Deewana (A crazy lover)Part:7

0
6762

Deewana (A crazy lover)Part:7

Writer: urme prema (sajiana monir)

আরসাল:তুমি মুখে না বললেও তোমার চোখে আমার জন্য ঠি কই ভালোবাসা দেখতে পাই।খুব তারাতারি তোমার মনের কথা তোমার মুখে প্রকাশ করাবো।তুমি নিজে আমাকে লাভ ইউ বলবে প্রমিজ (মুচকি হাসি দিয়ে)

আরসাল নিজের রুমে চলে যায়।আরসাল নিজের রুমে গিয়ে ভাবতে থাকে কি ভাবে সায়রার মুখ থেকে লাভ ইউ কথাটা শুনবে ।সায়রাকে কি ভাবে নিজের থেকে আরসালকে নিজের মনের কথা বলবে ।হঠাৎ আরসালের মাথায় প্লান আসে । রিদ্ধিকে কল করে ।রিদ্ধির সাথে কথা বলে বলতে লাগে

আরসাল:জান তোমাকে তো তোমার মুখ থেকে লাভ ইউ কথা বলাবোই আমি।তুমি নিজে থেকে আমাকে বলবে তুমি আমাকে ভালোবাসো ।নিজেই নিজের মনের কথা বলবে আমাকে কাল থেকে আমার প্লানের প্রথম ধাপ শুরু করবো।(ডেবিল হাসি দিয়ে)

সকালে……

সায়রার ফোন বেজে চলছে ।সায়রা চোখ বন্ধ করেই হাত দিয়ে ফোন খুজেঁ রিসিভ করে ঘুম ঘুম কন্ঠে বলতে লাগে

সায়রা:হ্যালো

রিদ্ধি:হ্যালো সায়রু

সায়রা:হুম দি বলো

রিদ্ধি:তুই এখনো ঘুমে ?

সায়রা:তো কি করবো দি ?ভোরে কেন ফোন করেছো দি?(আদুরে গলায়)

রিদ্ধি:মেম এখন সকাল ৯:৩০

সায়রা :(লাফ দিয়ে উঠে)কিইইইইইই ৯:৩০ বাজে আর আমি এখনো পড়ে ঘুমোচ্ছি বড় মা কি ভাববে (মুখ বাচ্চাদের ফেসের মত করে কাদো কাদো গলায়)

রিদ্ধি:বেশি কিছু ভাববে না আন্টি ভাববে তার হবু বৌমা অলস (হাসতে হাসতে)

সায়রা :দি প্লিজ হাসি বন্ধ কর। মজা নিও না তো আমি টেনসনে আছি আর তুমি মজা নিচ্ছ ?(রেগে)

রিদ্ধি:ওকে বাবা সরি।যা বলতে ফোন করেছিলাম তা তো বলাই হয়নি

সায়রা:হুম দি বলো

রিদ্ধি:আমি ১ ঘন্টার মধ্যে এখানে আসছি প্রথমে ডিজাইলার শোরুমে যাবো বিয়ের লেহেঙ্গার জন্য, তার পর সবাই একসাথে শপিং করে সারাদিন ঘুরে ডিনার করে বাসায় ফিরবো।দিয়া ,মুন ,রশ্নি,মাওয়া,সানজিদা ,আরসাল,সায়ন ,সিফাত(সায়নের ভাই) ,রোহান(সায়নের ফ্রেন্ড) ওরা সবাই যাবে অনেক দিন হয়েছে সবাই একসাথে আড্ডা দেই না তাই ভাবলাম এই সুযোগে ছোট গেট টুগেদার ও হয়ে যাবে।তুই রেডি থাকিস লেট যেন না হয়।

সায়রা:ওকে দি রেডি থাকবো ।আর থেংকস দি ফোন দিয়ে ঘুম থেকে উঠানোর জন্য না হলে দেখা যেত আমি বেহুস হয়ে পড়ে ঘুমাতাম।

রিদ্ধি:ইউ আর মোস্ট ওয়েলকাম বালিকা বধূ

সায়রা:ও হো দি আবার বালিকা বধূ ?(রেগে)

রিদ্ধি:কি করবো বল?তোর সাথে এই নামটাই পার্ফেক্ট ।(হেসে)

সায়রা:ওকে দি রাখছি বায়(নাক ফুলিয়ে)

রিদ্ধি :বায়

সায়রা ফোন কেটে শাওয়ার নিয়ে তারাতারি রেডি হয়ে নিচে যায়।নিচে গিয়ে দেখে আরসাল ,মুমতাহা খানঁ ,আফনাফ খানঁ ব্রেকফাস্ট করছে।সায়রা কাছে গিয়ে বলতে লাগে

সায়রা:গুড মর্নিং(মুচকি হেসে)

আফনাফ খাঁন:গুড মর্নিং মা

সায়রার কথা শুনে আরসাল তাকায় ।সায়রাকে দেখে আরসাল হা হয়ে আছে।চোখই ফিরাতে পারছেনা।অসম্ভব সুন্দর লাগছে।ডার্ক ব্লু ড্রেসে আর সব সময়ের মত নজর কারা সাজে অসম্ভব সুন্দর লাগছে পুরো পুতুল।আরসালের আসে পাশের কোন খেয়াল নেই ।হঠাৎ সায়রা মুমতাহা খানঁকে বলতে লাগে

সায়রা:সরি বড়মা আমার আজ ঘুম থেকে উঠতে খুব লেট হয়ে গেছে(মন খারাপ করে)

মুমতাহা খাঁন: পাগলি মেয়ে এতে মন খারাপ করা লাগে নাকি?আরসাল আমাকে বলেছে তোমার মাথা ব্যথা ছিল

সায়রা আরসালের দিকে তাকায় আরসাল সায়রাকে তাকাতে দেখে চোখ নামিয়ে ব্রেকফাস্টে করতে লাগে।মুমতাহা খাঁন বলতে লাগে

মুমতাহা খানঁ:সায়রা মা তুই ও ব্রেকফাস্ট করে নে ।

সায়রা:ওকে বড়মা।আসলে বড়মা একটু পর রিদ্ধি দি আসবে শপিং করতে যাবে।আমি কি যাবো বড় মা?(আমতা আমতা করে নিচের দিকে তাকিয়ে)

মুমতাহা খাঁন:অবশ্যই যাবে ।

সায়রা:থেংকস বড়মা (উপর দিকে তাকিয়ে খুশি হয়ে)

আরসাল :মা আমিও যাচ্ছি আজ সাই একসাথে হবে ।আর তাছাড়া আমার এক ফ্রেন্ডের আসবে তার সাথে দেখা করবো ।

মুমতাহা খানঁ:ওকে যা তোরা ঘুরে আয়।

ব্রেকফাস্ট করে সায়রা মুমতাহা খানেঁর সাথে বসে গল্প করছিল ।হঠাৎ আরসালকে রেডি হয়ে নামতে দেখে সায়রা হা হয়ে তাকিয়ে থাকে।আরসালকে সব সময় থেকে আজ যেন শত গুন বেশি হেন্ডসাম লাগছে।ডার্ক চকলেট কালার শার্ট ,হাতে ব্রেন্ডেড ওয়াচ ,চুলগুলো স্পাইক করা পুরো ফরমাল লুক ।সায়রা বড় সড় ক্রাশ খেয়েছে।আরসাল সায়রাকে দেখে বাকাঁ হাসি দেয় সায়রা নিজেকে সামলিয়ে নিচের দিকে তাকায়।এর মাঝেই রিদ্ধি ,রশ্নি আর সায়ন আসে ।রিদ্ধি বলতে লাগে

রিদ্ধি:(সালাম দিয়ে )কেমন আছেন আন্টি ?

মুমতাহা খানঁ :(সালামের উওর নিয়ে)ভালো মা।তুমি কেমন আছো?

রিদ্ধি:ভালো

মুমতাহা খানঁ:কেমন আছো সায়ন?

সায়ন:ভালো আন্টি।

রিদ্ধি:(আরসালের দিকে তাকিয়ে)আজ তো খুব হেন্ডসাম লাগছিস কি ব্যপার

আরসাল:আজ স্পেশাল ফ্রেন্ডের সাথে দেখা করবো হেন্ডসাম তো লাগতে হবেই(সায়রার দিকে তাকিয়ে)

সায়রা:কে এমন স্পেশাল যার জন্য এত তার সাজগোজ যেই হোক আমার কি?(মুখ ভেংচি দিয়ে মনে মনে )

রশ্নি:কিরে কোন ভাবনায় ডুবে আছিস ?(ধাক্কা দিয়ে)

সায়রা:না না কিছু না ।

সবাই রওনা দেয়। প্রথমে ডিজাইনার শোরুমে যায়।

ডিজাইনার শোরুমে…….

রিদ্ধি লেহেংঙ্গার ডিজাইন দেখছে তাই সায়রা আর রশ্নি হেল্প করছে।আরসাল আর সায়ন শেরোয়ানি দেখছে।হঠাৎ শোরুমের স্টাফ সায়রার দিকে একটি লেহেঙ্গা ধরলো আর বলতে লাগলো

স্টার্ফ:মেম আপনি এটা ট্রায় করে দেখতে পারেন ।আপনাকে এই লেহেঙ্গাটা খুব মানাবে

সায়রা:নো নিড।লেহেঙ্গটা খুব সুন্দর কিন্তু আমি অলরেডি একটা নিয়েছি।(মুচকি হেসে)

স্টার্ফ:ওকে মেম

আরসাল এতসময় ধরে সব দেখছিল।লেহেঙ্গাটা আরসালের ও খুব পছন্দ হয়েছে সায়রার জন্য।সায়রাকে খুব মানাবে।রিদ্ধি আর সায়ন মেচিং করে বিয়ের জন্য একই কালারের ড্রেস নিলো।বিল পে করে পার্কিং সাইডে আসতেই আরসাল বলে

আরসাল:guys আমি আমার ক্রেডিট কার্ড ভিতরে রেখে এসেছি। আমি আসছি

সায়ন :ওকে যা আমরা গাড়িতে আছি

আরসাল শোরুমে গিয়ে সায়রার জন্য সেই লেহেঙ্গাটা নেয়।বিল পে করে বাহিরে এসে গাড়িতে বসে । আরসালের ব্যাগ গাড়ির ঢিকিতে রেখে ।ড্রাইবিং সিটে বসে ।সায়রা একবার আরচোখে দেখে আবার চোখ ফিরিয়ে বাহিরের দিকে তাকায়।আরসাল গাড়ি স্টার্ড দেয়।রিদ্ধিরা আগেই এসে গেছে।তাছাড়া মুন দিয়া সানজিদা মাওয়া ওরা সরাসরি university থেকে শপিং সেন্টারে এসেছে।কিছু সময় পর রোহান সিফাত ও আসে ।আরসাল গাড়ি পার্কিং এরিয়াতে থামায়।আরসাল সায়রার দিকে তাকিয়ে বলতে লাগে

আরসাল:তুমি ভিতরে যাও ।আমি আমার ফ্রেন্ডকে নিয়ে আসছি।

সায়রা:ওকে

সায়রা ভিতরে যেতে বলতে লাগলো

সায়রা:কি এমন স্পেশাল ফ্রেন্ড যাকে তার রিসিভ করার জন্য বাহিরে ওয়েট করতে হবে?সে কি ছোট বাচ্চা নাকি যে একা আসতে পারবে না? যতসব আদিক্ষেতা (রাগে ফুসতে ফুসতে)

শপিং সেন্টারে….

সায়রা:হায় এভরিওয়ান

মাওয়া:হ্যালো।আরসাল ভাইয়া কই?

সায়রা:পার্কিং এরিয়াতে উনার ফ্রেন্ডের জন্য ওয়েট করছে(রেগে)

সানজিদা:তুই রেগে আছিস কেন?তুই কি জেলাস?

সায়রা:আমি কেন জেলাস হবো?(স্বাভাবীক হয়ে)

সানজিদা:আমি সিওর তুই জেলাস (ভ্রু নাচিয়ে)

সায়রা:(রোহানের দিকে তাকিয়ে)ভাইয়া আপনি এই শয়তান মেয়েকে কি ভাবে সয্য করেন ?আমার তো আপনার আপনার ভবিষ্যৎ নিয়ে চিন্তা হয়।কিভাবে এমন পাগল মেয়ের সাথে নিজের সারাজিবন কাটাবেন।আমার আপনার জন্য খুব চিন্তা হচ্ছে।(মজা করে)

রোহান:আমার অভ্যাস হয়ে গেছে এই পাগলির সাথে থাকার তো প্রবলেম হবে না।(মাথা চুলকাতে চুলকাতে)

সানজিদা:কি আমি পাগলি(দাতঁ কটকট করে রোহানের দিকে তাকিয়ে)

রোহান:না না আমি তো মজা করছিলাম(ভয়ে ঢোক গিলে)

সায়রা রোহানের অবস্থা দেখে হাসতে লাগলো ।দিয়া বলতে লাগলো

দিয়া:সায়রু আমি যা দেখছি তুই তা দেখলে তোর হাসি উদাও হয়ে যাবে(সামনে তাকিয়ে)

সায়রা:কি এমন দেখেছিস তুই ?

দিয়া:পিছনে দেখ

সায়রা পিছনে তাকিয়ে দেখে একটি মেয়ে শর্ট ড্রেসে আরসালের সাথে আসছে মেয়েটাকে দেখে সায়রা রাগে ফুসতে ফুসতে বলতে লাগে

সায়রা:এ কুত্তি কামিনী চুড়েল ডাইন পেত্নি বদের হাড্ডি কাকের ডিম রিসা এখানে কি করছে ?

মাওয়া:আমরা কি করে বলবো(আমতা আমতা করে)

আরসাল রিসা কে নিয়ে সায়রা দের সামনে আসে ।সায়রা অগ্নিদৃষ্টিতে আরসাল আর রিসাকে দেখছে।আরসাল বলতে লাগে

আরসাল:রিসাই আমার ফ্রেন্ড যার জন্য এত সময় ওয়েট করছিলাম(সায়রার দিকে তাকিয়ে )

সায়রা:ও আপনার ফ্রেন্ড হলো কিভাবে?(আরসালের দিকে তাকিয়ে রেগে)

আরসাল:actually ও আমার ফেসবুক ফ্রেন্ড ।অনেক দিন ধরে আমাকে মেসেজ রিকুয়েস্ট দিচ্ছিলো পরে ফ্রেন্ড লিস্টে এড করি।তার পর কাল আমাদের ফ্রেন্ডশিপ হয়।ও আজকে মিট করতে চাইছিল তাই এখানে আসতে বললাম( সায়রার দিকে তাকিয়ে)

রিসা:আরসাল এই বেহেনজি তোমার কি হয়(সায়রার দিকে তাকিয়ে)

আরসাল:আমার ফিয়..

সায়রা:(আরসালকে বলতে না দিয়ে)কিছু না ।জাস্ট ফেমিলি ফ্রেন্ড(দাতেঁ দাতঁ চেপে)

আরসাল রেগে সায়রার দিকে তাকায়।সায়রা রেগে শপিং সেন্টারের ভিতরে চলে যায়।সবাই এক এক করে ভিতরে চলে যায়।রিদ্ধি আরসালের কাছে এসে বলতে লাগে

রিদ্ধি:আরসাল তুই দুনিয়াতে এত মেয়ে থাকতে এই রিসাকেই কেন চুজ করলি ?তুই জানিস ও রিসাকে সয্য করতে পারে না।রিসা সাথে ওর কখনো মিলে না।পুরো university জানে রিসা আর সায়রার শত্রুতার কথা।আর তুই কিনা রিসাকে চুজ করলি?

আরসাল:তাইতো ওকে চুজ করেছি।কাজ তারাতারি হবে।ওকে আমার কাছাকাছি দেখলে সায়রা তা সয্য করতে পারবে না ।নিজের ভালোবাসার মানুষের সাথে অন্য কাউকে দেখলে কখনো সয্য করা যায়না।তখন জেলাস ফিস করবে হারানোর ভয় পাবে তখন নিজের মনের কথা বলে দিবে।

রিদ্ধি:যদি হিতের বিপরীত হয়?রিসা যদি সায়রার ক্ষতি করার চেষ্ট করে?সায়রা যদি তোর থেকে আরো দূরে চলে যায়?

রিদ্ধি:রিসা কিছু করবে না।আর যদি কিছু করার চেষ্টা করে তাহলে ওর খবর আছে ওর এমন অবস্থা করবো ও সারাজিবন এটা ভেবে পচতাবে কার ক্ষতি করতে চাইছিল।আর সায়রা আমার থেকে কখনো দূরে যেতে পারবেনা ।আমি ওকে যেতেই দেব না ।দরকার পড়লে ওকে জোর করে নিজের কাছে রাখবো তার জন্য আমার যা করতে হবে তাই করবো।সারাজিবনের জন্য ওকে আমার কাছেই থাকতে হবে ও তাতে মত থাকুক আর না থাকুক(দাতেঁ দাতঁ চেপে)

শপিং সেন্টারে…..

সবাই শপিং সেন্টারে শপিং করছে যার যার মত ।সায়রা শুধু আরসালকে দেখছে আরসাল রিসার সাথে কথা বলছে।আর রিসা বার বার আরসালের গায়েঁর উপর এসে পরছে।গায়েঁ হাত রাখছে।সায়রা এসব দেখছে আর রাগে ফুসছে।আরসাল আরচোখে সব দেখছে আর হাসছে।

অন্যদিকে….

মাওয়া হাটছিল হঠাৎ করে স্লিপ কেটে পড়ে যেতে নেয়।মাওয়া বলতে লাগে

মাওয়া:আজ তো আমি শেষ ।আমার কমোড় মনে হয় গেল (চোখ বন্ধ করে নেকা কান্না করে)

হঠাৎ কেউ মাওয়ার কমোড় জরিয়ে ধরে মাওয়া চোখ খুলে দেখে সিফাত তার দিকে মুগ্ধ নয়নে তাকিয়ে আছে।মাওয়াকে এভাবে কখনো কোন ছেলে স্পর্শ করে নি মাওয়া তারাতারি ঠি ক করে দাড়িয়ে বলতে লাগে

মাওয়া:থেংকস ভাইয়া

সিফাত শুধু হা করে তাকিয়ে আছে।মাওয়া চলে যায়।সিফাত মনে মনে বলতে লাগে

সিফাত:হয়তো এবার সত্যি সত্যি প্রেমে পড়ে গেছি ।যাকে বলে প্রথম দেখায় প্রেম।(মুচকি হেসে )

শপিং করা শেষ হলে সবাই পার্কিং এরিয়াতে যায়।যে যে যার যার গাড়িতে বসে ।মাওয়া মুন সায়রাদের গাড়িতে উঠে।সায়রা আরসালের পাশে সামনে বসতে যাবে তার আগেই রিসা বসে পরে।রিসা বলতে লাগে

রিসা:ও বেহেনজি পিছনে বসো।আমি সামনে বসবো।

সায়রা রেগে আরসালের দিকে অগ্নিদৃষ্টিতে তাকায়।সায়রা রিসার এমন ব্যবহারে অপমানবোধ করে।তার পর রাগে ফুসতে ফুসতে পিছনে গিয়ে বসে।আরসাল মনে মনে বলতে লাগে

আরসাল:যে ভাবে ফুসছে মনে হচ্ছে যে কোন সময়ে ব্লাস্ট হয়ে যাবে ।কিন্তু আমাকে তা করতেই হবে না হলে তুমি নিজের মনের কথা কখনো মুখে বলবে না।তোমার জন্য সব পারি তাইতো এই অসয্যকর চিপকু টাইপ মেয়েকে সয্য করতে হচ্ছে।

আরসাল গাড়ি স্টার্ড দিলো ধানমন্ডি ৩২ তে যাবার জন্য ।গাড়ি নিজ গতিতে চলছে।সায়রা রিসা থেকে অপমানের প্রতিশোধ নেয়ার জন্য মাথায় শয়তানি বুদ্ধি আসলো।ব্যাগ থেকে চুংগাম বের করে মুখে দিয়ে চাবাতে লাগলো।হঠাৎ মুখ থেকে চুংগাম বের করে ।রিসার দিকে হাত বাড়ায়।মাওয়া আর মুন এতসময় ধরে সব দেখছিল।হঠাৎ সায়রার রিসার দিকে বাড়ানো হাত দেখে হাত ধরে বলতে লাগে

মুন:কি করছিস তুই(কানের কাছে ফিস ফিস করে)

সায়রা:রিভেন্জ নিচ্ছি আমাকে অপমান করার(শয়তানি হাসি দিয়ে)

রিসা যখন আরসালের সাথে কথা বলায় ব্যস্থ সে সুযোগে সায়রা চুংগাম রিসার চুলে লাগিয়ে দেয়।

Restaurant এ….

সবাই একসাথে ডিনার করছে।রিসা আরসালের সাথে বকবক করছে আরসাল মনে মনে বিরক্ত বোধ করলেও মুখে জোর করে হাসি এনে তা শুনছে । সায়রা মনে মনে খুশি হয়ে শয়তানি হাসি দিয়ে বলতে লাগে

সায়রা:যত হাসার হেসে নেও রিসা বাসায় গিয়ে চুল দেখে কান্না করতে হবে।ছেলেদের সাথে হি হি করে হাসা গায়েঁ পরে কথা বলা মনে থাকলে আর করবে না

সবাই ডিনার করে বের হয়ে যায় বাড়ির উদ্দেশ্য ।সারাদিন সবাই অনেক আনন্দ করে মজা করে ।সবাই বিদায় নিয়ে যার যার গাড়িতে উঠে পড়ে।আরসাল রিসার সাথে সামনে হাটতেঁ থাকে সায়রা মুন আর মাওয়ার সাথে পিছন পিছন হাটছে।হঠাৎ সায়রার চিৎকারে আরসাল পিছন তাকায় দেখে সায়রা পা দরে বসে আছে পায়ে লোহা ডুকে পা থেকে রক্ত পরছে আরসাল কাছে এস বলতে লাগে

আরসাল:(উত্তেজিত হয়ে)দেখে চলতে পারো না।কত টুকু কেটে গেছে রক্ত পরছে (লোহা টা টান দিয়ে ফেলে কোলে তুলে নিতে গেলে )

সায়রা:আমি ঠিক আছি (নিজে একা একা দাড়াতেঁ দাড়াতেঁ)

আরসাল:চুপ একদম চুপ ।দেখতেই পাচ্ছি কতটা ঠিক ক আছো ।সবসময় নিজের জেদ দেখানো কি জরুরী?(রেগে জোরে ধমক দিয়ে)

সায়রা কোন কথা বলে না ভয়ে চুপ হয়ে যায়।আরসাল সায়রাকে কোলে তুলে নেয় সায়রা আরসালের গলা জরিয়ে ধরে।আরসাল সায়রাকে কলে নিয়ে গাড়িতে সামনে বসায়।তা দেখে রিসা রাগে ফুসতে থাকে।

চলবে….
❤️❤️❤️❤️

Plz সবাই সবার মতামত জানাবেন???

কাল vampire lover (impossible love story) season 2 এর part-8 দেওয়া হবে❤️❤️❤️

Thanks for supporting me ❤️❤️❤️

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here