ফিলোফোবিয়া ঊর্মি প্রেমা ( সাজিয়ানা মুনির ) ৫০ ( প্রথম অংশ)

0
504

ফিলোফোবিয়া

ঊর্মি প্রেমা ( সাজিয়ানা মুনির )

৫০ ( প্রথম অংশ)

( কার্টেসী ছাড়া কপি নিষেধ )

হতভম্ব, ভীতু, বিমূঢ় দৃষ্টিতে তাকিয়ে আছে প্রিয়। বাহিরে ঘন বর্ষণ। বৃষ্টির ঝুপঝাপ আওয়াজ। অন্ধকার অনুজ্জ্বল ঘর। মোমবাতির আলোতে নিভুনিভু আলো জ্বলছে।
শতাব্দ বরাবরের মতই গম্ভীর। অস্বাভাবিক শান্ত। নিগূঢ় রাগান্বিত চেয়ে। মনে মনে ঠিক এ ভয়টাই পাচ্ছিলো। শতাব্দের মুখোমুখি হলে নিজেকে কি করে সামলাবে। তার ভয়ঙ্কর ক্রো*ধের তোপ থেকে নিজেকে বাঁচানো কি আদৌ সম্ভব! ঢোক গিলল প্রিয়। হাতপা কাঁপছে অনবরত। ভয়ে পেছন দিক যেতে লাগলো। শতাব্দ আগাচ্ছে। প্রিয় পিছাচ্ছে। একটা সময় বিছানার সাথে লেগে ধপ করে পড়ে গেল। শতাব্দ থামল। তড়িঘড়ি করে প্রিয় শোয়া থেকে উঠে বসলো। ভীতু স্বরে আওড়াল,
‘ আ..আমার কথাটা শু…
প্রিয়’কে কথা শেষ করতে না দিয়ে, ধুপধাপ পায়ে এগিয়ে এলো শতাব্দ। প্রিয়’র কোলে মাথা রেখে। পেটে মুখ গুজে, সটান হয়ে শুয়ে পড়ল। হতভম্ব প্রিয়। ভেবেছিল দুইচারটা থা*প্পড় পড়বে গালে। অথচ এতো স্বাভাবিক আচরণ! শতাব্দের এই স্বাভাবিক আচরণ-ই প্রিয়’র ভয় বাড়াচ্ছে। খানিক সময় নিয়ে নিজেকে শান্ত করল প্রিয়। আমতা আমতা করে প্রশ্ন করল,
‘ কেন এসেছেন?’
শতাব্দের রাগ চাপা অকপটে আওয়াজ,
‘ ঘুমাতে!’
‘ ঢাকা থেকে মধুপুর ঘুমাতে এসেছেন? ঠিকানা কোথায় পেলেন? মা দিয়েছে?’
চোখ বুজে আছে শতাব্দ। নিস্তেজ কন্ঠের গভীর আওয়াজে বলল,
‘ অনেক কাল ঘুম হয়না, মাথায় হাত বুলিয়ে দেও। একটু ঘুমাব!’
শতাব্দের অস্বাভাবিকরকম স্বাভাবিক আচরণে থমকে গেল প্রিয়। জলে ছলছল করছে চোখ। প্রিয় জানে কোন কিছু ঠিক নেই, সবকিছু এলোমেলো। জোর খাটিয়ে শতাব্দ স্বাভাবিক দেখানোর চেষ্টা করছে। যা প্রিয়’কে নিজের কাছে নিজেকে আরো বেশি ছোট করছে, অ*পরাধী, লাগছে। অধৈর্য হলো সে। খানিক চেঁচিয়ে বলল,
‘ কেন জোর করে এমন স্বাভাবিক আচরণ করার চেষ্টা করছেন। আমি জানি, আমি অপ*রাধী। বকবেন? মা*রবেন? রাগ ঝাড়বেন? যা ইচ্ছা করে, চলে যান।’
চোখ বুজেই কপালে আঙুল চালিয়ে রাগ নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা করছে শতাব্দ। অনবরত বলে যাচ্ছে প্রিয়,
‘ চিঠিতে সবকিছু ক্লিয়ার করে দিয়েছি। আমাকে আমার মত একা থাকতে দিন। এখান থেকে চলে যান প্লিজ।’
অনেকক্ষণ যাবত রাগ নিয়ন্ত্রণ করার চেষ্টাটা নিয়ন্ত্রণহীন হলো এবার। শতাব্দের ধৈর্যের বাঁধ ভাঙ্গল। ক্রোধান্বিত রক্তিম চোখ জোড়া খুলে, তড়াক করে উঠে বসলো। ধাক্*কা দিয়ে প্রিয়’কে বিছানায় ফে*লে। উপরে চড়ে বসল, তার দিক ঝুঁকে তাকালো। ঘর কাঁপানো রাগী আওয়াজচিৎকার করে বলল,
‘ কি চাও তুমি? অশান্তি! শান্তভাবে ডিল করাটা পছন্দ হচ্ছেনা? রেগে দুচারটা থা*প্পড় লাগাই, সেটা ভালো লাগবে?’
বিস্ময়ে থমকে গেল প্রিয়। নিমিষ চেয়ে রইল।
আচমকা রাগে প্রিয়’র গাল চেপে ধরলো শতাব্দ। প্রিয়’র পা জোড়া নিজের পায়ের বেড়া জালে আটকে ধরলো। ঠোঁট জোড়া ঠোঁটের ভাজে নিয়ে নিলো। শক্ত করে কয়েকটা কামড় বসালো। ছাড়া পাবার জন্য হাতপা ছোড়াছুড়ি করছে প্রিয়। ছাড়ল না শতাব্দ। ওষ্ঠজোড়া আরো আড়ষ্টভাবে জড়িয়ে ধরল। গভীর করে চুমু দিতে লাগল। আস্তে আস্তে গলায় এসে ঠেকল। শক্ত করে কয়েকটা কামড় বসালো। প্রিয় ব্যথাতুর আওয়াজ করল। শুনলো না শতাব্দ। ক্রোধে যেন উন্মদ প্রায়। শতাব্দের পাগলামোতে স্থীর থমকে গেল প্রিয়। শক্ত পাথর বনে ফ্যালফ্যাল চেয়ে রইল। কি থেকে কি হচ্ছে এসব। কারো রাগ প্রকাশের মাধ্যম এমন অমানবিক ভয়ঙ্করও হয়!
অনেকটা সময় পর থামল শতাব্দ। ঝুঁকে এলো, দাঁতে দাঁত চেপে কিটকিটে আওয়াজে বলল,
‘ আমাকে হু*মকি দেওয়া? আমাকে? কাছে এলে অনর্থ ঘটাবে! এতবড় কলিজা? এইযে চুমু খেলাম। কামড়ে দিলাম। এখন কি করবে শুনি। অনর্থ ঘটাবে! এতই সহজ? চিঠিতে কি জানো লিখেছিলে, অন্যকারো সাথে যেন সংসার সাজাই। অন্যকারো সাথে সংসার সাজালে তাকে রোজ এভাবে আদর করবো, ভালোবাসবো সইতে পারবে তো? আবার নিশ্বাস থেমে যাবেনা তো তোমার!……
প্রিয় চুপ। ফ্যাচফ্যাচ নাক টানছে।শতাব্দ আবার কাছে এলো। গাল চেপে ধরল। বলল,
‘ শুনো মেয়ে আমি গল্প উপন্যাসের নায়কদের মত সাধু নই, যে দূরে সরে যাবো, অন্যকারো সাথে মানিয়ে নিবো। আমার তোমাকেই চাই! না পেলে সব জ্বা*লিয়ে দিবো।’
প্রিয়’র নিভে থাকা আঁখিপল্লব থেকে টপটপ জল গড়িয়ে পড়ছে। ঘরে ফোঁসফোঁস ফোঁপানোর আওয়াজ ভাসছে। শতাব্দ থামল। চোখ বুজে। স্বাভাবিক হওয়ার চেষ্টা করল। শান্ত আকুল কন্ঠে বলল,
‘বছরের পর বছর কাটবে, পাঁচ বছর, দশবছর আজীবন। তবুও তোমার শূন্যতা কেউ পূর্ন করতে পারবেনা প্রিয়। এই অনুভূতিতে কোন পরিবর্তন হবে না। আমি তোমাকে ভালোবেসেছি, ভালোবাসি আর সারাজীবন ভালোবেসে যাবো।’
কান্না চেপে রাখতে পারল না প্রিয়। হাউমাউ করে কেঁদে ফেলল। উপর থেকে সরে গেল শতাব্দ। পাশে শুয়ে বুকের গভীরে জড়িয়ে নিলো প্রিয়’কে। চুলে হাত ডুবিয়ে দিলো। বলল,
‘আমার ভালোবাসা কি এতটাই দুর্বল প্রিয়? যে এইটুকু ঠুনকো কারণে আমি ঠকে যাবো। কোন বাচ্চাকাচ্চা চাইনা, শুধু আমার প্রিয় হলেই যথেষ্ট!’
থমকে রইল প্রিয়। বুক থেকে মাথা তুলে অবিশ্বাস্য দৃষ্টিতে তাকালো। তাহলে তার অসুস্থতার কথা জানে শতাব্দ?
অশ্রুভেজা দৃষ্টিতে চেয়ে রইল। নিমিষ স্বরে বলল,
‘ এখন হয়তো বাচ্চা চাইনা আপনার। পাঁচবছর, দশবছর পর একটা সময় আসবে যখন আপনার বাবা না হওয়ার আফসোস হবে। তখন আপনার সেই আফসোস আমি কি করে সহ্য করবো?’
‘তোমাকে ভালোবাসি। আমার ভালোবাসার বদলে তোমাকে সন্তান জন্ম দেওয়ার মেশিন হতে হবেনা প্রিয়। ট্রাস্ট মি সন্তান নিয়ে বিন্দুমাত্র আফসোস নেই। না কখনো হবে। তুমি আমার কাছে থাকবে, এটাই আমার জন্য যথেষ্ট।’
মন সায় দিচ্ছে প্রিয়’র। অধৈর্য্যে হয়ে বলল,
‘ আপনি আমার উপর দয়া করছেন। আপনার দয়া তলে আজীবনের জন্য দেবে যাবো!’
প্রিয়’র দুগালে হাত রেখে উঁচিয়ে ধরল শতাব্দ। দৃষ্টি ঝুকিয়ে রেখেছে প্রিয়। চোখে চোখ মেলানোর চেষ্টা করল শতাব্দ। উৎকণ্ঠা, অধৈর্য হয়ে বলল,
‘ এই প্রিয় একবার আমার দিকে তাকাও, শুধু একবার ভালোবাসি বলো! কথা দিচ্ছি বউ না, চিরকাল রানির আসনে রাখবো।’
দুই লাইনের এই কথা গুলো প্রিয়’র নাছোড়বান্দা জেদ ভেঙ্গে গুড়িয়ে দিতে যথেষ্ট ছিল। নিজেকে আর আটকে রাখতে পারল না প্রিয়। শতাব্দের বুকে ঝাপিয়ে পড়ল। আষ্টেপৃষ্টে জড়িয়ে ধরল, হাউমাউ কান্নায় ভেঙ্গে চিৎকার করে বলল,
‘ ভালোবাসি। সেই প্রথম থেকে প্রচন্ডরকম ভালোবাসি।’
শতাব্দ তার প্রাণপ্রিয়কে জড়িয়ে ধরল। চোখবুঁজে তৃপ্তির হাসি হাসল। অবশেষে তার এতবছরে অক্লান্ত সাধনা পূর্নতা পেল। তার প্রাণপ্রিয় পুরোপুরি তার হলো। এখন না আছে বিচ্ছেদ, না আছে কোন দূরত্ব। মনের আকাশের সবটা জুড়ে তার ভালোবাসা আর প্রাণপ্রিয়।
প্রিয়’র ঠোঁট জোড়া, ঠোঁটের ভাজে নিয়ে নিলো। বাঁধা দিলো না প্রিয়। না সংকোচ করল। আজ দুজন উন্মাদ প্রেমিক প্রেমিকা যেন স্বর্গ পেল। বাঁধাহীন, ভীতিহীন,সংকোচহীন পবিত্র প্রেম। মিলনের গভীর সাগরে তলিয়ে গেল। নিকষ কালো রাত। বাহিরে ঝড়বৃষ্টি। ভেতরে প্রেমময় বর্ষণ।

ভোরের আলো ফুটেছে। জানালার পর্দা না থাকায় তীর্যক আলো এসে চোখে লাগছে। কপাল কুঁচকে নিলো শতাব্দ। উপুড় হয়ে শুয়ে একহাতে ঘুমন্ত প্রিয়’কে জড়িয়ে ধরে। ঘাড়ের পেছনে মুখ ডোবালো। ঘাড়ের কাছে ঘনঘন তপ্ত শ্বাস পড়তে নড়েচড়ে উঠল প্রিয়। পিটপিট দৃষ্টিতে মেলে তাকাল। ঘুমন্ত শতাব্দ আষ্টেপৃষ্টে জড়িয়ে আছে। শরীরে নড়বার জোর নেই। খানিক চেষ্টা করে থেমে গেল প্রিয়। ঘাড় ফিরিয়ে শতাব্দের দিক তাকালো। ঘুমে তলিয়ে থাকা নিস্পাপ শিশু যেন। তাকে সারারাত জাগিয়ে এখন কুম্ভকর্ণের মত ঘুমানো হচ্ছে? চুলের আগা টেনে শতাব্দের চোখেমুখে ফেলল। সুড়সুড়িতে কেঁপে উঠল শতাব্দ। ঘুম জড়ানো কন্ঠে বলল,
‘ কি হয়েছে প্রিয়?’
দুষ্টু হাসলো প্রিয়। বলল,
‘ ছাড়ুন উঠবো।’
চোখে বুজেই শতাব্দ গম্ভীর হয়ে বলল,
‘ কেন? আবার পালানোর ফন্দি আঁটছ?’
ঠোঁট মেলে হাসলো প্রিয়। বলল,
‘ উহু, এইযে বাঁধা পড়লাম, এই বাঁধা ছেড়ে কোনদিন যাবোনা আর।কথা দিলাম!’
উত্তরে কিছু বলল না শতাব্দ। প্রিয়কে বুকে জড়িয়ে, হাতের বাঁধন আরো শক্ত করল। শতাব্দের উন্মুক্ত বুকে ধাক্কা দিলো প্রিয়। কন্ঠে আহ্লাদ জুড়ে বলল,
‘ অনেক বেলা হয়েছে উঠব। নাস্তা রেডি করব।’
‘ তুমি হলেই চলবে, নাস্তায় আর কিছু বানানোর দরকার নাই।’
লজ্জায় নুয়ে গেল প্রিয়। শতাব্দের বুকে আঘা*ত করে বলল,
‘ ঠোঁট কা*টা, বেশরম লোক। ছাড়ুন। উঠবো!’
‘ ছাড়তেই হবে? না ছাড়লে হচ্ছেনা?’
মাথা ঝাকালো প্রিয়। শতাব্দ হাত উঁচাতেই, বিছানা ছেড়ে উঠে পড়ল প্রিয়। গায়ে শতাব্দের শার্ট জড়ানো। প্রতিদিনকার অভ্যাসের মত ফোন হাতে নিলো। অমনি আয়শার নাম্বার থেকে ম্যাসেজ এলো,

আমার প্রিয় মা,

বরাবরই আমার চিঠি লিখতে পছন্দ। আশি দশকের মানুষ কিনা! তোকে চিঠি দেওয়ার সৌভাগ্য হলোনা। তাই আধুনিক যুগের পন্থাই অবলম্বন করলাম।
আমার কাছে তুই কোনদিন অপছন্দের, লজ্জার ছিলিনা প্রিয়।এই পৃথিবীতে তুই আমার শ্রেষ্ঠ পাওয়া। জানি তোর উপর অনেক অন্যা*য় করেছি। মায়ের মত আগলে রাখতে পারিনি। কিন্তু সদা তোর ভালো চেয়েছি। তুই আমার দুর্বলতা নয়। একমাত্র শক্তি, প্রাণভোমরা প্রিয়। আর আমি জানি আমার প্রাণভোমরা কেবল শতাব্দের কাছেই সুরক্ষিত। এই সমাজ আমার আপনজনের কাছে আমি মৃ*ত। তাই নতুন করে জীবিত হতে চাইনা আর। এই দেশ, সমাজের মানুষের উপর আমি বিরক্ত। এই সমাজের বি*ষাক্ত নিশ্বাসে ক্ষণে ক্ষণে ম*রতে চাইনা আবার। আমি চলে যাচ্ছি। এই দেশ, এই বিষাক্ত সমাজ ছেড়ে, অনেক দূর। একা মানে একাকীত্ব নয়। কখনো কখনো স্বাধীনতাও হয়। চিরকাল ধুকেধুকে ম*রলাম। প্রাণ খুলে বাঁচতে চাই এবার। জীবনের রঙগুলোকে উপভোগ করতে চাই। দেশবিদেশ ঘুরতে চাই। কোথায় যাচ্ছি জানাতে চাইছিনা। তবে হ্যাঁ, আমি চিরকাল তোর পাশে ছায়া হয়ে রবো। যখনি আমার প্রয়োজন পড়বে চলে আসবো। আমি জানি আমার মেয়ে বাঘিনী। সবরকম পরিস্থীতিতে নিজেকে সামলাতে প্রস্তুত। পরিশেষে একটা কথাই বলবো, তোকে ভীষণরকম ভালোবাসে শতাব্দ। ওর মত আর কেউ হয়না প্রিয়। তাকে বলিও আমি চললাম, কফির বিলটা তুলে রাখলাম। পরেরবার দেখা হলে সুদেআসলে নিয়ে নিবো। সবশেষে নিজের খেয়াল রেখো। আমার মেয়ে, আমার প্রিয়।

ইতি
তোর মা

প্রিয়’র চোখ থেকে দুফোঁটা জল গড়িয়ে পড়ল। ঠোঁটের কোণে তৃপ্তির হাসি। অস্পষ্ট আওয়াজে ‘মা’ শব্দটা বেরিয়ে এলো। আজ কোন আফসোস নেই । না আছে কোন অভিযোগ। মায়ের ভালো থাকাটাই জরুরী একান্ত।

চায়ের কাপ নিয়ে শতাব্দের পাশে বসলো প্রিয়। সূরের সোনালী রোদ এসে চোখে মুখে পড়ছে তার। ঠোঁটে ভুবন ভুলানো হাসি তার। সামনে বসে থাকা অপ্সরীর দিক মুগ্ধ হয়ে চেয়ে রইল শতাব্দ।স্মিত হেসে প্রিয়’র এলোমেলো অবাধ্য চুল গুছিয়ে দিলো। প্রিয় হাত উঁচিয়ে হাতের পিঠে চুমু এঁকে বলল,
‘ এবার চলো।’
‘ কোথায়?’
প্রিয়’র বিহ্বল আওয়াজ। শতাব্দ মৃদু হাসলো। গালে হাত ছুঁয়ে দিয়ে বলল,
‘ আমাদের বাড়ি। তোমার ফেলে আসা সংসার অপেক্ষা করছে তোমার।’

( গল্প প্রায় শেষ, তবে পরিপূর্ণ নয়। সমাপ্তি হতে আরো একটা পার্ট বাকি। এটা অন্তিম পর্বের প্রথম অংশ। পুরো পার্ট অনেক বেশি বড় যা হয়তো ফেসবুক লাইটে সাপোর্ট করবেনা। তাই দুই অংশে দেওয়া হবে। আগামীকাল আমি ব্যস্ত। পরবর্তী অংশের জন্য অপেক্ষা করুন পরশু দেওয়া হবে ইনশাআল্লাহ)

চলবে…..

ভুল ত্রুটি ক্ষমার দৃষ্টিতে দেখবেন। সবাই সবার মতামত জানাবেন।

টাইপোগ্রাফি: Maksuda Ratna আপু❤️🌺

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here