?#The_Hate_Story? ?#Madness_Love?,04,05

0
1853

?#The_Hate_Story?
?#Madness_Love?,04,05
#Writer_Sanjana_Shabnam_Fahmida
#Part_4

রাতে বাড়ি ফিরে এসে নিজের রুমের দরজা বন্ধ করে বিছানায় গা এলিয়ে দিলো শবনম। মায়া পিছু পিছু কিছু বলার জন্য আসছিলো।শবনম সে দিকে খেয়াল না করে দরজা লক করে দেয়।

মায়া বুঝে যায় এখন শবনম কারো সাথে কথা বলার মুডে নেই ওর সাথে এই ব্যাপারে এই মুহুর্তে কথা বললে ও নিশ্চয়ই রেগে যাবে। তাই উনিও নিজের রুমে চলে আসেন আর ভোর হওয়ার অপেক্ষা করতে থাকেন।

সকালে,,,,

গিটারের সুরে ঘুম ভাঙ্গে শবনমের। বিছানা থেকে উঠে সুরের সন্ধান করতে থাকে ও। শবনম খুঁজতে খুঁজতে ছাদে চলে আসে।

কেউ পিছন ফিরে গিটার বাজাচ্ছে আর গান গাচ্ছে,,,,

Main rahoo yaah na rahoo tum mujhme kahi baki rehna,,,,
Mujhe nind aaye jo aakhri tum khwabo main aate rehna,,,
Bass itna hai tumse kehna bass itna hai tumse kehna.

শবনম একটু কাছে যেতেই লোকটি ওর দিকে ঘুরে তাকালো।

শবনম যেন নিজের চোখকে বিশ্বাস করতে পারছে না। ওর সামনে ওর আযান দাঁড়িয়ে আছে। ও আযান বলে দৌড়ে আযানের সামনে যায়। আযানের দিকে হাত বাড়াতেই আযান অদৃশ্য হয়ে যায়। শবনম চিৎকার করে আযানকে ডাকতে থাকে কিন্তু কোথাও ওকে পাচ্ছে না।
শবনম আযানকে খুঁজতে খুঁজতে নিচে চলে আসে হঠাৎ পিছন থেকে গানের আওয়াজ পায় ও।

Kisi roz barish jo aye samajh lena bundo mai main hoo,,,
Subha dhup tumko sataye samajh lena kirno mai main hoo,,,

Kuch kahoo yaah na kahoo tum mujhko sada sunte rehna,,,,

Bass itna hai tumse kehna bass itna hai tumse kehna.

শবনম আযানের দিকে ছুটতেই আযান আবার হাওয়ায় মিশে যায়।
শবনম ধপ করে ওখানেই বসে পরে। কান্না যেন আর কোন বাধ মানছে না ওর।

শবনমঃ আযান প্লিজ আমার সামনে আসো। আমি আর পারছি না প্লিজ। ??

শবনম বারান্দা থেকে আবার গানের আওয়াজ পায় আর উঠে ওখানে ছুটে যায়।

Hawao mai lipta huya main guzar jayunga tumko chhuke,,,
Aagar maan ho to rokle na theher jayunga inn labo pe,,,

Main dikhu yaah na dikhu tum mujhko mehsus Karna,,,

Bass itna hai tumse kehna bass itna hai tumse kehna,,,,,
Bass itna hai tumse kehna bass itna hai tumse kehna,,,, ( amr favorite gaan)

শবনম ধীর পায়ে আযানের সামনে গিয়ে দাঁড়ায়।
আযান ঠোঁটে মুচকি হাসি দিয়ে ওর দিকে ছলছল চোখে তাকিয়ে আছে।

শবনমঃ অনেক ভালো লাগে তাইনা আমাকে কষ্ট দিতে। তুমি এমন কেন আযান প্রত্যেক বার আমার কাছে এসেও দূরে সরে যাও। Please don’t go. আযান শবনমের থেকে পিছাতে পিছাতে বলে,,,,

আযানঃ তুমি কেন করলে এটা জান। কেন ধোকা দিলে আমায়। আরে মুখ ফুটে যদি একবার বলতে আমার জীবন চাই। বিশ্বাস করো হাসি মুখে নিজের জীবন তোমার কদমে রেখে দিতাম।
কিন্তু বিশ্বাসঘাতকতা না করলেও পারতে।

শবনম অবাক চোখে তাকিয়ে আছে আযানের দিকে কি উল্টা পাল্টা কথা বলছে ও। শবনম আযানের সামনে কিছু বলার জন্য এগোতেই কেউ ওর হাত জোরে টান দিয়ে পিছনে ঘুরিয়ে চর বসিয়ে দেয়।

শবনম সামনে তাকিয়ে দেখে মায়া দাঁড়িয়ে আছে। মায়ার পুরো শরীর ঘেমে একাকার থরথর করে কাঁপছে ও। ওর চেহারা দেখেই বোঝা যাচ্ছে অনেক ভয় পেয়ে গেছে।

শবনম অবাক দৃষ্টিতে মায়ার দিকে তাকিয়ে আছে। মায়া শবনমের দু কাধে হাত রেখে জোরে জোরে ওকে ঝাকিয়ে বলছে,,,

মায়াঃ কি করতে যাচ্ছিলে হ্যাঁ। এখন যদি আমি না আসতাম কি অঘটন ঘটে যেত তোমার কোন সেন্স আছে।

শবনম মায়ার কথায় পিছনে তাকিয়ে দেখে ও বারান্দার একদম কর্ণারে চলে গিয়েছিলো।আরেক কদম এগোলে ও নিচে পরে যেত।
শবনম মাথা নিচু করে চোখের পানি ফেলছে। ও ভাবছে মরে গেলেই হয়তো ভালো হতো।

মায়া ওকে জড়িয়ে ধরে বলতে থাকে,,,,

মায়াঃ বোঝার চেষ্টা করো আম্মু Aazan is no more. ও কখনো ফিরে আসবে না। নিজেকে সামলাও প্লিজ।

শবনম কাঁদতে কাঁদতে মায়াকে আরো জোরে জড়িয়ে ধরে।

এইদিকে,,,

টেবিলে পায়ের উপর পা তুলে সোফায় পিঠ ঠেকিয়ে চোখ বন্ধ করে বসে আছে আধার।

দরজা নক করার আওয়াজে চোখ মেলে সামনে তাকায় ও। আনাস কিছু ফাইল হাতে নিয়ে দাঁড়িয়ে আছে। আধার বাকা হেসে হাত দিয়ে ইশারা করে ভেতরে আসতে বলে ওকে।

আনাস আধারের সামনে এসে ওকে ফাইন গুলো এগিয়ে দিয়ে বলে,,,

আনাসঃ স্যার চৌধুরী ইন্ডাস্ট্রিজের সব ইনফরমেশন আছে এতে।

আধার ফাইল গুলো হাতে নিয়ে দাঁড়িয়ে যায় তারপর আয়নার সামনে গিয়ে দাঁড়িয়ে বলে,,,

আধারঃ Now the game will start. গতবার বাজী তোমাদের হাতে ছিল এবার আমার হাতে। খেলা তোমরা শুরু করেছিলে কিন্তু এটার এন্ডিং আমি করবো। This is the game And I’m the Player ( with devil smile )

শবনম রেডি হয়ে নিচে নেমে দেখে সোফায় দু’জন লোক বসে আছে আর মায়া হেসে হেসে ওদের সাথে কথা বলছে। শবনম একটু কাছে যেতেই দেখে আযানের মামা আশরাফ আর তার ছেলে সূর্য বসে আছে।

শবনম সামনে যেতেই উনি দাঁড়িয়ে শবনমের মাথায় হাত রেখে বলেন,,,

আশরাফঃ কেমন আছো মামনি।

শবনম হাল্কা হেসে জবাব দিলো,,,, ভালো।

সূর্য এতক্ষণ যাবত শবনমের অপেক্ষাতেই ছিল। ও আসতেই সূর্যের মুখে হাসি ফুটে উঠলো।

( সূর্য ছোট থেকেই শবনমকে ভালোবাসে কিন্তু আযানের কারনে কখনো বলতে পারে নি।আযান এ ব্যপারে জানতো কিন্তু ভাই ভেবে সব সময় ব্যাপারটা এড়িয়ে চলতো।সূর্য দেখতে আযানের থেকে কম না। কিন্তু আযান সব সময় ওর থেকে সব বিষয়ে এগিয়ে থাকতো তাই ও আযানকে সহ্য করতে পারতো না।)

সূর্য সামনে এসে শবনমের কাছে দাঁড়িয়ে জিঙ্গেস করলো,,,

সূর্যঃ কেমন আছো শবনম।

শবনমঃ ভালো।( চাপা হেসে)

আশরাফ শবনম আর সূর্যকে একসাথে বসালেন। তারপর বলতে শুরু করলেন,,,,

আশরাফঃ মায়া এখন আমি শবনমকে নিজের বাড়ির বৌ করতে চাই। আমি জানি আযানকে ও অনেক ভালোবাসে। কিন্তু ও তো আর এখন নেই। আর শবনমের বাবারও শেষ ইচ্ছা ছিল ওদের বিয়ে। (বুঢঢার শখ কত)

শবনম অবাক চোখে একবার মায়ার দিকে তো একবার আশরাফের দিকে তাকালো। বিয়ের কথা শুনে ওর পায়ের নিচে থেকে যেন মাটি সরে গেছে।

ও কিছু বলতে যাবে তখনই মায়া ওকে থামিয়ে দিয়ে বলতে শুরু করে,,,,

মায়াঃ শবনম জানি তুমি এখনো আযানকে ভুলতে পারো নি।কিন্তু দের বছর আগে যখন আশরাফ তোমার আর সূর্যের বিয়ের কথা বলেছিল তখন নিজের বাবার শেষ ইচ্ছা ভেবে তুমি রাজি হয়ে গিয়েছিলে। আর বলেছিলে তোমার সময় দরকার। দুই বছর সময় তো দিলাম আর কত।

দেখ আম্মু নিজের জন্য না নিজের আব্বুর জন্য রাজি হয়ে যাও।

শবনমের অনেক কষ্ট হচ্ছে নিজেকে সামলাতে তারপরও নিজেকে সামলে ও বলল,,,

শবনমঃ আমি করবো বিয়ে স সূর্য কে। কথাটা বলতে ওর হৃদয় ক্ষতবিক্ষত হয়ে যাচ্ছিলো। মনে হচ্ছিল কেউ ওর গলা চেপে ধরেছে।

আশরাফঃ এই না হলো আমাদের মামনি।আমি কালকেই ওদের engagement এর ব্যবস্থা করছি।

শবনম ওখানে আর না বসে দৌড়ে নিজের রুমে চলে আসে।

মায়া ওর যাওয়ার দিকে তাকিয়ে আছে,, সূর্য মায়ার কাধে হাত রেখে বলে,,,

সূর্যঃ Don’t worry auntie. আমি শবনমকে এতো ভালোবাসবো যে ও ভুলেই যাবে যে আযান নামের কেউ ওর জীবনে কখনো ছিলো। ( শয়তানি হাসি দিয়ে)

To be continued…..

?#The_Hate_Story?
?#Madness_Love?
#Writer_Sanjana_Shabnam_Fahmida
#Part_5

শবনম রুমে এসে আযানের ছবি হাতে নিয়ে অনেকক্ষণ ধরে কান্না করছে।

বাড়ি সাজানোর কাজ চলছে।আজ শবনম আর সূর্যের বিয়ের এনাউন্সমেন্ট পার্টি আর কাল এঙ্গেজমেন্ট। মায়া নিজ দায়িত্বে সার্ভেন্টদের দিয়ে সব ডেকোরেশন করাচ্ছে। আজ উনার অনেক খুশি লাগছে তার সাথে এক অজানা ভয় কাজ করছে তার মনে।

এইদিকে,,,,

আধার কবরস্থানের কিনারে দাঁড়িয়ে আছে। চোখের কোনে পানি টলমল করছে। কিন্তু পানির ফোঁটা গুলো আধার নিজের চোখ থেকে ঝড়তে দিচ্ছে না।

দুটো কবর একসাথে। আধার এক ধ্যানে ঐ কবর দুটোর দিকে তাকিয়ে আছে আর হাতের মুঠো শক্ত করে ভাবছে,,,,,

আধারঃ আমার সাথে যা করেছো তার জন্য হয়তো তোমাদের আমি ক্ষমা করে দিতাম। কিন্তু তোমাদের করা এই অপরাধের শাস্তি তোমাদের পেতে হবে। You all have to pay for this.

তোমাদের জীবনে সুখের ছায়া না বরবাদীর ঝড় হয়ে এসেছে এই আধার রেজওয়ান।
আজ তৈরি থেকো তোমাদের আনন্দ রাখ করতে আসছি আমি।

সন্ধ্যায়,,,,,

সব গেস্টরা আস্তে আস্তে আসতে শুরু করেছে। আশরাফ আর মায়া সবাইকে স্বাগত জানাচ্ছে। শবনম এক কোনায় দাঁড়িয়ে আছে,,,,

সূর্য শবনমকে একা দাঁড়িয়ে থাকতে দেখে ওর সামনে গিয়ে দাঁড়ায়।

সূর্যঃ শবনম তুমি একা একা এখানে দাঁড়িয়ে আছো কেন?? তোমার তো পার্টি অনেক পছন্দ।

শবনমঃ আমার ভালো লাগছে না। পছন্দের জিনিস জীবন থেকে খুব সহজে হারিয়ে যায়। আর যখন হারায় অনেক কষ্ট হয়। তাই এখন আর কোন কিছু তে ভালোলাগা খুঁজি না।

সূর্যঃ ঠিক আছে তোমার যা ভালো লাগে করো এখন চলো ওখানে গিয়ে বসি।

শবনম সূর্যের সাথে সোফায় গিয়ে বসলো। হঠাৎ লাইট অফ হয়ে গেলো। শবনম ভয়ে সোফা খামছে ধরেছে ওর suffocation Disease এর প্রবলেম আছে। অন্ধকারে ভয় পায় নিঃশ্বাস নিতে পারে না। সূর্য শবনমের হাত ধরে ওকে রিলেক্স থাকতে বলছে। স্টেজে একটা লাইট জ্বলে উঠলো। এতক্ষনে শবনম নিজের প্রান ফিরে পেলো। ভয়ে ঘেমে একাকার হয়ে গেছে ও।

লাইটের বরাবর আশরাফ দাঁড়িয়ে আছে হাতে মাইক।

আশরাফঃ Attention Everyone. আজকের পার্টি মূল উদ্দেশ্য হচ্ছে শবনম আর সূর্য ।আজকে সবার মাঝে আমি বলছি যে কালকে আমার একমাত্র ছেলে সূর্যের সাথে মিসেস মায়া চৌধুরীর একমাত্র মেয়ে শবনমের Engagement হতে যাচ্ছে। Give a huge round of applause for them. ????

সবাই জোরে জোরে তালি বাজাচ্ছে। শবনম সবার আড়ালে নিজের চোখের পানি মুছে ফেললো।

আশরাফের প্রত্যেকটা কথা এক জনের হৃদয়কে ক্ষত বিক্ষত করে দিয়েছে। দূর থেকে এক জোড়া চোখ আশরাফের দিকে ঘৃনার দৃষ্টিতে তাকিয়ে আছে।

আশারাফ স্টেজ থেকে নেমে আসে। একটা গান শুরু হয় আর সবাই তাদের কাপলদের সাথে গানের সুরে নাচতে থাকে।

সূর্য শবনমকে অনেক বার নাচের জন্য বলেছে কিন্তু ও রাজী হয় নি।

শবনম উঠে গিয়ে এক কোনায় যেয়ে দাঁড়ায়।সবাই যার যার কাপলদের সাথে নাচে বিজি। শবনম তাদের দেখছে আর আযানের সাথে কাটানো মুহুর্ত গুলো মনে করে নিজে নিজে হাসছে।

হঠাৎ কেউ পেছন থেকে শবনমের চুলে হাত ছোয়ালো। শবনম ভয়ে পিছনে ফিরে দেখে কেউ নেই। মনের ভূল ভেবে শবনম আবার ঘুরে যায়।

আবার কেউ ওর পিঠে হাল্কা করে হাত ছোয়ালো। শবনম এবারো পিছু ফিরে কাউকে দেখতে পেলো না। শবনম অনেকটা ভয় পেয়ে যায়। এখানে ওখানে তাকিয়ে কাউকে খোজার চেষ্টা করছে কিন্তু কেউই নেই আশে পাশে।

হঠাৎ গান বন্ধ হয়ে যায়। স্টেজ থেকে সবাই নেমে যায়। কিছু মাস্ক পরা লোক স্টেজে উঠে মিউজিক শুরু করে। তখনই পেছন থেকে একটা কালো লং কোট পরা লোক মাইক নিয়ে এগিয়ে ওদের সামনে এসে দাঁড়ায়।

মাস্কের কারনে লোকটির চেহারা বোঝা যাচ্ছিলো না। শুধু চোখ দুটোই বোঝা যাচ্ছিলো। লোকটি শবনমের দিকে তাকিয়ে গান গাওয়া শুরু করলো,,,,

Kese kahu ishq me tere,,,
kitna hu betab main….
Aakhon sei aakhein milake,,
churalu tere khwab main….

Kese kahu ishq main tere,,,,
Kitna hu betab main,,,,
Aankhon se aankhen milake,,,
Churalu tere khwab main…..

Mere saa ye hai sath main…
Yaara jiss jaga tum ho o…

Main jo Ji raha hu…
Waajah tum ho…waaja tum ho….
Main jo Ji raha hu..
Waajah tum ho….oo… Waajah tum hoo…

সবাই তাদের জুরি নিয়ে স্টেজে নেমে যায়।
শবনম ভীরের মাঝে শুধু লোকটির দিকে তাকিয়ে আছে। চোখ জোড়া ওর কেমন যেন চেনা চেনা লাগছে।

ও এগিয়ে গিয়ে লোকটিকে চেনার চেষ্টা করছে,,

Hai ye nasha yah hei zeher,,,,
Iss pyaar ko hum kya naam de,,,
Hai ye nasha yah hei zeher,,,,
Iss pyaar ko hum kya naam de,,,,,

Kabhse aadhuri hai ek dastan,,,,
Aaja ise aaj anjam de,,,,

Tumhe bhulu Kese main,,,,
Meri pehli khata…..tum ho o..o.. o

Main jo hi raha hu,,,,,
Waajah tum ho,,,o,,, Waajah tum ho….

Main jo ji raha hu
Waajah tum ho,,, o,,, Waajah tum ho…

লোকটি হঠাৎ স্টেজ থেকে নেমে চলে যেতে নেয়। শবনম লোকটির পিছনে পিছনে একটা রুমে চলে আসে,,,,

শবনম আশেপাশে খোজার চেষ্টা করছে কিন্তু কাউকে পাচ্ছে না। রুমটা অনেক অন্ধকার শুধু কয়েকটা Candle জ্বলছে। শবনমের ভয় করছে তাও সাহস করে ও লোকটিকে খুঁজছে। হঠাৎ কেউ ওকে পিছন থেকে জড়িয়ে ধরে। শবনমের এই ছোঁয়া অনেক চেনা।শবনম চোখ বন্ধ করে আযান বলে ডাক দেয়।

লোকটি ওকে পেছন দিয়ে জড়িয়েই গান গাইতে শুরু করে,,,

Kya Jane tu mere irade,,,,
Le jayunga sansein churake,,,,
Kya Jane tu mere irade,,,
Le jayunga sansein churake,,,,

Dil keh raha hai gunehgar Banja,,,,
Bara chain hai inn gunaho se age,,,

Main gum Shuda si raat hu,,,,
Meri khush numa Subha,,,tum ho,, o

Main jo ji raaha hu
Waajah tum ho,,,o,, Waajah tum ho…

Main jo ji raha hu…..
Waajah tum ho,,,, Waajah tum ho….
Waajah tum ho,,,,, Waajah tum ho…..

হঠাৎ লোকটি ওকে ছেড়ে দিয়ে রুম থেকে বের হয়ে যায়। শবনম বুঝতে পেরেছে এটা আযান। কারন আযান ছাড়া ও এতো কাছে আশার সাহস কারো নেই।

শবনম ওর পিছনে পিছনে বাড়ির বাইরে চলে আসে।

শবনমের চোখ দিয়ে অনবরত পানি পরছে। ও নীরব রাস্তায় পাগলের মতো আযান বলে চিৎকার দিচ্ছে আর তাকে খুঁজছে।

আধার গাছের আড়ালে দাঁড়িয়ে শবনমের অবস্থা দেখছে।

আধারঃ এগুলো কি সব নাটক নাকি আমার কোথাও ভুল হচ্ছে। শবনম যদি আমাকে ভালোই না বাসতো তাহলে আমার জন্য নিজেকে এতো কষ্ট দিচ্ছে কেন।

আমিকি তাহলে কোথাও ভুল করছি।( আধার কথা গুলো ভাবছে )

হঠাৎ একটা গাড়ি ফুল স্পীডে শবনমের দিকে এগিয়ে আসে। আধার তা দেখে এগিয়ে আসতেই,,, সূর্য এসে শবনমকে সরিয়ে ফেলে।

সূর্য শবনমকে জড়িয়ে ধরে ওর মাথায় হাত বুলিয়ে দিচ্ছে।শবনমও কাঁদতে কাঁদতে সূর্যকে আযান ভেবে জড়িয়ে ধরে বলতে শুরু করল,,,

শবনমঃ আমি জানতাম এটা তুমি,,,তুমি কোথায় গিয়েছিলে আমাকে ছেড়ে। You know na how much I love you. Please don’t leave me. আমি তোমাকে অনেক ভালোবাসি।অনেক বেশি।

আধার দূর থেকে এটা দেখে নিজের হাত খুব জোরে গাছের সাথে বারি মারে।

আধারঃ সব সময় তোমাকে বিশ্বাস করতে যেয়ে ধোকা পাই। আজও তাই হলো। তুমি আমাকে আযান না সূর্য ভেবেছিলে। তুমি আমাকে না সূর্যকে ভালোবাসো। আবারো আমার আবেগের কাছে আমি হেরে গেলাম।

আর নিজেকে দূর্বল করবো না। আমার মনে শুধু তোমার জন্য ঘৃণা থাকবে। I just hate you. বলে আধার ওখান থেকে চলে গেল।

সূর্য শবনমের মাথায় হাত বুলিয়ে দিতে দিতে বললো,,,

সূর্যঃ আমিও তোমাকে অনেক ভালোবাসি শবনম।আর কখনো তোমাকে একা ফেলে চলে যাবো না প্রমিস।

সূর্যের কন্ঠ শুনে শবনম নিজের চোখ খুলে দেখে ও সূর্যকে জড়িয়ে ধরেছে। শবনম সাথে সাথে ওকে ধাক্কা দিয়ে সরিয়ে দেয়। তার পর কাঁদতে কাঁদতে বাড়িতে এসে নিজের রুমের দরজা বন্ধ করে দরজার সাথে হেলান দিয়ে কাঁদতে শুরু করে।

সূর্য রাস্তায় শবনমের যাওয়ার দিকে তাকিয়ে বলছে,,,, তুমি যাই করো না কেন শবনম। তোমাকে আমারই হতে হবে। আমাদের জন্য শুধু আমার ভালোবাসাই যথেষ্ট।

To be continued…….

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here