প্রণয়_কোন্দল #মাশফিয়াত_সুইটি(ছদ্মনাম) পর্ব:০২

0
1529

#প্রণয়_কোন্দল
#মাশফিয়াত_সুইটি(ছদ্মনাম)
পর্ব:০২

পুরো ড্রয়িং রুম বিধ্বস্ত হয়ে গেছে প্রায় সব জিনিসপত্র এলোমেলো হয়ে মেঝেতে পড়ে আছে। শতাব্দীর মুখে রাগ স্পষ্ট, চারিদিকে চোখ বুলিয়ে যখন আর কিছু পেল না তখন দেওয়ালের কাছে গিয়ে এল.ই.ডি টিভি খোলার চেষ্টা করতে লাগলো। শতাব্দীর শ্বাশুড়ি মিসেস উপমা দৌড়ে এসে অসহায় কন্ঠে বললেন,

– আমার সোনা বউমা এই কাজটা ভুলেও করো না টিভি ভেঙ্গে ফেললে আমি নাটক দেখবো কিভাবে?

শতাব্দী সে কথায় পাত্তা দিল না টিভি দেওয়াল থেকে টেনে খুলতে ব্যস্ত সে। উৎস সিঁড়িতে বসে গালে হাত দিয়ে এক দৃষ্টিতে তাকিয়ে শতাব্দীকে দেখছে, উৎসের মুখ হাস্যজ্জল। মিসেস উপমা কাদুকাদু মুখ করে ইসতিয়াক আহমেদকে বললেন,

– ওগো তোমার ছেলের বউকে আটকাও আমার টিভিটা ভেঙ্গে ফেললে কি হবে গো।

– যা করছে করতে দাও এখন আমরা কিছু বলতে গেলে টিভির বদলে যদি আমাদের ভেঙ্গে দেয় তখন কি হবে?

– আমি নাটক দেখবো কি করে?

– মোবাইলে দেইখো।

– না আমি টিভিতে দেখবো মোবাইলে ছোট ছোট লাগে।

– আচ্ছা রফিককে বলে বিকেলেই নতুন টিভি এনে লাগিয়ে দিব।

মিসেস উপমা মেকি হেসে বললেন,
– তাহলে ঠিক আছে।

এবার শতাব্দীর উদ্দেশ্যে বললেন,
– বউমা টিভিটা আমার ছেলের মাথার উপর ভাঙ্গো।

ইসতিয়াক আহমেদ বড় বড় করে তাকালেন স্ত্রীর দিকে শতাব্দীর কর্ণকোহরে কথাটা পৌঁছাতেই বাঁকা হাসলো। উৎস এখনও পূর্বের ন্যায় বসে শতাব্দীকে দেখে যাচ্ছে। শতাব্দী টিভি দেওয়াল থেকে খুলতে সফল হয়েছে, দু’হাত দিয়ে ধরে টিভি নিয়ে উৎসের সামনে গেল।উৎস শতাব্দীর হাবভাব বুঝতে পেরে শতাব্দীর হাত থেকে এক প্রকার ছিনিয়ে নিলো টিভিটা তারপর হাক ছেড়ে বলল,

– তৌসিফ…..

তৌসিফ দৌড়ে এসে ভয়ার্ত কন্ঠে বলল,
– জ্বি বস।

– টিভিটা নিয়ে যাও

তৌসিফ টিভি নিয়ে স্থান ত্যাগ করলো। শতাব্দী রাগে ফুঁসছে, উৎস শান্ত গলায় জিজ্ঞেস করলো,
– আবার কি হয়েছে?ড্রয়িং রুমের এমন অবস্থা করেছ কেন?

শতাব্দী চেঁচিয়ে বলল,
– আমার চরিত্র খারাপ বলার সাহস হয় কিভাবে? আমার চরিত্র কি খারাপ?

– তোমার চরিত্র খারাপ হবে কেন? কে বলেছে এসব?

– আপনার চাচাতো ভাইয়ের বউ।

উৎস কপাল কুঁচকে মারিয়ার দিকে তাকালো। মারিয়া ভয়ে জড়সড় হয়ে কিছুটা দূরে দাঁড়িয়ে আছে, উৎস জিজ্ঞেস করলো,
– ওকে এসব বলেছ কেন?

মারিয়া চুপ করে আছে চুপ করে থাকা ছাড়া আর কোনো উপায় তো নেই।উৎস এখনও শান্ত গলায় বলল,

– মুখের কথা কখনও ফিরিয়ে নেওয়া যায় না, সবাইকে ভালো করে বলে দিচ্ছি কেউ কখনও শতাব্দীর সঙ্গে খারাপ আচরণ করবে না যদি করো তাহলে আমার থেকে খারাপ কেউ হবে না।

শতাব্দী আড়চোখে উৎসকে উপর থেকে নিচ পর্যন্ত দেখে নিলো।উৎস রফিকের উদ্দেশ্যে বলল,
– এক ঘন্টার মধ্যে ড্রয়িং রুম আগের মতো দেখতে চাই চাচা।

রফিক মাথা নাড়িয়ে বেরিয়ে গেল।উৎস শতাব্দীর হাত খুব শক্ত করে ধরে ঘরের দিকে যাওয়া ধরলো শতাব্দী চোখ রাঙিয়ে বলল,
– আমার হাত ধরেছেন কেন? ছাড়ুন বলছি।

– ছাড়বো না।

উৎস শতাব্দীকে নিয়ে ঘরে এসে হাত ছেড়ে দিল। শতাব্দী ঝাঁঝালো কন্ঠে বলল,
– মি. উৎস আপনি বেশি বাড়াবাড়ি করছেন, যখন তখন আমাকে স্পর্শ করার দুঃসাহস দেখাবেন না।

– আমার দুঃসাহস দেখাতে অনেক ভালো লাগে।

– মানহানির মামলা ঠুকে দিব।

– তার আগেই আমাদের ভবিষ্যৎ প্রজন্ম আনার ব্যবস্থা করে ফেলবো।

শতাব্দীর চোখ আপনাআপনি বড় হয়ে গেল।উৎস মুখ টিপে হাসছে, শতাব্দী কিছুক্ষণ ওভাবে তাকিয়ে থেকে নিজের বন্দুক নিয়ে এসে উৎসের দিকে তাক করে বলল,
– যেদিন বাজে ইনটেনশন নিয়ে আমার কাছে আসবেন সেদিন আপনাকে গুল্লি করে দিব।

– এই রিভোলবার তোমার হাতে কে দিয়েছে বলো তো?

– আমি নিজেই লাইসেন্স করে নিয়েছি আসলে আমি একজন উকিল শত্রুর তো অভাব নেই তাই নিজের সেফ্টি নিজেরই করতে হয়েছে।

– ভালো কাজ তবে সবার দিকে রিভোলবার ধরা ঠিক নয় কখন আবার সেই রিভোলবারের গুলি নিজের গায়ে লাগে।

– শাহরিয়ার আহমেদ উৎস আমায় গুলি করবে! চেষ্টা করে দেখতে পারেন তবে আমাকে মে’রে লাভ নেই যা আপনার অজানা নয়।

– জানি বলেই তো এখনও বেঁচে আছো। তবে তোমাকে বাঁচিয়ে রেখেও তো কোনো লাভ দেখছি না অযথা আমার শত্রু হয়ে গেলে।

– আমি কারো শত্রু হতে আসিনি আমি শুধু আমার দায়িত্ব পালন করছি আপনার বিরুদ্ধে প্রমাণ আছে বলেই আপনার বিরুদ্ধে লড়বো আপনি যদি নির্দোষ হয়ে থাকেন তাহলে প্রমাণ দিন, প্রমাণ দেখাতে পারলে কেসটা থেকে সরে আসবো।

উৎস বাঁকা হাসলো যেই হাসির মানে শতাব্দী বুঝতে পারলো না। উৎসের ঘরটা বেশ বড় মাঝখানে একটা বড় খাট বাম পাশের দেওয়াল ঘেঁষে মিডিয়াম সাইজের আলমারি তার পাশেই একটা ছোট টেবিল, টেবিলের উপর ফুলদানি যার মধ্যে প্লাস্টিকের অনেকগুলো সুন্দর সুন্দর ফুল। খাটের ডান পাশে বাথরুম তার দু-এক হাত দূরে দু’জন বসার মতো একটা সোফা আর তার সামনে দেড় হাত লম্বা ডিজাইনার একটা টি- টেবিল তার সামনে আবার ইজি চেয়ার এবং একটা টেবিল যার উপর অনেকগুলো ফাইল গুছিয়ে রাখা একটা ল্যাপটপ মিনি সাইজের চার্জার লাইট বড় একটা ড্রেসিং টেবিল ইত্যাদি।

উৎস এসির পাওয়ার বাড়িয়ে ইজি চেয়ারে গা এলিয়ে পায়ের উপর পা তুলে বসলো,চোখ জোড়া বন্ধ। শতাব্দী উৎসের দিকে বাঁকা দৃষ্টিতে তাকিয়ে মনে মনে ভাবছে,’এই লোকটা একটু অদ্ভুত উহু একটু নয় অনেকটা সাথে সাথে রূপ বদলে ফেলে এর মনে কি চলে বুঝাই দায়।’

উৎস চোখ বন্ধ করেই বলল,
– এভাবে তাকিয়ে আছো কেন? আই নো আই লুক লাইক বিউটিফুল বয়।

– আপনি মনে হয় আয়নায় ভালো করে নিজেকে দেখেননি।

– তুমি থাকতে নিজেকে দেখবো কেন উকিল সাহেবা?

– স্টুপিড।

– রেগে গালাগালি না করে চুমুও তো খেতে পারো।

– আপনার মতো খুনিকে চুমু! মুখে থুতু ফেলতেই তো আমার বিবেকে বাধে।

– আহা জান এত চেটাং চেটাং কথা বলো না তো সামনে এমনও দিন আসবে এই খু’নিকেই ভালোবাসবে ছোঁয়ার জন্য মরিয়া হয়ে যাবে।

– জেগে জেগে স্বপ্ন দেখা বন্ধ করুন।

– আহা গুরুত্ব দিলে না।

শতাব্দী মুখ বাঁকিয়ে বিছানায় গিয়ে শুয়ে পড়লো,রাতে ঠিকমতো ঘুম হয়নি সকালেও নিজে বিছানা ভিজিয়ে দিয়েছিল, উৎস সার্ভেন্টদের দিয়ে সকালেই বেড কভার তোশক সব পাল্টে দিয়েছে।

বাড়িতে অনেক তান্ডব করার কারণে শরীর অনেক ক্লান্ত বিছানায় শুতেই ঘুমিয়ে গেছে শতাব্দী।উৎস চেয়ার থেকে উঠে মেঝেতে হাঁটু গেড়ে বসে শতাব্দীর দিকে তাকালো কপালে লেগে থাকা ছোট ছোট চুল গুলো সরিয়ে দিয়ে মৃদু হাসলো।
________________

বিশাল বাগানটা সাজানো হচ্ছে বৌ-ভাতের অনুষ্ঠানের জন্য। বাগানের এক পাশে বিশাল প্যান্ডেল করা হচ্ছে মূলত অতিথিদের খাওয়ানোর জন্য আরেকপাশে স্টেজ করা হচ্ছে যেখানে নতুন বউকে বসানো হবে।

ইসতিয়াক আহমেদ বাগানের একপাশে পাইচারি করছেন তার পেছনে পেছনে রফিক হাত পাখা নিয়ে জোরে জোরে হাঁটছে এবং বাতাস করছে।উৎস আপেল খেতে খেতে সবার কাজ দেখতে লাগলো, ইসতিয়াক আহমেদ ছেলের কাছে এসে বললেন,

– তোর মাথা কি ঠিক আছে? নাকি তোর উকিল বউ বন্দুক দিয়ে মাথায় বারি দিয়ে নষ্ট করে দিয়েছে?

– কেন?

– এত ঘটা করে বৌ-ভাতের অনুষ্ঠান করছিস কেন?

– বিয়ের পরেরদিন বৌ-ভাত করতে হয় এটাই তো নিয়ম।

– জানি আমি কিন্তু গতকাল রাতের কথা মনে নেই? শতাব্দী সবাইকে কিভাবে বন্দুক তাক করে শাসিয়েছে, কালকের কথা বাদ আজকে সকালে কি করেছে দেখেছিস সবার সামনে যদি পুনরায় এসব কাজ করে তাহলে মান সম্মান কোথায় গিয়ে দাঁড়াবে ভাবতে পারছিস? এমনিতেই একটা জঘন্য কেসে ফেঁসে গেছিস মানুষ এই বিষয়ে সমালোচনা করছে।

– আজকের অনুষ্ঠানে শতাব্দী কিছু করবে না, আর চার পাঁচটা নতুন বউ যেভাবে বৌ-ভাত করে সেভাবেই ও করবে।

– অসম্ভব।

– অসম্ভবকে সম্ভব করাই শাহরিয়ার আহমেদ উৎসের কাজ।

উৎস ফোন করে শতাব্দীর পরিবারকে আসতে বলেছে এমনকি গাড়িও পাঠিয়ে দিয়েছে তাদের নিয়ে আসার জন্য।

সব সাজানো শেষ হয়ে গেছে। মিসেস উপমা শাড়ি গহনা এবং দু’জন পার্লারের মেয়ে নিয়ে উৎসের ঘরে প্রবেশ করলো। শতাব্দী এখনও ঘুমে বিভোর, মিসেস উপমা বিছানার একপাশে শাড়ি গহনা রেখে শতাব্দীর কানের কাছে মুখ নিয়ে চেঁচিয়ে বললেন,

– বউমা তাড়াতাড়ি উঠো আগুন লেগেছে।

শতাব্দী লাফিয়ে উঠে গেল জোরে জোরে নিঃশ্বাস নিয়ে বলল,
– কোথায় আগুন লেগেছে? কিভাবে লেগেছে?

মিসেস উপমা মুখ টিপে হেসে বললেন,
– আমার ছেলের মনে।

– এ্যা!

– হাত-মুখ ধুয়ে এসো বৌ-ভাতের জন্য তোমাকে সাজাতে হবে।

– বৌ-ভাত!

– হুম সব রেডি এখন শুধু তোমাকে সাজিয়ে নিচে নিয়ে গেলেই অনুষ্ঠান শুরু হবে।

– আমি কোনো অনুষ্ঠানে যাচ্ছি না কোনো বৌ-ভাত হবে না।

– সেকি বউমা অনুষ্ঠান না হলে নতুন বউকে সবাই দেখবে কি করে?

– দেখতে হবে না।

তখনি ঘরে উৎসের আগমন ঘটে। বাঁকা হেসে বলল,
– তুমি গিয়ে তৈরি হয়ে নাও আম্মু আমার এই ধানি লঙ্কা উকিল সাহেবাকে আমি সাজিয়ে নিয়ে আসছি।

– তুই সাজাবি? এসব ছেলেদের কাজ নয় তুই যা।

– যখন বাবা তোমার চুল বেঁধে দেয় শাড়ির কুচি ঠিক করে দেয় তখন তো বাবাকে এটা বলো না আমার বেলায় কেন বলছো? তুমি কি চাইছো না তোমার ছেলে আর ছেলের বউ একটু প্রেম করুক।

মিসেস উপমা থতমত খেয়ে গেলেন গলা খাঁকারি দিয়ে বললেন,
– সব জায়গায় বাবাকে টেনে আনিস কেন? বাবাকে কখনও টানবি না তোর বউকে তুই সাজা।

মিসেস উপমা মেয়ে দু’টোকে নিয়ে চলে যাচ্ছিলেন পেছন থেকে শতাব্দী বলল,
– এই শ্বাশুড়ি আমাকে রেখে কোথায় যাচ্ছেন?

মিসেস উপমা থেমে গেলেন কিছু বলতে যাবেন তার আগেই উৎস মায়ের কাছে গিয়ে বলল,
– তুমি থামলে কেন আম্মু? অতিথিরা চলে এসেছে তুমি না থাকলে হয় তাড়াতাড়ি যাও।

– হুম যাচ্ছি।

মিসেস উপমা চলে গেলেন।উৎস দরজা লাগিয়ে দিয়ে শতাব্দীর দিকে তাকিয়ে পৈশাচিক হাসি দিল তারপর ঢপাস করে শতাব্দীর কাছাকাছি বসলো। শতাব্দী ব্রু জোড়া কিঞ্চিৎ কুঁচকে উৎসের দিকে তাকিয়ে বুঝার চেষ্টা করছে লোকটার মনে কি চলছে।

উৎস প্যাকেট থেকে শাড়িটা খুলে শতাব্দীর সামনে ধরে বলল,
– শাড়িটা তুমি নিজে থেকে পরবে নাকি আমি পরিয়ে দিব?

– মি.উৎস বেশি বাড়াবাড়ি হয়ে যাচ্ছে।

– বাড়াবাড়ির তো এখনও কিছু দেখোনি উকিল সাহেবা তবে তুমি যদি এখন শাড়িটা না পরো তাহলে সত্যি সত্যি অনেক বাড়াবাড়ি হয়ে যাবে চেঁচামেচি করেও লাভ হবে না।

– হঠাৎ করে বৌ-ভাতের আয়োজন করেছেন কেন? কি চলছে আপনার মনে? আমি যতদূর জানি আমাকে বিয়ে করেছেন শুধুমাত্র কেস জেতার জন্য তাহলে লোককে কেন জানাতে চাইছেন আমাদের বিয়ের কথা?

– এইতো এতক্ষণ পর উকিলের মতো একটা প্রশ্ন করলে,আমি চাই সবাই আমাদের সম্পর্কটা জানুক।

– যত যাই করুন না কেন আমি এই কেস লড়বোই।

উৎস গম্ভীর কণ্ঠে বলল,
– তৈরি হয়ে এসো।

শতাব্দী হেসে শাড়ি নিয়ে বাথরুমে চলে গেল।
.
.
.
শতাব্দী আয়নার সামনে দাঁড়িয়ে সাজগোজ করছে আর উৎস বিছানার মাঝখানে হাঁটু মুড়ে বসে শতাব্দীকে দেখছে। সাজ শেষ হতেই শতাব্দী বলল,

– আমি রেডি চলুন এবার।

উৎস দাঁড়ালো সে নিজেও রেডি হয়ে গেছে সোনালী সুতার কাজ করা একটা কালো পাঞ্জাবী পরেছে যা তার ফর্সা শরীরে বেশ ফুটে উঠেছে, চোখে পাওয়ারের চশমা প্রথম দেখাতেই যে কেউ বলে দিবে ছেলেটা ভদ্র কিন্তু ভেতরে ভেতরে তো অন্যকিছু। উৎস শতাব্দীর দিকে তাকিয়ে বলল,

– তোমাকে অনেক সুন্দর লাগছে।

শতাব্দী শুনেও না শোনার ভান ধরলো।উৎস মৃদু হেসে শতাব্দীর কানের কাছে মুখ নিয়ে বলল,
– উকিল সাহেবা নিচে গিয়ে কোনো ঝামেলা পাকানোর চেষ্টা করবেন না।

– যদি করি তাহলে?

– তাহলে আপনার কিছুই হবে না আপনার জন্য আপনার পরিবারকে ভোগতে হবে। তোমার বড় ভাইয়ের ছেলেটার নাম যেন কি?

– তূর্য।

– ধরো তূর্য স্কুলে গেল কিন্তু বাড়িতে আর কখনও ফিরল না তখন কি হবে?

– মি.উৎস!

উৎস হাসলো। শতাব্দী দাঁতে দাঁত চেপে আবারো বলল,
– আপনার চরিত্রের সঙ্গে যে বিবেকও খারাপ আজ তার প্রমাণ দিলেন একটা মানুষ এত নিচ হয় কিভাবে?

উৎস বাঁকা হেসে বলল,
– যাওয়া যাক?

শতাব্দী কিছু বলল না চুপ করে হাঁটা ধরলো। ইতোমধ্যে যাদের ইনভাইট করা হয়েছে তারা সবাই চলে এসেছে। শতাব্দীর পরিবারের সবাইও এসে গেছে, উৎসের বাবা-মা ওদের সঙ্গে কথা বলছেন।

উৎস আর শতাব্দীও চলে এসেছে।

চলবে……….

(কার্টেসি ছাড়া কপি করে নিষিদ্ধ। প্রণয় অর্থ ভালোবাসা এবং কোন্দল অর্থ ঝগড়া, একটা সম্পর্কে যেমন ঝগড়া থাকবে তেমনি ভালোবাসাও থাকবে ঝগড়া বিবাদের পরেও ভালোবাসা সম্মান এক রয়ে যাবে কেউ কাউকে ছেড়ে যাবে না যার অর্থ দাঁড়ায় ভালোবাসাময় ঝগড়া অর্থাৎ প্রণয় কোন্দল, আশা করি নামের অর্থ বুঝতে পেরেছেন।)

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here