বস আমার এক্স লেখকঃ মোঃ শামীম মিয়া পর্বঃ ০৪

0
70

গল্পের নামঃ #বস আমার এক্স
লেখকঃ মোঃ শামীম মিয়া
পর্বঃ ০৪

মামুন অফিসে যেই না ঢুকতে যাবে ওমনি তার সামনে এসে পড়লো তানহা। মামুন তানহার চেহারার দিকে তাকিয়ে দেখে তার চোখ মুখ খুব লাল হয়ে আছে। মামুন কিছুই বুঝলো না তানহা কেনো এমন রেগে আছে। তানহা মামুনের হাত টেনে ধরে তার ক্যাবিনে নিয়ে গিয়ে ঠাস ঠাস করে দুটো লাগিয়ে দিলো। তানহার এমন আচরণে মামুন তো আকাশ থেকে পড়লো।

মামুনঃ আমি কি অপরাধ করেছি ম্যাম যার কারনে আমাকে থাপ্পড় মারলেন।

তানহাঃ এটা অফিস এটা প্রেম করার জায়গা নয় বুঝা গেছে। প্রেম করতে হলে পার্কে হোটেলে গিয়ে প্রেম করবেন।

মামুনঃ মুখ সামলে কথা বলবেন ম্যাম।

তানহাঃ আমি কি মুখ সামলাবো নিজের চোখেই তো দেখলাম প্রেমলিলা। আসলে আপনি কি তা আমার চেয়ে ভালো কেউ জানে না।

মামুনঃ যেখানে আমি কোন অন্যায় করি নাই সেখানে আপনি আমার গায়ে হাত তুলতে পারেন না। আর কি নিজ চোখে দেখেছেন আপনি।

তানহাঃ অন্যায় করেছেন কি না সেটা নিজের মন কে জিজ্ঞেস করে দেখেন। কেনো মিস মিতুর রান্না করা খাবার খাওয়া ঔষুধ দিলো সেগুলো খাওয়া। আমি যে তখন দেখতে চাইলাম তখন কি বলছেন। আসলে আপনার মত ছেলেকে আমার খুব ভালো করেই চেনা আছে।

মামুনঃ আপনাকে কতবার বলতে হবে মিস মিতু আমার ভালো একজন কলিগ।

তানহাঃ অফিসে তো আরো অনেক ভালো কলিগ আছে আপনার। কৈ তাদের সাথে তো এমন পিরিতি দেখি না। আমাকে একবার বোকা বানিয়েছেন আর বোকা বানানোন চেষ্টা করবেন না।

মামুনঃ আপনাকে আমি বোকা বানাই নাই, আর যা হয়েছে সব আপনার ভালোর জন্য হয়েছে।

তানহাঃ চুপ করুন আপনি আপনার কোন কথাই শুনতে চাই না আমি। এরপর যদি এসব প্রেম করার ইচ্ছে হয় আমার অফিসে না করে পার্কে গিয়ে করবেন। এবার যান গিয়ে নিজের কাজে মনোযোগ দিন।

মামুনও আর কথা বাড়ালো না কারন সে জানে এখন তানহা কে যতই বোঝানো হোক না কেনো সে বুঝবে না। তানহা প্রচুর জেদি মেয়ে একবার যা বলবে তা করেই ছাড়ে। তানহা পিয়ন কে দিয়ে মিতু কে তার ক্যাবিনে ডেকে নিলো।

তানহাঃ তো মিস মিতু অফিসের কাজ কর্ম কেমন চলছে।

মিতুঃ হ্যাঁ ম্যাম খুব ভালো ভাবে চলছে। ম্যাম হঠাৎ এই কথা যে ডেনে নিয়ে জিজ্ঞেস করলেন?

তানহাঃ অফিসের যেহেতু বস তখন তো জিজ্ঞেস করতেই পারি। আচ্ছা এবার বলেন আপনার আর মামুন সাহেবের প্রেম কেমন চলছে।

মিতুঃ কি যে বলেন না ম্যাম আপনি। আমার সাথে তার কেনো প্রেম থাকবে।

তানহাঃ প্রেম না থাকলে নিজের ডেক্স ছেড়ে উঠে এসে মামুন সাহেবের ডেক্সে বসে কথা বলেন। তার কোন হলে ঔষুধ লাগিয়ে দেওয়া আবার বাসা থেকে তার জন্য খাবার নিয়ে আসা।

মিতুঃ না ম্যাম প্রেম নেই তো আমাদের।

তানহাঃ আরে বলেন বলেন কোন সমস্যা নাই এত লজ্জা পাবার কি আছে।

মিতুঃ আসলে ম্যাম মামুন কে আমি পছন্দ করি এমন কি মনে মনে তাকে ভালোবেসে ফেলেছি কিন্তু বলতে পারি নাই।( খুব লজ্জা পেলো বলতে)

তানহাঃ আপনি মামুন সাহেব সম্পর্কে কতটুকু জানেন শুনি।

মিতুঃ অফিসে যতটুকু দেখেছি জেনেছি আমার কাছে তাকে সেরা মনে হয়েছে।

তানহাঃ হাসালেন আমাকে, তার মত ঠকবাজ আর বেঈমান দুনিয়ায় আর দুটি আছে কি না সন্দেহ। আপনাকে সাবধান করে দিলাম নিজের ভালো চাইলে তার সাথে সম্পর্ক করিয়েন না।

মিতুঃ প্রেমের মরা জলে ডোবে না ম্যাম। আপনি তাকে চিনুন জানুন আর তার সম্পর্কে যাই বলুন আমি পিছু হটছি না।

তানহাঃ শুনেন তাহলে এটা অফিস এটা প্রেমের জায়গা না নয়। এরপর যেনো অফিসে আপনাদের দুজন কে প্রেম ভালোবাসা আর ঢলাঢলি করতে না দেখি। প্রেম করার যখন এত ইচ্ছে তখন পার্কে গিয়ে প্রেম করবেন।

মিতুঃ ম্যাম এত রেগে যাচ্ছেন কেনো, মনে হচ্ছে আপনার প্রেমিক কে কেড়ে নিতেছি আমি।

তানহাঃ জবান সামলে কথা বলবেন বলে দিলাম। আমি অফিসের বস এটা যেনো মনে থাকে। আর আমার অফিসে কোন প্রেম চলবে না এটাও মাথায় রাখবেন।

মিতুঃ আপনি আপনার অফিসিয়াল কাজ বুঝে পেলে হলো। আমরা তো আর আপনার কোম্পানির কাজ বাদ দিয়ে কথা বলি না। আর একটা অফিসে একজন কলিগ আর একজন কলিগের সাথে কথা বলতেই পারে খাওয়াতেই পারে তার খোঁজ খবর রাখতে পারে।

তানহাঃ বুঝেছি আমি যা করার সব আমাকেই করতে হবে। এবার যান গিয়ে নিজের কাজ করুন আপনি।

মিতুও মন খারাপ করে চলে গেলো তার ডেক্সে। তানহা বুদ্ধি খাটিয়ে মামুনের ডেক্স আলাদা করে দিলো। যাতে অফিসে থাকাকালীন মিতু মামুনের কাছে যেতে না পারে কথাও বলতে না পারে।
নতুন কোম্পানি চালু হলে মামুনের উপর আরো দায়িত্ব চাপিয়ে দিলো তানহা। এখন চাইলেও আর নিজের ডেক্স থেকে উঠতে পারে না। এভাবে সারাদিন রাত কাজ করে চলছে মামুন। মামুন কে ব্যস্ত রেখে তানহা যেনো খুব শান্তি পেয়ে গেছে।

তানহাঃ শুনেন মামুন সাহেব সবাই কে জানিয়ে দিবেন এবার অফিসের পিকনিকের জন্য আমরা সবাই কক্সবাজার যাচ্ছি।

মামুনঃ সত্যি ম্যাম এবার আমরা সবাই কক্সবাজার যাবো।

তানহাঃ হ্যাঁ এতে এতো অবাক হওয়ার কি আছে। আর হ্যাঁ শুনেন পরশু যাবো সবাই অফিসের সব স্টাফদের কে জানিয়ে দিবেন। তারা যদি চায় তাদের বউ বাচ্চা বয়ফ্রেন্ড গার্লফ্রেন্ড ভাই বোন সাথে নিয়ে যেতে পারে। সব কিছুর ব্যয় বহন করবে আমাদের অফিস।

মামুনঃ আমি এক্ষুনি জানিয়ে দিতেছি সবাইকে ম্যাম।

তানহাঃ দাঁড়ান আরো কথা আছে এত তারাহুরো কিসের শুনি। নাকি কক্সবাজার যাবেন বলে নিজের প্রেমিকা কে জানানোর জন্য তর সইছে না( খোটা দিয়ে বলল)

মামুনঃ সরি ম্যাম আপনি বলুন।

তানহাঃ কালকে অফিস সবার ছুটি পরশু সবাই ঠিক অফিস টাইমের মধ্যেই যেনো চলে আসে। অফিস টাইম শেষ হলে বাস কারো জন্য অপেক্ষা করবে না। আর হ্যাঁ আজকে সন্ধ্যার মধ্যে এ মাসের বেতন সবার একাউন্টে ঢুকে যাবে। এবার আপনি যেতে পারেন আর সবাই কে সুন্দর করে বলে দিবেন কেমন। আর পারলে আপনার প্রেমিকা কে আগে বলিয়েন ( শেষের কথাটা একটু কটু করেই বলল)

মামুন আর কোন না বলে তানহার ক্যাবিন থেকে বের হয়ে সবাইকে পিকনিক যাওয়ার বিষয় টা জানালো। বেতন ছুটি সে-সবের কথাও জানালো, সবাই শুনে তো সেই খুশি। তানহা তার ক্যাবিন থেকে সব কিছু দেখতেছে। হঠাৎ দেখতে পেলো মিতু একেবারে মামুনের কাছাকাছি এসে দাঁড়িয়েছে। এতে তানহা প্রচুর রাগ হয়ে গেলো

মিতুঃ তোমাকে তো এখন লাঞ্চের সময়ও পাওয়া যায় না। কি এমন কাজ করেন যে লাঞ্চ করার সময় পান না।

মামুনঃ আসলে ম্যাম খুব কাজ চাপিয়ে দিয়েছে আলাদা ডেক্সে বসিয়েছে৷ সেখানেই আমাকে বসে খেতে হয় চাইলেও কোথাও যেতে পারি না।

মিতুঃ তাই বলে অফিস ছুটির পর তো দেখা করা যায় নাকি।

মামুনঃ আসলে আপনাদের ছুটি হয় সন্ধ্যা ৬ টার মধ্যে আর আমার ছুটি রাত ৯ টার সময়।

মিতুঃ আজব তো সবার ছুটি আগে আর আপনার ছুটি সবার শেষে কেনো।

মামুনঃ এর জন্য বেতন আরো বাড়িয়ে দিয়েছে। কি করবো বলেন চাকরি যখন করি তখন তো সব রুলস মেনে করতেই হবে।

মিতুঃ হুম বুঝেছি, তবে আমি এখন থেকে সময় পেলে তোমার ডেক্সে যাবো। আমারও কাজ খুব বেড়ে গেছে যানো। আচ্ছা তোমার ফোন নাম্বার টা দাও।

মামুনঃ আচ্ছা নিন ০১৭৮৫২৬****

মিতুঃ শুনো তোমার জন্য বাহিরে অপেক্ষায় থাকবো যখন তোমার ছুটি হবে তখন কিন্তু দেখা করবে।

মামুনঃ তিন ঘন্টা কেনো অপেক্ষা করবেন আমার জন্য। আর পরশু তো আমরা সবাই এক সাথে কক্সবাজার যাচ্ছি।

মিতুঃ সেই জন্য তো অপেক্ষা করবো। কক্সবাজার যাবো আর একটু মার্কেট করবো না তা কি হয় নাকি। তোমাকে সাথে নিয়ে মার্কেটে যাবো বুঝলে তুমি। ওরে বাবা ম্যাম আসতেছে আমি গেলাম।

তানহা যখন দেখলো মিতুর সাথে অনেক সময় কথা বলতেছে মামুন তখন তানহা আর তার ক্যাবিনে না থেকে বের হয়ে আসলো। আসলে তানহা প্রথমে মনে করেছে পিকনিকের কথা বলতেছে কিন্তু এতক্ষণ তো পিকনিকের কথা হবার নয় তাই তো তানহা বের হয়ে এসেছে। আর তানহা কে দেখেই মিতু তার ক্যাবিনে চলে গেছে। মামুন পিছনে ঘুরে দেখে তানহা তার পিছনে দাঁড়িয়ে আছে।

তানহাঃ তো সবাইকে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে আপনার নাকি কেউ বাকি আছে।

মামুনঃ সবাই কে জানিয়ে দিয়েছি ম্যাম।

তানহাঃ জানিয়ে দিলে এখানে কেনো এখনও দাঁড়িয়ে আছেন শুনি? আর মিস মিতুর সাথে কি এমন এতক্ষণ কথা বললেন শুনি?

মামুনঃ ওই পিকনিকের কথা বলছিলো আর কি।

তানহাঃ সবাইকে যখন বলেছিলেন তখন নিশ্চয়ই মিতুও ছিলো তিনিও শুনেছে। নাকি প্রেমিকা বলে আলাদা কিছু কথা বললেন? তা না হলে তার সাথে এত কিসের কথা হলো শুনি।

মামুনঃ আসলে ম্যাম মিস মিতু বলতেছিলো তার সাথে নাকি আমার দেখা হয় না কি করি নাকি এসব জিজ্ঞেস করলো।

তানহাঃ এই কয়েকদিন প্রেম করতে না পেরে এত উতলা হয়ে গেছেন দুজনে বাহ। এত প্রেম এত মহব্বত এত ভালোবাসা। তা এই সব তো আগে কখনও দেখি নাই আপনার মাঝে।

মামুনঃ দয়া করে ম্যাম ভুল বুঝবেন না তার সাথে আমার কোন সম্পর্ক নাই।

তানহাঃ যদি সম্পর্ক না থাকবে তাহলে তার সাথে কিসের এত আলোচনা আপনার। আপনার কি মনে থাকে না আপনি একটা অফিসে চাকরি করেন সেখানে আপনাকে কাজ করতে হয়। আপনার প্রেম করার জন্য নিশ্চয়ই অফিস আপনাকে বেতন দেয় না। আপনাকে যতটুকু বলার জন্য পাঠিয়েছি ঠিক ততটুকু বলে নিজের কাজে যাবেন এটা মাথায় থাকে না।

মামুনঃ দুঃখিত ম্যাম আমি এক্ষুণি আমার ডেক্সে যাচ্ছি।

মামুন চুপচাপ চলে গেলো তানহার আরো রাগ বেড়ে গেলো। এবার ঠিক মামুনের মত কাজ চাপিয়ে দিলো মিতুর উপরে। তানহা দেখতে চায় কেমন করে তারা দুজন কথা বলার সময় পায়। তানহা আবার তার ক্যাবিনে চলে গেলো। মিতুর আগে ছুটি হলে মিতু মামুনের জন্য বাহিরে অপেক্ষা করতে লাগলো। আজকে একটু আগেই মামুনের ছুটি হলো। মামুন বাহিরে বের হয়ে মিতু কে খুঁজতে লাগলো। পিছন থেকে মিতু মামুনের কাঁধে হাত দিলো। মামুন চমকে উঠে পিছনে তাকিয়ে দেখে মিতু হাসতেছে।

মিতুঃ তুমি দেখি খুব ভিতু আছো এরকম ব্যস্ত শহরে কি কোন ভুত পেত তোমার গায়ে হাত দিবে মনে হয়( হেসে)

মামুনঃ আসলে হঠাৎ করে হাত দিয়েছেন তো তাই একটু ভয় পেয়ে গেছি। ভয় থাকা ভালো তাহলে কারো কোন ক্ষতি হয় না।

মিতুঃ হয়েছে আর ভয় পেতে হবে না এবার চলো যাওয়া যাক।

মামুনঃ আচ্ছা চলেন কিন্তু আশেপাশে তো কোন রিক্সা দেখতেছি না।

মিতুঃ একটু অপেক্ষা করি রাস্তার পাশে কিছু একটা পেয়ে যাবো।

দুজনে মিলে রাস্তার পাশে গিয়ে দাঁড়ালো। এমন সময় তানহা গাড়ি নিয়ে তাদের সামনে হাজির। মিতু কে মামুনের সামনে দেখে তানহার প্রচন্ড রাগ হলো। মিতু কে মামুনের সাথে একটুও সহ্য করতে পারে না তানহা। তানহা গাড়ির গ্লাস নামিয়ে জিজ্ঞেস করলো।

তানহাঃ আপনারা কি বাসা যাওয়ার জন্য কোন গাড়ি খুঁতেছেন।

মিতুঃ না ম্যাম বাসা যাবো না এখন একটু দেরি হবে।

তানহাঃ বাসা যাবেন না আর দেরি হবে কেনো শুনি।

মিতুঃ পরশু তো সবাই কক্সবাজার যাবো তাই একটু মার্কেট যাওয়ার জন্য বের হয়েছি।

তানহাঃ তা মামুন সাহেব আপনিও বুঝি মার্কেট করবেন।

মামুনঃ না ম্যাম মার্কেট করবো না আমি আসলে মিস মিতুর নাকি কিছু কেনাকাটা বাকি আছে তাই আমাকে নিয়ে যাবে।

তানহাঃ তাই তো বলি মিতুর অনেক আগেই অফিস ছুটি হয়েছে এখনও কেনো অফিসের সামনে।

মিতুঃ হ্যাঁ ম্যাম এতক্ষণ মামুন সাহেবের জন্য অপেক্ষা করছিলাম। আচ্ছা ম্যাম এখন তাহলে আমরা যাই।

তানহাঃ সরি মিস মিতু আমরা না আপনাকে একাই যেতে হবে। আসলে মামুন সাহেব কে আমার সাথে অন্য একজায়গায় যেতে হবে যে।

মামুনঃ ম্যাম আমার তো অফিস ছুটি হয়েছে এখন আবার কোথায় যাবো।

মিতুঃ হ্যাঁ ম্যাম ছুটি তো তাহলে এখন আবার কোথায় যাবেন।

তানহাঃ মামুন সাহেব আপনার অফিস কয়টার সময় ছুটি হয় শুনি?

মামুনঃ ৯ টার সময় ম্যাম।

তানহাঃ তাহলে এখন কয়টা বাজে শুনি?

মামুনঃ এখন ৮ বাজে( ঘরি দেখে বলল)

তানহাঃ তার মানে আপনার এখনও কাজ বাকি আছে আপনার ছুটি হয়নি। কেনো পিয়ন আপনাকে বলে নাই আমার সাথে এক জায়গায় যেতে হবে( মিথ্যা বলল)

মামুনঃ না ম্যাম বলে নাই তো আমাকে।

তানহাঃ এখন এসে গাড়িতে বসুন আমাদের দেরি হয়ে যাচ্ছে। আর মিস মিতু আবারো সরি আমি আপনি একটু কষ্ট করে একা একা যান মার্কেটে কেমন। কি হলো দাঁড়িয়ে আছেন কেনো আসুন বসুন গাড়িতে( দর্জা খুলে দিলো)

মামুন গিয়ে সামনের সিটে বসে পড়লো। আর তানহা নিজেই গাড়ি ড্রাইভ করতে লাগলো। যখন তানহা দেখেছিলো তারা দুজন কোথাও যাবে তাই সে ড্রাইভার কে বিদায় দিয়ে নিজে গাড়ি নিয়ে মামুন আর মিতুর সামনে আসে। মিতু দাঁড়িয়ে দাঁড়িয়ে মামুন আর তানহার যাওয়া দেখতে লাগলো।

মামুনঃ ম্যাম আমরা কোথায় যাচ্ছি একটু কি জানতে পারি।

তানহাঃ যেখানে যাচ্ছি সেখানে গেলেই তো জানতে পারবেন কোথায় যাচ্ছি আমরা।

মামুনঃ কিন্তু ম্যাম আমার জানা মতে তো এদিকে কোন ফ্যাক্টরি নাই আমাদের কোম্পানির।

তানহাঃ অবশ্যই কোন ফ্যাক্টরি নাই, কিন্তু আপনার অফিস টাইম তো এখনও আছে।

মামুনঃ তবুও কি জানতে পারি না ম্যাম কোথায় যাচ্ছি আমরা? না মানে বাসায় গিয়ে বাড়িতে ফোন দিয়ে কথা বলা লাগতো।

তানহাঃ বাড়িতে কথা বলবেন ভালো কথা তা এখন ফোন দিয়ে কথা বলুন কে মানা করেছে।

মামুনঃ থাক ম্যাম পরে কথা বলে নিবো আমি।

আসলে কেমন করে সে তার বাড়িতে কথা বলবে তানহার সামনে। যে বেতন পেয়েছি তা হিসাব করে বাড়িতে পাঠাতে হবে। আবার নিজের পুরা একমাস চলার জন্য রাখা লাগবে। এসব কথা তো আর নিজের বসে সামনে বলা যায় না তাছড়া তানহা তার এক্স হয়। এসব শুনলে হয় তো তানহা ঠিক আগের মতই তার সাথে ব্যবহার করবে। হঠাৎ করে গাড়িটা এমন এক জায়গায় এসে থামলো মামুন অবাক হয়ে তানহার দিকে তাকিয়ে রইলো।

চলবে কি???

সবাই পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ কায়েম করি এবং খারাপ কাজ থেকে দুরে থাকি। আপনার সন্তানকে কোরআন এবং দ্বীনের শিক্ষা দিন। কোন ভুল ত্রুটি হলে ক্ষমা সুন্দর দৃষ্টিতে দেখবেন। দয়া করে কেউ গল্প কপি করে নিজের নামে চালিয়ে দিবেন না?🙏🙏🙏

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here