অতএব_ভালোবাসি_তোমায়,পর্ব_৩,৪
লেখিকা_আহিয়ানা_আহিরা
পর্ব_৩
আয়নায় খুটে খুটে নিজেকে দেখতে ব্যস্ত আমি .. পরনে একটা ব্লাক কালারের থ্রি পিস .. চুল গুলো ছেড়ে কানে ফেভরেট ঝুমকো জোড়া পরলাম .. হালকা সাজলাম.. ওরনাটা শরীর ডেকে নিলাম … হিল জুতো পরে নিলাম .. ব্যস আমি রেডি…
বড় ভাই রাহুল আজাদ আনভির .. যার জন্য মেয়ে দেখতে যাচ্ছি .. আমার একমাত্র বড় ভাই আমার .. দেখতে মোটামুটি ফর্সা.. হাইট ৫’৯ হবে .. চুল গুলো কিছুটা কোকড়ানো ..মায়াবি একটা চেহারা .. ভাই আমার খুব মজার মানুষ .. রাগ করতে খুব কমই দেখা যায় .. অনেক শান্তশিষ্ট প্রকৃতির মানুষ .. সব মিলিয়ে যেকেও ই পছন্দ করে ফেলবে
যাই হোক..,
রুম থেকে বের হয়ে সোজা নিচে চলে গেলাম…., নিচে যেতেই দেখি আম্মু, কায়া , রাহুল আর শান্ত ভাইয়া গাড়ির সামনে দাড়িয়ে কি যেন বকবক করছে.. আমি সামনে যেতেই শান্ত ভাইয়া বলে উঠলো,
–চলো তাহলে.., যাওয়া যাক
ভাইয়ার কথা শুনে যে যার মত গাড়িতে উঠে বসলো….
আমি ,কায়া আর আম্মু পেছনে আর রাহুল ভাইয়া শান্ত ভাইয়া সামনে …
শান্ত ভাইয়া ড্রাইভ করছেন …
{ মেয়েদের বাড়ি আমাদের বাড়ি থেকে ১ঘন্টার রাস্তা …
দীর্ঘ এক ঘন্টায় কেও গাড়িতে কোন টু শব্দ ও করেনি…
হঠাৎ গাড়ি ব্রেক করায় সামনে তাকালাম..
সামনে একটা ৩তলা বিল্ডিং .. গাড়ি থেকে নামতেই ২জন ভদ্রলোক নিয়ে যাএয়ার জন্য সামনে এগিয়ে এলেন …
আমরা ২তলার ফ্লাট টা তে আছি , এটাতে মেয়ে এবং মেয়ের মা , বাবা থাকেন… নিচতলা আর তিন তলায় মেয়ের দুই ভাই বউ আর বাচ্চা দের নিয়ে থাকেন..
আমরা ভেতর বসতেই কিছু খনের মধ্যে সবাই খাওয়া আর গল্প জুরে দিলো …
শেষমেষ মেয়ে আর ছেলেকে আলাদা কথা বলার অনুমতি দিতেই তাদের পাশের রুমে পাঠিয়ে দাওয়া হলো আর আমাদেরকে ছাদে ঘুরতে পাঠিয়ে দিলো…
.
.
কায়া আনমনে আমার সাথে বকবক করেই যাচ্ছে আর আমার দৃষ্টি শুধু এক জায়গায় …
মাহিরা যাকে আমারা দেখতে এসেছি তার দুই মামাতো বোন কতখন ধরে শান্ত ভাইয়ার সাথে আঠার মত চিপকেই আছে যেন সরতেই চাচ্ছে না.. রাগে গা জ্বলে যাচ্ছে.. আর এই ছেলেও কিরে বাবা..! যেন মেয়েদের সাথে ঘেষতে তার খুব ভালো লাগছে …মন চাইছে কষিয়ে মারি এক থাপ্পর … তা তো আর পারবো না .. তাই হঠাৎ ই বলে উঠলাম..,
— আমাদের এখন নিচে যাওয়া উচিৎ..! অনেক হয়েছে..
সাথে সাথেই একজন বলে উঠলো..,
–কেন আরএকটু থাকি ভালোই তো লাগছিলো..
–(মনে মনে; ইস …! ছেলেদের সাথে ঘেষতে খুব ভালো লাগে তাই না..!)
–নাহ্.. আপু. আজ আর নয়.., ভাগ্যে থাকলে আবার আসবো বলেই
শান্ত ভাইয়ার হাত টেনে উনাকে নিচে নিয়ে এলাম … আমার আচমকা হাত ধরায় উনি কতটুকু ভেবাচেকা খেলেন জানি নাহ তবে আমি খানিকটা ভরকে গেলাম আর সিড়ির সামনে এসেই উনার হাত ছেরে তাড়াহুরো করে নেমে গেলাম…
আনমনে ভেবেই যাচ্ছি তখন এত কিসের জেলাসি হচ্ছিলো যে সবার সামনে ভাইয়ার হাত টেনে নিয়ে আসলাম ?
কারো ডাকে আমাকে ভাবনার জগৎ থেকে লাত্থি মেরে বের করে দেয়া হলো..
–কিরে বাসায় যাবি না নাকি? আজ এখানেই থাকবি ?
–যাবো তো আম্মু .. তোমার কাজ শেষ?
–হ্যাঁ চল তো..!
তারপর সবার থেকে বিদায় নিয়ে আমরা গাড়ির সামনে গেলাম … গাড়ির সামনে যেতেই দেখলাম ভাইয়া আমার দিকে ভাবুক দৃষ্টিতে তাকিয়ে আছেন..
আমি কিছুটা অপ্রস্তুত হয়ে উঠলাম আর উনি সাথে সাথে গাড়িতে উঠে গেলেন… এখন শুধু একটাই চিন্তা হচ্ছে ….. তখনকার কথা যদি কিছু জিজ্ঞাসা করে তখন কি করবো?
.
.
.
বাসায় এসেছি ১ ঘন্টা হলো.. বিছানায় হাত পা ছড়িয়ে শুয়ে ছিলাম …. হঠাৎ ই দরজায় কেও নক করলো… আমি তাড়াতাড়ি ওড়না নিয়ে দরজা খুলে দিলাম… দরজা খুলতেই সামনে ভাইয়া কে দেখে আমার হাত পা ঠান্ডা হয়ে গেল ..
.
.
.
.
(চলবে)
#অতএব_ভালোবাসি_তোমায়
#লেখিকা_আহিয়ানা_আহিরা
#পর্ব: ৪
.
চুপচাপ খাটের এক কিনারে দাড়িয়ে আছি… হাত পা ক্রমশ ঠান্ডা হয়ে আসছে ?সামনেই বসে আছে শান্ত ভাই
–কিরে তখন কেন এমন করলি ওই মেয়ে গুলোর সামনে?
এই ভয়টাই তো পাচ্ছিলাম …! কি বলবো এখন আমি??
–না মানে ভাইয়া আসলে…
-কি?
–আরে অনেক সময় পার হয়েগেছিলো তো আর সন্ধা হয়ে আসছিলো তাই আরকি.. আর আমার তো ভুতে ভয় তাই তখন ভয়ে আরকি
–থাক থাক বানিয়ে বানিয়ে আর মিথ্যা বলতে হবে না …
–আমি কই মিথ্যা বলছি?
—তুই মিথ্যাই বলছিস… ওই মেয়ে গুলো আমার সাথে ঘেষে দাড়িয়ে ছিলো তাই তোর জেলাসি হচ্ছিলো…
–কি…! আমার আর তোমাকে নিয়ে জেলাসি?? Lol ..! ভাইয়া এগুলো ভাবলে কি করে?
–আমি ভাবি নি.. তোকে তখন দেখেই বোঝা যাচ্ছিলো… কিভাবে তাকিয়ে ছিলি… মনে হচ্ছিলো পারলে দুটো চরই বসিয়ে দিতি আমাকে..
–সেটা তো মন চাইছিলোই..
(কথাটা বলে নিজের অজান্তেই চোখ দুটো বড় হয়ে গেল) সাথে সাথেই চোখ দুটো খিচে বন্ধ করে নিলাম…
আমার কথা শুনে ভাইয়ার চোখ থেকে অগ্নিকুন্ড ঝরছে …! এখন আমি কি করি?? মন চাইছে পালিয়ে যাই কিন্তু সেটা তো ভাগ্যেই হবে না..!
–সুহা..! কি বললি তুই আরেকবার বল?
–ক কি * কিছুনা ভাইয়া …
–তুই আমাকে চর মারবি?? তোর সাহস দেখে তো আমি দিন দিন অবাক হচ্ছি…!
–না মানে সরি ভাইয়া আমি এভাবে বলতে চাইনি সরি ভাইয়া সরি সরি সরি ভুল হয়ে গেছে ?
–আজ সরির কাজ নেই আজ তোর একদিন কি আমার একদিন …!
–আরে মাফ করে দাও প্লিজ..
–রাখ তোর প্লিজ এখন রাত হয়ে গেছে আর আপাদত কিছু বলবো না সকালে দেখা হবে জানেমান
— ভাইয়া যেহেতু বলেই গেছে সকালে দেখে নিবেন তার মানে কপালে খারাপি আছেই
.
এদিকে আরেকজন রুমে যেয়েই নাচ শুরু করে দিছে…
–ইয়ে হু…….! ইস…! কি জ্বেলসি চান্দু .. এত জ্বলে কেন? আর কষ্ট নাই ..অবশেষে আজ মনের অজান্তেই প্রকাশ করে দিলে আমায় ভালোবাসো তুমি সুহা পাখিইই.. ইয়েস..! আমিও যে খুব ভালোবাসি তোমায় …
.
.
.
কান ধরে দাড়িয়ে আছি ৩০ মিনিট / আধা ঘন্টা যাবত .. আর শত গালি দিচ্ছি মনে মনে ..
– শ্লা বান্দর .., এই ছিলো তোর মনে মনে ..! আমার যে রোদে মাথা ঘুরায় সেটা তো মনে থাকার কথা..! একটুও মায়া হচ্ছে না? ধুর চোখ ঝাপসা হয়ে আসছে মাইগ্রেন এর ব্যথা অলরেডি উঠে গেছে .. রাতের শাস্তি টা এভাবে না দিলেও পারতো … রোদে পুরে যাচ্ছি.. ছাদে এনে কান ধরিয়ে দাড় করে রেখেছে … এখনি পরে যাব
— সুহা..!
কারো ধমকে ধ্যান ফিরলো..,
–কিরে তোকে না বল্লাম আমি যে এক পায়ে দাড়াবি…! তোর সাহস টা কি করে হয় আমার আদেশ অমান্য করার…!
–আমি আর পারছি না ভাইয়া …!
–কালকে কথাটা বলার আগে ভাবা উচিৎ ছিলো …
–প্লিজ মাফ করে দেও না প্লিজ …!
বলতে না বলতেই মাথা ঘুরিয়ে পরে গেলাম এর পর আমি আর কিছু জানি নাহ্..
এদিকে ,
সুহানার জ্ঞান হারানো তে কিছুটা ভরকে গেল শান্ত..! তার মনেই ছিলো না যে তার প্রেয়সির মাইগ্রেন আছে .. রোদ একটুও সহ্য হয় না তার.. কিভাবে ভুলে গেল সে? সিট…!
অচেতন হয়ে শান্তর কোলে পরে আছে সুহানা..
কোলে করে তাকে রুমে এনে শুয়ে দিলো শান্ত …
দরজার দিকে পা বারাতেই মাথার ব্যথায় আর্তনাদ করে উঠে সুহা …
–আল্লাহ…! এই কষ্ট তুমি শত্রু কেও দিও না..
সুহানার চিৎকারে শান্তের বুঝতে বাকি রইলো না যে সুহার জ্ঞান ফিরেছে… দৌড়ে যায় তার কাছে ..
–এই সুহা ! অনেক খারাপ লাগছে ? তাইনারে? আমি এত বেখেয়াল কি করে হলাম..! আমার মাথায় ই ছিলো না তোর রোদ সহ্য হয় না
— তুমি এত নিষ্ঠুর কেন বলবে আমাকে? ব্যথায় মাথা ছিরে যাচ্ছে আমার..
কথাটা বলেই কেদে দিলো সুহা..
–দেখ সুহা কাঁদিস নাহ প্লিজ.. আমি তোকে এখনই ডাক্তারের কাছে নিবো..
–আমি এই মাথা ব্যথার জন্য কম ডাক্তার দেখাইনি.. আমি বুঝি না তোমার মত নিষ্ঠুর কে আমি কি করে এত্তটা ভালোবাসি ..
সুহার কথায় বিদ্যুৎ গতিতে সুহার দিকে তাকায় শান্ত …
এদিকে মাথার ব্যথায় কখন কি কোথায় বলে ফেললো তার কোন আন্দাজ নেই তার
সুহার কপালের চুল গুলো সরিয়ে আসতে করে কপালে একটা কিস দিলো শান্ত..
শান্তের এমন কান্ড দেখে মাথা ব্যথ্যার কথা ভুলে গিয়ে ২০০ ভোল্টেজে শক খেল সুহানা..
–কিছু হবে না আছি তো আমি…
–(অবাক চোখে তাকিয়ে আছে)
–একটু বস আসছি আমি..
সুহা অবাক চোখে শান্তের চলে যাওয়া দেখলো
.
ঔষধ হাতে নিয়ে সুহার কথা ভেবেই চলছে শান্ত…
হঠাৎ আবার মনে পরতেই গেল তার কাছে
–সুহা.. ঔষধটা খেয়ে নে আর একটু ঘুমা দেখিস ভালো লাগবে..
সুহাও কথা মতন ঔষধ খেল আর ঘুমোতে চেষ্টা করছে শেষমেষ শান্ত সুহার ছটফট দেখে ওর মাথায় হাত বুলিয়ে দিলো… সুহাও কিছুখন অবাক ছিলো পরে ঘুমের দেশে পারি দিলো..
.
.
আমার কাছে নিজের ভালোবাসা এভাবে নিজের মনের অজান্তে বলে দিলে প্রিয়তমা… আমিও যে ওই চোখ দুটো.. এই চুল গুলো এই চন্চলতা ,পাগলামো সব কিছুর ভেতর আষ্টেপৃষ্টে আটকে আছি.., #অতএব_ভালোবাসি_তোমায়
বলেই গালে আলতো করে একটা চুমু একে চলে গেল নিজের রুমে…
.
.
সুহানার ঘুম ভাঙতেই দেখলো ৪টা বাজে …
— হায় আল্লাহ এত ঘুম আসে কোত্থেকে..
ধুর মাথা ব্যথাটাও পুরো গেল না
রাজ্যের আলসেমি নিয়ে আবারও চোখ বন্ধ করে শুয়ে পরলাম আমি
এর’ই মধ্যে শান্ত রুমে আসলো.. দেখলো তার প্রেয়সি এখনো ঘুমাচ্ছে ..
আবারো টুপ করে গালে চুমু দিয়ে বলে উঠলো…
–সুহা পাখি উঠে যা .. কখন থেকে না খেয়ে আছিস ..
কারো এহেন কান্ডে ভেবাচেকা খেয়ে যায় সুহানা …তাও বুঝতে দিলো না ..
–এই ওঠতো
এবার চোখ খুলতেই খেলাম আরেক ঝাটকা
তাকিয়ে দেখি ভাই আমার খালি গায়ে সদ্য গোসল করা শরীর নিয়ে দাড়িয়ে আছে ..
–এইত্তো লক্ষী বউ উঠে গেছে … তাড়াতাড়ি ফ্রেস হয়ে আয় তো
বলেই গালে টুপ করে আরেকটা চুমু দিয়ে গটগট করে চলে গেল.. শান্ত এর এরূপ ব্যবহারে খুব অবাক হচ্ছে সুহা..!
–লক্ষী বউ মানে? এই বেডা পাগল হইছে?
এসব উল্টাপাল্টা ভাবতে ভাবতে ফ্রেস হয়ে নিচে চলে এলাম …,
–কিরে এতখনে এলি.. বস এখানে
আমি বসলাম খেতে যেই নিজ হাতে প্লেট নিলাম ওমনি ভাইয়া এসে বললো ..
–আরে পিচ্চি এদিকে দে
বলেই প্লেট নিয়ে আমাকে খাইয়ে দিতে লাগল আমি অবাক চোখে তাকিয়ে চুপচাপ খাওয়া গিলছি…
খাওয়া শেষে ভাইয়া আর আমি টিভি দেখতে বসলাম.. কিন্তু ভাইয়া আমাকে কোনো মতেই টিভি দেখতে দিবে না..
–সুহা…! থাপরিয়ে গাল ফাটিয়ে দেব… তোর না মাথা ব্যথা ..
–ধুর .. এতখন এত আদর করে এখন আবার ধমকায়.. দেখবো না টিভি আমি
–গুড গার্ল.. চল উপরে..
–আচ্ছা ভাইয়া বাড়ির সবাই কোথায়?
–ওরা তোর হবু ভাবির বাড়ি গেছে ..
–মানে?
–আরে মাহিরা ভাবির সাথে বিয়ের ডেট ঠিক করতে গেছে .. বিয়ে কনফার্ম
–ওয়াও … আর এই খবর আমাকে কেও দিলো না!
–তুই তো ঘুমাচ্ছিলি আমি না করেছি
আচ্ছা ঠিকাছে বলেই যেই উপরে যাবো তখনই দরজায় বেল বাজে…
দরজা খুলে দিতেই কায়া চিৎকার করে বল্লো ..,
–বইন….! বিয়া খামু বিয়া কনফার্ম…!
ওর কথা শুনে আমিও এক চিৎকার করি…,
খুশি মজায় বিকেলটা এভাবেই কেটে যায়…
.
সন্ধায় সিদ্ধান্ত নেওয়া হলো কাল বিকেলে শপিং যাবো …
এখন রুমে বই নিয়ে চুপচাপ বসে আছি পড়ার জন্য কোন মনযোগ নেই সব হারিয়েছি চিন্তায়…
শুধু তখন থেকেই মাথায় একি ভাবনা…
–আচ্ছা..! তখন ভাইয়া এত আদর করলো আবার বউ পাখি ডাকলো কেন? ধুর …! ভাল্লাগে না..!
এমন সময় কায়া রুমে ডুকলো…,
–আপু..!
–বল..?
— কালকে শপিং এর পর আমরা ঘুরতে যাবো ..
–তাই নাকি?
-হ্যাঁ রে আমরা দুজনই কিন্তু শাড়ি পরবো..
–ঠিকাছে
–আচ্ছা আবার না করো না পরে
বলেই কায়া চলে গেলো…
.
.
.
দুপুর ২:৩০ ,
এখনো নিজের আলমারির সামনে দাড়িয়ে আছি.. শাড়ি পছন্দ হচ্ছে না .. সব কালো , নীল ,লাল বিরক্ত হয়ে ফুপু মায়ের রুমে গেলাম আর ফুপু মা বল্লো , শাড়ি পাচ্ছিস না তাই তো?
বলেই আলমারি খুলে দিয়ে চলে গেল …
আমি অবাক চোখে তাকিয়ে আছি .
সবসময় আমার মায়ের চেয়ে বেশি খেয়াল ..
আমি আলমারির সামনে এসে দেখি একসাইডে ভাজ করা শাড়ি আছে নরমাল আর বাকি গুলো ঝুলানো…
ভাজ করা শাড়ি থেকে একটা ডিপ সবুজ কালার শাড়ি নিয়ে নিলাম..
.
–ব্লাউজ আর পেটি কোর্ট পরে নিয়েছি এখন শুধু শাড়ি টাই পরবো ..
শাড়ির ভাজ খুলতেই একটা ফাইল পরে.. আমি ওইটা দেখেই তাড়াতাড়ি তুলে চেক করলেম কি ওটা ..
ফাইলে একটা রিপোর্ট দেওয়া যেখানে লেখা সে আর কখনই মা হতে পারবো না কিন্তু ফুপুমায়ের শাড়িতে এটা কেন? কিন্তু ফুপু মায়ের তো দুই ছেলে মেয়ে
এসব ভাবতে ভাবতেই রাহুল ভাইয়ার ডাকে আর না ঘেটে ফাইল রেখে শাড়ি পরে বের হলাম ..
.
.
.
(চলবে…)