অদ্ভুত_মেয়ে (season 2) Part- 23

0
2631

অদ্ভুত_মেয়ে (season 2)
Part- 23
Writer: #Nur_Nafisa
.
.
ইমরানের হাতে ঝাড়ু! নাফিসা বড় বড় চোখ করে একবার ঝাড়ুর দিকে তাকালো আর একবার ইমরানের দিকে তাকালো। ইমরান দরজা লাগিয়ে নাফিসার কাছে এলো। নাফিসা কিছুই বুঝতে পারছে না, শুধু দাড়িয়ে দেখছে। নাফিসার হাতে ঝাড়ু দিয়ে ইমরান হাটু ভাজ করে মেঝেতে বসে পড়লো।
ইমরান- সেদিন মারতে না পারায়ই তো কথা বলছিস না। আজ মার, আমি কোথাও পালাচ্ছি না। মার….
নাফিসার খুব রাগ হচ্ছে, কষ্টও লাগছে খুব। ইমরান ভাবলো কিভাবে সে তাকে ঝাড়ু দিয়ে মারবে কখনো! সেদিন এমনিতেই তাড়া করার জন্য ঝাড়ু হাতে নিয়েছিলো। নাফিসার চোখ থেকে টুপটাপ পানি পড়ছে। ইমরান নিচে বসে নাফিসার দিকে তাকিয়ে আছে।
ইমরান- কি হলো! মার…
নাফিসা রেগে ঝাড়ু ঢিল মেরে দরজার দিকে ফেলে দিলো। সেখান থেকে সরে এসে খাটে পা ঝুলিয়ে বসলো। ইমরান না উঠে এখান থেকে হাটুতে ভর করে হেটে হেটে নাফিসার কাছে এলো। নাফিসার চোখ থেকে এখন আরো বেশি পানি পড়ছে। ইমরান হাত বাড়িয়ে নাফিসার চোখের পানি হাতে নিয়ে হাতের দিকে তাকিয়ে বললো,
ইমরান- চোখের পানি তো গরম হওয়ার কথা! এটা তো একদম শীতলক্ষ্যার পানির মতো শীতল!
এবার নাফিসা কান্নার মাঝেই হেসে উঠলো। ইমরানকে ধাক্কা দিয়ে বসা থেকে উঠে গেলো। ইমরানও হাসতে হাসতে উঠে দাড়ালো। নাফিসা ইমরানকে জড়িয়ে ধরে বুকে মাথা রেখে নিশব্দে চোখের পানি ফেলতে লাগলো। নাফিসা এখন এটা করবে ইমরান ভাবতেও পারেনি। আস্তে আস্তে হাত উঠিয়ে সে ও জড়িয়ে ধরলো এবং থুতনি নাফিসার মাথায় ঠেকিয়ে রাখলো। নাফিসা কাদো কাদো গলায় বললো,
নাফিসা- তুমি ভাবলে কিভাবে আমি তোমাকে ঝাড়ু দিয়ে মারবো!
ইমরান- সেদিন তো বাসায় দরজা ফাক করে দেখেছিলাম একজন ঝাড়ু, একজন ব্যাট, একজন জালি বেত আর একজন খুন্তি নিয়ে বসে আমার অপেক্ষা করছিলো!
নাফিসা ইমরানের বুকে মাথা রেখেই হিহিহি করে হেসে উঠলো। আর বললো,
নাফিসা- তোমাকে তাড়া করার জন্য বসে ছিলাম। তবে কাছে পেলে তোমাকে বল বানিয়ে ব্যাট দিয়ে ক্রিকেট খেলতাম।
ইমরান হেসে উঠলো। নাফিসা সোজা হয়ে বললো,
নাফিসা- তোমার শার্টে ঘামের গন্ধ!
ইমরান- আমি জামাকাপড় নিয়ে আসিনি।
নাফিসা- অফিস থেকে বাসায় যাওনি?
ইমরান- উহুম।
নাফিসা ওয়ারড্রব খুলে একটা শার্ট আর একটা টিশার্ট বের করে বললো,
নাফিসা- টিশার্ট পড়বা? নাকি শার্ট?
ইমরান- এগুলো এখানে কিভাবে?
নাফিসা- বৌভাতের সময়ই রেখে গেছি একটা প্যান্ট একটা শার্ট আর একটা টিশার্ট। আনতে ভুলে গেলে যাতে কাজে লাগে।
ইমরান- ডার্ক ব্লু জিন্স এখানে?
নাফিসা- হুম। কেন?
ইমরান- শুক্রবার দাওয়াতে যাওয়ার আগে খুজেছিলাম।
নাফিসা- এখন বলো কোনটা পড়বে?
ইমরান- আপাতত একটাও লাগবে না। প্যান্ট লাগবে।
নাফিসা ওগুলো রেখে প্যান্ট বের করে দিলো। ইমরান ওয়াশরুমে যেতে যেতে বললো,
ইমরান- ম্যাংগো ফ্লেভার একটা আইস্ক্রিম আছে ফ্রিজে। স্ট্রবেরি টা পাইনি।
নাফিসা দ্রুত রুম থেকে বেরিয়ে ফ্রিজ খুলে আইস্ক্রিম খাওয়া শুরু করলো। মা এক চামচ খেয়ে গেলো। সাঈদ অর্ধেক খেয়ে নিলো। বাবাকে বললো, কিন্তু বাবা খায়নি। নাফিসা বাকিটা খেতে খেতে রুমে এলো। ইমরান একবারে গোসল করে বেরিয়েছে।
নাফিসা- ভাইয়া খাবে?
ইমরান- না, আমি আর সাঈদ একটা খেয়ে এসেছি বাইরে থেকে।
নাফিসা- সাঈদ খেয়েছে!
ইমরান- হ্যাঁ, কেন?
নাফিসা- এখন আবার আমার অর্ধেক শেষ করে দিছে।
ইমরান- হাহাহা…
নাফিসা- রাতের বেলা গোসল করছো! ঠান্ডা লাগলে বুঝো ঠেলা। জামাকাপড় কোথায় রাখছো?
ইমরান- ধুয়ে এঙ্গেলেই রেখে দিছি।
নাফিসা- পাউডার দিয়ে ধুইছো?
ইমরান- উহুম।
নাফিসা- খাটাশ!
নাফিসা আইস্ক্রিম শেষ করে ইমরানের শার্ট প্যান্ট পাউডার দিয়ে ধুয়ে রুমেই জানালার গ্রিলে ছড়িয়ে রাখলো। ইমরান চোখ বন্ধ করে সোজা হয়ে শুয়ে আছে। নাফিসা লাইট অফ করে ইমরানের বুকে মাথা রাখলো। ইমরান বাকা হয়ে নাফিসাকে নিজের সাথে জড়িয়ে নিলো।
নাফিসা- ভাইয়া, তুমি কি আমাকে নিয়ে যেতে এসেছো?
ইমরান- যেতে চাইলে নিবো আর না যেতে চাইলে নিবো না।
নাফিসা- তুমি কি উদ্দেশ্যে এসেছো?
ইমরান- বেড়াতে এসেছি।
নাফিসা- বেড়াতে এসেছো আবার জামাকাপড় ছাড়া!
ইমরান- হাহাহা….বাসায় গেলে নাফিসা গ্রুপের সবাই চলে আসতো।
নাফিসা- হিহিহি…. কতদিন থাকবা?
ইমরান- কাল চলে যাবো।
নাফিসা- আরো দুদিন থাকো।
ইমরান- কেন?
নাফিসা- বেড়াতে এসেছো তাই।
ইমরান- অফিস যেতে হবে। এখান থেকে অফিস যাওয়া কষ্টকর!
নাফিসা- আমি আরও দুতিনদিন থাকতে চাইছিলাম।
ইমরান- ইচ্ছে হলে থাক, ক্লাসও করতে পারবি।
নাফিসা- ভার্সিটি অফ এক সপ্তাহ।
ইমরান- তাহলে কি করবি? থাকবি না চলে যাবি?
নাফিসা- ওকে চলে যাবো।
ইমরান- আমি কিন্তু যেতে বলিনি, তোর ইচ্ছা।
নাফিসা- শনিবার সকালে নিয়ে যাবে? থাকাও হলো, যাওয়াও হলো।
ইমরান- হাহাহা…. ওকে।
.
সকালে আযান দিলে ইমরান নাফিসাকে ডাকতে লাগলো। নাফিসা একদম ঝাপটে ধরে রেখেছে ইমরানকে।
ইমরান- নাফিসা…
নাফিসা- হুম?
ইমরান- আযান দিছে, ওঠ।
নাফিসা- যাও তুমি।
নাফিসা ইমরানকে ছেড়ে দিয়ে অন্যদিকে ঘুরে কাথা মুড়ে শুয়ে আছে।
ইমরান- নামাজ পড়বি না?
নাফিসা- উহুম।
ইমরান বুঝতে পারছে নাফিসার ঘুম কাটেনি। কাথা টেনে ফেলে দিয়ে আবার বললো,
ইমরান- এই ওঠ। আযান দিছে তো!
নাফিসা স্পষ্ট দৃষ্টিতে তাকিয়ে বললো,
নাফিসা- শুনেছি তো।
ইমরান- তাহলে ওঠস না কেন?
নাফিসা কাথা টেনে মাথাসহ ঢেকে বললো,
নাফিসা- যাও তুমি, আমার প্রব্লেম আছে।
ইমরান মুচকি হেসে বিছানা থেকে নামতে নামতে বিড়বিড় করে বললো,
ইমরান- প্রব্লেম আছে, সেটা বললেই হয়।
নাফিসা কাথার নিচে থেকেই বিড়বিড় করে বললো,
নাফিসা- বলেছি ই তো। না বললে জানলে কিভাবে!
.
নাস্তা করে মাত্রই ড্রয়িং রুমে টিভি অন করে বসেছে ইমরান। নাফিসা ইমরানের ফোন এনে দিলো তার কাছে।বড় মামির মোবাইল থেকে হিয়া কল করেছে। মেঝ মামা দুইবোনকে একটা কিনে দিয়েছিলো সেটা ইমরান নিয়ে নিয়েছে। এসএসসি এক্সামের আগে দিবে না। ইমরান লাউড স্পিকারে রেখে কথা বলতে লাগলো,
হিয়া- ভাইয়া..
ইমরান- হ্যাঁ বল।
হিয়া- তুমি কোথায়?
ইমরান- নাফিসা আমি কোথায়?
নাফিসা- পৃথিবীতে, বাংলাদেশের, ঢাকায়, মাটির উপর, ঘরের ভেতরে, টিভির সামনে সোফায় বসা।
ইমরান- আমি পৃথিবীতে, বাংলাদেশের, ঢাকায়, মাটির উপর, ঘরের ভেতরে, টিভির সামনে সোফায় বসা।
হিয়া- ফাজলামো করো! তুমি কাল বিকেলে ফুপির বাসায় গেছো আমাদের নিলে না কেন! আমরা তো স্কুল থেকে তারাতাড়িই ফিরেছিলাম। আজ তো ছুটির দিনই। একা একা বেড়াতে গেছো কেন!
ইমরান- আস্তে বল। ফোনসহ টেবিল কাপছে!
হিয়া- তোমার কান ফাটে না কেন!
ইমরান- হাহাহা…. মোবাইল তো টেবিলের উপর তাই। আর আমি বেড়াতে আসিনি। নাফিসাকে নিতে এসেছি, তাহলে শুধু শুধু তোরা এসে কি করবি?
নাফিসা- কি মিথ্যুক!
হিয়া- আপু, ভাইয়া মিথ্যে বলছে না! তোমাকে আনতে গেছে? তুমি কি আজ চলে আসবা?
নাফিসা- না। কাল আসবো।
ইমরান- বিশ্বাস তো করছ না আমার কথা। আমি কাপড়চোপড়ও আনিনি। বেড়াতে এলে নিশ্চয়ই নিয়ে আসতাম।
হিয়া- বিশ্বাস করবো কিভাবে! জীবনে বলছো বিশ্বাসের কথা!
ইমরান- আচ্ছা, আমি কিন্তু সাফারি পার্ক নিবো না। তোরা আবার বিশ্বাস করে ফেলিছ না।
হিয়া- সেদিন বেচে গেছো বলে বারবার বেচে যাবে ! না নিলে মাইরা হাড় মাংসের ভর্তা বানাবো।
ইমরান- তারপর সেই ভর্তা হিয়ার শশুর বাড়ির লোকদের দাওয়াত করে খাওয়াবো।
নাফিসা- হিহিহি…
হিয়া- তোমার শশুর বাড়ির লোকদের খাওয়াবো।
ইমরান- হাহাহা… আমার শশুর বাড়ির লোকজন তোর কি হয়? ফুপা ফুপিকে খাওয়াবি?
হিয়া- দূর…!
হিয়া কল কেটে দিলো। শুক্রবার এবাড়িতে কাটিয়ে শনিবার সকালে ইমরানের সাথে নারায়ণগঞ্জ চলে এলো নাফিসা। ইমরান নাফিসাকে বাসায় দিয়ে অফিস গেছে। নিত্যদিনের মতোই তার দিন কাটতে লাগলো এখানে।
দুদিন পর …
নাফিসা বললো আজকে রাতের খাবার সে একা তৈরি করবে। মামীরা যেন তাকে কেউ হেল্প করতে না আসে। অফিসে তার কাজ না থাকায় ইমরান আজ একটু তাড়াতাড়িই বাড়ি ফিরেছে। মামারা রয়ে গেছে। দুপুরের লাঞ্চ শেষ করে নাফিসা রাতের খাবার তৈরি করতে লেগে গেলো। বড় মামি এসে বললো,
বড় মামি- দে, আমি কেটেকুটে দেই। তুই রান্না কর।
নাফিসা- কিছু করতে হবে না। বের হও তুমি।
নাফিসা বড় মামিকে ঠেলে বের করে দিলো। এবার ছোট মামি এলো।
ছোট মামি- নাফিসা কি রান্না করবে?
নাফিসা- রান্না শেষ হলেই তো দেখবে। এখন যাও..
ছোট মামি- মশলাটশলা সব আছে? দেখি…
নাফিসা- দেখতে হবে না, যাও….
নাফিসা ছোট মামিকেও ঠেলে কিচেন থেকে বের করে দিলো।
নাফিসা- যতক্ষণ আমি রান্না করছি আর একজনও আসবে না এখানে।
নাফিসা আবার চুলোর পাশে এসে কড়াইয়ে তেল, মশলা দিয়ে রান্না শুরু করলো। ভাত পরে রান্না করবে। মেঝ মামি দরজার বাইরে থেকেই বলতে লাগলো,
মেঝ মামি- নাফিসা, একা একা রান্না করতে পারবে না। আমি এসে হেল্প করি।
নাফিসা- লাগবে না না না না….
নাফিসা এবার কিচেনের দরজা ভেতর থেকে লাগিয়ে দিলো।
মেঝ মামি- এই বোকা মেয়ে, দরজা বন্ধ করেছো কেন! খুলো।
বড় মামি এসে দেখে আবার নাফিসাকে ডাকতে লাগলো দরজা খোলার জন্য।
বড় মামি- নাফিসা দরজা খুল।
নাফিসা- খুলবো না।
বড় মামি- কেউ আসবে না। দরজা খুলে রান্না কর।
দুই মামি অনেকবার বললো কিন্তু নাফিসা দরজা খুললো না। এখন দরজা খুললেই আবার তারা এসে ঘুরাঘুরি করতে লাগবে আর তার কাজে ব্যাঘাত সৃষ্টি হবে। মামিদের ডাকাডাকি শুনে ইমরান ড্রইং রুম থেকে চলে এলো।
ইমরান- কি হয়েছে?
বড় মামি- নাফিসা দরজা বন্ধ করে ভেতরে রান্না করছে।
ইমরান- নাফিসা, দরজা খুল।
নাফিসা- না।
ইমরান- দরজা খুলে রান্না কর। কেউ আসবে না।
নাফিসা- সবাইকে আমার চেনা আছে।
ইমরান- দরজা খুলতে বলছি।
নাফিসা- খুলবো না।
ইমরান- এখন কিন্তু দরজা ভেঙে ফেলবো।
নাফিসা- ভাইয়া যাও তো এখান থেকে , বিরক্ত করো না।
ইমরান আরো কয়েকবার ডাকলো। দরজায় নক করলো। নাফিসা কোন উত্তর না দিয়ে নিজের কাজ করতে লাগলো। এতোবার ডাকার পরও দরজা না খুলায় ইমরান রেগে লাথি দিয়ে কিচেনের প্লাস্টিকের দরজাটা ভেঙে ফেললো। দরজা ভাঙার শব্দ পেয়ে নাফিসা পেছনে তাকাতেই তার নিজের বাম হাত তার গাল স্পর্শ করে রইলো। চোখ থেকে পানি পড়তেও সময় নেয়নি। নিশব্দে চোখের পানি পড়ছে। কয়েক সেকেন্ডের মধ্যে তার সাথে কি হয়ে গেলো সে কিছুই বুঝতে পারছে না!
আসলে, নাফিসা শব্দ পেয়ে অসাবধানতাবশত পেছনে ঘুরে তাকালে তার ওড়না চুলোর উপর চলে যায়। আর সেটাতে আগুন ধরে যায়। ইমরান দরজার কাছ থেকে সেটা দেখে দৌড়ে এসে তার গলা থেকে ওড়নাটা মেঝেতে ফেলে পা দিয়ে পিষলো। আর শরীরের সর্বশক্তি দিয়ে নাফিসার গালে থাপ্পড় বসিয়ে দিলো। নাফিসা গালে হাত দিয়ে পলকহীন তাকিয়ে আছে ইমরানের দিকে। মামিরাও হতবাক হয়ে দাড়িয়ে আছে। ইমরানের পুরো শরীর কাপছে। আরেকটু হলে কি হয়ে যেত!
ইমরান- পাগল হয়ে গেছিস! দরজা বন্ধ করে কেউ রান্নাঘরে আসে? আরেকটু দেড়ি করলে কি হয়ে যেত! কতবার ডেকেছি দরজা খোলার জন্য? একটা কথাও তোকে শুনাতে পারিনা কেন আমি? আশেপাশের লোকদের কি মানুষ মনে হয় না? সবসময় তোর মার্জিতে চলবে কেন! কিসের রান্না, কিসের কি!
ইমরান পাগলের মতো চিৎকার করতে করতে কথাগুলো বললো। চুলা বন্ধ করে খালি হাতে ধাক্কা দিয়ে গরম কড়াই উল্টে ফেলে দিলো। নাফিসা কান্না করতে করতে কিচেন থেকে দৌড়ে বেরিয়ে গেলো। ইমরান মামিদের উদ্দেশ্যেও চিৎকার করে বললো,
ইমরান- খুব কাজ দেখাও? একদিন রান্না করতে আসছে দাওনি কেন? একা রান্না করলে কি এমন হয়ে যেত? বারবার এসে ঘুরে ঘুরে বিরক্ত করতে হবে তোমাদের! রান্না ভালো না লাগলে আবার রান্না করে নিতে, এভাবে বিরক্ত করছিলে কেন! আর একটু দেড়ি হলে কি হতো ভাবতে পারছো? রান্নাঘরে পুড়ে মরতো আজ!
ইমরান পাগলের মতো আচরণ করে বেরিয়ে গেলো কিচেন থেকে। হাতে দা নিয়ে আবার কিচেনে এলো। দা দিয়ে কুপিয়ে সম্পূর্ণ দরজা পৃথক করে ফেললো। কিচেনে আর কোন দরজা লাগাতে দিবে না। দরজা নিয়ে আবার বেরিয়ে গেলো। মামিরা সব স্তব্ধ হয়ে গেছে। কি থেকে কি হয়ে গেলো, কারোই মাথাচাড়া দিচ্ছে না!

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here