স্যার_I_Love_You #শারমিন_আক্তার_বর্ষা #পর্ব_১৭

0
290

#স্যার_I_Love_You
#শারমিন_আক্তার_বর্ষা
#পর্ব_১৭
____________
পরেরদিন দুপুরে~

জ্ঞান ফিরতেই নিজেকে নিজের রুমে আবিস্কার করলাম। পাশেই আব্বু আম্মু বসে আছে।
কালকের কথা কাল কি হয়েছিলো আমার কাছে জানতে চায়? আমি তাদের প্রশ্নের উত্তর না দিয়ে উল্টো প্রশ্ন করি আমি বাড়ি এলাম কিভাবে?
আম্মু বললো আমাকে নাকি ড্রাইবার আঙ্কেল রাস্তায় কাঁদতে দেখে আমার কাছে আসতে থাকে আর আমার কাছে আসার আগেই আমি নাকি সেন্সলেস হয়ে পরে যাই। তারপরে আঙ্কেল আর কয়েকজন লোক আমাকে গাড়িতে উঠিয়ে দেয় তারপর আঙ্কেল আমাকে বাড়ি নিয়ে আসেন।

আমি- আব্বু শাওন স্যার।
আম্মু- শাওন কি মামনি?
আব্বু- কেনো তুই জানিস না?
আমি- কি জানবো?
আব্বু- শাওন তো তোকে আর পড়াতে আসবে না সে ন করে দিয়েছে।
এতক্ষণ শুয়ে ছিলাম কিন্তু আব্বু কথা শুনে উঠে বসে পরলাম।
আমি- কি বলছো কি তুমি আব্বু এটা হতে পারে না কখন বলছে?
আব্বু- লাস্ট যে তোকে পড়াতে আসছিলো বৃহস্পতিবার দিন যাওয়ার সময় জানিয়েছে আর চলে গেছে।
আমি- তুমি এই কথা আমাকে আগে কেনো বলোনি। স্যার আপনি এভাবে যেতে পারবেন না।
আব্বু- তুই এখন একটু রেস্ট নে মামনি। আম্মু- কিছু খাবি শরীর তো দূর্বল মনে হচ্ছে।

দুপুরে খেয়ে রুমের মধ্যে পায়চারি করছি কোনো ভাবেই মনকে শান্ত করতে পারছি মনে হচ্ছে আমি স্যারকে হারিয়ে ফেলেছি কিন্তু আমার এমন কেনো মনে হচ্ছে না না আমি স্যারকে হারাতে পারবো না আমি এখনই যাবো স্যারের বাড়ি আর উনার সাথে আমার কথা বলতেই হবে।

রেডি হয়ে বেরিয়ে পরলাম। আব্বু জিজ্ঞেস করেছিলো কোথায় যাচ্ছি উত্তর স্যারের বাড়িতে।
গাড়ি থেকে নেমে সোজা হেঁটেই যাচ্ছি।
স্যারের বাড়ির সামনে আসতেই দেখলাম দরজায় তালা মানে উনার আম্মু আবারও অসুস্থ হয়ে পরেছে। বেশ জোরে জোরেই বললাম আমার কথা শুনে পেছন থেকে কে জেনো বললো।
– শাওনের মা অসুস্থ হয়নি।
পেছনে ঘুরে তাকালাম আরে আন্টি আপনি কেমন আছেন।
আন্টি- ভালোই আছি। আজকেও স্যারকে খুঁজতে আসছো লাভ নেই পাবে না আর কখনোই পাবে না।
আমি- মানে আপনার কথা আমি ঠিক বুঝতে পারছি না।
আন্টি- শোনো মেয়ে বুঝিয়ে বলছি। তোমার স্যার কাল রাতেই বাড়ি ছেড়ে চলে গেছে আজ সকালে যাওয়ার কথা ছিলো কিন্তু কাল রাতে কোথা থেকে এসে সব কিছু নিয়ে চলে গেছে। আর কোথায় গেছে কেউ জানে না তাই ভালো হবে এখানে আমার বাড়ির সামনে দাঁড়িয়ে না থেকে নিজের বাড়ি চলে যাও।

আন্টির কথা গুলো জেনো আমার কলিজায় লাগলো হাঁটছি আনমনে আর ভাবছি। কি এমন হয়েছে যে গাজীপুর ছেড়ে চলে যেতে হলো আর চলেই যাবে তো আমাকে একটা বার বললো না কেনো এটা পরিস্কার স্যার এখান থেকে আরও আগেই চলে যাওয়ার প্ল্যান করেছিলো কিন্তু কেনো স্যার আমি আপনাকে ছাড়া থাকবো কি ভাবে আপনার কি একবারও আমার কথা মনে হয়নি আপনি কিভাবে চলে গেলেন আমাকে ছেড়ে আমার আপনাকে ভালোবাসা ভুল ছিলো না স্যার ভুল তো আমার বাবার কোটি সম্পত্তি কেনো আল্লাহ কেনো আমাকে বড়লোক ঘরে জন্ম দিলা কেনো আজ এই সম্পত্তির জন্য আমার স্যার আমাকে ছেড়ে চলে গেছে।
জানি না কাঁদতে কাঁদতে কোথায় চলে আসছি চোখের পানি মুছতে লাগলাম দুই হাত দিয়ে।
স্যার কেনো আমার সাথে এমন করলেন কেনো ছেড়ে চলে গেলেন কেনো এত কষ্ট দিলেন আমার ভালোবাসায় কি ভুল ছিলো কেনো কেনো কোথায় খুঁজবো আপনাকে বলেই চিৎকার দিয়ে মাটিতে বসে পরলাম।
হঠাৎ পেছনে থেকে ড্রাইবার আঙ্কেল ডাক দিলেন।
ড্রাইবার আঙ্কেল- ইতি মামনি সরে যাও ওখান থেকে।
পেছন থেকে ড্রাইবার আঙ্কেলের ডাক শুনে দাঁড়িয়ে উনার দিকে তাকাতে যাবো এমন টাইমে একটা ট্রাক এসে ধাক্কা মারে। ট্রাকের বারিতে উড়ে গিয়ে রাস্তার ওপাশপ পরি। সমস্ত শরীর থেকে রক্ত বের হয়ে পুরো রাস্তা রক্তাক্ত হয়ে যাচ্ছে বেশি রক্ত বের হচ্ছে কপাল আর মাথা থেকে। দুই মিনিটের জন্য পরিবেশ টা কেমন জেনো থমকে গেছে খুব কষ্ট হচ্ছে মনে হচ্ছে এই এখন বুঝি দেহ থেকে আত্মাটা বেরিয়ে যাবে।
চোখ খুলতে পারছি না খুব ভয় হচ্ছে মনে হচ্ছে আর এই পৃথিবীর আলো দেখতে পাবো না আমার আব্বু আম্মুকে দেখতে পাবো না আব্বু আম্মু বলে ডাকতে পারবো না আর স্যারকে কখনো স্যার বলে ডাকতে পারবো না। কোনো মতে চোখ খুলে তাকানোর চেষ্টা করলাম আর সামনে দেখছি ড্রাইবার আঙ্কেল আমার দিকেই আসছেন।
ড্রাইবার আঙ্কেল কাঁদছে আমার সামনে মাটিতে বসে আমার মাথা উনার কোলে নিলেন আমার মাথায় যেখান থেকে রক্ত বের হচ্ছে সেখানে শক্ত করে চেপে ধরেছেন।
আমি- আঙ্কেল স্যার আমাকে ছেড়ে চলে গেছে আঙ্কেল আমার কাছে বেশি সময় নেই আঙ্কেল আমি আর বাঁচবো না।
ড্রাইবার আঙ্কেল- মামনি মামনি চুপ করো তোমার কিচ্ছু হবে না তোমাকে আমি এখনই হাসপাতালে নিয়ে যাবো।
আপনারা দাঁড়িয়ে দাঁড়িয়ে কি দেখছেন কেউ এ্যাম্বুলেন্স কল দাও!
আমি- আঙ্কেল আমাকে ক্ষমা করে দিও আমার আব্বু আম্মুর খেয়াল রেখো আর আমাকে ক্ষমা করে দিও।
ড্রাইবার আঙ্কেল- এই সব বলো না মামনি তোমার কিছু হবে না।

“ আমার কাছে সময় নেই আঙ্কেল আমাকে স্যার না বলেই চলে গেছে আঙ্ ”

আর কিছু বলতে পারলাম না তলিয়ে গেলাম ঘুমের দেশে। এদিকে ড্রাইবার আঙ্কেল আমাকে কোলে তুলে নিলেন আর একটা ট্যাক্সিতে উঠলেন।
আমাকে হাসপাতালে নিয়ে আসা হলো ডাক্তার ও নার্সরা আমাকে নিয়ে গেলেন ও.টি তে!
ড্রাইবার আঙ্কেল প্যান্টের পকেটে উনার মোবাইল খুঁজছেন কিন্তু নেই তখনই উনার মনে পরলো উনি ফোন রাস্তাতেই ফেলে আসছেন। রিসিপশনে গিয়ে ওখান থেকে ফোন নিয়ে বাড়িতে আব্বু আম্মুর কাছে ফোন দেয়। আব্বু আম্মু আমার কথা শুনে হন্য হয়ে বাড়ি থেকে বেরিয়ে পরে।

হাসপাতালের বাহিরে আব্বু আম্মু ড্রাইবার আঙ্কেল আমার জন্য বসে আছে।
আমার আম্মু আমার জন্য ওই মায়াবী চোখ থেকে নোনা পানি ফেলছে। ওই দুটি চোখে আমি আমার পুরো জগৎ দেখতে পেতাম আজ ওই দুটি চোখে পানি আমার আম্মু আমার জন্য কাঁদছে যে চোখে কখনো পানি দেখিনি আজ আমার সেই আম্মু পাগলের মতো কাঁদছে।
আমার আব্বু আম্মুকে সামলানোর পুরো চেষ্টা করছে উপর থেকে নিজেকে নরমাল দেখালেও ভেতর থেকে ভেঙে গুড়িয়ে গেছে। আব্বু কাঁদলে যে আম্মুকে সামলানো যাবে না।
ড্রাইবার আঙ্কেল ও কাঁদছেন সাথে আমার কাঁধে হাত রেখে আব্বুকে শান্তনা দিচ্ছেন আমার নাকি কিচ্ছু হবে না।
আব্বু ড্রাইবার আঙ্কেলকে জিজ্ঞেস করেন আমার এক্সিডেন্ট কিভাবে হয়েছে।
আঙ্কেল শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত সব বলেন। আব্বুর আর বুঝতে বাকি থাকে না যে আমি স্যারকে ভালোবেসে ফেলেছি। আর স্যারের চলে যাওয়া মেনে নিতে পারিনি। আর এই এক্সিডেন্ট।
ড্রাইবার আঙ্কেলের কথা শুনে আম্মু- সব আমার দোষ আমি যদি তখন ওকে বাড়ি থেকে বেরো তে না দিতাম তাহলে আমার কলিজা আমার বুকেই থাকতো আল্লাহ আমার মেয়ে টা কে আমার বুক খালি করে নিয়ে যেও না আল্লাহ জীবনে বাপ মা হারানোর কষ্ট একমাত্র এই মেয়ের মুখ চেয়ে ভুলে গেছি আল্লাহ আমি আমার বাপ মা’কে কষ্ট দিয়েছিলাম সে কষ্টের ফল তুমি আমার মেয়েকে আমার বুক থেকে ছিনিয়ে নিয়ে দিও না আল্লাহ ধরকার হলে তুমি আমাকে নিয়ে নাও তবুও আমার ফুলের মতো মেয়েটার জীবন ভিক্ষা দাও আল্লাহ।

আর আঙ্কেল এটাও বলে ওইদিন রাস্তায় ইতি মামনি সেন্সলেস হয়ে গেছিলো কেনো কাঁদছিলামই বা কেনো জানেন আমি বলছি ইতি মামনি ওইদিন সেজেগুজে হাইওয়েতে স্যারের জন্য অপেক্ষা করছিলো স্যার যেতেই কিছুক্ষণ পর স্যারকে প্রপোজ করে মামনি আর সে শুধু মাত্র ইতি মামনি আপনার মেয়ে বলতে কোটিপতি বলে ইতি মামনির ভালোবাসা প্রত্যাখান করে চলে যায়। সে কোনো বড়লোকের মেয়েকে বিয়ে করবে না আর তারপরেই কাঁদতে কাঁদতে সেন্সলেস হয়ে পরে আর কালকেই এই শহর ছেড়ে চলে যায়।
আব্বু- তুমি আমাকে এইগুলো আগে কেনো বলোনি?
ড্রাইবার আঙ্কেল- ইতি মামনি বলতে বারণ করেছিলো।

এদিকে ঔ.টি থেকে ডাক্তার বের হলেন।
আব্বু দৌঁড়ে এলেন তার কাছে এবং আমার অবস্থা জিজ্ঞেস করেন।
ডাক্তার- দেখুন আমরা আমাদের সম্পূর্ণ দিয়ে চেষ্টা করছি। আপনার মেয়ের অবস্থা খুবই ক্রিটিকেল! আমরা জোর দিয়ে বলতে পারছি না আমরা উনাকে বাঁচাতে পারবো কি না উনার বাঁচার চান্স মাত্র ১% আর না বাঁচার ৯৯% গাড়ি এক্সিডেন্টে বেশি আঘাত পেয়েছে মাথায় তাই আমরা ঠিক বুঝতে পারছি না উনি আধও বাঁচবেন কি না আমরা ঢাকা থেকে আরও দুইজন ডাক্তারকে আসতে বলেছি। আর আপনার মেয়ে যদি মানে বলতে চাচ্ছি যদি আল্লাহর রহমতে বেঁচে যায়। তাহলে কোমায় চলে যাবে। বাকিটা আল্লাহ জানে আল্লাহর উপর ভরসা রাখুন মেয়ের জন্য বেশি বেশি দোয়া করুন। বলেই ডাক্তার চলে গেলো।

আম্মু ডাক্তারের কথা শুনে সেখানেই চিৎকার দিয়ে ফ্লোরে বসে পরলো আর আব্বু ডাক্তার যেতেই দুই হাঁটু ভেঙে ফ্লোরে বসে পরে নিজেকে আর সামলাতে পারলো না এবার কেঁদেই দিলো।
দুই চোখ বেয়ে অনবরত নোনা জল জড়ছে।
আমার আব্বু আম্মু কাঁদছে!
আমি আর বাঁচবো না ভেবেই উনারা আরও বেশি কাঁদছে আম্মু উঠে গিয়ে আব্বুকে জরিয়ে ধরে আর দু’জনেই গোলাগুলি ধরে কাঁদছেন আর আমি এখনও ঘুমিয়ে আছি আমার অপারেশন চলছে আধও বাঁচবো কি না তার কোনো গ্যারান্টি নেই।

দু’জন ডাক্তার ঢাকা থেকে আসলে বাকি একজন ডাক্তার ও নার্স আব্বু আম্মুর কাছে যায় ব্রণ সই করানোর জন্য যদি এই অপারেশনের ধরান আমার মৃত্যু হয় তাহলে হাসপাতালে কর্তৃপক্ষ দ্বায়ী নয়।

আব্বু আম্মু ব্রন সই করা বাদ দিয়ে দু’জনে দু’জনের দিকে তাকিয়ে আবার ও চোখের জল ফেলছে।
সই করতেই ডাক্তাররা আমার অপারেশনের জন্য ও.টি তে ঢুকেন আর ও.টির রেড লাইট জ্বলে উঠে.!
লাইট জ্বলার সঙ্গে সঙ্গে আম্মু চিৎকার দিয়ে আব্বুকে জরিয়ে ধরে।
আম্মু- আমার মেয়ে আমার ইতি আমার সোনা আমার নাড়ি ছেরাধন আমি কলিজার টুকরা আল্লাহ আমার মেয়েকে জীবন দান করো আল্লাহ।
আব্বু কিছু বলছে না শুধু আম্মুকে শক্ত করে জরিয়ে ধরে কাঁদছে।

আমার এক্সিডেন্টের খবর কিভাবে জানি আমার দাদা দাদী ও নানা নানীর কাছে খবর চলে যায়।
এতবছর রাগ করে থাকলেও আজ নাতনীর এমন অবস্থায় তারা আর রাগ করে হাত গুটিয়ে বসে থাকতে পারলেন না। সবাই চলে এলেন হাসপাতাল আব্বু আম্মুকে দেখে তারাও দৌঁড়ে এসে তাদের সন্তানদেরকে জরিয়ে ধরলেন।
আম্মুকে নানা নানী জরিয়ে ধরে শান্তনা দিচ্ছেন।
নানা, নানী- আমাদের নাতনী ও তোর মেয়ের কিচ্ছু হবে না। আল্লাহ ইতি দিদিভাইকে আমার কাছে ফিরিয়ে দিবে। আম্মু নানা নানী কে জরিয়ে ধরে পাগলের মতো হাউমাউ করে কাঁদছে।

দাদা দাদী ও আব্বুকে জরিয়ে ধরে একই কথা বললেন।
আব্বু দাদা দাদীকে শক্ত করে জরিয়ে ধরে কাঁদতে শুরু করলেন।

এদিকে আমার এক্সিডেন্টের খবর পেয়ে আমার কলিজার টুকরা বন্ধু গুলাও চলে আসলো।
মুন্নী, মিম, আব্রু, রুবেল, নাঈম ওরাও হাসপাতালে এসে কাঁদছে কতই না দুষ্টামি শয়তানি করছি এক সাথে আর আজ আমি জীবন মৃত্যুর সাথে লড়াই করছি সব কিছুর জন্য ওরা স্যারকে দ্বায়ী করে।

এদিকে ২ঘন্টা পার হয়ে গেছে ডাক্তার দের মধ্যে কেউ এখনো বের হয়নি। আর না কোনো খবর আছে।
তারা সবাই ও.টির সামনে চেয়ারে বসে পরেন কাঁদতে কাঁদতে হয়রান হয়ে গেছেন। আম্মু তো দুইবার সেন্সলেস হয়ে পরে গিয়েছিল।
ড্রাইবার আঙ্কেল বাহির থেকে পানির বোতল কিনে নিয়ে আসে আর সবাইকে খাওয়ার জন্য দেয়।
আমার নয়নের মনি আম্মুর যে কাঁদতে কাঁদতে চোখের পানি শুখিয়ে গেছে তবুও আম্মু কেঁদেই যাচ্ছে।
আমার জান্নাত বাহিরে বসে কাঁদছে।
আমার আম্মুকে এখন যদি জরিয়ে ধরতে পারতাম তাহলে হয়তো আমার আম্মুর কলিজা ঠান্ডা হতো কিন্তু তার যে কোনো উপায় নেই। ২০মিনিট পর একজন ডাক্তার বের হলেন।
তাকে সবাই আমার কথা জিজ্ঞেস করলো।
ডাক্তার আবারও আগের কতা গুলোই বললেন বেশি বেশি দোয়া করতে বললেন।

ড্রাইবার আঙ্কেল আব্বুকে নিয়ে মসজিদে চলে গেলেন সাথে নাঈম আর রুবেল ও যায়।
এদিকে আম্মুকে নিয়ে মুন্নী মিম আব্রু নানা নানী দাদা দাদী সবাই একটা পরিষ্কার রুমে যায় সবাই নামাজ পরছে আর আল্লাহর কাছে আমার হায়াত ভিক্ষা চাইছে.!

নামাজ শেষ হতে সবাই আবারও ও.টির সামনে চলে আসে আর আগের ন্যায় অপেক্ষা করছে।

চলবে?

[কার্টেসী ছাড়া কপি করা নিষেধ]

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here