অদ্ভুত_মেয়ে Part – 12.
writer – #Nur_Nafisa
.
.
ইমরান – কি!!!! এখন আমাকে গেইটে দাঁড়িয়ে চকলেট বিক্রি করতে হবে!! ?
সবাই – হাহাহা ???
আমি- বিক্রি করতে বলি নি। দান করবা।
ইমরান – আমি পারবো না।
আমি- তাহলে বান্দরবান টূর এ যেতে পারবা না। তোমার জন্য সবার যাওয়া ক্যান্সেল ?
রেহান – ভাইয়া যাও প্লিজ……
ইমরান – চুপ থাক! ? তুই যা…..
রেহান – আমাকে বললে আমিই যেতাম ?
ইমা- ইমরান যা তো, দান করবি সেখানে সমস্যা কোথায়!
ইমরান – আপু তুমি ও! ? ওকে যাচ্ছি।
শান্তা, হিয়া, হিমা- ???
.
আমি- ভাইয়া যাও তো, অই দেখো ছুটি হয়ে গেছে।
ইমরান – ??
তারপর ইমরান ভাইয়া চলে গেলো গেইটের কাছে সাথে সাঈদ ও রেহান ও।
ভাইয়া বাচ্চাদের চকলেট দিচ্ছে, এই ফাকে আমি ভাইয়ার কিছু ছবি তুলে নিলাম ? সাথে সাথে ফেসবুকে আপলোড করে দিলাম, সাথে ক্যাপশন ছিল – বোনের জন্মদিন উপলক্ষে তার ভাই বাচ্চাদের চকলেট বিতরণ করছে, মাশাল্লাহ ?
কিছুক্ষণের মধ্যে ভাইয়া চলে আসলো,
আমি- ভাইয়া, experience টা কেমন ছিল? ?
ইমরান – ???
এরপর সবাই একসাথে বাসায় চলে আসলাম ইমরান ভাইয়া তো রাগে গজগজ করে শেষ ??
বাসায় এসে ভাইয়া মাকে সব বললো, মা তো আমাকে বকেই যাচ্ছে। তাতে আমার কি!? আমি তো কানে তুলা দিয়ে রাখছি ??
.
রাতে ডিনার শেষে রুমে এসে ফেসবুকে লগইন করে দেখলাম 1.6k লাইক, 467 কমেন্ট!! ? ভাইয়ার প্রশংসার বন্যা বয়ে যাচ্ছে! নৌকা লাগবে তো ??
এমন সময় রুমে ভাইয়ার প্রবেশ,
ইমরান – অই, তুই আমার ছবি আপলোড করছোস কেন??
আমি- সমাজ সেবকের তালিকায় নাম উঠার জন্য। ☺️
ইমরান – নাফিসার বাচ্চাআয়ায়ায়া!?
আমি- আরে ভাইয়া, আমার আবার বাচ্চা আসলো কোথা থেকে! আর বান্দরবান যেতে হলে টাকা গুলো দিয়ে যাও আমার কাছে, না থাকলে মামাকে কল দাও।
ভাইয়া আর কিছু না বলে চলে গেলো। এমন সময় দেখলাম হাছান নামের আইডি থেকে ১টা মেসেজ রিকুয়েষ্ট এসেছে। এক্সেপ্ট করলাম।
Hasan – Hi
-Hi.
–Kmn asen?
–Alhamdulillah valo, apni?
–Valo. Apnar name ki?
–Apnk kn bolbo?
–Kn, jante pari na?
–Na, proyojon chara kaoke name bola jabe na .
–Apnr basa kothay?
–Proyojon sara eta o bola jabe na.
–Amr 1jon bestu chai, like u.
–Ashepashe manuser ovab porse! Fb te aschen bestu khujte!
–Hmm ovab?
–Tahole road side e leaflet lagiye din…..?
–Kn apni hoben na amar bestu? Amra ki friend hote pari na!
–Na. Amr enough friend ase. So, fb te friend khujar proyojon nai. ?
–Ami kharap, amk valo korar jonno 1 jon k dorkar. Apni amk valo korben?
–Ami kn apnk valo korbo, Allah apnk enough power dise, nijeke valo korte oigulo kaje lagan.
–Hmm Ok. Na hole r ki korar! Office theke basay jacchilam. Tai apnr sathe ektu moja korlam. Sorry ?
–Moja koresen ekhn saja tw pete e hobe!
–Sorry bollam tw!
–No, saja nite e hobe. Amr saja ektu different ?
–Ok, ki saja.
–Ekhn Eshar namaj porben.
–Ekhn tw ami bus e.
–So what! Basay giye porben.
–Ok? apnar saja amr kase onk valo lagse. Ami namaj porle apni amar bestu hoben tw?
–Ami bestu howar jonno saja dei ni, apni moja koresen sei jonno disi.
–Ok, porbo ?.
–Hmm, Allah Hafez.
.
তারপর ডাটা অফ করে ঘুমিয়ে পড়লাম।
সকালে, নামাজ, কোরআন পড়ে কিছুক্ষণ হাটাহাটি করে সবাই একসাথে নাস্তা করে নিলাম। তারপর কলেজের জন্য রেডি হয়ে ব্যাগ গুছিয়ে নিচ্ছিলাম, ভাইয়া এসে আমার বেগের উপর টাকা রেখে চলে যাচ্ছিলো,
আমি- ভাইয়া, মুখ এমন ঘোমড়া করে রাখলে আমি টাকা জমা দিবো না, ফলে নাফিসাসহ কেউই টূর এ যেতে পারবে না!
ইমরান – হুহ! আমার ইজ্জতের ফালুদা বানিয়ে এখন ন্যাকামো করা হচ্ছে!
আমি- বাচ্চাদের চকলেট দেওয়ায় তোমার ইজ্জত ফালুদা হয়ে গেছে? আর যদি কাটা ছিড়া প্যান্ট পড়ে, চোখে কালো চশমা পড়ে রাস্তায় দাড়িয়ে থাকতে আর ফেবুতে পিক আপলোড করতে তাহলে ইজ্জত বেড়ে যেতো? আরে তখন রাস্তার ভিখারি মনে হত ভিখারি ?
ইমরান -??
ইমা- আসলেই ইমরান, তুই এসব নিয়ে মন খারাপ করে আছোস!
ইমরান -??
আমি- এখন কি টাকা জমা দিবো নাকি? যাইবা না টূর এ?
ইমরান – না গেলে টাকা দিছি!
আমি- তাহলে মুখ এমন পেচার মতো করে রাখছো কেন? হাসো,?
ইমা- ??
ইমরান – এখন হাসি আসবে না। তুই যা, আমি বাসায় বসে হাসার চেষ্টা করি!
আমি- হাহাহা ?, আচ্ছা বিকেলে রেডি থেকো সাভার ঘুরতে যাবো।
হঠাৎ রেহান, সাঈদ এসে,,,,,,
ইয়েএএএএ…..
আমি- তোরা তো সবসময় ই ইয়েএএএএ হয়ে থাকোছ। সাঈদ আজ স্কুলে যাবি, না হলে তোকে নিব না।
সাঈদ – ?ওকে ?
আমি- আর ভাইয়া, কত টাকা দিছো?
ইমরান – হুহ! ৮ জনের টা পুরো দিছি।
আমি- ?ওকে। আর হাসির জন্য চেষ্টা করতে হবে না, পোস্টের কমেন্ট গুলো পড়, হাসি এমনিতেই চলে আসবে?
ইমরান -?
আমি বেরিয়ে গেলাম কলেজের উদ্দেশ্যে, শান্তা আপু আজ যাবে না, আমিও যেতাম না কিন্তু টাকা জমা দেয়ার জন্য যেতে হচ্ছে.