#একটুখানি_প্রেম ❤️
#পর্বসংখ্যা_১৩
যথা সময়ে ফুয়াদরা এসে হাজির হলো। অর্পি তো এসেই হুড়মুড় করে ঢুকলো হিয়ার ঘরে। হিয়াকে তখন শাড়ি পরিয়ে দিচ্ছিলেন মৌসুমি। অর্পি কোমড়ে হাত রেখে ছদ্ম গাম্ভীর্যের ভাব করে বললো,
— “এ-কি খালামণি? তোমার এতবড় মেয়ে, সে শাড়ি পরতে পারে না? বিয়ের পর করবে কি? হুঁ?”
কথার ভারিক্কি ভাব দেখে হেসে ফেললেন মৌসুমি। হিয়ার আঁচল ঠিক করে দিচ্ছিলেন। সেটা গুছিয়ে দিয়ে তাকালেন বোনঝির দিকে,
— “পতিসেবা করবে! সমস্যা কি? আর শাড়ি পরানো শেখানোর কাজটা না হয় ওর শাশুড়িই করে দেবে!”
— “ইসস! আমার মায়ের অত সময় নেই! তুমি তোমার মেয়েকে শিখিয়ে-পড়িয়ে পাঠাও!”
ভেংচি কাটলো মেয়েটা। তারপর দু’ জনেই হাসতে লাগলো। ওরা হাসছে, এটা-ওটা নিয়ে খুনসুটি করছে, কিন্তু হিয়ার মনে পাষাণ ভার। এসবে আগ্রহ নেই একটুও! ও চুপচাপ দাড়িয়ে আছে। যন্ত্রের মতো ভঙ্গি করে।
মেহমান চলে এসেছে। অতএব মেয়ের ঘরে বসে থেকে কাজ নেই আর। ওদিকটা দেখতে হবে তাকে। সবকিছু সুন্দর, সুনিপুণ করে করতে হবে। খুঁত রাখা যাবে না একটুও! অর্পিকে মেয়ের পাশে বসিয়ে রেখে মৌসুমি বিদেয় হলেন।
ড্রইং রুমে ফুয়াদরা বসেছে। মনজুর আলম বসেছেন তাদের সঙ্গে। ফুয়াদের বাবার সঙ্গে গল্প করছেন। সম্পর্ক বদলে যাচ্ছে দ্রুতই। এতদিন ছিলেন ভায়রা ভাই, এখন হবেন বেয়াই। আড্ডা জমেছে দারুণ! এরমধ্যে ফুয়াদের বাবা বললেন,
— “কই, হিয়া মা কই! মনজুর, আমার ছেলের বৌকে আনতে বলো!”
— “হ্যাঁ, হ্যাঁ। ডাকছি।”
সায় দিলেন মনজুর আলম। তারপর গলা উঁচিয়ে স্ত্রীর উদ্দেশ্যে হাঁক ছাড়লেন,
— “মৌসুমি? হিয়াকে আসতে বলো!”
একটুপরই হিয়াকে নিয়ে ঘরে প্রবেশ করলেন মৌসুমি। হিয়াকে বসানো হলো ফুয়াদের পাশে। টুকি-টাকি কথাবার্তা হলো। তারপর আংটি পরিয়ে দেয়া হলো দু’ জনের। ফুয়াদ নিজেই হিয়ার অনামিকা আঙুলে আংটি পরিয়ে দিলো। ওর হাতে মুচকি হেসে মন্তব্য করলো,
— “মাশআল্লাহ!”
হিয়া কেঁপে উঠলো। ভাঙা-চুরা হৃদয় নিয়ে নিজের হাতের দিকে তাকালো। হীরের আংটি খানা আপন উজ্জ্বলতায় দিব্যমান। ঝিলিক দিয়ে উঠছে বারংবার। চমৎকার আংটি, হাতের মালিকও চমৎকার, অথচ হিয়ার পছন্দ হলো না। তার ইচ্ছে করলো ছুঁড়ে ফেলে দিতে সেটা। চিৎকার করে বলতে, ‘ আমার কাহনকে চাই! ও যদি আমায় ঘাস ফুল দিয়েও আংটি বানিয়ে দেয় আমি তাও নিবো। কিন্তু অন্যের দেয়া হীরার আংটি আমার চাই না!’ কিন্তু বলা হলো না। সব কথা সবখানে বলা যায় না!
আনুষ্ঠানিকতা সম্পন্ন হলে খাওয়াদাওয়ার পর্ব শুরু হলো। পাশাপাশি বসানো হলো হিয়া আর ফুয়াদকে। হিয়ার অস্বস্তি হচ্ছিল। কেন তাকে ফুয়াদের পাশাপাশি বসতে হবে? দুনিয়ায় কি আর জায়গা নেই? কিন্তু প্রতিবাদ করবারও উপায় ছিল না। খাওয়ার মাঝে, কখনো কখনো পাশ ফিরে তাকালেই চোখাচোখি হচ্ছিল ফুয়াদের সঙ্গে। ফুয়াদ প্রতিবার মিষ্টি করে হেসেছিল। দু’ একটা ছোটখাটো রসিকতা করেছিল। যেগুলো বৌ হিসেবে নয়, আগে কাজিন হিসেবেও করা হতো। হিয়ার ভালোলাগছিল না কিছুই!
___
মা-খালার হাত থেকে নিস্তার মিলতেই ঘরে এসে ঢুকলো হিয়া। টান দিয়ে হাতের আংটি খুলে ফেললো। ছুঁড়ে দিলো বিছানায়। মাথার ঘোমটা খুললো, শাড়িটা খুলতে গিয়েও এলোমেলো করে ফেললো। বিছানায় বসে কাঁদতে লাগলো নিজমনে!
পরিবার ওকে সবসময় স্বাধীনতা দিয়েছিল। কোনোকিছুতে বাঁধা ছিল না কোনোদিন। নিষেধ পায় নি কোথাও, তাই সেই ভয়টাও কখনো ছিল না। চাল-চুলোহীন কাহনকে ভালোবাসতে তাই দ্বিধা করে নি হিয়া। মন উজাড় করে ভালোবেসেছে। যদিও কাহন ওকে কোনোদিনও মানে নি! তাতে কি! মন বিনিময় করতে তো হিয়ার বাঁধা ছিল না। কিন্তু যখন হিয়া ওকে চাইলো, তখন পরিবার বেঁকে বসলো। বাবা বললো,’ না! তুমি কাহনকে চাইতে পারো না! তোমাদের স্ট্যাটাস মেলে না কখনো!’ মা বললো, ‘ এ হয় না!’ কিন্তু আগে তো কখনো ওরা ওকে এসব বুঝায় নি! আজ হিয়া ভালোবাসলো বলেই দোষ?
ওরা বলে, ‘যাও! তোমাকে স্বাধীনতা দিয়ে দিলাম!’
কিন্তু উড়ে দেখো, ঠিক পায়ের অদৃশ্য বাঁধনে টান পড়বে।
ফিরে আসবে তুমি আবার। এই কি স্বাধীনতা, এই কি মুক্তি?
— “হিয়াপি তুই কাঁদছিস?”
চঞ্চল কণ্ঠটা শুনে ফিরে তাকালো হিয়া। অর্পি ওর সামনে দাড়িয়ে। চোখে বিস্ময়। মুখে একটু আগের হাসি মিলিয়ে যাওয়ার ক্ষীণ রেশ। কান্নার দমকে কেঁপে কেঁপে উঠছিল হিয়া। কথা বলবার জো ছিল না। অর্পি এগিয়ে এলো, কাঁধে পরম নির্ভরতায় হাত ছুঁইয়ে বললো,
— “কি হলো?”
— “কিছু না।”
ছোট্ট করে জবাব দিলো। তারপর আবারও সেই কান্না। অর্পির মনে কু ডাকলো। কিছুতো একটা হয়েছেই! নইলে বাপের আদুরে কন্যা এমন হাউমাউ কান্না কাঁদবে কেন! চট করে প্রশ্নটা মাথায় খেলে গেল। ওর চিবুক ধরে মুখটা ওপরে তুললো। বললো,
— “সত্যি কথা বল তো, আপি! তোর হয়েছে কি? তুই কি বিয়েতে খুশি নস্?”
হিয়া চোখ তুলে তাকালো। লালচে হয়ে আসা দু’ টি অশ্রুসজল নয়ন। মুখে কিছু বললো না, তবে মাথা নাড়ালো। অর্পি চমকে উঠলো ক্ষণিকের জন্য! অবিশ্বাস্য কণ্ঠে জিজ্ঞেস করলো,
— “তুই ফুয়াদ ভাইয়াকে বিয়ে করতে চাস না? কেন!”
— “আমি একজনকে ভালোবাসি!”
বজ্রপাত হলো যেন। বিস্ফোরিত চোখে তাকালো অর্পি। হিয়ার কথার আগামাথা সে বুঝতে পারছে না। কোনোমতে বললো,
— “তাহলে এনগেজমেন্ট করলি কেন? আশ্চর্য! খালুকে বলতি?”
— “বাবা সব জানে, অর্পি। কিন্তু সে কাহনকে মানবে না। ও বেকার, চাকরি-বাকরি নেই। ফ্যামিলি স্ট্যাটাস আমাদের চেয়ে নিচু! তাকে মানতে বাবার মান যাবে যে!”
— “আমি তোর কথা কিছুই বুঝতে পারছি না!”
হিয়া ছলছল চোখে তাকালো। অর্পি বিস্মিত হয়ে চেয়ে। ওকে চেপে ধরলো সবকিছু বলতে। বাধ্য হয়ে সবটা খুলে বললো হিয়া। তারপর দ্বিগুণ কান্নায় ভেঙে পড়ে বললো,
— “আমি এখন কি করবো, অর্পি? কি করবো আমি! আমাকে বলে দে তুই!”
অর্পি বোবার চোখে তাকালো। নিষ্প্রাণ কণ্ঠে জানালো,
— “তুই কি করবি সেটা তোর উপর নির্ভর করছে, আপি। বিয়ে করতে চাইলে কর, না করতে চাইলেও বল। কিন্তু একটা কথা মনে রাখিস, তুই যাই করিস না কেন ভেবে-চিন্তে করিস। এমন কিছু করিস না যেন তোর কাছের মানুষগুলো তোকে দূরে ঠেলে দেয়!”
___
টিউশনি করে বাড়ি ফিরছিল কাহন। এখন বিকেল প্রায়। রাস্তাঘাট কেমন যেন ফাঁকা ফাঁকা। হাঁটতে ভালো লাগছে। হঠাৎ কোত্থেকে যেন উদয় হলো হিয়ার। এগিয়ে এসে ঠিক সামনে দাড়ালো মেয়েটা। ভ্রু কুঁচকে তাকালো কাহন,
— “তুমি?”
— “আপনার সঙ্গে আমার জরুরি কথা আছে!”
মুখ নিচু করে হাত কচলাতে কচলাতে বললো হিয়া। কাহন বেশ বিরক্ত হলো,
— “তোমাকে তো আগেই বলেছি, তোমার সাথে আমার কোনো কথা নেই। তাও কেন—”
— “আমার বিয়ে ঠিক হয়ে গেছে!”
ওর কথা শেষ করবার আগেই বললো হিয়া। ওর চোখের দিকে তাকিয়ে রইলো। দেখতে চাইলো, তাতে কাহনের মূখে ভাবের পরিবর্তন হয় কি-না। নাহ্, কাহনের কিছুই হলো না তাতে। নির্বিকার চিত্তে জবাব দিলো,
— “বাহ্! ভালো তো! তা ছেলে কি করে?”
— “আর্কিটেকচারে পড়ালেখা করেছে।”
— “চমৎকার!”
হাসলো কাহন। সেই হাসিতে কি দুঃখ মিশে ছিল হিয়া তা জানে না। জানে না, ওর সামনে দাড়িয়ে অবলীলায় হাসতে থাকা ওই ছেলেটার বুকের ভেতর কি উদ্দাম ঝড় বয়ে চলেছে। কি নিদারুণ কষ্ট বুকে চেপে হাসিমুখে প্রেয়সীর বিয়ের কথা শুনছে সে!
প্রেয়সী? হ্যাঁ। প্রেয়সী। কাহনকে যে পাগলের মতো ভালোবাসে হিয়া, সেটা সে জানে। কিন্তু কাহন নিজেও যে হিয়াকে কতটা ভালোবাসে সেটা ওই বোকা মেয়েটা জানে না! বোঝে না!
কাহনের নির্লিপ্ত অভিব্যক্তি শুনে ধৈর্যের বাঁধ ভাঙলো হিয়ার। স্থান-কাল-পাত্র ভুলে গেল মেয়েটা। চট করে ধরে ফেললো কাহনের পুরুষালি হাত,
— “আমি আপনাকে ভালোবাসি, কাহন! আপনি কেন বুঝতে পারছেন না! কেন এরকম নিষ্ঠুর হচ্ছেন? কেন আমাকে মেনে নিচ্ছেন না!”
উন্মত্ত-অধীর-ব্যাকুল হয়ে কাঁদছে হিয়া। কাহন চোখ বড় বড় করে তাকালো। ভরা রাস্তায় কি শুরু করেছে এই মেয়ে! হাত ধরেছে কেন! আর এমন কান্নাকাটির কি আছে!
— “পাগলামি করছো কেন, মেয়ে? এসব ছেলেমানুষী তোমাকে মানায় না। বাড়ি যাও, প্লিজ?”
— “আমি বাড়ি যাবো না! কিছুতেই না! আমি আপনাকে ভালোবাসি। গেলে আপনার সঙ্গেই–”
কথা শেষ করবার আগেই থমথমে গলায় বললো কাহন,
— “আমি তো তোমায় ভালোবাসি না, হিয়া!”
হিয়া থমকে গেল। বোবার দৃষ্টিতে চেয়ে রইলো কাহনের দিকে। কিন্তু দমলো না, শুধালো,
— “কেন ভালোবাসেন না?”
তেঁতে উঠলো এবার,
— “কেন ভালোবাসবো? তোমার-আমার যায় কখনো? কখনো ভেবেছ তুমি আমাদের সামাজিক অবস্থানের কতো ফারাক? আমাদের চালচলন আর তোমার চালচলন কতো আলাদা? ধনীর দুলালী তুমি, আমি কি? চাল-চুলোহীন বেকার ছেলে। আমার মত ছেলের জন্য এমন পাগলামি কেন করছ তুমি?”
— “ভালোবাসা তো কোনো কারণ দিয়ে হয় না! আমি কি এতসব হিসেব করে ভালোবেসেছি? তাহলে ভালোবাসা আর ব্যবসার মধ্যে পার্থক্য রইলো কই?”
— “এতো আবেগী আলাপ করে জীবন চলে না! তুমি সোনার চামচ মুখে নিয়ে জন্মেছ, দারিদ্র্য ব্যাপারটা কি সেটাই বুঝো নি। তোমার কাছে এসব রূপকথার গল্পের মতো। কিন্তু জীবন রূপকথা নয়! এটা নির্মম বাস্তব।”
— “আপনাকে ভালোবেসে যদি আমার সব সুখ-আহ্লাদ বিসর্জন দিতে হয় আমি তাতেও রাজি। প্লিজ, আমাকে একটু বুঝুন। এরকম করবেন না! আমি মরে যাবো আপনাকে ছাড়া!”
— “কেউ কারো দুঃখে মরে না, হিয়া। সবাই বেঁচে থাকে। ষোলো বছরের সংসার এক নিমিষে ভাঙতে দেখেও মানুষ বেঁচে থাকে। আর তুমি? তোমার সঙ্গে আমার কোনো স্মৃতি নেই, কোনো গল্প নেই— তাহলে আমাকে ছাড়া বাঁচবে না কেন তুমি?”
অন্যমনস্ক কণ্ঠ ওর। হিয়ার জেদ চেপে গেল,
— “আমার ভালোবাসার গভীরতা কতো, সেটা আপনি জানেন না বলেই এসব বলতে পারছেন। আমি সত্যিই বলছি আমি আপনাকে ভালোবাসি। আপনাকে না পেলে আমি বাঁচবো না। নিজের জীবন দিয়ে প্রমাণ করতে বললেও আমি তা দেখাতে পারি!”
কি মারাত্মক কথা! কাহনের বুক কেঁপে উঠলো। হিয়ার চোখে চোখ রাখলো। ছলছল করছে সে দু’ টি আঁখি। যে আঁখির পানে চেয়ে বেশিক্ষন থাকা কাহনের কাছে দুষ্কর! দৃষ্টি ফিরিয়ে কঠিন গলায় জানান দিলো,
— “আমার প্রমাণ লাগবে না। তুমি আমাকে ভালোবাসো, সেটা সম্পূর্ণ তোমার সমস্যা। আমার এতে কোনো মাথাব্যথা নেই। তুমি কি করবে সেটা তুমিই বুঝবে। আমি চলি!”
হিয়ার হাতের বাঁধন আলগা হয়ে এসেছে। সেখান থেকে নিজের হাত ছাড়িয়ে নিয়ে কাহন পা বাড়ালো। ফিরে এলো হিয়া নামক এক অষ্টাদশী বালিকার ভালোবাসাকে অস্বীকার করে!
লোকে তাকে, পাষাণ ভাববে। বলবে কি নির্দয় এই ছেলে! অথচ কাহন জানে, কতোবড় যন্ত্রণায় পড়ে সে এই কাজটা করলো। নিজের ভালোবাসাকে, নিজের হাতে দূরে ঠেলে দিলো। কখনো বলতেও পারলো না ওই মেয়েটাকে যে তার জন্য নিজের বুকের ভেতর গড়া একটা ‘হিয়াকুঞ্জ’ আছে। সম্রাট শাহজাহান তার স্ত্রী মমতাজের জন্য ‘ তাজমহল’ নির্মাণ করেছিলেন বিপুল অর্থ ব্যয় করে। কাহন তো তার তুলনায় নস্যি! ছন্নছাড়া কাহনের টাকাপয়সা না থাকতে পারে, কিন্তু বুকভর্তি ভালোবাসা তো আছে! তাই দিয়ে সে গড়েছে ‘হিয়াকুঞ্জ’। কোনো প্রাসাদ নয়, ছোট্ট একটা কুটির। হিয়াকে ভালোবেসে, তার পাগলামিকে প্রশ্রয় দিয়ে কল্পনায় আঁকা ছোট্ট একটা সাজানো সংসার!
কিন্তু এর কথা কোনোদিন জানবে না হিয়া। কাহন জানাবে না কোনদিন! কারণ সে জানে তার অবস্থান। তেলে আর জলে কখনো যে মিশ খায় না! তার যুক্তিবোধের প্রখর্যের কাছে এইসব তুচ্ছ ভাবাবেগের তাই স্থান নেই!
__
নদীর স্রোতের মতো তিরতির করে সময় কেটে যাচ্ছিল। দেখতে দেখতে একমাস গড়ালো। হিয়ার বিয়ের দিন ঘনিয়ে এলো। সেদিনের পর আর কাহনের মুখোমুখি হয় নি হিয়া। কাহনও নয়। বিয়ে নিয়ে আর কোনো দ্বিমত পোষণ করতে দেখা যায় নি হিয়াকে। চুপচাপ সব মেনে নিয়েছে। কে জানে হয় তো, সত্যি সত্যিই ফুয়াদকে বিয়ে করতে ওর আপত্তি নেই! হয় তো হাসিমুখেই সে বিয়ে করে নিবে ফুয়াদকে!
চলবে___
#মৌরিন_আহমেদ
[আমার প্রথম ই-বই ‘বাতাসে বহিছে প্রেম’ পাওয়া যাচ্ছে বইটই অ্যাপে। পড়তে চাইলে ঝটপট কিনে ফেলুন মাত্র ত্রিশ টাকা দিয়ে! লিংক কমেন্টে… ❤️]