Lovable part : 9

0
1317

Lovable part : 9
writer : kabbo mahmud


তানিশাঃ একটা কথা বলি??
কাব্যঃ হুম””
তানিশাঃ আমি কী এমন ভুল করেছি যে আপনি আমাই এভাবে নিয়ে যেয়ে মেরে দিবেন??
কাব্যঃ what???
তানিশাঃ না মানে আপনি আমাই কোথাও নিয়ে যেয়ে মেরে ফেলবেন??
কাব্যঃ উফফফ এই মেয়ের মাথাই কী সবসময় এমন বুদ্ধি থাকে??(মনে মনে) হ্যা তোমাই আমি দূরে কোথাও নিয়ে যেয়ে মেরে ফেলবো।
তানিশাঃ সত্যিইইই??
কাব্যঃ হুম।
তানিশাঃ সত্যিইই(ছলছল চোখে)
কাব্যঃ হ্যা।
তানিশাঃ এ্যাাাাাাা এয়ায়ায়ায়া এয়ায়ায়াওঅঅঅঅঅঅ (আরো জোরে) এ্যাাাাাাাাাাায়ায়ায়ায়ায়ায়ায়ায়া
য়া মাগোওওঅঅঅঅঅঅ বাচাওও এ্যাাাাাাাাাা।
*তানিশা কাব্যর রেগে থাকা কথা শুনে ভয় পেয়ে যাই এবং জোরে জোরে কান্না শুরু করে দেই। আর কাব্য*
তানিশার এমনন বাচ্চামো দেখে আরও রেগে যাই। কেননা একটু বোঝার ক্ষমতাও রাখেনি সে এটা ভেবে কাব্য রেগে যাই।
কাব্যঃ stopped (ঝাড়ি দিয়ে)
তানিশাঃ আমি কী করেছি যে আমাই মেরে ফেলবেন???(ফুঁপিয়ে ফুঁপিয়ে)
কাব্যঃ থামো বলছি।
-কাব্যর উচ্চস্বরে কথা বলাই তানিশা চুপ করে যাই।
তানিশাঃ আমার বাবাও আমাই বকা দেই না আর আপনি(আরও জোরে ফুঁপিয়ে)
কাব্যঃ এবার নামো :::নামো বলছি।
-কাব্যর কথা মতো তানিশা নেমে দাঁড়াই এবং চারিপাশ ভালো ভাবে খেয়াল করে। অনেক সুন্দর একটা নিরিবিলি জায়গা। আশেপাশে কেউ নেই। মনে হচ্ছে যায়গা টি তাদের দুজনের জন্যই অপেক্ষা করছিলো।
তানিশাঃ এ্যাাাাাাা এতো সুন্দর জায়গাতে মেরে ফেলবেন????? কতো সখ ছিলো বরকে নিয়ে এখানে ঘুরতে আসবো। বিদাই বাবা মা ভালো থেকো তোমার মেয়ে শেষ।
কাব্যঃ ইচ্ছে করছে তোমার মুখটিকে এখনই বন্ধ করে দিতে কিন্ত কী করা যাই????(মনে মনে)
তুমি চুপ না করলে কিন্ত আমি তোমাই এখনই মেরে দেবো।
তানিশাঃ (চুপ)
কাব্যঃ এই তো ভালো মেয়ে::::: এবার আমি যা জিজ্ঞেস করব সেটার উত্তর দিবে কেমন?
তানিশাঃ (মাথা নড়িয়ে সম্মতি দেয়)
কাব্যঃ রাতে এসএমএস তুমি দিয়েছিলে???
তানিশাঃ না হ্যা ইয়ে ন্নায়া হুম।
কাব্যঃ চুপ। সোজাসুজি বলো।
তানিশাঃ হুম।
কাব্যঃ কেন দিয়েছিলে??
তানিশাঃ জানিনা।
কাব্যঃ আচ্ছা ঠিক আছে। এবার বলো তুমি আমাই ভালোবাসো???
তানিশাঃ না::
কাব্যঃ সত্য বলো।
তানিশাঃ বলছি তো না।(মাথা নিচু করে)
কাব্যঃ কিন্ত আমি বাসি।(মুচকি হেসে)
তানিশা: কাকে??
কাব্যঃ উমম তোমার বান্ধবী দৃষ্টিকে।
তানিশাঃ কীইইই???:?
কাব্যঃ হুম। ভাবছি তাকে প্রপোজ করব।
তানিশাঃ ভেবে বলছেন??(মন খারাপ করে)
কাব্যঃ হুম। কিন্ত!!
তানিশাঃ কী কিন্ত????
কাব্যঃ তোমার তো সাহায্য লাগবে কীভাবে ও কে রাজি করাবো কী পছন্দ অপছন্দ সব তো তুমিই জানো।
তানিশাঃ ওহ আচ্ছা।।। ও কে ভালোবাসতে কোন কিছু করা লাগবেনা ও অনেক আগে থেকেই আপনার প্রতি ফিদা। তাই কিছুই করা লাগবেনা।
কাব্যঃ really!!!! বাহ্ তাহলে তো খুব ভালো। আর কিছুই করা লাগবেনা।
তানিশাঃ আপনি তাকে সত্যিইই পছন্দ করেন??
কাব্যঃ হুম। প্রথম দেখেই ভালোবেসে ফেলেছি।
তানিশাঃ তাহলে এভাবে আমাই এখানে নিয়ে আসলেন কেন? তার চেয়ে বরং ও কে এখানে নিয়ে এসে প্রপোজ করলেই পারতেন।
কাব্যঃ কী বড় ভুল করে ফেললাম। আসলেই তো তুমি ঠিক বলেছো।
তানিশাঃ আমাই রেখে আসুন।(মনে হয় এবার মন থেকে কেঁদে দেবে)
কাব্যঃ কেন???
তানিশা: আমি জানিনা রেখে আসুন;
কাব্যঃ কী হলো কাঁদছো কেন???
তানিশাঃ ইচ্ছে করছে তাই আপনার কী???
কাব্যঃ আমার কিছুই না কিন্ত আমার পাশে একজন কান্না করছে এতে তো আমার খারাপ লাগবেই।
তানিশাঃ আমি আপনার কেউ না যে আপনার খারাপ লাগবে। যান এখানে থেকে আপনার যদি খারাপ লাগে বন মানুষ কোথাকার একটুও দয়ামায়া নেই এভাবে একটা বাচ্চাকে কাঁদাচ্ছে এ্যাাাাাাাাা আম্মু গো এ্যাাাাা
কাব্যঃ বলছি যে এই কান্নাকাটি আমি ভিডিও করতে পছন্দ করি। ভিডিও করব??
তানিশাঃ তা তো করবেন আপনি তো ডেভিল অন্য কেউ কাদঁলে আপনার ভালো লাগে হনুমান এর বউ শিয়াল এর নানা আপনার বিয়ে হবে না এ্যাাা।
কাব্যঃ কাঁদলে তোমাই কিছু ভালো লাগেনা।
তানিশাঃ আপনি কে যে আপনার সামনে আমাই সুন্দর করে কাঁদতে হবে?(চুপ করে যেয়ে)
কাব্যঃ হুম এভাবেই চুপ করে থাকো আর কাঁদবে না একদম।
তানিশাঃ এ্যাাাাাাাাাাাা
াাাাাাাা আমি কাঁদবো অনেক কাঁদবো আরও কাঁদবো আপনার কী?????????
কাব্যঃ উফফফফ চুপ করবে নাকি??? শুধু কেঁদেই যাচ্ছ।
তানিশাঃ আপনি বলুন আমি শুনছি(কান্না করতে করতে)
কাব্যঃ বলছি যে দৃষ্টি কে আমি বিয়ে করবো।
তানিশাঃ আর??(কান্নার জোর বেড়ে গেছে)
কাব্যঃ আমাদের বাচ্চা হবে তাদের বিয়ে দিয়ে তাদের বাচ্চা হবে তারপর আমরা বুড়ি হয়ে যাবো।
–এবার আরও জোরে শব্দ করে কাঁদতে শুরু করে তানিশা আর কাব্য তানিশা কেঁদে যাওয়া চুপিচুপি রিকর্ড করছে আর মুচকি হাসছে যেটা তানিশা বুঝতে পারছেনা।
কাব্যঃ কী হলো খারাপ বলেছি???
তানিশাঃ আপনি ক…কারাপ বলতেই পারেন না::::
কাব্যঃ হুম। আমাদের ছোট একটা পরিবার হবে সেখানে আমরা সবাই মিলে খেলাধুলো করবো আহ কী মজা।
-এবার তো তানিশা শেষ একদম হাত-পা ছেড়ে দিয়ে কেঁদে দেই। তারপর নিচে পড়ে যেতে যাবে তখনই কাব্য ধরে ফেলে বুকের সাথে চেপে ধরে।
***
***
কাব্য তানিশাকে বুকের মাঝে জোড়িয়ে ধরেছে আর তানিশাও কান্নার মাঝে কাব্যকে জোড়িয়ে ধরে কেঁদে যাচ্ছে।
।।
।।
কাব্যঃ এভাবে কেঁদে কেঁদে আমার বুক ভিজিয়ে দেবে নাকি??
তানিশাঃ আমার চোখের পানি দিয়ে ভেজাচ্ছি তাতে আপনার কী??
কাব্যঃ বুকটি তো আমার””
তানিশাঃ না এটা আমার (কেঁদে কেঁদে)
কাব্যঃ কী????
তানিশাঃ বোঝেন না???(কান্না আরও বাড়িয়ে দিয়ে)
কাব্যঃ না!!
তানিশাঃ ওই হাদারাম খরগোশ এর ডিম। জিরাফ কোথাকার তোকে বলিনি আমি?? রাতে এসএমএস দিয়ে বলিনি? যে আমি তোকে ভালোবাসি খুব ভালো বাসি। এই ডেভিল এর প্রেমে পড়ে গেছি। আমাকে রেখে ওই শাঁকচুন্নির গলাই ঝুলতে যাচ্ছিলি?? তোর সাহস হয় কী করে? কিছু বলছিনা বলে ভাব হয়ে গেছে? তুই শুধু আমার গোমড়া মুখো আর কারোর না। তোর
**কেঁদে কেঁদে একদমে তানিশা কথাগুলো বলে দিলো আর কাব্য অবাকভাবে তানিশা কথা গুলো শুনছিল। সে ভাবেনি যে তানিশা এভাবে রিয়েক্ট করবে।
**
বেশ কিছুক্ষণপর কাব্যর তানিশার কথা গুলোর ঘোর কাটতেই সে খেয়াল করে তানিশা ফুঁপিয়ে ফুঁপিয়ে কাঁদছে।
কাব্যঃ অনেক হয়েছে এবার থামো (মনে মনে) “তানিশা”::::
তানিশাঃ বলেন””
কাব্যঃ তুমি আমাই ভালোবাসো???
তানিশাঃ নাহ্:::::::
কাব্যঃ না মানে? কিছুক্ষণ আগেই তো বললে:::::
তানিশাঃ কী বলেছি???(অবাক হয়ে কাব্যর দিকে তাকিয়ে)
কাব্যঃ বললে তুমি আমাই ভালোবাসো, খুব ভালোবাসো(চোখের পানি মুছে দিয়ে)

**নতুন নতুন রোমান্টিক গল্প পেতে ভিজিট করুন আমাদের ফেসবুক পেজ: “নিঃস্বার্থ ভালোবাসা”**

তানিশাঃ ওহ বলেছি মনে হয়।
কাব্যঃ মনে হয়???
তানিশাঃ হুম। আচ্ছা sorry….
কাব্যঃ ohh… it’s ok…..
তানিশাঃ আমার কিছু ভালো লাগছেনা বাসাই যাবো::::
কাব্যঃ আরও একটু থাকি না!!!
তানিশাঃ কেন থাকব::::???
কাব্যঃ চলো ওখানে বসে একটু গল্প করি!!!
তানিশাঃ ওহ হ্যা’আমি তো ভুলেই গেছি আপনি তো আমাই মেরে ফেলবেন(মন খারাপ করে)
কাব্যঃ হুম তার জন্য বলছি সামনে চলো বসব।
তানিশাঃ ওখানে বসার পরে আপনি আমায় মেরে ফেলবে??(ছলছল চোখে তাকিয়ে)
কাব্যঃ যাবে নাকি এখানেই মেরে দেবো(রেগে যেয়ে)
*কাব্যর রাগীভাব দেখে তানিশা চুপচাপ সামনের দিকে এগিয়ে যেয়ে সুন্দর এক গাছের পাশে বসে। সাথে কাব্যও এসে দুজনে একদম পাশাপাশি বসে আছে।
কাব্যঃ জায়গাটি খুব সুন্দপ্র তাইনা??
তানিশাঃ no ans ::::
কাব্যঃ কী হলো!!!!!
তানিশাঃ দৃষ্টির সাথে ভালো থাকবেন কেমন??
কাব্যঃ উফফফফ পাগল হয়ে যাবো এই মেয়ের কারণে এতো স্ক্রু ঢিলা কী করে হয়??(মনে মনে)
তানিশাঃ কী হলো??? কিছু বলছেন না!
কাব্যঃ তোমার পা দুটি সোজা করো।
তানিশাঃ কেন? পা কেটে দেবেন??(আবার কেঁদে দেবে)
কাব্যঃ উফফ এই মেয়ে চুপ করবে? যা বলছি চুপচাপ তাই করবে (বকা দিয়ে)
তানিশাঃ আপনি আমাই ধমকাইবেন না।
কাব্যঃ আচ্ছা কিন্ত যা বলছি তাই করো।
*কাব্যর কথা মতো তানিশা পা দুটো সোজা করে দেই এবং কাব্য মুচকি একটা হাসি তানিশার চোখে দিয়ে তার পায়ের উপরে সুয়ে পড়ে।
তানিশাঃ কী করছেন এসব???
কাব্যঃ কি আর করব?? হবু বউ তো তখন থেকে কেঁদেই যাচ্ছে কিছু বোঝার চেষ্টা করছেনা। এটাও বুঝতে পারছেনা এতো সুন্দর জায়গাতে একটা মেয়েকে কেন নিয়ে আসা হয়। তাই যা করার নিজে নিজে করছি।
তানিশাঃ কী???
কাব্যঃ আমি তানিশাকে ভালোবাসি।
*কাব্যর কথা শুনে তানিশা কী বলবে ভেবে পাচ্ছেনা:::;;;;
কাব্যঃ কী হলো? বুঝতে অসুবিধা হচ্ছে??
তানিশাঃ কী বললেন এটা??
কাব্যঃ বললাম যে আমি তানিশাকে ভালোবাসি।
তানিশাঃ আমাই ভালোবাসেন??
কাব্যঃ না।
তানিশাব তাহলে আবার কাকে বলছেন??
কাব্যঃ আমি আমার এই তানিশাকে না আমার ওই দুষ্টুমি হাসিমাখা মুখটি ও মায়াবতী কে ভালোবাসি তোমাকে না যে শুধু ভ্যা ভ্যা করে কেঁদে যাচ্ছে তখন থেকে।
তানিশাঃ তাহলে আপনি কেন বলছেন যে আমাই মেরে ফেলবেন? (ঠোট ফুলিয়ে)
কাব্যঃ শুরু তুমিই করেছিলে তাই আমার ও মেজাজা খারাপ হয়ে যাই।
তানিশাঃ হ্যা মেজাজ শুধু উনার একলা আছে আর কেউ দেখাতে পারেনা। উনার হবু বউ যে কাঁদছে সেটা খেয়াল নেই(একগুচ্ছ অভিমান নিয়ে)
কাব্যঃ কী বললে??
তানিশাঃ কী?
কাব্যঃ না কিছুনা। যা হয়েছে ভুলে যাও এখন যা হচ্ছে সেটা মনে রাখো।
তানিশাঃ হ্যা বলেন।
কাব্যঃ তুমি তো জানো আমি তোমাই ভালোবাসি আর সেটা অনেক আগে থেকে তাহলে কেন বিশ্বাস করলে যে আমি দৃষ্টি তোমার বান্ধবীকে পছন্দ করি।
তানিশাব ছেলেরা তো এমনই একজনকে রেখে আরও একজন।
কাব্যঃ আমাকে তোমার ওমন মনে হয়?(দাঁতে দাঁত চেপে)
তানিশাঃ না না আপনাকে কেন ওমন লাগবে আপনি তো একটা লুচু পাক্কা লুচু ডেভিল গোমড়া মুখো একটা
কাব্যঃ কী বললে???
তানিশাঃ কই??
কাব্যঃ থাক এখন মুড খারাপ করে তোমার কপালে দুঃখ বাড়িয়ে লাভ নেই(মনে মনে)
আচ্ছা ওসব থাক এখন তো বলেছি যে আমি তোমাকে ভালোবাসি তাহলে তোমার সপ্নটি তো এবার আমাই পূরণ করতে হবে তাইনা??
তানিশাঃ কী সপ্ন???
কাব্যঃ তুমিই তো বলো তোমার বিয়ে হবে বাচ্চা হবে তাদের বিয়ে দেবে এবং তাদের বাচ্চাকাচ্চাদের সাথে খেলা করবে আর বুড়ি হয়ে যাবে। তাই বলছি যে তোমার তো এখন বাচ্চা লাগবে তাইনা?
তানিশাঃ হুম। কিন্ত আপুর বিয়ে হবে তারপর তো আমার এর আগে তো না।
কাব্যঃ হুম সেটাও ঠিক।
তানিশাঃ আচ্ছা বিয়ে হলেই বাচ্চা হয়???(আগ্রহী হয়ে)
কাব্যঃ কে বললো তোমাই?
তানিশাঃ আমার বান্ধবীদের জিজ্ঞেস করেছিলাম আর তারা এটা বলেছে।
*তানিশার এমন বাচ্চামো কথা শুনে এই মূহুর্তে কাব্যর মুখ ভরে হাসি পাচ্ছে কিন্ত সেটা প্রকাশ করলেই তানিশা রেগে যাবে তাই নিজেকে সংযত করে।
কাব্যঃ আচ্ছা ওসব দেখা যাবি। এখন একটু আমাদের কথা চলুক??
তানিশাঃ কি কথা??
কাব্যঃ তুমি পড়াশোনা করে কী হতে চাও??
তানিশাঃ আমি??
কাব্যঃ হুম।
তানিশাঃ ইচ্ছে আছে কবিতা পাব্লিশ করব। জানেন আমার এটা খুব বড় শখ কিন্ত কেউ বোঝেনা বললেই সে আর পাত্তা দেই না।
কাব্যঃ আচ্ছা ঠিক আছে একটা কবিতা বলো তো::
তানিশাঃ শুনবেন??
কাব্যঃ হ্যা বলো।
তানিশাঃ শুনেন এটা আমার নতুনন কবিতা।
ডেভিল! ডেভিল! ডেভিল!
ডেভিলের দুটি পা::::::
ডেভিলকে কেউ দেখতে চাইলে”””
তানিশার কাছে যা :::::::
জানেন? আমার মতো কাবিতা কেউ মিলাতেই পারেনা কেমন হলো এটা?? আমি জানি এটা ভালো হবে আর নিজের নাম দিয়ে কবিতা বানাতে কয়জন পারে বলেন??
কাব্যঃ হুম আর এমন থার্ডক্লাশ কবিতা আর কয়জনই পারে?
তানিশা: কী বললেন?
কাব্যঃ না বলছি এতো সুন্দর ভাবে আসলেই কেউ মিল করতে পারে না।
তানিশাঃ তাহলে আমার কবিতা পাব্লিশ করবেন??
কাব্যঃ হুম কিন্ত আগে আমাদের বিয়ে হোক তারপর।
তানিশাঃ আচ্ছা(দুষ্টুমির হাসি দিয়ে)
কাব্যঃ এইতো এই হাসিটুকু যেনো সবসময় থাকে কেমন?
তানিশাঃ আপনি যদি রাখতে দেন।
কাব্যঃ বাব্বাহ :: আমি তো সবসময় চাই এবং চাইবো তুমি আনন্দে থাকবে আর এখন যেহেতু তুমি আমি এক তাই কেউ কিছু করতে পারবেনা। তুমি সবসময় হাসবে।
তানিশাঃ আচ্ছা। আর একটা কবিতা বলি???
কাব্যঃ আবার??? না না আর না এখন সব বললে তো ফুরিয়া যাবে থাক অন্য এক সময় বলো।
তানিশাঃ না এখন প্লিজ প্লিজ এটা আমার প্রিয়। আজও কাউকে বলিনি।
কাব্যঃ আচ্ছা বলো
তানিশাঃ শুনেন
তোমাকে দেখার পর থেকে কীরকম পাল্টে গেলো
আমার আকাশ
সেখানে এখন শুধু চাঁদের বদলে তুমি ওঠো,
আর একটাই ওঠে সন্ধ্যাতারা, সেও তুমি।
বইগুলো খুলে দেখি সব গ্রন’ জুড়ে শুধু
এই একটাই শব্দ তাতে লেখা-
তোমাকে দেখার পর থেকে অসম্ভব বদলে গেছে
আমার ভূবন
বদলে গেছে জলবায়ু, দিনরাত্রি, ঋতু…
আশাকরি এটা ভালো হবে??(অধীর আগ্রহী হয়ে)
–তানিশা যে এমন করেও কবিতা বলতে পারে কাব্য ভেবেছিল না। এটা শুনে যেন তার মন ভরে গেলো।
কাব্যঃ আসলেই তোমার কবিতা খুব সুন্দর কি বলব ভাষা খুজে পাচ্ছিনা।
তানিশাঃ ধন্যবাদ ধন্যবাদ!!!!
কাব্যঃ আমি এটা পাব্লিশ করব।
তানিশাঃ সত্যিইই???
কাব্যঃ হুম।

**নতুন নতুন রোমান্টিক গল্প পেতে ভিজিট করুন আমাদের ফেসবুক পেজ: “নিঃস্বার্থ ভালোবাসা”**

তানিশাঃ উম্মম্মম্মম্মম্মম্মায়ায়াহহ আপনি ক্ক…….
*তানিশা কাব্য দুজনেই শক্ কাব্য ভাবেনি যে তানিশা এমন করবে আর তানিশা না বুঝেই।
কাব্যঃ মিষ্টি ছিলো খুব।
তানিশাঃ no ans………….
কাব্যঃ এবার আমি দিই??
তানিশাঃ এইই না। কিছু মনে করবেন না প্লিজ আসলে আমার ওটা অভ্যাস কলেজে বা বাসাই আনন্দের মাঝে যেকোন বান্ধবীকে আমি কিস করে দিই:::::
কাব্যঃ তাই??? তাহলে এখন থেকে আমাকেও দেবে কেমন??
তানিশাঃ যাহ্ লুচু কোথাকার;;
কাব্যঃ তোমার লুচু’
তানিশাঃ হুম।
*কাব্য তানিশার মুখটি এগিয়ে নিয়ে সে তার কপালের সাথে তানিশার কপাল লাগিয়া।
কাব্যঃ আচ্ছা বলোতো তুমি আমাই ভালো কীভাবে বাসলে??
তানিশাঃ এভাবে সারাদিন একটা মেয়েকে পটালে সে আর না পটে থাকে??
কাব্যঃ তাই?? আমি তো জানতাম না :::’
তানিশাঃ জেনে নিলেন এবার ভুলে যান আর চেষ্টা চলবে না।
কাব্যঃ আচ্ছা ঠিক আছে। এবার একটু মন ভরে হাসো তো।
///
তানিশাঃ কেন?
কাব্যঃ তোমার গোমড়া মুখো হাসি শিখতে চাই।
*কাব্যর কথা শুনে তানিশার হাসি শুরু হয়ে যাই। তানিশা হাসছে আর কাব্য সেটা মনযোগ দিয়ে দেখছে।
কাব্যঃ প্রথমদিন তোমাই মোবাইলশপ এ দেখে তোমার মায়াবী চেহারা দেখেই ভালো লেগে গেছিলো আর তারপর যখন তোমার সামনে যেয়ে মোবাইল এর ডিটেইল’স বলতে শুরু করলাম তখন একভাবে তোমার চোখের মায়াতে ডুবে গেছিলাম যেটা তুমিই খেয়াল করোনি। হয়তো তখনই তোমাই ভালোবাসে ফেলি।(মনে মনে)
তানিশাঃ এইযে।
কাব্যঃ হুম বলো।
তানিশাঃ চলুন বাসাই যেতে হবেনা?? সবাই টেনশন করবে।
কাব্যঃ ওহ তাইতো। আচ্ছা চলো।
কিন্ত তোমার বাসাই বকবে না??
তানিশাঃ আমার সাথে বকবক করে কে পারবে??
কাব্যঃ ওহ তাইতো মন্দ না।
তানিশাঃ হুম। চলেন।
-তারপর দুজনে হাসিমুখে উঠে যেয়ে গাড়িতে বসে।কাব্য গাড়ি নিয়ে চলছে আর তানিশা দুষ্টুমি করেই যাচ্ছে মনে হচ্ছে যেনো কতদিন এর সম্পর্ক তাদের।
।।।।।।
তানিশাকে বাসাই পৌছে দেওয়ার পর কাব্যও চলে যাই।
.
#_____________চলবে________________


#কোনো গল্পের পর্ব খুজে না পেলে সর্বশেষ পোস্ট কমেন্ট করে জানাবেন।



#আপনাদের উৎসাহ পেলে পরবর্তী পার্ট দিবো। আসা করি সবাই লাইক কমেন্ট করে সাথেই থাকবেন।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here