গল্পের নামঃ #বস আমার এক্স
লেখকঃ মোঃ শামীম মিয়া
পর্বঃ ০২
পিয়ন কে আটকে দেয় সেই ঘানা আর পিয়নের হাত থেকে ফাইল টা কেড়ে নেয় সে। পিয়ন অনেক জোর করে ফাইল টা আবারো তার কাছে নেয়। এতে করে ঘানা আরো বেশি রেগে যান।
ঘানাঃ কিরে এই ফাইলটা তুই নিলি কেনো আমার কাছ থেকে।
পিয়নঃ আপনি যে ফাইল খুঁজতেছেন সে ফাইল এটা নয়। সেই ফাইলের কাজ করতেছে মামুন সাহেব আর ওই ফাইল টা এখনও ম্যানেজার স্যারের কাছে যেটা দিয়ে আপনি ৪০ লক্ষ্য টাকা মেরে খেয়েছেন সেটা এখনও মামুনের কাছে যায় নাই।
ঘানাঃ মামুনের কাছে যে ফাইল টা আছে সেটা আমার কাছে দেওয়ার ব্যবস্থা কর আর ম্যাসেজারের কাছে যেটা আছে সেটাও ব্যবস্থা তুই করবি। আর যদি না করিস তাহলে তো বুঝতে পারতেছিস।
পিয়নঃ আমি তো জীবনেও দিতে পারবো না আপনি বরং একটু পর ম্যাডামের রুমে যান সেখানে মামুন আর ম্যানেজার দুজনেই ফাইল নিয়ে যাবে।
ঘানাঃ তুই কি আমাকে মারতে চাস নাকি। ওখানে আমি হাতে নাতে ধরা পরি তাই না।
পিয়নঃ ধরা পরবেন না আপনি, মামুন আর ম্যানেজারের কাছ থেকে ফাইল নিয়ে আপনি দেখবেন তারপর ম্যাম কে বলবেন সই করতে তাহলে তো হয়ে গেলো।
ঘানাঃ যদি ধরা পরে যাই তখন তো রেহাই পাবো না আমি।
পিয়নঃ আপনি নাকি তানহা ম্যাম কে পছন্দ করেন আপনার সাথে নাকি ম্যামের বিয়ে হবে আপনি তো ম্যামের আবার খালাতো ভাই। এমনিতেও আপনি এতদিন তো এভাবেই সব কিছু করে এসেছেন।
ঘানাঃ আচ্ছা যা বেটা আমি যাচ্ছি তানহার ক্যাবিনে।
পিয়নের গলা ছেড়ে দেওয়ায় এবার একটু জানে বাঁচলো সে। দ্রুত ফাইল টা নিয়ে তানহা কে দিলো পিয়ন। এরি মধ্যে ঘানা তানহার ক্যাবিনে ঢুকে পরলো। ঘানা তানহার সাথে টুকিটাকি একটু কথা বলে সময় পার করতেছে। এরি মাঝে মামুনের ফাইল টা রেডি হলে সে নিয়ে সোজা তানহার ক্যাবিনে ঢুকলো।
মামুনঃ ম্যাম ফাইল টা রেডি হয়ে গেছে আর ফাইল টা একটু দেখে নিলে খুব ভালো হতো।
ঘানাঃ দেন আমাকে দেন আমি দেখতেছি। দেখতেছেন ম্যাম অন্য একটা ফাইল নিয়ে ব্যস্ত আছে( কেড়ে নিলো)
মামুনঃ আরে কেড়ে নিলেন কেনো ম্যাম কে দেন। ম্যাম একবার দেখুন আপনি তাহলে ভালো হবে।
তানহা এবার খুব রেগে গেলো, রাগে চেয়ার থেকে উঠে মামুন কে থাপ্পড় মারতে চেয়েও মারলো না। এটা বড় প্রজেক্টের ফাইল নতুন কোম্পানি করতেছে সেটা দেখতেছে আর তার মাঝেই কি না সে।
তানহাঃ ঘানা কে দেন তিনি দেখবে৷ আর ঘানা এত করে বলার পরও কেন এত প্রশ্ন করেন শুনি? মনে রাখবেন ঘানা আমার খালাতো ভাই আর এই কোম্পানির আপনার বস সে।
মামুনঃ সরি ম্যাম তবুও একটা দেখলে ভালো হতো।
ঘানাঃ ম্যাম সব ঠিক আছে আপনি এবার সই করে দিলে হবে।
মামুনঃ ম্যাম দেখে নিতে সমস্যা কি একটু দেখে নিয়ে সই করে দিতেন।
তানহাঃ আমার দেখা লাগবে না ঘানা তো দেখেই নিয়েছে। ঘানা কোথায় সই করতে হবে দাও।( সই করে দিলো)
ঘানাঃ আরো একটা ফাইলে তো সই লাগবে ম্যাম।
তানহাঃ ম্যানেজার কে ফোন করেছি তিনি আসতেছেন একটু ওয়েট করো। আর শোন ঘানা সব কিছুর হিসাব যেনো বরাবর আর সঠিক হয়। কোম্পানি টা আমার বাবার হলেও দায়িত্ব কিন্তু তোমারও একটু আছে।
ঘানাঃ সেটা আর বলতে হয় ম্যাম নিজেই তো দেখতেছেন দিন রাত কেমন পরিশ্রম করে কাজ করি আমি এই অফিসে।
তানহাঃ এই ফাইল আপনার কাছে রাখুন কালকে সকালে সব দেখে শুনে মিল করে আমাকে দিবেন। এবার যেনো এই ফাইলটা এলোমেলো না হয় এটা কিন্তু নতুন কোম্পানির ফাইল।
মামুনঃ ঠিক আছে ম্যাম আর বলতে হবে না আমাকে
ঘানাঃ নতুন কোম্পানির মানে বুঝলাম না আমি ম্যাম।
তানহাঃ এত বুঝতে হবে না এখন সময় হলে সব বুঝতে পারবে তুমি। এবার আপনি যেতে পারেন মি.মামুন।
মামুন আর কোন না বলে তানহার দেওয়া নতুন ফাইল টা নিয়ে বের হয়ে তার ডেক্সে আসলো। এর মাঝে ম্যানেজার ফাইল নিয়ে আসলে তানহা এটাও না দেখে সই করে দেয়।
ঘানাঃ তাহলে কালকে সকালে ব্যাংকে গিয়ে টাকা তুলে সবার বেতন আর যে যে খাতে কি ব্যয় হয়েছে। আর কত প্রোডাক্ট সেল আর অবিক্রীত হয়েছে কোথায় কি হয়েছে সব দেখে নিবো আর কালকে জানাবো। আপনি এখন ব্যাংক ম্যানেজার কে ফোন করে জানালে খুব ভালো হয়।
তানহাঃ হুম আমি জানিয়ে দিতেছি এবার তুমি তোমার কাজে যাও।
ঘানা হাসতে হাসতে বের হয়ে গেলো। যাক বাবা এবারের মত বাঁচা গেছে। তানহা ম্যানেজারের সাথে কথা বলতে লাগলো। মামুন তার ডেক্সে অন্য কাজ করতে লাগলো। চাইলেও মামুন ৫ মিনিটের জন্য বিশ্রাম নিতে পারে না। কারন তানহা তার রুম থেকে সব দেখতে পায়। অন্য স্টাফের কাজও মাঝে মাঝে মামুন কে দিয়ে করিয়ে নেন তানহা। অফিস ছুটি হলে মামুন বাইরে বের হয়ে গাড়ির অপেক্ষা করতে লাগলো। এর মাঝে মিতু একটা রিক্সা চড়ে তার কাছে আসলো।
মিতুঃ মামুন সাহেব আসেন রিক্সায় উঠেন।
মামুনঃ আপনি যান আমি একটা কিছু ব্যবস্থা করে যাচ্ছি।
মিতুঃ আপনি না তখন বললেন আমার সাথে করে যাবেন। এত তারাতারি ভুলে গেলেন নাকি।
মামুনঃ মানুষ দেখলে বা অফিসের অন্য কলিগ দেখলে কি মনে করবে বলুন।
মিতুঃ যার যেটা মনে করার করুক আগে আসেন তো আপনি। এত মেয়েদের মত লজ্জা পাচ্ছেন কেনো আপনি শুনি?
মামুনঃ না মানে এই ভাবে রিক্সায় চড়ে আপনার সাথে যাবো তাই একটু নার্ভাস লাগতেছে।
মিতুঃ এমন ভাব করতেছেন জীবনে মনে হয় কখনও কোন মেয়ের সাথে রিক্সায় করে কোথাও যান নাই।
মামুনঃ আসলে সেটা কোন কথা না আমি আসলে
মিতুঃ আরে আসেন তো তখন কি আবোল তাবোল বলেই যাচ্ছেন উঠুন তো।
মামুন চার দিকে ভালো করে তাকিয়ে দেখে তারপর রিক্সায় উঠলো। মামুনের ভয় হলো ওই তানহা কে নিয়ে। যদি দেখে মিতুর সাথে রিক্সায় তাকে তাহলে আল্লাহই ভালো যানে আরো কত কথা শুনতে হয় আরো কতই বা কাজ চাপিয়ে দেয়। যখন দেখলো তানহা নেই তখন একটু শান্তি পেলো মামুন। কিন্তু মামুন কি জানে আড়াল থেকে সব দেখে ফেলেছে তানহা😁
দুজনে পাশাপাশি বসে রিক্সায় উঠে যেতে লাগলো। তানহার তো প্রচুর রাগ উঠে গেলো পারে না এখানেই মামুন কে ধরে ইচ্ছে মত থাপড়ায়।
মিতুঃ কি হলো এমন করে নড়তেছেন কেনো শুনি, ঠিক মত বসে থাকুন না( মামুনের হাতের ভিতরে হাত দিয়ে)
মামুনঃ ইয়ে মানে এভাবে কখনও কারো সাথে যাই নাই তো তাই। আপনি বরং হাত টা ছেড়ে দিয়ে বসুন না( হাত ছাড়ানোর চেষ্টা করতেছে)
মিতুঃ না হাত তো ছাড়বো না আমার এভাবেই যেতে খুব ভালো লাগতেছে।
মামুনঃ আমার তো একটুও ভালো লাগতেচে না।
মিতুঃ এত মেয়েদের মত লজ্জা কেনো শুনি। একটু ঠিকঠাক ভাবে থাকলে কি হয়। আমি কি বাঘ নাকি ভাল্লুক।
মামুনঃ আমি তো কোনদিন অপরিচিত কারো সাথে এভাবে যাইনি কখনও তাই কেমন লাগতেছে।
মিতুঃ কি বললেন আপনি আমি আপনার অপরিচিত, নামুন রিক্সা থেকে যেতে হবে না।
মামুনঃ আরে আরে রাগ করেন কেনো মিস মিতু। আমি আসলে ওভাবে বলতে চাইনি।
মিতুঃ তো শুনি কিভাবে বলতে চেয়েছেন।
মামুনঃ আপনি যেভাবে হাতের ভিতরে দিয়ে হাত ধরে আর আমার কাঁধে মাথা রেখে যাচ্ছেন এভাবে প্রেমিক প্রেমিকা আর স্বামী স্ত্রী যায়। আর আমরা তো এগুলোর কোন নাই নই।
মিতুঃ নই হতে কতক্ষণ শুনি।
মামুনঃ বুঝলাম না কি বললেন?
মিতুঃ আরে শালা তোকে যে আমি পছন্দ করি ভালোবাসি সেটা বুঝিস না। কিছুদিনের মধ্যেই তোকে বিয়ে করবো বুঝলি( মনে মনে)
মামুনঃ কি হলো চুপ করে আছেন যে আর এভাবে বিরবির করে কি বলেন।
মিতুঃ সময় হলে সব বুঝবেন এখন চুপ করে থাকুন আর যেভাবে যাচ্ছি যেতে দেন।( একটু ধমক দিয়ে বলল)
দুজনে রিক্সায় করে যে যার বাসায় চলে গেলো। মামুন ফ্রেশ হয়ে আগে খেতে বসলো। খাওয়া শেষ করে ফোন বের করে বাড়িতে ফোন দিয়ে সবার সাথে কথা বলে নিলো।
পরেরদিন মামুন ঘুম থেকে উঠে দেখে অফিসের সময় প্রায় শেষ। দ্রুত উঠে কোন রকম হাত মুখ ধুয়ে অফিস চলে আসলো। আসা মাত্র পিয়ন জানালো মামুন কে তার বস ডাকতেছে।
মামুনঃ ম্যাম আমাকে ডেকেছেন।
তানহাঃ হ্যাঁ ডেকেছি, সময় কি দেখেছেন কয়টা বাজে এখন। আপনার অফিস আসার সময় কি ১০:১৫ মিনিটে নাকি।
মামুনঃ সরি ম্যাম ঘুম থেকে উঠতে একটু দেরি হয়ে গেছে।
তানহাঃ ঘুম থেকে তো উঠতে দেরি হবে আপনার। রাস্তায় রিক্সায় উঠে প্রেম করেন নিশ্চয়ই ফোনে সারারাত গার্লফ্রেন্ডের সাথে কথা বলতে দেরি হয়েছে।
মামুনঃ না না ম্যাম ওসব আমি করি না তো, সত্যি ঘুম থেকে উঠতে দেরি হয়ে গেছে।
তানহাঃ সত্যি তো আপনি প্রেম করেন না। আপনি তো মেয়েদের সাথে টাইম পাস করেন আর তার থেকে টাকা পয়সা খান। আপনাকে তো চেনা আছে আমার আপনি কি রকম।
মামুনঃ ম্যাম আমাকে আপনি সত্যি ভুল বুঝতেছেন। আমি আসলে ওরকম কিছুই করি না আপনার কোথাও ভুল হচ্ছে।
তানহাঃ হা হা হা হাসালেন আমাকে আপনি। আমার চেয়ে এই শহরে আপনাকে কে বা বেশি চিনবে। আর আপনি কি করম সেটা আমার ভালো করেই জানা আছে।
মামুনঃ সরি ম্যাম আর কখনও দেরি করে আসবো না অফিসে।
তানহাঃ আরে সমস্যা নেই এটা তো আপনার বাপ দাদার অফিস যখন খুশি আসবে কাজ করারও দরকার নেই আবার যখন মন চাইবে চলে যাবেন।
মামুনঃ ম্যাম প্লিজ বললাম তো সরি এরকম আর হবে না।( রেগে একটু)
তানহাঃ এই এই আপনি কাকে চোখ রাঙিয়ে কথা বলেন শুনি। ভুলে যাবেন না আপনি আমি আপনার বস হই বুঝেছেন।
মামুনঃ সরি আর ভুল হবে না ম্যাম।
তানহাঃ কালকে যে ফাইল টা দিয়েছিলাম যান সেটা নিয়ে আসুন।
মামুন তো এবার চিন্তায় পরে গেলো, সে তো ভুলে ফাইল টা বাসায় রেখে এসেছে।
তানহাঃ কি হলো এভাবে দাঁড়িয়ে আছেন কেনো যান ফাইল টা নিয়ে আসুন।
মামুনঃ আসলে ম্যাম ফাইল টা বাসায় রেখে এসেছি।
তানহা তার চেয়ার থেকে উঠে এসে মামুন কে দিলো এক ধাক্কা। অমনি মামুন নিচে পরে গেলো। তানহার রাগ উঠতেছে পারেনা এক্ষুনি কানের নিচে কয়টা ধরিয়ে দেয়।
তানহাঃ আপনাকে ৩০ মিনিট সময় দিলাম, এই ৩০ মিনিটের মধ্যে যদি ফাইল টা এখানে না আসে আপনাকে সোজা থানায় পাঠাতে বাধ্য হবো আমি।
মামুনঃ ম্যাম ৩০ মিনিটে কেমন করে যাবো কেমন করে আসবো একটু সময় দেন। তাছাড়া শহরে যা যানযট সময় একটু লাগবে।
তানহাঃ বেশি কথা বলবেন না বলে দিলাম। আপনার জন্য গতকাল একটা ডিল এই কোম্পানির হয় নাই। সেম ভুল আবার আপনি করতেছেন, কনফারেন্স রুমে সবাই কিন্তু আমাদের অপেক্ষা করতেছে।
মামুনঃ আমি এক্ষুণি যাচ্ছি আর সরি ম্যাম।
মামুন আর কথা বাড়ালো, কারন সে ভালো করেই বুঝতে পেরেছে। তার কারনে কালকেও একটা ডিল হয় নাই আবার আজকেও তার কারনে আর একটা কাজের ফাইলের জন্য সবাই অপেক্ষা করতেছে। তানহা তাকে কালকেই ফাইল দেওয়ার আগেই বলেছিলো খুব জরুরি ফাইল এটা। মামুন দ্রুত নিচে গেলো, কিন্তু কোন গাড়ি বা রিক্সা পাচ্ছে না। পাবে কি করে তানহা তো আগেই সিকিউরিটি গার্ড কে বলেছে যাতে অফিসের আশেপাশে কোন গাড়ি বা রিক্সা না দাঁড়ায়। মামুন সময় নষ্ট না করে দৌড়ানো শুরু করে দিলো। দৌড়ে বাসা গিয়ে ফাইল নিয়ে আবারো দ্রুত দৌড়ে সময়ের ২ মিনিট পরে অফিসে আসলো।
তানহাঃ তবুও সময়ের চেয়ে ২ মিনিট দেরি করে এসেছেন। আগে কনফারেন্স রুম থেকে আসি আপনার ব্যবস্থা করতেছি আমি।
মামুনঃ আসলে ম্যাম রাস্তায় কোন গাড়ি পাই নাই তাই দৌড়ে গেছি দৌড়ে এসেছি( হাফাতে হাফাতে বলল)
তানহাঃ এত মিথ্যা বলতে হবে না সব বুঝি আমি। আপনি এখন স্টোর রুমে গিয়ে মালের হিসাব নিয়ে আসুন।
মামুনঃ ঠিক আছে ম্যাম যাচ্ছি আমি।
মামুন তানহার ক্যাবিন থেকে বের হয়ে স্টোর রুমে গেলো। তানহা মনে মনে হাসতে লাগলো, সামান্য দৌড়ে হাফিয়ে গেলে। আর আমি সাত টা দিন সাত টা রাত তোমার অপেক্ষা করেছিলাম মামুন। আর কালকে মিস মিতুর সাথে রিক্সায় চেপে বসে গেলে। আমাকে ঠকানোর আরো শাস্তি তোমাকে পেতে হবে। প্রতিটা দিন প্রতিটা রাত এখনও চোখের জল পরে আমার। মামুন স্টোর রুমে এসে দেখে সেখান থেকে ঘানা অনেক মাল ইতিমধ্যে সরিয়ে ফেলেছে।
মামুনঃ কি ব্যপার ঘানা সাহেব আপনি এসব মাল কোথায় নিয়ে যাচ্ছেন।
ঘানাঃ সেটা কি তোকে বলতে হবে আমার। যে কাজে এসেছিস সেই কাজ করে চলে যা।
মামুনঃ এই কাজের জন্য এসেছি। আগে বলেন আপনি এসব কোথায় নিয়ে যাচ্ছেন।
ঘানাঃ সেটা আমার ব্যপার, তোকে বলতে বাধ্য নই আমি।
মামুনঃ আমাকে বলতে বাধ্য আপনি কারন তানহা ম্যাম আমাকে এখানে পাঠিয়েছে।
ঘানাঃ এখান থেকে এখন না গেলে সমস্যা হবে তোর বলে দিলাম।
মামুনঃ দেখি কে কি সমস্যা করে আমার( মাল গুলো আটকে দিতেছে)
ঘানাঃ এই তোরা কি দেখতেছিস সালা কে একটা চরম শিক্ষা দে যাতে সালার একটা শিক্ষা হয়।
ঘানার কথা মত তার পোশা গুন্ডা গুলো মামুন কে মারতে আসলো। কিসের কি, গুন্ডা গুলো উল্টো মামুনের হাতে মার খেয়ে পালালো। মামুন এবার ঘানা কে ধরলো, ঘানা খুব ভয় পেয়ে গেলো।
ঘানাঃ দেখ মামুন আমার গায়ে হাত তুলবি না পরে কিন্তু তোর সমস্যা হবে বলে দিলাম।
মামুনঃ আগে তোকে সাইজ করবো তারপর দেখবো কে সমস্যা করে।
মামুন ঘানা কে ইচ্ছে মত ঘুষি লাত্থি চড় থাপ্পড় দিতে লাগলো। মামুনের মার খেয়ে ঘানার নাক মুখ ফেটে রক্ত বের হতে লাগলো। মামুন টানতে টানতে ঘানা কে নিয়ে অফিসের ভিতরে যেতে লাগলো, কিন্তু অফিসে গিয়ে মামুন…………….?
চলবে কি???
সবাই পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ কায়েম করি এবং খারাপ কাজ থেকে দূরে থাকি। আপনার সন্তান কে কোরআন এবং দ্বীনের শিক্ষা দিন। কোন ভুল ত্রুটি হলে ক্ষমা সুন্দর দৃষ্টিতে দেখবেন। দয়া করে কেউ গল্প কপি করে নিজের নামে চালিয়ে দিবেন না?🙏🙏🙏