অদ্ভুত_মেয়ে (season 2) Part- 25

0
2733

অদ্ভুত_মেয়ে (season 2)
Part- 25
Writer: #Nur_Nafisa
.
.
সাঈদকে ধমক দেয়ায় নাফিসা হিহিহি করে হেসে উঠলো! সাঈদ রেগে তাকালো! বাবার পেছনে ইমরানকে ঢুকতে দেখে নাফিসার মুখের হাসি উড়ে গেলো! বাবা নিজের রুমে চলে গেলো আর ইমরান দরজা লাগিয়ে এসে নাফিসার পাশে বসে পপন খাওয়া শুরু করলো।
ইমরান- বাহ! কি মজার জীবন! পড়ালেখা নাই, শুধু খাও, টিভি দেখো আর ঘুমাও!
নাফিসা মুখ ফুলিয়ে পপন নিয়ে চলে গেলো। ইমরান সাঈদকে ধমক দিয়ে পড়ার জন্য পাঠালো। ফুপি নামাজ পড়ে রুম থেকে বেরিয়ে এলে ফুপির সাথে কথা বললো কিছুক্ষণ! তারপর নাফিসার রুমে এসে ওয়াশরুমে গিয়ে ফ্রেশ হয়ে এলো। নাফিসা মেসেঞ্জারে দিনার সাথে চ্যাট করছে। ইমরান ওয়ারড্রব থেকে টিশার্ট নিয়ে পড়তে পড়তে বললো,
ইমরান- নাফিসা শার্ট রেখে এসেছি, ধুয়ে দে।
নাফিসা তার কথায় কান দিলো না। ইমরান কাছে এসে ফোনটা টান দিয়ে নিয়ে নিলো। নাফিসা রেগে তাকাতেই আবার বললো,
ইমরান- বাথরুমে শার্ট রেখে এসেছি। ধুয়ে দে।
ইমরান নাফিসার ফোন পকেটে নিয়ে বেরিয়ে গেলো রুম থেকে।
নাফিসা- শার্ট ধুয়ে দিবো! তোর চাকর আমি!
ইমরান- হাহাহা… না চাকরানি!
ইমরান ড্রয়িং রুমে টিভি ছেড়ে বসলো। নাফিসা মুখ ফুলিয়ে খাটেই বসে আছে। ইমরানকে এখন পাটা পুতো দিয়ে পিষতে ইচ্ছে করছে! নাফিসা সাঈদের রুমে এলো।
নাফিসা- সাঈদ, ইমরান ভাইয়ার কাছে আমার ফোন। নিয়ে আয় তো!
সাঈদ- আমি কেন যাবো! তুমি যাও।
নাফিসা হঠাৎ করেই তার ম্যাথ খাতা নিয়ে বললো,
নাফিসা- না গেলে এখন খাতার ভেতর মরা তেলাপোকা দিবো সাথে বড় বড় আন্ডা একে দিবো। দৌড়া…
সাঈদ এবার চুপচাপ বেরিয়ে গেলো। ইমরানের কাছে ফোন চাইলো কিন্তু ইমরান দেয়নি। উল্টো তাকে ধমক দিয়ে পাঠিয়ে দিলো। নাফিসা তাকে ব্ল্যাকমেইল করেছে সেটা বলার পর ইমরান সাঈদকে নিয়ে রুমে এলো। নাফিসার হাত ধরে টেনে বাইরে এসে সাঈদকে বললো দরজা লাগিয়ে দিতে। সাঈদ দরজা লাগিয়ে পড়তে বসলো। নাফিসা কিছু না বলে হাত ছাড়িয়ে নিজেই ইমরানের পকেট চেক করতে লাগলো। ইমরানের পকেটে কোন ফোন নেই, এমনকি ইমরানের ওয়ালেটও নেই! নাফিসা কিচেনে চলে এলো। চুলোর কাছে বসেই ভাত নিয়ে খাওয়া শুরু করলো। মা ধমক দিয়ে চুলার কেবিনেট থেকে নামালো। টেবিলের কাছ থেকে চেয়ার নিয়ে কিচেনে খেয়ে নিলো। আজ সবার আগে তার ডিনার করা শেষ। খাওয়া শেষে রুমে এসে দরজা লাগিয়ে বসেছে আর খুলেনি। ইমরান নামাজ পড়ে ডিনার শেষ করে নাফিসার রুমের দিকে গেলে দেখলো দরজা ভেতর থেকে লক করা! তাহলে এজন্যই তারাতাড়ি খেয়ে এসেছে! শশুর বাড়িতে দরজা খোলার জন্য ডাকাডাকি করবে, ব্যাপারটা খারাপ দেখায় তাই ইমরান আর না ডেকে সাঈদের রুমে চলে এলো। নাফিসা ওয়াশরুমে গেলে দেখলো বালতিতে শার্ট ভেজানো। বিড়বিড় করে বকতে বকতে শার্ট ধুয়ে দিলো। ফ্রেশ হয়ে এসে ঘুমিয়ে পড়লো।
ঘুম থেকে উঠলেই নাফিসার ক্ষুধা লাগে! ঘর ঝাড়ু দিয়ে পরিষ্কার করে নিলো। নাস্তা করার সময় নাফিসা এসে বসতে যাবে ইমরান চেয়ার টেনে বসে পড়লো। নাফিসা পাশেরটায় বসতে গেলে সেটাও এক হাতে কাত করে ধরে সাঈদকে ডাকতে লাগলো।
ইমরান- সাঈদ, তুই না আমার সাথে বসবি, তারাতাড়ি আয়।
সাঈদ- আমি কখন বললাম!
ইমরান- তুই না বললেও আমি এখন বললাম।
সাঈদ এসে চেয়ারে বসে পড়লো। নাফিসা রেগে তার মা কে বললো,
নাফিসা- মা, এই ছেলে এখানে পড়ে আছে কেন! এদের কি বাড়িঘর নেই! নাকি ঘরে খাবার নেই!
ইমরান- ফুপি, তোমার মেয়েকে না বিয়ে দিয়ে দিছো! শশুর বাড়ি ছেড়ে বাপের বাড়ি পড়ে আছে কেন! ও বাড়িতে কি ঠাই হয় না! নাকি খাবার দেয় না!
মা তাদের ঝগড়া শুনে মিটিমিটি হাসছে। নাফিসা রেগে ইমরানকে বলতে যাচ্ছিলো,
নাফিসা- তাতে তোর….
আর বলতে পারলো না। বাবা রুম থেকে বেরিয়ে এসে পড়েছে তাই থেমে গেলো। ইমরানের মুখে শয়তানি হাসি! নাফিসা রেগে তার প্লেটে খাবার বাড়তে লাগলো। তার প্লেট রেখে বাবার প্লেটে বাড়তে গেলে ইমরান তার খালি প্লেট নাফিসার প্লেটের সাথে চেঞ্জ করে ফেললো।
ইমরান- সাঈদ তোর প্লেট নাফিসার দিকে এগিয়ে দে।
সাঈদ হাসতে হাসতে প্লেট এগিয়ে দিলো। নাফিসা একে একে সব প্লেটে খাবার বাড়লো। খুব রাগ হচ্ছে তার। এখানে বাবা না থাকলে এখন চামচ দিয়ে ইমরানের মাথা ফাটাতো।
খাওয়া শেষ করে বাবা বেরিয়ে গেছে সাঈদ স্কুলে চলে গেছে। নাফিসা টিভি দেখতে এলো ইমরান রিমোর্ট নিয়ে নিলো। বিরক্ত হয়ে রুমে চলে এলো পিছু পিছু ইমরানও এলো। নাফিসা খাটে বসলে ইমরানও বসলো। নাফিসা বেরিয়ে মায়ের কাছে এলো।
নাফিসা- মা, ভাইয়া এমন করছে কেন আমার সাথে! চলে যেতে বলো।
মা- চলে যাবে কেন! তুই বেড়াতে এসেছিস, ইমরান ও বেড়াতে এসেছে। ওর যতদিন ইচ্ছে ততদিন থাকবে।
নাফিসা- ওহ, আমি তো ভুলেই গেছি! আমার বিয়ে হয়ে গেছে, এখন তো আমি পর হয়ে গেছি। তাই তোমরা সবাই আমার বিপরীতে, থাকুক যতদিন ইচ্ছে। আমিই চলে যাচ্ছি। থাকবো না তোমাদের বাড়িতে।
নাফিসা চোখের পানি মুছে ইমরানের দিকে একবার তাকিয়ে নিজের রুমে এলো। বোরকা হিজাব পড়ে আবার লাগেজ নিয়ে বেরিয়ে গেলো বাসা থেকে।
মা- ইমরান, এই মেয়ে তো অনেক রেগে গেছে! কোথায় যাচ্ছে এখন!
ইমরান- ফুপি, তুমি চিন্তা করো না। আমি যাচ্ছি সাথে। আল্লাহ হাফেজ।
মা- সাবধানে যাস। আল্লাহ হাফেজ।
ইমরানও বেরিয়ে গেলো। নাফিসা রিক্সায় উঠে চলে যাচ্ছে। ইমরানও পেছনে আরেক রিক্সা নিলো। নাফিসা বাস স্টেশনে এসে নামলো। ইমরানও নেমে পড়লো। নাফিসা নারায়নগঞ্জের একটা বাসে উঠলো ইমরানও লাফিয়ে সেই বাসে উঠলো। এতোক্ষণ ইমরানকে না দেখলেও এখন দেখে আবার বাস থেকে নেমে যেতে চাইলো, কিন্তু ইমরান পথ আটকে ধরলো। নাফিসা তাকে সরাতে চেষ্টা করতে করতে বাস ছেড়ে দিলো। নাফিসা পেছনে খালি সিট রেখেও ফাকা এক সিটে বসে পড়লো। ইমরান নাফিসার হাত ধরে টেনে বললো,
ইমরান- পেছনে খালি সিট আছে।
নাফিসা- এখানে কি কারো কোলে বসেছি!
ইমরান- পেছনে যেতে বলেছি।
নাফিসা- যাবো না আমি। হাত ছাড়ুন।
ইমরান- নাফিসা, সব জায়গায় জেদ করতে হয় না।
নাফিসা- হাত ছাড়তে বলেছি। ছাড়ুন!
নাফিসা হঠাৎ জোরে বলায় আশেপাশের সবাই তাকিয়ে আছে তাদের দিকে। একজন বলে উঠলো,
– কি হইছে আপা? এই লোক কি ডিস্টার্ব করছে আপনাকে!
নাফিসা- হ্যাঁ।
– ওই মিয়া, ওই! ফাইজলামি করার লাইগা রাস্তাঘাটে বের হছ! দেখতে তো ভালই মনে হয়!
– ওই ব্যাটারে ধইরা উত্তমমধ্যম দে কতোক্ষন। এইসবের লাইগা রাস্তাঘাটে মাইয়ারা বাইরে বের হইতে পারে না।
পরিস্থিতি খারাপ দেখে নাফিসা নিজেই ভরকে গেল! দু একজন সিট থেকে উঠেও গেছে! আর ইমরান চুপচাপ এক দৃষ্টিতে নাফিসার দিকে তাকিয়ে আছে। এই দৃষ্টি স্বাভাবিক না! নাফিসার খুব ভয় লাগছে ইমরানের নিরবতা ও দৃষ্টি। সে নিজেই দাড়িয়ে গেলো।
নাফিসা- না, ও আমাকে ডিস্টার্ব করছে না। আমার পরিবারের সদস্যই। আমিই রেগে বলেছি এসব। সরি, আপনাদের বিভ্রান্ত করার জন্য। (ইমরানকে) সরি ভাইয়া।
সবাই চুপচাপ বসে পড়লো। ইমরান পেছনে খালি সিটে এসে জানালার পাশে বসে পড়লো। নাফিসা সেই সিটেই বসে পড়লো। জানালার পাশে না বসলে তার ভালো লাগে না। পাশের লোকটাকে যখন বলতে যাবে তখন দেখলো লোকটা তার দিকেই তাকিয়ে আছে। কেমনভাবে তার দিকে তাকিয়ে দাত কেলাচ্ছে! দেখতে হিরোঞ্চির মতো দেখাচ্ছে। কেমন যেন বিশ্রী গন্ধও লাগছে। কার পাশে বসেছে, সেই খেয়ালই নেই! এজন্যই ইমরান বারবার বলছিলো উঠে পেছনে যেতে! নাফিসা সিট থেকে উঠে লাগেজ নিয়ে পেছনে ইমরানের কাছে বসলো। ইমরান বাইরে তাকিয়ে আছে।
নাফিসা- ভাইয়া, আমাকে জানালার পাশে দিবা?
ইমরান কোন প্রতিক্রিয়া জানালো না। খুব রেগে আছে বুঝাই যাচ্ছে! নাফিসার এখন নিজেকে ইচ্ছে মতো পেটাতে ইচ্ছে করছে! জেদের বশে সে ভুলেই গিয়েছিলো আজকালকার দিনের ইভটিজিং এর কথা! এখন তো অনেক কিছু হয়ে যেত! এই ছেলে যে ভাবে ছিলো মনে হচ্ছে কোন প্রতিবাদই করতো না, চুপচাপ মাইর খেয়ে যেত! নাফিসাও এখন চুপচাপ বসে আছে। ভাড়া তোলার লোক এসে ভাড়া দিতে বললো। ইমরান একশো টাকার নোট দিলো।
– কয়জন?
ইমরান- একজন।
নাফিসা- একজন মানে! আমরা দুইজন। আপনি দুইজনের ভাড়া রাখুন।
ইমরান- আমি উনাকে চিনি না। একা এসেছি, শুধু আমার ভাড়া রাখুন।
লোকটি ইমরানের ভাড়া রেখে টাকা ফেরত দিতে গেলে নাফিসা টাকা নিয়ে লোকটির হাতে দিলো।
নাফিসা- আপনাকে বলেছি না দুজনের ভাড়া রাখতে! এখান থেকে আমার ভাড়া রাখুন আর না হয় ভাড়া পাবেন না।
লোকটি ভাড়া নিয়ে চলে গেলো। ইমরান আবার সিটে বসে পড়লো। পাশের সিটের এক ভদ্র মহিলা নাফিসাকে বললো,
– বাসা কোথায় তোমাদের?
নাফিসা- ঢাকায়।
– ও কি তোমার বড় ভাই হয়?
নাফিসা- হ্যাঁ। কেন আন্টি?
– না, এমনি।
চুপচাপ তারা নারায়ণগঞ্জ চলে এলো। বাস থেকে নামতে গেলে লাগেজ নিয়ে নাফিসা পড়ে যেতে নিলে ইমরান ধরে ফেললো! নাফিসা লাগেজে লাথি দিয়ে লাগেজকে বকতে লাগলো! ইমরান লাগেজ হাতে নিয়ে নিলো নাফিসা আগে নেমে গেলো। তারপর লাগেজ নিয়ে ইমরান নেমে এলো। নাফিসা এবার লাগেজ ছাড়াই রাস্তায় হোচট খেলো! বারবার হোচট খেতে দেখে ইমরান মুচকি হেসে উঠলো।
নাফিসা- হাসো কেন! অন্যের দুখ দেখলে খুব হাসি পায়, না?
চাষারা স্টেশন থেকে হেটে এগিয়ে আসতেই পেছন থেকে কেউ তাদের ডাকলো। ইমরান নাফিসা পেছনে তাকিয়ে দেখলো সেই আন্টিটা! আন্টি ইমরানকে বললো,
– বাবা, তোমার সাথে কিছু কথা আছে।
ইমরান- জ্বি আন্টি বলুন।
– মানে..তোমার বোনের সামনে!
ইমরান- সমস্যা নেই, বলুন।
– বাবা, তোমার বোনকে কি বিয়ে দিবে?
ইমরান নাফিসা দুজনেই একে অপরের দিকে অবাক হয়ে তাকালো!
– মাইন্ড করো না, আসলে আমার ছেলের জন্য পাত্রী খুজছিলাম। ছেলে ইঞ্জিনিয়ারিং পড়ছে পাশাপাশি একটা জবও করছে। ওকে দেখে আমার ভালো লেগেছে। তোমার বাসার এড্রেস দিলে আমি অভিভাবকদের সাথে কথা বলতাম।
ইমরান- সরি আন্টি। ও আমার বোন না, ও আমার বউ।
– মানে! তখন যে বারবার ভাইয়া বলে ডাকছিলো! তাছাড়া আমি জিজ্ঞেস করার পরও বললো, তুমি ওর বড় ভাই!
ইমরান- আন্টি ও একটু বেশিই দুষ্ট। তাই আপনার সাথেও মজা করেছে। দেখেননি, আমাকে নিয়েও মজা করেছে বাসে!
– অদ্ভুত মেয়ে! এসব ফাজলামো কেউ করে! আর বরকে কেউ ভাইয়া বলে ডাকে!
নাফিসা- আমি ডাকি।
নাফিসা হিহিহি করে হেসে উঠলো। আন্টি অপরদিকে চলে গেলো। ইমরান নাফিসার দিকে একবার তাকিয়ে আবার লাগেজ টেনে হাটতে লাগলো। নাফিসা পাশাপাশি রিক্সায় বসেও একটু পর পর হেসেই যাচ্ছে!
বাসায় ফিরলে দেখলো মামারা অফিস যাওয়ার জন্য তৈরি! ইমরান বাবাকে উদ্দেশ্য করে বললো,
ইমরান- বেড়াতে না গেছে! এতো তারাতাড়ি চলে এলো কেন এখন!
বড় মামা- এতো তারাতাড়ি চলে এলি যে!
নাফিসা- শান্তিতে থাকতে দিছে ভাইয়া! এবাড়িতেও শান্তিতে থাকতে পারিনা, ও বাড়িতে গিয়েও দৌড়ের ওপরে রাখছে!
সবাই একসাথে হেসে উঠলো! ইমরান উপরে চলে এলো পিছু পিছু নাফিসাও। ইমরান ওয়াশরুমে চলে গেছে আর এদিকে নাফিসা হিজাব বোরকা খুলে ফেললো।
ইমরান ওয়াশরুম থেকে বের হতেই নাফিসা বললো,
নাফিসা- বাবা, তোমার বোনকে কি বিয়ে দিবে! হিহিহিহি….
ইমরান বিরক্তি দৃষ্টিতে নাফিসার দিকে তাকিয়ে আবার তোয়ালে নিয়ে মুখ মুছতে মুছতে ড্রেসিং টেবিলের সামনে এলো। নাফিসা এগিয়ে এসে আবার বললো,
নাফিসা- কি দিবে তোমার বোনকে বিয়ে? হিহিহি….
ইমরান- নাফিসা, ফাজলামো বন্ধ করো। আর আমাকে ভাইয়া বলে ডাকবে না।
নাফিসা- ওমা! তুই থেকে একেবারে তুমি হয়ে গেলাম!
ইমরান- হ্যাঁ হয়ে গেছো। এখন থেকে আমাকে আর ভাইয়া বলে ডাকবে না।
নাফিসা- আচ্ছা! তাহলে কি বলে ডাকবো! ওগোওওওও… স্বোয়ামিইইই…. শুনছোওওওও…!
ইমরান- ধ্যাত!

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here