বস আমার এক্স লেখকঃ মোঃ শামীম মিয়া পর্বঃ ০৫

0
75

গল্পের নামঃ #বস আমার এক্স
লেখকঃ মোঃ শামীম মিয়া
পর্বঃ ০৫

গাড়িটা এমন জায়গায় এসে দাঁড়াবে মামুন বিশ্বাস করতে পারতেছে না। আরে এটা কোন ফ্যাক্টরি বা কোম্পানি না এটা তো বিশাল শপিং মল। মামুন গাড়ি থেকে নেমে আবারো চোখ কচলিয়ে চারদিকে ভালো করে দেখতেছে। আসলেই তো এটা একটা শপিং মল। মামুনের এমন চেহারা দেখে তানহা নিজেই বলল

তানহাঃ আপনারা একাই শুধু কক্সবাজার যাবেন নাকি, আমি বুঝি যাবো না।

মামুনঃ আপনিও তো যাবেন কিন্তু এই যাওয়ার সাথে শপিং মলের কি সম্পর্ক?

তানহাঃ কেনো পিকনিকে যাবো আর একটু শপিং করবো না আমি। শপিং করবো বলেই তো আপনাকে নিয়ে আসলাম আমি।

মামুনঃ কিন্তু আপনি যে বললেন অফিসের কাজের জন্য( অবাক হয়ে)

তানহাঃ যদি বলতাম আমার সাথে শপিং এ যেতে হবে তাহলে কি আসতেন? জানি তো আসতেন না, তাই তো মিথ্যা কথা বলে এনেছি আপনাকে।

মামুনঃ কিন্তু কথা হলো মিস মিতু কে তো সাথে আনতে পারতেন আমাকে নিয়ে আসার কি দরকার ছিলো?

তানহাঃ মিস মিতু আসলে বুঝতে পারতাম না কোনটা ভালো পোশাক কোনটা খারাপ ভালো না। আর আমি এটা খুব ভালো করে জানি মেয়েদের কাপড় ভালো মন্দ সম্পর্কে আপনার ধারণা অনেক আছে। নাকি আমি এটা মিথ্যা কথা বললাম মামুন সাহেব( একটু হাসি একটু রাগ)

মামুনঃ আচ্ছা চলুন! অহেতুক মিথ্যা বলে নিয়ে আসার কি দরকার ছিলো। বাড়িতে কথাও বলতে পারলাম না আমি। ( পরের কথা গুলো বিরবির করে বলল)

তানহাঃ আমাকে কি কোন বললেন আপনি?

মামুনঃ না ম্যাম কোন বলি নাই এবার চলুন।

তানহা একটা একটা করে দোকান ঘুরতেছে পোশাক দেখে গায়ে দিয়ে মামুন কে দেখাচ্ছে। যেটা মামুন বলতেছে ভালো সেটা নিতেছে আর যেটা ভালো বলতেছে না সেটা নিতেছে না। তানহার নিজের কেনাকাটা হলে মামুন কে নিয়ে ছেলেদের দোকানে গিয়ে মামুনের শরীরের মাপের শার্ট প্যান্ট টি-শার্ট হাত ঘরি সানগ্লাস কিনলো। সব কিছু কেনাকাটা হলে বিল পরিশোধ করে শপিং ব্যাগ নিয়ে আবারো গাড়িতে উঠলো তারা।
গাড়ি যখন মামুনের বাসার সামনে আসলো তখন তানহা মামুন কে ঐ শপিং ব্যাগ গুলো হাতে দিলো। আরে বাবা রে বুঝে না যেগুলো মামুনের শরীরের মাপে নিয়েছে বুঝেন সবাই রাগ উঠাই।

মামুনঃ ম্যাম এই ব্যাগ গুলো আমাকে দিতেছেন কেনো?

তানহাঃ কারন এই ব্যাগের ভিতরে যা আছে সব আপনার জন্য কিনেছি।।এই জন্য আপনাকে দিতেছি নিন ধরুন।

মামুনঃ মাফ করবেন ম্যাম আমি এগুলো নিতে পারবো না।

তানহাঃ কেনো নিতে পারবেন না শুনি? নাকি এর আগে কখনও নেন নাই আপনি শুনি?

মামুনঃ তখন আর এখন আকাশ জমিন পার্থক্য আমাকে ক্ষমা করে দিবেন।

তানহাঃ আমি আপনার বস হিসাবে দিতেছি নেন আপনি। এত কথা বলেন কেনো আপনি( ব্যাগ গুলো এগিয়ে দিয়ে)

মামুনঃ অফিসের বস হিসাবে আমাকে একাই দিতে পারেন না ম্যাম। আর আমি নিতেও পারবো না মাফ করে দিবেন( ব্যাগ গুলো ফেরত দিলো)

তানহাঃ অফিসের হিসাবে দিতেছি বলেই তো নিবেন। আপনি আমার কোম্পানির একমাত্র সত মানুষ তাই আপনাকেই দিতেছি।

মামুনঃ আমি নিতে পারবো না আমি গেলাম ম্যাম দয়া করে ভুল বুঝবেন না।( গাড়ি থেকে নেমে হাটা ধরলো)

তানহাঃ কেনো মামুন এর আগে কি তোমাকে শপিং করে দেই নি। কেনো মামুন এর আগে কি আমার কাছ থেকে নেও নি তুমি। নাকি তখন ভালোবাসা ছিলো বলে নিয়েছিলে? নাকি তখন আমাকে তোমার স্বার্থের জন্য ব্যবহার করেছিলে? ওহ তখন টাকা ছিলো না আমার কাছ থেকে নিয়েছিলে। এখন টাকা পয়সা হয়েছে তাই নেওয়া যাবে না( মনে মনে কেঁদে বলল)

মামুনঃ আমি তো স্বার্থপর তানহা তোমার কাছ থেকে কেমন করে নিবো। আমি যে তোমাকে ফিরিয়ে দিয়েছি আমি যে তোমার ভালোবাসার মূল্য দিতে পারি নাই। কোন মুখে তোমার দেওয়া পোশাক গুলো নিবো আমি। আমার কি সেই মুখ আছে তানহা, আমি যে তোমাকে আঘাত করেছি তোমাকে ঠকিয়েছি বেঈমানী করেছি। তানহা আমাকে পারলে তুমি ক্ষমা করে দিও( মনে মনে কেঁদে বলল)

মামুন গাড়ি থেকে নেমে যেতেই মুশুলধারে বৃষ্টি শুরু হলো।তানহা গাড়ি থেকে মামুনের যাওয়া দেখতেছে আর কাঁন্না করতেছে। এমন সময় ছাড়া নিয়ে মামুনের সামনে হাজির হলো মিতু। মিতু কে মামুনের সাথে দেখে তানহা তো জ্বলে আগুণ হয়ে গেলো। হঠাৎ মিতু ছাড়া নিয়ে মামুনের কাছে আসায় মামুন একটু চমকে গেলো।

মামুনঃ আরে আপনি এখনও বাসা যান নাই আর বৃষ্টির মাঝে আপনি যে।

মিতুঃ তোমার জন্য অপেক্ষা করতেছিলাম, হঠাৎ বৃষ্টি শুরু হলো ভাগ্যিস ছাতা নিয়ে এসেছিলাম আজকে।

মামুনঃ হুমম বুঝলাম কিন্তু এখনও কি মার্কেটে যাওয়া হয় নাই নাকি।

মিতুঃ কি করবো বলো একা একা গেলাম একা একা আসলাম। আপনার জন্য একটা শার্ট প্যান্ট কিনেছি প্লিজ না করবেন না।

মামুনঃ আরে এটার কোন দরকার ছিলো নাকি আপনি অযথা টাকা নষ্ট করতে গেলেন কেনো? দেখুন আমি এসব নিতে পারবো না।

মিতুঃ না নিলে বুঝবো তুমি আমাকে কখনও তোমার ভালো সহকর্মী মনে করো না।

মামুনঃ আপনি ভুল বুঝতেছেন, আপনার মত এত ভালো কলিগ পাওয়া ভাগ্যের ব্যপার।

মিতুঃ তাহলে প্লিজ নাও, না করবে না। আর যদি না নেও তাহলে অনেক কষ্ট পাবো মনে।।

মামুনঃ দেখেন কেমন করে নেই আমি আর মানুষ কি বলবে বলুন তো।

মিতুঃ এখানে কি কেউ দেখতেছে নাকি? তাছাড়া আমি আমার সহকর্মী কে দিতেছি এতে কার কি? পরে না হয় তুমিও আমাকে দিয়ো। আজ অনেক আশা করে নিয়েছি তোমার জন্য আর বিশ্বাস নিয়ে এসেছি।

মামুনঃ আপনার সাথে পাওয়া যাবে না দেন এবার খুশি তো আপনি।

মিতুঃ শুধু খুশি বলতেছো, মন তো চাচ্ছে জরিয়ে ধরি তোমাকে। পরশু এগুলো পরে আসবে কিন্তু মনে থাকে যেনো? ( মামুন নিলো)

মিতুর কথা শেষ না হতেই ঠাস করে মামুনের গালে একটা থাপ্পড় এসে পড়লো। মামুন তাকিয়ে দেখে থাপ্পড় টা আর কেউ না বরং তানহা তাকে মেরেছে। মিতু তো তানহার রাগি চেহারা দেখে ভয়ে শেষ। তানহা হাতের ইশারায় মিতু কে যেতে বলল। তানহার রাগ দেখে ভয়ে মিতু চলে গেলো। মামুন বোকার মত তানহার দিকে তাকিয়ে আছে। মিতু চলে যাওয়ার পর তানহা আরো তিন-চার টা থাপ্পড় মামুন কে মারলো।

মামুনঃ ম্যাম পাগল হলেন নাকি, এভাবে থাপ্পড় মারতেছেন কেনো আমাকে।

তানহাঃ মিস মিতু খেতে বললে খাওয়া যায় কোন জিনিস দিলে নেওয়া যায়। আর আমি কোন কিছু দিলে কোন কিছু জিজ্ঞেস করলে তখন উত্তর না আসে( কঠিন রেগে)

মামুনঃ আসলে ম্যাম আপনি( আর বলতে পারলো না)

তানহাঃ তোকে খুব ভালো করে চিনি আমি। কয়টা মেয়ের জীবন নষ্ট করেছিস তুই আর কত মেয়ের জীবন নষ্ট করতে চাস? ( রেগে তুই করে বলল)

মামুনঃ আপনি আমাকে ভুল বুঝতেছেন ম্যাম, আমি ওরকম না।

তানহাঃ তুই কি রকম সেটা আমার থেকে কেউ ভালো জানে না। এই যে দিলাম তোকে( শপিং ব্যাগ) যদি মন চায় এগুলো পরে আসবি পরশু আর যদি মন না চায় আগুনে জ্বালিয়ে দিস।

শপিং ব্যাগ গুলো মামুনের গায়ে রাগে ছুড়ে মারলো তানহা। ব্যাগ গুলো ছুড়ে মেরে পিছনে না তাকিয়ে গাড়িতে গিয়ে উঠে খুব জোড়ে গাড়ি চালিয়ে গেলো তানহা। মামুন বোকার মত তানহার চলে যাওয়া দেখলো। এত অল্প সময়ের মধ্যে তার সাথে কি হয়ে গেলো কিছুই বুঝতে পারলো না। এত থাপ্পড় খাওয়ার পরও মামুনের মুখে মুচকি হাসি। হাসতে হাসতে শপিং ব্যাগ গুলো তুলে নিলো।

মামুনঃ তানহা আগের মতই রাগি আর জেদি আছো। আচ্ছা তানহা আমাকে কি তুমি ভালোবেসে দিলে নাকি অপমান করে সব কিছু দিলে?( মনে মনে)

মামুন সব নিয়ে ভেজা শরীরে বাসায় ঢুকে সব রেখে গোসল করে ফ্রেশ হলো। ফ্রেশ হয়ে হালকা খেয়ে নিয়ে গা টা একটু বিছানায় হেলিয়ে দিলো। হঠাৎ মনে হলো বাড়িতে তো কথা বলা হয় নাই আর টাকাও পাঠানো হয় নাই। সাথে সাথে ফোন বের করে বাড়িতে ফোন দিলো।

মামুনঃ হ্যালো বাবা কেমন আছো তুমি? মা শাকিল সাথী কেমন আছে?

মামুনের বাবাঃ আমরা সবাই ভালো আছি তুই কেমন আছিস বাবা?

মামুনঃ আমি ভালো আছি বাবা। শাকিল আর সাথীর পড়াশোনার খবর কি? আর মা কি সুস্থ আছে বাবা?

মামুনের বাবাঃ হ্যাঁ রে তোর মা এখন প্রায় সুস্থ। এখন নিজে নিজে হাটা চলা করতে পারে একটু একটু। ডাক্তার বলেছে আর মাস দুয়েকের মধ্যে তোর মা পুরাপুরি সুস্থ হয়ে যাবে।

মামুনঃ মাকে একটু দাও না কথা বলি।

মামুনের মাঃ আমি সত্যি সুস্থ হয়ে গেছি বাবা। তোকে আর দূরে থেকে কোন কষ্ট করতে হবে না। তোর বাবা তোর জন্য সব ব্যবস্থা করে ফেলেছে।

মামুনঃ কৈ আর কষ্ট করলাম মা। আমার জন্য তো তোমরা এতদিন কষ্ট করে গেছো। আর বাবা কি ব্যবস্থা করলো আমার জন্য আবার।

মামুনের মাঃ তোর বাবা আমাদের একটা বড় জমি বিক্রি করে সব জমি বন্দক থেকে বের করেছে। এখন তোর বাবা আবারো চাষ শুরু করেছে। আর তোর জন্য বাজারে একটা বড় দোকান কিনেছে। তোর খুব ইচ্ছে নিজের একটা ব্যবসা থাকবে আর আমাদের সাথে থাকবি তুই। তাই তো তোর বাবা ঐ বড় জমিটা বিক্রি করে দিয়েছে।

মামুনঃ মা আর কত করবে আমার জন্য? আমার জন্য এত বড় জমিটা বিক্রি করে দিলে তোমরা। তোমাদের তো আরো দুটো ছেলে মেয়ে আছে তাদের জন্য কি কিছু রাখতে লাগবে না।

মামুনের বাবাঃ তোর ভাই বোনের জন্য তো তুই আছিস। তোকে যদি সব কিছু করে দেই তুইও তোর ভাই বোনের জন্য সব করতে পারবি। তাছাড়া এত বছর ধরে তো ওদের জন্য নিজের সুখ পর্যন্ত বিসর্জ্জন দিয়ে দিলি। তোর প্রতি আমাদের বিশ্বাস আছে বাবা। আর দুইটা মাস কষ্ট করে শহরে থাক তারপর একেবারে চলে আসিস।

মামুনঃ হুমম বাবা এই ইট পাথরের শহরে আর থাকতে ভালো লাগে না। এবার বাড়ি গেলে তোমার সাথেই চাষাবাদ করবো আর ব্যবসা করবো বাবা।

মামুনের মাঃ হ্যাঁ বাবা আর তোকে থাকতে হবে না তুই চলে আসিস।

মামুনঃ মা আমি টাকা পাঠিয়ে দিতেছি, তোমার ঔষুধ সাথী শাকিলের পড়াশোনার খরচ আর বাকি টাকা দিয়ে সংসার চালিয়ে নিও।

মামুনের মাঃ আচ্ছা বাবা ঠিক আছে। ঠিক মত খাওয়া করবি আমাদের কে নিয়ে আর তোকে টেনশন করতে হবে না

মামুনঃ তোমরাও ভালো থেকো মা আল্লাহ আল্লাহ করি দ্রুত একেবারে সুস্থ হয়ে যাও।

মামুন ফোন কেটে দিলো, তার বাবা মায়ের সাথে কথা বলে মনটা শান্তি পেলো। সেই যে মা অসুস্থ হওয়ার পর শহরে এসেছে এরপর ঠিকমত বাড়িতে গিয়ে মামুনের থাকা হয়ে উঠে নাই। আজকে সব শুনে মামুন একটু খুশি হলো, অবশেষে বাড়ি একেবারের জন্য সে যেতে পারবে। মামুনের জন্য আর মায়ের জন্য সব জমি বন্দক ছিলো। মামুন শহরে থেকে পড়াশোনার পাশাপাশি টিউশন করানো এরপর চাকরি উফ কত ঝামেলা গেছে তার মাথার উপর দিয়ে। এর মাঝে আবারো ফোন আসলো মিতুর

মিতুঃ কি করো এখন শার্ট প্যান্ট পড়ে দেখেছো গায়ে হয়েছে তোমার।

মামুনঃ এই তো শুয়ে আছি, আর এখনও পরে দেখি নাই কালকে জানাবো।

মিতুঃ আচ্ছা ঠিক আছে। একটা কথা জিজ্ঞেস করি উত্তর দিবে তো।

মামুনঃ হ্যা বলেন জিজ্ঞেস করবেন আপনি।

মিতুঃ আচ্ছা ম্যাম ওভাবে রেগে এসে থাপ্পড় মারলো কেনো আর কিসের ব্যাগ ছিলো ম্যামের হাতে?

মামুনঃ ওই যে তার কথা শুনি নাই মানে অফিসের কাজ আর কি তার জন্য হবে মনে হয়। ওগুলো কিসের ব্যাগ সেটা তো জানি না আমি( মিথ্যা বলল)

মিতুঃ না না আমার তো বিশ্বাস হচ্ছে না। যে রকম রেগে ছিলো আমার তো ভয়ে বুক কাঁপা শুরু হয়ে গিয়েছিলো।

মামুনঃ কি জানি কিসের এত রাগ আমার উপরে। আচ্ছা একটা কথা বলি রাগ করবেন না তো?

মিতুঃ হ্যাঁ বলো রাগ করবো কেনো।

মামুনঃ আপনি বিয়ে কবে করবেন শুনি?

মিতুঃ তুমি যেদিন বলবে সেদিন বিয়ে করবো আমি।

মামুনঃ ফাজলামো বাদ দেন আমি সিরিয়াস বলতেছি। সত্যি করে বলেন না আপনি কবে বিয়ে করবেন।

মিতুঃ তাহলে তোমাকে বিষয় টা কক্সবাজারে গিয়ে যানাই কি বলো? নাকি তোমার শুনার খুব ইচ্ছে আছে?

মামুনঃ আচ্ছা সমস্যা নাই, কক্সবাজারে গিয়ে না হয় শুনবো। এখন রাখি অনেক রাত হয়েছে আজকে একটু শান্তি মত ঘুমাই।

মামুন ফোন কেটে দিলো, কারন মিতু একবার কথা বলা শুরু করলে ফোন কাটতে চায় না। আর মিতুর বিয়ের কথা জিজ্ঞেস করার কারন হলো যাতে মিতু মামুনের সাথে একেবারে কম মিশে। কারন মামুন জানে মিতু তার সাথে থাকলে তানহা সহ্য করতে পারে না।
মিতুর ফোন কেটে নাই দিতে দেখে তানহা তাকে ফোন দিয়েছে। মামুন সাথে সাথে ফোন রিসিভ করল

তানহাঃ তা মামুন সাহেব এত তারাতারি প্রেমালাপ শেষ হলো আপনার?

মামুনঃ কার সাথে কখন প্রেমালাপ করলাম আমি! আমি তো বাসার ভিতরে একা আছি। আপনি শুধু শুধু আমাকে সন্দেহ করেন।

তানহাঃ চুপ কর বেঈমান ঠকবাজ ধোকাবাজ। আমাকে কি আগের মত বোকা মনে করিস নাকি। কেনো তুই মিতুর সাথে ফোনে কথা বললি না।(রেগে)

মামুনঃ কৈ মিতুর সাথে আমি কথা বললাম।

তানহাঃ কৈ মিতুর সাথে কথা বললাম, আরে বেঈমান আর কত মিথ্যা বলবি আমাকে। আমি সেই এক ঘন্টা থেকে তোর ফোনে কল দিয়েই যাচ্ছি আর বার বার তোর ফোন ব্যস্ত বলতেছে( রেগে)

মামুনঃ ম্যাম আমি বাড়িতে কথা বললাম আমার বাবা মায়ের সাথে। তাই হয়তো ফোন ব্যস্ত পেয়েছেন আপনি।

তানহাঃ আরে ধোকাবাজ আর কত ধোকা দিবি এত মিথ্যা বলে তুই। তোকে হারে হারে চেনা আছে আমার। তোকে যখন দিয়ে দেখি তোর ফোন ব্যস্ত তখন আমি মিতুকে ফোন করি মিতুর ফোনও ব্যস্ত।( খুব রেগে)

মামুনঃ আসলে ম্যাম বাড়িতে কথা বলে ফোন রাখার পর হঠাৎ করে মিস মিতু আমাকে ফোন করেছিলো।

তানহাঃ তাহলে এতক্ষণ যে বললি কোথায় কার সাথে কথা বললাম প্রেমালাপ করলাম। তোকে খুব ভালো করেই চেনা আছে আমার।( রেগে)

মামুনঃ দেখেন ম্যাম কারো সাথে ফোনে কথা বললে সেটা প্রেমালাপ হয় না। আর অহেতুক আমাকে এসব কথা শুনাবেন না। আমার ফোন কে ফোন দিবে কার সাথে কথা বলবো সেটা একান্ত আমার ইচ্ছে। সুতরাং না জেনে না শুনে কাউকে দোষারোপ করবেন না। আর হ্যাঁ আমি এখন অফিসিয়াল ডিউটির বাইরে সুতরাং আমার সাথে এভাবে কথা বলতে পারেন না আপনি?

বলেই ফোন কেটে দিয়ে ফোন সুইচঅফ করে দিলো। মামুনের খুব রাগ হচ্ছে কেনো যে তার আবারো তানহার সাথে দেখা হলো। মামুন তো তানহার আশা বাদ দিয়ে দিয়েছিলো। ঘুরে ফিরে আবার সেই তানহার কাছে পরে গেছে মামুন। আর কোন কিছু না ভেবে মামুন ঘুমিয়ে পড়লো।
তানহার তো আরো সেই রাগ উঠে গেলো। মামুনের এত বড় সাহস তার ফোন কেটে দিয়ে ফোন বন্ধ করে রাখলো। তানহা মনে মনে বলতেছে এর জন্য শাস্তি পেতে হবে তোকে মামুন। এভাবে পরের দিন টাও কেটে গেলো। আজকে পিকনিকে কক্সবাজার যাওয়ার দিন। সবাই যে যার মত অফিসের সামনে এসে হাজির কিন্তু……..?

চলবে কি?

সবাই পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ কায়েম করি এবং খারাপ কাজ থেকে দূরে থাকি। আপনার সন্তান কে কোরআন এবং দ্বীনের শিক্ষা দিন। কোন ভুল ত্রুটি হলে ক্ষমা সুন্দর দৃষ্টিতে দেখবেন। দয়া করে কেউ গল্প কপি করে নিজের নামে চালিয়ে দিবেন না?🙏🙏🙏

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here