Be_My_Princess,#Part_1

0
2598

#Be_My_Princess,#Part_1
#The_Werewolf_Lover
#Writer_Sanjana_Shabnam_Fahmida

– ইভলিন! জানিস আজকেও নাকি একটা লাশ পাওয়া গেছে সেই একই জায়গায়। ঘাড়ে ধারালো দাঁতের চিহ্ন। তোর কি মনে হয়? এটা কি সত্যিই কোনো ভ্যাম্পায়ার এর কাজ?

কৌতুহল ভরা দৃষ্টিতে কথা গুলো বলতে বলতে ইভলিনের পাশে বসলো লিরা। গভীর মনোযোগ দিয়ে ল্যাপটপে কিছু কাজ করছিল ইভলিন। লিরার কথা গুলো তোয়াক্কা না করে, ল্যাপটপে টাইপিং করা অবস্থাতেই বলে ও,,,

ইভলিনঃ আমি এসবে বিশ্বাস করি না। – কথাটা বলেই উঠে দাঁড়ায় ও।

লিরাঃ প্রজেক্ট কমপ্লিট?( অবাক স্বরে )

ল্যাপটপটা বন্ধ করে ব্যাগে ভরতে ভরতে জবাব দিলো ইভলিন।

ইভলিনঃ হুম।

লিরাঃ বাসায় যাচ্ছিস?

ইভলিনঃ হ্যাঁ।

লিরাঃ রাত হয়েছে তোর একা যাওয়া ঠিক হবে না। আমার আরেকটু বাকি আছে অপেক্ষা কর তারপর নাহয় একসাথেই যাব।

ইভলিনঃ প্রয়োজন নেই। তুই তোর কাজে মনোযোগ দে, আমি যাচ্ছি।

লিরাঃ কিন্তু…

লিরাকে আর কিছু বলার সুযোগ না দিয়ে বেরিয়ে আসে ইভলিন।

লাইব্রেরী থেকে বের হতেই হঠাৎ ঠান্ডা বাতাস গাঁ ছুঁয়ে যায় ওর। সন ২০০০, জানুয়ারী মাস। এ সময়টা পুরো শহর বরফে ঢাকা থাকে তাই ঠান্ডা লাগাটাই স্বাভাবিক।

রাত প্রায় এগারোটা। রাস্তায় তেমন মানুষ নেই। থাকবেই বা কি করে? বিকেলেই স্নো-ফল হয়েছে। চারোদিকে বরফ। ঠান্ডায় হাত পা জমে যাওয়ার উপক্রম।

স্ট্রিট লাইট গুলোর আলোতে যেন জমে থাকা বরফ গুলো আরো ফকফকে দেখাচ্ছে। রাস্তার পাশেই দুইজন ট্র্যাফিক পুলিশ দাঁড়িয়ে। মাঝে মধ্যে একটা দু’টো গাড়ি আসছে – যাচ্ছে। তেমন মানুষজন নেই বলতে গেলে একদম নীরব পরিবেশ।

হাতে গ্লাভস পরে গলায় মাফলারটা ভালো করে পেঁচিয়ে হাঁটা ধরলো ইভলিন বাসার উদ্দেশ্যে।

ইভলিন! পুরো নাম ইভলিন কর্নাল। ছোট বেলায় মা মারা যাওয়ার পর ওর বাবাই ওর দেখাশোনা করেছেন। কিন্তু কাজের জন্য বছরে অর্ধেকের বেশি সময়ই শহরের বাইরে থাকতে হয় তাকে। তাই বেশিরভাগ সময় ইভলিনকে একাই থাকতে হয়। প্রথম প্রথম কষ্ট হলেও পরবর্তীতে নিজেকে পরিস্থিতির সাথে মানিয়ে নিয়েছে ও। কলেজের কিছু প্রজেক্টের জন্য এতক্ষন লাইব্রেরিতে ছিল ও। কিন্তু কাজ করতে করতে কখন এতো দেরি হয়ে যায় বুঝতে পারেনি ইভলিন।

দুই পাশে জঙ্গল যেটা এখন বরফে ঢাকা আর মাঝ দিয়ে রাস্তা। রাস্তার একপাশ দিয়ে হাঁটছে ইভলিন। পুরো পথে ইভলিন একাই। কিন্তু এতে ওর কোনো ভ্রুক্ষেপ নেই। নিজের মতো করে হাঁটছে ইভলিন।

হঠাৎ কিছু একটার শব্দ কানে আসে ইভলিনের। সাথে সাথে পা দুটো থেমে যায়। আশেপাশে ঘুরে খোঁজার চেষ্টা করেও কাউকে পায়না ও। হঠাৎ লিরার বলা কথা গুলো মনে পড়ে যায় ইভলিনের। ভ্যাম্পায়ার! কিছুদিন ধরে শহরে অনেক অদ্ভুত ভাবে মানুষ খুন হচ্ছে। আর অনেকেই এটাকে ভ্যাম্পায়ারের কাজ বলে দাবি করছে। হঠাৎ একটা অদ্ভুত ভয় মনে গেঁথে যায় ইভলিনের।

ওর আশেপাশে কি তাহলে কোনো ভ্যাম্পায় আছে? চোখে মুখে ভয়ের ছাপ ওর। গলা শুকিয়ে গেছে। ঢোক গিলছে ইভলিন।

হঠাৎ আবারো জঙ্গলের ভেতর থেকে খচখচ শব্দ পেয়ে শিউরে উঠে ও। ভয়ে ভয়ে সেদিকে তাকিয়ে বলে ইভলিন।

ইভলিনঃ ক কে ওখানে?

কোনো উত্তর আসে না। কিন্তু পাতার খচখচ শব্দ আসছে। তার সাথে কিছু একটার গোঙানোর শব্দও। ভয় পেয়ে যায় ইভলিন। দু তিন কদম পিছিয়ে নেয় ও। এখান থেকে এই মুহূর্তে দৌড়ে পালাতে পারলে বাঁচে ও। কিন্তু হঠাৎ মনে হলো যদি কেউ বিপদে পড়ে থাকে? যদি কারও সাহায্যের প্রয়োজন হয়ে থাকে? তখন?

ইভলিনঃ কিসের শব্দ হতে পারে এটা? একবার গিয়ে কি দেখবো?

দোটানায় পড়ে যায় ইভলিন। কি করবে ভেবে পাচ্ছে না। কিছুক্ষণ ভেবে, মনে সাহস জুগিয়ে শব্দটার পেছনে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নেয় ও।

শব্দটা যে দিক থেকে আসছে সে দিকে পা বাড়ায় ইভলিন। একটু ভেতরের দিকে যেতেই সাদা বরফে লালচে কিছুর ছাপ দেখতে পায় ও। চাঁদের আলোয় স্পষ্ট লাল রঙ দেখা যাচ্ছে। ইভলিন বিষয়টা বুঝার জন্য আশেপাশে চোখ বুলাতেই ঝোপের আড়ালে কিছু একটা দেখতে পায়। লাল রঙের ছাপ গুলো ঝোপ অব্দি যাচ্ছে।

আলতো পায়ে সামনে এগোয় ইভলিন। কিন্তু সামনে যেতেই জিনিসটা দেখে অবাক হয় ও।

“ ওল্ফ! ” – অবাক স্বরে বলল ইভলিন।

সাদা ঘন লোমযুক্ত বিশাল শরীর ওল্ফটার। অচেতন অবস্থায় ঝোপের পেছনে পড়ে আছে। এমন অবস্থাতেও কেন যেন ওল্ফটাকে অদ্ভুত সুন্দর লাগছে ইভলিনের কাছে। ইচ্ছে করছে পাশে গিয়ে এর মশৃন গাঁয়ে হাত বুলিয়ে দিতে।

কিন্তু ওল্ফটা নড়ে উঠায় ভয়ে কিছুটা দূরে সরে দাঁড়ায় ইভলিন। চোখ মেলে তাকায় ওল্ফটি। গাঢ় সবুজ বর্নের চোখ জোড়া ইভলিনের উপর স্থির তার।

অবাক করার বিষয় ওল্ফটা ওকে দেখে আক্রমন করলো না উল্টো অদ্ভুত ভাবে ওর দিকে তাকিয়ে রইলো। ইভলিন বুঝতে পারছে না যে ওল্ফটা কি ভাবছে কিন্তু ওল্ফটার চোখে যে কোনো হিংস্রতা নেই সেটা ও বুঝতে পারছে। মায়া ভরা দৃষ্টি নিয়ে তাকিয়ে আছে ওল্ফটা ইভলিনের দিকে।

হঠাৎ ইভলিনের চোখ যায় ওল্ফটার পায়ের দিকে। এর পা থেকে রক্ত বের হচ্ছে। এখন ইভলিন বুঝতে পারলো যে তখন বরফে লাল রঙের জিনিসটা এরই রক্ত ছিল।

ইভলিনঃ তুমি ব্যথা পেয়েছো?( নরম স্বরে )

ইভলিন আলতো পায়ে ওল্ফটার পাশে গিয়ে হাঁটু মুড়ে বসে পড়ে। ওল্ফটা চুপ করে আছে। ইভলিন নিজের গলার মাফলার টা খুলে সাবধানে ওল্ফটার পায়ে বেঁধে দিতে শুরু করে।

ইভলিনঃ আমার কাছে এই মুহূর্তে এটা ছাড়া কিছুই নেই। আশা করি এটা দিয়ে বাঁধলে তোমার রক্ত পড়া কিছুটা বন্ধ হবে।

বাঁধা শেষ করে ওল্ফটার দিকে তাকায় ইভলিন। অদ্ভুত এক দৃষ্টি নিয়ে তাকিয়ে আছে ওল্ফটি ওর দিকে।

ইভলিন উঠে দাঁড়ায়। ওল্ফটার দিকে তাকিয়ে একটা ঘন নিশ্বাস ফেলে বলে ও।

ইভলিনঃ আমি তোমার জন্য প্রে করবো। খুব শীঘ্রই ঠিক হয়ে যাবে।

ইভলিন পেছন ঘুরে যাওয়ার জন্য পা বাড়ায়। কিন্তু পরক্ষনেই কিছু একটা ভেবে ওল্ফটার দিকে ফিরে তাকায় ও। এখনো সেই অদ্ভুত দৃশ্য নিয়ে তাকিয়ে আছে সে ইভলিনের দিকে।

ইভলিন ওল্ফটার থেকে চোখ সরিয়ে নেয়। ব্যাগের বেলটা শক্ত করে ধরে বড় একটা নিঃশ্বাস ফেলে বাসার উদ্দেশ্যে পা বাড়ায় ও।

ইভলিন চলে যেতেই অদ্ভুত ভাবে ওল্ফটা মানুষে পরিণত হয়ে যায়। সাদা রঙের হাই কলার লং কোট পরিহত, গাঢ় কফি কালার চুল গুলো ঘার ছুঁইছুঁই। চোখ দু’টো গভীর আর মায়াবী কিন্তু একটু নিখুঁত ভাবে তাকালে বুঝা যাবে যে এ দৃষ্টিতে কতটা হিংস্রতা।

আধশোয়া অবস্থা থেকে উঠে বসে সে। হাতে ইভলিনের মাফলারটা বাঁধা। ঠোঁটের কোনে সরু হাসির রেখা ফুটে ওঠে তার‌। মাফলারটার বাঁধন খুলে হাতে নেয় সে। দু হাত দিয়ে গভীর স্পর্শ করে নিখুঁত ভাবে দেখছে সে মাফলারটাকে।

হঠাৎ অনেকগুলো পায়ের শব্দ শোনা যায়। অনেক গুলো ওল্ফ এক সাথে এসে দাঁড়ায় তার সামনে। মুহুর্তেই সব গুলো নিজের রুপ বদলে ওল্ফ থেকে মানুষে পরিণত হয়ে যায়। সকলের পরনে কালো রঙের পোশাক। তাদের মধ্যে একজন এগিয়ে আসে ছেলেটার দিকে তারপর বিচলিত কন্ঠে বলতে শুরু করে,,,

>> প্রিন্স! আপনি ঠিক আছেন? ক্ষমা করবেন আমরা দেরি করে ফেলেছি। কিন্তু আমরা ভাবিনি যে ভ্যাম্পায়াররা এভাবে হঠাৎ হামলা করে বসবে। সেদিন ভ্যাম্পায়ার কিং এর সাথে সমঝোতা করার পরেও তারা কিভাবে বিশ্বাস’ঘাতকতা করতে পারে? আমরা…

লোকটার কথার মাঝেই ছেলেটি ডান হাত তুলে তাকে চুপ করার ইশারা করে। সাথে সাথে লোকটি মাথা নিচু করে চুপ হয়ে যায়।

ছেলেটি মাফলার টা নাড়াচাড়া দিতে দিতে মৃদু স্বরে বলতে শুরু করে।

>> যা হয় ভালোর জন্যই হয়। যদি আজকে আমি আহত না হতাম তাহলে কখনো তাকে হয়তো পেতাম না। তার কোমল হাতের স্পর্শ, তার গভীর চোখের দৃষ্টি, তার ঠান্ডায় কাঁপা কাঁপা কন্ঠ, তার মায়াবী চাহনি,সব কিছু যেন অদ্ভুত সুন্দর। কিন্তু আমি তাকে হাসতে দেখিনি!( মন খারাপ করে ) তার ঠোঁটে হাসি ছিল না কেন? তার চোখে বিষন্নতা ছিল। কিন্তু তবুও তাকে মায়াবী লাগছিল। আচ্ছা যদি সে হাসে তাহলে তাকে আরও সুন্দর লাগবে তাই না?( প্রশ্ন করে ) আই হ্যাভ টু ফাইন্ড হার!

>> প্রিন্স! কার কথা বলছেন আপনি?( কনফিউজড হয়ে )

>> My Princess ! ( মৃদু হেসে )

>> প্রিন্সেস?( অবাক হয়ে ) কিন্তু আমাদের রাজ্যে শুধু আপনিই একমাত্র প্রিন্স। আর ভ্যাম্পায় রাজ্যে শুধু ভ্যাম্পায়ার কিং আর তার ছেলেরা। এখানে তো কোনো প্রিন্সেস নেই।

>> সে কোনো রাজ্যের প্রিন্সেস না লাইটো, সে আমার হৃদয়ের প্রিন্সেস। শী ইজ মাই প্রিন্সেস। প্রিন্স ইভিয়ান এর প্রিন্সেস! ( মাফলার টার দিকে তাকিয়ে )

এক সপ্তাহ পর,,,

লাইব্রেরী থেকে বাসায় ফিরছে ইভলিন। রোজের মতো আজও একই পথ দিয়ে হেঁটে ফিরছে ও। কিন্তু আজকে অন্যরকম লাগছে ইভলিনের কাছে। মনে হচ্ছে যেন কেউ ওকে ফলো করছে। গত এক সপ্তাহ ধরে এমনটা হচ্ছে ওর সাথে। কলেজ, লাইব্রেরী এমনকি বাড়িতেও মনে হয় কেউ ওর আশেপাশে আছে। খুব কাছ থেকে ওকে দেখছে। কিন্তু আশেপাশে খুঁজেও কাউকে পায়না ইভলিন। আজও তেমনটাই হচ্ছে।

অদ্ভুত ভয় কাজ করছে ইভলিনের মনে। বারবার পেছনে ফিরে তাকাচ্ছে ও কিন্তু কেউই নেই। অথচ নিজের পেছনে কারও উপস্থিতি ঠিকই অনুভব করছে ও।

রাস্তায় বরফ জমে আছে। তাই সাবধানে হাঁটতে হচ্ছে ওকে। আজকে গলায় মাফলার পড়েনি ইভলিন তাই ঠান্ডায় জমে যাচ্ছে গলা আর মুখ। আবারো পেছনে কারও উপস্থিতি পেয়ে ফিরে তাকায় ইভলিন। কিন্তু কেউ নেই। এতক্ষন ভয় লাগলেও এখন বিরক্ত লাগছে ওর কাছে। প্রথমতো এমন ঠান্ডা যা ওকে জমিয়ে দিচ্ছে আবার এমন বরফ জমে থাকা পিছলে রাস্তা। তারউপর এমন কারো লুকোচুরি যেন বিরক্তির সীমা অতিক্রম করে ফেলছে ইভলিনের।

পেছন ঘুরে আশেপাশে তাকিয়ে হঠাৎ জোর গলায় চেঁচিয়ে বলতে শুরু করে ইভলিন।

ইভলিনঃ কে তুমি? দেখো আমার এমন লুকোচুরি পছন্দ না। তাই যেই হও না কেন সামনে আসো আমার। যদি আমি খুঁজে বের করি তাহলে কিন্তু ভালো হবে না তোমার জন্য বলে দিলাম।

বাতাসের শো শো শব্দ ছাড়া কোনো শব্দই হচ্ছে না। ইভলিন আশেপাশে তাকিয়ে আবারো বলতে শুরু করে।

ইভলিনঃ আমি জানি তুমি এখানেই আছো। সামনে আসো আমার।

কথা গুলো বলতে বলতে পেছনের দিকে যেতেই হঠাৎ পিছলে পড়ে যায় ইভলিন। কিন্তু তখনই কেউ একজন ঝড়ের গতিতে এসে ওর হাত ধরে ফেলে।

ইভলিনের হাত ধরে এক টানে তাকে নিজের বুকের সাথে লেপ্টে নেয় সে।

আচমকা এমন হওয়ায় ঘাবড়ে যায় ইভলিন। চোখ খিঁচে বন্ধ করে নেয় ও‌। যে ইভলিনকে বাঁচালো সে অন্য কেউ নয় বরং ইভিয়ান।

ওর ভিতু মুখ দেখে হালকা হাসে ইভিয়ান। খিঁচে থাকা চোখ জোড়া আর কুঁচকানো কপাল ইভলিনের। ঠান্ডায় ঠোঁট জোড়া অনবরত কাঁপছে। ইভিয়ান গভীর দৃষ্টি নিয়ে দেখছে ইভলিনকে।

হঠাৎ ডান হাতের মোলায়েম মাফলার টা স্বযত্নে ইভলিনের গলায় পেঁচিয়ে দেয় ও। এভাবে কারো স্পর্শ পেয়ে ইভলিন পিটপিট করে চোখ খুলতেই সামনে ইভিয়ানকে দেখে চমকে যায়। ইভিয়ান হালকা হেঁসে ঘাড় বাঁকিয়ে ইভলিনকে বলে,,,

ইভিয়ানঃ ইভ!

এক ঝটকায় ইভিয়ানের থেকে সরে যায় ইভলিন। মুখে বিষ্ময় নিয়ে প্রশ্ন করে ও।

ইভলিনঃ ক কে তুমি?

ইভলিনঃ এতো জলদি ভুলে গেলে আমায় ইভ? ( মন খারাপ করে )

ইভলিনঃ ড্রামা বন্ধ করে আমার প্রশ্নের উত্তর দাও, কে তুমি? এতো দিন ধরে তুমিই আমাকে ফলো করছিলে তাই না?

ইভিয়ানঃ হ্যাঁ।( মাথা নাড়িয়ে )

ইভলিনঃ কেন?

ইভিয়ানঃ Be my princess…. মৃদু হেসে হাত বাড়িয়ে দিয়ে।

ইভলিন ইভিয়ানের দিকে অবাক দৃষ্টিতে তাকিয়ে আছে। যেন ওর কথাটা মাথার উপর দিয়ে গেল ইভলিনের।

To be continued…..

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here