Deewana (A Crazy lover)Part:8

0
6798

Deewana (A Crazy lover)Part:8

Writer: urme prema (sajiana monir)

সবাই ডিনার করে বের হয়ে যায় বাড়ির উদ্দেশ্য ।সারাদিন সবাই অনেক আনন্দ করে মজা করে ।সবাই বিদায় নিয়ে যার যার গাড়িতে উঠে পড়ে।আরসাল রিসার সাথে সামনে হাটতেঁ থাকে সায়রা মুন আর মাওয়ার সাথে পিছন পিছন হাটছে।হঠাৎ সায়রার চিৎকারে আরসাল পিছন তাকায় দেখে সায়রা পা দরে বসে আছে পায়ে লোহা ডুকে পা থেকে রক্ত পরছে আরসাল কাছে এসে বলতে লাগে

আরসাল:(উত্তেজিত হয়ে)দেখে চলতে পারো না।কত টুকু কেটে গেছে রক্ত পরছে (লোহা টা টান দিয়ে ফেলে কোলে তুলে নিতে গেলে )

সায়রা:আমি ঠিক আছি (নিজে একা একা দাড়াতেঁ দাড়াতেঁ)

আরসাল:চুপ একদম চুপ ।দেখতেই পাচ্ছি কতটা ঠিক ক আছো ।সবসময় নিজের জেদ দেখানো কি জরুরী?(রেগে জোরে ধমক দিয়ে)

সায়রা কোন কথা বলে না ভয়ে চুপ হয়ে যায়।আরসাল সায়রাকে কোলে তুলে নেয় সায়রা আরসালের গলা জরিয়ে ধরে।আরসাল সায়রাকে কলে নিয়ে গাড়িতে সামনে বসায়।তা দেখে রিসা রাগে ফুসতে থাকে।রিসা আরসালের কাছে কাছে যেয়ে বলতে লাগে

রিসা:একটু কেটেছে তো কি হয়েছে ?তাই বলে কি এই বেহেনজিকে কলে নিতে হবে ?ও নিজে হাটঁতে পারবে আর ওকে পিছনে বসাও আরসাল আমি সামনে বসবো।

আরসাল:আমি কি করবো না করবো তা অবশ্যই তোমার থেকে জানতে হবে না ।নিজের সিমানার মধ্যে থাকো সিমানা অতিক্রম করলে তোমার জন্য ভালো হবে না(রেগে )

আরসাল ড্রাইভিং সিটে বসে গাড়ি স্টার্ড দেয় সায়রা আরসালের দিকে তাকিয়ে থাকে তার কাছে আরসাল যেন একটা কঠিন প্রশ্ন যার সঠিক উওর সায়রার কাছে নেই।আরসালকে যত যত দেখে ততই অভাক হয়।তার পাগলামোগুলো প্রতিবার তাকে অভাক করে রেখে দেয়।সায়রার একটু কেটে যাওয়ায় আরসালের এমন অবস্থা এমন উত্তেজনা দেখে সায়রা সবসময়ের মতই ভাবনায় পড়ে গেছে।যখনই তার থেকে দূরে যেতে চেষ্টা করে ঠি ক সে সময় কোন না কোন পাগলামী করে সায়রাকে নিজের মধ্যে জরিয়ে রাখে ।সায়রা এসব ভাবতে ভাবতে কখন যে ঘুমিয়ে গেছে তার হুস নেই।

বাড়িতে……

১২:৩০

সবাইকে নামিয়ে আরসাল বাড়ির গেটের সামনে গাড়ি থামালো ।সায়রার দিকে তাকিয়ে দেখে সায়রা ঘুমে মগ্ন ।আরসাল সায়রাকে ঘুম থেকে না উঠিয়ে সাবধানে কলে করে ঘরে নিয়ে গেল।বাড়ির সবাই ঘুম কাজের লোক দরজা খুলে দিলো ।আরসাল সায়রাকে নিজের রুমে নিয়ে গেল ।বিছানায় শুয়িয়ে পায়ে ডেসিং করে বেন্ডেজ করে দিলো।সায়রার কাছে গিয়ে কপালে গভীর চুমু দিয়ে যেই উঠতে যাবে তখনি সায়রার চুল আরসালের শার্টের বোতামে আটকিয়ে যায়।আরসাল নিচু হয়ে বোতাম থেকে চুল ছাড়াতে চায় হঠাৎ সায়রা ঘুমের মাঝে আরসালের হাত জরিয়ে ধরে।আরসাল আর নিজেকে সায়রার কাছ থেকে দূরে সরাতে পারেনা ।সে সায়রার কাছে বসে সায়রার হাত ধরে বসে মুচকি হাসি দিয়ে বলতে লাগে

আরসাল:জান এমনি তোমার কাছ থেকে দূরে থাকা কষ্টকর তার মধ্যে তুমি হাত ধরে আটকিয়ে রেখেছো এবার তো যেতেই পারবো না ।এবার তো ভয় করছে যে যদি নিজের কাছে করা প্রমিজ না রাখতে পারি।যদি নিজের উপর কন্ট্রোল করতে না পারি ।যদি তোমাকে ছুয়েঁ দিতে ইচ্ছে করে তাহলে ।তুমি আমার আরো লোভ বাড়িয়ে দিচ্ছ ।তোমার এই ঘুমন্ত চেহারাটা খুব মায়াবী লাগে।যা আমাকে সব সময়ের মত পাগল করে দেয়ে।

আরসাল আলতো করে সায়রার ঠোঁট ছুঁয়ে দেয়।সারারাত আরসাল সায়রার হাত দরে সায়রাকে দেখে কাটিয়ে দেয়।সকালে ভোরের দিকে দেখতে দেখতে পাশেই ঘুমিয়ে পড়ে ।

সকালে…….

সায়রার চোখে জানালা দিয়ে আসা সকালের আবছা রোদ পড়তেই আস্তে আস্তে চোখ খুলার চেষ্টা করে ।চোখ খুলে সামনে তাকিয়ে দেখে আরসাল মুচকি হাসি দিয়ে তার দিকে তাকিয়ে আছে।সায়রা দেখে চিৎকার দেয়

সায়রা:আআআআআআআআ

আরসাল:(মুখ চেপে ধরে)আস্তে চিৎকার করছো কেন ?কোন ভূত দেখেছো?

সায়রা :উহু উহু

আরসাল:কি উহু উহু

সায়রা আরসাল কে তার মুখ থেকে হাত সরাতে ইশারা করে।আরসাল হাত সরিয়ে দিয়ে বলতে লাগে

আরসাল:ও সরি।তুমি চিৎকার করছিলে কেন?

সায়রা:তো কি করবো?আপনি সকাল সকাল আমার রুমে কি করছেন ?(রেগে)

আরসাল:সকাল সকাল না কাল রাত থেকে এখানে ।

সায়রা আরসালের দিকে ভালো করে তাকিয়ে দেখে আরসাল কালকের সেই একই কাপড়ে আছে এখনো ।সায়রা বলতে লাগে

সায়রা:আপনি কাল রাত থেকে এখানে ছিলেন ?(অভাক হয়ে)

আরসাল:হ্যা তুমিই তো আমাকে যেতে দেও নি আমাকে আটকিয়ে রেখেছিলে নিজের কাছে (দুষ্টু হাসি দিয়ে)

সায়রা:আ….আমি (অভাক হয়ে বড় বড় চোখ করে তাকিয়ে)

আরসাল:হ্যা তুমি ।বায় দ্যা ওয়ে কাল রাতে আমরা কত কাছাকাছি ছিলাম ।তুমি আমার কত কাছে ছিলে ।দুজনের মাঝে কোন দূরত্ব ছিল না ।ওয়াও কি সুন্দর মূহূর্তই না ছিল।

সায়রা:আপনি আমার সাথে এমন করতে পারেন না আপনি প্রমিজ করেছিলেন (কাদোঁ কাদোঁ ফেস করে)

আরসাল দেখলে সায়রা আর একটু হলে কেদেঁ দেবে।তাই বলতে লাগে

আরসাল:আরে আরে আমি মজা করছিলাম।আমি এখানে ছিলাম ঠিক কিন্তু আমাদের মধ্যে এমন কিছু হয়নি ।আর আমি প্রমিজ করেছিলাম তোমার সম্মতি ছাড়া এমন কিছু করবো না।সো ডোন্ট ওয়ারি

সায়রা চুপ করে আছে ।আরসাল আবার বলতে শুরু করে

আরসাল:তবে হ্যা কাল রাতে আমার একটা কনফিউস্ট দূর করেছি ।

সায়রা আরসালের দিকে ভ্রু কুচকে তাকায় ।আরসাল আবার বলতে শুরু করে

আরসাল:তোমার সবকিছু আমাকে তোমার কাছে টানে ।আমাকে তোমার দিকে আকর্ষন করে কিন্তু সবচেয়ে বেশি কি আকর্ষন করে তা নিয়ে কনফিউস্ট ছিল ।কাল রাতে তা দূর হয়েছে ।তোমার মাঝে সব চেয়ে আকর্ষনিয় হল তোমার চোখ ঠোঁট নাক আর সবচেয়ে স্পেশাল হল তোমার গলা আর গলায় তিলটা ।তুমি জানো তোমার গলার তিলটা আমাকে কতটা টানে ।আমি তোমার এই তিলে ক্রাশ খেয়েছি।কাল রাতে নিজেকে কতটা কষ্টে কন্ট্রোল করেছি তুমি জানো।তোমার গলার এই তিলটা আমাকে লোভি করে দিয়েছে ।তোমার সব রূপেই প্রেমে পড়ি কিন্তু কাল নতুন করে কাছে থেকে তোমাকে দেখে তোমার ঘুমন্ত রূপের প্রেমে পড়েছি।এভাবে তোমার কাছাকাছি থাকলে মনে হয় না আমি নিজেকে বেশিদিন তোমার থেকে দূরে থাকতে পারবো।নিজের উপর কন্ট্রোর্ল রাখতে পারবো।নিজের প্রমিজ রাখতে পারবো।(আবেগী কন্ঠে)

সায়রা:বাকরুদ্ধ ভাবে তাকিয়ে আছি ।কি বলবো খুঁজে পাচ্ছি না।আমার এখন কি বলা উচিত তার উপর রাগ করবো নাকি তাকে কাছে টেনে নেব।আমি যে তাকে ভালোবাসি এটা তো আর মিথ্যে নয়।নিজের ভালোবাসার মানুষের এমন আবেগ প্রবল কথা সবাইকেই ঘায়েল করে ।আমাকেও করছে একবার মন বলছে তাকে কাছে টেনে নেই কিন্তু পরের বার মনে হচ্ছে যে আমাকে ছয়টা বছর কষ্ট দিলো ,তার পর আবার কাল ঐ রিসার সাথে এত কাছাকাছি এত কিছু তাকে এত সহজে কি করে ক্ষমা করে দেই।রাগ হচ্ছে তার উপর।তাকে তো শাস্তি দিতেই হবে ।যা করেছে তার ফল পেতেই হবে। নিজের মনকে কন্ট্রোল করে ।বলতে লাগলাম

সায়রা:আমার university তে যেতে হবে লেট হচ্চে(বিছানা থেকে উঠতে উঠতে)

আরসাল সায়রার হাত টান দিয়ে ধরে কাছে টেনে বলতে লাগে

আরসাল:কেন পালাচ্ছো?তোমার কি ভয় হয় যদি মনের কথা বলে ফেলো?

সায়রা:আমি কেন পালাবো ?আমারি বা কেন ভয় হবে?আপনি যাই করেন আমার তাতে কোন আসে যায় না।

আরসাল:(মুচকি হাসি দিয়ে)সত্যিই কি তোমার কোন কিছু আসে যায় না আমি যা ই করি?

সায়রা:না

আরসাল:অন্য কোন মেয়ের কাছে গেলেও না?(কাছে টেনে)

সায়রা:না (মুখ শক্ত করে অন্য দিকে ঘুরিয়ে)

আরসাল:তাহলে কাল রিসাকে আমার কাছাকাছি দেখে তুমি কেন রাগে ফুসছিলে?তোমার কেন খারাপ লাগছিল?রিসার চুলে কেন চুইংগাম লাগিয়ে দিয়েছিলে(ডেবিল হাসি দিয়ে)

সায়রা:এ…এমন কিছু না ওকে আমি কোনো রাগে ফুসছিলাম না।আমার কোন খারাপ লাগছিল না (অন্যদিকে তাকিয়ে)

আরসাল:আর চুইংগাম?

সায়রা:(একটু ভেবে)ও আমাকে বেহেনজি বলেছে তাই করেছি

আরসাল:যা পারোনা তা কেন করতে যাও ?

সায়রা:কি(ভ্রু কুচকিয়ে)

আরসাল:মিথ্যা বলতে পারো না কেন বলতে শুধু চেষ্ট কর(বাকাঁ হেসে)

সায়রা:আমার দেরি হচ্ছে (হাত ছাড়াতে ছাড়াতে)

আরসাল:ওকে যাও ।ফ্রেশ হয়ে নিচে আসো

আরসাল চলে গেল ।সায়রা ফ্রেস হয়ে রেডি হয়ে নিচে যায়।সায়রাকে দেখে মুমতাহা খানঁ বলতে লাগে

মুমতাহা খানঁ :তুমি নিচে আসতে গেলে কেন ? এই কাটা পা নিয়ে এত হাটা চলা ঠিক না।

সায়রা :বড়মা ঠিক আছি ।বেশি কাটেনি অল্প একটুই কেটেছে।তাছাড়া আজ university তে যেতে হবে important ক্লাস আছে দেওয়া যাবে না।

মুমতাহা খানঁ :কিন্তু

সায়রা:don’t worry বড় মা আমি ঠিক আছি

মুমতাহা খানঁ:সত্যি তো?

সায়রা:হুম বড় মা

সায়রা চেয়ারে বসে হঠাৎ আরসাল এসে সায়রার পাশের চেয়ারে বসে ।টেবিলের নিচে দিয়ে সায়রার হাত চেপে ধরে।সায়রা জুস খাচ্ছিল ।হঠাৎ আরসালের এমন আচরনে মুখ থেকে জুস বের হয়ে যায়।সায়রা কাশতে থাকে।মুমতাহা খানঁ বলতে লাগেন

মুমতাহা খাঁন: কি হয়েছে?তুমি ঠিক ক আছো?

সায়রা:জি বড়মা ।ঠিক আছি।

সায়রা আরসালের দিকে অগ্নিদৃষ্টিতে তাকিয়ে ইশারা করে হাত ছাড়তে।আরসাল সে দিকে লক্ষ না করে হাতটা আরো শক্ত করে ধরে ।দুজন ব্রেকফাস্ট করে university র উদ্দেশ্য রওনা হয়।

গাড়িতে….

আরসাল গাড়ি চালাচ্ছে সায়রা তার পাশের সিটে বসে আছে ।আরসাল ড্রাইভ করতে করতে বললো

আরসাল:তুমি সিওর তুমি এই কাটাপা নিয়ে university তে ক্লাস করতে পারবে?

সায়রা:(বাাহিরে তাকিয়ে)হুম পারবো ।থেংক ইউ

আরসাল:কেন?(ভ্রু কুচকিয়ে সায়রার দিকে তাকিয়ে)

সায়রা:কাল রাতে আমার জন্য আমার জন্য এত কিছু করার জন্য।

আরসাল:(মুচকি হাসি দিয়ে)তোমার জন্য করিনি।নিজের জন্য করেছি

সায়রা আর কোনো কথা বললো না।গাড়ি university র সামনে থামালো।সায়রা গাড়ি থেকে নামতে নিলো হঠাৎ আরসাল সায়রার হাত ধরে কাছে টেনে কপালে গভীর কিস করে বলতে লাগে

আরসাল:বায়

সায়রা উওর না দিয়ে চলে যায়।আরসাল মুচকি হেসে গাড়ি স্টার্ড দিয়ে অফিসে চলে যায়।

University…………

কেনটিনে সবাই বসে আছে ।সায়রা ও তাদের বসে আড্ডা দিচ্ছে হঠাৎ রিসা কেনটিনে ডুকে দিয়া দেখে হাসতে হাসতে বলতে লাগে

দিয়া:ঐ দেখ university র ড্রামাকুইং কে আজ নতুন রূপে এসেছে

সবাই পিছনে তাকায় দেখে রিসার চুল জায়গায় জায়গায় কাটা।সবাই হাসতে লাগে।রিসা কেনটিন থেকে বাহিরে চলে যায়।

মুন:এই গুলো সব সায়রুর কাজ (হাসতে হাসতে)

রশ্নি:কিভাবে(অভাক হয়ে)

মাওয়া:কাল গাড়িতে ও ই তো রিসা পেত্নির চুলে চুইংগাম লাগিয়েছে।

সানজিদা:সিওর আরসাল ভাইয়ার সাথে ফ্যাটিং করার চেষ্টা করেছে তাই সায়রু এ কাজ করেছে।সায়রু জেলাস ফিল করেছে(মজা করে)

সায়রা:মোটেও না ।আমি কেন জেলাস ফিল করবো?

মাওয়া:হুম তা কাল দেখেছি আমরা তুই জেলাস ছিলি কি না?

রিসা পার্স রেখে গিয়ে ছিল তা নিতে কেনটিনে ফিরছিল । ওদের কথা শুনে ফেলে।রাগে ফুসতে ফুসতে বলতে লাগে

রিসা:ইউ বেহেনজি তোমার এত বড় সাহস তুমি আমার চুলে চুইংগাম লাগিয়েছো।তোমাকে এর ফল পেতে হবে।তোমার এমন বাজে অবস্থা করবো তুমি লজ্জায় কারো সামনে আসতে পারবে না।আরসালকে তো আমার চাই ।ওর দিকে আমার নজর পড়েছে।আমার যা চাই আমি তা আমার করে নেই।

চলবে………..
❤️❤️❤️❤️

Plz সবাই সবার মতামত জানাবেন???

Thanks for supporting me ❤️❤️❤️

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here