অদ্ভুত_মেয়ে (season 2) Part- 14

0
2834

অদ্ভুত_মেয়ে (season 2)
Part- 14
Writer: #Nur_Nafisa
.
.
বিয়ে পড়ানোর পূর্ব পর্যন্ত নাফিসা খুব আনন্দেই ছিলো। যখন বিয়ে পড়াতে কাজী ও মুরুব্বিরা এলো, বুকের ভেতর কেমন যেন উথাল পাথাল করছে! এমন লাগছে কেন! নিজের কাছেই এর উত্তর জানা নেই! এতোক্ষণ তো হাসিখুশিই ছিলো! এখন সেই হাসি কোথায় পালিয়ে গেলো! অনেক খারাপ লাগছে নাফিসার কাছে। দম বন্ধ হয়ে আসছে নাকি তার! সিগনেচার করার জন্য রেজিস্ট্রি পেপার এগিয়ে দিলে কলমটাও ঠিকমতো ধরতে পারছে না! হাত কাপা শুরু করেছে । পাশে বসে থাকা ইমরানও লক্ষ্য করেছে নাফিসার হাত কাপছে! নাফিসা নিজের উপরই নিজে বিরক্ত হচ্ছে! ইমা আপু পাশে বসে নাফিসাকে ধরে বললো সিগনেচার করতে। ইমা আপুর দিকে তাকাতেই আপু হকচকিয়ে গেল! একটু আগেও তো হাসছিলো মেয়েটা! এখন তার চোখে পানি! আপুর দিকে তাকিয়ে আবার নিচের দিকে তাকালো। এখন তো কাগজটা ও দেখতে পারছে না! সব ঝাপসা দেখছে! কাজী আরো কয়েকবার বলার পর নাফিসা চোখ বুজে পানি ফেলে হালকা ঝাপসা চোখে দেখেই কোনোমতে কাপা হাতে সিগনেচার করলো। বিয়ে পড়ানোর বাকি কাজ গুলোও ধীরেধীরে সম্পন্ন হলো কিন্তু নাফিসা একদম স্টেচু হয়ে গেছে! আজ তার খুব বেশি মনে পড়ছে মায়ের সেই কথাটা! “দুদিন পর বিয়ে হলে তো সেখানেই থাকবি! এই কয়টা দিন আমার কাছে থাক! একটা ছেলেমেয়েরও মায়ের প্রতি টান নেই!” শান্তা আপুও বলেছিলো, নারায়ণগঞ্জ যাওয়াটা কি জরুরি ছিলো! মা একা বাসায়! একটা মানুষ সাথে থাকলেও তো দুটো কথা বলে সময়টা কাটে!”
আজ সে চলে যাবে! মা একা থাকবে! না সে যাবে না! না, আবার তো আসবেই! সেটা তো মামার বাড়ি! যখন ইচ্ছে তখনই চলে আসবে!
স্ট্যাচু হয়ে নাফিসা বিভিন্ন কথা ভাবছে! আশেপাশের কিছু তার কানে যাচ্ছে না! বিদায় নিয়ে রওনা দিবে তাই ইমা আপু টেনে বসা থেকে উঠালো। শান্তা আপু সামনে এলো। আপুর চোখে পানি, তবুও মুখে হাসি নিয়ে জড়িয়ে ধরলো নাফিসাকে। নাফিসাও ধরলো। তার চোখে পানি আছে কিন্তু আর কোন প্রতিক্রিয়া নেই! শান্তা আপুকে জরিয়ে ধরার সময় বাবাকেও দেখেছিলো। কিন্তু বাবা এখন এখানে নেই! মা কাছে আসতেই জড়িয়ে ধরে হাউমাউ করে কেদে উঠলো! মা ও কাদছে! নাফিসা মায়ের গলা জড়িয়ে ধরেছে আর ছাড়ছেই না! তারপর কি হলো! আর কিছু মনে নেই!
.
চোখ খুলে ইমা আপুকে দেখলো, ছোট মামিকে দেখলো। আর কেউ নেই! চোখ ঘুড়িয়ে দেখলো সে নানুর রুমে শুয়ে আছে! উঠে বসতে গেলে মাথা ব্যাথা অনুভব করলো!
নাফিসা- উফ্!
ইমা- কি হয়েছে? মাথা ব্যথা করছে?
নাফিসা- হুম।
মামী- মুভ ওয়েনমেন্ট দিবো?
নাফিসা- দাও।
মামী চলে গেলো ওয়েনমেন্ট আনতে।
নাফিসা- আমি এখানে চলে এলাম কিভাবে!
ইমা- কেন? কোথায় ছিলি?
নাফিসা- বাসায়, সোফায় বসে ছিলাম! কাজী একটা পেপার দিলো!
ইমা- তারপর?
নাফিসা- তারপর এখানে এলাম কিভাবে!
ইমা- হাহাহা…. তারপর কান্নাকাটি করে বেহুশ হয়ে গেছেন। ওই অবস্থায়ই ধরাধরি করে গাড়িতে উঠিয়েছি। প্রায় দেড় ঘন্টা জার্নি করে নারায়ণগঞ্জ এসেছি। গাড়ি থেকে নামিয়ে ইমরান কোলে করে দোতলায় দাদুর রুমে এনেছে! বেহুশ থাকায় শুধু বরন করাটা হলো না!
নাফিসা- তোমরা কিডন্যাপার!
ইমা- হোয়াট!
নাফিসা- কিডন্যাপার ই তো এভাবে বেহুশ করে ধরে নিয়ে আসে মানুষ!
ইমা- তোর মাথা কি একেবারেই গেছে নাকি!
নাফিসা মাথায় হাত দিয়ে বললো,
নাফিসা- না, আমার সাথেই আছে!
ইমা- ওই শুন, আমরা কিডন্যাপ করিনি। বউ আনতে গেছি, বউ বেহুশ হয়ে গেছে, ফিরতে দেড়ি হবে তাই এভাবেই নিয়ে এসেছি! এতো কষ্ট করে একটা মানুষকে সযত্নে অচেতন অবস্থায় ঢাকা থেকে নারায়ণগঞ্জ এনেছি, এখন আমাদের কিডন্যাপার উপাধিতে ভূষিত করছিস!
নাফিসা- সযত্নে আনলে অচেতন হলো কিভাবে?
ইমা- তোর না মাথা ব্যাথা করছে! এতো কথা বলে তো এখন আমার মাথা ব্যাথা ধরায় দিবি! একদম চুপচাপ বসে থাক!
নাফিসা- এভাবে আমার মাথা ব্যাথা কমাচ্ছি!
ইমা- কথা বললে মাথা ব্যাথা কমে! আজ প্রথম শুনলাম!
নাফিসা- মামি কি নিজেই ওয়েনমেন্ট হয়ে গেলো নাকি!
ইমা- পায় না হয়তো।
নাফিসা- বিয়ে শেষ না? এসব খুলে ফেলি এবার! আমার জামাকাপড় নিয়ে আসো নাই?
ইমা- হুম এনেছি। কিন্তু এখন চেঞ্জ করবি না।
নাফিসা- কেন?
ইমা- কারো দেখা বাকি আছে!
নাফিসা- সবাই তো দেখলো! আবার কে দেখবে!
এমনি ছোট মামি আর বড় মামি প্রবেশ করলো রুমে।
নাফিসা- অহ! বড় মামির কথা বলছো! আসসালামু আলাইকুম মামি।
মামি- ওয়ালাইকুম আসসালাম। মাথা নাকি ব্যাথা করছে? দেখি…
নাফিসা- ব্যাথা দেখা যায় না, অনুভব করা যায়।
মামি- আচ্ছা! এই তো নাফিসা এখন ঠিক আছে! কান্না করছিলি কেন ও বাড়িতে? এটা মামার বাড়ি না? আর কান্না করবি না।
নাফিসা- কখন কান্না করলাম!
ইমা- ভিডিও আছে ভিডিওম্যানের কাছে। দেখাবো নে!
নাফিসা- কান্নাও ভিডিও করে!
ইমা- হিহিহি…. চুপ থাক এবার একটু। না হয় মাথা ব্যাথা আরো বাড়বে। চাচি ওটা দাও, আমি লাগিয়ে দেই।
ছোট মামি ওয়েনমেন্ট ইমা আপুর কাছে দিয়ে বড় মামির সাথে নিচে চলে গেলো।
নাফিসা- বাকি সব কই?
ইমা- নিচে সবাই আড্ডা দেয়। আর কতগুলো ছাদে।
নাফিসা- বিয়ে বাড়ি মনেই হচ্ছে না! কারো সাড়া নেই। কার মনে এতো দুখ লাগছে, এমন মনমরা গান শুনতাছে!
ইমা- হাহাহা…. ইমরানের বন্ধুরা ছাদে। ওরাই শুনছে হয়তো!
নাফিসা- মামি তো দেখলো, এবার চেঞ্জ করে ফেলি।
ইমা- না। আরো কেউ বাকি আছে।
নাফিসা- আবার কে?
ইমা- ইমরান।
নাফিসা- ভাইয়া তো দেখছেই!
ইমা- দেখেনি।
নাফিসা- দেখছে, দুপুরে। আমার সাথে বসেও থাকলো, আবার না বললা, কোলে করে আনছে!
ইমা- এতো কথা বলছ কেন! চুপ করে বসে থাক। ইমরান আবার দেখলে পড়ে চেঞ্জ করবি।
নাফিসা- কোথায় ভাইয়া, ডেকে আনো। বিরক্ত লাগছে আমার!
ইমা আপু ওয়েনমেন্ট লাগাতে লাগাতে এবার রেগে তাকালো নাফিসার দিকে। নাফিসা এ নিয়ে আর কিছু বললো না।
নাফিসা- ওয়াশরুমে যাবো।
ইমা- চল।
নাফিসা বেরিয়ে ইমরানের রুমের দরজা ধাক্কা দিয়ে দেখলো লক করা!
নাফিসা- এই রুমে আবার কে বসে আছে!
ইমা- এটা লক করা। ওয়াশরুম তো বাইরেই আছে। ওটায় যা।
নাফিসা ওয়াশরুম থেকে এসে আবার নানুর রুমে বসে রইলো। ছোট মামি খাবার দিয়ে গেলে নাফিসাকে খায়িয়ে ইমা আপুও খেয়ে নিলো। রাত এগারোটার পর নাফিসাকে রুমে ঢুকিয়ে সবাই নিচে চলে গেলো! একটু পর ইমরান এসে দরজা ধাক্কা দিতেই দেখলো দরজা ভেতর থেকে লক করা! ইমরান কয়েকবার নক করলো। কোনো সাড়া নেই! ইমরান ভাবছে, ঘুমিয়ে পড়েছে নাকি! কি অদ্ভুত মেয়ে! আমাকে বাইরে রেখে দরজা লক করেছে কেন! এখন কেউ উপরে এলে কি ভাববে! আবার নাফিসাকে ডাকতে লাগলো, এবার নাফিসা দরজার কাছে এসে বললো,
নাফিসা- আরে দাড়াও আসছি। আমার বকশিস দাও আগে, পরে দরজা খুলবো।
ইমরান- কিসের বকশিস?
নাফিসা- এই যে তুমি রুমে ঢুকবে, সেটার বকশিস!
ইমরান- রুমে ঢুকার বকশিস এই মাত্র সিড়িতে উঠার আগে হিমার কাছে দিয়ে এলাম।
নাফিসা- ওটা তো সিড়িতে উঠার বকশিস দিয়েছো! এখন রুমের দরজা ভেদ করতে আমাকে দাও।
ইমরান- কদমে কদমে আমাকে বকশিস দিয়ে যেতে হবে!
নাফিসা- হ্যাঁ। আর না দিতে চাইলে নানুর রুমে গিয়ে ঘুমায় থাকো!
ইমরান- আমার ওয়ালেট পুরা খালি! যা ছিলো, সব রেখে দিছে!
নাফিসা- তোমার ওয়ালেট কেমন, সেটা জানতে চাইনি।
ইমরান- আরে কি শুরু করলি! কেউ দোতলায় এলে খারাপ ভাববে!
নাফিসা- আমার কি!
ইমরান- বকশিস দিতে হলেও তো দরজা খুলতে হবে। আলমারিতে টাকা আছে, দরজা খুল। আমি রুমে এসে দিচ্ছি।
নাফিসা- দিবা তো?
ইমরান- হুম।
নাফিসা দরজা খুলে দিলো। ইমরান ভেতরে প্রবেশ করে আবার দরজা লাগিয়ে দিলো। আলমারির দিকে যেতে নিলে নাফিসা আবার বাধা দিলো!
নাফিসা- এই দাড়াও দাড়াও….
ইমরান- কি?
নাফিসা মাথার ঘোমটা টা আরেকটু সামনে টেনে কপাল পর্যন্ত এনে ইমরানকে সালাম করলো। ইমরান কিছুটা অবাক হলো, আবার খুশিও হলো। কিন্তু কিছু বললো না, চুপচাপ দাড়িয়ে ছিলো।
নাফিসা- রুমে এসেছো এবং আমি সালাম করেছি। সুতরাং সালামি কিন্তু ডাবল!
ইমরান মুচকি হেসে আলমারির দিকে পা বাড়ালে নাফিসা আবার বাধা দিলো!
ইমরান- আবার কি?
নাফিসা- আমাকে দেখো ভালো করে।
ইমরান- মানে!
নাফিসা- ইমা আপু বললো, তুমি নাকি আমাকে দেখোনি! তাই এতোক্ষণ ধরে আমাকে চেঞ্জ করতে দেয়নি! এবার ভালো করে তারাতাড়ি দেখো, আমার বিরক্ত লাগছে এসব!
ইমরান- চেঞ্জ করে ফেল।
নাফিসা- না, আগে দেখো।
ইমরান পা থেকে মাথা পর্যন্ত একবার তাকিয়ে ভালোভাবে দেখে নিলে নাফিসা জানতে চাইলো দেখা হয়েছে কিনা! ইমরান মাথা নেড়ে হ্যাঁ সূচক জবাব দিলো। ইমরান আলমারি খুলে টাকা নিতে গেলে নাফিসা বললো,
নাফিসা- টাকা এখন দিতে হবে না, রেখে দাও তোমার কাছে। পরে নিবো।
ইমরান- ওকে।
ইমরান টি শার্ট আর প্যান্ট নিয়ে ওয়াশরুমের দিকে পা বাড়ালে নাফিসা বললো সে আগে যাবে। ইমরানও সম্মতি দিলো। জামাকাপড় বের করার জন্য লাগেজের সাথে কতোক্ষন যুদ্ধ করেও খুলতে পারলো না নাফিসা। অবশেষে ইমরান খুলে দিলো। গহনা খুলে সুতি থ্রিপিস নিয়ে চেঞ্জ করে এলে ইমরান চেঞ্জ করতে গেলো। ইমরান ওয়াশরুম থেকে বের হয়ে অবাকের উপর অবাক হয়ে আছে! ফুলে সজ্জিত বিছানার মাঝখানে কোল বালিশ রাখা! তাও একটা না! দুইটা না! তিন তিনটা কোল বালিশ উপর উপর করে রাখা! বিছানার অর্ধেক জায়গায় নাফিসা শুয়ে আছে, আর অর্ধেকের মধ্যে কোলবালিশ + ইমরানের জন্য খালি জায়গা! ইমরান নাফিসার সামনে গিয়ে দাড়ালো!
ইমরান- এসব কি?
নাফিসা- কোন সব?
ইমরান- বিছানার মাঝখানে কোল বালিশ কেন?
নাফিসা- ওহ! আমার সাথে কেউ ঠেকলে আমি ঘুমাতে পারি না। তাই কোল বালিশ রাখছি। সাবধানে উঠো! উপর উপর করে রাখছি তো, নাড়া লাগলে পড়ে যাবে।
ইমরান- কোল বালিশ রাখছিস ভালো কথা, কিন্তু আমার জায়গায় কেন? আমি ঘুমাবো কই?
নাফিসা- তোমার জায়গায় হতে যাবে কেন? দেখো, অর্ধেক খাট তো আমার তাই না! এই যে আমি অর্ধেক নিয়েছি বাকিটা তোমার।
ইমরান- আমার অর্ধেক তো কোল বালিশই মেরে দিছে! প্রব্লেম তোর, তোর ওদিকে নে!
নাফিসা- প্রব্লেম আমার না, প্রব্লেম তোমার! ঘুমের মধ্যে তুমি এদিকে চলে আসবা! তাইতো দিছি!
ইমরান- আমি ঘুমের মধ্যে এতো নড়াচড়া করি না। সরা এখান থেকে!
নাফিসা- আয়ায়া! খবরদার, সরাবা না! তুমিতো ঘুমায়ই থাকো, বুঝো কিভাবে নড়াচড়া কর কিনা! রুমে ঢুকতে দিছি এটাই বেশি! এমনিতেই জুতা চুরি করতে দাও নাই!
ইমরান- আল্লাহ! এ কোন মেয়ের পাল্লায় ফেলছো!
নাফিসা- অদ্ভুত মেয়ে!
ইমরান- শুধু অদ্ভুত না, অদ্ভুতের চেয়েও অদ্ভুত মেয়ে!
নাফিসা- আচ্ছা! লাইট অফ করো এবার! শুভ রাত্রি।
ইমরান লাইট অফ করে এই অল্প জায়গাতেই শুয়ে পড়লো। ঘুম এসে মাত্রই চোখে উকি দিছে এমন সময় চালডালের বস্তা এসে বুঝি ইমরানের উপর পড়লো! ইমরান চোখ খুলে শোয়া থেকে উঠে বসে ড্রিমলাইটের আলোতে দেখলো, সবার উপরে রাখা কোল বালিশটা ই তার উপর পড়ছে! এমনিতেই ফুলের গন্ধে ঘুম আসছিলো না, তারউপর এই কোলবালিশ! রেগে তার ইচ্ছে করছিলো কোল বালিশটা ঢিল মেরে নাফিসার উপর ফেলতে! কিন্তু রাগটা নাফিসার উপর না ঝেড়ে মেঝের উপর ঝাড়লো! কোল বালিশটা ঢিল মেরে মেঝেতে ফেলে দিলো! বাকি দুটাতেও হাত দিয়ে আবার সরিয়ে নিলো! সকালে উঠে কোল বালিশ না দেখলে আবার তুমুল কান্ড ঘটাবে নাফিসা! এই মেয়ের সাথে বিশ্বাস নেই! তাই ইমরান কোল বালিশ নাফিসার দিকে একটু চাপিয়ে আবার শুয়ে পড়লো।
.
.
কারো গিফট আমি হাতে পাইনি! সব গুলার পেটে ঘুর্ণিঝড় সৃষ্টি হবে…. কয়েকজন ভেতরে হাওয়া ভরে বাক্স দেখায় দিছে, যার যার বাক্স উঠায় নেন। শুধু শুধু পরিবেশ দূষণ! আইনের লোক দেখলে দণ্ডবিধান হবে! খালি হাতে দাওয়াত খাওয়ার অভ্যাস পাল্টান! এসব আমার পছন্দ না, তাই কাউকে রিসিপশনে দাওয়াত করবো না!
আর অনেকে বলছে বিয়ের দাওয়াত পায়নি! আমি দাওয়াত দিয়েছি সবাইকে, ওরা মিস করলে আমার কি!

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here