Ex_বেস্টফ্রেন্ড_যখন_বউ♥ #পর্ব_১০

0
2518

#Ex_বেস্টফ্রেন্ড_যখন_বউ♥
#পর্ব_১০
#লেখক_Ananta Sanny

সেখানে একটা শক্ত কাগজে বড় বড় করে লেখা,
(স্যার গুড মর্নিং, টেবিলের উপরে প্লেট টাতে আপনার খাবার রাখা আছে, আপনি খেয়ে তাড়াতাড়ি অফিসে চলে আসুন। আর হ্যা তুমি আমার পাশে শুয়েছিলে কেনো?? তুমি আসো আজ অফিসে তোমার খবর আছে)
,,
,,
অনন্ত শেষের লেখাটা পড়ে ভয় পেয়ে যায়। ম্যাডাম রাগ করে নি তো…
নানান কথা ভাবতে ভাবতে অনন্ত মনের মধ্যে ভয় নিয়ে অফিসে যায়।
,,,,
অফিসে গিয়ে দেখা হয় তিথির সাথে, অনন্ত তিথির দিকে একবার তাকায়, অনন্ত দেখে সে রাগ রাগ ভাব নিয়ে তাকিয়ে আছে…
,,,
অনন্ত তো মনে মনে ভাবছে, আজ সে শেষ। সারাদিন কোনো কথা হলো না, তাদের শুধু কয়েকবার চোখা চোখি।
বিকেল এর দিকে অফিস শেষ হয়।
,,
সবাই হোটেলে যাবে তাই গাড়ির জন্য অপেক্ষা করছিলো। গাড়ি আসার পর তিথি বলে
-তোমরা সবাই যাও, আমি আর অনন্ত আছি, আমার একটু কাজ আছে, (তিথি)
,,
সবাই চলে গেলো…তারপর তিথি বলল
-একটা রিক্সা নিয়ে আসো(তিথি)
,,
অনন্ত কোনো কথা না বলে রিক্সা নিয়ে আসলো। তিথি রিক্সায় উঠলো। অনন্ত দাড়িয়ে আছে,
-কি হলো দাড়িয়ে আছো কেন??(তিথি)
-আপনি যান, আমি হোটেলে যাই (অনন্ত)
-উঠতে বলছি উঠেন দরকারি কাজ আছে,
-…………
-উঠেন
-(অনন্ত উঠে বসলো)
,,
,,
কিছুক্ষণ রিক্সা ওয়ালা বলল
-কই যাবেন আপনেরা??
-আপনি চালাতে থাকেন, যত দূর যেতে পারেন যান, (তিথি)
-কিহহহ আপনি না বললেন আপনার কাজ আছে(অনন্ত)
-তো এটা কি কাজ না??
-কিন্তু
-কথা না বলে চুপচাপ বসে থাকো
,,
,,
কি আর করবে অনন্ত! চুপচাপ বসে আছে আর প্রকৃতি তাকিয়ে তাকিয়ে দেখছে..
,,
হঠাৎ তিথি তার একটা হাত অনন্তর হাতের তালুর মধ্যে দিয়ে, আঙুল গুলোকে চেপে ধরলো
-ম্যা ম্যা ম্যাডাম (অনন্ত)
-খুব ভালো অনুভব করছি, তুমি চুপ করে বসে থাকো(তিথি)
,,
,,
অনন্ত চিপায় পড়ে চুপচাপ বসে আছে। রাতের কথা তিথি আর বলল না। ঘুরতে ঘুরতে সন্ধ্যা হয়ে গেলো। তারা আবার হোটেল এর দিকে গেলো। রুমে যাওয়ার আগে অনন্ত তিথি কে বলল
-শোনেন (অনন্ত)
-হুমম বলো(তিথি)
-আপনার সাথে কথা আছে, আমি ফ্রেস হয়ে আপনার রুমে কি যেতে পারবো???
,,
তিথি অনন্তর কাছাকাছি এসে বলল
-সবসময় যেতে পারবে, আর কি বলবে??
-সেটা তখন বললেই বুঝতে পারবেন
-হুমমম
,,
,,
অনন্ত ফ্রেস হয়ে তিথির রুমে যায়, তিথি হাল্কা একটু সাজুগুজু করছে।
অনন্ত ভেতরে যাওয়ার পর তিথি অনন্ত কে বিছানায়ই বসতে বলে…তারপর তিথি কথা শুরু করে…
-তো কি যেন বলবে??(তিথি)
-আপনি তো আমাকে ভালবাসেন তাই না?? (অনন্ত)
,,
,,
কথাটা শুনে তিথি ভ্যাবাচ্যাকা খেয়ে যায়…
-হ্যা কেনো??(তিথি)
-আপনাকে কি কেউ ভালবাসে??(অনন্ত)
-না আমার জানা মতে নেই,,,কেন এসব প্রশ্ন করছো??
-এমনি, আচ্ছা শোনেন, আগেও বলছি এখনও বলছি আপনি আমার সাথে যেসব আচারন করেন, এটা ঠিক না। আমি কিন্তু আপনাকে ভালবাসি না
-জানি
-তো এসব কেনো করেন
-আমি যে ভালবাসি
-হুমম জানি, এই জন্যই আপনার শরীর খারাপ হইছে
-মানে??
-মানে, আপনি রাতে ঘুমান না খান না, অনেক কান্না করেন, এই জন্যই তো আপনার শরীর খারাপ হইছে
-কে বলছে??
-ডক্টর বলছে
-এখন শোনেন, আমি আপনার বেস্ট ফ্রেন্ড হতে পারি, এর থেকে বেশি কিছু হতে পারবো না
-কিহহহহহ??
-হুমমম
-এহহহহ আমি আপনাকে ভালবাসি আর আপনি বলছেন ফ্রেন্ড হতে পারবো না
-ওকে ভালো থাকেন, গুড নাইট
,,
,,
অনন্ত চলে আসছিলো হঠাৎ তিথি ডাকলো
-এই শোনেন(তিথি)
-জ্বি বলেন (অনন্ত)
-কাছে আসেন
-হুমম আসলাম বলেন
-আগে ভালো করে দেখে নেই আপনাকে
-কেনে??
-চুপপ থাকেন দেখে নেই
,,
,,
তিথি দেখছে আর ভাবছে
-ধুরর আগে ফ্রেন্ড টা হয়ে নেই, তারপর ঝোপ বুঝে কোপ মারা যাবে (তিথি মনে মনে ভাবছে)
-কি হলো কিছু বলেন (অনন্ত)
-ওহ হ্যা রাজি আমি, তবে শর্ত আছে
-কি??
-আপনার সব পারসোনাল ব্যাপার এ নাক গলাতে দিবেন
-মানে??
-মানে আমি আপনার যেকোনো ব্যাপারে খবরদারি করতে পারবো
-ওকে
-হুমম তুই করে বল তো
-আরে না, আপনি আমার ম্যাডাম
-কুত্তা এই মাত্র না বললি বেষ্ট ফ্রেন্ড
-না আমি তুই করে বলতে পারবো না
-কেন?
-কেমন যেনো শোনায়, আপনি আমার বড়
-তো কি হইছে?? বয়সে তো বড় না
-তাও বু…
,,
,,
লোডশেডিং….
তিথি লাফ দিয়ে সোজা অনন্তর কোলের মধ্যে..
-এই যে এইভাবে…(অনন্ত)
-চুপ কুত্তা অন্ধকারে আমার ভয় লাগে (তিথি)
,,
,,
অনন্ত তো এদিকে পাথর হয়ে গেছে, আর তিথি সুযোগ পেয়ে অনন্তর কোলো মাথা রেখে চোখ বন্ধ করে আছে।
-বিদ্যুৎ তো আসছে না, (অনন্ত)
-না আসা পর্যন্ত, আমি ছাড়তে পারবো না, চোখ খুলতে পারবো না (তিথি)
-আচ্ছা মোবাইল এর লাইট অন করি
-না না, ওই লাইট দিলে কাজ হবে না, তুমি চুপ থাকো তো…
-….(অনন্ত চুপপ)
,,
,,
তিথি মনে মনে ভাবছে,
-আজকে কোথায় যাবে?? ভাগে পেয়েছি, আল্লাহ আজ যেনো বিদ্যুৎ না আসে, ওর বুকে যেনো সারা রাত থাকতে পারি(তিথি মনে মনে কথা গুলো বলছে)
,,
,,
এদিকে অনন্ত ঘেমে তো শেষ, তিথি কে বার বার বলছে ছাড়তে, কিন্ত ছাড়ছেই না,
,,
১ ঘন্টা পর বিদ্যুৎ আসলো…এতক্ষণ তিথি জড়িয়ে ধরেই ছিলো,
-এই যে ছাড়েন এখন (অনন্ত)
-…..(তিথি ঘুমাই গেছে)
-এই হ্যালো
-উমমমমম
-ছাড়েন বিদ্যুৎ আসছে
-উমমম কে বিদ্যুৎ?? ওকে চলে যেতে বলো, আমার প্রচুর ঘুম পাচ্ছে, আমি ঘুমাবো
,,
,,
তিথির এই অবস্থা দেখে অনন্ত তিথি কে বিছানায় শুইয়ে দিলো, অনন্ত চলে যাবে, হঠাৎ অনন্তর হাত ধরে ফেলে তিথি
-কই যাও??(তিথি)
-আমার রুমে(অনন্ত)
-পরে যাও, আমার মাথা টা একটু টিপ দাও তো, মাথা ব্যাথা করছে
– না আমি কিভাবে..
-তুমি না আমার ফ্রেন্ড, দিবা না??
-আচ্ছা দিচ্ছি
,,
,,

অনন্ত মাথায় হাত বুলাতে বুলাতে নিজেই ঘুমিয়ে যায়।
,,
,,
এভাবেই ১ মাস চলল। এখন অনন্ত আর তিথি একদম ফ্রি হয়ে গেছে, এখন দুজন দুজনকে তুই করেই বলে।
অনন্তর বাসায় সবাই জানে, আর তিথি অনন্তর বাসার মানুষের সাথে একদম ফ্রি হয়ে গেছে…
,,
,,
তো একদিন সকালে অনন্তর বাসায় তিথি হাজির, সেদিন ছিলো অফ ডে..অনন্ত আনমনে ঘুমাচ্ছে…
তিথি এসে অনন্তর আম্মুকে বলে
-খালামনি ও কই (তিথি আবিরের মাকে খালামনিই বল)
-ও তো ঘুমাচ্ছে (মা)
-কিহহ ও এখনো ঘুমাচ্ছে?? দাড়াও ওর ঘুমের বারো টা বাজাচ্ছি
,,
তিথি অনন্তর রুমে যায়, গিয়ে দেখে স্যার উপর হয়ে শুয়ে আছে…অনন্ত কে দেখে তার মাথার একটা কু বুদ্ধি চলে আসলো…
,,
,,
অনন্তর পড়নে লুঙ্গি… তার উপর কাথা মুরে দিয়ে শুয়ে আছে…তিথি লুঙ্গি টাকে একটান দিয়ে বাইরে বের করে আনে….
,,
,,
অনন্ত লাফ দিয়ে ওঠে
-ওই ওই কে রে??(অনন্ত)
-আরে ওঠ ওঠ আমি আসছি তোর জম (তিথি)
-ধুরর এইভাবে কেউ…. (অনন্ত খেয়াল করলো তার কাছে লুঙ্গি নেই)

,,
,,
অনন্ত কাথার নিচে লুঙ্গি খুজছিলো..
তখন তিথি বলল
-বাবু তোমার লুঙ্গি আমার কাছে(তিথি)
অনন্ত তাকিয়ে দেখে সত্যি….
-হায়য় আল্লাহহহহ সব তো শেষ (অনন্ত)
-কিচ্ছু শেষ হয় নি, তুই আগে উঠে পর
-আমার লুঙ্গি দে
-না না আগেই দেওয়া যাবে না
-কেন??
-আগে বল আমার কথা শুনবি, তাহলে দিবো
-হ্যা বল
-এখনই ঘুরতে যাবো
-না আমার কাজ আছে
-তাইলে থাক ওইরকম, লুঙ্গি পাবি না,
-আচ্ছা যাবো
-সত্যি তো??
-হুমম দে এবার
-নাহহ ভাবলাম এর একটু শাস্তি দিবো তোকে, কিন্তু হাতে সময় নেই, তাই বেচে গেলি,,,
-শোন এই গুলো ঠিক না, আমার ইজ্জত নিয়ে টানা টানি শুরু করছিস
-আমি কিছুই করি নি, তোর লুঙ্গি খোলাই ছিলো…আর সেটা কথার বাইরে ছিলো(তিথি মিথ্যা বলল)
-না
-তর্ক না করে রেডি হয়ে নে, আমি এখানে শুইলাম যা তাড়াতাড়ি
,,
,,
অনন্ত রাগ দেখিয়ে রেডি হতে চলে গেলো….
,,
কিছুক্ষণ পর…
অনন্ত ফ্রেস হয়ে বাইরে বেড়িয়ে দেখে তিথি তার একটা শার্ট আর প্যান্ট পড়ে আছে..
-আরে এগুলো কি করছিস তুই??(অনন্ত)
-এদিকে আয়… কেমন লাগছে বল তো(তিথি)
-ছেলে ছেলে লাগছে..
-হুমম তারপর কেমন লাগছে??
-তুই তো এমনিতেই অনেক কিউট, এখন আরও বেশি কিউট লাগছে..
-আচ্ছা শোন এই হাতা টা ভাজ করে দে, কেমন করে যেন ভাজ করিস
,,
আবির শার্টের হাতা ভাজ করে দিলো…
-হুমম থ্যাংক ইউ লক্ষ্মী বর(তিথি)
অনন্ত রাগ করে বলল
-তোকে বলছি না, বর বলবি না(অনন্ত)
-সরি সরি মনে ছিলো না
-হুমম
-দেখ আবার হুমম বলে মনটা চাচ্ছে এখন কয়েকটা লাত্থি মারি..নাহহ এখন মারা যাবে না, একবার ভাগে আনি তারপর দেখাবো মজা (তিথি মনে মনে বলল)
-কিরে কি বির বির করিস,
-না কিছু না,
-তোকে ভালো একটা ছেলে দেখে বিয়ে দিলেই আমি বেচেঁ যাই
-কি বললি??
-যাই বলছি তোর ভালোর জন্য বলছি
,,
,,
তিথি কথা টা শুনে অনন্তর এর গাল টা হাত দিয়ে ধরে ঠোঁট টা কামড়ে ধরে…
-এএএএএএএএমমমম(অনন্ত)
তিথি চোখের ইশারায় অনন্ত কে চিল্লাতে না করে।
,,
তিথি হাত দিয়ে ইশারা দিয়ে অনন্ত কে বসতে বলে। অনন্ত আর তিথি বিছানায় একসাথে বসে। অনন্ত একটু নড়লেই ঠোঁটে জোড়ে টান লাগছে, তাই অনন্তও নড়াচড়া কমিয়ে দিছে,,,
,,
,,
কিছুক্ষন পরে,
তিথি অনন্ত কে ছেড়ে দিলো। অনন্ত জোড়ে দম নিয়ে তার ঠোঁটে হাত দিলো,
-এই এটা তুই কি করলি??(অনন্ত)
-তাহলে আমার বিয়ের কথা বলিস কেনো??(তিথি)
-কেনো তোর বিয়ে দেওয়া লাগবে না,
-ওই চিন্তা তোকে করতে হবে না,
-এখন এই অবস্থায় বাইয়ে যাবো কিভাবে??
-কেন কি হইছে??
-ঠোঁট কেটে গেছে
-হে হে হে বুঝতে হবে, তোর শার্ট প্যান্ট পড়ছি, কেমন যেন শরীরে শক্তি বেড়ে গেছে, আচ্ছা ছেলেদের শার্ট প্যান্ট এ কি আলাদা পাওয়ার আছে..
-নাআআআ তর বক বক থামাবি??
-ওকে
-হুমম এখন শোন আমি এখন কাজি অফিসে যাবো
-কিহহহ আমাকে বিয়ে করবি!!
-আরে আমি কি তাই বলছি??
-তাহলে??
-কাজ আছে
-এ এ এ তুই কাউকে বিয়ে করবি??
-না তুই পাগল হইছিস, আমি বিয়ে করতে যাবো কেন???
-তাহলে কাজি অফিসে যাবি কেন???
-এমনি কাজ আছে, আচ্ছা শোন তুই এতক্ষণ এখানেই থাক, আমি যাবো আর আসবো, তারপর ঘুরতে যাবো
-না না না সেটা হবে না, আমি তোর সাথে এখনই কাজি অফিসে যাবো, আর সেখান থেকে ঘুরতে যাবো
-না আমার কথা…
-আমাকে বুঝ দিতে আসবি না, আমি বলছি যাবো তার মানে যাবো
-ওকে ওকে, চল
-হুমম ছুটির দিনের সব সময় গুলে আমার, অন্য কোনো কাজে ব্যয় করতে পারবি না
-ঠ্যাে কা
-ঠ্যাকা না কি, তোরে পরে বুঝামু এখন চল
,,
,,
এভাবেই চলছিল দুজন। যতরকম এর পাগলামি আছে তিথি করে, আর অনন্ত সেগুলো সহ্য করে। সহ্য করে বলতে ভাল লাগা শুরু হয়ে গেছে।
,,
হঠাৎ একদিন….
,,
অনন্ত জানতে পারে যে আগামীকাল তিথির বার্থডে। এটা জানার পর অনন্ত ভাবতে শুরু করে কিভাবে উইশ করবে।
-মেয়েটা এত দিন আমার জন্য অনেক কিছুই করছে, হুহ ওকে একটা সারপ্রাইজ দিবে(অনন্ত মনে মনে সব প্ল্যান করলো)
,,
,,
সেদিন রাতে ১০ টার দিকে…তিথি অনন্ত ফোন করে…
-হ্যালো(তিথি)
-হ্যা বল (অনন্ত)
-কি করিস??
-এইতো অফিসের একটু কাজ করছি
-হুমমম, খাওয়া হইছে??
-হ্যা, তোর হইছে??
-হুমমম, ঘুমাবি কখন??
-একটু পর
-ওকে তাড়াতাড়ি ঘুমিয়ে যা,
-তুই কি করবি,??
-আমিও ঘুামবো
-ওকে
-ওকে
-এই শোন শোন
-হ্যা বল
-না কিছু না
-বল
-না এমনি কিছু না গুড নাইট
-ওকে গুড নাইট…
(তিথি ফোনটা কেটে দিলো)
,,
,,
এদিকে অনন্ত তো অফিসের কাজ করছে না, অনন্ত তিথির জন্য কিছু গিফ্ট, একটা কেক আর কিছু জিনিস কিনেছে। সেগুলে গুছিয়ে ব্যাগে তুলছিলো, তখন তিথি ফোন করছে।
,,
,,
১১ টার দিকে অনন্ত তার বাসা থেকে তিথির বাসায় যায়। বাসাটা আগে থেকেই চিনতো। আর তিথি কোন রুমে থাকে তাও জানে।
,,
অনন্ত গেট দিয়ে না প্রবেশ করে, দেয়াল টপকে ভেতরে যায়। তারপর একটা মই নিয়ে তিথির রুমের বারান্দায় যায় (মই আগে থেকেই ছিলো)
,,
,,
অনন্ত খুব ধীর পায়ে তিথির রুমে প্রবেশ করে, যাতে ওর ঘুম না ভেঙে যায়। অনন্ত দেখে তিথি ঘুামচ্ছে, রুমের ভেতরে মৃদু আলো, সেই আলোতে তিথি কে একটা পরীর মতো লাগছে।
,,
অনন্ত তার ব্যাগ থেকে কেক টা বের করে টেবিল এর উপর রাখলো। তখন ১১:৩০ বাজে অনন্ত একবার ঘড়িটা নিয়ে ঝটপট রুম সাজানো শুরু করলো, অনেক গুলো বেলুন দিয়ে পুরো ঘর লাগিয়ে দিলো। খুব ভালই সাজানো হয়েছে। নিজের কাজটা একবার ভাল ভাবে দেখে নেয়….
-হুহহ ভালই সাজানো হইছে…এবার তিথি কে ডাকি, সময় ও বেশি নেই আর এক মিনিট…
,,
,,
অনন্ত তিথির কাছে যায়…তিথির মাথায় হাত দিয়ে একটা দেয়
-তিথি
এক ডাকেই তিথি চোখ খুলল শুধু নড়লো না। তিথি ভয় পেয়ে চিৎকার করতে যাবে, তখনই অনন্ত তার মুখ চেপে ধরলো..
-এ কুত্তা আমি অনন্ত
-উমম উমমম (তিথি কথা বলতে পারছে না)
-থাম চিল্লাস না
,,
,,
তিথি শান্ত হয়
-হুহ তুই এখা……..(তিথি)
-এইস বি ডি টু ইউ(অনন্ত)
-কিহহহহহ!!!!
-উঠ তার পর বলছি
তিথি উঠলো, আর অনন্ত রুমের লাইট টা অন করলো। তিথি দেখে তো অবাক
-এগুলো তুই কি করছিস?? (তিথি)
অনন্ত দৌড়ে তিথির কাছে আসে আর কানে কানে বলে
-হ্যাপি বার্থডে (অনন্ত)
,,
,,
তিথি কিছুক্ষণ চুপ হয়ে দাড়িয়ে থাকে, কিছুই বুঝতে পারে না, হঠাৎ কি ভেবে অনন্ত কে জড়িয়ে ধরে…
-এই কি হলো(অনন্ত)
-থ্যাংকস, আমার মনে ছিলো না (তিথি)
-সত্যি মনে ছিলো না??
-না
-ওহহ ছাড় এখন, আয় কেক কাটবি
-কেক আনছিস??
-হুমমমম
-আর এত আস্তে উইশ করলি কেনো??
-কেউ যদি উঠে যায় তাই
-আচ্ছা তুই কিভাবে আসলি??
-….(অনন্ত কিভাবে আসছে সেটা বলল)
-হায় আল্লাহ তোকে এত কষ্ট করতে কে বলেছে??
-না কেউ না, আর কথা বলিস না আয় কেক কাটবি
-হুমমম (তিথি মনে মনে খুব খুশি)
-দাড়া লাইট টা অফ করে আসি, মৃদু আলোই ভালো, বেশিক্ষণ লাইট থাকলে কেউ আবার চলে আসতে পারে….
,,
,,
অনন্ত গিয়ে লাইট অফ করলো…
দুজন এ মিলে কেক কাটলো, একে।অপরকে খাওয়াই দিলো। তারপর অনন্ত বলল…
-এই যে দেখ তোর জন্য একটা ঘড়ি এনেছি, আর অনেক চকলেট, ফ্রিজ টা খুলে দেখে আয় অনেক আইসক্রিম এনেছি, আর কি কিনবো বুঝতে পারি নি(অনন্ত)
-তোকে এসব আনতে কে বলেছে??(তিথি)
-ধুরর কি যে বলিস, এগুলো আনবো না তো কি আনবো??
,,
,,
অনন্ত ফ্লোরে বসে খাটের সাথে হেলান দিয়ে বসে ছিলো আর তিথি খাটের উপর পা ঝুলিয়ে বসে ছিলো।
তিথি সেখান থেকে নেমে অনন্তর সামনে আসে….
-তোর জন্য একটা গিফ্ট আছে (তিথি)
-কি???(অনন্ত)
-প্রমিস কর নিবি
-আগে দে
-আগে প্রমিস কর নিবি
-আরে গিফ্ট দিবি সেটা নিবো না এটা কোনো কথা??
-আগে প্রমিস কর তুই
-প্রমিস নিবো
,,
,,
তিথি একটা মুচকি হাসে টেবিল থেকে কেক এর ক্রিম হাতে নিলো। আর অনন্তর ঠোঁটে লাগিয়ে দিলো
-এ এ এ কি করলি এটা?? (অনন্ত)
-…(তিথি কিছু বলল না)
তিথি অনন্ত গাল খুব শক্ত ভাবে ধরলো আর তিথির ঠোঁট অনন্তর ঠোঁটে লাগিয়ে দিলো…
,,
,,
অনন্তর চোখ বড় বড় হয়ে গেছে..
অনন্ত তিথি কে ছাড়িয়ে বলে
-এটা ক্যান করছিস?? (অনন্ত)
-তুই কিন্তু বলছিস গিফ্ট নিবি!! না করবি না (তিথি)
-হ্যা তাই বলে এই….(আর কথা বলতে পারলো না অনন্ত)

চলবে

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here