The_Hate_Story? ?#Madness_Love?,02,03

0
1940

?#The_Hate_Story?
?#Madness_Love?,02,03
#Writer_Sanjana_Shabnam_Fahmida
#Part_2

শবনমের হাত দিয়ে টপটপ করে রক্ত পরছে কিন্তু এতে ওর কোন খেয়ালী নেই। ও শুধু ভাঙ্গা কাচের চুরি গুলোর দিকে তাকিয়ে আছে।

মিসেস মায়া রুমে এসে শবনমকে ঐ অবস্থায় দেখে ভয় পেয়ে যান। তিনি দৌড়ে এসে শবনমকে তুলে বিছানায় বসান।

মায়াঃ শবনম মামনি এটা কি করে হলো। কামিনী তারাতারি ফার্স্টএইড বক্স নিয়ে আসো।

কামিনী তারাতারি বক্স এনে মায়ার হাতে দিলেন। মায়া শবনমের হাত ধরে চুরি গুলো খুলতে নিলে শবনম এক ঝটকায় নিজের হাত সরিয়ে নেয় তারপর বলে,,,

শবনমঃ আম্মু চুরি খুলছো কেন এগুলো আযান আমাকে দিয়েছে। ও যদি এসে দেখে আমার হাতে ওর দেওয়া চুরি নেই ও কত কষ্ট পাবে তুমি জানো।??

মায়াঃ Stop your madness Shabnam. তোমার হাত থেকে রক্ত পরছে কত গুলো চুরি ভেঙ্গে হাতে ঢুকে গেছে এগুলো বের করতে হবে। দাও হাত দাও মামনি আম্মুর কথা শুনো। (অস্থির হয়ে কিছুটা রেগে)

শবনমঃ রক্ত পরছে তো পরুক I don’t care কিন্তু চুরি আমি খুলবো না। যে পর্যন্ত আযান না আসে সে পর্যন্ত আমি চুরি খুলবো না। (চেঁচিয়ে দাঁড়িয়ে গিয়ে)

মায়াঃ কি পাগলামি শুরু করেছো মামনি। প্লিজ হাত টা দাও নাহলে অসুস্থ হয়ে পরবে।

শবনমঃ হ্যাঁ আম্মু আমি পাগল হয়ে গেছি। You know na how much I’m mad for Aazan. This is my #Madness_Love.আর বাস কিছুক্ষণ বাকি আযান এসে পরছে।(অস্থির হয়ে কাঁদতে কাঁদতে।)

মায়া জানেন শবনম যেটা না বলে মরে গেলেও সেটা করে না। তাই তিনি শবনমকে বললেন,,,

মায়াঃ আচ্ছা ঠিক আছে চুরি খুলতে হবে না। আমি শুধু তোমার হাতের রক্ত গুলো মুছে দিবো ব্যাস। আজকে তোমার আকদ এই রক্ত মাখা হাত আযান দেখলে কতটা কষ্ট পাবে তুমি বুঝতে পারছো। হাত দাও প্রমিস চুরি খুলবো না।

শবনম হাত বাড়িয়ে দিলো ও জানে ওর কষ্টে আযান সবচেয়ে বেশি কষ্ট পায় তাই নিজের রক্তাক্ত হাত ওকে দেখাতে চায় না।

মায়া চৌধুরী চুরি গুলো একসাইড করে হাতের রক্ত মুছে বেন্ডেজ করে দিলেন। তার পর শবনমের মাথায় হাত বুলিয়ে রুম থেকে বের হয়ে গেলেন।

এইদিকে,,,,

আযান অনেক চেষ্টা করছে কিন্তু কিছুতেই গাড়ি নিয়ন্ত্রণে আনতে পারছে না। গাড়ির দরজা জানালা সব লক করা যার কারনে আযান গাড়ি থেকে লাফ দিতেও পারছে না।

হঠাৎ একটা ট্রাক ফুল স্পীডে আযানের গাড়ির দিকে আসছে। আযান শুধু হাল্কা হাসলো তার পর শবনমের ছবিটাতে একটা কিস করে ওটাকে বুকে জড়িয়ে চোখ বন্ধ করে ফেলল।

হঠাৎ একটা বিকট শব্দ হয়,,,,

ট্রাকটা আযানের গাড়িকে খুব জোরে টক্কর দেয় যার ফলে গাড়িটা পাহাড়ী রাস্তার কিনার দিয়ে একটা বড় খাদে পড়ে যায়।

একে একে সব মেহমান বাড়িতে এসে গেছে কিন্তু শবনমের চোখ এখনও দরজার দিকে। কেন জানি ওর সকাল থেকে একটা নেগেটিভ ফিলিং হচ্ছিল। বারবার ও শুধু আল্লাহর নাম নিচ্ছে যেন কিছু খারাপ না হয়।

হঠাৎ দরজায় চোখ যেতেই কিছু পুলিশ অফিসারদের ঢুকতে দেখলো শবনম। আসিফ আর মায়া ওনানাদের কাছে এগিয়ে গেলেন।

আসিফঃ আরে inspector এই সময়ে আপনি এখানে। সব ঠিক আছে তো।

ইন্সপেক্টরঃ Actually sir আপনাদের একটা গাড়ির accident হয়েছে।

মায়া আর আসিফঃ কি কিন্তু আমরা সবাই তো বাড়াতেই আছি। শুধু রহিম আযানকে আনতে এয়ারপোর্ট গেছে। (অনেকটা চিন্তিত হয়ে)

ইন্সপেক্টরঃ Yes sir Mr Aazan Khan এর গাড়ি accident করেছে।

পুলিশের কথা শুনে আসিফ আর মায়ার যেন নিঃশ্বাস আটকে যাচ্ছে। মায়াতো কেদেই দিয়েছে।

আসিফঃ আমাদের আযান,,, আযান কেমন আছে ও ঠিক আছে তো।

ইন্সপেক্টরঃ আসলে স্যার ওনার লাশ এখনও পাওয়া যায় নি। আমরা মেশিনের সাহায্যে গাড়িটা খাদ থেকে তুলেছি কিন্তু লাশটা এখনো পাই নি।

মায়াঃ আল্লাহ এটা কি হলো আমাদের আযান।??আমরা শবনমকে কিভাবে বলবো এ কথা ও মরে যাবে। She madely love’s Aazan.

মায়া চৌধুরী পিছনে ফিরতেই দেখতে পান শবনম বরফের মত দাঁড়িয়ে আছে ওর চোখ দিয়ে শুধু পানি পরছে। শবনম ধপ করে ওখানেই বসে পরে তারপর আযানননন বলে চিৎকার দিয়ে অজ্ঞান হয়ে যায়।

শবনম একটা দোলনায় বসে আছে হঠাৎ ও অনুভব করলো কেউ পেছন থেকে দোলনাটাকে ধাক্কা দিচ্ছে। শবনম পিছনে ফিরে দেখে আযান একটা সাদা শার্ট আর পেন্ট করে ওর দিকে স্মাইল দিয়ে তাকিয়ে আছে। শবনম কিছু না ভেবেই দৌড়ে আযানকে জড়িয়ে ধরে। আর কাঁদতে কাঁদতে বলে,,,,

শবনমঃ আযান তুমি কোথায় চলে গিয়েছিলে। তুমি জানো সবাই কেমন আজেবাজে কথা বলছিলো,,,, বলছিলো তুমি আর নেই। তুমি আর আমার কাছে ফিরে আসবে না।

কিন্তু আমি জানতাম আযান কখনো শবনমকে একা ফেলে যেতেই পারে না। তুমি আমার কাছে ফিরে এসেছো তাইনা। (এক হাত আযানের গালে রেখে)??

আযানঃ কে বলেছে আমি নেই আমিতো সব সময় তোমার কাছেই আছি তোমার মাঝেই আছি।

আযান শবনমের এক হাত ওর বুকে রাখে,,,,,চোখ বন্ধ করো। শবনম সাথে সাথে চোখ বন্ধ করে ফেলল।

শুনতে পারছো তোমার প্রত্যেক টা হৃদ স্পন্দনে শুধু আমার নাম। আমি না থেকেও সব সময় তোমার কাছেই আছি ব্যাস চোখ বুজে অনুভব করতে হবে তোমাকে।

শবনম চোখ খুলে আশেপাশে আযান কে খুঁজতে থাকে,,,,

হঠাৎ শবনমের ঘুম ভেঙ্গে যায় আর ও ধরফরিয়ে উঠে বসে। শবনম বুকে হাত রেখে কাঁদতে শুরু করে।

এক মাস হয়ে গেছে এই ঘটনার শবনম এখন অনেক বদলে গেছে প্রয়োজন ছাড়া কারো সাথে কথা বলে না। বাইরে বের হয় না আগের মত হাসে না।
রুমে বসে বসে বইয়ের পাতা উল্টাচ্ছিলো শবনম হঠাৎ মায়া দৌড়ে শবনমের রুমে আসেন।

মায়ের দিকে জিজ্ঞাসু দৃষ্টিতে তাকায় শবনম।

মায়াঃ তোমার আব্বু হসপিটালে শবনম।

কথাটা শুনে ওর পায়ের নিচে থেকে যেন মাটি সরে গেছে।

In Hospital,,,,,

ICU তে এডমিট আসিফ চৌধুরী। ডাক্তাররা বলেছেন যে Heart attack করেছে। অবস্থা অনেক খারাপ।

বসে বসে কাঁদছে মায়া। আর শবনম যেন বরফ হয়ে গেছে কাদতেও ভুলে গেছে ও। আল্লাহ জানে আর কত পরীক্ষা নিবে ওর। কিছু দিন হলো আযান চলে গেছে আর এখন বাবা।নিজেকে কিভাবে সামলিয়েছে ও নিজেই জানে।

ডাক্তার বের হতেই সবাই ওনাকে ঘিরে ধরে ডাক্তার মাথা নিচু করে আছেন। সবাই নিজের জবাব পেয়ে গেছে।

আজ আসিফ চৌধুরী মরেছেন 10 দিন। শবনম ওর মায়ের সাথে সোফায় বসে আছে। কলিং বেল বাজতেই কামিনী দরজা খুলে দেয়।

অফিস থেকে কিছু লোক এসেছে।

ম্যানেজারঃ Good morning madum.

মায়াঃ morning. বসেন কোন দরকারী কাজ ছিলো।

ম্যানেজারঃ আসলে মেডাম স্যার তো মারা গেছেন এখন এতো বড় বিজনেস অর্গানাইজেশন কে সামলাবে। তাই অনেকেই আমাদের কোম্পানি কেনার জন্য প্রস্তাব দিচ্ছে।

হঠাৎ শবনম বলে উঠলো,,,,

শবনমঃ আমি সামলাবো এ কোম্পানি। আমার আব্বুর এতো পরিশ্রমে গড়া এই কোম্পানি আমি ডুবতে দেব না।

মায়াঃ কিন্তু শবনম তুমি কি একা এতো বড় দায়িত্ব সামলাতে পারবে।

শবনম ওর মায়ের পায়ের কাছে বসলো তারপর ওনার হাত ধরে বলতে শুরু করল,,,,,

শবনমঃ আম্মু। আব্বু সব সময় বলতো আমিই ওনার মেয়ে আর আমিই ওনার ছেলে। আমি আব্বু কে বলতাম যে,, একদিন এমন কিছু করে দেখাবো যে আব্বুর আমাকে নিয়ে অনেক গর্ব বোধ হবে। এটাই সুযোগ আম্মু নিজেকে প্রমাণ করার। Trust me Ammu I will not disappoint you. মেয়েরা পারে না এমন কোন কাজ নেই এ দুনিয়াতে।

মায়াঃ আমি জানি I’m proud of you Shabnam.

2 বছর পর,,,,,

ভোর পাঁচটার এলার্মে ঘুম ভাঙ্গলো শবনমের। উঠে নামাজ পরে একটু হেটে অফিসের জন্য রেডি হতে চলে গেল ও।

(হোয়াইট শার্ট, হায়াইট পেন্ট, বেবি পিঙ্ক কালারের কোট,হাতে লেডিস ঘড়ি, হিল সুজ। চুল গুলো উঁচু করে ঝুটি করে হাল্কা মেকআপ করে রেডি হয়ে নিচে নেমে আসে শবনম। )

শবনম বসে বসে ওর মা’র সাথে নাস্তা করছে,,, এমন সময় রাফি( PA) একটা ফাইল এনে শবনমের সামনে রেখে বলতে শুরু করল,,,,

রাফিঃ ম্যাম এটা রেজওয়ান ইন্ডাস্ট্রিজের ফাইল আজকে মি. আধার রেজওয়ান অস্ট্রেলিয়া থেকে মিটিং এটেন্ড করতে আসবে।

হঠাৎ শবনম খাওয়া বন্ধ করে দেয় ওর চোখে আপনাআপনি পানি চলে আসে আর আনমনে মুখ থেকে বের হয়ে যায়,,,,,,

শবনমঃ আযান,,,,,

রাফিঃ না ম্যাডাম আযান না আধার রেজওয়ান।

শবনমের ঘোর কাটতেই ও নিজেকে সামলে বলে,,,

শবনমঃ হ্যাঁ আযান না আধার। শবনম উঠে বের হয়ে যায়। গাড়িতে বসে সবার আড়ালে নিজের চোখের পানি মুছে ফেলে ও।

কামিনী এসে মায়ার সামনে দাঁড়িয়ে বলতে শুরু করে,,,

কামিনীঃ ছোট ম্যাডাম কত বদলে গেছে তাই না বড় ম্যাডাম। আগে উনি 10 টার আগে বিছানা থেকে উঠতেনই না আর এখন ভোর 5 টার আগেই ঘুম ভেঙ্গে যায়। আগে যার হাসিতে দুষ্টুমি তে পুরো বাড়ি উজ্জ্বল হয়ে থাকতো এখন উনি হাসবেন কি প্রয়োজন ছাড়া কারো সাথে কথাই বলেন না। আমাদের ছোট ম্যাডাম কি আর আগের মতো হবে না।???

মায়াঃ হবে কামিনী ওর জীবনে আবার এমন একজন অবশ্যই আসবে যে ওকে আবার হাসতে শিখাবে ভালোবাসতে শিখাবে।

In Office…..

To be continued………..

?#The_Hate_Story?
?#Madness_Love?
#Writer_Sanjana_Shabnam_Fahmida
#Part_3

In Office,,,,,

কেবিনে বসে Glove ঘুরাচ্ছে শবনম। আধারের নাম শোনার পর থেকেই মনের মধ্যে কেমন যেন একটা ভয় কাজ করছে ওর। না চাইতেও আধারকে আযানের সাথে মিলানোর চেষ্টা করছে।

টেবিলে আধারের প্রজেক্টের ফাইল পরে আছে। কমপক্ষে দশ বার ফাইল গুলো চেক করেছে ও। মনে কেমন যেন একটা সন্দেহ কাজ করছে ওর।

ফোন হাতে নিয়ে রাফি কে কল করলো ও।

শবনমঃ আধা ঘন্টার মধ্যে আধার রেজওয়ান এর সব ডিটেইলস আমার চাই। বলে ফোনটা কেটে দিলো ও।

কিছুক্ষণ পরেই রাফি কেবিন লক করে,,,

শবনমঃ Come.

রাফিঃ ম্যাডাম মি. রেজওয়ান এর সব ইনফরমেশন এনেছি। মি. আধার রেজওয়ান দুই বছর আগে অস্ট্রেলিয়া তে ওনার বিজনেস শুরু করেন। অনেক কম সময়ে অনেক বেশি সফলতা অর্জন করেছে তিনি। অস্ট্রেলিয়ার টপ বিজনেস ম্যান দের মধ্যে একজন।

ওনার পরিবার আর ওনার সম্পর্কে কেউ বেশি কিছু জানে না। এক বার যে দেখে চোখ ফেরাতে পারে না। মেয়েরা উনি বলতে পাগল। কিন্তু উনি মেয়েদের সহ্য করতে পারেন না। He hates woman. ভুল উনি পছন্দ করেন না। আর না কাউকে ক্ষমা করেন।

অনেক রাগী আর বদমেজাজী টাইপ লোক।উনি রেগে গেলে উনাকে কেউ কন্ট্রোল করতে পারে না।

রাফির কথা শুনে শবনম নিজে নিজে কতক্ষণ হাসলো। ও আধারকে আযান ভেবেছিলো। ভাবতেই নিজের উপর রাগ লাগছে ওর।

আধার আর আযানের মধ্যে কোন মিলই খুঁজে পেলো না ও।

আযান মেয়েদের অনেক সম্মান করে আর আজ পর্যন্ত আযান কারো সাথে বেয়াদবি তো দুরের কথা উঁচু গলায় কথাও বলতো না। আর আযান সব সময় হাসি খুশি থাকতো। রাগ ওর চেহারায় কমই দেখা যেত।

নিজের ভাবনা থেকে বেরিয়ে রাফিকে জিঙ্গেস করলো শবনম,,,,

শবনমঃ মিটিং কয়টা???

রাফিঃ 4:00 টা বাজে। এখন মাত্র 1:00 টা বাজে।

In The Airport,,,,,

অস্ট্রেলিয়া থেকে বাংলাদেশের ফ্লাইট ল্যান্ড করেছে।

আধার রেজওয়ান ফুল এটিটিউট নিয়ে সামনে হাটছে আর উনার পেছনে লাগেজ হাতে কিছু বডিগার্ড টাইপ লোক আসছে। আশেপাশের সবাই হা করে তাকিয়ে আছে ওনার দিকে। শুধু মেয়েরা না ছেলেরাও তাকিয়ে আছে।

( ব্লাক শার্ট, ব্লাক লং কোট, ব্লাক প্যান্ট, ব্লাক সুজ। বাম হাতে ইম্পোর্টেড ঘড়ি। চুল গুলো স্পাইক করা সব মিলিয়ে কিলার লুক)

প্রথম বডিগার্ডঃ আচ্ছা মেয়েরা কেন তাকিয়ে আছে বুঝলাম কিন্তু ছেলে গুলো কেন স্যারের দিকে এভাবে তাকিয়ে আছে।??

দ্বিতীয় বডিগার্ডঃ ছেলেরা তাকিয়ে আছে এটা বোঝার জন্য যে মেয়েরা কেন তাকিয়ে আছে।??

এয়ারপোর্ট এর বাইরে আসতেই থেমে যায় আধার। আশেপাশে কিছুক্ষণ তাকিয়ে চোখ বন্ধ করে জোরে কয়েকটা নিঃশ্বাস নিলো ও। চোখের কোনে পানি টলমল করছে কাউকে এটা না বুঝতে দিয়ে চোখে কালো সানগ্লাস লাগিয়ে নিলো। তারপর গাড়িতে উঠে বসলো।

আধার ড্রাইভার কে উদ্দেশ্য করে বলল,,,

আধারঃ গাড়ি ভালো করে চেক করে নিয়েছো তো। আজ কাল আপন জনদের ও বিশ্বাস নেই। কখন বুকে ছুরি চালিয়ে দেয়। (কথা বলে একটা তাচ্ছিল্যের হাসি দিলো।)

আনাস (PA): Sir মিটিংয়ের সময় হয়ে গেছে। মিস চৌধুরী অপেক্ষা করছে।

আধারঃ রেজওয়ান মেনশন চলো।

আনাসঃ কিন্তু স্যার মিটিং।

আধারঃ আজ কোন মিটিং হবে না ক্যানসেল করে দাও। (বলে বাকা হেসে গাড়িতে হেলান দিয়ে চোখ বন্ধ করে ফেলল।)

এখানে,,,,

কান থেকে সরিয়ে দেয়ালে খুব জোরে ফোনটা ছুরে মারে শবনম। রাগে ওর শরীর কাঁপছে। চোখে পানি চিকচিক করছে।

শবনমঃ How dare he. উনি কি ছেলে খেলা পেয়েছেন কন্ট্রাক্ট টাকে। এতো ইম্পর্টেন্ট মিটিং এভাবে ক্যানসেল করার মানে কি হা। যদি এটা আমার আব্বুর ড্রিম প্রজেক্ট না হতো উনার সাথে আমি কখনই কাজ করতাম না হলে।

নিজেকে শান্ত করে ইজি চেয়ারে দুই হাত দিয়ে মাথা চেপে বসে পরলো শবনম।

সব কাজ শেষ করে অফিস থেকে বেড়িয়ে গেল শবনম। নিজেই ড্রাইভ করছে ও। একটা পাহাড়ী রাস্তার কিনারে গাড়ি দার করালো ও। গাড়ি থেকে নেমে এক ধ্যানে তাকিয়ে আছে সেই খাদের দিকে যেখান থেকে আযানের গাড়ি তোলা হয়েছিলো।

শবনম ধীর পায়ে খাদের কিনারে এসে দাঁড়ালো। ওখানেই দুই হাঁটু ভাজ করে বসে জোরে আযান বলে চিৎকার দিলো ও। যখনই শবনমের মন খারাপ হয় ও এখানে চলে আসে। সবার চোখে নিজেকে ঠিক রাখলেও এখানে এসে নিজেকে আর সামলাতে পারে না।

In Rejwan Mention,,,,,

ড্রিংকের গ্লাস হাতে নিয়ে বারান্দায় দাঁড়িয়ে আছে আধার। আকাশের চাঁদের দিকে অপলক দৃষ্টিতে তাকিয়ে আছে ও।

আধারঃ ভালোবেসে শুধু ধোঁকা,পেয়েছি কষ্ট পেয়েছি, মৃত্যু পেয়েছি। এখন এগুলোর শোধ তোলার সময় হয়ে গেছে। আমাকে দেওয়া প্রত্যেকটা আঘাতের হিসাব দিতে হবে সবাইকে spacialy শবনম তোমাকে। আমার ভালোবাসায় তো কোন খাদ ছিল না তাহলে তোমার ভালোবাসায় খাদ বেরুলো কেন। এতো দিন তুমি আযানের #Madness_Love দেখেছো। এখন আধারের ঘৃনা দেখবে #The_Hate_Story is begin.

কথা গুলো বলে আধার হাতের গ্লাস টা জোরে চাপ দিয়ে ভেঙ্গে ফেলল। ফিনকি দিয়ে হাতের তালু থেকে রক্ত পরছে ওর। কিন্তু এতে ওর কোন খেয়ালী নেই।

কাটা হাতটা সামনে এনে আধার আবার বলতে শুরু করলো,,,,,

আধারঃ এ আঘাত কিছু দিনে সেরে যাবে কিন্তু এখানকার (বুকে আঙ্গুল রেখে) আঘাত আজীবন আমাকে যন্ত্রণা দিবে।

I will never forgive you never and ever.

To be continued…….

আধারের নাম চেঞ্জ করার কারণে ইন বক্সে অনেকে থ্রেড দিসে।?? তাই আর কারো নাম চেঞ্জ করলাম না। কারন আধার থাকলে শবনমও থাকবে।??

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here