ফিলোফোবিয়া ঊর্মি প্রেমা (সাজিয়ানা মুনির ) ১০.

0
439

ফিলোফোবিয়া

ঊর্মি প্রেমা (সাজিয়ানা মুনির )

১০.

( কার্টেসি ছাড়া কপি নিষেধ)

সকাল থেকে চেয়ারম্যান বাড়িতে হৈচৈ। যার আওয়াজ প্রিয়’দের বাড়িতেও আসছে। বারন্দায় গিয়ে। মাথা বের করে চেয়ারম্যান বাড়ির দিক কয়েকবার তাকাল প্রিয়। কিন্তু কারণ আবিষ্কার করতে পারলো না কোন। হতাশ হয়ে ঘরে ফিরে।সোফায় পা ঝুলিয়ে শুয়ে পড়ল। রান্নাঘর থেকে পেশার কুকারের শুঁশুঁ আওয়াজ আসছে। কাজের খালা রান্না করছে। এমনি সব সময় খালা রান্না করে। মাঝেসাঝে ব্যস্ততায় আ্টকে পড়লে কাজের খালা রান্না করে। সকাল থেকে শরীরটা ম্যাচম্যাচ করছে। তাই আজ স্কুল কামাই করেছে। এখন বাসায় শুয়ে বসে অলস সময় কাটাচ্ছে।
মাত্রই চোখ লেগেছে এমন সময় কলিং বেল বাজল।এমন সময় কে এলো? কপাল কুঁচকে বিরক্তির মুখ করে ঢোলতে ঢোলতে দরজার কাছে গেল। দরজা খুলে জুবাইদাকে মিষ্টি’র প্যাকেট হাতে দাঁড়িয়ে থাকতে দেখে। অবাক কন্ঠে জিজ্ঞেস করল,
‘ তুই এখানে! স্কুলে যাসনি?’
প্রিয়’কে ঠেলে ভিতরে ঢুকলো। টেবিলার উপর মিষ্টির প্যাকেট রেখে। হাত পা ছড়িয়ে। সোফায় আরাম করে বসলো। ক্লান্ত স্বরে বলল,
‘ হাঁপিয়ে গেছি। এক গ্লাস পানি আনতো প্রিয়।’
‘ কি এমন উদ্ধার করে এসেছিস। যে হাঁপিয়ে গেছিস।’
‘ আগে পানি আন। বলছি।’
কপাল কুঁচকে বিরবির করে পানি আনতে চলে গেল প্রিয়। জুবাইদার হাতে পানির গ্লাসটা দিতেই এক নিশ্বাসে সবটা গিলে নিলো। হাঁপানি থামল। একটু সময় নিয়ে বলল,
‘ আজ শতাব্দ ভাইয়ের মেডিকেলের রেজাল্ট এসেছে। ঢাকা মেডিকেলে চান্স পেয়েছে। সকাল থেকে বাড়িতে উৎসব চলছে। বড় আব্বা বিশ মণ মিষ্টি আনিয়েছে। খুশিতে সারা গ্রাম বিলি করছে। এসব ফেলে স্কুলে কি মন বসবে? তাই কামাই দিয়েছি আজ।’
শতাব্দের রেজাল্টের খবর শুনে মন নেচে উঠল প্রিয়’র। চোখে মুখে খুশির ঝলক। জুবাইদা খুশিতে গদগদ করে বলল,
‘ সামনের মাস থেকে ক্লাস। ভাইয়া শিফট হবে ঢাকায়। হোস্টেলে থাকবে। এরপর আমাকে পায় কে? শুধু উড়বো আর নাঁচবো।’
শতাব্দের শিফট হওয়ার কথাটা শুনে কেন জানি ভালো লাগলো না প্রিয়’র। হাসিখুশি মুখটা নিমিষেই চুপসে গেল। মলিন কন্ঠে জিজ্ঞেস করল,
‘ ঢাকায় শিফট হবে কেন? ‘
‘ প্রতিদিন এখান থেকে যাতায়াত করা অসম্ভব। তাই সেখানে হোস্টেলেই থাকবে।’
‘ মাত্র তিন- চার ঘন্টার-ই তো পথ এখান থেকে যেতে সমস্যা কোথায়!’প্রিয় ফেকাশে কন্ঠে বলল,
তীর্যক দৃষ্টিতে জুবাইদা বলল,
‘ তিন -চারঘন্টার পথ! তোর কাছে সামান্য মনে হচ্ছে প্রিয়?বছরে শুধু দুই ঈদে কেনাকাটার জন্য ঢাকা যাওয়া হয়। ওই দুইবারে আমার প্রাণ যায় যায় অবস্থা হয়। আর ডেইলি তিন- চার ঘন্টা জার্নিটাকে সামান্য বলছিস তুই। তাছাড়া এসব নিয়ে তুই এতো কেন ভাবছিস? ভাইয়াকে তোর অপছন্দ। শিফট হলে তোরই ভালো।’
চুপ করে বসে রইল প্রিয়। জুবাইদাকে কি করে বুঝাবে! তার সমস্যাটা এখন অন্য জায়গায়। আজকাল মানুষটাকে যে চোখে হারায় সে।
জুবাইদার ডাকে ভাবনাচ্ছেদ হলো প্রিয়। জুবাইদা বলল,
‘ আজ সন্ধ্যায় বাড়িতে ছোটখাটো পার্টির ব্যবস্থা করা হয়েছে। ভাইয়ার বন্ধুবান্ধবরা আসবে। ছাদে আমরা কাজিনরা খাওয়া দাওয়া গান বাজনার আয়োজন করছি। বড়মা তোকে দাওয়াত করেছে। তোকে কিন্তু আসতেই হবে!’
চুপসে থাকা মুখ নিয়ে।আমতা স্বরে বলল প্রিয়, ‘ তোদের কাজিনদের মাঝে আমি যেয়ে কি করবো?’
জুবাইদা রেগে গেল। ঝাঁঝালো গলায় বলল,
‘ তুই এমন কেন বলতো? কোথায় যেতে বললে শত তালবাহানা তোর। অতশত বুঝিনা। বড়মা যেতে বলেছে। যেতে হবে তোকে।’
মুখে কোন উত্তর দিলো না প্রিয়। বাধ্য মেয়ের মত মাথা নাড়াল শুধু।

প্রিয়’র বিছানা জুড়ে কাপড়ে ছড়িয়ে ছিটিয়ে। পড়ার মত একটাও কাপড় দেখছেনা সে। সবগুলো কাপড়ই গাঢ় রঙ্গের। গাঢ় রঙ্গ না পড়ার শতাব্দের কড়া নিষেধ। অনেক খোঁজাখুঁজির পর আলমারির ধাপে সাদা রঙ্গের জামাটা মিলল। গত বৈশাখে প্রভার সাথে মিলিয়ে মা জামাটা কিনে দিয়েছিল। রাউন্ড নেক, আর্ট সিল্কের সাদাসিধা সেলোয়ার-কামিজ। সাথে রঙিন দোপাট্টা। সাদা রঙ্গটা খুব একটা পছন্দ না বলে। ভাঁজ খোলেনি এখনো। আজ কোন উপায়ন্তর না পেয়ে এই জামাটাই পড়তে হয়েছে। চুল ছেড়ে খুব সাধারণ ভাবে সাজলো। হালকা লিপস্টিক আর কানে কুন্দনের জয়পুরি ছোট ঝুমকো ঝুলিয়ে নিলো।
বিকালের পর এই নিয়ে দুবার ডেকে গেছে জুবাইদা। খালাকে বলে ঝটপট বেরিয়ে গেল। চেয়ারম্যান বাড়িতে প্রবেশ করে হতবাক প্রিয়। চারদিকে কি সুন্দর সাজানো। হল ঘর না যেন কোন রাজমহল। ইউনিক সোনালী রঙ্গা ফার্নিচারে সাজানো। এক পাশের দেয়াল ঘেঁষে বিশাল একুরিয়াম। দেশ বিদেশি সেখানে নানা রকমের মাছ। এমন সুন্দর সুসজ্জিত বাড়ি এর আগে দেখেনি প্রিয়। দুতিন বছর আগে যখন ক্লাস সিক্সে পড়ে । মিনি নামের তার এক ক্লাসমেট ছিল। তাদের বাড়িতে এমন রাজকীয় আসবাবপত্র দেখেছিল। যদিও এতো সুন্দর কারুকাজের ছিলনা তাতে। এগুলো আরো বেশি ইউনিক আর দামী দেখাচ্ছে। এদিক সেদিক দেখছে প্রিয়। এতবড় বাড়ি!জুবাইদার ঘরটা কোন দিক?
খানিকক্ষণ এদিক সেদিক চোখ বুলিয়ে অপেক্ষা করল। কাউকে দেখতে না পেয়ে আনুমানিক একদিক হাঁটা ধরল। এমন সময় কেউ ডাকল। পিছন ফিরে তাকালো প্রিয়। ছাই রাঙ্গা বেগুনি পাড়ের শাড়িতে একজন মহিলা দাড়িয়ে।টান টান সুশ্রী চোখমুখ। উজ্জ্বল গাঁয়ের রঙ। কত হবে বয়স? ত্রিশ -বত্রিশ! ঘাবড়ে গেল প্রিয়। তড়িঘড়ি করে সালাম জানাল।

ঠোঁটে হাসি ঝুলিয়ে। অতিপরিচিত ভঙ্গিতে সালামের উত্তর দিয়ে। তিনি জিজ্ঞেস করল,
‘ কেমন আছো প্রিয়?’
প্রিয় চমকাল। মহিলাটা তার নামও জানে? কি করে? উনার সাথে এর আগে দেখা হয়েছে বলে মনে পড়েছে না তো। অতি বলিষ্ঠ স্বরে উত্তর দিলো সে,
‘ জি ভালো।আপনি..’
কথা কেটে তিনি বললেন,
‘ ভালো। আমি অভিলাষা। শাদ সমুদ্র শতাব্দের আম্মা। জুবাইদা’র বড়মা।’
প্রিয় ‘হা’ করে চেয়ে রইল। কি সুন্দর! দেখতে এখনো কত ইয়াং। প্রিয়’র মত যেইকেউ ভুল করবে। কেউ বলবেই না যে তিন ছেলের আম্মা! নামের মত ব্যক্তিত্বটাও সুন্দর আর ভারী।
তিনি আবার বললেন,
‘যতটা শুনেছি! তুমি দেখতে তার থেকে অনেক বেশি সুন্দরী আর মিষ্টি। চেহারার গড়ল কিছুটা তোমার বড় খালার মত হলেও। রঙরূপে তার থেকেও এক কাঠি উপরে।’
লাজুক হাসলো প্রিয়। এই কথাটা মাও বলে প্রায়। যে, সে কিছুটা বড় খালার মত দেখতে। আড়চোখে এদিক সেদিক তাকাচ্ছে প্রিয়। জুবাইদাকে দেখতে পাচ্ছেনা কোথায়। বাড়ি আসতে বলে মেয়েটা কোথায় চলে গেল?
প্রিয়’র বিচলিত চাহনির ভাষা বুঝতে পারল অভিলাষা বেগম। বিনয়ী সুরে বললেন,
‘ জুবাইদাকে খুঁজছ? ও ছাদে গেছে। এখনি চলে আসবে। তুমি ঘরে যেয়ে বসো।’
রান্না ঘরে থেকে আওয়াজ এলো। অভিলাষা বেগমকে ডাকছে। তিনি সেদিকে পা বাড়াতে পেছন থেকে ডাকল প্রিয়। জড়সড় কন্ঠে জিজ্ঞেস করল
‘ জুবাইদার ঘরটা কোন দিক?’
‘ ওইতো সিড়ি দিয়ে যেয়ে দোতলার সামনের ঘরটা।’
অভিলাষা বেগম চলে গেলেন। জড়সড় পায়ে সিড়ি বেয়ে উপরে উঠল প্রিয়। দোতলায় উঠে বিভ্রান্তিতে পড়ল। দুই দিকেই ঘর। কোন দিকে যাবে সে? অনেক ভেবে ডানদিকের ঘরটায় গেল। দরজা ভিড়ানো। টোকা দিবে কি? থাক! কি দরকার। ঘরে তো আর কেউ নেই।
দরজা ঠেলে ভিতরে ঢুকল প্রিয়। আবছা অন্ধকার ঘর। বাহিরে সন্ধ্যা নেমেছে। বারান্দায় মিটিমিটি জ্যোতি জ্বলছে। কাঁচের আড়াল থেকে তার আধোআধো আলো এসে ঘরে পড়ছে। সুইচবোর্ড খুঁজল । পেলনা প্রিয়। ছোট ছোট পা ফেলে ভিতর দিকে গেল। অনেক বড় ঘর। অন্য স্বাভাবিক দুই রুমের সমান প্রায়। অন্ধকারে কোনদিকে যাবে! বুঝতে পারছেনা প্রিয়। আচমকা কিছুর সাথে বেধে কার্পেটের উপর পড়ল। এমন সময়ই ওয়াশরুম থেকে কেউ বের হলো। বেড সাইডের লাইটটা জ্বালালো। ততক্ষণে তড়িঘড়ি করে উঠে দাঁড়িয়েছে প্রিয়। মাথা তুলে সামনে তাকাতেই হতভম্ব প্রিয়। তয়লা পেঁচিয়ে সামনে দাঁড়িয়ে আছে শতাব্দ। ঝটপট পা চালিয়ে। ঘর থেকে বেরিয়ে যেতে চাইল। তার পূর্বেই শতাব্দ হাত টেনে ধরল। গম্ভীর হয়ে বলল,
‘ বারান্দায় যেয়ে বসো।’
বাধ্য মেয়ের মত বারান্দার দিক পা বাড়াল প্রিয়। গুটিসুটি হয়ে চেয়ারটায় গিয়ে বসল।
মিনিট পাঁচেক পর পেইন রিলিভ স্প্রে হাতে শতাব্দ এলো। কালো টিশার্ট, অফহোয়াইট থ্রিকটার পড়েছে। আঙুল দিয়ে ভেজা চুল গুলো ব্যাকব্রাশ করতে করতে প্রিয়’র সামনের চেয়ারটায় বসল। হাত টেনে দেখতে চাইল,
‘দেখি! কোথায় লেগেছে।’
কনুইতে লেগেছে। অনেকটাই নীলাভ হয়ে আছে। রাতে হয়তো ব্যথা বড়বে। আড়চোখে তাকালো প্রিয়। অন্ধকারে মাথার উপর ঝুলতে থাকা হলদেটে আলোটা শতাব্দের মুখে পড়ছে। ফর্সা মুখশ্রীতে খোঁচা খোঁচা দাড়ি। মাত্র গোসল করে আসায় ভীষণ স্নিগ্ধ দেখাচ্ছে। সরু দৃষ্টিতে তাকালো শতাব্দ। চোখাচোখি হতেই দৃষ্টি নামিয়ে নিলো প্রিয়। আমতা আমতা করে বলল,
‘ সরি। আসলে.. জুবাইদার ঘর ভেবে ভুলে চলে এসেছি।’
‘ আমি কৈফিয়ত চেয়েছি?’
দু’দিকে মাথা ঝাকাল প্রিয়। মানে ‘না’।
‘ তাহলে! এক্সপ্লেইন করছ কেন?’
চুপ করে বসে রইল প্রিয়। ঝিরিঝিরি বাতাস বইছে। অবাধ্য কেশগুলো তিরতির করে কাঁপছে। চোখেমুখে লাগছে বারবার। নিমিষ তাকিয়ে আছে শতাব্দ। হাত বাড়িয়ে যত্ন করে কানের পিছে গুছিয়ে দিলো। আলতো স্পর্শে কেঁপে উঠল প্রিয়। অন্যরকম আবেশে বুজে নিলো চোখ। ধুকপুক করছে বুক। থরথর করে কাঁপছে হাতপা। ধীর স্বরে ডাকল শতাব্দ। উত্তর দিলো না। প্রচন্ড ঘামছে প্রিয়। আরেকটু ঝুকে এলো শতাব্দ। আঙুল দিয়ে নাকের ডগার ঘামটা মুছে দিলো। কন্ঠে আদর মিশিয়ে ডাকল। বলল,
‘ প্রিয়! আমার দিক তাকাও।’
পিটপিট দৃষ্টি মেলে তাকাল প্রিয়। গভীর দৃষ্টিতে চেয়ে আছে শতাব্দ। কি দারুণ সেই চাহনি! আচ্ছা, কিছুদিন পর সত্যি সত্যি মানুষটা দূরে চলে যাবে? যখন তখন এভাবে দেখা হবে না আর। ভেবেই বুকটা কেঁপে উঠল। অশ্রুতে ভরে এলো চোখ। ঠাহর করল শতাব্দ। নরম স্বরে জিজ্ঞেস করল,
‘ কি হয়েছে! হাত কি খুব ব্যথা করছে?’
না সূচক মাথা নাড়াল প্রিয়।
‘ তো?’
প্রিয় অশ্রুভারাক্রান্ত দৃষ্টি নিয়ে মাথা তুলে তাকালো। ছোট ঢোক গিলল। নিশ্বাস টেনে বলল,
‘ আপনি সত্যি সত্যি ঢাকায় চলে যাবেন?’
ম্লান হাসল শতাব্দ। বলল,
‘ তুমি কি চাও! থেকে যাই ?’
উত্তর দিলো না প্রিয়। নিচের দিক তাকিয়ে চুপ করে রইল। মৌনতা সম্মতির লক্ষণ।
প্রিয়’র হাত টেনে হাতে মুঠোয় নিয়ে নিলো শতাব্দ। গাঢ় করে চুমু দিলো। বৃদ্ধাঙ্গুলি দিয়ে আলতো করে হাতের পিঠ ছুঁয়ে দিতে দিতে বলল,
‘ এখনো তুমি অনেক ছোট। তোমার কোমল মন আমার ভালোবাসা, টান সহ্য করতে পারবেনা প্রিয়। তাই এখন আপাতত তোমার থেকে দূরে থাকাই শ্রেয়।’
বুঝল না কিছু। অনেকক্ষণ ধরে চোখে আটকে থাকা জলটা টপ করে প্রিয়’র গালে এসে পড়ল। বুকে অদ্ভুত এক যন্ত্রণা অনুভব করল। বিষিয়ে যাচ্ছে সব। মনে মনে বলল, শতাব্দ পালাচ্ছে! আমি কি এতোটাই অযোগ্য।
প্রিয়’র মনের কথাটা শতাব্দ বুঝল হয়তো। কোমর টেনে কাছে টানল। শক্ত করে বুকে জড়িয়ে নিলো। মাথায় আলতো হাত বুলিয়ে গভীর কন্ঠে বলল,
‘ অযোগ্য নও। তুমি আমার অতি যোগ্য। ভ*য়ানক নেশা। গভীর ঘোর।’
একটু চুপ থেকে গম্ভীর হয়ে বলল,
‘নিজেকে নিয়ন্ত্রণে আনতে হবে। তোমাকে পেতে অনেক সাধনা করতে হবে। আপাতত দূরে যাবো, নয়তো এই ভ*য়ঙ্কর প্রেম জ্বা*লিয়ে দিবে তোমায়।’
মাথা উঁচু করে সরল দৃষ্টিতে তাকালো প্রিয়। কি গভীর, নিষ্পাপ সেই চাহনি। মৃদু হাসলো শতাব্দ। কাছে টেনে গভীর চুমু এঁকে দিলো কপালে। আবেশে চোখজোড়া বুজে নিলো প্রিয়।

চলবে……

ভুল ত্রুটি ক্ষমার দৃষ্টিতে দেখবেন। সবাই সবার মতামত জানাবেন

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here