অদ্ভুত_মেয়ে (season 2) Part- 28

0
2596

অদ্ভুত_মেয়ে (season 2)
Part- 28
Writer: #Nur_Nafisa
.
.
ইমরান নাফিসার হাত মুখ থেকে সরিয়ে টেবিল থেকে টিস্যু নিয়ে লিপস্টিক মুছে দিলো। মুখ থেকে পাউডার সরিয়েও হালকা করে দিলো। নিজেকে সামলাতে না পেরে ঠোঁট জোড়া আকড়ে ধরলো। নাফিসা ইমরানের টিশার্ট খামচে ধরলো। ঠোঁট ছেড়ে থুতনিতে, গলায় কাধে ছোট ছোট কামড় বসিয়ে দিচ্ছে। নাফিসা প্রতিটি স্পর্শে কেপে উঠছে আর এক অজানা অনুভূতিতে মিশে যাচ্ছে! একসময় ইমরান টিশার্ট খুলে ফেললে নাফিসা ঝাপটে তার বুকে পড়ে রইলো।
সকালে ঘুম ভাঙতেই ইমরানকে দেখলো নাফিসা। যদিও এটা নতুন না, তবুও সবসময়ই নতুন করে দেখতে ভালো লাগে। ঘুমন্ত মুখেও যেন ইমরানের হাসি লেগে থাকে! নাফিসা মুচকি হাসলো। এক হাতে ইমরানের সাড়া মুখে আঙুল নাড়াচ্ছে। একবার গাল টেনে দিচ্ছে, আবার ঠোঁটে স্লাইড করছে, আবার চোখের পাতা স্পর্শ করছে। এবার নাকে টান দিয়ে ধরে রাখলো। ইমরান মুচকি হাসি দিয়ে নাফিসার হাতটা ধরলো। চোখ না খুলেই নাফিসার হাতটা তার নিজের পিঠে রেখে নাফিসাকে আরও কাছে টেনে মিশিয়ে নিলো। সে কি ঘুমের মধ্যেই এমন করছে নাকি! নাফিসার বুঝতে অসুবিধা হচ্ছে। তাই ইমরানের পিঠে নখের আচড় দিতে লাগলো। ইমরান আচমকা নাফিসার গাল কামড়ে ধরলো। ছেড়ে দিয়ে আবার বললো,
ইমরান- আমি জেগে আছি, মিসেস সাঈফা ইমরান।
নাফিসা নিজের জ্বিভ কেটে দ্রুত চোখ বন্ধ করে ফেললো। ইমরান চোখ খুলে তাকিয়ে নাফিসার নাক টেনে ধরে রাখলো। নাফিসা চোখ খুলে তাকালো।
নাফিসা- আহ, ছাড়ো। নাক টানছো কেন!
ইমরান- তুমি টানছিলে কেন?
নাফিসা- তোমাকে সজাগ করতে।
ইমরান- আমিও তোমাকে সজাগ করছি।
নাফিসা- আমি আগেই সজাগ হয়েছি।
ইমরান- আমি তো চোখ বন্ধ দেখলাম, তাই আবার সজাগ করছি।
নাফিসা- হিহিহি… উঠো।
ইমরান- উহুম।
নাফিসা ইমরানের কপালে চুমু দিলো। ইমরানও রিপিট করলো। হঠাৎই মনে হলো নাফিসার গায়ে ওড়না নেই! ইমরানকে ধাক্কা দিয়ে দ্রুত নেমে আরেকটা ওড়না নিলো। ইমরান হাসতে হাসতে উঠে বসলো। দুজনেই উঠে নামাজ আদায় করলো।
ইমরান অফিসে যাওয়ার জন্য রেডি হচ্ছে। বড় মামি রুমে এলো। নাফিসাকে টেনে খাটে বসালো।
বড় মামি- দেখি বস এদিকে।
নাফিসা- কেন!
নিজের হাতে ছোট সাইজের ইয়ার রিং পড়িয়ে দিলো।
বড় মামি- এতো গহনা থাকতেও গায়ে একফোঁটা স্বর্ন নেই! লোকে দেখলে বলবে কিছুই নেই বুঝি!
নাফিসা- লোক দেখানোর কি প্রয়োজন! আর লোকের কথায় কান দিয়ো না তো!
বড় মামি- লোকের কথায় কান না ই দিলাম, কিন্তু গহনা পড়ছ না কেন! এগুলো কি পড়ার জন্য দেইনি, আলমারিতে তুলে রাখতে দিছি! নাকফুল তো নাই ই, কানের দুল, হাতের বালা, গলার চেইন পর্যন্ত পড়ে না!
নাফিসা- যেই গহনা দিছো! এমন মোটা বালা ছিনতাইকারীর চোখে পড়লে আমি সহ ছিনতাই হয়ে যাবো! আর কানের দুল! বিয়ের সময় কোনো মতো আটকে রেখেছিলাম! মনে হচ্ছিলো কান বুঝি ছিড়ে পড়ছে!
বড় মামি হেসে উঠলো, ইমরানও মুচকি হাসছে।
বড় মামি- মেয়ের কান্ড শুন! আচ্ছা, চিকন চুড়ি আর চেইন বানিয়ে দিবো আবার। এগুলো খুলবি না। মাইর দিবো খুললে।
নাফিসা- আচ্ছা খুলবো না, কিন্তু এই এয়ার রিং কার?
বড় মামি- তোরই। বড়গুলো পড়ছ না তাই, আবার ছোট করে বানাতে দিয়েছিলাম। কাল তোর মামার হাতে আনিয়েছি।
নাফিসা- এটার কোনো প্রয়োজন ছিলো না। মা চেইন আর ইয়াররিং বানিয়ে দিয়েছিলো। তুমি বললে ওগুলোই পড়তে পারতাম।
বড় মামি- তো কি হইছে! এখন আবার আমি দিলাম।
নাফিসা- আর কিছু বানাতে হবে না। মোটা বালা দিয়ে চুড়ি বানিয়ে দিয়ো। আর চেইন আছে।
বড় মামি- আচ্ছা দেখা যাক।
বড় মামি চলে গেলে ইমরান লেকচার দিতে শুরু করলো,
ইমরান- সারাদিন ঘুরেফিরে টাইম নষ্ট না করে পড়তে বসবে। এক্সামের কিন্তু বেশিদিন নেই।
নাফিসা- ইহ! সারাদিন পড়া আর পড়া। সবাইকে এতো বলো, তুমি কি সারাদিন বই নিয়ে বসে থাকতে!
ইমরান- আমার সাথে তুলনা দিয়ে পারবে! আমি তো শুধু এক্সামের আগে পড়ে এক্সাম দিছি। তবুও ফার্স্ট ক্লাস!
নাফিসা- আমারও ফার্স্ট ক্লাস আসবে ইনশাআল্লাহ।
ইমরান- দেখা যাবে।
নাফিসা- শান্তা আপু আর মাহিন ভাইয়া নাকি এসেছিলো নারায়ণগঞ্জ মুনতাহা (মাহিনের বোন) আপুর বিয়ের দাওয়াত দিতে।
ইমরান- হুম।
নাফিসা- কবে?
ইমরান- আমি যেদিন ঢাকা গিয়েছিলাম তোমাকে আনতে।
নাফিসা- লুকুচুরি খেলা! আমি নারায়ণগঞ্জ তো আপু ঢাকা গিয়েছে আবার আমি ঢাকা তো আপু নারায়ণগঞ্জ এসেছে! আপু কিন্তু গায়ে হলুদের দাওয়াত দিয়েছে। আমি বৃহস্প্রতিবার চলে যাবো বলে দিলাম।
ইমরান- দাওয়াতে যাবো কিনা ঠিক নেই, বৃহস্প্রতিবার যাবো বলে দিলাম!!!
নাফিসা- যাবে না!
ইমরান- শান্তাকে আবার বলতে যেও না।
নাফিসা মুখটা একটু মলিন করে ফেললো। গতকালকের মতো আজকেও খাবার সার্ভ করলো।
ব্রেকফাস্ট শেষ করে রুমে এলো। মা কল করেছে।
নাফিসা- আসসালামু আলাইকুম।
মা- ওয়ালাইকুম আসসালাম। মাকে তো একেবারে ভুলেই গেছো!
নাফিসা- ভুলবো না, পর করে দিয়েছো তো। কোন কথা বলবো না তোমাদের সাথে, তোমাদের বাড়িতেও যাবো না আর। আমি তো তোমাদের কেউ না। বিয়ে দিয়েছো এখন পর হয়ে গেছি।
মা- এতো রাগ কেউ করে! অর্ধেক মাইর দিবো একেবারে!
নাফিসা কান্নার মাঝেও হিহিহি করে হেসে উঠলো।
নাফিসা- বাকি অর্ধেক কাকে দিবা?
মা- এরপর যে রাগ করবে তাকে। তোর বাবাকে পাঠিয়ে দিবো আবার নিয়ে আসতে?
নাফিসা- এখন আবার আসবো! কদিন পর আসি। কয়দিন ক্লাসও করবো।
মা- আচ্ছা। ইমরান অফিসে গেছে?
নাফিসা- হুম।
মা- কথায় কথায় এতো রাগ করিস না মা। তোর খুব খেয়াল রাখে ওরা। তুইও ওদের মন রাখার চেষ্টা কর।
নাফিসা- কিছু করার সুযোগই দেয় না তোমার বাসার লোকজন!
মা- হাহাহা… সবাইকে হাসিখুশি রাখার চেষ্টা কর, এতেই তারা খুশি হবে।
নাফিসা- ইনশাল্লাহ। তুমি দোয়া না করলে কিভাবে!
মা- সে তো সবসময়ই করি। আমার দুইমেয়েকে আল্লাহ উপযুক্ত জায়গায় পৌছে দিয়েছে এখন ছেলেটার ভবিষ্যৎ দেখা বাকি।
নাফিসা- দুশ্চিন্তা করবে না কোনকিছুর। আল্লাহ সব ঠিকই রাখবেন।
আরও কিছুক্ষণ কথা বলে কল কেটে দিলো।
পরের শুক্রবার যোহরের আযানের কিছুক্ষণ আগে নাফিসা নিজের রুম মুছে, নানুর রুম মুছে দিলো। নাফিসা বলায়, হিয়া রেহানের রুম মুছে দিচ্ছে আর হিমা নিজেদের রুম মুছে দিচ্ছে। পিচ্চি দুইটা জামাকাপড় নিয়ে হাজির। রুমে ঢুকতে নিলে নাফিসা বললো বাইরের ওয়াশরুমে যেতে। তারা সেখানেই গেলো। নাফিসা কাজ শেষ করে হিমেল আর রিয়াদকে গোসল করাতে লাগলো। খেলাধুলা শেষ করে রেহান এসে হাজির।
রেহান- ওই বিচ্ছু বাহিনী, আমার বাথরুম থেকে বের হ… আমি নামাজে যাবো।
নাফিসা- এতো তাড়া কিসের। আযান দেয়নি। পড়ে যা।
রেহান- না, ভাইয়া বলেছে মসজিদে আগে যেতে। না হলে…
নাফিসা- কি?
রেহান- কিছু না। বের হও আমি আগে গোসল করবো। ওরা পড়ে করবে।
নাফিসা- না, তুই পরে।
রেহান- না, আমি আগে।ওই, বের হ…
নাফিসা- রেহাইন্না! যাবি এখান থেকে!
রেহান পিচ্চিদের টেনে বের করতে চাচ্ছে সাথে মাইর লাগাচ্ছে আর পিচ্চিরা কান্নাকাটি করছে। নাফিসা বারবার ধমক দেয়া সত্ত্বেও শুনেনি। নাফিসা মগে পানি নিয়ে রাহানকে তাড়া করলো। রেহান বাচ্চাদের মাইর দিয়ে দৌড়ে বেরিয়ে গেলো। নাফিসা দরজার কাছে এসে মগের পানি ছুড়ে মারলো। রেহান ইমরানের পিছনে লুকিয়েছে আর পানি গিয়ে লেগেছে ইমরানের গায়ে! ইমরানের শার্টের নিচের অংশ সহ প্যান্ট ভিজে গেছে! ইমরান তাকাতেই নাফিসা দাতে দাত চেপে বললো,
নাফিসা- সরি!
এর মাঝে হিমেল হুট করেই বলে ফেললো,
হিমেল- ইছছিইই! ভাইয়া প্যান্টে হিশি দিছে!
নাফিসা হাসতে হাসতে লুটিয়ে পড়ছে!
নাফিসা- ভাইয়ায়ায়া… ও থুক্কু, ওগোওওও! এইটা কি শুনলাম! এতো বড় হয়ে প্যান্টে হিসি দাও তুমি! হিহিহি….
ইমরান রেগে তাকালো! ওদিকে নাফিসার মতো হিমা,হিয়া ও রেহানেরও একই হাল! হাসতে হাসতে বসে পড়ছে এক এক জন! ইমরান রেহানের দিকে আগাতেই রেহান এক দৌড়ে নিচে চলে গেলো। হিমা হিয়া তাদের রুমে চলে গেলো আর নাফিসা দ্রুত বাচ্চাদের নিয়ে বাথরুমে ঢুকে পড়লো! হাসি যেন থামছেই না!
জুমুয়ার নামাজ পড়ে বাক্সে করে এতোগুলো মিষ্টি নিয়ে এলো রেহান! অনেক খুশি দেখাচ্ছে তাকে!
রেহান- ওই হিমেল রিয়াদ, দেখ কতো মিষ্টি আনছি।
নাফিসা- কিরে, এগুলো কি মসজিদ থেকে দিছে?
রেহান- হুম।
নাফিসা- তুই কি মিষ্টি খাওয়ার জন্য মসজিদে যাছ!
ছোট মামি- এইটা আর নতুন কি! সারাদিন এক ওয়াক্তও নামাজ পড়তে চায় না, আর শুক্রবার এলে সবার আগে!
নাফিসা- হিহিহি… কিন্তু এতো মিষ্টি কেন!
রেহান- বড় চাচ্চুর, মেঝ চাচ্চুর ,আব্বুর, ভাইয়ার সবারটা এখানে।
নাফিসা- তা ও তো পাচজনের পাচটা থাকবে!
রেহান- ভাইয়া দিছে আমি আনছি।
নাফিসা- ভাইয়া কেন দেয়?
ইমরান- বিতরণ করার জন্য তো হুজুর আমাকেই ডাকে। বেশি হলে ওগুলো আমাদের দিয়ে দেয়। আর এজন্যই রেহানের জুমার নামাজের তাড়া!
নাফিসা- এজন্যই বলছিলো, ভাইয়া বলে আগে যেতে! এ তো দেখছি মিষ্টির লোভে তাড়া!
ছোট মামি- গত শুক্রবার ইওরান দাওয়াতে যাওয়ায় এক মিষ্টি পেয়ে গাল ফুলিয়ে বাসায় ফিরেছে! আর আজ মহা খুশি, হিহিহি…
সবাই হেসে উঠলো।
রেহান- হ্যাঁ, তুমি বেশি বুঝো। আপু নাও, খাও।
নাফিসা- না, আমি মিষ্টি খাই না। তুই ই খা। আর ঘরেই তো মিষ্টি আছে।
ছোট মামি- থাকলেই কি, মসজিদ থেকে একটা আনলে সেটা নিয়েই যুদ্ধ চলে। না খেতে পারলেও এই দুইটা (পিচ্চিরা) যুদ্ধ করবে।
ইমরান- তবারক খেতে হয়, নাও।
নাফিসা চিমটি দিয়ে একটু তুলে মুখে দিলো। রুমে এসে নামাজ আদায় করলো। ইমরানের বন্ধুরা বাসায় আসবে বিকেলে তাই বেশি করে রান্নার আয়োজন করেছে।
বিকেলে ইমরানের মামাতো ভাই রাফসান সহ চারজন বন্ধু এসেছে। সবার সাথে কুশল বিনিময় করে দোতলায় নানুর রুমে আড্ডা দিচ্ছে ইমরানের বন্ধুরা। খাওয়ার জন্য ডাকতেই ইমরান নিচে নিয়ে গেলো। ছোট মামি আর নাফিসা খাবার এগিয়ে দিচ্ছে ডাইনিং টেবিলে। তাদের মধ্যে একজন বললো,
– ভাবি আপনিও বসুন।
নাফিসা- শুধু শুধু বসে কেন থাকবো! তার চেয়ে দাড়িয়ে ব্যায়াম করি।
সবাই হেসে উঠলো। অন্য একজন বললো,
– শুধু শুধু বসবেন কেন! আমাদের সাথে খেয়ে নিন।
রাফসান- হ্যাঁ ভাবি। আপনিও খেয়ে নিন।
নাফিসা- না, আপনারা খেয়ে নিন। আমি খেয়েছি।
বড় মামি- রাফসান, যাওয়ার আগে আমার সাথে দেখা করে যাবি।
রাফসান- আচ্ছা ফুপি। রান্না তো মাশাল্লাহ অনেক মজা হয়েছে। ভাবি আপনি রান্না করেছেন?
নাফিসা- না।
– ভাবি রান্না করতে জানেন না?
নাফিসা- জানি তো।
– ওফফ! তবুও মিস করে ফেললাম! নেক্সট টাইম ইনশাআল্লাহ ভাবির হাতে রান্না খাবো। কি বলেন ভাবি?
নাফিসা- সরি, আপনাদের আবদার রাখতে পারছি না। আসলে, আমি রান্না করতে গেলে আবার কিচেনের দরজা ভেঙে যায়!
ইমরান নাফিসার দিকে তাকালো কিন্তু কিছু বললো না। নাফিসাও ইমরানের দিকে তাকিয়ে মুচকি হাসলো। বিষয়টি ইমরান ছাড়া কেউই বুঝতে পারেনি! তাদের মধ্যে একজন বললো,
– দরজা ভেঙে যায় মানে!
নাফিসা- মানে বুঝেন না! আমি এতোই মোটা, যার ফলে কিচেনে ঢুকতে গেলে দরজা ভেঙে যায়।
সবাই খাওয়া রেখে হাহাহা করে হেসে উঠলো।
রাফসান- ভাবি আপনি মোটা! হাহাহা…
নাফিসা- হাসেন কেন! বিশ্বাস না করলে কিচেনে একবার দেখে যেয়েন, কিচেনের দরজা নাই। আর ভাইয়া আপনিও কখন থেকে ভাবি ভাবি ডাকছেন, আগে তো নাম ধরে ডাকতেন এখনো নাম ধরে ডাকবেন।
রাফসান- গোয়ালে থাকলে নাকি বেশে গরুর মতোই দেখা যায়, এখন সবাই ডাকছে তাই আমিও ডাকছি।
নাফিসা- হিহিহি…
– ওই, ব্যাটা তুই আমাদের গরুর সাথে তুলনা করলি! আমাদের কি গরু মনে হয়! তোরে তো এখন খাওয়ার মাঝে গোসল করামু!
নাফিসা- থাক, ভাইয়া। বাসায় বাথরুম আছে, শুধু শুধু ডাইনিং এ বাথরুমের কাজ করার দরকার নেই। খাওয়া শেষ করেন।
রাফসান- নাফিসা, রান্না করে খাওয়ানোর আবদার তো রাখলেই না, তা শুনাও কি কি রান্না করতে পারো। শুনে শুনেই পেট ভরি!
– হুম ভাবি শুনান।
নাফিসা- আগে খাওয়া শেষ করুন।
– না এখনি শুনান।
নাফিসা- ওকে। করলার স্যুপ, শুটকি মাছ দিয়ে ডাল, মুরগির মাংস দিয়ে কলার খোসা।
রাফসান সাথে সাথে বিষম খেলো! আর বাকিরা হা হয়ে আছে! ইমরান মিটিমিটি হেসে পানির গ্লাস এগিয়ে দিলো।
ইমরান- আরে আস্তে! নে ধর পানি খা!
নাফিসা- শুরুতেই বিষম খেলেন! আরও আছে তো, আগে শুনুন সবটা। করলার স্যুপ, শুটকি মাছ দিয়ে ডাল, মুরগির মাংস দিয়ে কলার খোসা, আদা দিয়ে পায়েস, মাছের আঁশটে ভাজি, কচুর রোল, টিকটিকির বিরিয়ানি, লাল কাকড়া ভুনা, বঙ্গোপসাগরের জুস, বালি আর গোবর মিশ্রিত খিচুড়ি!
– থাক থাক, আর বলতে হবে না।
ইমরান- কেন শুন। আর কে কোনটা খাবি বল অর্ডার করি!
.
.
আপনারাও বলেন কে কোনটা খেতে ইচ্ছুক! ?

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here