গল্পের নামঃ #বস আমার এক্স
লেখকঃ মোঃ শামীম মিয়া
পর্বঃ ০৩
মামুন ঘানা কে নিয়ে অফিসে এসে দেখে সেখানে তানহা এবং তার আব্বু তার সাথে আরো কিছু লোক। ঘানার নাকে মুখে রক্ত দেখে সেখানে থাকা সবাই ভয় পেয়ে গেলো। মামুনের শরীরেও মারে চিহ্ন আছে কিন্তু সেটা শার্টের ভিতরে। ঘানাকে এভাবে টেনে নিয়ে আসাতে আর রক্তাক্ত দেখে তানহা এগিয়ে গিয়ে মামুন কে ঠাস ঠাস করে কয়েকটা থাপ্পড় লাগিয়ে দিলো। মামুন অবাক হয়ে তানহার দিকে তাকিয়ে থাকলো।
তানহাঃ আপনার সাহস কি করে হয় আমার খালাতো ভাই কে মেরে এভাবে রক্তাক্ত করার।
মামুনঃ আসলে ম্যাম এই ঘানা সাহেব স্টোর রুমের মালামাল সরিয়ে ফেলার চেষ্টা করতেছিলো।
ঘানাঃ তানহা বিশ্বাস করো আমি এরকম কিছুই করি নাই। মামুন নিজেই স্টোর রুমে এসে মালামাল সরিয়ে ফেলতে গেলে আমি বাঁধা দেই আর তারপর সে আমার এই অবস্থা করেছে।
মামুনঃ ম্যাম ওনি মিথ্যা বলতেছে।
তানহাঃ কে সত্যি বলতেছে আর কে মিথ্যা বলতেছে সেটা তো স্টোর রুমের সিসিটিভির ফুটেজ বলে দিবে। সিকিউরিটি দ্রতু সিসিটিভির ফুটেজ নিয়ে আসো এখানে।
সিকিউরিটি তানহার কথা মত নিয়ে আসলো সিসিটিভির ফুটেজ। সেখানে দেখতে পেলো মামুন যা বলেছে সব সত্যি বলেছে। তানহা এগিয়ে গিয়ে ঘানার দু গালে থাপ্পড় দিতে লাগলো।
পিয়নঃ ম্যাম এই ঘানা হতে এতেদিন কোম্পানির লস হয়েছে। তিনি এর আগেও এর থেকে বড় বড় ক্ষতি করেছে কোম্পানির( সব কিছু বলে দিলো)
তানহাঃ তাহলে এতদিন বলেন নাই কেনো আপনি আমাকে শুনি।
পিয়নঃ ঘানা তো মানুষ না সে একটা পশু। আমার পরিবার কে তার সন্ত্রাসী বাহিনী দিয়ে মেরে ফেলার হুমকি দিয়েছিলো। সেই ভয়ে আপনাকে কোন বলি নাই আমি।
তানহার আব্বুঃ তোমাকে নিজের সন্তানের মত মনে করতাম আর সেই তুমি আমাদের এত বড় ক্ষতি করলে।
ঘানাঃ খালু আমাকে মাফ করে দেন আর এরকম ভুল হবে না।
তানহার আব্বুঃ তুমি যে ভুল করে এসেছো এতদিন তার কোন ক্ষমা নেই। তোমার ভুলের কারনে অফিসে যাদের চাকরি দিতাম তাদের শর্ত জুরে দিতাম। তুমি করো ভুল আর সাজা পাবে অন্য কেউ তা হবে না আর।
তানহাঃ দেখেছো আব্বু নিজের খালার ছেলে সে আমার। সেই খালার ছেলে কিভাবে পিঠে ছুরি বসালো। কথায় আছে না সর্ষের মধ্যে ভুত সেটা আবারো প্রমাণিত হলো।
তানহার আব্বুঃ আমি থানায় ফোন দিয়েছি পুলিশ আসতেছে। তোমার সাথে তানহার বিয়ে দিতে চেয়েছিলাম। এই কোম্পানির মালিক তোমাকে বানাতে চেয়েছিলাম। আর সেই তুমি কিনা কোন কিছু না পাওয়ার আগেই চুরি করা শুরু করে দিয়েছো।
তানহাঃ আব্বু চুরি না ডাকাতি করা শুরু করেছিলো।
ঘানাঃ খালু আমাকে মাফ করে দেন এরকম ভুল আর করবো না। আমাকে দয়া করে পুলিশের হাতে তুলে দিবেন না। তানহা তোমার সাথে তো আমার বিয়ে হবে প্লিজ তুমি কিছু বলো।
তানহাঃ চুপ কর চোরের বাচ্চা চোর। কে তোকে বিয়ে করবে শুনি। তোর মত চোর কে রাস্তার মেয়েও বিয়ে করবেনা।
এর মাঝে পুলিশ এসে ঘানাকে ধরে হাতে হ্যান্ডকাফ পরালো।
ঘানাঃ প্লিজ খালু আমাকে এভাবে পুলিশে দিবেন না।
পুলিশঃ আরে তোকেই তো আমরা এতদিন খুঁজেছিলাম। এই চৌধুরী সাহেবে আত্মীয় বলে ধরি নাই। ধন্যবাদ চৌধুরী সাহেব এরকম একটা মাদক ব্যবসায়ী আর ধর্ষক আমাদের হাতে তুলে দেওয়ার জন্য।
তানহাঃ ধর্ষক( অবাক হয়ে বলল)
পুলিশঃ হ্যাঁ ম্যাডাম, কত মেয়ের জীবন যে নষ্ট করেছে আর এই শহরে তো তার মাদক ব্যবসা সবার থেকে বড়। শুধু এতদিন বেঁচে গেছে আপনার বাবার জন্য। আর আপনাদের আত্মীয় হয় বলে।
তানহার আব্বুঃ যান নিয়ে যান এখান থেকে তাকে।
ঘানাঃ খালু তানহা কাজ টা ভালো করলেন না। অনেক বড় খেসারত দিতে হবে আপনাদের কে। আর মামুন আমাকে ধরিয়ে দিয়ে হিরো মনে হচ্ছে না। একবার বের হই তখন বুঝবে এই আজিজুল ওরফরে ঘানা কি জিনিস।
পুলিশঃ আগে থানায় চল তার পর বুঝবি পুলিশ কি জিনিস।
পুলিশ ঘানাকে নিয়ে চলে গেলো। সেখানে উপস্থিত থাকা সবাই অবাক হয়ে গেলো ঘানা এত খারাপ মানুষ। তানহার বাবার বন্ধু তাকে নিয়ে কনফারেন্স রুমে গেলেন নতুন কোম্পানি কি করে চলবে কি কি করবে ইত্যাদি। তানহা এগিয়ে আসলো মামুনের কাছে।
তানহাঃ আমি আসলে সরি মামুন সাহেব। আপনার গায়ে না জেনে না শুনে হাত তোলার জন্য।
মামুনঃ ওটা কোন ব্যপার না ম্যাম আমি কিছু মনে করি নাই আর ক্ষমা চাইতেও হবে না।
তানহাঃ তুমি না থাকলে আজ কি যে ক্ষতি হতো কোম্পানির।
মামুনঃ ম্যাম এটা আমার দায়িত্ব, আমি শুধু আমার দায়িত্ব পালন করেছি। এবার তাহলে আমার ডেক্সে যাই আপনিও কনফারেন্স রুমে যান ম্যাম। এই সবাই যে যার কাজে যাও।
তানহা কে আর কোন কথা বলার সুযোগ দিলো না মামুন। সবাই যে যার ডেক্সে চলে গেলো। তানহাও কনফারেন্স রুমে গেলো তাদের নতুন যৌত ভাবে কোম্পানি যে চালু হবে সেটার আলোচনা করতে। তানহা যাওয়া মাত্র মিতু এগিয়ে আসলো মামুনের কাছে। মামুন শার্টের হাত গোছানোয় হাতে ক্ষত চিহ্ন আর কাটা চিহ্ন দেখলো।
মিতুঃ ইশ কতটা কেটে গেছে (পিয়ন কে বলে স্যাভলোন নিয়ে আনলো)
মামুনঃ আরে ছাড়েন তেমন কিছুই হয় নাই আমার। এমনি সব ঠিক হয়ে যাবে।
মিতুঃ বেশি কথা বলো না চুপ করে থাকো এমনি ঠিক হয়ে যাবে( সুন্দর করে রক্ত গুলো মুছে দিয়ে ওয়ান টাইম টেপ লাগিয়ে দিলো)
মামুনঃ আউচ ধিরে লাগতেছে তো।
মিতুঃ এখন যে বললে কিছু হয় নাই এখন ব্যথা লাগে না( কাঁদো কাঁদো ভাব) দেখি আর একটু বাকি আছে।
মামুনঃ এভাবে মন খারাপ করতেছেন কেনো আপনি। আর আজকে হঠাৎ তুমি করে যে বলতেছেন।
মিতুঃ এখন থেকে তুমিই করেই বলবো তাতে কোন আপনার সমস্যা।( কাজ করতে করতে)
মামুনঃ আচ্ছা ঠিক আছে সমস্যা নেই বলিয়েন কিন্তু এতো জোড়ে হাত চেপে কেনো করতেছেন ব্যথা লাগে তো।
মিতুঃ মারামারি করার আগে মনে ছিলো না। যার কোম্পানি সে বুঝতো তুমি কেনো ঝামেলা করতে গেলে। আর ঘানা কি বলে গেলো সেটা শুনেছেন।
মামুনঃ ওর টাইম নাই আমার কাছে ওর কথা বাদ দেন।
মিতুঃ আর আমাদের ম্যামটাও কোন শুনে না বুঝে কেমন করে কত গুলো মারলো তোমাকে। ইশ গাল দুটো ফুলে গেছে আঙুলের ছাপ স্পষ্ট দেখা যাচ্ছে।
মামুনঃ হুম হয়েছে এবার আর আপনাকে আর কোন করতে হবে না। ম্যাম এসেছে না জানি কখন আবার ডাকে আমাকে। আপনি আপনার ক্যাবিনে গিয়ে কাজ করুন।
মিতুঃ ম্যাম কে এত ভয় করো কেনো শুনি। এরপর ম্যামের মুখের উপরে কথা বলা শিখবে বুঝবে।
মামুনঃ যদি তার মুখের উপর কথা বলি তখন কি আর চাকরি থাকবে আমার।
মিতুঃ একটা যাবে আরো হাজার টা মিলবে আর তোমার চাকরি করতে হবে না আমি চালাবো( পরের কথাটা আস্তে বললো)
মামুনঃ হুম জানি হাজারো চাকরি মিলবে কিন্তু শর্ত জুড়ে দেওয়া যে আছে। শর্ত পূরণ করতে না পারলে আমার জেলও হতে পারে। দেখি কত দিন এভাবে সময় যায় আর সুদিন ফিরে আমার।
মিতুঃ হুম হয়ে গেছে তোমার এবার আমি গেলাম ডেক্সে।এক সঙ্গে লাঞ্চ করবো আজকে কিন্তু মনে থাকে যেনো।
মিতু বলেই তার নিজের ডেক্সে গেলো। মামুন অবাক হয়ে গেলো এই মিতু মামুনের সামান্য কষ্ট সহ্য করতে পারে না। আর মামুনের জন্য কত কি যে করেছে মিতু। মিতুর মত কলিগ আছে বলেই মামুন এতদিনেও এখানে থেকে চাকরি করতেছে।
ইতিমধ্যে মামুন আর মিতু কে তানহা দেখে ফেলেছে। তাই তানহা রাগে জেদে নিজের ক্যাবিনের সব কিছু ফেলে দিতছে। তানহা কিছুক্ষণ চেয়ারে বসে মাথা ঠান্ডা করে পিয়ন কে ডেকে আবারো সব কিছু ঠিক করে নিয়ে মামুন কে ডেকে পাঠালো।
মামুনঃ ম্যাম আমাকে ডেকেছেন আপনি?
তানহাঃ হ্যাঁ ডেকেছি আসেন চেয়ারে বসেন আপনি।
মামুন অবাক হয়ে গেলো কোনদিন তানহা তাকে তার ক্যাবিনে চেয়ারে বসতে বলে নাই। মামুনও আর কথা না বাড়িয়ে চেয়ারে বসলো।
তানহাঃ শার্টের হাতা টা ফোল্ডিং করেন তো দেখবো আমি।
মামুনঃ আমার তেমন কিছু হয়নি এমনি ঠিক হয়ে যাবে।
তানহাঃ আমাকে দেখাবেন কেনো, দেখানোর ঔষুধ লাগিয়ে দেওয়ার মানুষ তো আছে আপনার।
মামুনঃ কি বলছেন আপনি এসব আমি তো আপনার কথার কোন কিছু বুঝতে পারছি না।
তানহাঃ না বুঝার মত কিছুই বলি নাই আমি। মিস মিতুর স্পর্শ নিশ্চয়ই খুব আনন্দদায়ক তাই না। মিস মিতু দেখতে চাইলে দেখাবেন ঔষুধ দিতে চাইলে দিবেন যা বলবে তাই করবেন।
মামুনঃ দেখেন ম্যাডাম যা করেছে একজন ভালো কলিগ হিসাবে করেছে। এর বাইরে কিছুই না, আপনি অহেতুক বাজে মন্তব্য করবেন না।
তানহাঃ আমি তো সব সময় বাজে মন্তব্য করি। আমি তো আপনাকে আজকে থেকে চিনি না সেই ৭ বছর আগে থেকে চিনি আপনাকে। আপনি কি রকম আর কেমন তা ভালো করে জানা আছে আমার।
মামুনঃ ম্যাম কোন ফাইল বা কাজ থাকলে বলেন। আর যদি কোন কাজ না থাকে তাহলে আমি আমার ডেক্সে যেতে চাই।
তানহাঃ তা তো যাবেনই, আমার কথা তো সহ্য হবে না। বেঈমান মানুষ কি আর বুঝে ভালো কিছু ঠিক আছে যেতে পারেন আপনি।
মামুনের খুব রাগ হচ্ছে চাইলেও চাকরি টা ছাড়তে পারতেছে না। তানহারও প্রচন্ড রাগ হচ্ছে সেও চাইলেও কোন করতে পারতেছে না। মামুন ডেক্সে বসে তার কম্পিউটারে অফিসিয়াল কাজ করতে লাগলো। লাঞ্চের সময় মামুন লাঞ্চ করার জন্য অফিসের ক্যান্টিনে গেলো। আজকে তো মামুন দুপুরের খাবার আনতেও ভুলে গেছে। মামুন কে ক্যান্টিনে দেখে মিতু ডাক দিলো।
মিতুঃ কি হলো আসতেছো না কেনো আমি জানি আজকে তুমি খাবার নিয়ে আসো নাই। আসো আমি নিয়ে এসেছি একসাথে খাবো।
মামুনঃ আরে সমস্যা নেই আপনি খেয়ে নেন আমি ক্যান্টিন থেকে খেয়ে নিবো।
মিতুঃ আরে আসতে বলছি না আসো বলছি।
মামুনঃ আপনার জন্য নিয়ে আসা খাবার আমি খেলে আপনি কি খাবেন শুনি?
মিতুঃ আমি দুজনেন খাবার নিয়ে এসেছি এসে তো দেখেন।
মিতুর এত জোরাজোরিতে মামুন মিতুর বসে থাকা টেবিলে গেলো। গিয়ে দেখে সত্যি তো দুজনের খাবার নিয়ে এসেছে। তবে ভাত তরকারি নয় বিরিয়ানি নিয়ে এসেছে।
মিতুঃ কি দেখলে তো দুজনের খাবার নিয়ে এসেছি আমি।
মামুনঃ আজকে হঠাৎ দুজনের খাবার নিয়ে এসেছেন যে।
মিতুঃ তোমাকে খাওয়াবো বলে নিয়ে এসেছি আমি।
মামুনঃ যদি আজকে আমি খাবার নিয়ে আসতাম তখন কি করতেন?
মিতুঃ তখনও জোর করে হলেও আমার নিয়ে আসা খাবার খাওয়াতাম।
মামুনঃ আর আপনি দেখি বিরিয়ানি নিয়ে এসেছেন আজকে।
মিতুঃ আমি জানি তোমার বিরিয়ানি খুব পছন্দ তাই নিয়ে এসেছি। এখন আর এত বকবক করতে হবে না নাও এবার খাও।
দুজনে হাসি মুখে বিরিয়ানি খেতে লাগলো। ঠিক এই ভাবে তানহাও কতদিন যে নিজ হাতে বিরিয়ানি রান্না করে নিয়ে এসে ভার্সিতে খাইয়েছে। তাদের দুজনের খাওয়া দূরের একটা টেবিল থেকে দেখতেছে তানহা।
তানহাঃ সালা ধলা বিলাই বান্দর ইঁদুরের মামা আমাকে ঠকিয়ে আর একটা ধরেছিস। তোকে কি কম ভালোবোসেছিলাম আমি। সালা তোর বউয়ের প্রতি বছর চারটা করে জমজ বাচ্চা হবে। আমাকে কাঁদিয়ে সুখ খুজে পাবি না সালা। তোর জীবন টা বিষিয়ে তুলবো অপেক্ষা কর সারা হনুমান টা( মনে মনে বলতেছে)
মিতুঃ এই না ব্যথার ঔষুধ টা খেয়ে নাও। আর এইটা হলো ঘা শুকিয়ে যাওয়ার।( ট্যাবলেট এগিয়ে দিলো)
মামুনঃ আপনি এগুলো কোথায় থেকে আনলেন শুনি।
মিতুঃ এত প্রশ্ন করো কেনো তুমি খেতে বলছি খাও তো। এভাবে কি থাকা যায় নাকি আর ঔষুধ খেলে দ্রুত ক্ষত চিহ্ন গুলো ভালো হয়ে যাবে। আর এই যে তোমার এক সপ্তাহের জন্য ঔষুধ এসেছি নিয়মিত খাবে।
মামুনঃ আমি তো যাওয়ার সময় নিতে পারতাম আপনি কেনো আনতে গেলেন।
মিতুঃ আনিয়েছি বেশ করেছি এখন এগুলো পকেটে রেখে দাও। এবার বলো বিরিয়ানি টা কেমন হয়েছে?
মামুনঃ হেব্বি হয়েছে অনেক সুন্দর কিন্তু। আচ্ছা বিরিয়ানি টা কোন দোকান থেকে নিয়ে এসেছেন।
মিতুঃ দোকান বা রেস্টুরেন্টের নয় আমি নিজ হাতে রান্না করে নিয়ে এসেছি।
মামুনঃ সত্যি আপনার রান্নার হাত কিন্তু দুর্দান্ত খেতে ভালোই লেগেছে আমার।
মিতুঃ সমস্যা নেই আরো নিয়ে আসবো যত খুশি মন চায় খাবেন।
তানহাঃ সালা কালো বান্দর কোনদিন কি এভাবে আমার প্রসংশা করেছিলি। অন্য একটা মেয়ের সাথে লাইন মারতে ভালোই লাগে তাই না। সালা ঠকবাজ বেঈমান তোর কপালে শনি নিয়ে আসবে এই মেয়ে। তোকে শান্তি দিবে না, ঠান্ডার দিনে পানিতে রাখবে আর গরমে উনুনের উপর রাখবে তোকে সালা। আমার সরল মনটা ভেঙ্গে দিয়ে কি সুখ পাবি ভেবেছিস জীবনেও সুখ পাবি না তুই।( মনে মনে)
মামুনঃ চলেন এবার যাওয়া যাক এখানে আর না থাকি।
মিতুঃ থাকি না আর একটু এখনও তো সময় আছে অনেক। নাকি আমার সাথে কথা বলতে মন চাচ্ছে না।
তানহাঃ এই শাঁকচুন্নি অন্য ব্যবহার করা বয়ফ্রেন্ডের সাথে কিসের এত পিরিতের আলাপ তোর। যেতে চাচ্ছে যেতে দিবি তুই তাকে আটকাবি কেনো। আর সালা ইঁদুরেরর মামা ওর কথা মত বসে আছে আর কি সুন্দর হেসে হেসে কথা বলতেছে।(মনে মনে)
মামুনঃ কি বলবো বলুন তো আপনাকে।
মিতুঃ কি আর বলবেন শুনি। আচ্ছা বলেন তো বিয়ে কবে করবেন আর কেমন মেয়ে আপনার পছন্দ।
মামুনঃ বিয়ের হিসাব আপাতো নেই মনে, আগে ভাই বোন গুলোর পড়াশোনা শেষ হোক প্রতিষ্ঠিত হোক মা সুস্থ হোক তারপর।
মিতুঃ সেটা না হয় বুঝলাম কিন্তু কেমন মেয়ে পছন্দ আপনার?
মামুনঃ আমার কোন পছন্দ নেই মা বাবা যাকে বেঁচে দিবেন তাকেই বউ বানাবো। আমার কোন আর সখ ইচ্ছে কোন টাই নেই।
মিতুঃ প্রেমে করে ছ্যাঁকা খেয়েছেন নাকি( ভ্রুর কুচকে)
মামুনঃ ওই রকমই মনে করেন, তবে আমি মনে করি সব দোষ আমার আর আমার নসীবের।
মিতুঃ তা একটু বলেন না শুনি আমি সময় তো আছে।
তানহাঃ হ্যাঁ হ্যাঁ বল বল শাঁকচুন্নি টাকে বল কিভাবে আমাকে ঠকিয়েছিস সালা বান্দর। আবার বলে কি মা বাবার পছন্দের মেয়ে বিয়ে করবে। সালা কয়টা মেয়ে লাগে তোর কত মেয়ের সাথে আর এরকম রঙ তামাশা করবি ইঁদুরের মামা😁😁😁( মনে মনে)
মামুনঃ আরে ওসব বাদ দেন তো অন্য কোনদিন বলা যাবে আপনাকে। এখন চলেন যেতে হবে এখানে থাকতে মন চাচ্ছে না।
মিতুঃ আমি কি কারো বউ হওয়ার মত না মামুন সাহেব।
মামুনঃ আপনাকে যে পাবে সে সত্যি ভাগ্যবান মানুষ। এবার চলেন তো আর থাকতে মন চাচ্ছে না। কখন জানি ম্যাম আমাকে ডাকে।
কি আর করার বাধ্য হয়ে মিতু উঠে সব কিছু গুছিয়ে রাখলো। মানে টিফিন বাটি আর কি ধুয়ে পরিষ্কার করে নিলো। মামুন উঠে যেতে ধরলো অফিসের ভিতরে। মিতুও মামুনের পিছন পিছন যেতে ধরলো। কিন্তু হঠাৎ করে মামুনের সামনে…………..?
চলবে কি?
সবাই পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ কায়েম করি এবং খারাপ কাজ থেকে দূরে থাকি। আপনার সন্তান কে কোনআন এবং দ্বীনের শিক্ষা দিন। কোন ভুল ত্রুটি হয়ে থাকলে ক্ষমা সুন্দর দৃষ্টিতে দেখবেন। দয়া করে কেউ গল্প কপি করে নিজের নামে চালিয়ে দিবেন না?🙏🙏🙏