Devil_love part_9+10

0
2675

#Devil_love part_9+10
#writer_কাব্য_মাহমুদ

. . . . . . . . . . . . . . . . . . . . . . . . . . . . . . . .
সকালে,,,
তানিশা ঘুম থেকে উঠে ফ্রেস হয়ে বাইরে গেল,,,

তানিশাঃ(নিচে এসে,রান্নার রুম এ যেয়ে) মা তাড়াতাড়ি চল

মাঃ (অবাক হয়ে) কোথাই???

তানিশাঃ কেন বিয়ের বাড়ি

মাঃ কী???? এখন না পরে
।।
তানিশাঃ না এখন চল,(ঝাড়ি দিয়ে)

মাঃ আচ্ছা তোমার মেয়ের কী হলো দেখ তো সকাল সকাল বিয়ের বাড়ি যাওয়ার জন্য প্রস্তুত,,,,,

বাবাঃ তোমার মেয়ের কখন কী ইচ্ছা হয় সে সম্পর্কে বলার ধারণা আমার নেই(পেপার পড়তে পড়তে)

মাঃ তা বটে,,আচ্ছা এখন যাওয়ার কারণ কী জানতে পারি

তানিশাঃ(এইরে কাজ সেরেছে ) না মানে আমরা নাহয় সবার আগে যাই কী বলো

মাঃ এই তোমার মেয়েকে পাবনার mental Hospital এ ২৬নং কেবিন এ রেখে এসো। (,জোরে চিল্লিয়ে)

বাবাঃ কেন কী হয়েছে?

মাঃ এটা কি বলছে তোমার মেয়ে,,,এখনও বিয়ের বাড়িতে মনে হয় কেউ ঘুম থেকে উঠে নি আর ইনি যাওয়ার জন্য প্রস্তুত

সুমিঃ মা আমার মনে হয় তোমার মেয়ে ওখানে কোন ফ্রেন্ড এর সাথে দেখা করবে তাই এতো তাড়াহুড়ো (রুম থেকে এসে,এদের সকল কথা শুনছিল)

তানিশাঃ ওই বজ্জাত, মুখপুড়ি তোর তাতে কীরে,,,,আমি এমনি যেতে চাইছি,আর আমার ওসব জাইগাতে যেতে ভালো লাগে

সুমিঃ তাহলে নিজেরটা করে নিলেই পারিস,, খুব ভালো করে আনন্দ করতে পারবি।

তানিশাঃ দেখ ভালো হবে না কিন্ত

সুমিঃ তুই আবার আমার ভালো কবে করলি???

তানিশাঃ করিনি কিন্ত একটা খারাপ করব

সুমিঃ কী শুনি?

তানিশাঃ তোর রুম এর দরজার পাশে যে র‍
্যাক আছে সেটার নিচে derrymilk আছে ওইটা মনে হয় তুই ভুলে গেছিস(দাতে দাত চেপে) (আসলে সুমির রুম এ তানিশা প্রায় যাই কিন্ত সুমি সেটা যানে না।)

সুমিঃ আপুুুুুুুুুুুুুুু (বলেই এক দৌড় রুম এ) রুম এ এসে সকল চকলেট আবার লুকিয়ে রাখল।

সুমিঃ আচ্ছা বলতো তুই এসব কীভাবে জানতে পারিস

তানিশাঃ টপ সিক্রেট।

মাঃ আচ্ছা ওসব রাখ খেয়ে নাও,,,



এদিকে কাব্য আর আবির


আবিরঃ কীরে কি খবর শুভ্র ,,( বন্ধুর সাথে ফোনে কথা বলছে যার বিয়ে হবে)

শুভ্রঃ ভালোরে দোস্ত,,তোরা কোথাই???

ফেসবুক পেজ: নিঃস্বার্থ ভালোবাসা
আবিরঃ এইতো বাসাই,

শুভ্রঃ তাড়াতাড়ি আই,, না হলে কিন্ত বিয়ে করব না,,

আবিরঃ আচ্ছা তাহলে তো ভালই হলো সবাই চিরকুমার হয়ে থাকব( )

শুভ্রঃ রাখ তোর কথা,,,তোদের মতো সারাজীবন একা থাকতে পারব না,,,তাই খুব কষ্ট করে প্রেমটা করেছিলাম,এবার বিয়েটাও করব,,,তোরা থাক

আবিরঃ আচ্ছা আচ্ছা আসছি

শুভ্রঃ হুম খুব দ্রুত আই।

আবিরঃ ok,,, (বলেই ফোন রেখে দিল)

কাব্যঃ কী বল্ল (বসে)

আবিরঃ এখন যেতে হবে

কাব্যঃ আচ্ছা চল
কাব্য ও আবির দুজনে রেডি হয়ে,,আজ আবির কাব্যর বাসাই এসেছে,,,প্রায় আসে আবির তাদের বাসাই।
,,,আর এদিকে,,
বাবাঃ যাও তোমরা রেডি হয়ে নাও,,, এখনই যেতে বলছে

তানিশাঃ ok
—— আজ তানিশা মন মতো সেজেছে যেন সে আজ তার ডেভিলকে খুজে পাবে,,,, সাদা কালারের গাউন পড়ে,,,,ও হালকা ম্যাকাপ গাঢ় করে লাল লিপ্সটিক কাজল আইলাইনার আর জুয়েলারির মধ্যে কানে সাদা স্টোনের টপ গলায় একটা লকেট।আর হাতে একটা ব্রেসলেট হাতে একটা রিং,,,,সব মিলিয়ে একদম অসাধারণ,,,
–আর কাব্য blue shirt,black jins,,sunglasses, আর সবচেয়ে সুন্দর হলো তার চুলের স্টাইল,,,আর গায়ের রং ফর্সা হওয়াই পুরাই হিরো,,,,,,
।তারপর দুজনে পার্টিতে চলে আসল ভিতরে ঢুকে,,,,,,,,
শুভ্রঃ যাক বাবা বাচলাম, তাহলে আপনাদের আসার সময় হলো

কাব্যঃ হুম আসলাম

শুভ্রঃ আচ্ছা চল
তারপর তারা সবাই চলে গেল মেয়ের বাড়ি
তানিশার বাবার বন্ধুঃ কী ব্যাপার my বেষ্টু এতো দেরি কেন(হাসিমুখে)

তানিশার বাবাঃ দেরি মানে?? এতো তাড়াতাড়ি আসলাম

তানিশার বাবার বন্ধুঃ আচ্ছা ঠিক আছে,,,এবার বল কেমন আছিস আর তোর পরিবার এর সাথে পরিচয় করিয়ে দে,,

তানিশার বাবাঃ হ্যা ভালো আছি,,আর আমার পরিবার বলতে ——এটা হলো আমার ছোট মেয়ে সুমি,বড় মেয়ে তানিশা,,,আর my wife

তানিশার বাবার বন্ধুঃ কেমন আছো সবাই,,আর ভাবি ভালো আছেন তো

তানিশার মাঃ জ্বী ভালো আছি ভালো আছেন ভাই

তানিশার বাবার বন্ধুঃ হুম ভালো,,,, আচ্ছা তানিশা, সুমি তোমরা তাহিয়ার কাছে যাও

সুমিঃ আচ্ছা, এই চল আপু(বলেই তারা চলে গেল,, আর বিয়ে হচ্ছে সুভ্র, আর তাহিয়া,,) ওয়াও কী সুন্দর করে সাজানো হয়েছে

তানিশাঃ এই তুই কী সাজানো দেখতে এসেছিস??

ফেসবুক পেজ: নিঃস্বার্থ ভালোবাসা
সুমিঃ আপু তুমি আজকের দিনেও এরকম করবে(বিরক্তিকর হয়ে)

তানিশাঃ আচ্ছা বজাত মেয়ে করলাম না এবার তুই তোর মতো থাক,,(বলেই চলে গেল)

সুমিঃ যাক বাবা বাচলাম(হাফ নিয়ে)।

কিছুক্ষণ পর বর পক্ষ আসল আর সবাই সবার সাথে পরিচিত হচ্ছে।

আবিরঃ কীরে কাব্য ছবি তোলা শুরু কর

কাব্যঃ কী আমি কেনো তুলব তুই নে(ক্যামেরা ধরিয়ে দিয়ে)

আবিরঃ আমি তো ক্যামেরার কিছু বুঝি না।।
-শুভ্র কাছে এসে
শুভ্র শোন আজ আমার সব ছবি তুই তুলবি(কাব্যকে উদ্দেশ্য করে)
আর কোন কথা শুনতে চাই না।
বলেই কাব্য ক্যামেরা রেডি করে চারিদিকে ফোকাস করে দেখছে,আর ছবি তুলছে,দেখতে দেখতে হঠাৎ ক্যামেরার সামনে একটি মেয়ে চলে আসে কাব্য আর ক্যামেরাটি একটুও নড়াচ্ছে না সে একভাবে মেয়েটির ছবি তুলে যাচ্ছে,,,,

তানিশাঃ এইযে মিস্টার আপনার কী কোন কাজ নেই বিয়াদপ লোক কোথাকার মেয়ে দেখলেই শুধু লুচ্চামি করা তাই না।(মেয়েটি তানিশাই ছিল,,,তানিশা তার ছবি তোলা দেখে কাব্যকে সবার সামনে অপমান করল) আর হ্যা আপনারা এ কাকে নিয়ে এসেছেন ছবি তুলার জন্য?..
যে আপনাদের ছবি না তুলে মেয়েদের তুলছে,,তাইতো বলি এসব মেয়েদের সকল ছবি আপনারা লুকিয়ে লুকিয়ে তুলে ফেসবুক এ দেন, তাই আজ কোন মেয়ে বাইরে বেরতে পারে না

কাব্যঃ what the,,,hey baby girl r u ok, কী সব আবল তাবল বকছ

তানিশাঃ আবল তাবল বকছি মানে,ক্যাবলা, মূর্খ, তারছিড়া, আহাম্মক, মানুষিক রুগী কোথাকার

কাব্যঃ just shutup hey block head,scoundrel girl,,what do you Men….. আবির ধর,ক্যামেরা আবির এর হাতে দিয়ে, সেখান থেকে সোজা চলে গেল(কাব্য রেগে পুরো চোখ মুখ লাল হয়ে গেছে আজ পর্যন্ত তাকে কেউ অপমান করার সাহস পাই নি আর আজ একটি মেয়ে তাকে এভাবে অপমান করেছে)

আবিরঃ এই মেয়ে তুমি কে যে এভাবে তাকে অপমান করলে

তানিশাঃ ও তারমানে আপনিও তার সাথে??

শুভ্রঃ কী হচ্ছে এখানে(সুভ্র এসে) বাবা এই মেয়ে কে(রেগে গিয়ে)

শুভ্রর বাবা এতক্ষণ তানিশার বাবা মায়ের সাথে আড্ডাই ব্যাস্ত ছিলো,,শুভ্রর চেচানো দেখে দ্রুত সবাই আসল

শুভ্রর বাবাঃ কী হয়েছে বাবা

শুভ্রঃ এই মেয়ে কে(রেগে লাল হয়ে আছে কারণ আজ তার জন্য তার বেস্টফ্রেন্ড কে অপমান হতে হয়েছে

শুভ্রর বাবাঃ ওহ ওতো আমার বিয়ান সাহেব এর একমাত্র বন্ধুর মেয়ে তানিশা,,কিন্ত কেন
–তারপর আবির সব কিছু বলে আর তানিশা সে তো সব শুনে অবাক যে সে আজ কী করল,,,,সাথে তানিশার বাবা-মা শুনে মাথাই হাত।
ফেসবুক পেজ: নিঃস্বার্থ ভালোবাসা

তানিশা বাবাঃ iam sorry plz i am extremely sorry আসলে ও একটু দুষ্টু তো তাই এরকম করে বসেছে কেউ কিছু মনে করবেন না প্লিজ।

রফিক সাহেবঃ আরে আরে কি করছিস তুই ও ভুল করেছে বলে ক্ষমা চাইতে হবে আরে এখনই তো দুষ্টুমি করার সময়,,,,(তানিশার বাবার বন্ধুর নাম)

তানিশার বাবাঃ আসলে ও ছোট থেকেই এরকমরে

রফিক সাহেবঃ ওকিছুনা চল,, আর সবাই ইনজয় করো ওকে,,,,শুভ্র বাবা এই নিয়ে কোন চিন্তা করার কারণ নেই,,,আর তোমার বন্ধুকে একটু বোঝাও,কী যেনো তোমার বন্ধুর নাম??

শুভ্রঃ নাহিল মাহমুদ কাব্য

তানিশার বাবাঃ কীহ?????(অবাক হয়ে)

শুভ্রঃ হুম

রফিক সাহেবঃ আচ্ছা চল আমরা আড্ডা দিয়,,,, বিয়ান মশাই চলেন সবাই,,আজ আমরা আবার ২৫ বছর এ back korbo ha ha ha
(তারা সবাই মিলে আড্ডা দিচ্ছে)
—আর এদিকে কাব্য সেখান থেকে সোজা ছাদে চলে এসেছে রাতের অন্ধকারে একা সে বসে,, চারিদিকে লাইট সেট করা কিন্ত ছাদের উপর একদম অন্ধকার,

শুভ্রঃ আবির দোস্ত তুই একটু দেখনা ও কি করছে,,,,ও তো নিজের পরিবারের সামনেই শান্ত স্বভাবের, কিন্ত সে আমাদের সামনে কেমন তা তো আমরাই জানি,
ফেসবুক পেজ: নিঃস্বার্থ ভালোবাসা

,
আবিরঃ আচ্ছা যাচ্ছি,তুই তাহিয়ার কাছে যা ও কি মনে করছে,,
,,,আর এদিকে তানিশা নিশ্চুপ বালিকার মতো দাঁড়িয়ে আছে আর ভাবছে

তানিশাঃ এই লোকটা কী বল্ল ওর নাম “”নাহিল মাহমুদ কাব্য “” কিন্ত এ কী করে সম্ভব আর আমার কাব্য আর যাই হোক এরকম লুচু হবে না,হু(ভেংচি দিয়ে)

আবিরঃ (ছাদের উপর যেয়ে) কীরে কী করিস একা একা আর ও একটু দুষ্টু প্রকৃতির মেয়ে ওর বাবা আমাদের বল্ল,,,,ওটা নিয়ে তুই কিছু মনে করিস না প্লিজ নিচে চল।

কাব্যঃ how dare you insult me, what do I need to get thirteen of what I do to Nahil Mahmood kabbo (রেগে চোখ মুখদিয়ে আগুন বের হচ্ছে,,,যদি ছেলে হতো তাহলে ওখানেই কাব্য মনে হয় তানিশাকে খুন করত)আচ্ছা ওর নাম কী

আবিরঃ ওর ন্নআম তান্নিশা(ভয়ে আবির জড় হয়ে গেছে কারণ কাব্যর রাগ তার পরিবার বাদে সবাই জানে)

কাব্যঃ ভালো করে বল

আবিরঃ তানিশা

কাব্যঃ just wait and watch miss tanisha scoundrel Girl,,,
to be continue,,,,,,,,

.
.
.
#Devil_love
#writer_কাব্য_মাহমুদ
#part_10
কাব্যঃ just wait and watch miss tanisha scoundrel Girl,,,


আবিরঃ আচ্ছা রাগ কমিয়ে এখন চল,শুভ্র মন খারাপ করে আছে

কাব্যঃ (কাব্য কিছুক্ষনপর মেজাজ ঠিক করে) আচ্ছা চল।

তারপর তারা সিড়ি দেয়ে নিচে নামতেই
ফেসবুক পেজ: নিঃস্বার্থ ভালোবাসা


আবিরঃ ওইযে সেই মেয়েটা। দেখেছিস বজ্জাত মেয়ে এমন ভাবে আছে মনে হচ্ছে কিছুই করেনি। (সিড়ির কাছে দাঁড়িয়ে)

কাব্যঃ মেয়েটির দিকে তাকিয়েই হাাা (হ্যা মেয়েটি তানিশাই কিন্ত বাতাসের কারণে তানিশার চুলগুলো উড়ে বেড়াচ্ছে যেটি কাব্য দেখেই হা,,কারণ তানিশাকে এভাবে দেখতে অসম্ভব সুন্দর লাগছে,,আর তারউপরে আজ সে খুব সুন্দর করে সেজে এসেছে যার কারনে তাকে অসম্ভব সুন্দর লাগছে))

আবিরঃ কীরে কি হলো???

কাব্যঃ (আবির এর কথাই কাব্যর ধ্যান ভাঙে) না কিছু না,,,,আচ্ছা মেয়েটি কি এখানে একা এসেছে??,,,আর ওর হাতে ওটা কী??

আবিরঃ না ওর পরিবার এর সবাই এখানে এসেছে। আর হাতে কী সেটা কীভাবে বলব লাইটিং এর কারণে বোঝা যাচ্ছে না।

কাব্যঃ আচ্ছা ক্যামেরাটি দে।

আবিরঃ এইরে ক্যামেরা তো আমি ওয়েটার এর কাছে দিয়ে এসেছি,,,আচ্ছা চল।

আবিরঃ excuseme Where did you have a camera?.
.
Waiter: sir,A girl asked for your camera but আমি দিতে চাইছিলাম না উনি জোর করেই নিয়ে নিল।

আবিরঃ কে সে????

waiter,sir ওইযে ওই মেয়েটিকে দেখছেন

কাব্য+আবির আবার তানিশার দিকে তাকিয়ে দেখে যে তানিশা ক্যামেরা নিয়ে কী করছে

কাব্যঃ Why did you take my camera in this me?
.
তানিশাঃ (তানিশা দেখে এখন তার সামনে একটি আস্ত ডেভিল দাঁড়িয়ে,,রেগে পুরো আগুন) এই নিন আপনার ক্যামেরা(বলেই দৌড়)

কাব্য+ আবির নিস্তব্ধ দর্শক এর মতো দাঁড়িয়ে দেখছে

আবিরঃ আচ্ছা এ কি মেয়ে নাকি অন্য কিছু এভাবে কোন মেয়ে দৌড় দেই?
ফেসবুক পেজ: নিঃস্বার্থ ভালোবাসা

.
কাব্যঃ (কাব্যতো একভাবে তানিশার চলে যাওয়ার দিকে তাকিয়ে আছে),,,,জানিনা এই মেয়ের ভিতর কী আছে কিন্ত এর প্রত্যেকটি কথা,চলাফেরা যেনো আমার খুব ভালো লাগছে,,,(মনে মনে)

আবির: কিরে কী হলো??

কাব্যঃ (ধ্যান ভেঙে) না কিছু না চল(তারপর তারা শুভ্রর কাছে যেয়ে)

শুভ্রঃ কীরে এতক্ষন কোথাই ছিলি??

কাব্যঃ এতো একটু ব্যাস্ত ছিলাম,,,আচ্ছা এবার তাহলে শুরু করি,,আর ভাবি একটু small দেন

কাব্য সবার ছবি তুলতে লাগল আসলে সে সব দিক থেকে পারফেক্ট যাকে all-rounder বলে


তানিশাঃ (দৌড় এ এসে) উফঃ বাবা বাচলাম?,,বেটা বজ্জাত devil, নাইজেরিয়ান এনাকন্ডা, আফ্রিকান গন্ডার, লাল বাদর, মুখ পুড়া হনুমান, কালো কুমির,,এমন বাচ্চা মেয়ের দিকে কেউ এভাবে তাকাই
আমার জানতো এখনি বেরিয়ে যেতো,,,

বাবাঃ কীরে মা কী হয়েছে কান্না করছিস কেন??(তার বন্ধুর কাছে বসে থাকা অবস্থায় তানিশাকে দৌড়ে আসতে দেখে)

তানিশাঃ বাবা ডেভিল (জিহ্বাই কামড় দিয়ে)

বাবাঃ কে ডেভিল আর কার কথা বলছিস??

তানিশাঃ না না কেউ না আসলে, আচ্ছা বাবা আমার যার সাথে বিয়ে ঠিক করেছ তার নাম কী???

বাবাঃ কেন??

ফেসবুক পেজ: নিঃস্বার্থ ভালোবাসা
তানিশাঃ না মানে একটু বল না??

বাবাঃ নাম নাহিল মাহমুদ কাব্য

তানিশাঃ ক্কীইইই(তুতলিয়ে)

বাবাঃ হ্যা আর আগামীকাল তোকে দেখতে আসবে

তানিশাঃ কীইইইইইইইইইইহহহহহহহ(অবাক হয়ে)
না এটা হতে পারে না

বাবাঃ কী হতে পারে না,,আর তুই কিন্ত বলে দিয়েছিস যে আমি বিয়ের জন্য প্রস্তুত

তানিশাঃ আচ্ছা বাবা তুমি যাও
—-তারপর তানিশার বাবা চলে গেল

তানিশাঃ এবার কী হবে আমার কাব্যর কী হবে ও আম্মুনিই গোও (ন্যাকা কান্না)

সুমিঃ কীরে আপু কী হয়েছে???

তানিশাঃ অপদার্থ, অকর্মা,তুই কী পারবি আমাকে সাহায্য করতে???

সুমিঃ কী সাহায্য বল???

তানিশাঃ আমার বিয়েটা তুই করে নে।

সুমিঃ ক্কীইই

তানিশাঃ হ্যা,,কেন পারবি না বুঝি??? জানি পারবি না তাহলে জিজ্ঞেস করছিস কেন মুখপুড়ি

সুমিঃ তোর সাথে কথা বলা আর জাতীয় সংসদ এ বক্তব্য দেওয়া সমান থাক তুই

তানিশাঃ কেউ আমার কথা ভাবে না,
আমি এখন কী করব
.
.
.
কাব্যঃ আচ্ছা আবির তুই একটু দেখ আমি একটু ওয়াশরুমে যাব,,,,
.
আবিরঃ আচ্ছা(কাব্য আবির এর হাতে ক্যামেরা দিয়ে)

ফেসবুক পেজ: নিঃস্বার্থ ভালোবাসা
কাব্যঃ আচ্ছা আন্টি ওয়াশরুম কোথাই??

আন্টিঃ এইতো বাবা ওইদিকে(শুভ্রর মা)

কাব্যঃ আচ্ছা(বলেই চলে গেল,)কাব্য যেতে যেতে পাশে একটি মেয়ে ছিল কিন্ত সেদিকে খেয়াল না করে যাওয়ার সাথে সাথেই মেয়েটি সামনে ঘুরে আর তখনই কাব্যর সাথে সামনি হয়ে কাব্যর শরীরের সাথে মেয়েটি ধাক্কা খাই,আর মেয়েটির লিপ্স কাব্যর শার্ট এর সাথে লেগে যাই কিন্ত কাব্য সেদিকে কোন খেয়াল করে না

তানিশাঃ কোন উল্লুক, ভাল্লুক,ক্যাবলা
কান্ত, পেঁচা, পাগলছাগল, রে দেখে চলতে পারিস না(না দেখেই বলে দিল)
.
কাব্যঃ what the,,,,,এই মেয়ে তোমার কী কোন কাজ নেই শুধু ঝগড়া কর।

তানিশাঃ আপনি বলার কে? (ঝাড়ি দিয়ে)

কাব্যঃ (এমনিই মেজাজ বিগড়ে আছে এর মেয়ের উপর তার উপর আবার ঝাড়ি) just stop it (রেগে গিয়ে) তানিশাকে কাব্য হাত ধরে টেনে নিয়ে এসে,,,,,,,,,,,,,, উম্মম্মম্মম্মম্
মম্মম্মম্মম্মম্মম্মমা,,,,,,,,,,,, মনে থাকে যেন (বলেই সোজা ওয়াশরুমে চলে গেল,,,আর এদিকে তানিশা পাথর এর মতো দাঁড়িয়ে আছে,,,,,,হ্যা মেয়েটি তানিশাই ছিল)
চলবে,,,,
আমি কিন্ত রোমান্টিক ব্যাপারে জানিনা,, তাই বেশি রোম্যান্টিক দিতে পারব না তবে চেষ্টা করব।
ভুলত্রুটি হলে ক্ষমা করবেন

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here