revenge #part_2

0
950

#revenge
#part_2
#sabiha_kh

দুইদিন পর,,,,,

রহিতকে নিয়ে সাড়া কলেজে হৈ চৈ পড়ে আছে সবার এক প্রশ্ন এত শান্ত স্বভাবের ছেলে হঠাৎ এমন কাজ কেন করল।,,,

কলেজের ক্যান্টিন থেকে কফি নিয়ে এক কোনায় গিয়ে বসলো মিরা। এবং মোবাইল টিপতে লাগলো।। জানালা দিয়ে বাইরে তাকাতে হঠাৎ মিরার চোখ ক্যান্টিনের এক কোনায় যাই দেখে একটা ছেলে মেহগুনি গাছের গুড়ির উপর বসে বয়েজ হস্টেলের সেই ১০ তালার বারান্দার দিকে তাকিয়ে আছে যেখান থেকে ২ দুই দিন আগে গভীর রাতে রহিত লাফ দিয়ে সুইসাইড করেছিলো।।। মিরার মনে একটু কৌতুল জন্ম নিলো।। ছেলেটা খুব করুন দৃষ্টিতে তাকিয়ে আছে সেদিকে। মিরা কফির গ্লাস নিয়ে বাইরে সেই ছেলের দিকে গেল। ছেলেটা মিরাকে নোটিশ করেনা সেদিকেই তাকিয়ে রইল। মিরা গলা খাশ দিয়ে ওর পাশে বসে।ছেলেটার তখনো কোনো রিয়াকশান না পেয়ে মিরা একটু কাছে মুখ এগিয়ে নিয়ে কফি অফার করলো।।। ছেলেটি সজাগ হয়ে মিরার দিকে তাকালো।।।

মিরা- কফি!!!!

– না খাবো না।।।( ভারি কন্ঠে)

মিরা সন্দেহ কন্ঠে জিজ্ঞাসা করল – ওদিকে এইভাবে তাকিয়ে আছেন কেন?? আপনি কি রহিত এর কেউ হন????

ছেলেটি আড়চোখে মিরার দিকে তাকালো।।

মিরা ছেলেটার এইভাবে তাকানো দেখে মনে আরো প্রশ্ন জাগে,- না মানে,, আসলে আমি আপনাকে ওই বিল্ডিং এর বারান্দার দিকে এতো মনোযোগ দিয়ে তাকিয়ে থাকতে দেখে আমার মনে হলো আপনি রহিত কে চিনেন হয়তো৷৷

ছেলেটি বললো – হমম আমি রোহিত কে চিনি।। আমি রহিতের হাইস্কুলের বন্ধু ছিলাম।।। আমি বাইরের দেশে পড়াশোনা করি।।। কনো ভাবে রহিতের এই দুর্ঘটনা জানতে পেরে দেশে এসেছি।।। কিন্তু আপনি,,,,,,

মিরা- আমি রহিতের ক্লাস মেট৷।। রহিত খুব ভালোএকটা ছেলে ছিলো এবং খুব লাজুক টাইপের ছেলে ছিলো।। রহিত যখন প্রথম কলেজে আসে আমি ওকে দেখেই ক্রাস খেয়েছি।। কারণ ও এতোটাই কিউট।। রহিতের মাথার চুল গুলো ছোট ছোট ও সব সময় চুল গুলো কপালের উপর ফেলে রাখতো।। এতোই যে কিউট দেখাতো ওকে কি বলবো।। আর আমিতো রহিতের হাসিতে পাগল হয়েগিয়েছিলাম। রহিতের হাসি এতোই মিষ্টি লাগতো আমার কাছে যে ও যখন হাসতো আমি ওর দিকে অবাক চোখে তাকিয়ে থাকতাম৷।।। ওর কিউট নেসের কারণে ছেলেরাও ওকে অনেক পছন্দ করতো। আর ওর কথা,, (হেসে) ওর ভয়েস টোন ওর কথা বলার স্টাইল সব কিছুই আমার মনটাকে পাগল বানিয়ে দিতো।। আমি ক্লাসের শেষ ব্রেঞ্চে বসলেও আমার নজর সব সময় রহিতের উপর থাকতো।। কারণ আমি রহিতকে পছন্দ করতাম।। আমি আজো মানতে পারিনা যে রহিত আর নেই।।। ক্লাসে ঢুকতেই আমি যেই ছেলেটাকে আগে দেখতাম আজ সেই ছেলের জায়গাটা ফাকা পরে আছে।।।

– আচ্ছা রোহিতের রুম থেকে পুলিশরা কিছু পাইনি???

মিরা- হমম শুনেছি রহিতের ডায়েরি পেয়েছে। তবে একটা আশ্চর্য ঘটনা ঘটেছে জানিনা সত্যি কিনা সবাইকে বলতে শুনলাম রহিতের লাশ নাকি গায়েব হয়ে গিয়েছে।।

ছেলেটা চমকে মিরার দিকে তাকিয়ে বললো- কি???

মিরা- হমম বিষয় টা সত্যি খুব আশ্চর্য জনক।। যাই হোক আমি এখন উঠি।। ও হ্যা আপনার নামটা জানা হলো না।

– আমার নাম,,,,, আকাশ।।।

রিমা- ওকে আকাশ আবার কনো একদিন দেখা হবে।। বাই।।

বলে রিমা চলে গেলো।।।।

৪ দিন পর,,,,,

ঘড়িতে ঠিক রাত ১২ টা বাজে।।। চার পাশ নিস্তব্ধ। আমি পড়ার টেবিলের ল্যাপটা জালিয়ে রহিতের লিখা ডাইরি পড়তে শুরু করলাম।।। ডাইরির পাতাটা উল্টাতেই ভিতর থেকে দীর্ঘ শ্বাস বের হলো।।। আমি লিখা গুলো পরতে শুরু করলাম।।

০৫- ৩-২০২১

আমি রহিত।। হাইস্কুল শেষ করে কলেজের গন্ডিতে পা রেখেছি।।। আমি এই শহরের সব চেয়ে বড় কলেজে এডমিশন পেয়েছি।।। যদিও আমার পাশে খুশি ভাগ করে নেওয়া মতো কেও নাই তবুও আমি খুশি।।। এখন মনে হচ্ছে আমি বড় হয়েছি।৷ কাল আমি কলেজ হস্টেলে শিফ্ট হবো।।। শুনেছি হস্টেলের জীবনটা অনেক কঠিন হয়। তবুও আমি সেখানে থাকতে চায় কারণ আমি পড়া শুনা শিখতে চায়।৷ বাড়ি থেকে আমার কলেজটা বেশ দুরে আর আমি চায়না কনো কারণে আমার কলেজের ক্লাস টা মিস যাক তাই আমি কাল হস্টেলে শিফট হবো।।।।

০৬-৩-২০২১

আজ কলেজে আমার প্রথম দিন ছিলো।।।। গত কাল রাতে এতো এক্সাইটেড ছিলাম কি বলবো প্রথম দিন কেমন হবে কি করবো কি পরে যাবো এগুলো নিয়ে সারা রাত ভাবছিলাম।। প্রথম দিন কলেজে অনুভূতি সত্যিই অন্য রকম ছিলো।।। প্রথম দিন হিসেবে তেমন কারো সাথে কথা হয়নি। আর আমি তো এমনিও অন্যদের সাথে কথা বলতে একটু ভয় ভয় পাই।।।।।

০৯-০৩-২০২১

আজ কলেজের দিনটা একটু রকম ছিলো।। আজ প্রথম কাওকে দেখে মনের ভেতর একটা হিমশীতল বাতাস বয়ে গেছে।।। হা হা হা!!!!!!?
আজ সকালে কলেজে গিয়ে মাঠে মিষ্টি রোদের তাপে বসে বই পড়ছিলাম।। হঠাৎ আমার চোখ কলেজের মেন গেটের দিকে যাই। আমি দেখলাম একটা মেয়ে আসছে কানে হেডফোন দিয়ে সম্ভবত কথা বলছিলো!! আর হাসছিলো।। মেয়েটার হাসিটা খুব মিষ্টি ছিলো। ওর চোখ দুটো টানা টানা ঠোঁট টা চিকোন এবং ঠোঁটে হালকা লিপস্টিক দিয়েছিলো। মেয়েটার চুলগুলো অনেক সুন্দর চুলগুলো ছেড়ে রেখেছিলো।।। বাতাসে মেয়েটার চুল উরে মুখের সাথে বারি খাচ্ছিলো আর মেয়েটা একটু পর পর চুল মুখের উপর থেকে সরিয়ে কানের পিছনে গুজে দিচ্ছিলো৷।। তাকে দেখতে যে আমার এতো ভালো লাগছিলো কি বলবো।।। আমি একরকম মুগ্ধ হয়ে তাকিয়ে ছিলাম।। হঠাৎ ঘন্টার শব্দ কানে এলো। ঘড়ির দিকে তাকিয়ে দেখলাম ক্লাসের সময় হয়ে গেছে। আমি দৌড়ে ক্লাসের দিকে ছুটলাম। ক্লাসে ঢুকতেই দেখি স্যার এখনো আসেনি।। আমি তারাতারি গিয়ে ফাঁকা জায়গা দেখে বসে পরলাম।। এর ভিতর স্যার আসলো।। সত্যি বলতে কেন জানি আজ ক্লাসে মনিই বসছিলো না শুধু মেয়েটার চেহারা চোখের সামনে ভাসছিলো। হঠাৎ আপনা আপনি চোখ টা দরজার দিকে গেলো দেখি মেয়েটা দাড়িয়ে আছে। আমার হুট করে বুকের ভেতর কেপে উঠলো।। আমি বুকের বা পাশে হাত রাখলাম।।। এমন সময় মেয়েটা ধীর গলায় বললো – স্যার আসবো।। মেয়েটার দেখতে যেমন সুন্দর মেয়েটার কন্ঠ তেমন সুন্দর একদম ককিল পাখির মতো।।। আমার মনে সেই সময় গিটার বাজছিলো।।। মেয়েটা এসে আমার দুই ব্রেঞ্চ আগে বসলো।।। আমার যে কি আনন্দ হচ্ছিলো মেয়েটা আমার সাথেই পরে এই ভেবে।।। জানি না আমার কি হয়েছিলো শুধু ঘুরে ঘুরে মেয়েটার দিকেই আমার নজর যাচ্ছিলো।। আমি মনে মনে ভাবছিলাম মেয়েটার নামটা যদি জানতে পারতাম আর তখনি একটা মেয়ে মাইশা বলে ডাক দিলো মেয়েটা সেই মেয়ের দিকে তাকালো। তখনি আমি বুঝলাম মেয়েটার নাম মাইশা।। তখন সত্যি মনে খুব আনন্দ আনন্দ লাগছিলো।।

১০-০৩-২০২১

আজ আমার খুব কষ্ট হচ্ছে। কান্না পাচ্ছে খুব। আমি ভেবেছিলাম কলেজ জীবন টা অনেক সুন্দর কিন্তু এখানেও কালো ছায়া আছে।। এখানে সবাই ভালো হয়না।।
আজ কলেজে গিয়েছিলাম ক্লাসের সময় হয়ে আসছিলো তাই একটু দ্রুত করিডর দিয়ে হেটে ক্লাসের দিকে যাচ্ছিলাম।। তখনি পিছন থেকে কেও আমাকে এই ছেলে বলে ডাক দিলো। আমি পিছনে ঘুরে তাকাই দেখি কয়েক জন ছেলে দারিয়ে আছে।।। আমি একটু ভয়ে ভয়ে এগিয়ে গেলাম তাদের কাছে।।। ওরা আমাকে বললো- কি নিউ ইয়ার।।।
আমি বললাম- হ্যা।।
ওরা নিজেদের মধ্যে তাকাতাকি করে হাসতে লাগলো। আমার একটু রাগ হলো আমি চলে যেতে লাগলে ওরা আমার ব্যাগ টেনে ধরে। আমি ঘুরে তাকায় ওরা বললো- তোমাকে যেতে বলেছি?? আমি বললাম- আমার ক্লাসের সময় হয়ে যাচ্ছে৷ ওরা বললো- তো কি হয়েছে!! আমরা তোমার সিনিয়ার আমাদের সন্মান করো। এখানে চুপচাপ দাড়াও। আমি দাড়াম।। ওরা বললো- আমাদের নিজেস্ব কিছু রুলস আছে নিউ ইয়ারের কিছু student দের জন্য। সেগুলো মেনে চলা নিউ ইয়ারের student দের ফরজ কাজ।। আমি তাদের কথা শুনে একটু অবাক হলাম। ওরা বললো- আমরা যেটা বলবো এখন তুৃমি সেটা করবে।। তাহলেই আমরা তোমাকে ছেড়ে দিবো।। আমি বললাম- কি করতে হবে!! ওদের মধ্যে একজন সরাসরি বললো- তেমন কিছু না তুমি শুধু তোমার শার্ট খুলো।। আমি বললাম- কেন??? ওরা বললো- কনো প্রশ্ন না যেটা বললাম সেটা করো।। আমার রাগ হলো আমি ঘড়ির দিকে তাকালাম দেখলাম আর১০ মিনিট বাকি আছে।। আমি ওদের কিছু না বলে চলে যেতে লাগলে ওরা আমার কাধের ব্যাগ টেনে কাধ থেকে ব্যাগ ফেলে দিলো।। আমি ওদের দিকে তাকালাম। ওরা আমাকে বললো- আমাদের সাথে কনো বেয়াদবি না।। আমি বললাম – দেখুন আমার ক্লাসের সময় হয়ে যাচ্ছে আমাকে যেতে দিন। বলে আমি ব্যাগ তুলতে লাগলে ওরা আমাকে ধাক্কা দিলো।। আমার খুব খারাপ লাগতে লাগলো কারণ ওখানে আরো কয়েক জন ছেলে মেয়ে ছিলো সবাই দাড়িয়ে আমাকেই দেখছিলো। তারপর ওদের মধ্যে একজন এসে আমার শার্টের কলার ধরে উঠালো এবং দুইজন এসে আমার দুইহাত চেপে ধরলো আমার তখন খুব ভয় লাগছিলো।। আমি ওদের হাত থেকে নিজের হাত ছাড়ানোর খুব চেষ্টা করলাম কিন্তু ওরা আরো শক্ত করে আমার হাত চেপে ধরছিলো। ওদের মধ্যে আরেকজন এসে আমার শার্টের বোতাম খুলতে লাগলো আর হাসতে লাগলো। আমি ওদের সামনে খুব আকুতি করে বললাম – প্লিজ আমাকে ছেড়ে দিন আমার সাথে এমন করবেন না আমার ক্লাসের সময় হয়ে যাচ্ছে প্লিজ আমাকে যেতে দিন।। কিন্তু ওরা আমার একটা কথাও শুমলো না জোর জবোর দস্তি করে আমার গায়ের থেকে শার্ট খুলে নিয়ে নিলো।। আর ঠিক সে সময় মাইশা আসছিলো মাইশা আমার দিকে আর চোখে তাকিয়ে দেখে চলে গেলো।। সেই সময় এতোটাই খারাপ লাগছিলো যে আমার মনে হচ্ছিলো আমি মাটির তলে ঢুকে যাই।।। আমার খুব কান্না পাচ্ছিলো।। ওরা আমাকে ধাক্কা দিয়ে ফেলে দেয়। এবং জোরে জোরে সবাই হাসতে লাগলো।। সেই সময় নিজেকে খুব অসহায় মনে হচ্ছিলো।।। ওরা আমার মুখের উপর শার্ট ছুড়ে মেরে দিয়ে হাসতে হাসতে চলে গেলো।। আমি শার্ট গায়ে পরে উঠে দাড়ালাম দেখলাম সবাই আমার দিকে তাকিয়ে আছে। সেই সময় ক্লাসের ঘন্টা দিলো। সবাই ক্লাসে চলে গেলো কিন্তু আমার আর সাহস হলো না।। এমন লজ্জা নিয়ে আমি কি ভাবে ক্লাসে যাবো?? তাই আমি আর আজ ক্লাসে না গিয়ে হস্টেলে ফিরে এসেছি।। আমি ভুলতেই পারছিনা বারবার আমার চোখের সামনে শুধু ভাসছে আজকের এই ঘটনা টা।।।

১১-০৩-২০২১

আমার হাসা উচিত নাকি কান্না করা উচিত বুঝতে পারছিনা।। গতকাল রাতে ঠিক করেছিলাম ওই সিনিয়ার ছেলেগুলো নামে আমি অনিক স্যারের কাছে বিচার দিবো।। আজ সকালে কলেজে গিয়ে আমি সোজা স্যারের রুমে গেলাম। দেখলাম অনিক স্যার ক্লাসে যাওয়ার জন্য বের হচ্ছে।। আমি স্যারকে বললাম- স্যার আসবো। স্যার বললো- হমম আসো।। আমি ভিতরে গেলাম স্যার আমাকে বললো- তুমি গতকাল ক্লাসে আসোনি কেন রহিত।।। আমি মাথা নিচু করেছিলাম কি বলবো আমার কি বলা উচিত বুঝতে পারছিলাম না।। স্যার আমার কাছে এসে আমার কাধে হাত রেখে বললো- কি হয়েছে?? বলতো?? আমি বললাম – স্যার আমি আপনাকে সিনিয়ার student দের নামে বিচার দিতে এসেছি।। গতকাল আমার সাথে সিনিয়ার রা যা করেছিলো আমি সব খুলে বললাম ।।। স্যার আমার কথা শুনে হেসে উরিয়ে দিলো৷ আমি খুব অবাক হলাম স্যারের মুখে হাসি দেখে।। আমি বললাম- স্যার আপনি হাসছেন?? স্যার বললো- রহিত এটা খুব সামান্য একটা বিষয় এমনটা সব কলেজেই হয়।। সিনিয়ার রা নিউ ইয়ার student দের সাথে এভাবে মজা করে।। এটা মনে ধরার মতো কনো বিষয় না রহিত। এর পরে ওরা যদি এমন কিছু করতে বলে তাহলে তুমি করো ওদের সাথে মজা নিয়ো । এখন যাও ক্লাসে যাও।।।
আমি স্যারের কথা শুনে এতো অবাক হয়েছি কি বলবো। সেই সময় আমার এতো খারাপ লাগছিলো মনে হচ্ছিলো আমি এই কথা গুলো বলতে এসেই ভুল করেছি।।।



ডাইরি পরতে পরতে ভোর হয়ে এলো। বাইরের দিকে তাকালাম দেকলাম হালকা হালকা আলো ফুটছে।। আমি ডাইরি বন্ধ করে রেখে উঠে বারান্দায় গিয়ে দাড়িয়ে চোখ বন্ধ করে একটা দীর্ঘশ্বাস ছাড়লাম।।

রাত ৮ টা,,,,,

টিউশানি শেষ করে অনিক স্যার মোটরসাইকেল নিয়ে বাড়ির দিকে যাচ্ছিলো। হঠাৎ তার মনে হলো কেও তাকে ফলো করছে।। তিনি কৌতুহল নিয়ে বেশ কয়েকবার পিছনে ঘুরে তাকালো কিন্তু কাওকে দেখলো না।।উনি নিজের মনে মোটরসাইকেল চালিয়ে আবার যেতে লাগলো।। কিন্তু তার মনে কেমন যেন একটা অদ্ভুত ভয় কাজ করছিলো।। অনিক মনে মনে বললো- এই রাস্তা দিয়ে আমি কতো বার যাওয়া আসা করেছি কখনো এমন অদ্ভুত ভয় কাজ করেনি আজ কেন এমন লাগছে।। ভাবতে ভাবতে অনিক তার বাড়িতে যাওয়ার রাস্তায় আসলো। এমন সময় হঠাৎ তার মোটরসাইকেলে সামনে একটা কুকুর ছানা চলে আসে। অনিক দেখে জোরে মটোর সাইকেল ব্রেক করে থামিয়ে দিলো।।। এবং বড় বড় চোখ করে জোরে জোরে শ্বাস ফেলতে ভাবলো আমিকি কুকুর ছানাটাকে চাপা দিয়ে দিয়েছি!!!
ভেবে অনিক উত্তেজিত হয়ে দ্রুত গাড়ি থেকে নেমে গাড়ির চাকার দিকে তাকালো দেখলো কিছুই নেই।। অনিক বুকে হাত রেখে চোখ বন্ধ করে সস্থির একটা নিশ্বাস ছাড়লো। হঠাৎ সে খেয়াল করলো তার চারপাশ একদম স্তব্ধ।।

অনিকের শরীর আপনা আপনি ভারি হয়ে এলো।।

অনিক – জায়গাটা ভালো না মনে হচ্ছে এখানে আমার দাড়ানেটাই ঠিক হয়নি।।।

বলে অনিক গাড়িতে উঠে বসলো।। এমন সময় সে অনুভব করলো তার পিছে কেও দাড়িয়ে আছে।। অনিকের কান মাথা গরম হয়ে এলো এবং গরম ভাব বের হতে লাগলো।।। অনিক সাহাস পেলো না পিছনে ঘুরে তাকানোর।।।
অনিক মনে মনে বললো- গাড়িটা স্টাট দিতে পারলেই বাচি।।।
অনিকের হার্ড বিট দ্রুত হয়ে গেলো।। চোখ মুখ থেকে ঘাম ছুটে গেলো।। অনিক কনো রকম কাপা হাতে গাড়ির চাবিটা ঘুরিয়ে স্টাট দিয়ে সামনে তাকাতেই সামনে থেকেই তার মাথায় কেউ আঘাত করলো।। অনিক জ্ঞান হারিয়ে মটোর সাইকেলের শুদ্ধ পরে গেলো।।।।

,,,,,,,,,,,,,,,continue,,,,,,,,,,,,,

ভুলত্রুটি ক্ষমা করবেন।।।।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here