অদ্ভুত_মেয়ে Part – 6

0
3153

অদ্ভুত_মেয়ে Part – 6
.
writer – #Nur_Nafisa

অন্য দিকে,
স্যার- দিনা, আজ নাফিসা আসেনি কেন?
দিনা- জানিনাতো স্যার। আমাদের কিছু বলে নি।
স্যার- সে কি কালকের বিষয় নিয়ে মন খারাপ করে আছে?
দিনা- কি জানি স্যার, কাল থেকে ই মন খারাপ করে ছিলো আর কয়েক বার কল দিলাম, ফোন ও বন্ধ!
স্যার- ও আচ্ছা। আবার পরে ট্রাই করো।
দিনা- ওকে স্যার।
.
নানু বাসায় কলিং বেল বাজাতে ই ছোট মামি দরজা খুলে দিলো, আমি সালাম জানিয়ে ভিতরে চলে গেলাম, মামি তো আমাদের দেখে হা হয়ে গেছে ?
আমি- মামি, এতো বড় হা করলে মশা না, হাতি ও ঢুকতে পারে ???
মামি- ভাবি,,,,,,,ইইই,! দেখো কারা আসছে!
তারপর বড় মামি, মেঝো মামি, বড় মামা সবাই আসলো। আমাদের দেখে সবাই অবাক!
আর আমি হেসে যাচ্ছি, যেটা আমার স্বভাব ?
বড় মামা- কিরে তোরা আসবি তা, আগে জানাস নি কেন?
আপু- আগে জানালে তোমার ছেলে-মেয়েরা বাড়ি ছেড়ে পালিয়ে যেত ?
সবাই- হাহাহা???
কিছুক্ষণ পর ইমা আপু ও চলে এলো।
তারপর ফ্রেশ হয়ে আমরা ৩ বোন সোফায় বসে টিভি দেখছিলাম। আর বাকি সবাই গল্প করছিলো। এমন সময় কলিং বেল বেজে উঠল। মেঝো মামি যাচ্ছিল দরজা খুলতে, আমি মামিকে আটকে নিজে দরজা খুলে দিলাম।
আমি- সারপ্রাইজ!!!
হিমা, হিয়া, রেহান – আয়ায়ায়ায়ায়ায়া…… ???
হিয়া- এ আমি কাকে দেখছি!! ?
আমি- নাফিসা কে ?
রেহান এসে আমাকে জরিয়ে ধরলো।
রেহান – আপু তুমি আসবে, কেও তো আগে বলল না!
আমি- কেউ জানলে তো বলবে!? এখন তোরা ভিতরে আসবি? নাকি দরজা বন্ধ করে দিব?
হিমা- আমার কাপড়চোপড় দিয়ে বন্ধ করে দাও
আমি- দাড়া, চিরদিনের জন্য বন্ধ করে দিব।
সাথে সাথে সবাই ঘরে ঢুকে পড়লো ?
হিয়া- আম্মু, আজ আপুরা আসবে, তুমি বল নি কেন?
মামি- আমি না জানলে কিভাবে বলব!
বড় মামা – আগে জানলে তো তোরা নানা বাড়ি চলে যেতি। নাফিসা, তুই একদম ঠিক করেছিস কাওকে না বলে। তুই যতদিন থাকবি, এরা সবাই মানুষের মতো হয়ে থাকবে ?
সবাই- ??
তারপর সবাই মজা করতে করতে এক সময় বিকেল হয়ে গেলো। কিন্ত এবার নামাজের কথা হিমা, হিয়া, রেহান কাওকে এবার বলতে হয় নি। কারণ, ওরা যথাসময়ে নামজ পরেছে।
বিকেলে আমরা সবাই ড্রইং রুমে বসে গল্প করছিলাম। এমন সময় ইমরান ভাইয়া আসলো, এবার ও আমি গিয়ে দরজা খুলে দিলাম। আমাকে দেখে ভাইয়া চোখ বড়ো বড়ো করে তাকিয়ে আছে!
আমি- কি ভাইয়া? ভিতরে আসবা না?
ইমরান- আমি মনে হয় ভূল বাড়তে এসে পড়েছি! আমি এখন যাই।?
আমি- আরে আরে! ভুল যেহেতু করেছো, এত সহজে যেতে দেই কি করে!
টেনে ভাইয়াকে ভিতরে নিয়ে আসলাম।
ইমরান- বাবা, তুমি আমার সাথে এমন কিভাবে করতে পারলে? নিজের ছেলে কে এভাবে ফাসিয়ে দিলে এই পাজি মেয়ের সাথে! ?
সবাই – ????
মামা- এতো দিন পর মনে হচ্ছে, এই বাড়িতে শাসন করার মতো কেউ এসেছে। ?
আমি- ভাইয়া চিন্তা করো না। ভুল যেহেতু করেছো, শাস্তি তো পাবেই ?
ইমরান- বোন আমার, এবারের মতো মাফ কর, প্রতিবারের মতো এবার আমাকে জ্বালাস না।??
আমি- আরে ভাইয়া কি বলছো! তুমি আমার ১০টা না, ৫টা না, ১টা মাত্র বড় ভাই, কি করে তোমাকে ভালো রাখা যায়! ????
.
তারপর রাতে সবাই একসাথে ডিনার করে ভাই-বোন সবাই মিলে ছাদে গিয়ে আড্ডা দিলাম, আর সাথে তো দুষ্টুমি ফ্রী আছে ই। আর বড়রা ড্রইং রুমে গল্প করছিলো। তারপর আমরা নিচে চলে আসলাম ঘুমানোর জন্য । আমি, শান্তা আপু, ইমা আপু, হিয়া, হিমা একসাথে ২টা বিছানার আসবাবপত্র একসাথে নিয়ে ১টা রুমে ফ্লোরে বিছানা করে নিলাম। আর ইমরান ভাইয়া, সাঈদ ও রেহান ৩জন ভাইয়ার রুমে। আমি আসার সময় ভাইয়ার ল্যাপটপ টা জোর করে সাথে নিয়ে আসলাম ১টা মুভি দেখার জন্য । আর সাঈদ ও রেহান ভাইয়ার ফোন নিয়ে নিছে গেমস খেলার জন্য।
ইমরান- আল্লাহ! সব ঝর কেন আমার উপর দিয়ে যায়! ? আমার ফোন, ল্যাপটপ নিয়ে নিছোছ, আমাকে ও কোনো দিকে নিয়ে যা?।
আমি- ভাইয়া, তুমি বনবাসে যাও ???।
কিছুক্ষণ পর সবাই যে যার মতো ঘুমিয়ে পড়লাম।
.
এ মা,,,,,??আপনারা জেগে আছেন কেন? সবাই ঘুমিয়ে পড়েন, কাল সকাল সকাল উঠতে হবে তো!
Good night everybody.

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here