The_Love_Of_A_Devil_And_Angel,23,24

0
1217

#The_Love_Of_A_Devil_And_Angel,23,24
#An_Impossible_Love_Story
#Writer: Sanjana Shabnam Fahmida
#Part_23

রোহিত আশেপাশে ঘুরে ঘুরে নিশিকে খুঁজছে,,, কিছুটা দূর যেতেই নিশিকে দেখতে পেলো ও,, ঠোঁটে এক চিলতে হাসি ফুঁটে উঠে ওর। রোহিত নিশির দিকে এগিয়ে যেতে আমার থমকে যায়,, বুকে চিনচিন ব্যথা শুরু যায় ওর,,,চোখের কোণে পানি চলে আসে ওর।

নিশি দাঁড়িয়ে আছে ওর সাথে ধীর অনেক ক্লোজলি দাঁড়িয়ে আছে,,, নিশির কপালে কিস করে ধীর ওকে জড়িয়ে ধরলো আর নিশিও টাইট করে ধীরকে জড়িয়ে ধরেছে,,,

রোহিতের পা জমে গেছে নরতেও শক্তি পাচ্ছে না। চোখ দুটো রাগে দুঃখে ভরে উঠছে,,, ঘৃনা চোখে স্পষ্ট হয়ে উঠছে ওর।

ধীর নিশিকে ছেড়ে কিছু বলল তার পর চলে গেল। নিশি ধীরের যাওয়ার দিকে তাকিয়ে পেছন ফিরে চমকে যায় রোহিতকে দেখে,,,

নিশিঃ রো রোহিত তুমি!!

রোহিতঃ কেন ধীরকে আশা করেছিলে?? (নিশির সামনে এসে)

নিশিঃ রোহিত তুমি…..

নিশি আর কিছু বলার আগেই রোহিত ওর হাত টাইট করে ধরে টেনে নিয়ে যেতে শুরু করে,,,,

নিশিঃ আহ্ রোহিত লাগছে আমার ছাড়ো,,, লিভ মাই হ্যান্ড,,, কোথায় নিয়ে যাচ্ছো রোহিত,,?? ( হাত ছাড়ানোর চেষ্টা করে)

রোহিত কিছু না বলে নিশিকে টেনে বাইরে নিয়ে আসে,,,

সাদ আশেপাশে রোহিতকে খুঁজতে হঠাৎ পেছন থেকে কেউ ওর দিকে হাত বাড়াতেই সাদ উল্টো দিকে হাত মুচরে হাতের মালিককে সামনে আনে,,

তিনাঃ আহহ্ সাদ!!!

তিনাকে দেখে সাদ তাড়াতাড়ি ওর হাত ছেড়ে দেয়,,,

সাদঃ স স্যরি তিনা আমি ভেবেছি অন্য কেউ তুমি ঠিক আছো,? ( আতকে)

তিনা নিজের হাত ডলতে ডলতে কান্নাজড়িত চোখে বলে,,,

তিনাঃ এভাবে কেউ করে,,, আপনি আসলেই ডেভিল ?

তিনার কথা শুনে সাদের অনেক হাসি পাচ্ছে,,, তিনার হাত অনেকটা লাল হয়ে গেছে দেখে সাদ তিনার হাত ধরে নিজের হাত দিয়ে হালকা ভাবে ঘষে দিতে দিতে বলে,,,

সাদঃ আমি ডেভিল নাকি কি সেটা তুমি সময় আসলে জানতে পাবা জান,,,

তিনা সাদের কথা শুনে ঝটকা মেরে নিজের সরিয়ে নেয়,,, হাতের দিকে চোখ যেতেই চোখ দুটো ছানাবরা হয়ে উঠে তিনার,,, এতক্ষণ হাত লাল ছিল আর ব্যথা করছিলো এখন এমন কিছুই নেই,,,

সাদ তিনার ফেসের এক্সপ্রেশন দেখে হালকা হাসলো,,, সাদ আচমকা তিনার কোমর জড়িয়ে ওকে নিজের কাছে নিয়ে আসে,,,

সাদঃ সব বুঝলাম বাট একটা কথা বুঝলাম না সব সময় আমি তোমার কাছে আসি কিন্তু আজ তুমি নিজে থেকে আমার কাছে এসেছো,, দ্যাট্স আন এক্সপেক্টেড। ( তিনার কানের কাছে মুখ নিয়ে)

সাদের কথা শুনে তিনা কিছুটা কেঁপে ওঠে। কিছু বলতে যেয়েও গলা থেকে কথা নামছে না ওর।

তিনাঃ বলে তিনা দ্যাট্স ইউ লাভ হিম,,, এটাই সুযোগ হ্যাঁ আজকে আমি সাদকে বলবোই আমি ওনাকে ভালোবাসি,,, ( মনে মনে সাহস জুগিয়ে)

তিনাঃ সাদ আমি আসলে আমি বলছিলাম যে আই আই,,,,

হঠাৎ সাদ তিনার কাছ থেকে সরে যায়,,, তিনা বলতে যেয়েও বলতে পারলো না,, তিনা রাগ আর বিরক্তি ভাব নিয়ে সাদের দিকে তাকাতেই দেখলো সাদ কোথাও তাকিয়ে আছে। তিনা সাদের চাহনি অনুযায়ী ওখানে তাকাতেই দেখে রোহিত আর নিশি পিছনে,,, রোহিত রেগে নিশিকে টেনে কোথাও নিয়ে যাচ্ছে।

রোহিত নিশির হাত ধরে টেনে এনে ওকে গাড়িতে বসিয়ে দেয় তারপর নিজে বসে গাড়ি স্টার্ট দেয়।

সাদঃ নো নো রোহিত প্লিজ ডোন্ট গো,,,

সাদ দ্রুত গাড়ির সামনে যাওয়ার জন্য দৌর দেয়,, সাদের পিছনে তিনাও ছুটে যায়,,,

সাদ পৌঁছাতে পৌঁছাতে রোহিতের গাড়ি অনেক দূরে চলে যায়,,, সাদ গাড়ির পেছন দাঁড়িয়ে চিল্লিয়ে রোহিত কে ডাকতে থাকে,,,

সাদঃ রোহিত রোহিতততত!!

তিনাঃ সাদ ওরা এভাবে রেগে কোথায় গেল??

তিনার প্রশ্ন শুনে সাদ আরো রেগে তিনাকে ঝাড়ি মেরে বলে,,,

সাদঃ আমি জানলে তো আমিও যেতাম,

সাদের ধমক শুনে তিনা চুপসে যায়,,, তারপর পেছন ফিরে চলে যায়,,,

সাদঃ ওরা কোথায় গেল এখন কি ভাবে বুঝবো,,, নিশি যদি রোহিতের ক্ষতি করে ফেলে,,, আমি যা দেখলাম সেটা যদি সত্যি! নো নো দ্যাট্স কান্ট বি হ্যাপেন!!

হঠাৎ পাশে গাড়ির হর্ন শুনে তাকালো সাদ,,, গাড়িতে তিনা বসে আছে,,,

তিনাঃ সাদ ভিতরে আসেন,,,

সাদ তাড়াতাড়ি তিনার পাশের সিটে বসে পরলো কিন্তু তিনা গাড়ি স্টার্ট দিতে গিয়েও থেমে গেল,,,

সাদ বিরক্ত হয়ে তিনাকে আবার ঝাড়ি মেরে বলল,,,

সাদঃ কি হলো গাড়ি স্টার্ট দাও বসে আছো কেন?

তিনাঃ না মানে বুঝবো কিভাবে ওরা কোন দিকে গিয়েছে,,, ?

সাদ জোরে জোরে নিঃশ্বাস নিয়ে নিজের রাগ কন্ট্রোল করে দাতেদাঁত চেপে বলল,,,,

সাদঃ তুমি গাড়ি স্টার্ট দাও আমি ওয়ে বলে দিবো,,,

তিনাঃ ডেভিলল( বিরবির করে) মুখ বাঁকিয়ে তিনা গাড়ি স্টার্ট দিলো।

সাদ চোখ বন্ধ করে রোহিতের ব্রেন হ্যাক করছে আর তিনাকে রাস্তা বলছে,,, তিনার অবাকের সীমানা পেরিয়ে যাচ্ছে,,,

তিনাঃ সাদ এতো ইজিলি কিভাবে রাস্তা বলছে,,, কিচ্ছুই আমার মাথায় ঢুকছে না,,, ( মনে মনে)

রোহিত ওয়াটার ফলের সামনে গাড়ি থামালো তারপর নেমে নিশিকে নামালো,,,

রোহিতঃ এখন বলো মিস নিশানি আবরার,, কি চলছে তোমার মাথায়,, ত তোমার ধীরের সাথে রিলেশন আছে তাইনা ও ও তোমার বয়ফ্রেন্ড ( গলা ধরে আসছে রোহিতের) তাহলে,,, তাহলে আমি কে??? আমি এতোদিন ধরে তোমার পিছু পিছু ঘুরছি তোমাকে নিজের ফিলিংস বুঝাতে চাচ্ছি সেটা বুঝো না,,, আমার ভালবাসাটা কি এতোই ঠুকনো,,, তোমার আর ধীরের যদি কোন সম্পর্ক থাকতোও তাহলে সেটা আমাকে কেন বললে না,, কেন আমার ফিলিংস নিয়ে খেলা করলে,,, হোয়াই??? ( চিল্লিয়ে)

নিশিঃ আ আমি তোমাকে সব বলছি রোহিত আই প্রমিস আজকে সব কিছু সত্য বলবো,,, আমি,,, আমি আর ধীর তা নয় যেটা তুমি ভাবছো,, আমরা ডে,,,( নিশি থেমে গেল)

নিশি কিছুটা দূরে আবরারের অবয়ব দেখতে পেলো,,, আবরার নিজের অস্ত্র রোহিতের দিকে তাক করে রেখেছে,,, নিশি ভয় পেয়ে রোহিতকে ধাক্কা দিয়ে পিছনে আনে,,,

নিশিঃ সত্যি জানতে চাও তাইনা সত্যি এটাই যে আমি তোমাকে ভালোবাসি না,,, আমি ধীরকে ভালোবাসি,,, শুনেছো তুমি,,, আর আমি কখনো তোমাকে বলিনি যে আমি তোমাকে ভালোবাসি আর না বলেছি আমার পিছু পিছু ঘুরতে,,,

আমি হাজার বার বলেছি স্টে আওয়ে ফ্রম মি,,, কিন্তু তুমি আমার একটা কথাও শুনো নি,,, আমার আশেপাশে থেকেছো আমাকে বিরক্ত করেছো,,, ( কথা গুলো বলতে নিশির অনেক কষ্ট হচ্ছে)

নিশির বলা প্রতিটা কথা রোহিতের বুকে গিয়ে লাগছে,,,

রোহিতঃ সত্যি নিশি আমি তোমাকে বিরক্ত করেছি আ আমার ভালোবাসা তোমার কাছে বিরক্তিকর,,,, ( কান্না জড়িত কন্ঠে)

রোহিত নিশির হাত ধরে অনুনয় স্বরে বলে,,,

রোহিতঃ নিশি আই রিয়েলি লাভ ইউ প্লিজ আমাকে একটা সুযোগ দাও অনেক ভালোবাসি তোমাকে অনেক বেশী,,,

নিশি আবরারের অবয়ব এর দিকে তাকিয়ে রোহিতের হাত থেকে নিজের হাত ছাড়ানোর চেষ্টা করে,,, নিশি যতই ছাড়ানোর চেষ্টা করছে রোহিত আরো জোরে ওর হাত নিজের হাতের ভাজে নিচ্ছে,,,,

নিশিঃ রোহিত আমার হাত ছাড়ো লিভ মাই হ্যান্ড,,,,

রোহিতঃ নিশি আই রিয়েলি লাভ,,, বাঁচতে পারবো না তোমাকে ছাড়া,,,

হাত ছাড়ানোর এক পর্যায়ে নিশি রোহিতকে ধাক্কা মেরে দেয় আর রোহিত পা পিছলে নিচে পরে যায়।

রোহিতঃ আ আহহহ্

নিশিঃ র রোহিততততত

আবরার নিজের অস্ত্র গায়েব করে ফেলে,,,,

আবরারঃ তুমি প্রমাণ করে দিলে নিশি যে তুমি আমারই মেয়ে ডেভিল প্রিন্সেস,,, ( বাকা হেসে আবরার গায়েব হয়ে যায়)

নিশির নিঃশ্বাস আটকে যাচ্ছে,,, ধপ করে ওখানেই বসে পরলো ও,,, কোন কথা বের হচ্ছে না ওর মুখ থেকে,,,, আশেপাশে সব কিছু যেন থমকে গেছে,,, চারো দিকে নিস্তব্ধতা শুধু মাটিতে পড়ে যাওয়া কয়েক ফোঁটা চোখের পানির শব্দ কানে আসছে নিশির।

তিনা গাড়ি থামাতেই সাদ হুড়মুড়িয়ে নিশির সামনে আসে,,,,

সাদঃ ন নিশি রোহিত কোথায়??? ইয়ার টেল মি না রোহিত কোথায়,,, ( ভয়ার্ত কন্ঠে নিশিকে ঝাকিয়ে)

নিশি সাদের দিকে তাকিয়ে আঙ্গুল দিয়ে ওয়াটার ফলের দিকে ইশারা করলো,,,

সাদ ভয় পেয়ে পিছনে তাকালো।

কিছু না ভেবেই সাদ পিছনে ফিরে এক দৌড়ে নিচে ঝাপ দেয়,,,,

তিনাঃ সাদদদ,,,

To be continued….

#The_Love_Of_A_Devil_And_Angel
#An_Impossible_Love_Story
#Writer_Sanjana_Shabnam_Fahmida
#Part_24

শুভ কোন রকমে বাড়ি থেকে বেরিয়ে জঙ্গলের দিকে দৌড় দেয়,,, নিজেকে কন্ট্রোল করা শুভর পক্ষে সম্ভব হচ্ছে না। এই মুহুর্তে ওর কাছে যে থাকবে হয়তো তার ক্ষতি করতে শুভ আপত্তি করবে না।

শুভ কিছু দূর গিয়ে থেমে যায়। চাঁদের আলো সম্পূর্ন রুপে শুভর উপর পরছে। শুভ আর সহ্য করতে না পেরে চিৎকার দিয়ে বসে পরে। শুভর চিৎকার কোন ভয়ঙ্কর হিংস্র প্রাণী থেকে কম শোনা যাচ্ছে না। চারো দিকে নিস্তব্ধতা থাকায় আরো বেশী ভয়ঙ্কর লাগছে শব্দটা।

শুভর চোখ সম্পূর্ণ নীল হয়ে গেছে হয়তো ওর শক্তি বৃদ্ধি পেয়েছে।

প্রায় তিন মিনিট পর শুভর শরীরের যন্ত্রনা কমে আসে। নিজেকে নিয়ন্ত্রণে এনে কোন মতে দাঁড়িয়ে যায় ও। শরীর ঘেমে একাকার হয়ে গেছে চোখ এখন নিজের সাধারন রঙে ফিরে এসেছে কিন্তু লাল হয়ে গেছে।

শুভঃ কেন হয় এমন হোয়াই? আমি আসলে কি ?

ইউ আর আ ডেভিল শুভ ,,,,

পিছন থেকে কারো কথাটা শুনে ফিরে দাঁড়ালো ও।

ধীর!! বিস্ময় হয়ে ধীরের দিকে তাকালো শুভ।

শুভঃ ধীর তুমি এখানে আর কিসব বলছো তুমি আ আমি ডেভিল,,, মানে কি এটার,,, আর তুমি কিভাবে জানলে আমি এখানে???

ধীর শুভর সামনে চলে আসে,,,

ধীরঃ আজকে আমি আপনাকে সব বলবো কারন এই ভয়ঙ্কর খেলায় আমি আর কারো ক্ষতি হতে দেখতে পারবো না।

শুভঃ খেলা???

ধীর শুভকে আস্তে আস্তে সব বলতে শুরু করে। শুভর জন্ম থেকে ওকে মায়ার মৃত শিশুর সাথে বদলিয়ে দেওয়া,,, ধীরকে ওর পেছনে স্কটল্যান্ড পাঠানো সব।

ধীরের প্রত্যেক টা কথা শুনে শুভর দুনিয়াটা যেন উলট পালট হয়ে যাচ্ছে। সব কিছু অবিশ্বাস্য মনে হচ্ছে ওর কাছে।

ধীরঃ শুধু এটাই না আপনার বাবাকে!!

শুভঃ আমার আমার বাবাকে কি ধীর স্পিক আপ??( চিল্লিয়ে)

ধীরঃ কিং আপনার বাবাকেও মেরে ফেলেছিলেন।

ধীরের কথা শুনে শুভ কয়েক কদম পিছিয়ে যায়।

ধীরঃ কিং যখন জানতে পারেন আপনার বাবা মা আপনাকে এখান থেকে দূরে পাঠিয়ে দিচ্ছে তিনি অনেক রেগে যান।

যেদিন আপনাকে স্কটল্যান্ডে পাঠানো হবে তার আগের দিন রাতে উনি আপনাকে নিয়ে যেতে আসেন। আপনার বাবা মা উনাকে থামানোর চেষ্টা করেন তাই কিং আপনার বাবাকে মেরে।ফেলেন। আপনার বাবা সব জানতেন তাই কিং কে কিভাবে থামাতে হয় উনি আগে থেকেই জেনে রেখেছিলেন। উনি নিজের জান দিয়ে আপনাকে বাঁচিয়েছেন। আপনাকে কিং এর মায়াজাল থেকে দূরে সরিয়ে দিয়েছেন। ( কথা গুলো বলতে ধীরের গলা ধরে আসছিলো।)

ধীরের কথা গুলো শুভর রাগ আর ঘৃনা দ্বিগুণ বাড়িয়ে দিলো।

শুভ রেগে ধীরের কলার চেপে ওকে পিছিয়ে নিয়ে যায়,,,,

শুভঃ হাও কুড ইউ ডু দিস,,, তুমি আমাকে আগে কেন এসব বলোনি,, কেন লুকিয়েছো হ্যাঁ নিজের সো কল্ড কিং এর জন্য??? তুমিও তোমার কিং এর মতো ধোঁকাবাজ,,, বন্ধুর ভান করে ধোঁকা দিয়েছো আমাদের,,, ইউ আর আ ব্লাডি ট্রেইটার,,, মেরে ফেলবো তোকে আমি,,, তার পর তোর সো কল্ড কিং কে শেষ করবো,, ( চিৎকার করে)

ধীরঃ আমাকে মেরে যদি তোমার মন শান্ত হয় দ্যান ইউ ক্যান কিল মি,,, আমি অন্যায় করেছি আর এর জন্য তুমি আমাকে যা শাস্তি দিবে আমি মাথা পেতে নিবো,,, হোক না সেটা মৃত্যু আমি প্রস্তুত।

শুভ ধীরের কথা শুনে ওকে ধাক্কা দিয়ে সরিয়ে দেয়।

শুভঃ আই ওয়োন্ট স্পেয়ার হিম ধীর। ঐ আবরারকে আমি শেষ করে দিবো,,, ওর জন্য আমার জীবনের চব্বিশ টা বছর নষ্ট হয়েছে। আমি,, আমি একজন নরমাল মানুষের মতো নিজের ফ্যামিলির সাথে থাকতে পারি নি,,,

সব সময় নিজেকে সবার থেকে গুটিয়ে রেখেছি। ওর জন্য আমার মাকে আমি এতো বছর ঘৃনা করেছি,, খারাপ ভেবেছি,,, আমি ওকে ছাড়বো না। আমার মায়ের সব কষ্টের কারন ও,,, আমার জীবনের সব অভিশাপের কারন ও,,

শেষ করে দিবো ওকে আমি,, আই উইল কিল হিমমম,,

ধীর শুভর কাছে এসে ওকে শান্ত করার চেষ্টা করছে আর বলছে,,,

আমি ওকে আজই শেষ করে ফেলব,,, শুভ রেগে চলে যেতে শুরু করে।

ধীরঃ প্লিজ শুভ কাম ডাউন,,, কিং যদি বুঝতে পারে তুমি সব জেনে গেছ তাহলে অনেক খারাপ কিছু হয়ে যাবে,,, উনি তোমার ফ্যামিলিকে সবার আগে শেষ করার চেষ্টা করবে,,,

শুভঃ তুমিই তো বললে যে আমি ডেভিল আমার মাঝে শক্তি আছে আবরারের সাথে লড়াই করার ওকে শেষ করার,,, আমি আমার ফ্যামিলির কোন ক্ষতি হতে দিবো না ধীর,,, রক্ষা করতে পারবো তাদের আমি,,,

ধীরঃ না শুভ,,, তুমি এখনো সব শক্তির অধিকারী হও নি,, তোমার যে পর্যন্ত চব্বিশ বছর পূর্ন না হবে তুমি সব শক্তি প্রাপ্ত করতে পারবে না,, তোমাকে অপেক্ষা করতে হবে শুভ,,, তুমি এখনো কমজোর,,,

শুভঃ আমার চব্বিশ বছর পূর্ন হতে আরো দুই দিন বাকী তো এখন কি আমি বসে থেকে ওই আবরারকে নিজের পরিবারের ক্ষতি করতে দেখবো,,, ওকে আমি নিজের আশেপাশে সহ্য করতে পারবো না,,, আই উইল গন আউট অফ কন্ট্রোল,,,

ধীরঃ আমি আছি তোমার সাথে শুভ। সাদ আছে নিশি আছে,, রশনি আছে প্লিজ শুভ অপেক্ষা করতে হবে তোমাকে,,,,

রশনির নাম শুনে শুভর বুকটা ধক করে উঠলো,,, রশনি কি ওকে মেনে নিবে নাকি দূরে সরিয়ে দিবে নিজের কাছ থেকে ভাবতেই শুভর বুকে চিনচিন ব্যথা শুরু হয়ে গেল।

এইদিকে,,,,

সাদ ওয়াটার ফলে ঝাপ দিতেই তিনা দৌড়ে ওর কাছে ছুটে যায়,,, তিনা যেতে নিলেই নিশি দাঁড়িয়ে ওর হাত ধরে আটকে দিলো,,, তিনা নিশির দিকে তাকিয়ে কান্না করতে করতে হাত ছাড়ানোর চেষ্টা শুরু করলো,,,

তিনাঃ নিশি প্লিজ আমার হাত ছার,,, দ দেখ সাদ নিচে পরে গেছে হি নিড্স হেল্প,,, ?

নিশিঃ নো তিনা সাদের কারো সাহায্যের প্রয়োজন নেই,,, পেছনে দেখ,,,

তিনা নিশির কথা শুনে পিছনে তাকিয়ে দেখে সাদ রোহিত কে কাধে নিয়ে উপরে চলে এসেছে,,, সাদের পোষাক সম্পুর্ন ভিন্ন হয়ে গেছে,,, সাদা রঙের হুডি তার উপরে সাদের চোখের রং বদলে সবুজ হয়ে গেছে,,,

তিনা কিছুই বুঝতে পারছে না তাও সাদকে সুস্থ দেখে ওর ভিতরের ঝরটা থেমে যায়। সাদ রোহিতকে নিচে নামিয়ে শুইয়ে দেয়। রোহিতের জ্ঞান নেই। তিনা দৌড়ে গিয়ে সাদকে জড়িয়ে ধরে কেঁদে দেয়,,,

তিনাঃ সাদ আমি ভয় পেয়ে গিয়েছিলাম যদি আপনার কিছু হয়ে যেত,,, ?

সাদঃ আমি ঠিক আছি তিনা,,, দেখ তোমার সামনে সুস্থ দাঁড়িয়ে আছে,,,, ( তিনাকে সরিয়ে চোখ মুছে দিয়ে)

রোহিতকে দেখে নিশিও দৌড়ে গিয়ে রোহিতের পাশে বসে পরে,,, রোহিতের মাথা নিজের কোলে রেখে ওকে ডাকতে শুরু করে,,,

নিশিঃ রোহিত প্লিজ চোখ খুলো,,, দেখ আ’ম স্যরি আর কখনো এমন হবে না প্লিজ রোহিত,, ?

সাদ নিশিকে টেনে দাড় করিয়ে সরিয়ে দেয়,,,

সাদঃ দূরে থাকো ওর কাছ থেকে,,,

তিনা গাড়িতে গিয়ে বসো,,, ( পেছন ফিরে ধমক দিয়ে)

তিনা সাদের ধমকে কেঁপে ওঠে তারপর চুপচাপ গাড়িতে উঠে বসে পরে,,,

সাদঃ তোমাকে যেন নেক্সট টাইম রোহিতের আশেপাশে না দেখি,,, স্টে আওয়ে ফ্রম হিম,,, নাহলে আমি কি করতে পারি তোমার অজানা নয়,,, ( দাঁতে দাঁত চেপে)

সাদ রোহিতকে তুলে গাড়ির দিকে হাঁটা শুরু করলো।

নিশিঃ সাদ প্লিজ আমাকে রোহিতের কাছে থাকতে দাও,,, সাদ সাদদদ,,,

সাদ গাড়ি স্টার্ট দিয়ে চলে যায়,, সাদ এই মুহুর্তে অনেক রেগে আছে যা ওর চেহারা দেখেই তিনা বুঝতে পারছে,,, তাই সাদকে কোন প্রশ্ন করার সাহসও পাচ্ছে না।

কিছুটা সাহস জুগিয়ে তিনা শুধু একটাই কথা বলল,,,

তিনাঃ স সাদ র রোহিত কি ঠিক,,,

সাদঃ রোহিত একদম ঠিক আছে ডোন্ট ওয়ারি আর এখন কোন প্রশ্ন করোনা,,, সময় আসলে আমিই তোমাকে সব বুঝিয়ে বলবো,,, সো নাও কিপ কোয়াইট,,, ( রেগে)

তিনা আর কথা না বারিয়ে চুপ করে যায়,,,

ধীর শুভকে নিয়ে বাড়িতে চলে আসে,,,অনেক কষ্টে শুভকে মানিয়েছে ধীর,,, শুভ বাড়িতে এসে সোজা সিঁড়ি বেয়ে উপরে উঠে যায়,,, ধীরও নিজের রুমের দিকে চলে যায়।

শুভ নিজের রুমের দিকে পা বাড়িয়েও পিছিয়ে যায়,,, মায়ার রুমের লাইট জ্বলছে,,, শুভ কিছুটা ভেবে মায়ার রুমে চলে যায়,,,

কাপড় গুছিয়ে কাবার্ডে রাখছিলো মায়া দরজায় কারো উপস্থিতি টের পেয়ে পিছনে ফিরলো ও। শুভকে দেখে কিছুটা অবাক হলো ও।

মায়াঃ শুভ তুমি এতো রাতে এখানে,,, কিছু লাগবে তোমার????

শুভ কিছু না বলে শুধু মাথা নাড়িয়ে হ্যাঁ বলল,,

শুভ ধীর পায়ে মায়ার সামনে এসে দাঁড়ালো,,, অনেক কিছু বলতে ইচ্ছে করছে শুভর কিন্তু কোথা থেকে শুরু করবে ভেবে পাচ্ছে না ও।

শুভর চোখ লাল হয়ে গেছে চুল গুলো উস্ক খুস্ক এলোমেলো হয়ে আছে,,,, মায়া শুভর এরকম অবস্থা দেখে কিছুটা ঘাবরে গেল,,,,

মায়াঃ শুভ তুমি ঠিক আছো জ্বর টর আসলো নাতো আবার দেখি,,

মায়া শুভর কপালে গালে হাত দিয়ে চেক করলো,, কিন্তু টেম্পারেচর একদম ঠিক আছে,

মায়াঃ কি হয়েছে শুভ মাকে বলবে না,,,

শুভর চোখ থেকে কয়েক ফোঁটা পানি গড়িয়ে পড়ল,,, শুভ হালকা হাসার চেষ্টা করে বলে,,,

শুভঃ ম মা মামনি আমার অনেক ঘুম পাচ্ছে,,, ছোট বেলায় যে লোরি টা গেয়ে আমাকে আর সিয়াকে ঘুম পারাতে সেটা গেয়ে শুনাবে প্লিজ,, ( অনুনয় স্বরে)

কত বছর পর শুভর মুখে মা ডাকটা শুনে অনেক অবাক প্লাস খুশি লাগছে মায়ার,,, মায়া শুভকে জড়িয়ে ধরে কেঁদে দিলো,,,

মায়াঃ কেন শুনাবো না অবশ্যই শুনাবো,,, আমার ছেলে এতো বছর পর আমার কাছে কিছু আবদার করেছে আর সেটা পুরন করবো না তা কি হয়,,,,

শুভঃ আ’ম স্যরি মামনি,,,,

মায়াঃ ইট্স ওকে শুভ,,,,

মায়া গিয়ে খাটে গিয়ে বসে পরলো তারপর শুভ মায়ার কোলে দিয়ে মাথা রেখে গুটি মেরে শুয়ে পরলো,,,

ক্যান আই জয়েন ইউ,,, (সিয়া)

শুভ আর মায়া দরজায় তাকিয়ে দেখে সিয়া দাঁড়িয়ে আছে,,,

শুভ মাথা নাড়িয়ে সিয়ার জন্য জায়গা দিলো,, সিয়া দৌড়ে এসে মায়ার মাথা রেখে গুটি শুটি মেরে শুয়ে পরলো,,,

মায়া শুভ আর সিয়ার মাথায় হাত বুলিয়ে দিতে দিতে লোরি গাইতে শুরু করে,,,,

নিন্দ নাগার কা সাপ্না বাটোরে
ঢুন্ডে রে পাল্কো কি ছাইয়া,,,
চাঁন্দা কি চাদার তারে বিছোনা,,,
কোমাল সি বাদলি কি শাইয়া

সোজা পেয়ারে রাজ দুলালে
লোরি শুনায়ে তেরি মাইয়া,,,x2

To be continued….

ফ্রেন্ডস আপসেট হাওয়ার কোন কারন নেই ইম্পসিবল কে কিভাবে পসিবল করতে হয় আমি জানি,,,? সো নো টেনশন হ্যাপি এন্ডিং হবে কারন স্যাড এন্ডিং আমারো পছন্দ না ?

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here