?#The_Hate_Story? ?#Madness_Love?,14,15

0
1623

?#The_Hate_Story?
?#Madness_Love?,14,15
#Writer_Sanjana_Shabnam_Fahmida
#Part_14

সকালে,,,,

শবনম অফিসের জন্য রেডি হচ্ছিল। এমন সময় মায়া হাতে কিছু কাগজ নিয়ে ওর রুমে প্রবেশ করলো।

মায়াঃ শবনম আমার কিছু কথা আছে তোমার সাথে।

শবনমঃ আম্মু যা কথা আছে এসে বলো আমার লেট হয়ে যাচ্ছে। (জুতোর লেস লাগাতে লাগাতে)

মায়াঃ এতো সময় নেই শবনম। কাজটা অনেক গুরুত্বপূর্ণ বোঝার চেষ্টা করো প্লিজ।

শবনমঃ ওক্কেই এখন বলো কি বলবে বাট ফাস্ট আমার লেট হয়ে যাচ্ছে । ( মায়ার সামনে এসে দাঁড়িয়ে)

মায়া শবনমের সামনে একটা ফাইল এগিয়ে দিলো।

মায়াঃ এই ফাইল টাতে তোমার সিগনেচার লাগবে আর্জেন্টলি।

শবনমঃ এই টুকুর জন্য এতো ড্রামা করলে। আম্মু তুমি তো দেখি আমার থেকেও বড় ড্রামাবাজ। ( মায়ার গাল টেনে দিয়ে )

দাও আমি এক্ষুণি সাইন করে দিচ্ছি ( শবনম পেপারস গুলো না পরেই সাইন করে দিলো)

এই নাও হয়ে গেছে। পাঁচ মিনিট ও লাগে নি।

মায়াঃ হুম। নিজের খেয়াল রেখো আর সাবধানে যেও।

শবনমঃ ওক্কেই মাই লাভলি মাম্মা। ( মায়াকে জড়িয়ে ধরে)

এখন আমি যাই আল্লাহ হাফেজ লাভ ইউ। বলে শবনম তারাতারি করে বেরিয়ে গেলো।

মায়াঃ আমি যা করেছি তার জন্য হয়তো তুমি অনেক কষ্ট পাবে। আমাকে ভুল বুঝবে কিন্তু সময়ের সাথে সব ঠিক হয়ে যাবে এটা আমার বিশ্বাস।

তুমি আমার মেয়ে আর প্রত্যেক মা চায় তার মেয়ে সুখী থাকুক সেফ থাকুক। তোমার খুশির জন্য আমি সব করতে পারি। I hope you’ll forgive me. ( শবনমের যাওয়ার দিকে তাকিয়ে)

মায়া ফাইলটা নিয়ে নিচে নেমে আসলো। সোফায় সূর্য আর আশরাফ বসে ছিলেন। মায়াকে দেখে আশরাফ আর সূর্য ওর দিকে এগিয়ে যায়।

মায়া ফাইল টা আশরাফের দিকে এগিয়ে দিয়ে বলল,,,

মায়াঃ শবনম সাইন করে দিয়েছে। (কড়া গলায়)

আশরাফ তরিঘরি করে ফাইলটা মায়ার হাত থেকে নিয়ে নিলো তারপর খুলে সাইন চেক করতে লাগলো।

আশরাফ ফাইলের পাতা উল্টাতে উল্টাতে বলল,,,

আশরাফঃ আমি জানতাম মায়া তুমি ছাড়া এই কাজটা কেউ করতে পারতো না। (লোভাতুর দৃষ্টিতে কাগজ গুলো দেখতে দেখতে)

মায়াঃ শবনম জানলে এর পরিনাম ভালো হবে না আশরাফ ভাই। ও আযানকে পাগলের মতো ভালোবাসে আযানের প্রত্যেক টা জিনিস ও এই কয় বছর সামলিয়ে রেখেছে।

আর আধারকে দেখার পর থেকে ওর পাগলামী আরো বেড়ে গেছে। ও ভাবে আধারই আযান।

আশরাফঃ ভাবলেই তো আধার আযান হয়ে যাবে না তাইনা মায়া। আর আমরা যা করছি সব শবনমের ভালোর জন্য করছি। আযান এখন আর আমাদের মাঝে নেই শবনমকে এটা বিশ্বাস করতে হবে। আর শবনমের মন থেকে আযানকে মিটাতে হলে আগে আযানের সৃতি গুলো ওর জীবন থেকে সরাতে হবে।

সূর্য মায়ার কাধে হাত রেখে বলতে শুরু করল,,,

সূর্যঃ শবনমকে নতুন জীবনে আনতে হলে ওর পুরানো সৃতি গুলো শেষ করতে হবে। আর আন্টি আযানকে ও না ভুললে আমাকে কখনো এক্সেপ্ট করবে না। আমি শবনমকে অনেক ভালো বাসি প্লিজ আমাদের ভুল বুঝবেন না। আমরা যা করছি এতেই আমাদের সবার মঙ্গল।

মায়াঃ হুম তোমাদের যা ঠিক লাগে তাই করো।

বলে মায়া ওখান থেকে চলে গেল।

আশরাফঃ লয়ারকে কল করো সূর্য। কাজ আজকেই শেষ করে দিবো। (শয়তানি হাসি দিয়ে)

সূর্যঃ Yes Dad. (বলে ফোন বের করে কাউকে কল করলো।)

এইদিকে,,,,

শবনম কেবিনে বসে ল্যাপটপে কিছু কাজ করছিলো এমন সময় রাফির কল আসলো ওর ফোনে।

শবনমঃ হুম রাফি বলো (কল রিসিভ করে)

রাফিঃ ম্যাম আজকে নাকি খান ভিলা আর খান ইন্ডাস্ট্রিজ নিলামে উঠবে??

শবনমঃ Whaattt !!! (বসা থেকে দাঁড়িয়ে গিয়ে) কি আবলতাবল বলছো।

রাফিঃ নো ম্যাম সিরিয়াসলি। আমি নিজে খান ভিলার সামনে দাঁড়িয়ে আছি। এখানে সব বড় বড় বিজনেস অর্গানাইজেশন এর মালিকরা এসেছে খান ইন্ডাস্ট্রিজ কিনতে।

শবনমঃ এটা কিভাবে সম্ভব খান ইন্ডাস্ট্রিজ তো আমার নামে লেখা। আযান ওর সব সম্পত্তি আমার নামে লিখে দিয়েছিলো। আমার সিগনেচার ছাড়া এটা নিলামে দেওয়া সম্ভব না তাহলে…… (শবনম এক হাত মাথায় দিয়ে এখান থেকে ওখানে পাইচারি করছে)

রাফিঃ ম্যাম এখানে আশরাফ স্যার সূর্য স্যার আর মায়া ম্যাডাম ও আছে।

শবনম মায়ার নাম শুনে থমকে যায়। আজ সকালেই তো মায়া ওকে একটা পেপারসে সাইন করালো।

শবনমঃ তাইলে কি আম্মু !!!

রাফি তুমি ওখানেই থাকো আমি আসছি। শবনম তারাহুরা করে অফিস থেকে বেড়িয়ে যায়।

এইদিকে,,,,,

আধার রকিং চেয়ারে চোখ বন্ধ করে হেলান দিয়ে বসে আছে।

দুই বছরে ঘটে যাওয়া ঘটনা গুলোর সমীকরণ মিলানোর চেষ্টা করছে ও।

আধারঃ কিছু বুঝতে পারছি না। কার দোষ আর কে নির্দোষ। আশরাফ মামা আর সূর্যের বিষয়ে আমি সিওর কারন ওরা টাকার জন্য সব করতে পারে। কিন্তু শবনমের বাবা,,,,আসিফ আঙ্কেল!!! আমি উনাকে যতটুকু চিনি উনি অনেক ভালো মানুষ। কখনো কারো ক্ষতি করার চেষ্টা করেন নি। আর উনাদেরও তো টাকার অভাব নেই তাহলে উনি কেন এমন করবেন।

আর শবনম !!! ওর চোখে আমি সব সময় নিজের জন্য ভালোবাসা দেখেছি এখনো দেখি। এসবই কি মিথ্যা সবই কি সাজানো নাটক।

কি সত্যি কি মিথ্যা কিচ্ছুই বুঝতে পারছি না। প্লিজ আল্লাহ আমাকে রাস্তা দেখাও।

>>> স্যার….

আনাসের আওয়াজে চোখ মেলে তাকায় আধার।

আধারঃ হুম বলো ( সোজা হয়ে বসে)

আনাসঃ স্যার আজকে মিস শবনম চৌধুরী একটা Auction রেখেছেন।

আধারঃ Auction কিসের Auction???

আনাসঃ খান ইন্ডাস্ট্রিজ আর বাঙ্গলোর অকশন।

আধারঃ কি!!! (বসা থেকে দাঁড়িয়ে গিয়ে)

আনাসঃ হ্যাঁ স্যার নিলামী শুরু হয়ে গেছে অলরেডি।

আধারঃ তুমি এটা করতে পারো না শবনম। You can’t do this.

আধার দৌড়ে বেড়িয়ে গেল উদ্দেশ্য খান ভিলা।

অনেক স্পীডে গাড়ি ড্রাইভ করছে আধার। চোখ লাল হয়ে গেছে কয়েক ফোঁটা পানি ও গড়িয়ে পরেছে ওর চোখ থেকে।

আধারঃ প্লিজ ডোন্ট ডু দিস শবনম। আমার বাবা মায়ের শেষ চিহ্ন ওই বাড়িটা। আমার বাবার স্বপ্ন দিয়ে গড়া খান ইন্ডাস্ট্রিজ। প্লিজ এটার কোন ক্ষতি হতে দিও না।

অন্ধের মতো বিশ্বাস করতাম তোমাকে তাই আমার সব কিছু তোমার নামে করে দিয়েছি। তোমার ভালবাসায় অন্ধ হয়ে নিজের বাবার কষ্ট আর স্বপ্নে গড়ে তোলা পাওয়ার অফ এট্রোনি তোমার করে দিয়েছি। আর তুমিই একে নিলামে নামিয়ে দিলে।

নিজের প্রতি আমার এই ঘৃনাকে আর বাড়িও না। আমার ঘৃণা সহ্য করতে পারবে না তুমি।

আমার মা বাবার শেষ চিহ্ন ওই বাড়ি। অনেক সৃতি জড়িয়ে আছে এতে। ইন্ডাস্ট্রিজ যদি তুমি অন্যের হাতে তুলে দেও আমি মেনে নিবো কিন্তু আমার বাড়ির কিছু হলে আই উইল ডিসট্রয় ইউ।
( রেগে প্লাস চিল্লিয়ে)

আধার কোন রকমে গাড়ি থামিয়ে খান ভিলাতে প্রবেশ করলো। ওর শরীর কাঁপছে চোখে মুখে ভয় আর চিন্তার ছাপ স্পষ্ট ফুটে উঠছে।

কোন রকমে আধার ভিতরে প্রবেশ করলো।

>>> খান ভিলা এন্ড ইন্ডাস্ট্রিজ আর সোল্ড,,,,

একটা লোক কথাটি বলে স্টেজ থেকে নেমে যায়।

আধারের পা যেন জমে গেছে। ও বিশ্বাস করতে পারছে না যে ওর জীবনের সবচেয়ে দামী জিনিস ওর থেকে হারিয়ে গেছে । আধার আশেপাশে তাকিয়ে বাড়িটাকে এক পলক দেখলো,,, ওর পরিবারের সাথে কাটানো প্রতিটা মুহুর্ত ওর চোখে ভাসছে। ওর মায়ের হাসির আওয়াজ কোন ভুল করলে ওর বাবার ছোট ছোট বকা সব ওর কানে বাজছে।

আধারঃ সব শেষ!!!! I lost everything in my life. Everything is over…. তুমি আমাকে বরবাদ করে দিলে শবনম,,,( ছলছল চোখে )

কথা গুলো বলে আধার ওখান থেকে বেড়িয়ে যায়।

To be continued……

?#The_Hate_Story?
?#Madness_Love?
#Writer_Sanjana_Shabnam_Fahmida
#Part_15

আশরাফ আর সূর্য শবনমদের বাসার ড্রইংরুমের সোফায় বসে আছে। মাথা দিয়ে ঘাম ছুটছে সূর্যের।

সূর্যঃ বলেছিলাম ড্যাড এখনও সঠিক সময় আসে নি বাড়ি বিক্রি করার। কিন্তু তুমি আমার একটা কথাও শুনো নি। এখন দেখো আমও গেলো আটিও গেল। না বাড়ি আমাদের হাতে আছে আর না বিজনেস। টাকাও পেলাম না আর শবনমও আমাকে ভুল বুঝলো। ( আশরাফকে উদ্দ্যেশ্য করে)

আশরাফঃ Stop it shurjo. ( চিল্লিয়ে )

কত বার বলেছি যায়গা দেখে কথা বলবে। দেয়ালেরও কান আছে do you get that. আর এতো শবনম শবনম কেন করছো হুম ও শুধু আমাদের হাতের একটা মোহরা। প্রয়োজন শেষ হলে ওকেও শেষ করতেও দ্বিধা বোধ করবো না আমি। (রেগে দাতে দাত চেপে)

আশরাফের কথা শুনে সূর্য রেগে আশরাফের কলার ধরে ফেলে।

সূর্যঃ Don’t you dare Mr. Ashraf Hassan. শবনমের কোন ক্ষতি করার কথা চিন্তা করলেই আমি আপনকে খুন করে ফেলবো।

ভালোবাসি ওকে আমি। ওকে আমার চাই যে কোন মূল্যে ওকে চাইই। ওকে পাওয়ার জন্য আমি অনেক কিছু করেছি । আযানকে দুনিয়া থেকে বিদায় করে দিয়েছি। শুধু মাত্র শবনমকে পাওয়ার জন্য। ওর বাবাকেও আমি মেরেছি কারন উনি সব জেনে গিয়েছিলেন। আমার পথের কাঁটা হয়ে দাঁড়িয়েছেন।তাই উনাকেও মুক্তি দিয়ে দিয়েছি।

আপনি আমার বাবা তাই এখনো বেঁচে আছেন। আপনার যায়গায় অন্য কেউ তাকে এতোক্ষনে দাফন করে দিতো এই সূর্য।

শবনম শুধু সূর্যের আর সূর্য শুধু শবনমের।

সূর্যের চোখে শবনমের জন্য পাগলামি স্পষ্ট দেখতে পাচ্ছেন আশরাফ। সূর্য রেগে গেলে কতটা ভয়ঙ্কর রূপ ধারণ করতে পারে তার জানা আছে। তাই নিজের কলার থেকে সূর্যের হাত সরিয়ে আশরাফ বলতে শুরু করল,,,,

আশরাফঃ সূর্য বাবা এখন এসব কথা বলার সময় না। শবনম এখন চলে আসবে। বাড়ি গিয়ে শান্তিতে কথা বলবো ওকে ( নরম গলায়)

আর ডোন্ট ওয়ারি শবনম শুধু তোমার। কেউ তোমাদের মাঝে আসবে না।

ওদের খেয়াল নেই যে, কেউ দূর থেকে ওদের কথা শুনছে আর তা ক্যামেরায় বন্দী করছে।

শবনম বাড়িতে ঢুকতেই সূর্য আশরাফ থেকে সরে যায়। শবনম আশরাফ আর সূর্যের দিকে রাগী দৃষ্টিতে তাকিয়ে সিড়ি বেয়ে উপরে উঠতে যায় তখনই সূর্য শবনমের হাত ফেলে।

সূর্যঃ শবনম আমার কথা শুনো ( অনুনয় স্বরে)

শবনম সূর্যের হাত ঝাড়ি মেরে সরিয়ে দেয়।

শবনমঃ তোমার সাথে আমি পরে ডিল করবো। (আঙ্গুল তুলে সূর্যকে বলল)

শবনম উপরে মায়ার রুমে চলে যায়।

মায়া শবনম আযান আর আসিফের এক সাথে তোলা একটি ছবিতে হাত বুলাচ্ছিলো। শবনম রুমে ঢুকতেই বসা থেকে দাঁড়িয়ে যায় মায়া।

শবনম রুমে এসে মায়ার মুখোমুখি দাঁড়ায়।

শবনমঃ How could you do this Ammu. তুমি এটা কিভাবে করতে পারলে। ওই বাড়ি আর বিজনেস সব আযানের আমানত আমার কাছে।

আযানের জান বাস করে ওই বাড়িতে। ওর বাবা মায়ের শেষ সৃতি এটা আর তুমি কিনা সব জেনে বুঝে এটা করলে। (কথা বলতে বলতে শবনম কেঁদে দিয়েছে)

মায়া শবনমের দিকে পিঠ করে বলতে শুরু করল,,,

মায়াঃ আমার যা ঠিক লেগেছে আমি তাই করেছি। এ বিষয়ে আমি আর কোন কথা বলতে বা শুনতে চাচ্ছি না। ( কড়া গলায়)

শবনমঃ তোমাকে শুনতে হবে আম্মু আর সব প্রশ্নের উত্তর ও দিতে হবে। কেন করলে এমন।

মায়াঃ তোমার জন্য করেছি। (শবনমের দিকে ফিরে চিল্লিয়ে)

শবনমঃ আমার জন্য (অবাক হয়ে)

মায়াঃ হ্যাঁ তোমার জন্য। সব বাবা মা চায় তার সন্তান সুখে থাকুক। তার একটা সংসার হোক পরিবার হোক। কিন্তু আমার মেয়ে এমন একজনের অপেক্ষায় বসে আছে যে কখনো ফিরে আসবে না।

আমি শুধু চেয়েছি তুমি আযানকে ভুলে যাও। নিজের জীবন নতুন করে সাজাও সূর্যের সাথে।

কথা দিয়েছিলে তুমি সূর্যকে বিয়ে করবে। কিন্তু তুমি ওই আধার রেজওয়ানকে আযান প্রমান করতে লেগে গিয়েছো।

তোমার মনে এই প্রশ্ন জাগে না যে,,, যদি ও আযান হতো তাহলে কেন নিজেকে আধার বলবে। কেন আমাদের থেকে দূরে থাকবে।

মায়ার কথায় শবনম কি জবাব দিবে ভেবে পাচ্ছে না। মায়াতো ঠিকই বলছে,,,

মায়াঃ নেই কোন জবাব তোমার কাছে আমি জানতাম।

মায়া শবনমের দু কাধে হাত রেখে বলতে শুরু করল,,,,

মায়াঃ আমি তোমার মা হই শবনম। I’m your mother. আমি কখনো তোমার খারাপ চাইবো না। আমি আর কতদিন বাচি ঠিক নেই। মৃত্যুর আগে তোমাকে সুখি দেখতে চাই আমি।

আমার কথা গুলো একবার ঠান্ডা মাথায় ভেবে দেখো।

শবনম মায়াকে কোন জবাব না দিয়ে চুপচাপ ওর রুম থেকে বেরিয়ে যায়। শবনম নিজের রুমে এসে দরজা লাগিয়ে হাটু ভাজ করে বসে পরলো।

চোখ দিয়ে শুধু পানি পরছে ওর।

শবনমঃ কেন হচ্ছে এসব। আমি তো এমন কিছু চাই নি। সব কিছু উলটপালট হয়ে গেছে। আমি কি ভুল করেছিলাম যার শাস্তি পাচ্ছি।

প্লিজ আল্লাহ সব কিছু আবার আগের মতো ঠিক করে দাও। (কেঁদে কেঁদে)

এইদিকে,,,,,

অন্ধকার রুমে বসে আছে আধার। আশেপাশে সব আসবাবপত্র ফ্লোরে পরে আছে। বাম হাত দিয়ে মুঠো করে একটা কাচের গ্লাসের টুকরো চেপে ধরে আছে ও। হাতের রক্ত দিয়ে ফ্লোর ভেসে যাচ্ছে সেই দিকে কোন খেয়ালী নেই আধারের। চোখ দুটো অসম্ভব লাল হয়ে আছে আর চোখে শুধু ঘৃণা প্রকাশ পাচ্ছে ওর।

আধারঃ যত বারই তোমাকে কাছে টানতে চাই তুমি এমন কিছু করো যে তোমার প্রতি আমার ঘৃনা আরো বেরে যায়।

প্রত্যেক বার আমার ব্রেন আমার মনের কাছে হেরে যায় কিন্তু এবার আমি নিজেকে শক্ত করে ফেলেছি।

নিজের হাতে আমার বরবাদির খেলা প্লান করেছিলে না তুমি। এবার খেলা আমি দেখাবো তোমাদের বরবাদীর।

নিজের হাতে তোমাকে শাস্তি দিবে এই আযান খান।

Wait for tomorrow,,,, The game has been started…. ( ঘৃনা মিশ্রিত কন্ঠে)

শবনম অনেকক্ষণ ধরে বসে কান্না করছে। কিছু তেই সমীকরণটি মিলাতে পারছে না ও।

শবনমঃ কালকে যা হবে সরাসরি হবে। তোমাকে আমার সব প্রশ্নের উত্তর দিতে হবে আধার। তুমি কে,,, কেন এসেছো আমাদের জীবনে সব কিছুর উত্তর আমার চাই।

এখন শুধু ভোর হওয়ার অপেক্ষা।

To be continued…..

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here