বেদনার_রঙ_নীল উনপঞ্চাশতম পর্ব

1
309

#বেদনার_রঙ_নীল
উনপঞ্চাশতম পর্ব
লিখা- Sidratul Muntaz

লোডশেডিং নিয়ে একটু আগেও সবাই অতিষ্ট ছিল৷ সেই সমস্যা আপাতত ঠিক হয়ে গেছে। বেশ কিছুক্ষণ ধরে কারেন্ট যাচ্ছে না৷ সবাই আবার মনোযোগী হলো অনুষ্ঠানে। সাউন্ড বক্সে মিউজিক চলছে। তুলি আর তন্বির একসাথে নাচার কথা ছিল। কিন্তু এই মুহূর্তে তুলিকে কোথাও পাওয়া যাচ্ছে না। রাইফা ভেবেছিল রিসবকে একটা সারপ্রাইজ দিবে। তুলি থাকলে সারপ্রাইজটা জমজমাট হতো। তন্বি অনেক খুঁজেও তুলিকে কোথাও পেল না৷ অবশেষে রাইফার কাছে এসে জানাল,” তুলিকে পাচ্ছি না।”

রাইফা ফিসফিস করে বলল,” প্রণয় কোথায়?”

” সেও তো নেই। দু’জন একসাথে গায়েব হয়ে গেছে মনে হয়। ”

রাইফা এই কথা শুনে হাসল। মনে মনে চিন্তা করল, তাদের মনমালিন্য বোধ হয় ঠিক হয়ে গেছে। নিশ্চয়ই দু’জন একসাথে কোথাও সময় কাটাচ্ছে। সেরকম হলে অযথা তাদের বিরক্ত করার মানেই হয় না।

রাইফা বলল,” তুই একাই পারফর্ম কর তন্বি। তুলিকে ডাকার দরকার নেই।”

তন্বি ভয় পেয়ে বলল,” আমি? কিন্তু আমি তো ভালো করে নাচটা শিখিওনি। আর শেষদিকে কথা ছিল আমি আর তুলি তোকে স্টেজ থেকে তুলে নিয়ে যাবো। তারপর বাকি নাচ তুই নাচবি। তুলি না এলে সেটা কিভাবে হবে?”

” অন্য একজন নাচের পার্টনার খুঁজে নে ভাই। তুলিকে এখন বিরক্ত করা যাবে না। সে ব্যস্ত আছে।”

তন্বি বেশ বিরক্ত হলো। রেগে-মেগে বলল,” তোদের ঢং আমার ভালো লাগে না। সবসময় শুধু আমাকেই ফাঁসতে হয়। ধ্যাত আমি তুলিকে ফোন করছি।”

_________

নড়াচড়া করতে পারছে না তুলি। আজমীর শক্ত বাহুবলে তাকে বন্দী করে রেখেছে। হঠাৎ মোবাইল বেজে উঠল। তুলির প্রাণপাখি যেন একটু আশার আলো খুঁজে পেল। কিন্তু মোবাইলটা সে রিসিভ করবে কি করে? আজমীর তার মাথায় বন্দুক ঠেঁকিয়ে রেখেছে। প্রণয় তুলির ফোনের আওয়াজ অনুসরণ করে বাথরুমের দরজার কাছে এসে দাঁড়ায়। আজমীর তা টের পেয়েই বলল,” ফোন সাইলেন্ট করো তুলি। দ্রুত!”

তুলি কাঁপা কাঁপা কণ্ঠে বলল,” করছি। কিন্তু প্লিজ আমাকে কিছু করবেন না। প্লিজ।”

প্রচন্ড ভয়ে তুলির হাতের আঙুলগুলো কাঁপছে। আজমীর মধুর সুরে বলল,” আমার কথা শুনলে তোমার গায়ে আঁচও লাগতে দিবো না পাখি। কিন্তু যদি অবাধ্যতা করো তাহলে ভয়ংকর বিপদ আছে।”

তুলির গলা শুকিয়ে কাঠ। দ্রুত হাতে মোবাইল সাইলেন্ট করতে নিতেই প্রণয় দরজায় আঘাত করল,” তুলি, তুমি কি ভেতরে আছো?”

ভয়ে তুলির হাত থেকে মোবাইল পড়ে গেল। আজমীরও যথেষ্ট হকচকিয়ে গেল। দরজার বাইরে প্রণয় দাঁড়িয়ে আছে। ব্যাপারটা ঘাবড়ে যাওয়ার মতোই। সে সচেতন কণ্ঠে তুলিকে বলল,” খবরদার, শব্দ করবে না। একদম চুপ।”

তুলি কোনো কথা বলল না। কিন্তু প্রণয় অবিরত দরজা ধাক্কাচ্ছে।

” তুলি, এটলিস্ট সাড়া তো দাও! আমার টেনশন হচ্ছে, প্লিজ।”

তুলির কান্না পেল। প্রণয় এতো কাছে, তবুও সে প্রণয়ের কাছে সাহায্য চাইতে পারছে না৷ হোটেলের বাথরুমগুলো একটির সাথে অন্যটি লাগানো। উপরে স্পেস থাকায় সহজেই দেয়াল টপকে ওইপাশে যাওয়া যায়। আজমীর প্রথমে ফ্লাশের উপর ভর দিয়ে তারপর সহজেই দেয়াল টপকাতে পারল। কিন্তু যাওয়ার আগে সে বলে গেল,” প্রণয়কে বিদায় করো। আর খবরদার কোনোরকম চালাকি করবে না। তাহলে দু’জনকেই মরতে হবে।”

আজমীর চলে যেতেই তুলি দ্রুত হাতে দরজা খুলে প্রণয়কে জাপটে ধরল শক্তভাবে। আকস্মিক এই ধাক্কায় প্রণয় কয়েক পা পিছিয়ে গেল। তারপর মৃদু হেসে বলল,” কি হয়েছে তুলি? একা একা বাথরুমে ভয় পাচ্ছিলে নাকি?”

তুলি কাঁদো কাঁদো কণ্ঠে উচ্চারণ করল,” প্রণয়!”

তার বুক ধুকপুক করছে। তার কণ্ঠ শুনে প্রণয় অবাক হয়ে গেল। বিচলিত গলায় জানতে চাইল,” কি হয়েছে তোমার?”

তুলি ইশারায় প্রণয়কে বোঝাতে চাইল যে পাশের বাথরুমে আজমীর আছে। কিন্তু প্রণয় বুঝতে পারল না৷ তুলির অবস্থা দেখে সে ভয় পেয়ে গেল। তুলি ফিসফিস করে বলল,” আজমীর ভাই এসেছে। আমাকে মেরে ফেলবে।”

” হোয়াট! এসব কি বলছো?”

তারপর খুব বিকট একটি শব্দ হয়। আজমীর বন্দুক দিয়ে সজোরে আঘাত করেছে প্রণয়ের মাথায়। তুলি চিৎকার দিয়ে উঠতে নিলেই পেছনে থেকে অন্যকেউ তার মুখ চেপে ধরে। প্রণয় পেছনে ঘুরে আজমীরকে দেখেই তার গলা চেপে ধরল। আজমীর হাঁটু দিয়ে আঘাত করল প্রণয়কে। প্রণয় শক্তি হারিয়ে দেয়ালে ধাক্কা খেল। আজমীর প্রণয়ের মাথার আঘাতকৃত জায়গায় বারংবার আঘাত করতে করতে প্রায় থেতলে দিল। প্রণয় অচিরেই জ্ঞান হারিয়ে ফেলে। তুলি ছটফট করে গলাকাটা মুরগির মতো। হাত-পা ছুড়তে থাকে পাগলের মতো। আজমীর তার গালে চড় মারে। তুলির চোখমুখ অন্ধকার হয়ে আসে। কিছুক্ষণ পরে সেও জ্ঞান হারিয়ে গেলে। আজমীর তার সহযোগীকে নির্দেশ দেয় তুলিকে সাবধানে বাইরে নিয়ে যেতে। আর সে নিজে প্রণয়ের দেহটা বাথরুমের হাই কমোডের উপর বসিয়ে ফ্লাশারের সাথে বেঁধে রেখে চলে যায়।

টিনা, মীরা আর অবনী দলীয় নাচে অংশগ্রহণ করে৷ তাদের নাচ শেষ হতেই চারদিকে করতালি শুরু হয়। এবার তন্বি একা নামে। তুলিকে পাওয়া যাচ্ছে না বলে তাকে একাই নাচতে হবে। এটা শুনে টিনাও এলো। সে নাচে খুব ভালো। তাদের নাচ যখন শেষ পর্যায়ে তখন রাইফাকে মঞ্চ থেকে তুলে আনা হয়। তখন মিউজিক প্লেয়ারে গান বেজে উঠল,” মেরি সাইয়্যা সুপারস্টার।”

রাইফা এই গানে এমনভাবে নাচতে লাগল যেন তার অনেকদিনের অনুশীলন। একটা সানগ্লাসও কেনা হয়েছিল এই নাচের জন্য৷ কিন্তু সানগ্লাসটা তুলির ব্যাগে আছে। টিনা তার নিজের সানগ্লাস বের করে রাইফাকে দিল। প্রত্যেকে মুগ্ধ হয়ে বিয়ের কনের নাচ দেখছে। রাইফা খুশিমনে উজাড় হয়ে নাচছে। নিজের বিয়েতে কোনো বউকে এতো খুশি আগে কেউ দেখেনি যেন। নাচের এক পর্যায় রাইফা সানগ্লাস নামিয়ে রিসবকে চোখ মারল। রিসব লজ্জা পেয়ে গেল। বিয়েতে জামাই কম লজ্জা পায়। কিন্তু রাইফার মতো বউ যাদের থাকবে সেই হতভাগাদের মিনিটে মিনিটে লজ্জা পেতে হবে।

_______
খাওয়া-দাওয়ার সময়ও প্রণয় আর তুলির কোনো হদিশ পাওয়া গেল না। মিষ্টি অনবরত প্রণয়ের নাম্বারে ফোন করছে। কিন্তু মোবাইলটা বন্ধ। এইরকম করলে দুশ্চিন্তা হওয়াই স্বাভাবিক। রাইফা যখন রিসবের সাথে টেবিলে খেতে বসেছে তখন মিষ্টি তার কাছে এসে চিন্তিত স্বরে বলল,” প্রণয় আর তুলিকে কোথাও পাওয়া যাচ্ছে রাইফা। তুমি কি ওদের ব্যাপারে কিছু জানো?”

রাইফা মৃদু হেসে বলল,” চিন্তা কোরো না আপু৷ ওরা নিশ্চয়ই আলাদা কোথাও টাইম স্পেন্ড করছে। ওদের মধ্যে সব ঠিক হয়ে গেছে তো!”

মিষ্টি এই কথা শুনে খুশি হলো। উৎসাহী কণ্ঠে বলল,” তাই নাকি? ঝগড়া সেরে গেছে? তাহলে তো ওদের ডিস্টার্ব না করাই ভালো। ”

” হ্যাঁ আমিও তাই বলি।”

বিয়ের অনুষ্ঠান শেষ পর্যায়। বিদায় পর্ব শেষ করে গাড়িতে উঠল সবাই। এর মাঝে অজান্তা জিজ্ঞেস করলেন,” মিষ্টি, প্রণয় আর তুলি কোথায়?”

মিষ্টি হাসিমুখে বলল,” তারা হয়তো কোথাও ঘুরতে গেছে। অনুষ্ঠানের শুরু থেকেই তাদের খবর নেই।”

চিন্তার রেখা ফুটে উঠল অজান্তার কপালে। কেন যেন মন শান্ত হচ্ছে না। তিনি প্রণয়কে ফোন করতে লাগলেন। কিন্তু প্রণয়ের মোবাইল বন্ধ। তুলির ক্ষেত্রেও এক অবস্থা। তারা যদি আসলেই একসাথে কোথাও গিয়ে থাকে তাহলে অবশ্যই জানিয়ে যাওয়া উচিৎ। তাছাড়া মোবাইল বন্ধ রাখার ব্যাপারটাও কেমন! ছেলে-মেয়েগুলোর কি কখনও আক্কেল-জ্ঞান হবে না?

__________
” রাইফা, আমি কখন থেকে তোমার প্রেমে পড়েছি সেটা কি তুমি জানো?”

বাসর ঘরে ঢুকেই সবার আগে এই প্রশ্নটি করে রিসব। রাইফা মিষ্টি হেসে বলল,” না জানি না। কবে?”

রিসব দেয়ালের সাথে পিঠ ঠেঁকায়। হাত ভাঁজ করে ভাবুক স্বরে জবাব দেয়,” যেদিন প্রথম আমি চলে যাওয়ার সময় তুমি কাঁদতে কাঁদতে এই বাড়িতে ছুটে এসেছিলে তখন তোমার চোখে, কণ্ঠে, মুখে এমন একটা টান ছিল যেটা আমি ইগনোর করতে পারিনি। তুমি চলে যাওয়ার পর হয়তো এজন্যই তোমার ফেলে যাওয়া ওরনা আলমারিতে তুলে রেখেছিলাম।”

রাইফা একটু অভিমানের স্বরে বলল,” আহারে, এতো মায়া লেগেছিল আপনার? তবুও রুড বিহেভ করলেন কেন?”

রিসব বিছানায় বসতে বসতে দীর্ঘ নিশ্বাস ছেড়ে বলল, ” কারণ আমি তখনও নিজের মনের কথা বুঝতে পারিনি। আমি তোমার প্রেমে তখনি পড়েছিলাম৷ কিন্তু রিয়েলাইজ করেছিলাম। অনেক পরে। কবে জানো?”

রাইফা লাজুক মুখে হাসল। আগ্রহী হয়ে বলল,” কবে?”

” যেদিন তুমি কাঁদতে কাঁদতে কফিশপ থেকে বের হয়ে গেলে! সেদিন থেকে আর এক মুহূর্তের জন্যেও কিন্তু তোমাকে ভুলতে পারিনি। তোমার বড় বড় চোখ আমাকে খুব জ্বালাতো।”

রাইফার শ্যামলা মুখ আরক্ত হলো। চোখের দৃষ্টি নত করে আবদার করে বসল একটা,” একটা কথা বললে রাখবেন?”

” এখন থেকে তোমার সব কথা রাখবো।”

রাইফা এবার উতলা কণ্ঠে বলল,” তাহলে কথা দিন যে আপনি কখনও যাবেন না।”

এই কথা বলেই সে হাত চেপে ধরল রিসবের। যেন এখনি রিসব পালিয়ে যাচ্ছে। রিসব সামান্য হেসে জিজ্ঞেস করল,” কোথায়?”

“পাহাড়ে ।”

রিসব একটু চমকে গেল। তারপর রাইফার হাত ছাড়িয়ে অন্যদিকে ঘুরে হতাশ গলায় বলল,” পাহাড় তো আমার প্রথম স্ত্রী। তার কাছে যেতেই হবে।”

রাইফা থতমত খেল। পর মুহূর্তেই রেগে অন্যদিকে চাইল। রিসব হেসে তার কাছে এসে জিজ্ঞেস করল,” কি হয়েছে? রাগ করলে?”

” আমি কারো লাইফের সেকেন্ড প্রায়োরিটি হয়ে থাকতে চাই না।”

তার দৃষ্টি থেকে তপ্ত অভিমানের বিচ্ছুরণ ঘটল। রিসব হেসে উঠল ঘর কাঁপিয়ে। মসৃণ কণ্ঠে বলল,” উমম.. ঠিকাছে। কিন্তু ফার্স্ট প্রায়োরিটি হওয়ার জন্য তো তোমাকে পরিশ্রম করতে হবে। আমার এতোদিনের স্বপ্ন আমি এমনি এমনি তোমার জন্য ভুলে যাবো? এটা কিভাবে হয়?”

রাইফা ভ্রু কুচকে বলল,” এর মানে? আপনার কথা আমি বুঝতে পারছি না। আমাকে কি করতে হবে?”

রিসব আড়মোড়া ভেঙে খুব আদুরে কণ্ঠে বলল,” তোমাকে এমন কিছু করতে হবে যেন আমার আর পাহাড়ে যেতে ইচ্ছেই না করে। ইচ্ছে করা তো দূর, পাহাড়ের কথাই মনে না পড়ে। ঘর থেকেও যেন বের হতে ইচ্ছে না করে। এমনকি এই রুম থেকেও। পারবে নাকি এমন কিছু করতে?”

রাইফা কিছুক্ষণ বোকার মতো তাকিয়ে রইল। তারপর যখনি বুঝতে পারল কথার অর্থ তখনি চোখ ফিরিয়ে হেসে দিল। হাত দিয়ে মুখ ঢাকল। হাসির দমকে তার শরীর কাঁপছে। লজ্জায় কাঁপছে বুক। রিসব আচমকা তাকে এক টানে নিজের দিকে ঘুরালো। চমকে উঠল রাইফা। চোখ বড় বড় হয়ে গেল। রিসব ঘায়েল হলো। রাইফার এই বিস্ফারিত দৃষ্টিতেই তো মরেছিল সে। আলতো করে খুব যত্নে সে চুমু দিল রাইফার ঠোঁটে। রাইফার চোখের কার্নিশ ভিজে এলো। অব্যক্ত অনুভূতিরা মুক্ত হলো। জীবনের প্রথম ভালোবাসার পরশ শিহরণ জাগাতে এলো অনেকটা সুখ নিয়ে।

________

তুলির দুই হাত উঁচু করে একটা কালো কাপড় দিয়ে গাড়ির ছাদের সাথে বাঁধা। মুখে স্কচটেপ। শরীর অসম্ভব দূর্বল লাগছে। একটু নড়েচড়ে বসার ক্ষমতাটুকুও হচ্ছে না। জ্ঞান ফেরার পর নিজের এই অবস্থা আবিষ্কার করে খুব চমকে উঠে সে। প্রণয়ের কথা মনে পড়তেই ছটফট করে হৃদয়। কেমন আছে সে? কোথায় আছে? প্রচন্ড জোরে ব্রেক কষে গাড়ি থামল একটি অপরিচিত জায়গায়। অনিশ্চয়তায় তুলির শরীর কাটা দিচ্ছে। হৃদয়ের উথাল-পাথাল বাড়ছে বৈ কমছে না। তাকে কোথায় নিয়ে যাওয়া হবে? পাশে বসে থাকা লোকটি তুলির গায়ে স্পর্শ করছে বিশ্রীভাবে। তুলির ঘৃণায় চোখমুখ কুচকে আসে। আজমীর সামনের আয়না থেকে তা দেখতে পেরেই গাড়ি থামিয়েছে। পাশের ছেলেটিকে গাড়ি থেকে বের করে এলোপাতাড়ি চড়-ঘুঁষি মারতে শুরু করল। বাকিরা আজমীরকে থামানোর জন্য চেঁচায়। আজমীর ধাক্কা মেরে লোকটিকে সরিয়ে নিজে বসল তুলির পাশে। আলতো করে তুলির গায়ে হাত রাখতেই তুলি কেঁপে উঠল। আজমীর বলল,” ভয় পেয়ো না তুলি। আমি তোমার কোনো ক্ষতি করবো না। আর কাউকে ক্ষতি করতেও দিবো না।”

তুলির চোখ দিয়ে কেবল জল গড়ায়। কিছু বলতে পারে না মুখ দিয়ে।

চলবে

1 COMMENT

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here