অরুণিকা #লেখিকা_সামিয়া_বিনতে_হামিদ ||পর্ব-০১||

0
3663

১.
থেমে থেমে গোলাবর্ষণের শব্দ। পুরো এলাকা জুড়ে আতংক। মানুষজন দরজা-জানালা বন্ধ করে জড়োসড়ো হয়ে বসে সৃষ্টিকর্তাকে স্মরণ করছে। গোলাগুলির শব্দে কেঁপে উঠছে অরুণিকা। তার চোখগুলো বড় বড় হয়ে আছে। কানে হাত দিয়ে সে বাবার কথামতো চুপটি করে রান্নাঘরের কেবিনেটে লুকিয়ে আছে। কেবিনেটের দরজাটি ভালোভাবে বন্ধ হয় না। হালকা ফাঁকা থাকে। আর সেই ফাঁক দিয়ে অরুণিকা যতোটুকু পারছে উঁকিঝুঁকি দিচ্ছে। সে কখনোই বাবার কথার অমান্য হয় নি৷ তাই সে যতোক্ষণ বাবা বলবে না ততক্ষণ এখানেই বসে থাকবে। হঠাৎ রান্নাঘরে দৌঁড়ে প্রবেশ করার সময় মুখ থুবড়ে পড়ে গেলো অরুণিকার চাচী। সে ফাঁক দিয়ে চাচীর ক্রন্দনরত মুখটা দেখে ভয় পেয়ে গেলো। তখনই কালো মুখোশধারী একজন লোক এসে বন্ধুক তাক করলো চাচীর পিঠ বরাবর। তারপর ঠা ঠা শব্দ তুলে ঝাঁঝরা করে দিলো তার পুরো শরীর। অরুণিকা ফুঁপিয়ে উঠলো। তার বাবার কথা মনে পড়ে গেলো। বাবা বলেছিল,
“আমি না আসা পর্যন্ত তুমি একটা শব্দও করবে না। এখান থেকে বেরও হবে না।”

বাবার কথা মনে পড়তেই সে কেবিনেটে থাকা প্রেসার কুকারের হাতলটি শক্ত করে চেপে ধরলো। সময়টা যেন শেষ হচ্ছে না। বাবা আসবে বলেও আসছে না। তার খুব গরম লাগছে। গরম ভাপে তার শরীর ঘেমে যাচ্ছে। তার শ্বাস নিতেও কষ্ট হচ্ছে। সে ফাঁকা দরজাটি দিয়ে আবার বাইরে তাকালো। দেখলো বাইরে আগুন লেগেছে। রান্নাঘরের আশেপাশে সেই আগুনের ঝলকানি। অরুণিকা এবার মুখে হাত চেপে কেঁদে ফেললো। তার অভ্যাস প্রথমে ফুঁপাতে থাকবে। তারপর কেউ কাছে টেনে নিলে বা আহ্লাদ দেখালেই তার শব্দ করে কান্নাকাটি শুরু হবে। আর এরপর তার সেই কান্না থামানোর ক্ষমতা একমাত্র তার বাবারই আছে। মিনিট পাঁচেক পর কেবিনেটের দরজাটা কেউ বাইরে থেকে খুললো। অরুণিকা কেঁপে উঠলো। সামনে তার বাবা তার দিকে করুণ দৃষ্টিতে তাকিয়ে আছেন। তার কপাল ছুঁইয়ে রক্ত গড়িয়ে পড়ছে। নাক ফেঁটে গেছে। মুখে দাগ হয়ে গেছে। পুরো পাঞ্জাবীতে রক্ত মাখামাখি হয়ে আছে। বাবাকে দেখে অরুণিকা কান্না করা ভুলে গেছে। সে তার বাবাকে প্রথম এই রূপে দেখেছে। বাবা এভাবে রঙ মাখামাখি করে তার সামনে কেন বসে আছে, এটাই সে বুঝতে পারছে না। জুবাইয়ের করিম চৌধুরী মেয়ের দিকে হাত বাড়িয়ে দিলেন। তার হাতেও রক্তের দাগ। অরুণিকা বাবার হাতের দিকে তাকিয়ে বুঝলো, এবার বুঝি বাবা আদর করবে! তাই সে ঠোঁট ফুলিয়ে বাবার বুকে ঝাঁপিয়ে পড়লো। জুবাইয়ের করিম মেয়েকে নিয়ে একটা চাদর দিয়ে ঢেকে দিলেন। অরুণিকা বাবার পাঞ্জাবি আঁকড়ে ধরে আছে। গায়ে গরম ভাপ লাগছে। কিন্তু সে চোখ বন্ধ করে আছে। যতোক্ষণ সে বাবার কোলে থাকবে, তার কোনো ভয় নেই। অরুণিকা বুঝতে পারছে তার বাবার খুব কষ্ট হচ্ছে। আর বাবা এভাবে দৌঁড়াচ্ছে কেন? বিষয়টা খুব অবাক লাগছে তার।

২.

ঝোঁপের আড়ালে লুকিয়ে আছে ছ’জন মাঝবয়সী ছেলে। আজ তাদের স্কুল থেকে পিকনিকে নিয়ে গিয়েছিল। তাদের অবশ্য পিকনিকে যাওয়ার কোনো পরিকল্পনা ছিল না। কিন্তু আহনাফের নতুন নতুন জায়গা ঘুরতে যেতে খুব ভালো লাগে, আর সেই তার চাচাতো ভাই আরাফ ও বাকী বন্ধুদের জোর করেই পিকনিকে নিয়ে যায়। তারা একই স্কুলে পড়ে, সেই সুবাধে তাদের একসাথেই ওঠাবসা। আর তাদের বন্ধুত্ব গলায় গলায়।

পিকনিকের বাস নষ্ট হয়ে যাওয়ায় তারা সন্ধ্যার পরিবর্তে রাতেই বাসায় ফিরলো। গাড়ি তাদের স্কুলে নামিয়ে দিয়েছিল। সেখান থেকেই একটা গাড়ি ভাড়া করে ছ’জনই তাদের এলাকায় এসে পৌঁছালো। এলাকার বাইরে যতো বাতি আছে আজ সবই নিভানো। তারা অবাক হয়ে মেইন গেইট দিয়ে ঢুকলো। মেইন গেইটে চার জন গার্ড সবসময় বাড়িটা পাহারা দেয়। কিন্তু আজ তো কাউকেই দেখা যাচ্ছে না। তারা ধীর পায়ে ভেতরে ঢুকতেই গোলাবর্ষণের শব্দ শুনে থেমে গেলো। এরপর পাশে থাকা ঝোঁপের আড়ালে লুকিয়ে পড়লো। প্রায় আধা ঘন্টা পর বিশ-পঁচিশজন মুখোশধারী লোক তাদের বাড়ি থেকে বের হয়ে গেইট দিয়ে বেরিয়ে গেলো। সেই লোকগুলোর হাতে ধারালো অস্ত্র আর বন্ধুক। তারা ঝোঁপের আড়াল থেকে আর বের হলো না। তবে এতোটুকু বুঝে ফেলেছে তাদের সব শেষ হয়ে গেছে।

ইমন নিঃশব্দে কাঁদছে। ইভান তার ভাইয়ের কাঁধে হাত রেখে তাকে সান্ত্বনা দিয়ে বলল,
“দেখিস বাবা, মা, দাদাভাই, বড় আপু সবাই আমাদের জন্য ভেতরেই বসে আছে। হয়তো এই লোকগুলো কোনো কাজে এসেছে।”

ইমন বলল,
“কাজে এসেছে এটা তুই বলছিস, ভাই? কাজে এলে আমরা এখানে বসে আছি কেন? ভেতরে যাই চল।”

তাহমিদ ফিসফিস করে বলল,
“ভাই আল্লাহর ওয়াস্তে চুপ কর। আমার এখন হাত-পা কাঁপছে। সবাই ঠিক আছে তো!”

আরাফ সবাইকে সান্ত্বনা দিয়ে বলল,
“ভাই তোরা চিন্তা করিস না। ভেতরে কি হয়েছে আমরা জানি না। আশা করছি সব ঠিক আছে। ভাবছি রাত হয়ে গেছে, যতোক্ষণ বাসা থেকে ফোন দেবে না, আমরা এখানেই থাকবো। আর আমরা পিকনিক থেকে দেরীতে ফিরছি, একটু পর সবাই চিন্তায় পড়ে অবশ্যই ফোন দেবে।”

তূর্য বলল,
“যদি কেউ ফোন না দেয়?”

এবার আহনাফ বলল,
“না দিলে সকাল পর্যন্ত এখানেই বসে থাকবি আর কি! এটা আবার কেমন প্রশ্ন?”

আহনাফ আর ইভানের ধৈর্যশক্তি একেবারেই কম। তবুও আজ তারা দু’জন যেন ধৈর্যের উপর ধৈর্য ধরেই যাচ্ছে।

অনেকক্ষণ পর পায়ের আওয়াজ পেয়ে তারা ঝোঁপের আড়াল থেকে মুখ তুললো। এলাকায় পাঁচ হাত দূরে দূরে ল্যাম্পপোস্ট। আর সন্ধ্যার পর পরই সব জ্বালিয়ে দেওয়া হয়। অথচ আজ একটাও জ্বলছে না। তবুও রাতের আকাশে সৃষ্টিকর্তা প্রদত্ত চাঁদের আলো যেন আজ তাদের অন্ধকার থেকে বেরুনোর পথ বের করে দিচ্ছে।

আরাফ কাঁপা কন্ঠে বললো, “চাচ্চু!”

আরাফের চাচ্চু শব্দ শুনে সবাই ঝোঁপের আড়াল থেকে বের হয়ে জুবাইয়ের করিমের সামনে চলে এলো। জুবাইয়ের সাহেব প্রথমে ভয় পেয়েছিলেন, নিজের জন্য নয়, তার মেয়ের জন্য। পরক্ষণেই আরাফ আর আহনাফকে দেখে তিনি স্বস্তি পেলেন। তাদের ঝোঁপের দিকে নিয়ে গিয়ে বললেন,
“তোমরা এখানে থেকো না। আমি জানি তোমাদের মনে অনেক প্রশ্ন আছে। সব উত্তর দেবার সময় আমার কাছে নেই। শুধু একটাই কথা বলার আছে, এই দেশে থাকা তোমাদের জন্য ঝুঁকিপূর্ণ, তাই তোমরা এই দেশ ছেড়ে দেবে।”

জুবাইয়ের সাহেব পাঞ্জাবির পকেট থেকে একটা রক্তাক্ত কাগজ বের করে দিয়ে বললেন,
“এখানে সব তথ্য দেওয়া আছে। এখন আর সবাইকে বিশ্বাস করার সময় নেই। তোমরা ছ’জনের উপর সৃষ্টিকর্তার রহমত ছিল, তাই বেঁচে গেছো। আমার আরেকটা আমানত তোমাদের কাছে দিয়ে যাচ্ছি।”

জুবাইয়ের সাহেব অরুণিকাকে ঘাসের উপর নামিয়ে রাখলেন। মুখ উঠিয়ে দেখলেন, তার ক্লান্ত মেয়ে বাবার কোলেই ঘুমিয়ে পড়েছে। তিনি ঘাসের উপরই অরুণিকাকে শুইয়ে দিয়ে বললেন,
“আমাদের শত্রু আমাদের চোখের সামনেই ছিল। আমাদের সাথে প্রতারণা করেছে। তোমরাই এখন নিজেদের অভিভাবক। আর তোমাদের দায়িত্ব আমার মেয়ের অভিভাবক হওয়ার। ওকে একা ছাড়বে না। সারাজীবন ওকে আগলে রাখবে। আমার এই একটা আবদার রাখো!”

কথাটি বলে তিনি অরুণিকার কপালে চুমু খেয়ে উঠে দাঁড়ালেন। আরাফ সাথে সাথে বলে উঠলো,
“চাচ্চু, আমরা আপনাকে হাসপাতালে নিয়ে যাই?”

জুবাইয়ের সাহেব বললেন,
“আমি সেখানেই যাচ্ছি। কিন্তু একা একাই যাবো। আমি নিশ্চিত ওদের কেউ এখনো বাইরে আছে। যদি থাকে, আমাকে গুলি করে দেবে। আর যদি না থাকে আমি হয়তো হাসপাতালে পৌঁছাতে পারবো। পৌঁছে গেলেও বাঁচবো কিনা সন্দেহ। তোমরা পেছনের গেইট দিয়ে মেইন রোডে উঠবে। সেখান থেকে আমবাগান চলে যাবে। বাকীটা তোমরা বুঝে নিতে পারবে। আর এখনি বেরিয়ে যাও।”

জুবাইয়ের সাহেবের অনুমান ঠিকই হলো। মুখোশধারী চার জন লোক বাইরে দাঁড়িয়ে ছিল। তাদের ধারণা কেউ যদি বেঁচে থাকে, তাহলে কয়েক ঘন্টার মধ্যেই বাড়ি থেকে বের হবে। আর নয়তো আগুনে পুড়েই মারা যাবে। আর তারা যেভাবে সবাইকে আঘাত করে এসেছে, রক্তক্ষরণ হয়েই কয়েকঘন্টার মধ্যে মৃত্যু নিশ্চিত। তাই কেউ বেঁচে থাকলে মেইন গেইট দিয়ে বের হয়ে অবশ্যই হাসপাতালে যাওয়ার চেষ্টা করবে, আর সেই সুযোগে তাকেও মেরে ফেলা যাবে।

৩.
পর পর চারবার গুলির শব্দ ভেসে আসতেই অরুণিকা কেঁপে উঠলো। চোখ খুলে দেখলো সে এখনো কোলে আছে। চাদর দিয়ে তাকে ঢেকে রাখা হয়েছে। কিন্তু এই কোল তো তার বাবার কোল না! সে ভয় পেয়ে গেলো। আরো শক্ত করে সেই মানুষটিকে চেপে ধরলো। যদি বাবা হয়, তাহলে বুঝবে অরুণিকা ভয় পাচ্ছে। কিন্তু এই মানুষটা তো থামছে না। দৌঁড়াচ্ছে তো দৌঁড়াচ্ছেই।

পেছনের গেইটটি তালা দিয়ে বন্ধ করা। বাইরে অনেক কাঁটাতার। তবে গেইট টপকে বের হওয়ার অভ্যাস তাদের আছে। কিন্তু অরুণিকাকে নিয়ে কিভাবে গেইট দিয়ে বের হবে? ইভান, ইমন আর তূর্য গেইট টপকে সাবধানে নেমে পড়লো। অপর পাশ থেকে কাঁটাতারের কিছু অংশ সরালো। এবার তাহমিদ বলল,
“অরুকে উঠিয়ে এদিক থেকে ফেলে দেবো। ইভান আর ইমন ধরে ফেলবে।”

তূর্য বলল, “ও যদি ব্যথা পায়?”

আরাফ খুব আত্মবিশ্বাস নিয়েই বলল,
“আমি আছি তো! কিচ্ছু হবে না।”

আরাফ তার কোল থেকে অরুণিকাকে নামিয়ে দিয়ে বলল,
“আমি তোমাকে উঠিয়ে দিচ্ছি। তুমি উপর থেকে লাফ দেবে।”

অরুণিকা ফ্যালফ্যাল করে আরাফের দিকে তাকিয়ে রইলো। আর আশেপাশে তাকাতে লাগলো। কিন্তু কিছু বললো না। পাশে আহনাফকে দেখে ভয়ে তার মুখ ছোট হয়ে গেছে। আহনাফ তাকে উঠতে বসতে ভয় দেখায়। সে মনে মনে ভাবছে, আহনাফই হয়তো এসব করেছে। এটা হয়তো তাকে ভয় দেখানোর জন্য আহনাফের নতুন ফন্দি। অরুণিকার চলনবলন না দেখে আহনাফ এবার বিরক্ত হয়ে বলল,
“উঠবা তুমি, নাকি ছুঁড়ে মারবো?”

অরুণিকা আরাফের দিকে এগিয়ে গিয়ে নিজেকে আহনাফ থেকে আড়াল করে রাখলো। ইভান ওপাশ থেকে বিরক্ত হয়ে বলল,
“ভাই, প্রচন্ড ভয় লাগছে। এখন এই মেয়ের জন্য আমরা বিপদে পড়বো। ওকে তাড়াতাড়ি তুলে এদিকে আন। ওরা যদি আবার এদিকে চলে আসে?”

আরাফ এবার অরুণিকা কোলে করে গেইটের ওপারে নিয়ে এলো। ব্যথায় সে আর হাত নাড়াতে পারছে না। কাঁটাতারের কিছু অংশ তার হাতে ঢুকেছে। রক্তও বেরুচ্ছে হয়তো। কিন্তু এই মুহূর্তে এতোকিছু দেখার সময় নেই। সবাই গেইট টপকানোর পর তারগুলো গেইটের সামনে দিয়ে তূর্য ব্যাগ থেকে পানির বোতল বের করে তারের উপর ঢেলে দিলো। তূর্যকে পানি ঢালতে দেখে তাহমিদ বলল,
“এটা তার, কোনো গাছ না!”

“হ্যাঁ, আমি জানি। আরাফের হাত থেকে রক্ত পড়ছে। ওরা যদি এদিকে এসে রক্ত দেখে, ভাববে কেউ পালানোর চেষ্টা করেছে। তাই পানি ঢেলে দিলাম।”

তারা পেছন দিয়ে এসে বড় বড় গাছ পেরিয়ে সামনে যেতে লাগলো। আর পেছন থেকে তারা তাদের যার যার বাড়ির দিকে তাকিয়ে রইলো। আগুনের ধোঁয়ায় আকাশ লালচে হয়ে গেছে। অথচ কেউ আগুন নেভাতে আসে নি। পান থেকে চুন কষতেই যেখানে মিডিয়ার লোক এসে জড়ো হয়, সেই রাস্তায় একটা মানুষও নেই। তাহলে সবাই কি তাদের ভুলে গেছে? মৈত্রী গ্রুপকে নৃশংসভাবে নিশ্চিহ্ন করে দেওয়ার এতো বড়ো সাহস কার হয়েছে? আর সাধারণ মানুষ, যারা তাদের ভালোবাসতো, তারা আজ সেই ভালোবাসা কোথায় হারিয়ে ফেলেছে? তারা এতোগুলো মানুষ হত্যার প্রতিবাদ করছে না কেন?

ছ’জন পনেরো-ষোলো বছরের ছেলে আর তাদের কোলে চার বছর বয়সী অরুণিকা। তারা ছুটে যাচ্ছে অজানা গন্তব্যে। এই পৃথিবীতে বাবা-মা বা কোনো অভিভাবক ছাড়া বড় হওয়া সহজ নয়। অনেক জটিল ব্যাপার। আর সেই জটিলতার পথে পা বাড়াচ্ছে সাতটি জীবন।

চলবে–

#অরুণিকা
#লেখিকা_সামিয়া_বিনতে_হামিদ
||পর্ব-০১||

(কেমন লাগলো জানাবেন কিন্তু)

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here