Deewana (A Crazy lover)Part:6

0
7616

Deewana (A Crazy lover)Part:6

Writer: urme prema (sajiana monir)

মাওয়া মুন সানজিদা রশ্নি দূর থেকে দেখে যেই সাথে সাথে সায়রার কাছে হেল্প করতে আসছিল তার আগেই আরসাল এসে পরে।আরসালের এই শান্ত ব্যবহার দেখে মাওয়া বলতে লাগে

মাওয়া:আরসাল ভাইয়া এত শান্ত কি করে?(অবাগ হয়ে)

মুন :এই শান্তি ঝড়ের পূর্বআবাশের শান্তি ।আজ যে কার উপর দিয়ে ঝড় যাবে খোদা জানে

বাড়িতে…..

আরসাল spreed এ গাড়ি চালিয়ে বাড়িতে এসে পরে ।রাস্তায় সায়রার সাথে কোন কথা বলে নি ।সায়রা চুপচাপ বসে আছে সে জানে আরসালের রাগ সম্পর্কে তার ভালোই ধারনা আছে।সাধারনত কোনো ছেলেক সাথে কথা বলতে দেখলে আরসাল তুফান তুলে দেয়।আর আজ শোহান তার হাত ধরার সাহস করেছে আজ তো খবরই আছে ।খোদাকে ডাকতে ডাকতে সায়রা বাড়িতে এসে পৌছায়।আরসাল বাড়ির সামনে গাড়ি থামায়।সায়রার সেদিকে কোন খেয়ালই নেই।আরসাল সামনের দিকে তাকিয়ে বলে

আরসাল: নামো

সায়রা:হুম (অভাক হয়ে)

আরসাল:বাড়িতে এসে গেছি নামো(দাতেঁ দাতঁ চেপে)

সায়রা:(চারদিকে তাকিয়ে দেখে )ও বাড়ি এসে গেছি (আমতা আমতা করে)

আরসাল আর সায়রা বাড়ির ভিতরে চলে যায়।ভিতরে গিয়ে দেখে মুমতাহা খাঁন রেডি হয়ে সোফায় বসে আছে।সায়রা আর আরসালকে দেখে বলতে লাগে

মুমতাহা খানঁ:তোমরা এসে গেছো তোমাদের জন্যই ওয়েট করছিলাম।আসলে আফনাফের ক্লাইন্ডের মেয়ের বিয়ে সেখানে এটেন্ড করতে হবে ।তোমরাও রেডি হয়ে নেও ।

সায়রা:actually বড়মা আমি খুব টায়ার্ড আমি যেতে পারবো না তোমারা সবাই যাও ।আমি বাসায় থাকবো।

মুমতাহা খানঁ :ওকে মা তুই রেস্ট নে ।বাসায় রহিমা(কাজের লোক)আছে কোনো কিছু দরকার হলে ওকে বললে ও দিবে ।আমাদের ফিরতে রাত হবে ।

সায়রা:ওকে মা

আরসাল:মা আমি যাবো না (বলেই রেগে নিজের রুমে চলে যায়)

মুমতাহা খানঁ আর সায়রা আরসালের যাওয়ার দিকে তাকিয়ে থাকে ।মুমতাহা খাঁন সায়রার দিকে তাকিয়ে বলতে লাগে

মুমতাহা খানঁ :আরসালের কি হয়েছে?তোমাদের ঝগড়া হয়েছে?

সায়রা:না বড়মা ঝগড়া হয়নি(আমতা আমতা করে )

মুমতাহা খাঁন:চিন্তা করো না সব ঠি ক হয়ে যাবে হয়তো কোন ব্যপার নিয়ে রেগে আছে।

মুমতাহা খাঁন আর আফনাফ খাঁন চলে গেল ।সায়রা নিজের রুমে গিয়ে শাওয়ার নেয় ।শাওয়ার নিয়ে যায় ।নিচে গিয়ে আরসালকে না দেখে রহিমাকে জিগাসা করে

সায়রা:আপু উনি কই

রহিমা:কে ভাই ।ভাইতো একটু আগে বায়রে গেছে

সায়রা :ও কোথায় গিয়েছে আপনি কি জানেন

রহিমা:না আপা তা তো জানিনা ।কইয়া যায় নাই কিছু

সায়রা:আচ্ছা ঠিক আছে।

সায়রা নিজের জন্য কফি বানিয়ে উপরে চলে যায় নিজের রুমে বারান্ধায় বসে আনমনেই ভাবতে লাগে

সায়রা:আজ উনি কিছু বললো না হয়তো সে বদলিয়ে গেছে।হয়ত বাহিরে ৬ বছর থেকে পাগলামো কমেছে ।উনার মধ্যে পরিবর্তন এসেছে।যাক এখন হয়তো সব কিছু ঠি ক হবে।উনি নিজের রাগের উপর কন্ট্রোল করতে পারে ।এখন আর আগের মত পাগলামো করবে না ।উনার ঐ পাগলামো রাগি রূপটা কে আমার খুব ভয় করে ।এখন হয়তো আস্তে আস্তে সব ঠি ক হবে ।সব স্বাভাবীক হবে(মনে মনে খুশি হয়ে)

আনমনে এসব ভাবছে ।হঠাৎ সায়রার ফোনের রিংটনে সায়রার ধ্যান ভাংলো।সায়রা তাকিয়ে দেখে মাওয়া কল করেছে মুচকি হেসে ফোন রিসিভ করে

সায়রা:হ্যালো মায়ু

মাওয়া:হ্যালো সায়রু (ভয়ে হাপাতে হাপাতে )

সায়রা:মায়ু কি হয়েছে তুই ?তোর কন্ঠ এমন লাগছে কেন?হাপাচ্ছিস কেন?

মাওয়া:সায়রু কে জানো শোহান কে মেরেছে হাত ,পা ভেঙ্গে দিয়েছে।ক্রিটিকাল অবস্থা হসপিটালে এডমিট ।ভাইয়া বললো কোন এক হুডি পরা লোক মুখ মাস্ক দিয়ে ডাকা ছিল এসে শোহানকে university র মাঠে সবার সামনে মেরেছে এভাবে ।

সায়রা চুপ করে আছে সায়রার বুজতে বাকি রইলো না এটা কার কাজ।সায়রা ফোন কানে ধরে স্থব্দ হয়ে রয়েছে।

মাওয়া:সায়রু তুই শুনছিস আমি কি বলছি?

সায়রা:মায়ু আমি তোর সাথে পরে কথা বলবো ।বায়

মাওয়া:ওকে বায়

সায়রা ফোনটা রেখে স্থব্দ হয়ে বসে রইলো।আর বলতে লাগলো

সায়রা:জানি আপনি কখনো ঠি ক হবেন না।কখনো স্বাভাবীক হবেন না ।আমারই ভুল ছিল আমি ভেবেছি হয়তো আপনি ৬ বছরে পরিবর্তন হয়েছেন।কিন্তু না আপনি সেই আগের মতই রয়ে গেছেন ।(কান্না করতে করতে)

বাহিরে প্রচুর বৃষ্টি হচ্ছে ।আরসাল বাড়িতে এসে নিজের রুমে চলে যায়।রুমে গিয়ে দেখে সায়রা মাথা নিচু করে বসে আছে রুমের ভিতরে প্রবেশ করতেই।সায়রা আরসালের দিকে অগ্নিদৃষ্টিতে তাকিয়ে বলতে লাগে

সায়রা:শোহানকে মারতে গিয়েছিলেন?

আরসাল:(থতমত খেয়ে)কে..কে শোহান?কি বসছো?

সায়রা:আপনি যাকে এখন মেরে হসপিটালে পাঠিয়েছেন।

আরসাল:কি বলছো এসব ?আমি কাউকে কেন মারবো?

সায়রা:একদম না জানার ভাব করবেন না ।আপনি এখন সোহানকে মারতে গিয়েছিলেন আর আমি তা খুব ভালো করে জানি(রেগে আরসালের কাছে এসে চিৎকার করে)

আরসাল সায়রার হাত জোরে ধরে দেয়ালের সাথে চেপে দোড়ে চিৎকার করে বলতে লাগে

আরসাল :ও তাহলে তুমি জেনে গেছো?হুম আমি মেরেছি শেহানকে ।ওর ভাগ্য ভালো ওকে জানে মারিনি ।ওকে তো জানে মারার দরকার ছিল।ওর সাহস কি করে হয় তোমাকে স্পর্শ করার তুমি শুধু আমার তোমাকে শুধু আমি স্পর্শ করবো।অন্য কেউ তোমার দিকে চোখ তুলে তাকালে তার চোখ উঠিয়ে ফেলবো ।ও তোমাকে যে হাত দিয়ে ধরেছে সারাজিবনের জন্য সেই হাত অকেজো করে দিয়েছি।পা ভেঙ্গে দিয়েছি যাতে তোমার সামনে আর দাড়াতে না পারে।ওকে যদি আমি জানে মারতে পারতাম তাহলে আমার মনে শান্তি পেতাম।কিন্তু আফসুস universityতে প্রফেসরা মাঝে এসে বাধাঁ দিয়েছে তা না হলে ঐ জানোয়ারকে জানে মেরে ফেলতাম ।(এক হাতে চুলে ধরে আরো কাছে এনে অন্যহাতে সায়রার আরেক হাত আরো জোরে ধরে বলতে লাগে) কেন ওকে মেরেছি বলে তোর জ্বলছে?কষ্ট লাগছে?তুই আমার কত বার বললে তুই বুজবি যে তোর উপর শুধু আমার অধিকার ।তোর সব জায়গায় স্পর্শ করার অধিকার শুধু আমার।তুই যদি আমার কাছ থেকে দূরে যাবার চেষ্টা করিস তোকে মেরে নিজেও মরে যাবো।

সায়রা ব্যথায় চোখ বন্ধ করে আছে ।চোখ থেকে জল গড়িয়ে পড়তেই আরসাল সায়রার দিকে লক্ষ করলো ব্যথায় কুকড়িয়ে আছে।হাতে আরসালের হাতের দাগ বসে গেছে নোখ ডেবে গেছে।আরসাল সায়রাকে ছেড়ে দিয়ে ।বেডে বসিয়ে হাতে মেডিসিন লাগিয়ে দেয়।আর বলতে লাগে

আরসাল :(পাগলের মত করে সায়রার দু গালে হাত রেখে )সরি জান আমি ইচ্ছা করে নি।আমার তোমাকে কষ্ঠ দেবার কোন ইচ্ছাই ছিল না রাগের মাথায় এসব করে ফেলেছি ।কেন যে নিজের রাগের উপর কন্ট্রোল করতে পারিনা ।সরি প্লিজ এবারের মত ক্ষমা করে দেও কখনো এমন কিছু করবো না।আই প্রমিজ কখনো তোমাকে কষ্ট দেবনা এবারের মত ক্ষমা করে দেও।প্লিজজজ জান।

সায়রা কোন কিছু না বলে আরসালকে ধাক্কা দিয়ে কান্না করতে করতে চলে যায়।আরসাল রেগে ঘরের সকল কিছু ভেংতে থাকে ।আর বলতে লাগে

আরসাল:আবার সেই একই ভুল করেছি ।৬ বছর আগে যে ভুলের জন্য ও আমার থেকে দূরে সরে গিয়েছিল আজ আবার ও তা করেছি।আবারো ওকে কষ্ট দিয়ে ফেলেছি ।কেন নিজের রাগের উপর কন্ট্রোল করতে পারিনা।ওকে আবারো আঘাত দিয়ে ফেলেছি আমাকে এর শাস্তি পেতেই হবে।

আরসাল যে হাতে সায়রাকে আঘাত করেছে সে হাত দিয়ে পাশে জানালার থ্রাুইয়ে বারি দেয় থ্রাইয়ের কাচ ভেঙ্গে হাতে লেগে রক্ত ঝোড়তে লাগে।হঠাৎ সায়রার কথা মনে পড়তেই পাগলের মত করে সায়রাকে খুঁজতে থাকে।সারা বাড়ি পাগলের মত করে খুঁজে কিন্তু পায় না।

ছাদে……

সায়রা বাহিরের দিকে মুখ ফিরে তাকিয়ে আছে ।অঝোরে কান্না করছে আজ আরসালের এমন ব্যবহারে সে খুব কষ্ট পেয়েছে।সন্ধ্যার সময় আঝোর দ্বারায় বৃষ্টি ঝরছে বৃষ্টির পানিগুলো চোখের পানি গুলোকে আরাল করছে।হঠাৎ তাকে কেউ পিছন থেকে গভীর ভাবে জরিয়ে ধরলো।তার বড় বড় নিশ্বাস সায়রার ঘাড়ে পড়ছে বোঝাই যাচ্ছে খুব ভয় পেয়েছে।সায়রা বুজতে বাকি রইলো না আরসাল সায়রাকে জরিয়ে ধরেছে।সায়রা ছাড়ানোর চেষ্টা করলো কিন্তু আরসাল আগের তুলনায় আরো বেশি গভীর ভাবে জরিয়ে ধরলো।দুজনেই বৃষ্টিতে ভিজছে চারদিকে বৃষ্টির কারনে কিছু দেখা যাচ্ছেনা।আরসাল ঘাড়ে মুখ ডুবিয়ে বলতে লাগলো

আরসাল :তুমি এখানে আমি তোমাকে পাগলের মত খুজঁছি।কতটা ভয় পেয়েছি তুমি জানো?ভেবেছি চলে গেছ।সরি জান ।আমার তোমাকে আঘাত করার কোন ইচ্ছা ছিল না।রাগের বসে করে ফেলেছি।সরি(নেশা ভরা কন্ঠে)

সায়রা:(শান্ত ভাবে)আপনার এই রাগটাকে খুব ভয় পাই।৬ বছর আগে ঠিক এ কারনেই আপনার কাছ থেকে দূরে চলে গিয়েছিলম ।আমার আপনার এই রূপকে খুব ভয় করে।ভেবেছি হয়তো ৬ বছরে আপনার পরিবর্তন হয়েছে কিন্তু আমি ভূল ছিলাম কারন আপনি কখনো পরিবর্তন হবেনা।তাই আপনার থেকে দূরে সরে যাওয়াই ভালো।

আরসাল:সরি জান প্লিজ আমার থেকে দূরে সরে যেও না।তোমাকে ছাড়া আমি বাচঁবো না।তুমি যা বলবে তাই হবে ।আমি আর কখনো তোমার উপর রাগ করবো না।কি করবো বলো তোমার সাথে অন্য কাওকে দেখলে আমার সয্য হয়না ।ইচ্ছে করে শেষ করে ফেলি সব প্রচুর রাগ হয় ।তাই রাগের মাথায় তোমাকে কষ্ট দিয়ে ফেলি।তোমাকে কষ্ট দেব না।নিজের রাগের উপর কন্ট্রোল করার চেষ্টা করবো।আর কখনো এমন কাজ করবো না। আমাকে ছেড়ে যেও না প্লিজজজ জান।তোমাকে ছাড়া বাচবো না।

সায়রা কোন কথার উওর দিলো না আরসালের এই পাগলামো ভালোবাসার উওর তার কাছে নেই হঠাৎ আরসাল সায়রাকে কলে উঠিয়ে নেয়।সায়রাকে হঠাৎ কলে নেওয়া ঝোক সামলাতে না পেরে আরসালের গলা জরিয়ে ধরে।আরসাল বলতে লাগে

আরসাল:অনেক বৃষ্টি বেশি ভিজলে অসুস্থ হয়ে যাবে।

সায়রা আর কোন কথা বাড়ালো না ।আরসাল সায়রাকে সায়রার রুমে নিয়ে গিয়ে সায়রার মাথা মুছে দিলো।তার পর কাবার্ড থেকে ড্রেস বের করে দেয় ।বলে

আরসাল:চেন্জ করে নেও

সায়রা কোন কথা বললো না শুধু তাকিয়ে আরসালকে দেখছে।কে বলবে যে মানুষটি এতো কেয়ার করে তার একটা ভয়ংকর রুপ ও আছে?এ কেমন ভালোবাসা ?একটু আগের সেই আরসাল আর এখনকার আরসালের মধ্যে আসমান জমিন তফাৎ।একটা মানুষের কিভাবে এমন দুটো রূপ হতে পারে?
সায়রা কথা না বাড়িয়ে ড্রেস চেন্জ করতে চলে গেল ওয়াশরুমে ।ড্রেস চেন্জ করে বের হয়ে দেখে আরসাল ড্রেস চেন্জ করে কফি হাতে বসে আছে অপেক্ষা করছে।সায়রা বের হতেই আরসাল বলতে লাগে

আরসাল:আজ অনেক বৃষ্টিতে ভিজেছো কফিটা খাও ভালো লাগবে।মাথা ব্যথা করবে না।

সায়রা:না দরকার নেই

আরসাল:দরকার আছে আমি জানি তোমার বৃষ্টিতে ভিজলে প্রবলেম হয় মাথা ব্যথা করে অসুস্থ হয়ে যাও

সায়রা কথা না বাড়িয়ে কফির মগটা নিতে গিয়ে দেখে আরসালের হাত কাটা।রক্ত জমাট বেধেঁ আছে।সায়রা আরসালের হাত ধরে উত্তেজীত হয়ে বলতে লাগে

সায়রা:হাত কাটলো কি করে?

আরসালের হাত থেকে কফির মগটা সাইডে রেখে আরসালকে বেডে বসিয়ে ।আরসাল শুধু সায়রাকে দেখছে মুগ্ধ নয়নে সায়রা মেডিসিন লাগাতে লাগাতে বলতে লাগে

সায়রা:কি হলো বলছেন না কেন হাত কাটলো কি ভাবে?

আরসাল:যে হাত দিয়ে তোমাকে কষ্ট দিয়েছি সে হাতকে তো শাস্তি দিতেই হবে।তোমাকে যে জিনিস কষ্ট দিবে তাকে শাস্তি পেতে হবে ।

সায়রা:আপনি পাগল?

আরসাল :হুম তোমার জন্য।এমন ব্যথা পেলে যদি তুমি আমার এমন কাছে থাকো তাহলে আমি হাজার বার এমন আঘাত পেতে চাই।তোমাকে কাছে পেলে এমন হাজারো আঘাত কিছু না।আই লাভ ইউ জান (কানের কাছে মুখ এনে নেশা ভরা আবেগী কন্ঠে)

সায়রা আরসালের দিকে তাকায় ।আরসাল মনে মনে বলতে লাগে

আরসাল:তুমি মুখে না বললেও তোমার চোখে আমার জন্য ঠি কই ভালোবাসা দেখতে পাই।খুব তারাতারি তোমার মনের কথা তোমার মুখে প্রকাশ করাবো।তুমি নিজে আমাকে লাভ ইউ বলবে প্রমিজ (মুচকি হাসি দিয়ে)

চলবে…
❤️❤️❤️❤️

Plz সবাই সবার মতামত জানাবেন???

Thanks for supporting me ❤️❤️❤️

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here