অতলস্পর্শ,পার্ট_১৪,১৫

0
3212

অতলস্পর্শ,পার্ট_১৪,১৫
জান্নাতুল বিথী
পার্ট-১৪

রৌদ্রময় সকালের তপ্ত গরমে ঘেমে একাকার।এই গরম আমার এতো শত্রু কেনো তাই বুঝি না।যখন একটু শুভ কাজ করতে যাবো ঠিক তখনি শুরু হবে তার খেলা।যেমন এখন এই গরমের কারনে এখন ঘুমাতে পারছি না।কাল অনেক রাত পর্যন্ত কুশান ভাইয়ার সাথে ঘুরেছিলাম।তার সাথে কাটানো সময় গুলো ছিলো সব থেকে বেস্ট।কথা গুলো মনে পড়তেই আনমনে হাসি আমি।হঠাৎ আবার গরম লাগছে কথাটা মাথায় আসতেই শতো বিরক্ত নিয়ে আমি উঠে বেলকনিতে চলে যাই।বেলকনিতে এসে ভালো করে চোখ তুলে তাকাতেই দেখি কুশান ভাইয়া বেলকনিতে দাড়িয়ে আছে এদিকে তাকিয়েই।ভাইয়ার শান্ত চাহুনি বলে দিচ্ছে সে বড্ড ক্লান্ত।সকাল সকাল তার মুখটা দেখতেই মনটা প্রশান্তিতে ভরে যায়।তার দিকে তাকিয়েই ভাবতে থাকি কোন দিন থেকে প্রতিদিন তার মুখ দেখে ঘুম ভাঙ্গবে আমার।কোন দিন থেকে তার বুকে মাথা রেখে একটু নিশ্চিন্তে ঘুমাতে পারবো।কোন দিন তাকে খুব করে কাছে পাবো।ভাবতে ভাবতেই তার দিকে তাকাই।সে এখনো আমার পানে তাকিয়ে আছে।আমি আস্তে করে নিচের দিকে তাকিয়ে রুমে চলে আসি। ভাইয়ার সাথে কথা বলতে অনেক ইচ্ছে করছিলো।তাই তাকে ফোন করলাম।মুলত রুমে এসেছিই তাকে ফোন করার জন্য।…

“কতো ইচ্ছে করছিলো তোমাকে একটু মন ভরে দেখবো আর তুমি এটা কি করলে.??চলে গেছে কেনো জিহু.??”

ফোন ধরতেই কিছুটা হতাশ কন্ঠে বলে কুশান ভাইয়া।তার কথা শুনে আমি অমায়িক ভাবে হাসি।ঠোট টিপে বলি..

“এতে আমার কি দোষ বলেন।জিহুর নাকি হঠাৎ ইচ্ছে করছিলো তার কুশান ভাইয়ার সাথে কথা বলতে।তাই তো এক প্রকার বাধ্য হয়েই রুমে এসেছিলাম।”

আমার কথা শুনে কুশান ভাইয়া হাসে।সে কিছু বলতে যাবে তার আগেই আমি তাকে থামিয়ে দিয়ে বলি..

“আপনি কি সকাল সকাল অফিসে গেছিলেন.??আই মিন আপনাকে দেখে ক্লান্ত মনে হইছে।”

“উমমম আসলে সকাল সকাল অফিসে একটা মিটিং ছিলো তাই অফিসেই ছিলাম।মাত্র আসছি।”

“ওহহহ সরি সরি তাহলে মনে হয় আপনাকে অসময়ে ডিস্টার্ব করলাম।আপনি বরং ফ্রেস হয়ে নাস্তা করে নিন।”

জিহার কথা শুনে কুশানের অনেকটা রাগ হয়।কিছুটা গম্ভীর কন্ঠে বলে..

“আমার ক্লান্তি দুর করার জন্য একটি বার তোমাকে দেখার জন্য ছুটে গেছিলাম।তোমার মাঝেই আমার সব ক্লান্তি দুর হয়ে যায়।তারপরো এই কথা বলছো তুমি.??এখন বুঝি আমার সাথে কথা বলতে ইচ্ছে করে না তোমার.??”

ভাইয়ার কথা শুনে আমি নিঃশব্দে হাসি।তার কথার মাথে আলাদা একটা টান আছে।যা মুহূর্তেই যে কাউকে ঘায়েল করতে পারবে।আমি কোনো কথা না বলে চুপ করে বসে আছি।দুজনেই চুপ করে আছি। দুজন দুজনকে অনুভব করার চেষ্টা করছি।..

“জিহু…..”

ঘোর লাগা কন্ঠে এভাবে ডেকে উঠায় আমি কেটে উঠি।..

“হু…”

“আমার মাঝে মাঝে অনেক ভয় হয়।যদি তোমাকে হারিয়ে পেলি তাহলে আমি সত্যিই বাচবো না।হয়তো বেচে থাকতে পারি কিন্তু তা হবে মরেো বেচে থাকার মতো।এক ধরনের জীবন্মৃত হয়ে বেচে থাকবো।এভাবে বেছে থাকার কোনো মানেই হয় না।প্লিজ কখনো আমাকে ছেড়ে চলে যাবে না তো।আমি সত্যিই মরে যাবো।কেনো এতো ভয় হয় আমি জানি না।কেনো এমন হয় জিহু।..??”

ভাইয়ার এমন কথায় চমকে উঠি আমি।হঠাৎ আমার মন অজানা আশঙ্কায় বার বার কেপে উঠতে থাকে।তার কথা গুলো আমি ঠিক ভাবে হজম করতে পারছি না।আমার চোখ দুটি ভিজে উঠছে।আমি তাকে কাপা কাপা কন্ঠে বলি..

“কুশান ভ-ভাইয়া ক-কি বলছেন আপনি এসব।আমি আপনাকে ছেড়ে কোথাও যাবো না।আপনার জিহু কি আপনাকে ছেড়ে কোথাও যেতে পারে.??”

ভাইয়া চুপ করে আছে।তারপর আরো কিছু টুকিটাকি কথা বলে ফোন রেখে দেই।বারবার ভাইয়ার বলা কথা গুলো মনে পড়ছে।কেনো এভাবে বলছে সে।এর পেছনে কি কোনো কারন আছে.??সব কিছুই যেনো মাথার উপর দিয়ে গেলো।

________________________________

লিভিং রুমে বসে আছি আমরা সবাি।বড় মা বড় বাবা মা বাবা জিদান ভাইয়া কুশান ভাইয়া সহ সবাই উপস্থিত আছে।একটু আগেই সবাই মিতুদের বাড়ি থেকে এসেছিলো।বিয়ের ডেট ফাইনাল করে আসছে।সামনের মাসের ১০ তারিখেই বিয়ে।হিসাব মতে বিয়ের বাকী আর মাত্র ১৫ দিন।সবাই তাই নিয়েই কথা বলছে।আমাদের আত্মীয় তেমন কেউ নেই।কুশান ভাইয়াদের পরিবার আমার কিছু ফ্রেন্ড ভাইয়ার ফ্রেন্ডরা আর অল্প কিছু আত্মীয়।বাবার কিছু বিজনেস ফার্টনার।জিদান ভাইয়ার মুড অফ।কারন তার এখন মোটেও বিয়ে করতে ইচ্ছে করছে না।তার কথা হরো আগে আমাদের এক্সাম শেষ হবে তারপর বিয়ে নিয়ে কথা হবে।কিন্তু বাবা আর মা তাদের আর তর সইছে না।তারা এখনই তাদের পূত্র বধুকে ঘরে তুলবে।তাদের কথার উপরে আর কার কথা বলার সাধ্য থাকে।তাই এক প্রকার বাধ্য হয়েই ভাইয়া রাজী হয়েছে।

আমি বারবার কুশান ভাইয়ার দিকে তাকাচ্ছি। তাকে বুঝার চেষ্টা করছি আসলে কি তার মুড অপ নাি সব কিছুই ঠিক ঠাক ভাবই চলছে।কিন্তু তাকে খুব শান্ত দেখাচ্ছে।সুন্দর করেই বসে বসে জিদান ভাইয়ার সাথে হেসে হেসে কথা বলছে।তাহলে ভাইয়া তখন এই ধরনের কথা বলছে কেনো সেটাই বুঝতে পারছি না।এক সময় সবাই উঠে যায়।সোথায় বসে বসে এখনো কথা বলছে জিদান আর কুশান ভাইয়া।তাদের ফ্রেন্ডরা আসবে মনে হয় তাই নিয়েই কথা বলছে।দুজনকেই অনেক এক্সাইটেড দেখাচ্ছে।আমিও মনে মনে খুশি হই।কারন যদি কুশান ভাইয়ার মুড খারাপ থাকে তাহলে তার বন্ধুদের সাথে কথা বললে তাদের সাথে আড্ডা দিলে হয়তো ঠিক হয়ে যাবে।
,

সন্ধ্যার পর মা আমাকে এক বাটি পিঠা দিয়ে বলে কুশান ভাইয়াদের বাসায় দিয়ে আসার জন্য।আমাদের ঘরে যাই বানানো হয় তা তাদের পাঠানো হয়।তারাো ব্যতিক্রম নয়।আমি পিঠা বড় মার হাতে পিঠা দিয়ে চলে আসবো এমন সময় দেখি একটা মেয়ে হঠাৎ এসে কুশান ভাইয়াকে জড়িয়ে ধরে।আর হাজারো প্রশ্ন করতে থাকে।

“বেবি তুমি কেমন আছো,তুমি কি জানো আমি তোমাকে ঠিক কতোটা ভালোবাসি,তুমি কি আমাকে একটুো মিস করো না.??আমি তো তোমাকে ছাড়া এক মিনিটকে এক যুগ মনে হয়।আই লাভ ইউ জান।”

মেয়েটার এমন অদভুত ধরনের কথা শুনে আমি অনেক অবাক হয়ে যাই।এই মেয়েকে আমি ছিনি না।তাহলে কে এই মেয়েটা.??কিন্তু মেয়েটার কথা শুনে আমার সারা শরীর জ্বলে উঠলো।আমি কুশান ভাইয়ার দিকে রাগী লুক নিয়ে তাকিয়ে ওই ফ্ল্যাট থেকে বেরিয়ে আসি।প্রচুর রাগ হচ্ছে।ইচ্ছে করছে এই মেয়েটার চুল গুলো টেনে ছিড়ে ফেলতে।

চলবে

অতলস্পর্শ
পার্ট_১৫
জান্নাতুল বিথী

“জিহু অনেক গরম লাগতেছে একটু ঠান্ডা পানি দিবি.??”

কুশান ভাইয়ার এই কথায় আমি তার দিকে তাকাই।তাকে দেখেই বুঝা যাচ্ছে যে সে অনেক ক্লান্ত।তবে ক্লান্ত হবেই না বা কেনো।এভাবে বন্ধুদের সাথে দৌড়াদৌড়ি করলে তো গরম লাগবেই।

আমি তখন কুশান ভাইয়াদের ফ্ল্যাট থেকে চলে আসার পর প্রায় এক ঘন্টা পর কুশান ভাইয়া জিদান ভাইয়া সহ তার প্রায় সব বন্ধুরাই আসে আমাদের ফ্ল্যাটে।আমি তখন সোফায় বসে ছিলাম।হঠাৎ কুশান ভাইয়া আমাকে পানির কথা বলে উঠে।আমি কিন্তু এখনো তার উপর রেগে ছিলাম।কিন্তু তারপরো তাকে দেখে বড্ড মায়া হলো।যতোই হোক আমার ভালোবাসার মানুষ বলে কথা।আমি একবার তার দিকে তাকিয়ে উঠে গিয়ে ফ্রিজ থেকে ঠান্ডা পানি নিয়ে এসে ভাইয়ার সামনে এনে তার দিকে পানির বোতল বাড়িয়ে দেই।কুশান ভাইয়া এক হাত বাড়িয়ে পানির বোতল নেয় আর আরেক হাত দিয়ে এক টান দিয়ে আমাকে তার পাশে বসিয়ে দেয়।আকস্মিক এমন হওয়ায় আমি হকচকিয়ে যাই।কিন্তু সময়ের সাথে সাথে ঘটনা বুঝতেই আমি উঠে যেতে নেই।সবাই সবার কথায় ব্যস্ত থাকায় আমাদের দিকে কারো খেয়াল নেই।আমি উঠে যেতে নিলে ভাইয়া আবার আমাকে জোর করে বসিয়ে দেয়।আমি তার দিকে রাগি লুকে তাকিয়ে কিছু বলতে যাবো তার আগেই কুশান ভাইয়া তার বাম হাত দিয়ে আমার কোমড় জড়িয়ে বসে থাকে।

আকস্মিক আমার কোমড়ে কারো হাত অনুভব করতেই আমি কেপে উঠি।চোখ বড় বড় করে কুশান ভাইয়ার দিকে তাকিয়ে আছি।ভাইয়া ডোন্ট কেয়ার ভাব নিয়ে বসে আছে।আমি তার হাত সরিয়ে দিতে গেলেই ভাইয়া আমার কানের কাছে ফিসফিস করে বলে…

“বেশি করলে কিন্তু খবর আছে।যেভাবে বসে আছো ঠিক সেভাবেই বসে থাকো।”

“ছাড়ুন আমাকে।আমার কাছে আসছেন কেনো। যান না আপনার ওই মিস ড্রামাকুইন এর কাছে।তাকে গিয়ে জড়িয়ে ধরেন।আমার কাছে কেনো আসছেন.??”

আমার কথা শুনে কুশান ভািয়া মুচকি হাসে। তারপর আগের ন্যায় বলে..

“আমার বউটা দেখছি অনেক রাগ করছে।তো তার রাগ ভাঙ্গাতে কি করতে হবে আমাকে.??কিস করবো.??”

কুশান ভাইয়ার কথা শুনে আমি চোখ বড় বড় করে তার দিকে তাকাই।তার দিকে তাকাতেই সে আমাকে চোখ মারে।আমি তাড়াতাড়ি তার থেকে চোখ ফিরিয়ে বিরবির করে বলি..

“অসভ্য…”

“কিরে কুশান তুই ওর সাথে এতো চিপকে বসে আছিস কেনো।আর ফিসফিস করে ওর সাথে কি এমন কথা বলিস।আমাদের কেও বল।আমরাও শুনি।”

হঠাৎ কারো এমন কথা শুনে আমরা দুজনেই চমকে উঠি।তাকিয়ে দেখি ওই মেয়েটা যে কুশান ভাইয়াকে তখন জড়িয়ে ধরেছিলো সে কথাটা বলছে।তাকে কথা বলতে দেখেই আমার মাথায় দপ করে আগে জ্বলে উঠে।আমি তার দিকে তাকিয়ে কটমট চোখে বলি..

“আমি আমার কাজিনের সাথে কথা বলবো না তো আপনার সাথে কথা বলবো নাকি.??আর আমরা কিভাবে কথা বলবো তা একান্তই আমাদের ব্যাপার।তাতে বাহিরের মানুুষ নাক গলাতে আসবে কেনো।.??”

আমি এভাবে জবাব দেবো মেয়েটা হয়তো ভাবে নাই।তাই আমার জবাবে সে কিছুটা অপ্রস্তুত হয়ে পড়ে।কুশান ভাইয়াকে মুচকি মুচকি হাসতে দেখলাম।হঠাৎ ভাইয়া বলে উঠে…

“কুশান তোর সাথে আমার কিছু কথা আছে।একটু উঠে আয়।”

আমি ওই মেয়েটার দিকে তাকিয়ে ভেংচি দিয়ে উঠে রুমে চলে যাই।কুশান ভাইয়া উঠে জিদানের সাথে চলে যায়।আর অন্য দিকে জিহার এমন কথা শুনে ওই মেয়েটা(টিয়া) রাগে ফুসতে থাকে।কারন জিহার এই কথাটা টিয়া মানতে পারছে না।সে কুশানকে সেই আমেরিকায় থাকতেই ভালোবাসে।অনেকবার তাকে প্রোপোজ করেছিলো কিন্তু বার বার কুশান রিজেক্ট করে দেয়।সে বরাবরি জানিয়ে দিয়েছে সে দেশে অন্য একজনকে ভালোবাসে।কিন্তু তাও সে এই কথাটা মানতে পারছে না।

প্রায় ঘন্টাখানেক পর আমি রুম থেকে বের হয়ে দেখি কুশান ভাইয়া আর টিয়া নামের মেয়েটা দুজনেই এক সাথে পাশাপাশি বসে হাসাহাসি করছে।আমার যা একটু রাগ কমেছিলো কিন্তু এটা দেখার পর আবার মাথায় রাগ উঠে যায়।তার দিকে রাগী লুকে তাকিয়ে আবার রুমের দিকে হাটা শুরু করলে ভাইয়া বলে..

“জিহা কই যাস।এদিকে আয় বস এখানে বসে গল্প কর।”

জিদান ভাইয়ার কথায় থমকে যাই আমি।না পারছি রুমে যেতে আর না তো পারছি লিভিং রুমে যেতে।কুশান ভাইয়ার দিকে তাকাতেই সে আমাকে চোখ দিয়ে ইশারা করে আসতে বলে।আমি ভেংচি দিয়ে রেগে গিয়ে জিদান ভাইয়ার পাশে বসে পড়ি।তারপর ভাইয়ার সাথে কতক্ষন ধরে গল্প করি। ভাইয়া এক ছেলে বন্ধুর (শান্ত) সাথে বসে কিছুক্ষণ হাসাহাসি করি।এদিকে আমাকে এভাবে এভাবে শান্ত ভািয়ার সাথে গল্প হাসাহাসি করতে দেখে কুশান ভাইয়া যে রাগে কটমক করছে তা আমি খুব ভালো করেই উপলব্ধি করতে পারছি।কিন্তু তারপরো আমি ইচ্ছে করে তার সাথে কথা বলছি।
,

আমি রুমে বসে মোবাইলে গেমস খেলতেছি আর মুচকি মুচকি হাসতেছি।কুশান ভাইয়াকে ভালো ভাবেই যব্ধ করতে পেরেছি।তখন শান্ত ভাইয়ার সাথে কথা বলতে বরতে হঠাৎ এক সময় কুশান ভাইয়া আমাকে ধমক দিয়ে উঠিয়ে দেয়।আমিও যেনো এটারই অপেক্ষায় ছিলাম।তাই কোনো রকমের বাক্যব্যয় না করে চুপচাপ উঠে এসেছিলামতা ভাবতেই হেসে দেই আমি।তখন তার মুখটা দেখার মতোই ছিলো।এবার বুঝবে ব্যাটা তখন আমার কাছে কেমন লেগেছিলো।হঠাৎ দরজা লাগানোর শব্দে আমার ধ্যান ভাঙ্গে।দরকার দিকে তাকিয়ে দেখি কুশান ভাইয়া দুই হাত বুকে গুজে রাগী লুকে আমার দিকে তাকিয়ে আছে।তাকে দেখেই আমার ভয় হতে শুরু করে।আমি দাড়িয়ে যাই।ভাইয়া আমার দিকে এক পা দুপা করে এগিয়ে আসতে থাকে।তাকে এভাবে এগিয়ে আসতে দেখেই আমার ভয়ে জান যায় যায় অবস্থা।আমার পেছনে যাওয়ার মতোও কোনো জায়গা নেই।আমি এতক্ষন খাটের উপরেই বসে ছিলাম।তাকে দেখে দাড়িয়ে যাই।আমি সরে যেতে নিলে হঠাৎ কুশান ভাইয়া এসে আমার কোমড় জড়িয়ে ধরে আমাকে একেবারে তার সাথে মিশিয়ে নেয়।আমি চোখ বড়বড় করে তার দিকে তাকিয়ে আছি।রাগের কারনে ভাইয়া নাকের ঢগা একেবারে লাল হয়ে আছে।তাকে অবশ্যই এই লুকে অনেক কিউট লাগছে।কিন্তু এসব ভাবার সময় এখন আমার সময় নেই।আমি নিজেকে ছাড়াতেই ব্যস্ত হয়ে পড়ি।হঠাৎ কুশান ভাইয়া আমার গলায় মুখ ডুবিয়ে বলে..

“ছেলেদের সাথে হেসে হেসে কথা বলতে অনেক মজা লাগে তাই না।????”

চলবে

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here