Black Rose season_02,Part_03

1
3848

Black Rose season_02,Part_03
The Dark Prince of Vampire Kingdom♚
MeghLa

আদ্রিয়ান ভাইয়া ক্লাসে এসে সুন্দর ভাবে ক্লাসটা করিয়ে বেরিয়ে গেলেন৷
আমার দিকে একটা বার তাকায়নি।
ওনার ইগনোর গুলো আমার সহ্য হচ্ছে না৷
অনেক খারাপ লাগে।
কেন এমন করছে কি দোষ আমার৷
কলেজ শেষ। সব গুলো ক্লাস আমি সুন্দর ভাবে শেষ করেছি৷
এখন বাইরে আসলাম রুহির সাথে বাসার উদ্দেশ্যে রওনা হবো৷
আমার গাড়ি এখনো আসে নি৷
আমরা ক্লাস থেকে বাইরে এসে দাঁড়িয়েছি৷
এমন সময় চোখ পড়লো একটা ছেলের দিকে৷
এই গরমে হুডি পরিধন কৃত ছেলেটি৷ হাটছে নিচের দিকে তাকিয়ে তবে তাকে দেখে ভেতর অদ্ভুত একটা ব্যাপার কাজ করছে।
সাথে তার পেছনের গার্ড গুলো আছে।
অনেক বড়ো মাপের কেউ হয় তো৷
এতো গরমে এভাবে কেউ বের হয়৷
ছেলেটি আমার পাশ কাটিয়ে যাবার সময় হটাৎ কাল রাতের কথা মনে হলো৷
ঠিক ওই রকম শীতল বাতাস আর সেই স্মেল আসছে।
আমি কিছুটা অবাক। কিছুটা বললে ভুল হবে পুরোটাই অবাক।
–রুহি।
–হুম বল।
–এটা কে ছিলো
–জানি না রে তবে দেখতে কিন্তু আমাদের নতুন স্যারের থেকেও কিউট৷
–ধুর তোর কিউটের খাতায় আগুন৷
শুনি এক বলিস আরেক৷
–আমি কি জানি সে কে।
–কাকে চেনা চিনি হচ্ছে৷
হটাৎ আদ্রিয়ান ভাইয়ার কন্ঠ শুনে বুকের মধ্যে ধুক করে উঠলো৷
–কিছু না
–আমি তো কিছু শুনলাম।
–না ভাইয়া কিছু,
–নতুন স্যার তোর ভাই হয় আদ্রিজা আগে বলবি না।
–রুহি প্লিজ stop.
–নো টিচার হলো টিচার জাস্ট টিচার কোন ভাই নোই৷
ভাইয়ার কথায় রুহি মাথা নিচু করে
বললো,
–সরি স্যার।
–আদ্রিজা বাবাই তোমাকে নিয়ে যেতে বলেছে চলো
বলেই হাটা শুরু করলেন৷
আমিও রুহিকে বিদায় জানিয়ে চলে এলাম৷
কিন্তু মনের মাঝে শুধু একটা প্রশ্ন আসছে ছেলেটা কে ছিলো৷ ।
উফ আমার এতো আগ্রহ কেন জাগছে৷
যে হয় হোক৷ ।
ভাবতে ভাবতে খেয়াল করলাম আমরা একটা অচেনা রাস্তায় এটা তো বাসার রাস্তা নয়৷
–এটা কোন রাস্তা৷ ।
বাসার রাস্তা নয় এটা৷
আমার কথা শেষ হতে আদ্রিয়ান ভাইয়া গাড়ি থামিয়ে দিলেন৷
–নাম৷
–মানে৷
–মানে গাড়ি থেকে নাম৷
–এখানে নেমে কই যাবো৷
আমার কথায় ভাইয়া নিজে বার হয়ে বাইরে এসে আমার হাত ধরে বার করলেন আমাকে।
–কি করছেন।
–দেখতে পাবি৷
আমাকে টানতে টানতে একটা নির্জন যায়গায় নিয়ে এলো৷
–এখানে কেন এসেছি
–তোকে রেখে যাবো এখানে
–কেন আমি কি করছি (কেঁদে দিয়ে)
–কি করছিস জানিস না তুই৷ এই সব ন্যাকামো বাদ দে৷
–আমি বাবাই কে বলে দিবো কিন্তু সব (কেঁদে দিয়ে)
–কি বলবি তুই এই কি বলবি
ভাইয়া আমার হাতটা ধরে একটা গাছের সাথে চেপে ধরলেন৷
–আহ (ব্যাথা পাইছি)
–তুই কি সত্যি আমাকে বুঝিস না আদ্রিজা৷
সত্যি আমাকে বুঝিস না৷
ওনার কথা শুনে ওনার দিকে তাকিয়ে আছি৷
কেমন একটা করুন শুরে বলছে৷
–মানে।
আমার মাথার সাথে মাথা ঠেকিয়ে কিছু সময় নিরবে চোখের পানি ফেললেন।
কথায় আছে ছেলেরা নাকি কাঁদে না৷
তাহলে ভাইয়া এতো কঠিন একটা মানুষ কেন কাঁদছে৷
সত্যি কি আমি এমন কিছু করেছি যার জন্য উনি আমাকে সহ্য করতে পারছে না৷
সত্যি আমি কি করেছি।
কিছুই মাথায় আসছে না৷
নিরবতা ভেঙে ভাইয়া আমাকে নিয়ে চলে এলেন বাসায়৷
রাস্তায় একটা কথাও হয় নি৷
বাসায় এসে নিজের মতে রুমে চলে গেল।
সত্যি সবটা গোল মেলে লাগছে৷
কি হচ্ছে আমার সাথে আমি কি করেছি৷
আমাকে বার করতে হবে।
কি হইছে।
এভাবে থাকা যাবে না।
আমাকে সব সত্যি বার করতে হবে৷
রাতে খাবার শেষে সবাই রুমে চলে এলাম৷
ভাইয়া নাকি ঘরে খাবার খেতে চাইছে মনি বললো।

রুমে এসে জানালার পাশে দাড়িয়ে ভাবছি কি করা যায়৷
ঠিক এমব সময় সেই শীতল হওয়া বোধ হচ্ছে।
সাথে সেই গন্ধ টা৷
পেছনে কেউ আছে৷
আমি পেছনে তাকাতে,

চলবে,।

1 COMMENT

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here