অদ্ভুত_মেয়ে (season 2) Part- 13

0
2819

অদ্ভুত_মেয়ে (season 2)
Part- 13
Writer: #Nur_Nafisa
.
.
কল কাটার পর মনে হলো, আসল কথাটাই তো জিজ্ঞেস করা হয়নি! শান্তা আপুর বিয়ের সময় তো ভাইয়া বলেছিলো তিশা আপুর সাথে ব্রেকাপ হয়ে গেছে! মন খারাপও করে ছিলো! কত কৌশলে হিমা হিয়ার সাথে মিলে মন ভালো করেছি! এখনো কি ভাইয়ার যোগাযোগ আছে তিশা আপুর সাথে!
নাফিসা আবার কল করলো,
ইমরান- আবার কি?
নাফিসা- ইমা আপু আসবে না কাল হলুদে?
ইমরান- আসবে হয়তো।
নাফিসা- সাদা ড্রেসটা কাল পাঠিয়ে দিয়ো ইমা আপুর হাতে।
ইমরান- সাদা ড্রেস নাই।
নাফিসা- এখনো রেগে আছো! প্লিজ পাঠিয়ে দিয়ো।
ইমরান- বললাম না, নাই। ফেরত দিয়ে দিছি।
নাফিসা- আচ্ছা, একটা কথা জিজ্ঞেস করি?
ইমরান- তোর অনুমতি লাগে আবার!
নাফিসা- দূর! জিজ্ঞেস করি?
ইমরান- হুম কর।
নাফিসা- রাগ করবা না তো!
ইমরান- বলবি নাকি?
নাফিসা- আচ্ছা, রাগ করবা না কিন্তু। তিশা আপুর সাথে কথা হয় তোমার!
ইমরান একটু নিরবে থেকে জবাব দিলো,
ইমরান- হ্যাঁ, হয় মাঝে মাঝে।
নাফিসা- দাওয়াত করছো বিয়েতে?
ইমরান- হ্যাঁ।
নাফিসা- আসবে?
ইমরান- জানিনা।
নাফিসা- তিশা আপুর বিয়ে হয়েছে না?
ইমরান- হ্যাঁ।
নাফিসা- কবে?
ইমরান- আড়াই বছর আগে। এক বছরের একটা বাচ্চাও আছে। আরো কিছু জানার বাকি আছে?
নাফিসা- না। আর কিছু না। আল্লাহ হাফেজ।
নাফিসা কল কেটে খুশি হলো। তারমানে তিশার অপেক্ষায় নেই ভাইয়া! নাচতে ইচ্ছা করছে তার! কাজিনের পাশে খাটে শুয়ে শুয়ে অনলাইনে কতোক্ষন বন্ধুদের সাথে কথা বললো। তারপর ঘুমিয়ে পড়লো।
পরের দিন আরো মেহমানরা আস্তে আস্তে আসতে শুরু করলো। বাড়িতে ভীড় জমছে মেহমানদের, আর ঝাকঝমাক হয়ে উঠছে। নাফিসার বন্ধুবান্ধবও এসে পড়লো দুপুরের দিকে। পার্লারের লোক বাসায় আনা হয়েছে। সেজেগুজে নাফিসা সন্ধ্যায় তৈরি। মামাবাড়ি থেকে অনেক কাজিনরা এসেছে হলুদে। কিন্তু মামিরা আসেনি। হিমা এসে বললো ইমরান ভাইয়া আজ সকালে নতুন মাইক্রো কিনেছে, আর সেটা দিয়ে তারা হলুদে এসেছে। নাফিসা বেরিয়ে যাচ্ছিলো গাড়ি দেখার জন্য। শান্তা আপুর বকাবকিতে আর যেতে পারলো না। একটু পর আবার তার বন্ধুবান্ধবরা নারায়ণগঞ্জ গেলো হলুদে। বাসা ফাকা লাগছে, মুহুর্তে যেন হৈচৈ বন্ধ হয়ে গেছে। বাসায় শুধু মুরুব্বিরা। একটুও ভালো লাগছে না নাফিসার। ইচ্ছে করছিলো তাদের সাথে চলে যেতে। কিন্তু নিয়ে যে গেলো না!
নাফিসা একা একাই সাউন্ড বক্সে গান শুনতে লাগলো। বেশ কিছুক্ষণ পর হঠাৎ মনে হলো সেই রাতের ভয়ংকর দুঃস্বপ্নের কথা। মনটা কেমন যেন হয়ে উঠলো! আপুরা গেছে অনেক্ক্ষণ হয়ে গেছে। এবার কি নাফিসা কল করতে পারবে ইমরানকে! ব্যস্ত হবে হয়তো! তাও নাফিসা রুমে এসে দরজা লাগিয়ে কল করলো। রিসিভ হয়েছে, ইমরান চেচিয়ে বলতে লাগলো,
ইমরান- নাফিসা কিছু শুনতে পাচ্ছি না। একটু পর কল করছি।
নাফিসা বুঝতে পেরেছে সাউন্ড বক্সের জন্য কিছু শুনতে পাচ্ছে না। ইমরান পাচ মিনিট পর মিসড কল দিলো। নাফিসা ব্যাক করতেই রিসিভ হলো,
ইমরান- হ্যাঁ, বল।
নাফিসা- মিসড কল দিলে কেন?
ইমরান- একশো টাকা শেষ করতে হবে না!
নাফিসা- হিহিহি…. এগারো টাকা আছে। শেষ হয়েই গেছে, ফ্রেন্ডদের কল করতে করতে।
ইমরান- আচ্ছা,সময় পেলে আবার পাঠিয়ে দিবো।
নাফিসা- আপুরা কি এখনো তোমাদের বাসায়?
ইমরান- না। বিশ মিনিটের মতো হলো, ঢাকার উদ্দেশ্যে রওনা দিয়েছে।
নাফিসা- আচ্ছা।
নাফিসার কন্ঠ একটু অন্য রকম শুনাচ্ছে, তাই ইমরান জিজ্ঞেস করলো,
ইমরান- নাফিসা, কিছু বলবি?
নাফিসা মলিন সুরে প্রশ্ন করলো,
নাফিসা- ভাইয়া কাল তুমি আসবে তো?
ইমরান প্রশ্নটা শুনে চুপ হয়ে গেল। আজ গায়ে হলুদে এটা কেমন প্রশ্ন করলো!
নাফিসা- বলো না, কাল আসবে না?
ইমরান- নিষেধ করলে আসবো না।
নাফিসা- আমার না, ভয় লাগছে। সেদিন রাতে একটা দুস্বপ্ন দেখেছিলাম!
ইমরান- এতো নেতিবাচক চিন্তাভাবনা কেন আসে তোর মাথায়! কোথায় আছিস তুই?
নাফিসা- রুমে।
ইমরান- পাশে কে আছে?
নাফিসা- কেউ না।
ইমরান- রুম থেকে বের হয়ে যা এখুনি। আর এক মুহুর্তের জন্যও একা থাকবি না। একা একা বসে বসে এসব উল্টাপাল্টা ভাবতে থাকছ! বের হয়েছিস?
নাফিসা- যাচ্ছি।
ইমরান- ঘরে তো কতো খাবার আছে, বসে বসে খা আর টিভি দেখ। মাথায় যেন উলটা পালটা কিছু না আসে।
নাফিসা- আল্লাহ হাফেজ।
বড়রা সবাই ব্যস্ত। নাফিসা ড্রয়িং রুমে বসে খবর দেখছে। একটু পর ইমা আপু কল করে অনেক্ক্ষণ গল্প করলো। ইমরানই হয়তো বলেছে ইমা আপুকে।
.
বন্ধুবান্ধব সব ফিরে এলে আবার হৈচৈ শুরু হলো বাসায়। এবার মনে হচ্ছে বিয়ে বাড়ি। নাচ গান, মেহেদী পড়ানো খুব ভালোই মেতেছে সব। নাফিসা কাজিন ও বন্ধুদের সাথে কতক্ষণ নাচানাচি লাফালাফি করেছে। ক্লান্ত হয়ে বড়দের বকাবকির পর রাত একটার দিকে এলোমেলো হয়ে সবাই ঘুমিয়ে পড়েছে।

পরেরদিন ও খুব ভালো ভাবেই সব আয়োজন করা হয়েছে। ঘাটতি একটাই ছিলো, শান্তা আপু বলেছিলো নাফিসাকে পার্সোনা তে সাজাবে। ব্যাস্ততার কারনে তা আর হলো না। বাসায় পার্লারের লোক এনে সাজানো হয়েছে। পুতুলের মতো স্টেজে বসে আছে নাফিসা। বিয়ের শাড়িটা খুব পছন্দ হয়েছে নাফিসার। লাল বেনারসি এনেছে ইমরান। শুধু শুধু বকেছে ইমরানকে। কিন্তু এ শাড়ির জন্য তো বকেনি! সাদা ড্রেসের জন্য বকেছিলো! যাক, যা হয়েছে তা আর মনে করে মন খারাপ করার কোন মানে হয় না! এখন শুধু একটা ভয়ই আছে মনে, যা ইমরান না আসা পর্যন্ত কাটছে না! আরেক ফটোগ্রাফার একটু পর পর এসে বলছে, এমন করে তাকান, এভাবে দাড়ান, ওভাবে বসুন! বিরক্তকর! দুপুর ২ টার পর বরযাত্রী এসেছে। নাফিসা দিনাকে জিজ্ঞেস করে শিউর হয়ে নিলো ইমরান এসেছে কিনা! দিনা বললো, বরের গাড়ি আর অন্য যাত্রীর গাড়ি একসাথেই এসেছে। বন্ধুবান্ধব সহ কাজিনরা সব গেইটের ধারে চলে গেলো। দূর! একা একা বসে থাকতে কি ভালো লাগছে! বিয়ে বাড়িতে বর এলে গেইটে না থাকলে কি ভালো লাগে! নাফিসার ইচ্ছে করছে দৌড়ে গেইটে চলে যেতে! শান্তা আপু দাড়োয়ানের মতো আশে পাশে ঘুরছেই! এখান থেকে নড়ারও কোন সুযোগ নেই। নাফিসা সোফা থেকে উঠে দাড়াতেই শান্তা আপু বললো,
শান্তা- এই কোথায় যাস? চুপচাপ বসে থাক।
নাফিসা- এহ! কোথাও যাচ্ছি না! পা ঝুলিয়ে বসে থাকতে থাকতে ঝিম ধরে গেছে!
শান্তা- বসে পড়। মেহমানরা আসবে এখন।
নাফিসা- আসুক, তাতে কি হয়েছে! এবাড়ির আর ওবাড়ির সব মেহমানই তো আমার পরিচিত।
শান্তা- আল্লাহ! কেউ বলবে এটা বিয়ের কনে!
নাফিসা- তুমি না বললেই কি! সবাই তো আর তোমার মতো না!
শান্তা আপুর কাছে মাহিকে দেওয়ার জন্য মাহিন ভাইয়া স্টেজে এলো।
নাফিসা- স্যার, বিয়ের কনে কে?
মাহিন- অবশ্যই, নাফিসা। কেন?
নাফিসা- আপনার বউ কনে কে খুজে পাচ্ছে না। দেখিয়ে দিন, আর বুঝিয়ে দিন কনে দেখতে কেমন!
মাহিন- হাহাহা…. কনে কেমন জানো না! সবার দিকে তাকিয়ে দেখ, কাকে দেখতে সবচেয়ে আলাদা আর আকর্ষণীয় দেখায়।
শান্তা- হয়েছে, আমাকে বুঝাতে হবে না। তোমার ছাত্রীকেই বুঝাও বেশি করে।
মাহিন- তুমিও তো আমার ছাত্রী।
শান্তা- সেটা অতীত ছিলো। বর্তমানকে দেখো। নাফিসা এখনো তোমার ছাত্রী। কোথায় ভাইয়া ডাকবে আর কোথায় স্যার ডাকবে সেটাও ঠিক করতে পারেনি আজ পর্যন্ত!
নাফিসা- ভাইয়া কিছু বলবেন!
মাহিন- শান্তা বেশি কথা বলো না তো! নাফিসার লিপস্টিক উঠে যাবে।
শান্তা- হিহিহিহি……
নাফিসা- কিহ!
মাহিন- অহ, সরি! শান্তা বেশি কথা বলো না তো, তোমার লিপস্টিক উঠে সাজ নষ্ট হয়ে যাবে। এবার ঠিক আছে?
নাফিসা- বুঝি আমি সব। সব ছেলেরা বউ পাগলা। যান, বউয়ের পক্ষেই থাকুন। আমার পক্ষ কাউকে নিতে হবে না।
মাহিন- আরে আমি তো ঠিকটাই বললাম এখন! শান্তার সাজ নষ্ট হবে।
শান্তা- হিহিহি…. আমার সাজ নষ্ট হলে সমস্যা নেই। কেউ আমাকে দেখবে না।
নাফিসা- চুউউউউপ!
মাহিন- তুমিও যে কি! খায়িয়েছো নাফিসাকে?
শান্তা- সাজানোর আগে অল্প খেয়েছে।
মাহিন- তুমি খেয়েছো।
শান্তা- হ্যাঁ নাফিসার সাথেই খেয়েছি।
মাহিন- এখন আবার খেয়ে নাও তোমরা। আমি এনে দিচ্ছি।
নাফিসা- খাবো না আমি এখন।
শান্তা- একটু পর যাও। এখন ওরা আসবে এদিকে।

নাফিসা কিছুক্ষণ দাড়িয়ে থাকার পর দেখলো মামীরাসহ ওবাড়ির আরো মেহমান আসছে, তাই আবার বসে পড়লো। মাহিন ভাইয়া, শান্তা আপু নাফিসার পাশেই দাঁড়িয়ে ছিলো। ইমা আপু এসেই স্টেজে উঠে পড়লো, সাথে ফাহিম ভাইয়াও।
ইমা- নাফিসায়ায়ায়া! মাশাল্লাহ কতো সুন্দর লাগছে!
নাফিসা- সুন্দর না, সুন্দরী।
ইমা- হিহিহি…. আচ্ছা, সুন্দরী।
মাহিন- বেয়াই সাহেব এতো তারাতাড়ি চলে এলেন যে! গেইটে তো আপনাকে বরন করার জন্য লোক দাড়িয়ে আছে! এখন আমি বরন করে নিবো নাকি?
মাহিন ভাইয়া হঠাৎ ফাহিম ভাইয়াকে বেয়াই বলায় সবাই অবাক হয়ে তারপর হেসে উঠলো!
ফাহিম- হাহাহা….. থাক বেয়াই, আমাকে বরন করা লাগবে না!
মাহিন- শালাকে গেইটে একা ফেলে চলে এলেন কেন! ভয় পাবে তো! দুলাভাই সাহস না যোগালে কিভাবে হবে! তাছাড়া দুলাভাইয়ের চাপা দরকার ছিল!
ফাহিম- শালার পক্ষে সাহস দেওয়া আর চাপা করার জন্য শালার ভাই-বন্ধুরা আছে। ঝামেলা থেকে যত দূরে থাকা যায়, ততই ভালো।
মাহিন- ভয়ে, দুলাভাই পালাইছে! হাহাহা….
নাফিসা- ভাইয়া কোন পক্ষ বেশি চাপা করছে?
শান্তা- আয় তোকে নিয়ে দেখাই..
নাফিসা- ওকে, চলো।
শান্তা- সাহস কতো বড়। বসে থাক চুপচাপ।
ইমা- হিহিহি…. খেয়েছিস?
নাফিসা- হুম।
বড়পক্ষ একের পর এক সবাই এসে নাফিসাকে দেখলো, টুকটাক কথা বললো। বেশ কিছুক্ষণ পর নাফিসার ফ্রেন্ডরা এলে ভাইয়া-আপুরা স্টেজ থেকে নেমে গেলো। তারমানে এইমাত্র গেইট ছেড়েছে তারা। এক এক জন এক এক কথা বলছে বর পক্ষকে নিয়ে।
নাফিসা- কতো টাকা পাইছোস?
শিহাব- আর কথা বলিস না! তোর জামাই একটা কাইস্টা! আধঘন্টা চাপা করে দুহাজার টাকা পাইছি!
অন্তু- বাবাগো বাবা! তোর ননদগুলা তো ডাইনী! আর ছেলে গুলো তো আছেই! দিনা পানি ঢাল আমার মাথায়!
দিনা- দূরে গিয়ে মর। আমার গলা শুকায় গেছে!
নাফিসা- হিহিহিহি…. আমার টাকাটা দিয়ে দে এবার।
শিহাব- কিইইইইইই! এখানে শান্তিতে বসে বসে ভাগের চিন্তা করো!
নাফিসা- মানে! দিবিনা?
অন্তু- বইন, তোর না আজ বিয়ে! বিয়ের দিন কেউ রাগ করে! জুতা চুরির পর যা পামু, তার থেকে ভাগ দিমু। বুঝছো! এই টাকা তো আমরা ঠান্ডা হইতেই খরচ হয়ে যাবে! আবার সাঈদসহ তোর কয়েকটা কাজিন আছে! শিহাব, আয়। বাইরে হাওয়া খাইতে যাই….
দিনা বাদে সবাই কেটে পড়লো।
নাফিসা- মতলব বাজ সব!
দিনা- হিহিহি….. অন্যের বিয়েতে তুমিও মতলব বাজ! নিসার বিয়েতে কি করছো মনে নাই! ৫০% ই তুমি একা নিয়ে ভাগছো!
নাফিসা- অতীতের কথা ভেবে কষ্ট পেতে নেই। বর্তমানকে নিয়ে ভাবো বাছা!
দিনা- হ্যাঁ, নিজের বেলায় ষোল আনা!
নাফিসা- নিসাকে মিস করছি রে খুব!
দিনা- আমিও।
নাফিসা- ভাইয়া আসেনি কেন?
দিনা- ঢাকার বাইরে আছে। আর আসেনি ভালোই হয়েছে আমার জন্য! হিহিহিহি……
.
খাওয়াদাওয়ার পর ইমরানকে এনে নাফিসার সাথে বসালো। এর আগে ইমা আপু এসে নাফিসাকেও অল্প খায়িয়ে দিয়ে গেছে। ফটোগ্রাফার এসে আবার সেই তামাশা শুরু করেছে। নাফিসা এক পায়ের জুতা খুলে ইমরানের পায়ে খোচাচ্ছে! ইমরান তার দিকে তাকাতেই ফিসফিসিয়ে বললো,
নাফিসা- জুতা পড়ে আছো কেন! তাহলে চুরি করবে কিভাবে!
ইমরান- চুরি যাতে না করতে পারে সেজন্যই পড়ে আছি। আর বর্তমানে সোফার স্টেজ করার আইডিয়াটা ভালোই হয়েছে। চোরের উৎপাত কমেছে!
নাফিসা- জুতা খুলো।
ইমরান- কেন?
নাফিসা- জুতা চুরি করবো আমি।
ইমরান- কিইইই! এই প্রথম দেখলাম কনে বরের জুতা চুরি করে! তাও আবার বরকে জানিয়ে! চোর হলেও মানুষ ভালো!
নাফিসা- হুম….
ইমরানের ইচ্ছে করছে হা হা হা করে মন খুলে হাসতে। কিন্তু লোকজনের জন্য পারছে না! সবাই একটু চোখ আর কান বন্ধ করুন তো। ইমরান প্রান ভরে হাসুক!
এই পাঠকগন, আপনারাও করুন!
.
হইছে! অনেক খাইছেন! এবার গিফট দেন….

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here