অদ্ভুত_মেয়ে Part – 8
writer – #Nur_Nafisa
.
বাসায়,,,,,,,,
কলিং বেল বাজাতে ই ছোট মামি দরজা খুলে দিলো। আমি চুপচাপ ঘরে ঢুকে সোফায় বসে পড়লাম।
মা- কিরে, এমন চুপচাপ কেন?
সাঈদ – মা, তোমার মেয়ে রাস্তায় হোচট খেয়ে পড়ে গেছে। ???
মেঝ মামি- সে কি, কোথায় ব্যথা পাইছো, দেখি!
আমার কনুইয়ের দিকে কিছুটা ছিলে গেছে। মামি মলম লাগিয়ে দিচ্ছে সোফায় বসে।
ইমরান – ফুপি, তোমার মেয়ে বিশ্ব খাদক। এতো খাবার খেয়ে হাটবে কি করে, তাই পড়ে গেছে ?????
বড় মামি – চুপ থাকবি তুই!?
মা- আমার মেয়েকে এতো অপমান!
ইমরান – তোমার মেয়ে না শুধু, নাফিসার উছিলায় আজ সবগুলোই জ্বালাইছে আজ? খেয়ে খেয়ে আমার পকেট খালি!
আমি- ??
শান্তা- ভাইয়া, খাওয়ানোর পর এখন খোটা দিচ্ছি!! বদহজম হবে কিন্তু! ?
আমি- শয়তান! থাকব না তোদের বাড়িতে। কাল সকালে ই চলে যাবো। ?
আমি রুমে চলে আসলাম।
ইমরান – বাবারে! কি রাগ! ??
তারপর মামা-মামী সবাই বকেছে ভাইয়াকে।
ইমরান – যাক বাবা! ঘুরতে ও নিয়ে গেলাম আমি আবার সবার বকা ও খেলাম! ?
একটু পর দিনা মায়ের ফোনে কল করল,
আমি- আসসালামু আলাইকুম।
দিনা- ওয়ালাইকুম আসসালাম। কিরে তোর ফোন অফ কেন? কলেজ আসোস না কেন?
আমি- আমি নানু বাড়ি এসেছি।
দিনা- হুট করে চলে গেলি, কিছু বললি ও না। কবে আসবি?
আমি- হুট করে চলে এসেছি, আবার হুট করে চলে আসব ??।
দিনা- কি #অদ্ভুত_মেয়ে ! আচ্ছা আল্লাহ হাফেজ।
আমি- আল্লাহ হাফেজ ?
আমি আর রাতে খাই নি। সবাই খেয়ে ঘুমিয়ে পড়ল।
সকালে –
আমি- মা ব্যাগ গুছাও। বাসায় যাব।
মা- এতো সকালে!
আমি- হুম, বাসায় গিয়ে কলেজ যাব। তারাতাড়ি কর। এখনই যেতে হবে, আর কিছু বল না।
মা- ওকে।
তারপর চলে আসলাম চুপিচুপি চুপিচুপি। শুধু বড় মামা মামিকে বলে। অনেক বার বলে ও আটকাতে পারে নি। কিন্তু জিনিয়া ফুল গাছ আনতে ভুলি নি। ??
রেহান- আম্মু ফুপি, নাফিসা আপুরা কই! দেখছি না যে?
বড় মামি- বাসায় চলে গেছে।
রেহান – কিইইইইইই??? ভাইয়ায়ায়ায়ায়ায়ায়ায়ায়া
রেহানের ডাকে সবাই চলে এসেছে।
হিয়া- অই রেহাইন্না, এমন চিৎকার করছস কেন?
ইমরান – কি হইছে?
রেহান – নাফিসা আপু বাসায় চলে গেছে।
সবাই – কিহ!!!
বড় মামা – কেন খুশি হসনি! তোদের নাকি খুব জ্বালায়। এখন শান্তিতে থাক।
ইমরান – বাবা, আমরা দুষ্টুমি করে বলি এগুলো। তাই বলে রাগ করে চলে যাবে!??
হিমা- হুম চাচ্চু।?
বড় মামা – হইছে থাক! এখন আর আফসোস করতে হবে না।
ইমা- তোরা চাইলে ওর রাগ ভাঙতে পারছ।
সবাই – ??কিভাবে????
ইমা- কাল নাফিসার জন্মদিন ?।
ইমরান – ইয়েসসসসসস! আমরা আজ রাতে ই ফুপির বাড়ি যাব ?। ও ২ দিন থাকছে তো কি হইসে, আমরা ৭দিন থাকবো। বাচ্চারা, যারা যেতে চাও, সন্ধ্যায় রেডি থেকো।
ছোট মামি – কিরে আমাদের নিবি না??
ইমরান – বাসা খালি রেখে কিভাবে যাবা। তোমরা অন্যসময় যেও। আজ আমরা ভাই-বোন রা যাব। আপু thanks, তুমি ও রেডি থেকো। ইমা- সেটা বলতে হবে না, আমি এমনিতেই যেতাম, তোরা না গেলে ও?
রেহান, হিমা, হিয়া – ইয়াহুউউউউউউউউউউ? Let’s go to ফুপি বাড়ি…… ??
.
আমি বাসায় এসে রেডি হয়ে কলেজের উদ্দেশ্যে বেরিয়ে গেলাম। আপু আমার একটু আগে ই বেরিয়ে গেলো। আমরা এক কলেজ এ পড়লে ও একসাথে যাই না। ?
,
রাস্তায়,,,,,,
বাসা থেকে কলেজ বেশি দূর না হওয়ায় হেটে ই যাই।
যাওয়ার সময় দেখলাম এক দাদু দাঁড়িয়ে আছে রাস্তা পার হওয়ার জন্য, কিন্তু মেইন রাস্তায় গাড়ি বেশি ই চলছে। তাই দাদুকে ধরে রাস্তা পার হতে সাহায্য করলাম। কিন্তু গাড়ি তো বেশি ই চলছে। মাঝ রাস্তায় আটকে গেলাম। এমন সময় ১টা গাড়ি এসে ব্রেক কষলো। তারপর রাস্তা পার হলাম।
ওমা!?, এ তো দেখছি মাহিন স্যার এর গাড়ি। স্যার আমার দিকে তাকিয়ে মুচকি হাসি দিয়ে গাড়ি ছেড়ে দিল।
দাদু আমাকে বলল, আল্লাহ তোমার মঙ্গল করুক। অনেক বড় হও দাদুমনি।
আমি- দাদু আর কত বড় হব! আমার উচ্চতা ৫’ ৫”, আরও বড় হলে তো আমাকে সমাজ ছেড়ে বনবাস এ দিন কাটাতে হবে।
দাদু- ??