অদ্ভুত_মেয়ে Part – 7
writer – #Nur_Nafisa
.
সকালে,,,,,
আমি আর আপু আযান শুনে উঠে পড়লাম। কিন্তু সবাই এখনো উঠে নি।
আমি ড্রইং রুমে এসে সাউন্ড বক্সে মোবাইল এ রেকর্ড করা আযান ফুল সাউন্ড এ ছেড়ে দিলাম। এতক্ষণে সবাই উঠে ড্রইংরুমে এসে পরল।
ইমরান- সকাল সকাল কি শুরু করলি এগুলো? মসজিদের আযান কি শুনতে পাছ না?
আমি- আমিতো শুনেছি কিন্তু তোমরা শুনতে পাওনি, তাই এ ব্যবস্থা নিলাম ??
সবাই, হাহাহা…..
রেহান – ওয়াও আপু গ্রেট আইডিয়া ?
আমি- যা এবার নামাজ পরে নে। সময় চলে যাচ্ছে।
.
নামাজ পরে আমি, সাঈদ ও রেহান ছাদে গিয়ে ফুলগাছে পানি দিলাম।
আমি- ওয়াও জিনিয়া ফুল গাছটি তো অনেক সুন্দর! ? আমি এটা নিয়ে যাব।
রেহান- এটা হিয়া আপু এনেছে!
আমি- কে এনেছে সেটা দেখার বিষয় না, কে নিয়ে যাবে সেটা দেখার বিষয় ☺️?
রুমে এসে দেখি শান্তা ও ইমা আপু গল্প করছিলো, আমি এসে পিছন দিয়ে জড়িয়ে ধরলাম।
আমি- ২ বোন সারাদিন কি গল্প কর! আমাকে ও শুনাও
ইমা- তোকে কেন বলব!
শান্তা- যা ভাগ এখান থেকে।
আমি- ?আমাকে ইগনোর করা! একটু পর আবার আমার পিছনে ঘুরো না।
শান্তা- হুহ! বয়ে ই গেছে!
আমি- দেখা যাবে?
ইমরান ভাইয়ার রুমে এসে উকি দিয়ে দেখলাম ভাইয়া জানালার পাশে দাঁড়িয়ে ফোনে কথা বলছে। আমি গিয়ে পিছনে দাড়ালাম।
আমি- এহেম! এহেম!!
ইমরান- ?
আমি- কার সাথে কথা বলছো?
ইমরান- তোকে কেন বলব??
আমি- ওকে বলতে হবে না। ভাইয়া আজ যেন কি বার?
ইমরান- কেন আজ শুক্রবার। ও….. আপনি ঘুরতে যাওয়ার প্লান করছেন না ত আবার! আমি পারব না, আমার কাজ আছে।
আমি- বাহ! কি বুদ্ধিমান ভাই আমার , বলার আগে ই বুঝে যায়। তা কাজটা কি প্রিয়তমাকে নিয়ে ঘুরতে যাওয়া?
ইমরান – সে যা ই হোক, আমি পারব না না না…
আমি- অই এটা আমার নানা বাড়ি, তোমার না। দেখা যাক, নিয়ে যাও কিনা?
আমি- দরজার সামনে গিয়ে পিছনে তাকিয়ে, ভাইয়া তিশা যেন কে? মামা জানে তো!??আমি দৌড়!
ইমরান- নাফিসাআয়ায়ায়ায়ায়ায়া……!???
.
আমি এদিকে বড় মামাকে পটিয়ে ফেলেছি?
সবাই একসাথে নাস্তা করার সময়,
বড় মামা – ইমরান, আজ নাফিসা কে নিয়ে ঘুরতে যা।
ইমরান – বাবা আমার আজ কাজ আছে।
ছোট মামা- ওকে, তাহলে আমি নিয়ে যাব।
ইমরান – ধন্য..
আমি- মিথ্যে কথা, ভাইয়ার কোনো কাজ নেই।
(ভাইয়াকে ইশারায় “বলে দিব? তি…”)?
ইমরান- ওকে ওকে আমি ই নিয়ে যাব ?
রেহান – ইএএএএএএএএ আজ অনেক মজা হবে ? thank you আপু?
আমি- হইছে, চকলেট এর 80% আমাকে দিলে ই হবে।
রেহান- 100% ই নিয়ে যাও?
হিমা- আমাদের তো 1% ও দিতে চাস না!
রেহান- তোমরা তো ভাইয়া কে রাজি করাতে পারো না।?
ইমরান – চুপ থাক! তোদের কথা শুনে আমার পেট ভড়ে গেছে।
আমি- মামি ১জনের খাবার বাচিয়ে দিয়েছি ??
সবাই- হাহাহাহা…..
.
ভাইয়াকে তাড়া দিয়ে আমি, সাঈদ ও রেহান রেডি হয়ে গেছি। ভাইয়া ও রেডি।
কিছুক্ষণ পর দেখি, হিয়া, হিমা, ইমা আপু, শান্তা আপু, সবাই রেডি হয়ে বসে আছে।
আমি- ??? তোমরা কোথায় যাচ্ছ!
শান্তা- কেন, ভাইটা কি তোর একার!!!আমরা ও যাচ্ছি তোদের সাথে।
আমি- সকালে কি বলেছিলা, মনে আছে?
আমি তোমাদের নিব না।
ইমা- প্লিজ বোন আমার, অনেক দিন ধরে ঘুরতে যাই না। নিয়ে যা।
আমি- দেখেছো! আমার পিছনে ই ঘুরতে হচ্ছে ?
শান্তা- হইছে, আর কথা শুনাছ না।
ইমরান – এবার তো চল.
আমি- ভাইয়া, তোমার ওয়ালেট দেখি,
ইমরান – হইসে, আর দেখতে হবে না, যথেষ্ট টাকা নিছি, তোর মামা ও দিছে?
আমি- হুম চলো?.
.
আমরা নারায়ণগঞ্জ এর কয়েকটা জায়গায় ঘুরলাম, তারপর রেস্টুরেন্টে গিয়ে খেয়ে নিলাম, বিল বেশি হয় নি, মাত্র ৭৩০০টাকা। ?
তারপর সোনারগায়ের জাদুঘরে গেলাম। রেহান সারাক্ষন আমার হাত ধরে ই হাটছে।
সন্ধার সময় বাসায় ফিরছিলাম,
আমি- ভাইয়া চল ফুসকা খাব।
ইমরান – তোর পেটে এখন ও জায়গা আছে!
আমি- ??
ইমরান – চল।
তারপর খেলাম ফুসকা। আমি আর হিমা ফাস্ট, আর সবাই লাস্ট!? তারপর হাটার সময় আমি হোচট খেয়ে রাস্তায় পড়ে গেলাম ?
ইমরান – হাহাহা….?
আমাকে সারাদিন জ্বালানোর শাস্তি, বুজলি!!???
ইমা- (আমাকে তুলতে তুলতে) চুপ কর তো তুই। মেয়েটা ব্যাথা পাইছে, আর তুই হাসছিস!
রাস্তায় আমি আর কোনো কথা বলি নি। ? একদম সাইলেন্ট! ?