অদ্ভুত প্রেমানুভূতি,part:2
Suraiya Aayat
?
সবাই নিচে ব্রেকফাস্ট এর জন্য বসে আছে ৷ তখন তোহা আরূশিকে নিয়ে গেল সকলের সামনে ৷ আরুশি নিয়ে আসাদের পাশের চেয়ারে বসাল তোহা ৷
আরুশি এমন একটা হাবভাব করছে যেন ও খুবই লজ্জা পাচ্ছে , কিন্তু আসলে তেমনটা নয় ৷ ওর মন এখন একটাই বুদ্ধি আটছে যে কিভাবে আসাদকে সকলের সামনে বিরক্ত করা যায় , ওকে বকা খাওয়ানো যায়…..
আসাদ মনে মনে ভাবছে: কি দরকার ছিল এই মেয়েকে বিয়ে করার ৷ মেয়েটা আমাকে কিস করল ভাবা যায়! অফিসে যেমন দেখায় এখানে একেবারে অন্য রকম দেখাচ্ছে৷দুটো কোম্পানি পার্টনারশিপ যদি না একসাথে হতো তাহলে এই মেয়ে কখনোই বিয়ে করতাম না আমি ৷ বিয়ে তো করেছি মেয়েটা কে শায়েস্তা করার জন্য ,সকলের সামনে আমাকে অপমান করা না !এবার আমি যা করব টের পাবে ৷
সকলে খাচ্ছে আর এটা ওটা গল্প করছে তার মধ্যে আরুশি চুপচাপ হয়ে রয়েছে কোন কথাই বলছেন না৷ ওকে দেখে কেউ বলবেই না যে এই মেয়েটা আসাদকে কালকে রাত্রে এমন নাকানি চোবানি খাওয়ালো….
আসাদ মনে মনে : কেন যে প্রতিশোধ নেওয়ার জন্য এই মেয়েটাকে বিয়ে করলাম আল্লাই জানে!
আরুশি মনে মনে : আপনার জীবন যদি তেনাতেনা না করে দিয়েছি তো আমার নাম ও আরুশি নয়….
সকলে খাচ্ছে হঠাৎ আরোশী ওর পায়ের নখ দিয়ে আসাদের পায়ে একটা জোরে আচর দিল…
আসাদ: আহহ!
আসাদের মা: কিরে বাবা কি হলো?
আসাদ তখন পাশ ফিরে দেখল যে আরোশী মুখ টিপে হাসছে, তখন ওর আর বুঝতে বাকি রইলো না যে কাজটা কে করেছে ৷
আসাদ: কিছুনা মা,আমার পায়ে কিছু একটা বাধল বলে মনে হল….
আসাদের মা :ওহ!
আসাদ মনে মনে ভাবছে: একবার রুমে চলো, তোমাকে একবার পাই তারপর দেখাচ্ছি মজা….
আরশি মনে মনে :এখন কেমন লাগছে মিষ্টার আসাদ সাঈদ ?
আসাদ খেয়ে ঘরে চলে গেল….
আসাদ আগে আগেই গেছে কারণ ওর প্রচন্ড রাগ হচ্ছে আরুশির উপরে…
আরুশি বুঝতে পারল যে আসাদ কিছু একটা করতে চলেছে সেই জন্যে আগে আগে ঘরে চলে গেছে কিন্তু ও আসাদকে ভয় পায় না ৷
আরুশির খাওয়া শেষ হলে আসাদের মা আরুশিকে নিজের ঘরে ডাকলেন…
আসাদের মা : বস মা…
মুখে এক ঝলক হাসি নিয়ে আরুশি আসাদের মায়ের পাশে বসলো…
আসাদেরর মা : আমার তোমাকে খুব পছন্দ হয়েছে৷ আসাদের জন্য আমি ঠিক যেমন মেয়েটা চেয়েছিলাম তেমনিই ৷
আরোশী লজ্জায় মাথা নীচু করলো…
আসাদের মা আর পাশে থাকা ডায়মন্ড এর নেকলেসটা আরুশির হাতে তুলে দিলেন আর তার সঙ্গে দিলেন ওর বিয়ের সমস্ত জিনিস যেগুলো আজকে বৌভাত এর জন্য ওকে পড়তে হবে….
আরশি সেগুলো নিল…
আসাদের মা কিছুটা কিন্তু কিন্তু করে আরুশিকে বললেন….
__তোমাকে আমি একটা কথা বলব মা?
__হে আন্টি অবশ্যই বলুন, আপনি তো আমার মায়ের মত ৷
আসাদেরর মা আরুশিকে বকা দিলো যেই আরুশি ওনাকে মামনি বলল তখন ৷
__আন্টি কিরে ,আমাকে মামনি বল৷ তুইনা এক্ষুনি বললি আমাকে যে আমি তোর মায়ের মত ৷
__সারি মামনি আর ভুল হবেনা ৷
__আসলে আমি যে কথাটা বলতে চেয়েছিলাম সেটা হলো ,,,,,
আমি জানি যে আসাদ ভালোবেসে বা পছন্দ করে তোকে বিয়েটা করেনি….
কথাটা শুনে আরূশী না চমকালেও অনেকটা অবাক হল কারণ উনি যা বলছেন একদম সত্য কথা বলছেন সেটা আরোশী খুব ভাল করেই জানে, তবে উনি কি ভাবে কথাটা বললেন সেটা এখনো আরুশি বুঝতে পারছে না….
আরুশি :মানে আপনি এসব কি বলছেন মামনি আমি কিছুই বূঝতে পারছি না ৷
আসাদের মা :আমি যা বলছি ঠিকই বলছি রে মা, কারণ আমার ছেলেটা তোকে ভালবাসে না সে যে অন্য একজনকে ভালবাসে…
আরুশি মনে মনে: উনি আর ভালবাসা দুটো বিপরীত শব্দ ৷ মানে ওনার মতো মানুষ ভালবাসতে জানে অবাক লাগলো শুনে…
আরুশি এবার কিছুটা একটা আদর্শ স্ত্রীর মতো অভিনয় শুরু করলো :কিন্তু মামনি মনি উনি যে আমাকে বিয়ে ….
সব বলব মামনি তোকে….
আসাদের মা ধীরে ধীরে আরুশিকে সমস্ত টা বলে দিলেন….
আসাদের মা :আমি জানি একমাত্র তুই পারবি আমার ছেলেটাকে আবার আগের মতো করে দিতে,একমাএ ভালোবাসার দ্বারায় একমাত্র সম্ভব….আর আমি তোর চোখে ওর জন্য সেই ভালোবাসা অনুভব করেছি, পারলে একমাত্র তুই পারবি…
আপনা আপনিই আরুশির হাত নিজের চোখে চলে গেল ৷ চোখটা একটু ডলা দিয়ে মনে মনে ভাবতে লাগল :আমার চোখে ভালোবাসা তাও আবার উনার জন্য এটা কি করে সম্ভব ! অবিশ্বাস্যকর ৷(মনে মনে)
আরুশির খুব হাসি পাচ্ছে আসাদের মায়ের কথাটা শুনে কিন্তু ওকে হাসলে চলবে না ৷ওকে এখন অভিনয় করতে হবে…
আরোশী : তা মামনি উনি এরকম কেন করেন….
সেই ঘটনার পর থেকে আমার ছেলেটা ঠিক সময় বাড়িতে ফেরে না, মাঝে মাঝে ড্রিংক করে বাড়ি ফেরে,অনেক সময় বাড়ি থেকে কোন অজানার উদ্দেশ্যে বেরিয়ে যায়, অনেকবার বার এ চলে যায়,ওর বন্ধুরা বাড়িতে এসে দিয়ে যায় ৷ বাড়ির কারোর সাথে পরিবারের ঠিকঠাক কথা বলে না, কখনো কখনো বাড়িও আসেনা ৷ আগে তো তোহার জন্য অফিস শেষে চকলেট, আইসক্রিম আবার কখনো গিফটও নিয়ে আসত কিন্তু এখন তো তোহার সাথে ঠিক করে কথাও বলে না আমার ছেলেটা সম্পূর্ণ শেষ হয়ে গেছে ……
কিন্তু হঠাৎ যেদিন ও বলল যে ও তোকে বিয়ে করতে চাই আমি খুব অবাক হয়েছিলাম ওর কথা শুনে ৷ আমি ওর সাথে সম্মতি প্রকাশ করলাম তার কারণ ওর ফাঁকা জীবনটা পরিপূর্ণ করার জন্য কেউ একজন আসবে যে ওকে বুঝবে, ওকে ভালবাসবে ,ওকে ভালো রাখবে ৷ তাই আমি আর কোনোরকম না করলাম না..না করলেও ও শুনত না…প্রচন্ড রকম জেদি ও ৷
আরোশী মাথা নিচু করে আছে এখন কি বলবে কিছুই বুঝতে পারছে না ৷ ও ভেবেছিল অন্যরকম ভাবে সবকিছু সামলাবে কিন্তু এখন অন্যরকম হয়ে যাচ্ছে সব…
হঠাৎই আসাদের মা আরুশির হাতটা ধরে বলতে লাগলেন : তুই আমাকে কথা দে মা তুই আমার ছেলেটাকে পরিবর্তন করে দিবি,আবার আগের মতো করে পাল্টে দিবি,৷ আমাকে কথা দে ,আমি জানি তুই পারবি ৷
আরোশী এখন পড়েছে মহা বিপদে তার কারণ ও আসাদকে পছন্দই করে না, সেখানে কিভাবে আসাদের জীবনে থেকে আসাদ কে পরিবর্তন করবে ও?
আসাদের মায়ের অনেক জোরাজুরিতে আরুশির খুব মায়া হলো তাই ও আর না করতে পারল না ৷ ও ঠিক করল কঠিন নরম যা কিছু হওয়া প্রয়োজন হয় ওকে হতেই হবে, আসাদকে পরিবর্তন করবে, তবে নিজের ক্যারেক্টর ও কখনোই চেঞ্জ করবে না…
আসাদ অনেকক্ষণ ধরে ঘরের মধ্যে অপেক্ষা করছে, কিন্তু আরুশি এখনো আসছে না ৷ওর প্ল্যান সব রেডি,কিন্তু যাকে শায়েস্তা করবে সেই মানুষটাকেই পাচ্ছে না….
আসাদ উঠে দাড়ালো দেখার জন্য যে আরূশী আসছে কি? তখন ও দেখল যে আরুশি আসছে৷ ও তো সেই লেভেলের খুশি কারণ এক্ষুনি যখন আরুশি স্লিপ করে ফ্লোরে পড়ে যাবে তখন মজা নেবেন আসাদ ,এটা হলো ওর পায়ে পা দেওয়ার শাস্তি…
আরুশি রুমের সামনে আসতেই দেখল আসাদ দাত বের করে হাসছে ৷ ও জানে যে আসাদ তোকে শায়েস্তা করার জন্য নিশ্চয়ই কিছু না কিছু করবে কিন্তু কি করেছে সেটা এখনো আরুশি বুঝে উঠতে পারছে না৷ আর এই মুহূর্তে ঘরে ঢুকে যাওয়াটাও রিসক, তাই ও এসে বাইরে দাঁড়িয়ে পড়ল…
আরুশি কে দাঁড়িয়ে পড়তে দেখে আসাদ বলল: কি হলো দাঁড়িয়ে আছে কোন?ভিতরে কি আসবেনা?নাকি ভয় পাচ্ছ ,আমার সাথে চ্যালেঞ্জে যদি হেরে যাও!
হার আর আমি কখনোই না….
তাহলে আসছ না কেন? আমার ভয়ে?
কোথায় কোথায় আরুশি খেয়াল করলো যে মেঝেটা কেমন চকচক করছে ,এর উপর দিয়ে হাঁটলে ও যে নির্ঘাত পড়বে সেটা ও ঠিক বুঝতে পারছে , তাই ও ভাবল ও একা কেন পড়বে ,আসাদ কেউ ওর সাথে নিয়ে পড়বে ৷
তাই ও বলল : তবে আমি চাইছি আপনি আমার হাত ধরে ঘরের মধ্যে নিয়ে যান…
আরূশির প্রপোজালটা আসাদের কিছুতেই পছন্দ হল না কারণ আরূশি যদি কোনভাবে আসাদকে ফেলে দেয় তখন!
কি হলো হাতটা ধরুন নাকি এখানেই কোন গণ্ডগোল আছে ৷ যদি কিছু থেকে থাকে তাহলে আমি ঢুকছি না ঘরে….
আসাদ এবার কিছু না বলে আরূশির দিকে হাতটা বাড়িয়ে দিল ৷ আরোশী হাত ধরে যেই ঘরের দিকে এগুলো পা স্লিপ করে পড়ে গেল মেঝেতে ,আর তার সঙ্গে আসাদকে নিয়ে পড়ল৷
আরুশে নিচে পড়েছে আর আসাদ ওর পাশেই পড়েছে, আসাদের থেকে আরুশির লেগেছে বেশী…
আসাদের লেগেছে তবে ও পড়ে গিয়েও খুশি কারণ আরুশি বেশি ব্যথা পেয়েছে….
আসাদ খুব হাসছে হঠাৎ ওর চোখ পড়ল আরুশির দিকে ৷ ওর দিকে তাকাতেই আসাদ দেখল যে কোনরকম কোন শব্দ না করলেও আরোশীর চোখ দিয়ে অনবরত জল গড়িয়ে পড়ছে, হয়তো খুব বেশি ব্যথা পেয়েছে….
আসাদের একটু খারাপ লাগলো ,তবুও এতে ওর কোনো যায় আসে না ৷ তাই মানবিকতার খাতিরে আরুশিকে কোলে নিয়ে বিছানায় শুইয়ে দিল , দিয়ে কিছু না বলে ঘর থেকে বেরিয়ে গেল…
আরুসি : দেখবি তোর কোনদিনও ভালো হবে না,তোর দশদিন পেটখারাপ থাকবে,মোটা ফুটবল হয়ে যাবি, আরো যা আছে সব হবি তুই৷
আমি পড়ে গেছি কোথায় একটু মলম দেবে, দিয়ে বলবে কিনা এইটা লাগও, তা না, উনি চলে গেলেন৷ হার্টলেস কোথাকার ৷তবে আমিও দেখে নেবো, আমারও একদিন সময় আসবে….
কিছুক্ষণ পর আরুশি দেখল তোহা হাতে করে মলম নিয়ে এসেছে…
ভাবি শুনলাম তুমি পড়ে গেছে তাই ভাই আমাকে পাঠালো মলমটা দেওয়ার জন্য…
আমার খুব ব্যথা লাগছে, এখন মনে হচ্ছে কোমর টাই পুরো ভেঙে গেছে…
তা তুমি কি করে পড়লে?
আরুশি তোহার সামনে আর কিছু বলল না যে আশাদ ইচ্ছে করে ওকে ফেলে দিয়েছে ৷ এটা ওর আর আসাদের নিজেদের মধ্যে ব্যাপারে ,তাই এই সমস্ত কথা বাইরের কারোর কাছে জানাতে চাই না ৷
আর বোলো না ,আসতে গিয়ে হোচট খেয়ে পড়ে গেছি,
আচ্ছা মলমটা লাগাও দেখো ঠিক হয়ে যাবে ৷
হমম৷
মলমটা লাগিয়ে আরুশি ঘুমিয়ে পড়ল তার কারণ ওর কোমরে খুব ব্যথা হয়েছে…..
যখন ঘুম ভাঙ্গলো তখন দেখল ঘড়িতে সাড়ে বারোটা বাজে, রাতে রিসেপশন তাই পার্লার থেকে লোক বিকাল বেলা আসবে….
হঠাৎ রুমের মধ্যে আশাদ এল ,ওকে দেখেই বোঝা যাচ্ছে যে বাইরে থেকে এসেছে ৷ তবে আরুশির জানার কোন ইচ্ছা নেই যে ও কোথা থেকে আসছে…
অশাদ আরুশির সামনে গিয়ে একটা চেয়ার নিয়ে ওর সামনাসামনি বসলো…
আসাদের কান্ড দেখে আরশির ভ্রু কুঁচকে তাকাল তারপর বলল: আমার কোমরে ব্যথা বলে আমাকে দেখতে এসেছেন স্বামী?
আসাদ একটা পেপার নিয়ে আরুশির সামনে ধরল৷ কিন্তু আরুশি অবাক হলো না তার কারণ ও জানে আসাদ এরকমই কিছু করতে চলেছে…
আসাদ :এই নাও এটা হল একটা কন্ট্রাক্ট পেপার তোমার আর আমার বিয়ের ,যেখানে বলা আছে তুমি আর আমি ছয় মাস পর্যন্ত স্বামী-স্ত্রী৷ তার আগে না তুমি আমাকে ছাড়তে পারবে না আমি তোমাকে ৷ ছয় মাস পরে তোমার আর আমার মধ্যে কোনো সম্পর্কই থাকবে না আর এই ছয় মাসে তোমার কোম্পানির সঙ্গে আমার কোম্পানি একসাথে মিলে সমস্ত ডিল সাইন করবে ,সমস্ত প্রজেক্ট এ পার্টিসিপেট করবে৷ কোম্পানির 55% পার্সেন্ট লাভ হবে আমার কোম্পানি হার 45% তোমার কোম্পানির….
ডিলিটা দেখে আরুশি বেশ খুশী হলো তার কারণ আসাদকে বদলানোর জন্য এই ছয় মাসই ওর কাছে যথেষ্ট ৷ তবে আসাদের সঙ্গে সংসারটা ও কখনোই করতে চাইনি ৷ আর রইল কোম্পানির কথা, আসাদের কোম্পানির থেকে আরুশির কোম্পানি বিজনেসের ক্ষেত্রে সফলতা অনেকটাই বেশি ৷ তাই ফাইভ পার্সেন্ট লাভ যদি কম হয় তাতেও ওর কোন কিছু যায় আসবে না কারণ আসাদের থেকে অনেক বেশি আছে ওর৷
আরুশি কে শায়েস্তা করার জন্য আর নিজের কোম্পানি কে কিভাবে আরও ভালোভাবে এসটেবলিশ করা যায় সে জন্য ই আসাদ বিয়ে টা করেছে আর আরুশি সেটা জানত…
আরোশী কোন কথা না বাড়িয়ে চুপচাপ সাইন করে দিল…
আরশি :এবার আমাকে কলে করে একটু ওয়াশরুমে দিয়ে আসুন স্বামী…
আসাদ: হাসসস ! তোমার নিজের কি পা নেই নাকি ম যে যেতে পারো না, আমি কেন নিয়ে যাব?
আরোশী :আসলে আমার ইমিডিয়েট দরকার আছে ওয়াশরূমে ৷ আপনি নিয়ে যাবেন নাকি আমি বিছানায়…
আসাদ: থাক আর বলতে হবে না ,বলে আসাদ আরুশিকে কলে তূলে নিল, নিয়ে ওয়াশরুমের দিকে এগিয়ে গেল….
আরুশি শক্ত করে আসাদের গলাটা জড়িয়ে ধরেছে…
আরুশিকে আসাদ কোলে করে নিয়ে যাচ্ছে আর সেই সুযোগে আরুশি আসাদের গালে একটা ছোট্ট করে কিস করে দিলে ওকে বিরক্ত করার জন্য ৷
আসাদ: অভদ্র মেয়ে৷
আরুশি: আপনার বউ৷
চলবে,,,