অচেনা এক সময়
পর্ব – ২
সিনথিয়া
অফিসে গিয়ে প্রথম কাজের লোড টা সামলে এগারোটা নাগাদ মৌলি চায়ের একটা বিরতি নেয় প্রতিদিন।
এই সময় কিছুক্ষণ ফেসবুকে ঘুরে অনলাইন অর্ডার গুলো দেয়। দুই একটা জরুরী ব্যক্তিগত ফোন করে এর মধ্যে মা আর বেবি খালা কে ফোন দেয়।
আর প্রতিদিন একটা ফোন অবশ্যই দেয় ছোটবেলার বান্ধবী মুনিয়াকে। মুনিয়া তার বেস্ট ফ্রেন্ড। কিছু মানুষ থাকে না জীবনের অনেকটা জুড়ে। মুনিয়া তাই।
মুনিয়া আর ও স্কুল, কলেজ সব এক সঙ্গে। দুজনের চোখেই অনেক রঙিন স্বপ্ন ছিল। ওর স্বপ্ন গুলো ভেঙ্গে দিল ওর বাবা আর মুনিয়া নিজেই নিজের স্বপ্ন গুলো ভেঙেছে। কত চিন্তা করতো দুজন চাকরি করবে, দেশ বিদেশে ঘুরবে। মৌলি ঠিকই চাকরি করছে এখন কিন্তু মুনিয়া সেই বিশ বছর বয়সে সংসার শুরু করেছে।
পাশের বাড়ির ছেলে মাহমুদ কে পালিয়ে গিয়ে বিয়ে করে ফেলল। সবে মাত্র প্রেম শুরু হয়েছিল, বলা নেই কওয়া নেই বিয়ে।
মুনিয়ার এই কাজ দেখে মৌলির বাবা তন্ময়ের বিয়ে প্রস্তাব টা আসতেই এত তড়িঘড়ি করে বিয়ে দিয়ে দেয় ওর।
দুই পরিবার মেনে নিয়েছে কিন্তু মুনিয়ার আর পড়াশোনা টা হয় নাই। কোন রকম প্রাইভেট এ বিএ টা পাশ করেছে। শ্বশুর শাশুড়ি, দেবর, ননদে ভরা সংসার ছিল। এত বছরে দেবররা বিয়ে করে আলাদা সংসার করছে। ননদের ও বিয়ে হয়েছে দেশের বাহিরে থাকে। শ্বশুর শাশুড়ি ও মারা গেছে।
মুনিয়ার ছেলের বয়স বার বছর। ছেলেকে নিয়ে এখন তার ব্যস্ততা। সব দিক সামলে উঠতে উঠতে মাহমুদ এর সঙ্গে তৈরি হয়েছে অনেক দূরত্ব। ব্যাঙ্কে ভালো পজিশনে চাকরি করা মাহমুদ মুনিয়ার সেই প্রেমিক থেকে এখন শুধুই স্বামী হয়ে গেছে।
মুনিয়াও মৌলির কানের কাছে বিয়ে বিয়ে করে পাগল করে।
সংসারে থিতু হওয়ার জন্য বলে। ফোন দিলে একই কথা বলবে প্রতিদিন।
মৌলি বিয়ের জন্য রাজি হয়েছে মায়ের মতো মুনিয়াও খুব এক্সাইটেড এইটা নিয়ে।
তাই আজ যখন সে ফোন দিল প্রথমেই
উত্তেজিত হয়ে বলল, তাড়াতাড়ি বল গতকাল কি হলো ?
কিসের কি হলো?
মৌলি একদম ফাজলামি করবি না রিজওয়ান নামের ছেলেটার সাথে কথা কি হলো বল ?
ও আচ্ছা সেই ঘটনা। ছেলে বলছিস কাকে ? ভদ্রলোক বল।
হুম ভদ্রলোক , এখন বল কেমন দেখলি ? আমি তো গতকাল রাতেই ফোন দিতাম তোকে কিন্তু মাহমুদ জ্বর নিয়ে অফিস থেকে ফিরলো ওকে নিয়েই ব্যস্ত ছিলাম।
মাহমুদ ভাই অসুস্থ এখন কি অবস্থা উনার ?
মাহমুদ ভালো আছে যথারিতি অফিসে চলে গেছে সকালে, তুই তোর কথা বল মৌলি ।
হুম ভালো ই আছে রিজওয়ান, তবে একটু বোরিং টাইপ হবে মনে হচ্ছে।
শোন তেতাল্লিশ বছরের বেটা ছেলে বোরিং টাইপ ই হবে তুই কি ভাবছিস ভার্সিটিতে পড়া লুতুপুতু টাইপ প্রেমিক পুরুষ হবে?
ঠিক তা না রে আমার মনে হচ্ছে লোকটা বেশি মাত্রায় ব্যালেন্সড, আর ভদ্র।
এই বয়সে এসে তুই কি ইমপালসিভ টাইপ বর চাইছিস মৌলি ?
জানিস লোকটা সরাসরি বলে দিল তার প্রায়োরিটি তার মেয়ে ! মেয়ের জন্য একজন শিক্ষিত, রুচিশীল মা চাই !
ঠিক কথাই তো বলেছেন ভদ্রলোক। দ্বিতীয় বার বিয়ে যেহেতু করছেন তিনি তার এই বিয়ে থেকে কি আশা করেন সরাসরি তাই বলল তোকে। আর মৌলি তোর কি ইচ্ছা করে না একটা বাচ্চার মা হতে ?
ঠিক তা নয় রে , আমি শত চেষ্টা করলেও কি মেয়েটার আসল মা হয়ে উঠতে পারব ?
কেন পারবি না চেষ্টা করলে অবশ্যই পারবি আর দেখ লোকটা কতটা ভদ্র আগে ভাগেই সব কিছু ক্লিয়ার করে দিলেন।
হুম সেটা ঠিক বলেছিস।
দেখতে কেমন রে মৌলি ?
দেখতে অনেক হ্যান্ডসাম এবং টাকা পয়সা ওয়ালা দেখেই বোঝা যায়।
তাহলে আর কি চাই বল মেঘ না চাইতেই পুরো সমুদ্র পেয়ে যাচ্ছিস তুই হি হি।
মুনিয়া আমি কখনো টাকাকে প্রাধান্য দেই নাই । আমি নিজেই যথেষ্ট ইনকাম করি।
ঠিক আছে ঠিক আছে বুঝেছি তবে একটা বাচ্চা তোর মধ্যে দিয়ে নিজের মা কে পাবে এটা চিন্তা করে দেখিস। আর মেয়েদের জীবনে সন্তান যে কি জিনিস আমাকে দেখ , বাবু কে নিয়েই নিজের যত না পাওয়া আছে সব ভুলে গেছি। ওর মাঝ দিয়ে নিজের অপূর্ণ স্বপ্ন গুলো সাজানোর চেষ্টা করি।
আরো দুটো পাত্র আছে, ঐ দুজনের সঙ্গে দেখা করে আমি সিদ্ধান্ত নিব চিন্তা করেছি।
ঠিক আছে কেমন দেখলি জানাবি কিন্তু।
আমি রাখছি ছেলেকে স্কুল থেকে আনতে যেতে
হবে আমি বের হব রে ।
এত তাড়াতাড়ি স্কুল ছুটি হবে ?
তার আগে আমাকে
বাজার করতে হবে মৌলি ম্যাডাম, আপনার মতো না আমার অফিস এটাই।
ঠিক আছে রাখলাম।
দুই দিন পর এক ছুটির দিন বিকেলে মৌলি তার মা আর বেবি খালার ঠিক করা এক ডাক্তার পাত্রের সঙ্গে দেখা করতে বের হলো।
হালকা গোলাপি রঙের একটা জামদানি শাড়ি পড়েছে। শাড়ি তার একটা দূর্বলতা। প্রচুর শাড়ি কিনে সে। পড়তেও ভালো লাগে। আজকে গোলাপী হাফ সিল্ক জামদানি টার সঙ্গে গোলাপী মুক্তার মালা আর হাতে একটা ব্রেসলেট অন্য হাতে একটা দামি ঘড়ি পড়ে আয়নার সামনে দাঁড়িয়ে খুব খুঁটিয়ে নিজেকে দেখলো। তার বয়স সাতত্রিশ হলেও দেখে মনে হয় এখনো ত্রিশ পার হয়নি। এটা তার কথা না মুনিয়া আর তার বান্ধবী রা বলবে। আয়নার সামনে দাঁড়িয়ে তার ও মনে হয় ভুল বলেনি। তবে যদি তন্ময় বেঁচে থাকতো তাহলে সংসার বাচ্চা সামলে হয়তো সেও মুনিয়ার মতো মধ্য বয়সী দেখতে হয়ে যেত কিনা চিন্তা করে প্রায় সময়।
তন্ময়ের সঙ্গে দুই মাসের বিবাহিত সময় টা খুব সুন্দর ছিল। বিয়ের পর কক্সবাজার গিয়েছিল ঘুরতে। খুব রোমান্টিক ছিল তন্ময়। মেয়েরা কম বয়সে যেমন পুরুষ চায়। যদিও তন্ময় তার চেয়ে ছয় বছরের বড় ছিল কিন্তু অনেক ছেলে মানুষীতে ভরা একটা মানুষ ছিল।
দুই মাসের সেই স্মৃতি ভুলতে তাকে অনেক বছর কষ্ট করতে হয়েছে।
দীর্ঘ শ্বাস ফেলল মুনিয়া।
ধানমন্ডির একটা রুফ টপ রেস্টুরেন্টের নিচে ওর জন্য অপেক্ষা করছিল অনন্য । পেশায় একজন চোখের ডাক্তার। বয়স চল্লিশ।
লোকটাকে দেখে প্রথম যে কথাটা মনে হলো মৌলির, মানুষ টা কথা বলতে পছন্দ করে।
লিফটে উঠতে উঠতেই মৌলিকে বলা শুরু করলো, আমি কখনো এই রেস্টুরেন্টে আসিনি আপনি এসেছেন?
মৌলি হেসে বলল, না।
আসলে আমার বড় বোন যিনি আপনার কোন এক বোনের প্রতিবেশী, মানে যাদের মাধ্যমেই আমাদের আজকে এখানে আসা তারাই ঠিক করে দিল এখানে আসলে ভালো হবে ।
মৌলি বলল, আমি জানি। শাম্মী আপু আমার খালাতো বোন।
ও আচ্ছা আচ্ছা।
রুফ টপ টা দেখে মৌলির পছন্দ হলো। অনেক সবুজ দিয়ে সাজানো। গাছে ভরা চারদিক টা।
ওরা গিয়ে রেলিং এর পাশে একটা টেবিলে বসলো।
চারদিকে চোখ বুলিয়ে অনন্য বলল, বাহ্ খুব সুন্দর জায়গা তো ! আমি তো জানতাম ই না এত সুন্দর একটা জায়গা আছে এখানে!
মৌলি তাকিয়ে দেখছে অনন্য কে। চোখের ডাক্তারের চোখে মোটা কাঁচের চশমা। হালকা পাউডার পিংক কালারের ফর্মাল শার্ট পড়া, শ্যামলা গায়ের রং এর সঙ্গে ভালোই লাগছে।
আপনি তো কিউর এন্ড কেয়ার এ আছেন তাই না মৌলি ?
জ্বি ।
আপনাদের ওষুধ গুলো অনেক দাম অনন্য হাসতে হাসতে বলল।
আমরা চেষ্টা করছি দাম আরো কমিয়ে আনতে বুঝতেই তো পারছেন বিদেশি কম্পানি ।
জ্বি বুঝেছি। গলা নামিয়ে অনন্য বলল, আমি আজকে যে কয়জন রোগী দেখেছি সবাই কে আপনার কম্পানির ওষুধ ই প্রেসক্রাইব করে দিয়েছি কথাটা বলেই অনন্য হেসে উঠলো।
মৌলির ও হাসি আসছে লোকটার মাঝে শিশু সুলভ আচরণ দেখে।
আচ্ছা আমি মনে হয় একটু বেশি কথা বলছি তাই না ?
না ঠিক আছে আপনি বলুন।
মৌলি আমি আসলে এত কথা বলছি কারন আমি আপনাকে কিছু সিরিয়াস কথা বলব তার আগে পরিবেশ টা একটু সহজ করে নেয়ার জন্য।
মৌলি ভ্রু কুঁচকে তাকিয়ে বলল, সিরিয়াস কথা ?
জ্বি।
তারপর অনন্য বলা শুরু করলো, মৌলি আপনি নিশ্চয়ই চিন্তা করছেন চল্লিশ বছর বয়সে এসেও আমি এখনো বিয়ে করিনি কেন ? বাংলাদেশের প্রেক্ষাপটে একজন ডাক্তার যথেষ্ট প্রতিষ্ঠিত পাত্র হিসেবে, তবুও আমি এখন পর্যন্ত অবিবাহিত!
মৌলি বলল, আমি সেটা ভেবে অবাক হইনি! আমি চিন্তা করেছি আপনি তো আমার বায়োডাটা তে দেখেছেন আমি বিধবা। আপনি অবিবাহিত যে কোন কম বয়সী মেয়েকে অনায়াসে ই বিয়ে করতে পারেন আপনি আমাকে কেন বেছে নিয়েছেন ?
এটাও ঠিক ধরেছেন মৌলি আপনি! আমার কিছু কাহিনী আছে যার জন্য আমি নিজেকে অন্যদের চেয়ে আলাদা মনে করি। তাই অন্যদের মতো অনেক কিছু আমার করা হয় না।
কিছুক্ষণ চুপ করে রইলো অনন্য। মৌলি উৎসাহী চোখে তাকিয়ে আছে।
আমার গল্পটা আপনাকে বলতে চাই । শুনলেই সব বুঝতে পারবেন আপনি।
জ্বি বলুন আমি শুনতে চাই।
মৌলি আমার মা মারা যান আমার বয়স যখন নয় বছর । মায়ের মৃত্যু টা স্বাভাবিক ছিল না। আমাদের পরিবারের পরিবেশ টা স্বাভাবিক ছিল না কখনো। বাবা মায়ের মাঝে প্রতিদিন ই অশান্তি লেগে থাকতো। আমার বাবার আরো একটা পরিবার ছিল। একজন ডিভোর্সি মহিলার সঙ্গে আমার বাবার একটা সম্পর্ক ছিল। সেটা নিয়ে প্রতিনিয়ত অশান্তি চলতো ঘরে। এই অশান্তি যেন আমাকে ছুঁতে না পারে আমার বড় ফুপু আমাকে নিয়ে তার কাছে রাখতেন কখনো কখনো। একদিন হঠাৎ কি হয়েছিল আমি জানি না মা কে বাসায় মৃত অবস্থায় পাওয়া গেল। বাবাকে পুলিশ ধরে নিয়ে গেল। মামারা বাবার নামে মামলা করেছিল। শুনেছিলাম বাবা নাকি ঝগড়ার এক পর্যায়ে মায়ের গলা টিপে ধরেছিল।
জামিনে বের হয়ে বাবা আত্মহত্যা করেন।
কথাগুলো বলে মাথা নিচু করে চুপ করে রইলো অনন্য।
সেই থেকে আমি বড় ফুপুর বাড়িতে বড় হয়েছি। মামা বাড়ির কেউ আমার দ্বায়িত্ব নিতে চায়নি। তবে মায়ের উত্তরাধিকার সূত্রে পাওয়া একটা ফ্ল্যাট কয়েক বছর বাদে আমার নামে করে দেন বড় মামা।
আমার কোন ভাই বোন নেই। মলি আপা আমার ফুফাতো বোন।
কিছুক্ষণ চুপ করে অনন্য বলল, আমি খুনি বাবার ছেলে বলে বন্ধু ছিল কম, আত্মীয় স্বজন ছিল হাতে গোনা। নিজেকে নিয়েই ছিলাম সব সময়। জীবনে কাউকে পছন্দ হয়নি তা কিন্তু নয় । কিন্তু আমার অতীত শুনলেই সবাই কেটে পড়ে। আমি কাউকে দোষ দিব না, এটাই স্বাভাবিক।
আপনাকে এসব আগেই বলা আমার দ্বায়িত্ব। যদিও ফুপু বারবার বলে দিয়েছেন প্রথম দিনেই যেন এত কিছু না বলি কিন্তু আমি কাউকে কোন কিছু গোপন করে জীবন শুরু করতে চাই না মৌলি।
আর একটা কথা আপনি কোন দ্বিধা করবেন না আপনার মতামত নেগেটিভ হলে আপনি নির্দ্বিধায় জানিয়ে দিবেন।
আপনি চিন্তা করবেন না অনন্য, আমার বয়স এখন দ্বিধান্বিত হওয়ার পর্যায়ে আর নেই।
মৌলি বাসায় ফিরে মা কে সব বলার পর মা বলে দিল না না এই ছেলের কথা চিন্তাও করিস না। খুনি বাবার ছেলের কাছে আমি আমার মেয়ে বিয়ে দিব না। কখনোই না।
মা মানুষ টা কিন্তু ভালো মনে হলো আমার, তা না হলে আগেভাগেই এত সব কথা বলতো ?
মৌলি সে তুই আমাকে যাই বলিস জেনে শুনে আমি এমন পরিবারের ছেলের সাথে তোকে বিয়ে দিতে পারব না। বিপদজনক, এলোমেলো পরিবেশে যাওয়ার কোন মানে হয় না।
মা এই বয়সে বিয়ে মানেই আমার জন্য বিপদজনক পরিবেশ ঠিক আছে, তো সেটা যাকেই করি না কেন।কথাটা বলে হাসতে হাসতে নিজের ঘরে চলে এলো মৌলি।
রাতে একটা বই নিয়ে বসে চিন্তা করছিল মৌলি। দুটো দুই রকম মানুষের সঙ্গে পরিচয় হলো। আচ্ছা দুজন মানুষের তুলনা করলে কার দিকে পাল্লা ভারী হবে?
মৌলি মনে মনে ভাবলো দুটো মানুষের সমস্যা, জীবনের গতিপথ দুটোই ভিন্ন।
তুলনা করে তাদের ছোট করা হবে। বরং সে কার সঙ্গে জীবন বাঁধতে পারবে সেটা চিন্তা করাই উচিত।
মৌলি রিজওয়ানের ফেইসবুক প্রোফাইল এ ঢুকলো। আগে কখনো ঢুকে নাই। প্রোফাইলেই মেয়ের সঙ্গে রিজওয়ানের ছবি। মেয়েটার চেহারা দেখতে রিজওয়ানের সঙ্গে মিল আছে কিন্তু বাকি সব কিছু তার মায়ের মতো। লাইট ব্রাউন চুলের রং, গায়ের রং ইউরোপীয়, এমনকি চোখের রং টাও মায়ের মতো। মায়ের ছবি নেই এখানে কিন্তু মেয়েটাকে দেখে বোঝাই যাচ্ছে মায়ের মতো দেখতে। বাঙালি বাচ্চাদের মতো না। বাবার গলা জড়িয়ে ধরে আছে ছবিতে। কি সুন্দর মিষ্টি একটা বাচ্চা।
হঠাৎ ওর মনে হলো মুনিয়ার বলা কথাটা, তোর কি মা হতে ইচ্ছা করে না মৌলি ?
( চলবে )