অদ্ভুত_মেয়ে (season 2)
Part- 20
Writer: #Nur_Nafisa
.
.
নাফিসাসহ সবাই এক দৌড়ে তাদের বাসায় চলে এলো। ভাগ্যিস! বাসার সামনে রাস্তায় কেউ ছিলো না!
পায়ে তো কাদা লেগে আছে, এখন ভেতরে যাবে কিভাবে! কিছু করার নেই, এভাবেই যেতে হবে। মেইন দরজা খোলাই ছিলো। তারা দরজা আস্তে আস্তে ধাক্কা দিয়ে ভয়ে ভয়ে ভেতরে প্রবেশ করলো। মেঝ মামা ড্রয়িং রুমেই বসে ছিলো। কাদামাক্ত ভুত গুলোকে দেখে মামা বললো,
মেঝ মামা- এসব কি অবস্থা তোদের! গায়ে কাদা লাগলো কিভাবে! কোথায় গিয়েছিলি?
নাফিসা- ঘুরতে গিয়েছিলাম ধান ক্ষেতের ওদিকে। সেখানে গিয়ে পড়ে গেছি।
মেঝ মামা- সবাই পড়ে গেছোস! সবার এক অবস্থা কেন!
ছোট মামি মেঝ মামার কথা শুনে ড্রেসিং রুমে এলো।
ছোট মামি- হায় হায়! এ কি অবস্থা! কাদায় গড়াগড়ি খেলছো!
নাফিসা- গল্প পড়ে শুনাবো, আগে ফ্রেশ হতে দাও।
নাফিসাকে অনুসরণ করে সবাই দ্রুত দোতলায় চলে গেলো। রুম তো সব তালা দেওয়া! বড় মামির কাছে চাবি রেখেছিলো তখন! এবার কি হবে! বিপদ একটা না একটা সামনে এসেই থাকে! রেহানকে কতোক্ষন ধাক্কালো চাবি আনার জন্য। রেহান তার মায়ের ভয়ে নিচে যায়নি। নাফিসা অর্ধেক সিড়ি পর্যন্ত এসে বড় মামিকে জোরে ডেকে বললো, একটু কষ্ট করে চাবিটা যেন উপরে দিয়ে যায়। বড় মামি চাবি এনে তাদের দেখে হা হয়ে আছে!
বড় মামি- এসব কি অবস্থা করেছস! সেখান থেকে এভাবে বাসায় ফিরছোস! এমন হবে আগে জানলে কখনোই যেতে দিতাম না।
নাফিসা- চাবি দাও। আমিই জানতাম নাকি এমন কিছু হবে!
বড় মামি- কিভাবে হলো?
নাফিসা- পড়ে গেছি।
বড় মামি- সবাই একসাথে পড়ছস?
নাফিসা- একজন পড়ছি তাই সবাইকে কাদায় মাখাইছি।
হিমা- চাচি মাকে বলো না কিছু। আর ছোট চাচি বলে দিলেও তুমি একটু হ্যান্ডেল করো প্লিজ। মা যেন না মারে।
বড় মামি- দেখছোস কি অবস্থা করছে! তোর মা কি মারবে, আমি বেত রেডি করতাছি দাড়া! আরো যেতে দিবো বাড়ির বাইরে! গোসল কর জলদি!
নাফিসা- মামি দাড়াও। ভাইয়ার জামাকাপড় নিচে নিয়ে যাও। ভাইয়া যেন উপরে না আসে।
বড় মামি- উপরে এলে কি হবে?
নাফিসা- আজ সবাইকে মারবে।
বড় মামি- দুষ্টুমি করলে তো মারবেই!
নাফিসা- আগে তো ভাইয়াই দুষ্টুমি করছে। পরে আমরা করছি।
বড় মামি- ইমরান কই?
নাফিসা- পুকুরে গোবর ধোয়!
বড় মামি- কিইই!
নাফিসা- ভাইয়া গোবরে পিছলে পড়ে গেছে। হিহিহি….
বড় মামি- ভালোই তো! কেউ কাদায়, কেউ গোবরে! জামাকাপড় দে…
নাফিসা ভাইয়ার জামাকাপড় দিয়ে দরজা লক করে আবার খুলে ফেললো। যদি ইমরান এসে আবার দরজা ভাঙতে লাগে! তাই দরজা চাপিয়ে ওয়াশরুমে চলে গেলো।
ইমরান একেবারে পুকুর থেকে গোসল করে বাসায় ফিরলো। ভেজা কাপড়ে উপরে যেতে নিলে বড় মামি নিষেধ করলো। বললো, সব বাথরুম বুকিং তাই যেন নিচ থেকেই গোসল সাড়ে। জামাকাপড় দিলে ইমরান বেশ ভালো করেই বুঝলো এটা নাফিসার কীর্তি। নিচের ওয়াশরুমে ঢুকে ভালোভাবে গোসল শেষ করে উপরে রুমে এলো।
নাফিসা গোসল শেষ করে একটু করে ওয়াশরুমের দরজা ফাক করলো। রুমে চোখ বুলিয়ে আলমারির কাছে ইমরানকে দেখতে পেল। দরজা খোলার শব্দ পেয়ে ইমরান একবার তাকিয়েছিলো। আবার নিজের কাজে ব্যাস্ত হয়ে পড়লো। ইমরানকে তাকাতে দেখে নাফিসা দরজা লাগিয়ে দিলো। এখন বের হবে কিভাবে! মামিকে তো বলেছিলো ভাইয়াকে যেন উপরে না আসতে দেয়! ওফফ! সারাদিন কি ওয়াশরুমেই বসে থাকবে এখন! আবার দরজা একটু ফাক করে দেখলো ইমরান ড্রেসিং টেবিলের সামনে দাড়িয়ে পাঞ্জাবি পড়ছে। “ওফ্ফ, আজ তো শুক্রবার, মামির হাতে টিশার্ট কেন পাঠিয়েছি!এজন্যই তো উপরে এসেছে! কিন্তু আযান পড়তে তো অনেক দেড়ি, ভাইয়া এখন পাঞ্জাবি পড়ছে কেন!” নানান কথা চিন্তা করতে করতে নাফিসা দরজা ফাক করে মাথাটা বের করে বললো,
নাফিসা- আযান দেয়নি তো, এখনই পাঞ্জাবি পড়ছো!
ইমরান তার কথায় কোন প্রতিক্রিয়া করলো না। তাই নাফিসা আবার বললো,
নাফিসা- ভাইয়া, কোথায় যাও তুমি?
ইমরান এবারও কোনো কথা বললো না। নাফিসা নিজের সাথে ফিসফিসিয়ে বলতে লাগলো, ” কথা বলে না কেন! কোন খিচুড়ি পাকাচ্ছে মনে মনে! দুষ্টুমি কি বেশি করে ফেললাম! আল্লাহ বাচাও আমাকে। ওয়াশরুম থেকে বের হওয়ার সুযোগটা দাও। ইমরান চুল ঠিক করে বডি স্প্রে হাতে নিলো। এটাই সুযোগ, নাফিসা হাতে জামাকাপড় নিয়ে ওয়াশরুম থেকে এক দৌড়ে রুম থেকে বেরিয়ে ছাদের সিড়ির কাছে এলো। পেছনে তাকিয়ে দেখলো ইমরান আসছে না। কেউ তাকে ফিসফিসিয়ে ডাকছে। হিমাদের রুমের দিকে তাকিয়ে দেখলো হিমা হিয়া রেহান দরজা একটু ফাক করে মাথা বের করে রেখেছে।
হিয়া- আপু, ভাইয়া কি রুম থেকে নিচে গেছে?
নাফিসা- সাজুগুজু করছে, কোথাও যাবে মনে হয়।
হিমা- আমার কাপড়গুলো নিয়ে যাও।
নাফিসা- লাথি খাবি।
নাফিসা দ্রুত পায়ে সিড়ি দিয়ে উঠতে লাগলো। নাফিসাকে দেখে একটু সাহস হয়েছে তাই তারা তিনজনও নিজেদের ভেজা কাপড় নিয়ে দৌড়ে ছাদের দিকে যেতে লাগলো। নাফিসা দরজা বন্ধ করার আগেই তারা এলো। সবাই এলে নাফিসা ছাদের দরজা বন্ধ করে দিলো। শুকানোর জন্য কাপড়চোপড় মেলে দিয়ে সেখানেই বসে রইলো। ইমরান বের না হওয়া পর্যন্ত নিচে নামবে না। একটু পর দরজায় ঢোল বাজতে লাগলো।
ইমরান- নাফিসায়ায়ায়া……
নাফিসা- কিইইইই…..
ইমরান- নিচে আয়।
নাফিসা- কেন?
ইমরান- আমার মোবাইল কই?
নাফিসা- আমি কি জানি?
ইমরান- তুই ছাড়া কে ধরবে! তারাতাড়ি খুঁজে দিয়ে যা…
নাফিসা- এহহ! আমাকে মারার জন্য সব বাহানা!
ইমরান- এখন কিন্তু দরজা ভেঙে আসবো। তারাতাড়ি খুজে দিয়ে যা।
নাফিসা- তোমার মোবাইই….ইল, ওহ, আমার পার্সে রাখা আছে। তুমি নিয়ে নাও।
ইমরান- পার্স কই?
নাফিসা- ড্রেসিং টেবিলের ড্রয়ারে।
ইমরান চলে গেলো। তারা সবাই ছাদে হাটাহাটি করছে। ফুলগাছগুলো নেড়েচেড়ে দেখছে। একটু পর রেলিং এর পাশে দাড়িয়ে দেখলো বাসার সামনে থেকে একটা রিকশায় উঠে ইমরান চলে যাচ্ছে। তারা সবাই খুশি হয়ে নিচে নেমে এলো। মামীদের সাথে কিছুক্ষণ সময় কাটালো আর সকালের ঘটনা শোনালো। মামিরা সবাই রেগে গেছে। আর তাদের সাবধান করে দিছে, ভবিষ্যতে কখনো যেন আর এমন না করে। আশেপাশের লোক দেখলে খারাপ মন্তব্য করবে। ইমরান ভাইয়ার কথা জিজ্ঞেস করে জানতে পারলো ভাইয়া কোন এক দাওয়াতে গেছে। তারা আবার দোতলায় চলে এলো। সময়টা কাটানোর জন্য ভাইয়ার ল্যাপটপ খুজতে লাগলো। সবকিছু খুঁজেও ল্যাপটপ পেলো না। ভাইয়া তো আজ সাথে নেয়নি, এটা কি উধাও হয়ে গেছে! থাক, মোবাইলেই দেখবে। নাফিসা পার্সে মোবাইল খুজতে গিয়েও পেল না! তার মোবাইলটাও সাথে নিয়ে গেছে! উফফ! এখন তো ইমরানকে গুলি করতে ইচ্ছে করছে! কিন্তু গুলিই পাবে কোথায়, আর ইমরান ই বা কোথায়!
হিমাদের রুমে গিয়ে সাপলুডু খেলতে লাগলো। হিয়া ছাড়া সবারই চাল উঠে গেছে। রেহান প্রথম সাপের মাথায় পড়লো। আর সাথে সাথে নাফিসা বললো,
নাফিসা- ছি! ছি! অজগর রেহানকে পায়খানা করে দিছে! ওয়াক, কি গন্ধ! দূরে যা….
রেহান- পায়খানা করে দিছে মানে?
নাফিসা- মানে তুই অজগরের মুখে পড়েছিস, অজগর তোকে চিবিয়ে গিলেছে। তারপর তুই পেটে গেছিস, পেট থেকে হজম হয়ে লেজ দিয়ে বেরিয়েছিস। অর্থাৎ হজমের পর সাপের পায়খানা হয়ে বেরিয়েছিস! ছি…..!
প্রথমে কেউ না বুঝলেও এখন বুঝতে পেরে অট্টহাসিতে ফেটে পড়লো। আর সবাই রেহানকে ছি ছি বলে নাক ছিটকাতে লাগলো। বার বার বলায় রেহান কান্না করতে করতে খেলামেলা ডিশমিশ করে দিলো। কিন্তু তারা হাসতে হাসতে রেহানকে রাগাতেই লাগলো আর খাটে গড়াগড়ি খাচ্ছে এক একজন। রেহান সবগুলোকে বালিশ দিয়ে মেরে অবশেষে রুম থেকে বেরিয়ে গেলো।
যোহরের নামাজ পড়ে সবাই লাঞ্চ করে টিভি দেখতে লাগলো। এমন সময় ইমরান বাসায় এলো। নাফিসার দিকে তাকিয়েই একটা দুষ্টুমির হাসি দিলো। সবাই এখন ভয়ে আতঙ্কিত, দৌড়ে পালাবে নাকি এখানেই বসে থাকবে! এতোক্ষণ তো শান্তিতেই ছিলো, এখন আবার অশান্তি! নাফিসা মামিকে উদ্দেশ্য করে আগেই বললো,
নাফিসা- মামি, ভাইয়াকে মারতে নিষেধ করো।
বড় মামি- ইমরান, একটা ছেলেমেয়ের গায়েও হাত তুলবি না বলে দিলাম।
ইমরান- ছেলেমেয়েরা দুষ্টুমি করলে তো শাস্তি পাবেই!
বড় মামি- বাচ্চারা দুষ্টুমি করবেই।
ইমরান- এগুলো বাচ্চা!
বড় মামি- হ্যাঁ বাচ্চাই। গায়ে হাত তুলবি না।
ইমরান- আচ্ছা।
বড় মামি চলে গেলো। ইমরান ভাইয়া সোফায় বসে রিয়াদ আর হিমেলকে ডাকলো। তারা ভাইয়ার কাছে না গিয়ে নাফিসার কাছ ঘেঁষে বসে রইলো।
নাফিসা- কেউ তোমার দলে নেই বুঝতে পেরেছো? পচা লোকের দলে কেউ থাকে না। ছি, গোররের গন্ধ! হিহিহিহি….
বাকিরাও মুখ চেপে হাসতে লাগলো। ইমরান পকেট থেকে দুইটা ডেইরি মিল্ক চকলেট বের করলো। রিয়াদ আর হিমেল তো দৌড়ে সোফা থেকে নেমেই যাচ্ছে। নাফিসা আবার টেনে বসালো।
রিয়াদ- আপু চকলেত..
নাফিসা- যাবি না, আমি চকলেট দিবো।
হিমেল- দাও…
নাফিসা- পরে এনে দিবো।
হিমেল জোর করে হাত ছুটিয়ে চলে গেলো ইমরানের কাছে। রিয়াদকে নাফিসা ছাড়ছে না তাই রিয়াদ হাতে কামড় দিয়ে দৌড় দিলো।
নাফিসা- রিয়াইদ্দার বাচ্চা! যেদিকে খাবার দেখো ওইদিকেই ছুট দাও! এসো আবার আমার কাছে, যেই দাত উঠছে সব ভেঙে ফেলবো।
ইমরান- হাহাহোহো…. কি চকলেট খাইবা? আগে আমার কাজ করো পরে দিবো চকলেট।
হিমেল- ভাইয়া চকলেট দাও।
রিয়াদ ইমরানের কোলে উঠে গালে চুমু দিলো চকলেট নেয়ার জন্য।
ইমরান- এটাতে হবে না। হিমা হিয়া কে মাইর দাও।
সবাই উঠে দৌড় দিতে গেলে ইমরান ড্রয়িং রুমের দরজার সামনে দাড়িয়ে পথ আটকালো। আর একে একে সবাইকে হিমেল আর রিয়াদের হাতে মাইর খাওয়ালো। পিচ্চিদের যেন কিছু না বলে, এটাও সাবধান করে দিলো। ইমরানও একটা করে চিমটি দিলো সবাইকে। পিচ্চিরা বাকিদের মারলেও নাফিসাকে মারতে পারেনি ভয়ে। কিন্তু ইমরানের চিমটিই যথেষ্ট ছিলো। এক এক জনের বকা শুনতে লাগলো ইমরান, বিলাই, ছাগল, কবুতর, হনুমান, ড্রাগন গিরগিটি, গোবরের পোকা। আর সাথে কুশনের ঢিল! ইমরান হাসতে হাসতে রিয়াদ আর হিমেলকে সাথে নিয়ে উপরে চলে গেলো।
নাফিসা- ইমরাইন্নার বাচ্চা, এজন্যই গোবরে পড়ছ তুই!
চিমটিও এতো বিষাক্ত হয়! সবাই আঘাত পাওয়া জায়গা ঘষতে লাগলো। রেহান কান্না করতে করতে বড় মামির কাছে গেলো বিচার দিতে। নাফিসা সারাদিন ইমরান আর রেহানকে দেখলেই বলছে,
নাফিসা- ছিইইইইই….! এক ভাইয়ের শরীরে গোবরের গন্ধ আর এক ভাইয়ের অজগর সাপের টয়লেটের গন্ধ! হিমা হিয়া নাক চেপে ধর। না হয় অসুস্থ হয়ে পড়বি! হিহিহিহি…..
সুযোগ বুঝে হিমা হিয়াও বলে। ইমরান তারটা বুঝলেও রেহানেরটা বুঝে না।
রাতে খাওয়ার সময় হিমা ফিসিফিসিয়ে বললো, “আপু আজ মুভিটার বাকি অংশ দেখবো।”
ইমরান- পিটিয়ে ছাল তুলে ফেলবো একেবারে।
নাফিসা- তোমার কি হয়েছে! তোমার ল্যাপটপ নিবো না। আমার মোবাইল দাও, মোবাইলে দেখবো।
ইমরান- আমি ওয়াই-ফাই বন্ধ করে দিবো।
নাফিসা- মামি দেখো কেমন করে।
বড় মামি- ইমরান, সবসময় এমন করছ কেন! তুই কি ছোট!
ইমরান- তুমি জানো, কাল সাড়ে এগারোটা পর্যন্ত ভুতের মুভি দেখছে। এক একজন ভয়ে কুকরে গেছে। আর একজন মাঝ রাতে ঘুমের মধ্যে কান্না করা শুরু করেছে আর আমার ঘুম হারাম।
মেঝ মামি- ইমরান তুমিই ঠিক। কাউকে ল্যাপটপ ফোন দিবা না। সবগুলো ফাজিল হয়ে গেছে। কথা না শুনলে মাইর দিয়া ভর্তা বানায় ফেলবা।
বড় মামি আর কিছু বললো না। নাফিসাও খাওয়া রেখে কয়েক সেকেন্ড হা করে ইমরানের দিকে তাকিয়ে ছিলো। সত্যিই সে কান্না করেছে রাতে! এজন্যই তাকে জড়িয়ে ধরে ঘুমিয়েছিলো সকাল পর্যন্ত!
সবাই চুপচাপ খাওয়া শেষ করে যার যার রুমে চলে গেলো। আজ আর মুভি দেখা হয়নি। ঘুমানোর সময় নাফিসার ইচ্ছে করছে আজও ইমরানের বুকে মাথা রেখে ঘুমাতে। কিন্তু সেটা বলবে কিভাবে! সারাদিন ঝগড়া করে তো বিপরীতে দল বেধেছে! ইমরান কি বুকে নিবে তাকে। ইমরান টিশার্ট পড়ে মাঝখানে কোলবালিশ রেখে লাইট অফ করে শুয়ে পড়লো। ড্রিম লাইটটা জ্বালিয়ে রাখলো। নাফিসা তার আগে খাটে উঠেছে, কিন্তু এখনো বসে আছে। তাই জিজ্ঞেস করলো,
ইমরান- বসে আছিস কেন?
নাফিসা মনে সাহস নিয়ে চোখ বন্ধ করে দ্রুত বলে ফেললো,
নাফিসা- কালকের মতো তোমার বুকে মাথা রেখে ঘুমাতে দিবে?