তাকিয়ে মুচকি মুচকি হাসছে। উৎস অসহায় দৃষ্টিতে বলল,
– ছিহ আম্মু বউয়ের সামনে সব মান সম্মানের বারোটা বাজিয়ে দিলে।
– তোর আবার মান সম্মান আছে?
উৎস কিছু বললো না রাগ দেখিয়ে বাথরুমে চলে গেল। মিসেস উপমা বললেন,
– ষাঁড়টাকে নিয়ে নাস্তা করতে এসো বউমা।
– জ্বি শ্বাশুড়ি।
মিসেস উপমা চলে গেলেন কিছুক্ষণ পর উৎস ফ্রেশ হয়ে বের হলো, শতাব্দী উৎসের ক্ষত জায়গায় মলম লাগিয়ে দিয়ে বলল,
– খেতে চলুন।
____________
শুভ্রর কাছ থেকে উৎস এবং রুহির কল রেকর্ডটা হাতে পেয়েছে শতাব্দী।কল রেকর্ড পুরোটা শুনতেই থ হয়ে গিয়েছে। রুহি উৎসদের পাশাপাশি বাড়িতে থাকে, উৎসের ছোট বোন ঊষা এবং রুহি একই বিশ্ববিদ্যালয়ে একই বর্ষে পড়াশোনা করে সেক্ষেত্রে দু’জনের মধ্যে বেস্ট ফ্রেন্ডের একটা সম্পর্ক ছিল এবং রুহির উৎসদের বাড়িতে যাওয়া আসা ছিল।
এক রাতে রুহির মোবাইল থেকে উৎসের মোবাইলে কল আসে,উৎস কল রিসিভ করতেই অপরপাশ থেকে রুহি আতঙ্কিত কন্ঠে বলে,
– উৎস ভাইয়া আমাকে বাঁচাও ওরা আমাকে মে’রে ফেলবে।
রুহির ভয়ার্ত কন্ঠে এহেম কথায় চমকে গেল উৎস, বিচলিত কন্ঠে জিজ্ঞেস করলো,
– কারা মা’রবে? কোথায় তুই?
– ভার্সিটির পাশের গলির মোড়ে আছি তুমি আমাকে বাঁচাও উৎস ভাইয়া।
– তুই ওখানে কেন গিয়েছিস?
রুহি আচমকা চিৎকার দিল কলটাও কেটে গেছে।উৎস ফোন কানে ধরেই হ্যালো হ্যালো করতে লাগলো কোনো শব্দ না পেয়ে গাড়ি নিয়ে বেরিয়ে যায় বাড়ি থেকে। রুহির কথা মতো ভার্সিটির পাশের গলির কাছে গাড়ি দাঁড় করিয়ে মোড়ে ঢুকে পড়ে উৎস। গলির মোড়ের রাস্তাটা বেশ ছোট বড় গাড়ি প্রবেশ করানো অসম্ভব ব্যাপার তবে রিক্সা বাইক সহজেই চলাচল করতে পারে।
রাতের আঁধার চারিদিক শুনসান নিরব ক্ষণে ক্ষণে কুকুরের ডাক শোনা যাচ্ছে। গলির মোড় গুলোতে রাতের বেলা অনেক কুকুর দেখা যায়। উৎস সামনে এগিয়ে যায় হাতে করে গাড়ি থেকে টর্চ লাইট নিয়ে এসেছে সেই টর্চ লাইটের আলোয় রুহিকে খুঁজছে কয়েকবার হাঁক ছেড়েও ডাকছে কিন্তু কেউ কোনো সাড়া দিচ্ছে না। উৎস আরও একটু সামনে এগিয়ে যেতেই কারো পায়ের আওয়াজ শুনতে পেল সেদিকেই এগিয়ে যেতে থাকলো। টর্চের আলোয় গলির ছোট রাস্তার উপর কাউকে পড়ে থাকতে দেখে দৌড়ে এগিয়ে গিয়ে রুহিকে দেখতে পেল।উৎস হাঁটু গেড়ে বসে রুহির মাথা নিজের কোলে রেখে গালে চাপড় মে’রে ডাকতে লাগলো,
– রুহি চোখ খোল, কে করেছে তোর এই অবস্থা? রুহি……..
রুহি চোখ খুললো না পড়ে রইলো তার রক্তাক্ত দেহ। কয়েক মিনিট পর পুলিশের আগমন ঘটে তারা পার্লস চেক করে বুঝতে পারে রুহি মা’রা গেছে। উৎসকে মরদেহের পাশে দেখতে পেয়ে তাকেই দোষী ভেবে ধরে নিয়ে যায়। উৎস পুলিশকে অনেকবার বোঝানোর চেষ্টা করেছিল কিন্তু পুলিশ উৎসের কোনো কথা শুনেনি বরং নিজেদের মতো করে মামলা দিয়ে দিয়েছিল। রুহির পোস্ট মর্টেম রিপোর্ট অনুযায়ী অনেক অত্যাচার করে তারপর ছুরির আঘাতে হ’ত্যা করা হয়েছে তাকে,এমনকি শরীরে আঘাতের অনেক চিহ্নও পাওয়া গেছে। উৎসের বাবা ইসতিয়াক আহমেদ অনেক চেষ্টা করেও উৎসকে থানা থেকে ছাড়াতে পারেনি কেস কোর্টে উঠেছিল। উৎসের মামাও একজন নামকরা উকিল তার প্রচেষ্টায় উৎসকে বের করা সম্ভব হয়েছে তবে কেস এখনও চলছে সব প্রমাণ উৎসের বিপক্ষে গেলে আর কেউ তাকে ছাড়াতে পারবে না বড় কোনো শাস্তি হয়ে যাবে।
আসিফ ইসলাম নামে একজন শতাব্দীর কাছে রুহির বাবা-মাকে নিয়ে যায়, তারা চায় যে রুহিকে হ’ত্যা করেছে তার যেন শাস্তি হয় এবং আসিফ ইসলাম সব প্রমাণ জোগাড় করে দিয়েছিল শতাব্দীকে যার মাধ্যমে বোঝা যায় উৎস রুহির খু’নি। শতাব্দী না করতে পারেনি খবরটা মুহূর্তেই চারিদিকে ছড়িয়ে পরেছিল যার কারণে শতাব্দীও চেয়েছিল অপরাধী শাস্তি পাক তাই কেসটা হাতে নিয়েছিল আর উৎসের বিরুদ্ধে লড়ছিল।
___________
ইসতিয়াক আহমেদ রেডি হয়ে বসে আছেন আজ উৎসের মামলার লাস্ট ডেইট আজই প্রমাণের ভিত্তিতে শুনানি দেওয়া হবে।উৎসও কোর্টে যাওয়ার জন্য রেডি হয়ে আসলো, ইসতিয়াক আহমেদ জিজ্ঞেস করলেন,
– তোর উকিল বউ কোথায়?
– কোর্টে।
– এত তাড়াতাড়ি চলে গেছে!
– হুম অনেক সকালেই বের হয়েছে।
– ওহ আমার খুব চিন্তা হচ্ছে রে।
– চিন্তা করে কি হবে? কপালে যা আছে তাই হবে।
ইসতিয়াক আহমেদ বিষন্ন মুখে বললেন,
– চল তাহলে।
ইসতিয়াক আহমেদ গাড়ির কাছে চলে গেলেন। মিসেস উপমা উৎসের মাথায় হাত বুলিয়ে দোয়া দরুদ পড়ে ফু দিয়ে বললেন,
– আমরা জানি তুই নির্দোষ সবার সামনেও নির্দোষ হয়েই স-সম্মানে ফিরবি চিন্তা করিস না।
উৎস মৃদু হেসে মা’কে বিদায় জানিয়ে গাড়িতে গিয়ে বসলো, গাড়িতে উঠতেই ড্রাইভার গাড়ি ছেড়ে দিয়েছে। কোর্টে আসতেই উৎসের মামা উৎসের দিকে এগিয়ে এসে বলল,
– আজকের কেসটা আমরাই জিতবো তোর উপরে আসা সকল অভিযোগ থেকে মুক্তি পাবি।
উৎস নির্বিকার ভঙ্গি পালন করছে। কোর্টের ভেতরে প্রবেশ করে আশেপাশে তাকালো কিন্তু শতাব্দীকে দেখতে পেল না। শতাব্দীর এসিস্ট্যান্ট আয়মান বসে আছে তার সঙ্গে কয়েকজন সহযোগী উকিল। কিছুক্ষণ পরেই জজ উপস্থিত হলো, জানা গেল শতাব্দী অসুস্থতার কারণে আসেনি শতাব্দীর হয়ে আয়মান উৎসের বিরুদ্ধে কেস লড়বে। উৎস বেশ অবাক হলো সে বুঝতে পারছে শতাব্দী মিথ্যে বলেছে কারণ সকালেও শতাব্দীকে সুস্থ দেখেছে।
.
.
সকল প্রমাণের ভিত্তিতে উৎস নির্দোষ প্রমাণিত হয়েছে। মামলা উৎস জিতেছে, স-সম্মানে তাকে মুক্তি দেওয়া হয়েছে, ইসতিয়াক আহমেদ আবেগ আপ্লুত হয়ে সকলের সামনেই শালাকে গিয়ে জড়িয়ে ধরেছেন।
উৎস, ইসতিয়াক আহমেদ এবং উৎসের মামা গাড়িতে বসে আছেন গাড়ি চলছে বাড়ির রাস্তায়। ইসতিয়াক আহমেদ খোশ মেজাজে বললেন,
– তোফায়েল তোর জন্য আমার ছেলেটা এত বড় একটা ঝামেলা থেকে মুক্তি পেল তোর জন্য অনেক উপহার আছে বাড়িতে একবার যেতে দে ইচ্ছে করছে তোকে একটা চুমু খাই।
উৎস গাড়ির জানালা দিয়ে বাইরে তাকিয়ে আছে কারো কথায় কোনো হেলদোল নেই তার। তোফায়েল হেসে বললেন,
– দুলাভাই এসবে আমার হাত নেই, তোমার ছেলের বউয়ের কারণেই আজ আমরা এই মামলা জিতেছি।
ইসতিয়াক আহমেদের মুখ থেকে হাসি উবে গেল, উৎস তিক্ষ্ম দৃষ্টিতে মামার দিকে তাকালো ওদের বাপ ছেলে দু’জনের মুখের ভাবে বিষ্ময়।উৎস জিজ্ঞেস করল,
– শতাব্দীর কারণে কিভাবে মামলা জিতলাম?
– সব প্রমাণ তো শতাব্দীই আমাকে দিয়েছে, আমার কাছে তোকে নির্দোষ করার মতো কোনো প্রমাণ ছিল না আজ সকালে আমার চেম্বারে এসে শতাব্দী কল রেকর্ড মেডিকেল টেস্টের রিপোর্ট সবকিছু আমায় দিয়ে বললো এগুলোর মাধ্যমেই তোকে নাকি নির্দোষ প্রমাণ করা যাবে।
ইসতিয়াক আহমেদ চমকে গিয়ে ছেলের দিকে তাকালেন উৎস বাবার চাহনি বুঝতে পেরে মৃদু হেসে আবারো জানালা দিয়ে বাইরের দিকে তাকালো।
.
.
শতাব্দী নিজের চেম্বারে বসে আছে।আয়মান শতাব্দীর সামনে বসে বলল,
– ম্যাম আমরা কেসটা হেরে গেছি আপনি এত রিলেক্স মুডে আছেন কিভাবে?
– আমি হেরেও জিতে গেছি আয়মান উৎস নির্দোষ যখন জানতে পেরেছি অনেক খুশি হয়েছি ভেতর থেকে একটা বোঝা নেমেছে।
– ম্যাম আপনি কি..
– কয়েকদিনের জন্য তোমার ছুটি পরিবার নিয়ে সময় কাটাও।
আয়মান খুশি হয়ে শতাব্দীর থেকে বিদায় নিয়ে চলে গেল। শতাব্দী চেয়ারে কিছুক্ষণ হেলান দিয়ে বসে রইলো তারপর বাড়ির উদ্দেশ্যে বেরিয়ে গেল।
____________
মিসেস উপমা উৎসের পছন্দের সব খাবার নিজ হাতে রান্না করেছেন। টেবিলে সবাই বসে আছে মিসেস উপমা উৎসকে খাইয়ে দিতে দিতে বলল,
– আমি বলেছিলাম না আমার ছেলে ঠিক নির্দোষ প্রমাণ হবে।
ঊষা মুখ বাঁকিয়ে বলল,
– আমি জানি আমার ভাইয়া কিছু করেনি, আচ্ছা ভাইয়া তোর বউ কোথায়? নিশ্চই কেস হেরে গিয়ে লুকিয়ে আছে।
এতক্ষণ পর সবার খেয়াল হলো শতাব্দী বাড়িতে নেই। মিসেস উপমা বললেন,
– ঠিকই তো বউমা কোথায়? এখনও বাড়িতে ফেরেনি কেন?
উৎস বলল,
– জানি না কোর্টেও তো দেখলাম না।
– ওহ মেয়েটা একটু বেশিই বদমেজাজি কথায় কথায় শুধু ভাঙচুর করে আর বন্দুক তাক করে।
ইসতিয়াক আহমেদ মুখের খাবার শেষ করে বললেন,
– শুধু কি তাই? তোমার ছেলের হাতটা একবার দেখ বাচ্চাদের মতো কামড়ে কি করেছে।
উৎস নিজের হাত লুকানোর চেষ্টা করলো কিন্তু পারলো না মিসেস উপমা উৎসের হাত ধরে এদিক ওদিক ঘুরিয়ে পর্যবেক্ষণ করে দেখে বলল,
– ইস হাতের কি অবস্থা করেছে খাওয়ার পর ওষুধ লাগিয়ে দিব ঠিক হয়ে যাবে।
ইসতিয়াক আহমেদ গলা খাঁকারি দিয়ে বললেন,
– তোদের মাও ঠিক এমন ছিল ঊনিশ থেকে বিশ হলেই হাতের কাছে যা পেত আমার দিকে ছুঁড়ে মা’রতো এদিক থেকে বউমা তো ভালোই ঘরের জিনিসপত্র ভাঙ্গে আর হাতে কামড় দেয়।
উপস্থিত সবাই জোরে হেসে দিয়েছে। মিসেস উপমা রাগে ফুঁসতে ফুঁসতে বললেন,
– তোমার দোষেই এমন করেছি তোমার ছেলেও তোমার মতোই হয়েছে বউ তো আর এমনি এমনি কিছু বলে না শতাব্দী বাড়িতে আসুক আমি ওকে শিখিয়ে দিব এবার থেকে যেন ঝাড়ু দিয়ে পে’টায়।
উৎস মিনমিনে গলায় বলল,
– তোমার কষ্ট করে শেখানোর দরকার নেই আম্মু অলরেডি ও আমায় ঝাড়ু দিয়ে পে’টানো শুরু করে দিয়েছে।
– একেবারে ঠিক করেছে আমার মনের মতো বউমা এমন মেয়ে খুঁজতে খুঁজতেই তো কতগুলো পাত্রী রিজেক্ট করলাম শেষ পর্যন্ত ছেলে আমার নিজেই মায়ের উপযুক্ত বউ নিয়ে হাজির হলো।
উৎস অসহায় দৃষ্টিতে মায়ের দিকে তাকিয়ে আছে। ইসতিয়াক আহমেদ,ঊষা, তোফায়েল হাসছে।
বিকেলের দিকে শতাব্দী বাড়িতে ফিরেছে। উৎস বিছানায় সটান হয়ে শুয়ে আছে, শতাব্দী এক পলক উৎসকে দেখে ফ্রেশ হতে চলে গেল।
চলবে…..
[বি:দ্র:সব ধরনের টেলিফোন গ্ৰাহকের ভয়েস ও ডাটা রেকর্ড করা হয়। সরকারের নির্দেশ অনুযায়ী কয়েকটি মুঠোফোন অপারেটর বাধ্যতামূলকভাবে এ রেকর্ড করছে। দেশীয় এবং আন্তর্জাতিক নিরাপত্তার জন্যই নির্দিষ্ট সময়ের জন্য কল রেকর্ড করা হয় তবে অত্যধিক গোপনীয়তা বজায় রেখে। এছাড়া কল রেকর্ড যদি করা না হয় তাহলে কল রেকর্ড ফাঁস হয় কিভাবে। আমার মনে হয় না আমি কোনো ভুল তথ্য দিয়েছি তবুও যদি অনিচ্ছাকৃত ভাবে ভুল হয়ে থাকে তাহলে দুঃখিত।