অদ্ভুত_মেয়ে (season 2) Part- 26

0
2710

অদ্ভুত_মেয়ে (season 2)
Part- 26
Writer: #Nur_Nafisa
.
.
নাফিসা- আচ্ছা! তাহলে কি বলে ডাকবো! ওগোওওওও… স্বোয়ামিইইই…. শুনছোওওও…!
ইমরান- ধ্যাত!
ইমরান তোয়ালে ঢিল মেরে দরজা খুলে বেরিয়ে গেলো। নাফিসা হাসতে হাসতে খাটে বসে পড়লো। ইমরান বাইরে থেকে আবার ফিরে এসে দরজা লাগিয়ে নাফিসার কাছে দাড়ালো। নাফিসা উঠে বললো,
নাফিসা- কিগোওওও স্বোয়ামি! কি ডাকবো ঠিক করলে!
ইমরান- শাট আপ, যা খুশি ডেকো কিন্তু ভাইয়া বলবে না।
নাফিসা- ছি! ছি! চাচা মামা ডাকা যায় নাকি! হিহিহি…!
ইমরান- নাফিসা, আই থিংক আমাদের সম্পর্কটা সিরিয়াসলি নেওয়া দরকার!
নাফিসা- কিসের সম্পর্ক?
ইমরান- বিয়ের সম্পর্ক।
নাফিসা- হোয়াট! বিয়েটা কি তুমি এতোদিন সিরিয়াসলি নাও নি! এ কি শুনছি আমি! আমি এক্ষুনি মামাকে জানাবো! মামায়ায়ায়া….!
নাফিসা চিৎকার করতে যাবে এমন সময় ইমরান তার মুখ বন্ধ করে দিলো। নাফিসাকে এক টানে নিজের কাছে এনে ঠোঁট চেপে ধরলো! নাফিসা একদম ফ্রিজড হয়ে গেছে! একটুও নড়াচড়া করছে না!
নাফিসা ছলছল চোখে ইমরানের চোখে তাকিয়ে আছে! ইমরান এমন কিছু করিবে সেটা ভাবতেও পারেনি! ইমরান তাকে ছেড়ে দিয়ে বললো,
ইমরান- এজ এ্যা কাপল, নিজস্ব অধিকার আদায় ও কাছে আসার সম্পর্কের কথা বলছিলাম আমি!
নাফিসা চোখ বুজে একটা ঢোক গিলে এক প্রকার দৌড়ে নিজের রুম ছেড়ে নানুর রুমে এসে দরজা লক করে দিলো! ইমরান হঠাৎ স্তব্ধ হয়ে গেছে! কি করলো সে! আবার দৌড়ে এসে দাদুর রুমের দরজায় ধাক্কা দিলো কিন্তু দরজা ভেতর থেকে লক করা! ইমরান আবার নিজের রুমে ফিরে এলো। দরজায় নিজের হাত মারলো!
ইমরান- ওফ্ফ শীট! এটা কি করলাম আমি! এতোদিন ধৈর্য ধরতে পেরেছি, আর আজ হঠাৎ কিভাবে! ওফ্ফ!
ইমরান খাটে বসে পাগলের মতো নিজের মাথার চুল খামচে ধরেছে! এটা কি করলো সে! নাফিসা একটু অন্যরকম! তার সাথে হঠাৎ করে এমন করা কি ঠিক হয়েছে! না একদমই ঠিক হয়নি! এসময় এমন কিছুর জন্য তো নাফিসা মোটেও প্রস্তুত ছিলো না! তার তো উদ্দেশ্য ছিল নাফিসাকে আস্তে আস্তে কাছে টানবে, জোর করে কিছু হবে না! সবটা নাফিসার ইচ্ছায় হবে! সে তো আরও অনেক অপেক্ষা করতে প্রস্তুত ছিলো! তাহলে কিভাবে করতে পারলো সে এটা!
এখন নিজেকে খুব অপরাধী মনে হচ্ছে ইমরানের কাছে! হঠাৎ করে নাফিসার সাথে এমনটা না করলেই পারতো! কি ভাবছে নাফিসা কে জানে!
নানান কথা ঘুরপাক খাচ্ছে ইমরানের মাথায়। আর বারবার নিজেকে বকে যাচ্ছে! হঠাৎ ছোট চাচ্চু ডেকে বললো,
ছোট মামা- ইমরান, অফিস যাবি তুই? নাকি আমরা চলে যাবো?
ইমরান- আ..আসছি চাচ্চু!
ইমরান চুল আঁচড়ে ঠিক করে বেরিয়ে গেলো। নিচে যাওয়ার আগে মৃদু স্বরে নাফিসাকে দুবার ডাকলো।
ইমরান- নাফিসা! নাফিসা, সরি!
নাফিসা কোন জবাব দিলো না। ছোট চাচ্চুর ডাকে ইমরান নিচে চলে গেলো। অফিস এসে ইমরানের কাজে মন বসছে না। দু একবার হিসাব উল্টাপাল্টাও করে ফেলছে! কর্মী একটা বলায় সে আরেকটা উত্তর দিচ্ছে! মাথায় শুধু নাফিসা ঘুরছে আর নিজেকে অপরাধী মনে হচ্ছে! যেভাবেই হোক বাসায় ফিরে নাফিসাকে মানাতে হবে! এসব বিষয় বাড়ির লোক জানতে পারলেও লজ্জায় মাথাকাটা যাবে!
সন্ধ্যায় বাসায় ফিরেছে ইমরান। নাফিসাকে একবারের জন্যও দেখেনি। সে নিজের রুমেও নেই দাদুর রুমেও নেই! কিচেনে উঁকি দিয়ে দেখলো সেখানে চেয়ার নিয়ে বসে আছে! ইমরান ফ্রেশ হয়ে তার রুমে হাত মুঠিবদ্ধ করে কপাল ঠেকিয়ে সোফায় বসে আছে! মাগরিবের আযান দিলে নাফিসা রুমে এসে ইমরানকে এভাবেই বসে থাকতে দেখলো। ওয়াশরুমে গিয়ে দরজাটা খুব জোরে লাগালো যাতে ইমরান শুনতে পায়। ইমরানের চোখে ঘুম নেমে এসেছিলো সে আযান শুনতেই পায়নি! দরজার শব্দে চোখ খুলে তাকালো। বাইরের ওয়াশরুম থেকে ওযু করে ঘরেই নামাজ আদায় করলো নাফিসার পাশে দাড়িয়ে। নাফিসা নামাজ শেষে বই হাতে নিতে গেলে ইমরান তাকে সোজা করে দাড় করালো। নাফিসা তার দিকে তাকাচ্ছেও না!
ইমরান- নাফিসা প্লিজ। নাফিসা একবার শুনো। আমি এতোটা আগাতে চাইনি! হঠাৎ করে কি হয়ে গেছে আমি বুঝতে পারিনি। আমি জাস্ট আমাদের সম্পর্কটা এগিয়ে নিতে চাইছিলাম। নাফিসা একটু স্বাভাবিক হও। আমাকে শাস্তি দিতে চাইলেও আমি মাথা পেতে নিবো। নাফিসা, প্লিজ বুঝার চেষ্টা ক…
ইমরান তার পিছনে দাঁড়িয়ে বকবক করতে লাগলে, নাফিসা আচমকা পেছনে ফিরে ইমরানের কাধে ভর দিয়ে পা উঁচু করে দাড়ালো! এক হাতে মাথাটা কাছে টেনে সেও একই কাজ করলো যেটা সকালে ইমরান করেছে! এখন ঘটনা এতো তারাতাড়ি ঘটেছে যে ইমরান স্তব্ধ হয়ে গেছে! নাফিসা স্বেচ্ছায় এটা করবে সেটা ইমরানের সম্পূর্ণ কল্পনার বাইরে!
ইমরান এতোটা আনন্দিত তা হয়তো কাউকে বুঝাতে পারবে না! এই অদ্ভুত মেয়েটা যে হঠাৎ এমন অদ্ভুত কান্ড করে বসবে তা কে জানতো! আবছা আলো আবছা অন্ধকারে ঢাকা সন্ধ্যা তাদের এতোটা মধুর হবে ভাবতে পারেনি ইমরান!
নাফিসা লজ্জায় নতশির। ইমরান একহাতে তার মুখটা উপরে তুললো। নাফিসা চোখ বুজে আছে। চোখের পাতা তার ঘন ঘন কাপছে, মুখে তার অস্পষ্ট হাসির ঝলক দেখতে পাচ্ছে ইমরান! লজ্জায় তার চেহারা লাল নীল বর্ণ ধারণ করছে! ইমরান মুচকি হেসে রঙিন ঠোঁটে আলতো করে ঠোঁটের ছোয়া দিলো। নাফিসা ইমরানকে ধাক্কা দিয়ে দৌড়ে পালালো! ইমরান ধপাস করে খাটে শুয়ে পড়লো। তার মনের উথাল-পাথাল আর অদ্ভুত অনুভূতি কাকে বুঝাবে আজ! এ কেমন নেশা ধরিয়ে দিয়ে পালালো অদ্ভুত মেয়েটা!
নাফিসার ভীষণ লজ্জা লাগছে! দ্বিতীয়বার ইমরানের সামনে যাবে কিভাবে! হিমাদের রুমে এসে পায়চারি করছে আর মিটিমিটি হাসছে!
হিমা- আপু তুমি হাসছো কেন?
নাফিসা- কই!
হিমা- দেখলাম তো আমি! পড়বা না তুমি?
নাফিসা- হ্যাঁ! আমার বই কই?
রেহান- তোমার বই তুমি জানো না! তোমার রুমে!
নাফিসা- অহ! রেহান একটা কাজ কর। বুক সেলফের উপরে দেখবি ম্যাথ বই আর খাতা রাখা আছে। নিয়ে আয়..
রেহান- তুমি গেলেই পারো!
নাফিসা- কথা কম বলে, যা বলছি তা কর!
রেহান রুমে এলো। বই আর খাতা নিয়ে বেরিয়ে যাওয়ার সময়,
ইমরান- এগুলো নিয়ে কই যাস?
রেহান- নাফিসা আপু বলছে।
রেহান চলে গেলো। ইশার আযান দিলে ইমরান মসজিদে যাওয়ার আগে একবার হিমাদের রুমে এলো। নাফিসা ইমরানকে দেখে বই দিয়ে মুখ লুকিয়ে ফেললো! ইমরান মুচকি হেসে চলে গেলো। পাচ মিনিট পর নাফিসা পড়া রেখে নিচে চলে এলো। মামিকে বলে সে আগেই ডিনার সেড়ে নিলো। ইমরান নামাজ পড়ে এসে জানতে পারলো নাফিসা আগেই খেয়েছে! ডিনার করে উপরের রুমে এসে দেখলো নাফিসা নেই! হিমাদের রুমে এসে দেখলো রেহানকে অংক বুঝাচ্ছে! ইমরান নিজের রুমে এসে ল্যাপটপ নিয়ে খাটে বসতেই বেড সাইড টেবিলে চোখ পড়লো। একটা চিরকুট রাখা আছে। ইমরান সেটা হাতে নিয়ে খুলে দেখলো। “আজ হিমাদের সাথে ঘুমাবো, ডাকবে না আমায়!”
ইমরান- তাহলে এই ব্যাপার!
ইমরান চিরকুট মুড়ে ঝুড়িতে ফেলে দিলো। ল্যাপটপে নিজের কাজ করতে লাগলো। নাফিসা লাইট অফ করে হিমাদের সাথে শুয়ে পড়েছে। চোখে মাত্রই ঘুম এসেছে, এমনি কেউ তার মুখ চেপে ধরলো! নাফিসা চোখ বড় বড় করে তাকিয়ে ড্রিম লাইটের আলোয় ইমরানকে দেখতে পেল! ইমরান শোয়া থেকেই নাফিসাকে কোলে তুলে নিলো! ইমরান তো তার মুখ চেপে ধরেনি, তাহলে কথা বলতে পারছে না কেন! দরজা চাপিয়ে ইমরান নাফিসাকে নিজের রুমে নিয়ে এলো। খাটে শুয়িয়ে ইমরান দরজা লক করতে গেলো! নাফিসা উঠে বসে মুখে হাত দিয়ে দেখলো তার মুখে স্ক্রেচ টেপ লাগানো! টেপ খুলে ইমরানের দিকে ছুড়ে মারলো। ইমরান মুচকি হেসে লাইট অফ করে খাটে উঠে পড়লো। নাফিসাকে টেনে তার বালিশেই শুয়িয়ে দিলো!
নাফিসা- এটা কি ছিলো!
ইমরান- কোনটা?
নাফিসা- আমাকে এভাবে ধরে নিয়ে এলে কেন?
ইমরান- আমাকে একা রেখে সেখানে থাকার সাহস কি করে হয়! হুম? এজন্যই একা একা ডিনার সেড়ে এসেছেন! কি ভেবেছেন? এভাবে আমার কাছ থেকে পালিয়ে বেড়াবেন! আর আমি চুপচাপ বসে থাকবো?
প্রতিদিন ইমরানকে ঝাপটে ধরে ঘুমালেও আজ নাফিসা লজ্জায় অন্যদিকে ঘুরে আছে! ইমরান তার ঘাড়ে নাক ঘষলেই নাফিসা কেপে উঠে হিহিহি করে হেসে উঠলো। ইমরান মাথা তুলে বললো,
ইমরান- কি হয়েছে?
নাফিসা- সুড়সুড়ি লাগে!
ইমরান- কোথায় লাগে সুড়সুড়ি? এখানে? এখানে? না, এখানে?
ইমরান নাফিসার গলায়, ঘাড়ে, পেটে সুড়সুড়ি দিতে লাগলো। আর নাফিসা হিহিহি করে হাসতে হাসতে ইমরানকে থামাতে চেষ্টা করছে। ইমরান জামার নিচে পেটে হাত রাখতেই নাফিসা ইমরানকে ঝাপটে ধরে তার উপর সমস্ত ভাড় ছেড়ে দিলো! পেট থেকে পিঠের দিকে হাত রাখতেই নাফিসা ইমরানকে আরও শক্ত করে জড়িয়ে ধরে ইমরানের গলায় মুখ লুকালো। হাসতে হাসতে অস্থির হয়ে ফিসফিস করে বললো,
নাফিসা- প্লিজ স্টপ! মরে যাবো তো আমি!
ইমরান সুড়সুড়ি দেয়া থামিয়ে নাফিসাকে নিয়ে শুয়ে পড়লো। নাফিসা আগের ন্যায় তাকে জড়িয়ে ধরে গলায় মুখ লুকিয়ে রেখেছে!
ইমরান- শর্ত আছে।
নাফিসা- কি?
ইমরান- আমাকে রোমান্টিকভাবে ইম্প্রেস করো।
নাফিসা- বুঝিনি! সেটা কিভাবে সম্ভব?
ইমরান- তুমি রোমান্টিক হও, বাকিটা নীতির উপর ছেড়ে দাও!
নাফিসা- স্টুপিড!
ইমরান- শর্ত কি এক্সেপ্ট করবা? নাকি আমি এটাক্ট করবো?
নাফিসা ইমরানের গলায় কয়েকটি ছোট ছোট কামড় বসিয়ে দিলো সাথে ফ্রী চুমু! গলা ছেড়ে আস্তে আস্তে নিচে নেমে বুকে মাথা রেখে জড়িয়ে ধরলো!
নাফিসা- আর পারবো না! হিহিহি…
ইমরান- পাজি মেয়ে, এইটুকুতে হবে না।
নাফিসা- বেশি খেলে বদহজম হবে আর না হয় পাতলা পায়খানা হবে। হিহিহি…
ইমরান নাফিসাকে ছাড়িয়ে টেনে উপরে তুললো।
ইমরান- একটু সাবধানে চলাফেরা করতে পারো না কেন তুমি! সরি থাপ্পড় দেয়ার জন্য। সরি..
নাফিসা- হুশ…!
নাফিসা আঙুল দিয়ে ইমরানের ঠোঁট চেপে ধরলো। ইমরান আঙুল সরিয়ে নাফিসার কপালে, নাকে আর ঠোঁটে পরপর তিনটা চুমু দিয়ে আবার বুকে মাথা টেনে চোখের পাতা বন্ধ করলো। নাফিসা মুচকি হেসে ইমরানের হৃদস্পন্দন শুনতে শুনতে ঘুমিয়ে পড়লো।
সকালে নাফিসার ঘুম ভাঙতেই মাথা উঁচু করে ইমরানের মুখে তাকালো। ইমরান এখনো ঘুমাচ্ছে। নাফিসা ইমরানের হাত সরিয়ে উঠে বসতেই হাতে টান পড়লো! ইমরান একটানে নাফিসাকে তার বালিশে ফেলে দিলো। কপালের সাথে কপাল, নাকের সাথে নাক লাগিয়ে ইমরান শুয়ে আছে।
নাফিসা- সজাগ ছিলে এতোক্ষণ?
ইমরান- উহুম! এখন সজাগ হয়েছি।
নাফিসা- আযান দিয়েছে তো। উঠো…
মাথার পাশে হাত বুলিয়ে ফোনে টাইমটা দেখলো। আবার আগের ন্যায় শুয়ে ঘুম ঘুম কন্ঠে বললো,
ইমরান- মর্নিংটা সুইট করো।
নাফিসা- মিষ্টি আনবো না চিনি আনবো?
ইমরান- সামথিং ডিফারেন্ট…
নাফিসা ইমরানের কপালে ঠোঁটের ছোয়া দিতেই ইমরানের মুখে হাসি ফুটে উঠলো, ইমরানও নাফিসার থুতনিতে ঠোঁটের ছোয়া দিয়ে উঠে পড়লো। নাফিসা বিছানা ছেড়ে দৌড়ে ইমরানের আগে ওয়াশরুমে গেলো। ইমরান দরজার সামনে থেকে ফিরে এসে আবার খাটে বসে পড়লো। নাফিসা ওযু করে বের হয়ে এলে তারপর সে প্রবেশ করলো। আজ মসজিদে নামাজ না পড়ে বাসায় নাফিসার সাথে নামাজ আদায় করলো।
নাফিসা কুরআন পড়ে ঘর ঝাড়ু দিয়ে নিচে এলো। বিস্কুট খেতে খেতে হিমেলকে সাথে নিয়ে আবার উপরে এলো। রেহানের হোমওয়ার্ক শেষ করতে হেল্প করলো।
ইমরান- নাফিসা…
নাফিসা- কি?
ইমরান- তোয়ালে কই?
নাফিসা- বাথরুমে।
ইমরান আলমারি খুলে প্যান্ট নিতে গেলেও নাফিসা বললো,
নাফিসা- প্যান্ট একটা বাথরুমে রাখা আছে।
ইমরান গোসল করতে চলে গেলো। বেরিয়ে এসে দেখলো শার্ট খাটে সুন্দরভাবে রাখা আছে!
ইমরান- বাব্বাহ! কি কাজের বউ!
নাফিসা- মানে!
ইমরান- এই যে প্যান্ট রেখে আসছো আবার শার্ট রেডি করে রাখছো!
নাফিসা- সমস্যা কি! শার্ট পড়িয়েও দিবো! এটা তো আমার কর্তব্য! তাই না!
নাফিসা শার্ট হাতে নিয়ে ইমরানের কাছে এলো। ইমরান তো অবাক হয়ে আছে! যাক সমস্যা কি! নাফিসা পড়িয়ে দিলো সেও পড়ে নিলো। নাফিসা কলার ঠিক করে শার্টের বোতাম লাগাচ্ছে।
ইমরান- এতোদিনে নিজের কর্তব্যের কথা মনে হলো!
নাফিসা- হুম। চুল ঠিক করো।
ইমরান- এটাও করে দাও, এটা কি তোমার কর্তব্যের মধ্যে পড়ে না?
নাফিসা- বসো।
ইমরান টুলে বসলে নাফিসা চুরুনী নিয়ে ইমরানের চুল আঁচড়াতে আঁচড়াতে বললো,
নাফিসা- আসার সময় দুইটা আইস্ক্রিম বক্স, দুইটা কিটক্যাট আর ছয়টা ক্রেকার্স চিপস নিয়ে আসবা!
ইমরান খপ করে নাফিসার হাতসহ চিরুনি ধরে বললো,
ইমরান- কিইইইই!
নাফিসা- জ্বিইইইই….. এতোক্ষণ কি এমনি এমনি তোমার কাজ এগিয়ে দিচ্ছি! না আনলে একেবারে মেরে হাড্ডি গুড়ো করে ফেলবো! হাসব্যান্ড কথা না শুনলে মাইর দেওয়াও আমার কর্তব্য!

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here