অদ্ভুত_মেয়ে (season 2) Part- 37

0
2463

অদ্ভুত_মেয়ে (season 2)
Part- 37
Writer: #Nur_Nafisa
.
.
কয়েকবার জিজ্ঞেস করার পরও বলেনি নাফিসার কাছে ইমরান। এখন সব ক্লিয়ার নাফিসার কাছে! ছোট খাটো একটা ভুল বুঝাবুঝির কারণে বন্ধুত্ব নষ্ট! এটা কি করে হতে দেয়া যায়! নাফিসা মেহেদী দিতে দিতে ভাবতে লাগলো কি করা যায়!
রিমার বান্ধবীরা চলে যাওয়ার পর হাতে মেহেদী লাগিয়ে নাফিসা, হিমা, হিয়া, ইমা আপু, রিমা ও ইতি (রিমার চাচাতো বোন) বসে গল্প করছে। রাফসানকে ছাদে আসতে দেখলো নাফিসা। সাথে রেহানও আছে। রাফসান একটা চেয়ারে বসলো পাশে রেহান আর ইফাজ দাড়িয়ে আছে। ইমরান আগে থেকেই ছাদে ছিলো তার মামাতো ভাই, বন্ধুবান্ধবদের সাথে আড্ডা দিচ্ছিলো। নাফিসা উঠে এসে রাফসানের পাশে চেয়ার টেনে বসলো। রাফসান তাকে দেখে উঠে যেতেও পারছে না। যাইহোক, সরাসরি ইগনোর করাও যায় না! তাছাড়া সে রেহানের ঘড়ি ঠিক করছিলো এখানে বসে। নাফিসা ইচ্ছে করেই কথা বলা শুরু করলো। না চাইতেও রাফসান জবাব দিতে বাধ্য! নাফিসা জিজ্ঞেস করায় রাফসানও হেসে হেসে জবাব দিচ্ছে। কিন্তু নাফিসার দিকে তাকায়নি সে নিজের কাজে ব্যস্ত। নাফিসা কথা বলার ফাকে ফাকে ইমরানকে খেয়াল করছে। রাফসানের পাশে বসে নাফিসাকে কথা বলতে দেখে ইমরান যে ফুলে বেলুন হয়ে যাচ্ছে! বন্ধুরা তো হাসাহাসি করছে, কিন্তু ইমরানের চোখে মুখে রাগ স্পষ্ট!
হঠাৎ করেই ইমরান বন্ধুদের কাছ থেকে বেরিয়ে নিচে নেমে গেলো! এটা কি হলো! নাফিসা তো চাইছিলো ইমরান যাতে তার কাছে আসে আর এখানে এলে দুজনকে এক করে মিলিয়ে মিমাংসা করবে! কিন্তু এই ছেলে তো রেগে অন্যদিকে চলে গেলো! না জানি উল্টাপাল্টা কিছু করে বসে! বাসা থেকে চলে গেলে আবার ধরে আনবে কে!
নাফিসা দ্রুত কথা শেষ করে চেয়ার ছেড়ে উঠে সিড়ি দিয়ে নিচে নামতে লাগলো। সিড়িতে কোন লাইট নেই। লাইটিংয়ের ছোট ছোট লাইটের আলোতেই সিড়ি রঙ্গিন হয়ে আছে। সিড়িগুলো অতিক্রম করতেই কেউ তার হাত ধরে হেচকা টান দিয়ে সিড়ির নিচের দিকে নিয়ে ওয়ালে চেপে ধরলো। তার ঠোঁট কামড়ে ধরেছে যার ফলে চিৎকার করারও উপায় নেই! প্রথমে ছোটার জন্য ছটফট করলেও এখন নাফিসা চুপ হয়ে গেছে! এ স্পর্শ তার অজানা নয়! শতভাগ নিশ্চিত এটা ইমরান! এদিকটা অন্ধকার, আশেপাশে কি আছে সেটা বুঝা মুশকিল! কিন্তু এমন ভাবে তাকে টেনে আনা হয়েছে যেন তাকে খুন করবে! বাইরের লাইটিংয়ের আবছা আলোয় ওয়ালে চেপে ধরে রাখা জঘন্য লোক ইমরানকে দেখা যাচ্ছে! এভাবে কেউ টেনে আনে!
ইমরান ঠোঁট ছেড়ে দিয়েছে ঠিকই কিন্তু নিজের দেহ দ্বারা নাফিসাকে দেয়ালে চেপে রেখেছে। একহাত নাফিসার পেটে নিয়ে খামচে ধরেছে! এবার মুখ উন্মুক্ত থাকা সত্ত্বেও চিৎকার করতে পারছে না! দাতে দাত চেপে চোখ মুখ খিচে রেখেছে নাফিসা! ইমরান নিচু স্বরে ভয়ার্ত কন্ঠে বললো,
ইমরান- কিসের এতো কথা, কিসের এতো হাসাহাসি ওই রাফসানের সাথে? ইচ্ছে হলে আমার সাথে কথা বলতি। আমার সাথে হাসাহাসি করতি! মরে গেছিলাম আমি? ওর কাছে গেলি কেন! উপরে আপুরা সবাই ছিলো তাদের সাথে গল্প করতে পারতি! সব রেখে ওর কাছে গেলি কেন?
নাফিসা- ছাড়ো প্লিজ। ব্যথা পাচ্ছি আমি!
ইমরান- ব্যথা! ব্যথা তো আমিও পেয়েছি! আমাকে ব্যথা দিলি কেন?
নাফিসা- এমন করছো কেন আমার সাথে? কি হয়েছে তোমার!
ইমরান- কিছু হয়নি আমার, পাগল হয়ে গেছি আমি! একটা কথাও বলবি না!
নাফিসা আর কিছু বললো না। ব্যথা সহ্য করে ছলছল চোখে তাকিয়ে আছে তার দিকে। ইমরান নাফিসার চোখের পানি দেখে ছেড়ে দিলো। নাফিসা এখানেই দাড়িয়ে আছে। একহাতে নিজের মাথার চুল আঁকড়ে ধরে আবার নাফিসার হাত ধরে টেনে টেনে একটা রুমের সামনে নিয়ে এলো ইমরান। এদিকে এখন তেমন কেউ নেই, যারা আড্ডা দেওয়ার তারা ছাদে আর বাকিরা বাইরের দিকটায় কাজে ব্যস্ত। কয়েকটা বাচ্চা শুধু দৌড়াদৌড়ি করে খেলা করছে। দরজা খুলে নাফিসাকে নিয়ে ভেতরে এলো সে। নাফিসার দিকে তাকিয়ে দেখলো গাল গড়িয়ে চোখ থেকে পানি পড়ছে, ঠোঁট কেটে রক্ত বের হচ্ছে! তাকে এখানে রেখেই ইমরান বাইরে থেকে দরজা লাগিয়ে বেরিয়ে গেলো।
আজ কি এখানেই একা বন্দী করে রাখবে নাকি! দেখা যাক কতোক্ষন আটকে রাখে! কিন্তু এটা কার রুম! নাফিসা চোখ বুলিয়ে দেখলো তেমন কোনো আসবাবপত্র নেই এখানে! শুধু খাট, চেয়ার টেবিল! এই ই! আর রুম এটাচড বাথরুম আছে! গেস্ট রুম হবে হয়তো! হাতের দিকে তাকিয়ে দেখলো মেহেদী অনেকটা শুকিয়ে যাওয়ায় নষ্ট হয়নি! আর রাখারও ইচ্ছে নেই! সে বাথরুমে গিয়ে হাত ধুয়ে নিলো। আয়নায় নিজের চেহারাটা দেখলো, ঠোঁট কেটেছে অথচ সে টেরই পায়নি!
নাফিসা- জল্লাদ একটা!
টিস্যু নিয়ে সে ঠোঁট মুছতে লাগলো। সাজ তো নষ্ট হয়েই গেছে! চোখের পানিতে মেকাপ উঠে কেমন কালো হয়ে আছে! সে মুখ ধুয়ে ফেললো। টিস্যু দিয়ে মুখ মুছে বাথরুম থেকে বের হতেই দেখলো ইমরান খাটে বসে আছে। নাফিসাকে বের হতে দেখে উঠে কাছে এলো। হাটু ভেঙে ফ্লোরে বসে পড়লো। নাফিসা কিছু বুঝতে না পেরে পিছিয়ে যেতে নিলে ইমরান তাকে টেনে সামনে দাড় করালো আর এমনভাবে তাকালো, তার দৃষ্টি দেখেই নাফিসা বুঝে গেছে তাকে নড়াচড়া করতে নিষেধ করছে! সে চুপচাপ এখানেই দাড়িয়ে রইলো। ইমরানের চোখ এখনো লাল হয়ে আছে! নাফিসার শাড়ির আঁচল উপরে তুলে পকেট থেকে একটা ওয়েনমেন্ট বের করে লাগিয়ে দিচ্ছে নখ বসে যাওয়া ক্ষতের জায়গায়। তাহলে ইমরান তাকে বন্দী করে রেখে ওয়েনমেন্ট আনতে গেছে! নাফিসা বিড়বিড় করে বললো,
নাফিসা- হুহ্! নিজে ব্যথা দিয়ে এখন আবার ওয়েনমেন্ট লাগিয়ে দিচ্ছে!
ইমরান- এই ব্যথা তো আমার ব্যথার তুলনায় কিছুই না! এটার জন্য তো ওষুধ আছে, কিন্তু আমার ব্যথা কিভাবে দূর করবো!
নাফিসা- কোথায় ব্যথা পেয়েছো?
ইমরান মাথা উচু করে একবার নাফিসার দিকে তাকালো আবার নিজের কাজ করতে লাগলো। কিন্তু কোনো জবাব দিলো না! লাগানো শেষ হতেই উঠে দাড়ালো। পকেট থেকে ভ্যাজলিন নিয়ে ঠোঁটের কাটা জায়গায় লাগিয়ে দিলো। কাজ শেষ হতেই বেরিয়ে যেতে নিলো কিন্তু নাফিসা তার উত্তর না পাওয়ায় ইমরানের কলার টেনে তাকে বাধা দিয়ে বললো,
নাফিসা- বলো কোথায় ব্যথা পেয়েছো?
ইমরান হাত ছাড়াতে ছাড়াতে বললো,
ইমরান- হৃদয়ে!
নাফিসা হাত না সরিয়ে তার আরও কাছে এগিয়ে গেলো। শার্টের কিছু বোতাম খুলে বুকের বামপাশে খুব গভীরভাবে ঠোঁটের ছোয়া দিলো। মুচকি হেসে ইমরানের মুখের দিকে তাকিয়ে বললো,
নাফিসা- দূর হয়েছে ব্যথা?
ইমরানের শ্বাস ঘন হয়ে এসেছে। সে আর অপেক্ষা না করে তার কুইনকে খুব শক্ত করে বুকে জড়িয়ে ধরলো! পাগলটাকে শান্ত করাতে পেরেছে ভেবে নাফিসা প্রশান্তির নিশ্বাস ছেড়ে চোখ বুজে ইমরানের সাথে মিশে রইলো।
ইমরান- খুব ব্যথা লাগছে না?
নাফিসা- উহুম! এটা তো তোমার ব্যাথার তুলনায় কিছুই না! কিছু বলবো তোমাকে, ধৈর্য ধরে শুনবে একটু?
ইমরান- বলো।
ইমরান সোজা হতে নিলে নাফিসা তাকে ছাড়লো না।
নাফিসা- উহুম, এভাবেই থাকো। আমি জানি তুমি রাফসান ভাইয়ার উপর রেগে আছো তাকে দেখতে পারো না। এটা রাফসান ভাইয়া বলেনি। আগে যেমন কথা বলতো এখানে আসার পর ভাইয়া আমাকে এড়িয়ে গেছে আর তোমার সাথেও কোনো কথা বলেনি এটা দেখেই আমার সন্দেহ হয়েছিলো। তারপর একজনের কাছে জেনে গেছি সত্যটা। ভাইয়া সেদিন বলেছিলো, ” ইমরান খুব ভালো একটা বউ পেয়েছিস তুই! হিংসে হয় তোর সাথে! আমারও এমন পাগলি একটা বউ দরকার!” তাই না? আর এর জন্যই তো তুমি রেগে আছো না?
ইমরান- যেটা বুঝো না সেটা নিয়ে কথা বলবে না। রাফসান থেকে দূরে থাকবে।
নাফিসা- আমি তোমাকে আগেই বলে নিয়েছিলাম ধৈর্য ধরে শুনতে। আগে আমাকে শেষ করতে দাও, পরে বলো। তুমি একটু উল্টো বুঝে গেছো! ভাইয়া কথাটা দুষ্টুমি করে বলেছে ঠিকই কিন্তু এর মানে এটা বুঝায়নি তোমার বউ তাকে দিয়ে দিতে বলেছে! কি, বউ চেয়েছে তোমার কাছে? ভাইয়া আমার বড় হওয়া সত্ত্বেও আমাকে ভাবি বলে সম্মোধন করেছে এখানে তুমি এটা ভাবলে কিভাবে সেটা তো আমার মাথায়ই আসছে না! রাফসান ভাইয়াকে আমি যতদিন ধরে জানি অর্থাৎ তোমাদের কাছে রাফসান ভাইয়া সম্পর্কে যতটুকু জেনেছি আমার মনে হয়না রাফসান ভাইয়া এমন দুষ্টু প্রকৃতির লোক! এই চিনো তোমার ভাইকে! এই চিনো তোমার এতোদিনের ঘনিষ্ঠ বন্ধুকে! তুমি তো আমার আপন মামাতো ভাই, সেখানে তুমি আমাকে বিয়ে করলে কেন? আমিই বা বিয়ের জন্য রাজি হয়ে গেলাম কেন! আমি তো কখনো কল্পনাও করিনি তোমার সাথে আমার বিয়ে হতে পারে! তাহলে হঠাৎ করে জেনেই আমি কেন রাজি হয়ে গেলাম! আমি কি তোমার নামে মন্দ কথা বলে বিয়েটা ইগনোর করতে পারতাম না? কিন্তু সেটা করিনি কেন জানো? কারণ আমি তোমাকে চিনি। তোমার ও তোমার পরিবার সম্পর্কে জানি। আমি তোমাদের কাছে কেমন গ্রহনযোগ্য হবো সেটা খুব ভালো করে জানি আমি। আর জানি বলেই আমি এতো না ভেবে বিয়েতে রাজি হয়ে গেছি। আমি তোমার সম্পর্কে জানতে পারলে, তুমি কি তোমার মামাতো ভাইবোনের সম্পর্কে জানো না? একজন বন্ধু হওয়া সত্ত্বেও রাফসান ভাইয়া কেমন সেটা তুমি জানো না? তাকে কোনো খারাপ কাজ করতে দেখেছো কখনো? তাকে অসৎ পথে চলতে দেখেছো কখনো, বলো? কি হলো বলো? যদি এমন কিছু না ই দেখে থাকো তাহলে তার কথা তুমি অন্যভাবে গ্রহণ করলে কিভাবে! আমি ইচ্ছে করেই গেছি ভাইয়ার সাথে কথা বলতে। তোমার রিয়েকশন দেখার জন্য আর তোমাদের ফ্রেন্ডশিপকে আগের জায়গায় ফিরিয়ে আনার জন্য। তুমি কি এই বিষয়টি লক্ষ্য করেছো, ছাদে আমি যখন ভাইয়ার সাথে কথা বলছিলাম এতোটুকু সময়ে একবারও ভাইয়া আমার দিকে তাকায়নি। মাথা নিচু করেই জবাব দিয়েছে। তার কারণ তিনি বিকৃত দুষ্ট প্রকৃতির লোক নয়। তোমার রিয়েকশনে ভাইয়াও আপসেট! শুধু শুধু ছোট খাটো ভুল বুঝাবুঝির জন্য বন্ধুত্ব নষ্ট করো না। আমি আর কারো সাথেই কথা বলতে যাবো না, শুধু বলবো নিজেরা মিটিয়ে নাও। ওর কাছে বলতে গেলে তুমি ছোট হয়ে যাবে এমন কিছু না ভেবে নির্দিধায় এগিয়ে যাও। তোমরা উভয়ে চাইলেই কেবল সবকিছু আগের জায়গায় ফিরিয়ে আনা সম্ভব। না হলে আর কারো ক্ষমতা নেই! কথাগুলো বলা উচিত মনে হয়েছে তাই বলেছি, এবার তোমার যা ইচ্ছে বলতে পারো আর যা ইচ্ছে করতে পারো।
নাফিসা তাকে ছেড়ে দিতে চাইলে ইমরান ছাড়তে দিলো না। এভাবেই দাড়িয়ে আছে!
নাফিসা- বাইরে যাবে না তুমি? আমি কোথাও যাবো না, তুমি নিশ্চিন্তে যেতে পারো।
ইমরান- যাবো না। কেন এভাবে থাকতে অসুবিধা হচ্ছে?
নাফিসা- উহুম।
ইতি এসে দরজায় থাপ্পড় দিতে দিতে ডাকতে লাগলো। নাফিসাকে নিয়ে যেতে এসেছে। ইমরান কয়েকবার বলে দিলো যাবে না, সে মানছে না। ইমরান বিরক্ত হয়ে দরজা খুললো, ইতি সাথে সাথে ভেতরে এসে বললো,
ইতি- আপু! তুমি এতো তারাতাড়ি সাজ মুছে ফেললে!
নাফিসা- আর কি করবো, দশটা বেজে গেছে। ভালো লাগছে না তাই ধুয়ে ফেলেছি।
ইমরান- হয়েছে দেখা করা এবার যা।
ইতি- হ্যাঁ যাবোই তো, আপুকে নিয়ে যাবো।
ইমরান- যাবে না ও।
ইতি- তুমি চুপ থাকো, মনে করো আজকের জন্য তুমি অবিবাহিত! আমরা একসাথে গল্প করবো, খাবো, ঘুমাবো। আপুকে নিয়ে নিশ্চিন্তে থাকো। তুমি সাবধানে থেকো, আজকের জন্য সিঙ্গেল জানলে আবার কেউ এটাক করতে পারে তোমার উপর!
ইতি হেসে উঠলো আর ইমরান চোখ রাঙালো!
ইতি- আপু চলো..
নাফিসা- না, ইতি তুমি যাও। আমার ভালো লাগছে না।
ইতি- আমার সাথে গেলেই ভালো লাগবে। চলো… ভাইয়া, রুম খালি করো গুরুজন ঘুমাবে আর চাইলে ছাদে আসো।
নাফিসা ইমরানের দিকে তাকাতেই ইমরানের পজিটিভ সিগনাল দেখে চলে গেলো ইতির সাথে। ইতি নাছোড়বান্দা তাছাড়া সবসময় তো আর কাছে পাবে না তাই ইমরান আর বাধা দিলো না।
নাফিসার সময় ভালোই কাটছে তাদের সাথে গল্প করে! ইতির কাছে জেনে গেছে ইমরানকে নাকি পাশের বাসার এক মামাতো বোন খুব পছন্দ করে। নির্লজ্জের মতো কয়েকবার প্রপোজ করেছে কিন্তু ইমরান পাত্তা দেয়নি! আপু ভাবি তারা কয়েকজন জানে এই ব্যাপারটা! এটাও সবাই জানে ইমরান এসব বিষয় থেকে দূরে থাকে তাই নাফিসা মনে মনে বললো, “হুহ্! দূরে থাকে! তিশার খবর তো তোমরা জানোই না!” তবে এই মেয়েটাকে দেখার অনেক শখ নাফিসার।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here