The_Beauty_Of_Love,Part_4

0
1900

#The_Beauty_Of_Love,Part_4
#Samayra_Mihu (Nafisa)
.
.
.
সকালে উঠিয়া আমি মনে মনে ভাবি কি করে এই খচ্চরকে জ্বালায় তে আমি পারি,,,,আমি ঘুম থেকে খুব তাড়াতাড়ি উঠে পড়েছি আজ,, এমনিতেও ঘুম থেকে তাড়াতাড়ি উঠার অভ্যেস আছে আমার রোজ সকালে মামী জোর করে উঠাতো কাজ করানোর জন্যে,,,উঠে ফ্রেশ হয়ে সোফায় বসে চৌধূরী সাহেবের দিকে তাকিয়ে ভাবছি,, এই ব্যাটা কে জব্দো কি করে করা যায়,,,তখনি আমার মাথায় একটা শয়তানি বুদ্ধি এলো,,,আমি তাড়াতাড়ি ওনার বেডের এক পাশে দাড়ালাম আমার ওড়না টা নিয়ে ওড়নার এক কোণা দিয়ে ওনার কানের ভিতরে দিলাম উনি নড়ে চড়ে উঠলে আমি বেডের আড়ালে লুকিয়ে পরি,,,কিন্তু ওনার ঘুম ভাঙলো না,,আমি যে সাইডে আছি ওই সাইডে মুখ করে আবার ঘুমিয়ে পরলো,,,আমি আস্তে আস্তে অন্য সাইডে গিয়ে সেম কাজ করি,,উনি এবার একটু বিরক্ত হয় বিরক্ত হয়ে উপরে দিকে মুখ করে সোজা হয়ে ঘুমিয়ে পড়ে,, আমি তো মুখ টিপে টিপে হাসছি বেচারার সাধের ঘুমে যে ডিস্টার্ব হচ্ছে হিহিহিহি,,আমি আবার সেম কাজ করতে যাবো তার আগেই উনি আমার হাত ধরে টান দিয়ে বেডে ফেলে দেয় আমি নিজেকে সামলাতে না পেরে হুমড়ি খেয়ে ওনার ওপরে পড়ি,,,

উনি আমার হাত শক্ত করে ধরে বলে উঠে,,

“মাহির চৌধূরী কে বিরক্ত করার সাহস কি করে হলো এর শাস্তি তো পেতেই হবে তোমাকে,,,

ওনার কথায় রাগ নেয় তবে শাস্তি দেওয়ার কথা শুনে ভয় পেয়ে গেলাম,,আমি নিজেকে ছাড়ানোর চেষ্টা করে বলি,,,

“ছাড়ুন আমাকে আমি কিছু করিনি সত্যি মিহু কখনো মিথ্যা বলে না,,,

“রিয়েলি তাহলে তুমি এতো সকালে আমার বেডের কাছে কি করো?(ব্রু কুচকে তাকিয়ে)

“না মানে ইয়ে মানে,,,আমি..

উনি আমাকে আচমকায় ঘুরিয়ে বেডের উপর ফেলে দেয় আর উনি আমার ওপরে উঠে বলে,,

“কি ইয়ে মানে করছো আমি জানি তুমি আমার কানে কি যেনো দিচ্ছিলে,,এখন শাস্তি ভোগ করো,,,

এই বলে উনি আস্তে আস্তে আমার দিকে এগোতে লাগে তখনি আমি বলি,,,

“ছি আপনার মুখে গন্ধ ব্রাশ করেন গিয়ে,,

” হোয়াট,,,,(ব্রু কুচকে)

“হোয়াট না সত্যি (একটু ভাব নিয়ে)

“তবে রে দাড়াও দেখাচ্ছি মজা,,,

এই বলে আবার আগাতে লাগে আমি কি করবো বুঝতে পারছি না তখনি অনেক জোরে চিৎকার করে উঠি,,,

“মামনিইইইইইইইইইইইইইই,,

আমার এমন করে চিৎকার করায় উনি কানে হাত দিয়ে তাড়াতাড়ি উঠে যায় আমিও এই সুযোগে উঠে দূরে সরে যায় উনি কিছু বলতে যাবে তখনি মামনি চলে আসে দরজা খোলা থাকায় ভিতরে এসে বলে,,

“মিহু কি হয়েছে এমন করে চিৎকার করলি কেনো?

এই রে এখন কি বলি ওনার কথা বললে তো ছি ছি এটা বলা যাবে না মামনি অন্য কিছু ভাববে,,কিছু একটা বলে কাটাতে হবে,,,

“না মানে মামনি তেলাপোকা,,(যোর করে হাসার চেষ্টা করে)

“তেলাপোকা?( ব্রু কুচকে তাকায় মামনি)

“হ্যাঁ তেলাপোকা এত্তো বড়ো (আমার দুটো হাত সোজা করে বুঝিয়ে দিলাম কতো বড়ো তেলাপোকা) জানো মামনি তেলাপোকা টা আমার গায়ের উপর উঠে গেছিল,,(চৌধূরী সাহেবের দিকে রাগী লুক নিয়ে তাকিয়ে বললাম)

“সবি বুঝলাম কিন্তু তেলাপোকা এত্তো বড়ো হয় কেমনে? (মামনি ও আমার মতো হাত সোজা করে বুঝিয়ে বলে)

“আরে মামনি তুমি বুঝবা না চলো চলো নিচে যায় নইতো আবার তেলাপোকা হামলা করবে,,(মামনি কে টেনে নিচে নিয়ে যায়)

” কি যানি বাপু এ কোন তেলাপোকা,,(মামনি এটা বলে আমার সঙ্গে চলে আসে)

এই দিকে মাহির,,

“কত্তো বড়ো ফাজিল মেয়ে আমাকে তেলাপোকা বানিয়ে দিলো,,দেখাচ্ছি তোমাকে মিসেস চৌধূরী একবার একা পাই,,(রেগে বললো)

মাহির ফ্রেশ হয়ে একেবারে অফিসের জন্যে রেডি হয়ে নিচে নামে,,সিড়ি দিয়ে নামার সময় দেখে আমি মামনির সঙ্গে কথা বলছি ,,কথা বলতে বলতে আমি সিড়ির দিকে তাকালাম দেখলাম উনি দাড়িয়ে আমাদের কথা শুনছে আমি মুখে ভেংচি কেটে আবার মামনির সঙ্গে কথা বলতে থাকি,,,উনি নিচে এসে বলে,

“আম্মু এই বকবক মেয়ের সঙ্গে কি এতো কথা বলছো?

ওনার কথা শুনে রাগী লুক নিয়ে তাকালাম,,তখন মামনি বলে,,

“বকবক করাও একটা আর্ট এটা সবাই পারে না বুঝেছিস,,তোর মতো নাকি সব সময় বাংলা পাঁচ এর মতো মুখ করে থাকবে,,,

মামনির কথা শুনে আমি ফিক করে হেসে উঠলাম আমার হাসি দেখে উনি আমার দিকে রাগী চোখে তাকালে আমি নিচে দিকে মুখ করে নি,,,

“আম্মু তোমার ছেলে আমি ওই মেয়ে না,,(রেগে)

“আমি কখন বললাম মিহু আমার ছেলে মিহু তো আমার মেয়েই,,,আর তুই তখন থেকে কি ওই মেয়েটা ওই মেয়েটা করছিস নাম বলতে পারিস না কত্তো সুন্দর একটা নাম আছে,,,,,

মাহির আর কিছু বললো না নাস্তা করে মামনি কে বাই বলে আর আমার দিকে রাগী একটা লুক নিয়ে চলে গেলো,,ওনার এই চোখ রাঙ্গানি দেখে মনে হলো উনি বলছে,,” তোমাকে একা পায় তারপর দেখছি,,,, হাহ আমিও রেডি মিস্টার খচ্চর আপনাকেও আমি দেখে নিবো,,,,,

মাহির অফিসে এসে কিছু কাজ করছিলো তখনি একটা মেয়ে রুমে ঢুকে জোরে বলে উঠলো,,,

“তুমি এটা কি করে করতে পারলে মাহির আমাকে বিয়ে করবে বলে অন্য মেয়েকে কেনো বিয়ে করলে,,,

মাহির ল্যাপটপ থেকে মাথা তুলে তাকিয়ে দেখে জেরিন যার সঙ্গে মাহিরের বিয়ে হওয়ার কথা ছিল,,

“ভদ্রতা কি ভুলে গেছো জেরিন কারো রুমে আসতে হলে নক করে আসতে হয় জানো না,,,(শান্ত হয়ে)

“তুমি আমাকে বিয়ে করবে বলে অন্য মেয়েকে কেনো বিয়ে করলে,,(মাহিরের কথা ইগনোর করে রেগে বলে উঠে,,)

“আওয়াজ নিচে আমার সামনে কোন সাহসে গলা উচু করে কথা বলো,,(এবার মাহির ও রেগে যায়)

মাহিরের রাগ দেখে জেরিন একটু ভয় পায় কিন্তু প্রশ্ন করতে ছারে না আবার সেই একি প্রশ্ন করে মাহির অন্য মেয়েকে বিয়ে কেনো করলো,,,

“তুমি বিয়ের দিনে কাজী অফিসে আসনি কেন জেরিন তোমাকে আমি জোর করে বিয়ে করতে চাইনি আমি তোমাকে টাকা দিবো বলেছিলাম তুমি রাজি হয়েছিলে বলে বিয়ে করতে চেয়েছি তোমায় আর তুমি কি করলে কাজী অফিস ই আসলে না,,,

“আমি এসেছিলাম মাহির এসে দেখি তুমি একটা মেয়েকে বিয়ে করে গাড়ি তে করে নিয়ে চলে গেলে,,আমি টাকার জন্যে বিয়ে করতে রাজি হইনি তুমি খুব ভালো করে জানো আমি সেই ইউনিভার্সিটি লাইফ থেকে তোমাকে ভালোবাসি কিন্তু তুমি পাত্তাও দিতে না আমাকে এখন যখন বিয়ে করতে চেয়েছিলে তখন আমি অনেক খুশি হয়েছিলাম তাই বিয়ের দিন বউ সাজতে পার্লারে গেছি আসার সময় জ্যামে আটকা পড়ে যায় তাই একটু দেড়ি হয়ে যায় আমার,, আর তুমি কি করলে অন্য মেয়েকে বিয়ে করে নিলে,,,,

“তোমার সঙ্গে সো কলড সংসার করার জন্য বিয়ে করতে চাইনি আমি সেইদিন বিয়ে করা টা আমার অনেক জরুরী ছিল তাই করেছি নয়তো এই সব বিয়ে তে মাহির চৌধূরী বিশ্বাস করে না,,,,

জেরিন কিছু বলতে যাবে তার আগেই মাহির বলে উঠে,,,

“তোমার সঙ্গে এখন আমার আর কোনো কাজ নেই ,,সো ইউ ক্যান গো নাউ,,,

“মাহির আমার কথা টা এক….(কিছু বলার আগেই মাহির জোরে বলে )

“গোওওও

জেরিন আর কিছু বলতে পারে না রাগে ফুঁসতে ফুঁসতে বাইরে চলে আসে,,বাইরে এসে নিজে নিজে বলে,,,,

“সেই ইউনিভার্সিটি লাইফ থেকে আমি তোমাকে ভালোবেসে এসেছি,,আর এখন তুমি অন্য একটা মেয়েকে বিয়ে করে সুখে থাকবে তা আমি কখনো হতে দিবো না তোমাকে আমি না পেলে কেও পাবে না ,,,আর ওই মেয়েকে তো আমি দেখে নিবো,,,,(রেগে এই সব বলে চলে যায়)

ভার্সিটি লাইফে পরিচয় হয় জেরিন এর সঙ্গে মাহিরের ,,,মাহিরের আরো কিছু ফ্রেন্ড দের মধ্যে জেরিন একটা ছিলো,, অত্যান্ত গায়ে পরা স্বভাবের মেয়ে মাহির একদম লাইক করতো না ওকে কিন্তু বন্ধুত্বের খাতিরে কিছু বলতে পারতো না ,,,, মাহির যখন হঠাৎ শুনে তার ২৬ বছর পূর্ণ হওয়ার কিছু দিন আগে তাকে বিয়ে করতে হবে নয়তো তার সব কিছু সরকারের হাতে চলে যাবে ,,তখন কোনো রাস্তা না পেয়ে জেরিন কে বলে বিয়ে করতে আর জেরিন তো এটাই চেয়েছিল সে এক পায়ে রাজি হয়ে যায়,,,কিন্তু জেরিনের বোকামি তে একটু লেট করেই কাজী অফিসে যায় যখন মাহির মিহু কে বিয়ে করে চলে যাচ্ছিলো,,,,সেখান থেকে রাগে ফুঁসতে ফুঁসতে চলে যায় জেরিন,,,,,,,

বিকেল বেলায় মামনি আর আমি ছাদে দোলনায় বসে গল্প করছি আর আমি চকলেট খাচ্ছি,,,,তখন মামনি বলে,,,

“মিহু তোর সঙ্গে তো অনেক কথা বললাম কিন্তু তোর আব্বু আম্মু পরিবারের কথা তো বললি না আর না মাহির কিছু বলেছে ,,,তোর ওনাদের সঙ্গে কথা হয়েছে?

মামনির প্রশ্ন শুনে মন টা খারাপ হয়ে গেল আমি মুখে কৃত্তিম হাসি নিয়ে বললাম,,,

“আমার আব্বু আম্মু নেই মামনি ছোট বেলায় আমাকে একা রেখে চলে গেছে অনেক দূরে,,,ছোট থেকে মামা মামীর কাছে বড়ো হয়েছি,,,মামী আমাকে কখনো ভালোবাসা দেয় নি ,,শুধু মামা আর একটা আমার বড় আপু ছিলো আমার মামা মামীর একমাত্র মেয়ে সে খুব ভালোবাসতো,, বড় আপু থাকতে আমার মা এর অভাব পড়তে দেয় নি কখনো,, যখন যা চাইতাম তাই এনে দিত,,,কিন্তু…. (একটা দীর্ঘ শ্বাস ছেড়ে) কিন্তু একটা দুর্ঘটনায় আপু কেও আমার কাছ থেকে কেরে নিলো,,,,,,

আমার কথা শুনে মামনি আমাকে জড়িয়ে ধরে বলে,,

“দুর পাগলী কে বলেছে তোর আম্মু নেয় আমি কি তোর পর নাকি হু,,,(আমার কপালে একটা চুমু দিয়ে)

আমি মামনি কে জড়িয়ে ধরে কান্না করে দেয়,,, এমন শাশুড়ি ভাগ্যবতী মেয়েদের কপালেই থাকে,,পৃথিবীর সব শাশুড়ি এমন কেনো হয় না? পৃথিবীর সব শাশুড়ি বউমা দের মেয়ের চোখে দেখা উচিত আর সব বউ শাশুড়ি দের মা এর চোখে দেখা উচিত,,,,বউ শাশুড়ি দুই জনে মিলে থাকলে কোনো সংসারে বউ নিয়ে ঝামেলা হবে না আর না বৃদ্ধা আশ্রমে যেতে হবে কোনো শাশুড়ি দের,,,,,আমি অনেক ভাগ্যবান মেয়ে যে এমন একটা মামনি পেয়েছি,,,কিন্তু আদৌও কি আমি ভাগ্যবান মেয়ে???,,,,।।(মনে মনে এসব কথা ভাবছি)

মাহির বাড়িতে এসে কাউকে খুঁজে না পেয়ে ছাদে আসে ,,,এসে আমাদের সব কথা শুনে মাহির ,,মাহিরের একটু খারাপ লাগে আমার কথা শুনে,,,

মামনি আমি আবার গল্পে মেতে উঠলাম তখন দেখি ছাদের দরজার কাছে দাঁড়িয়ে আছে উনি আমি চুপ করে গেলাম আর মামনিকে ইশারায় দেখলাম উনি এসেছে,,

“কি রে তুই এতো জলদি অফিস থেকে ফিরে এলি যে,,,

“আম্মু কোনো কাজ ছিলো না তাই চলে এলাম,,,

“বুঝি বুঝি বাড়িতে নতুন বউ রেখে অফিসে কি মন টিকে,,(হেসে)

“আম্মু তুমিও না ওকে থাকো আমি চলে গেলাম,,,

“আরে না না কই যাস এখানে আয়,, ব্যাটা সব সময় রাগ যেনো নাকের ডগায় থাকে পুরো বাপের মতো হয়েছে,,, এখানে এসে বস আমি কফি পাঠিয়ে দিচ্ছি,,,,

এই বলে মামনি চলে যায়,, আল্লাহ গো বাঘের সামনে আমার মতো একটা নিষ্পাপ বিল্লি রে রেখে চলে গেলো মামনি,,,,না মিহু না ভয় পেলে চলবে না,,,আমি নিজের মতো চকোলেট খেতে লাগলাম তখন উনি এসে আমার পাশে একটু দুরক্ত রেখে দোলনায় বসে পড়ে,,আর আমার মুখের দিকে তাকিয়ে থাকে,,আমার অনেক অসুস্তী লাগছে,,আমি ব্রু কুচকে ওনার দিকে তাকিয়ে বলি,,

“চকোলেট খাবেন?(হাতের চকোলেট টা দেখিয়ে)

“না আমি ওইসব খায় না,,(ভাব নিয়ে)

“হ্যাঁ চকোলেট খান্না বলেই তো মুখে সব সময় তিতা কথা,,,আর আপনি খেলেও আমি দিতাম না চকোলেটে নো ভাগাভাগি ওনলি আমার,,,আর হ্যাঁ আমার মুখের দিকে তাকিয়ে থাকবেন না আমার তখন নজর লেগে পেট খারাপ করবে,,,,,(আমিও ভাব নিয়ে বললাম)

“কি আমি সব সময় তিতা কথা বলি আর আমি তোমার চকোলেটে নজর দিচ্ছি নাকি যে পেট খারাপ করবে,,,(রেগে)

“হ্যাঁ পারেন তো শুধু রাগ দেখাতে, দুর আপনার সঙ্গে কথা বলায় বেকার,,,(এই বলে আমি উঠে ছাদের রেলিং ধরে দাড়িয়ে চকোলেট খেতে থাকি,,,

“আরে এই মেয়ে তো আমাকে পাত্তাই দিচ্ছে না যেখানে সব মেয়ে মাহির চৌধূরী বলতে পাগল আর এই মেয়ে আমার বউ হয়েও পাত্তা দিচ্ছে না আর সকাল থেকে দেখছি ভয় ও পাচ্ছে না (মনে মনে বললো কথা গুলা মাহির)

মাহির উঠে আমার কাছে এসে দাড়ালো আমি একবার তাকিয়ে আবার চকোলেট খাওয়াতে মনোযোগ দিলাম কিন্তু তা আর হলো না উনি আমার চকোলেট টা কেরে নিয়ে নিলো,,,

“এটা কি হলো দিন আমার চকোলেট দিন,,(ওনার হাত থেকে নেওয়ার চেষ্টা করে )

“দিবো না কি করবে?

আমি কিছু না বলে নেওয়ার চেষ্টা করতে থাকি বেডা খচ্চর এতো লম্বা কেনো আমি তো নাগাল ই পাচ্ছি না,,,,

“এতো টুকু একটা মেয়ে আমার সঙ্গে লাগতে এসেছে পিচ্ছি,,,

“দেখুন আমি মোটেও ছোট না ৫ফুট ২ ইঞ্চি লম্বা আমি আর মেয়েদের এমনই ঠিক হু,,,

“চকোলেট নিয়ে দেখাও তবেই খেতে পারবে,,,

আমি অনেক চেষ্টা করেও পারলাম না আর না পেরে মন খারাপ করে চুপ করে রইলাম,,,তখন উনি চকোলেট টা আমার দিকে এগিয়ে দেয় আমি খুশি হয়ে নিতে লাগি ,,চকোলেট টা নিতেই যাবো তখনি উনি চকোলেট টা সরিয়ে ছাদ থেকে অনেক যোরে ছুড়ে মারলো যেটা বাড়ির বাইরে রাস্তায় গিয়ে পরলো,,আমি অবাক হয়ে তাকিয়ে আছি ওনার দিকে তারপর কান্না করে রাস্তার দিকে তাকালাম নষ্ট হয়ে গেছে চকোলেট টা,, অর্ধেক ই খেয়েছিলাম বাকি সব আছে,,, আমার কতো সাধের ডাইরি মিলক চকোলেট,,,

“আপনি খুব খারাপ খুব,,(এই বলে ছাদ থেকে চলে এলাম রুমে আমার অনেক কান্না প্লাস রাগ উঠছে)

কিছুক্ষন পরে উনি রুমে এলো আমি ওনার দিকে তাকালাম না কিন্তু উনি ডোন্ট কেয়ার ভাব নিয়ে ওয়াশ রুমে চলে গেলো রাগ যেনো আরো বেড়ে গেলো আমার ,,আমি রেগে নিচে চলে এলাম,,, রান্না ঘরে গিয়ে দেখি মামনি কফি নিয়ে বাইরে আসছিল আমাকে দেখে বলে,,

“ওহ তুই চলে এসেছিস এই নে ধোর এটা তোর চৌধূরী সাহেব কে দিয়ে আয় ,,সন্ধ্যে হয়ে গেছে আযান দিচ্ছে আমি নামায পরি ,,(আমার হাতে কফি ধরিয়ে মামনি চলে গেলো,,)

আমিও ভদ্রো মেয়ের মতো ওনাকে কফি দিতে যাচ্ছিলাম দুই পা হেটে থেমে গেলাম তারপর ভাবছি,,

” ওয়াইট ওয়াইট মিহু তুই এতো ভদ্র কি করে হলি? না মিহু না তুই তো ওই মিস্টার খচ্চরের কাছে একদমি ভদ্র সাজবি না ,,সালা আমার ভদ্রতার যোজ্ঞই না,,,

এই ভেবে আবার রান্না ঘরে গিয়ে কফি কে নিয়ে একটু রিসাজ করলাম,,,(হিহিহিহি নিশ্চয় বুঝে গেছেন কি করেছি),,

তারপর কফি নিয়ে ওপরে চলে গেলাম,,রুমে গিয়ে দেখি সোফায় বসে ল্যাপটপে কাজ করছে আমি গিয়ে ওনার সামনে দাড়িয়ে কফি এগিয়ে দিলাম কিন্তু কথা বললাম না,,উনি এক নজর তাকিয়ে কফি টা নিয়ে আবার কাজে লেগে পরলো,,,আমি অপেক্ষায় আছি কফি টা খাবে কখন,,অপেক্ষার প্রহর শেষ করে উনি খেলো দেখে বুঝলাম একে বারে অনেক টুকুই মুখে নিয়েছে,,, খাওয়ার পর উনি ঝালে উঠে দাঁড়ায় রুমে পানি ছিলো টা খেতে লাগে কিন্তু তাতেও কিছু হয় না রুমের জিনিস সব ছুড়ে মারতে লাগে ,,,উনি পাগলের মতো করছে ফেস লাল হয়ে গেছে দেখে মনে হচ্ছে ঝাল এক দমি খায় না,,আমার একটু খারাপ লাগলে তার কাছে দৌড়ে যায়,,,

“কি হয়েছে আপনার এমন করছেন কেনো ঠিক আছে আপনি,,,(ওনাকে ধরে)

উনি আমার দিকে একটু শান্ত হয়ে তাকালো আমিও ওনার দিকে তাকায় কিন্তু হঠাৎ উনি আমাকে ধরে কাছে টেনে কিস করতে লাগে আমি চোখ বড়ো করে ওনার দিকে তাকায় ,,,উনি চোখ বন্ধ করে আছে ওনার সব ঝাল আমার ঠোঁট দ্বারা সরিয়ে নিচ্ছে,,,অনেক ক্ষন পরে আমাকে ছেড়ে ওয়াশ রুমে চলে যায় উনি,,,আমি সেখানে দাঁড়িয়ে থাকি মূর্তির মতো আমার সঙ্গে কি হলো যেনো বুঝতেই পারছি না,,আমার ঠোঁট টাও জ্বালা করছে সত্যি অনেক ঝাল ছিলো,,,আমার কাজ টা ঠিক হয় নি কিন্তু উনি যা করলো সেটা,, উনিও এই কাজ মোটেও ঠিক করেন নি,,,আমি রুম থেকে চলে যায়,,,,সেদিন রাতে আর ওনার সামনে যায়নি মামনির সঙ্গে ঘুমিয়ে পরি,, না খেয়ে যদিও মামনি অনেক যোর করেছিল তবুও খায়নি যা খেয়েছি ওতেই পেট ভরে গেছে আমার,,,,,,,,,

চলবে?

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here