অদ্ভুত_মেয়ে (season 2) Part- 38

0
2578

অদ্ভুত_মেয়ে (season 2)
Part- 38
Writer: #Nur_Nafisa
.
.
বেশ কিছুক্ষণ পর নাফিসা দেখলো ইমরান রাফসানের সাথে ভালো জমেছে! সব বন্ধুরাই জমিয়ে আড্ডায় দুষ্টুমিতে মেতেছে! নাফিসার খুব ভালো লাগছে। অনেকেই ঘুমাতে চলে গেছে, ইমরান রাফসানকে বলেছিলো ছাদটা তাকে ম্যানেজ করে দিতে কিন্তু বড় ভাইয়ার বন্ধুদের জন্য নাকি আগেই ফিক্সড হয়ে গেছে তাই আর পারলো না! নাফিসা হিমা হিয়া আর ইতির সাথে নানুর রুমে চলে গেছে। তারা চারজন ফ্লোরে বিছানা করে শুয়েছে। ইমা আপু ও রিমা আপু নানুর সাথে খাটে। আর ইমরানের বন্ধুরা ভাসমান! তারা আড্ডা দিয়েই কাটিয়ে দিবে। চাইলে এখান থেকে নাফিসাদের বাসায়ও যেতে পারতো কিন্তু বিয়ে বাড়ির মজাটাই আলাদা! তাই ইমরান বলার পরও যায়নি।
বাকি সব ঘুমে তলিয়ে গেছে কিন্তু নাফিসার চোখে ঘুম নেই! ইমরান বদ অভ্যাস বানিয়ে দিয়েছে তার! বাসায় বেড়াতে গেলেও ঘুমাতে পারেনা, ইমরানকে কল করে নিয়ে যায়! আজ তো ঘুম হবে না তার! কেউ তো সজাগও নেই যে গল্প করবে! নাফিসা চোখ বন্ধ করে ঘুমাতে চেষ্টা করছে হঠাৎ কারো স্পর্শ পেয়ে চমকে উঠোলো! ইমরান আগেই নাফিসার মুখ চেপে ধরে চুপ থাকতে ইশারা করলো। আস্তে করে নাফিসার বালিশে মাথা রেখে শুয়ে পড়লো। নাফিসা ফিসফিস করে বললো,
নাফিসা- তুমি এখানে কেন?
ইমরান- ঘুম যে নেই তোমার চোখে সেটা কি আমার অজানা!
নাফিসা- কেউ দেখলে কি ভাববে, যাও!
ইমরান- তুমি এমন ছটফট না করলে আর কেউ দেখবে না। চুপচাপ থাকো।
ইমরান তার পা দুটো কম্বলের নিচে কোনোমতে ঢুকাতে পেরেছে নাফিসার পায়ের কাছে। এমনিতেই তারা এক কম্বলের নিচে চারজন। নাফিসা টেনেটুনে আরেকটু নিয়ে এসে ইমরানের উপর দিলো। না জানি বেচারি ইতি ওদিকে কম্বল ছাড়া হয়ে গেছে! নাফিসাকে আরেকটু চাপিয়ে ইমরান ওর সাথে মিশে রইলো।
নাফিসা- রাফসান ভাইয়ার সাথে সব ঠিক হয়ে গেছে?
ইমরান- কেন? উল্টাপাল্টা কিছু হয়েছে নাকি?
নাফিসা- হুহ! ঢং দেখাতে আসছে! তুমি বুঝলে কিভাবে আমি এপাশে আছি?
ইমরান- এমনি বুঝেছি, রুম তো আর পুরো অন্ধকার না। এই আলোতে চোর এলেও বুঝা যাবে!
নাফিসা- এখন যদি চোর ভেবে তোমাকে মাইর শুরু করতাম!
ইমরান- তাহলে চুরি করে তোমাকে নিয়ে যেতাম!
নাফিসা- হিহিহি! একটা জিনিস দেখবা?
ইমরান- কি?
নাফিসা তার দুহাত মেলে মেহেদী দেখালো।
ইমরান- এটা দেখার কি আছে?
নাফিসা- অনেক কিছু আছে। দেখো ভালো করে।
ইমরান- দেখেছি।
নাফিসা- হয়নি দেখা, ভালো করে ফোনের লাইট জ্বালিয়ে দেখো।
ইমরান- দেখেছি তো লতাপাতা, ফুল সবই আছে। এবার ঘুমাও। এতো কথা বললে ওরা জেগে যাবে!
নাফিসা মুখ গোমড়া করে রাখলো।
নাফিসা- তুমি কখন যাবে?
ইমরান- যাচ্ছি না। ঘুমাও।
নাফিসা- না, আপুরা দেখলে প্রব্লেম হবে, চলে যাও।
ইমরান- চুপ করে ঘুমাও।
এর মাঝে হিমা নাফিসার উপর পা তুলে দিয়েছে! এজন্য তাদের সাথে ঘুমাতে চায় না নাফিসা! ফিসফিস করে বকতে লাগলো। ইমরান পা দিয়ে ঠেলে আস্তে আস্তে সরিয়ে দিলো হিমার পা।
সকালে ঘুম থেকে উঠে আর ইমরানকে দেখতে পায়নি। কিন্তু মুখ ধোয়ার সময় হাতের দিকে চোখ পড়তেই দেখলো মেহেদী দিয়ে SI লেখার লেখার জায়গায় কলমের কালি দিয়ে লাভ শেপ আকা! সাথে সাথে নাফিসার মুখে হাসি ফুটে উঠলো!
নাফিসা- ইমরাইন্না, সব জেনেশুনে আমার সামনে এমন ভাব করো! স্টুপিড একটা!
ইমরান নাফিসাকে খুজতে লাগলো কিন্তু পাচ্ছে না! কারো কাছে সরাসরি জিজ্ঞেসও করতে পারছে না! আফরোজা ভাবির কাছে এসে বললো,
ইমরান- ভাবি, ইতি কই?
আফরোজা- ইতিকে কি প্রয়োজন! এটা জিজ্ঞেস করলেই পারো “ভাবি আমার বউ কই?” হিহিহি….
ইমরান- ওকে ফাইন, জানোই যখন বলো এবার!
আফরোজা- পার্লারে গেছে সব।
ইমরান মনে মনে রেগে গেছে! ” আমাকে কিছু না জানিয়ে পার্লারে যাওয়া! আসো আগে দেখাচ্ছি তোমাকে!”
দুপুরের দিকে নাফিসা বাসায় ফিরেছে! তাকে দেখে তো ইমরানের রাগ ফুড়ুৎ! সুযোগ খুজছে কিন্তু নাফিসা ধরা দিচ্ছে না! রিমাকে এক রুমে বসিয়ে বের হওয়ার সময় ইমরান সুযোগ বুঝে টেনে অন্য রুমে নিয়ে গেলো। একহাতে দেয়ালে ভর দিয়ে অন্যহাতে নাফিসাকে স্পর্শ করলো! খুটিয়ে খুটিয়ে দেখছে তাকে আর নাফিসা দৃষ্টি মেঝেতে ফেলে রেখেছে! ইমরান মাশাল্লাহ বলে কপালে চুমু দিলো। একে একে ছোয়া দিতে দিতে বললো,
ইমরান- এতো মেকাপ করেছো কেন?
নাফিসা- যাতে কেউ আমার প্রকৃত রূপে নজর না দিতে পারে।
ইমরান- এতো কাজল টানা দিয়েছো কেন?
নাফিসা- যাতে কেউ আমার চোখের আকার না বুঝতে পারে!
ইমরান- ঠোঁট এতো রঙ্গিন করেছো কেন?
নাফিসা- যাতে কেউ আমার ঠোঁটের প্রকৃত রঙ বুঝতে না পারে।
নাকে ঠোঁটের ছোয়া দিয়ে বললো,
ইমরান- নাকফুল পড়েছো কেন আজ?
নাফিসা- আমার বরের জন্য।
ইমরান নাফিসার মুখটা উপরের দিকে তুলে বৃদ্ধা আঙুলে ঠোঁটে আলতো স্পর্শ করে বললো,
ইমরান- আপাতত এটা বাদ রাখলাম। মাত্র সেজে এসেছো তাই নষ্ট করলাম না! এটা না হয় রাতের জন্য বাকি থাক!
নাফিসা লজ্জা পেয়েছে ঠিকই তবুও উঁচু হয়ে হুট করেই ইমরানের ঠোঁটে আলতো স্পর্শ দিয়ে তাকে ধাক্কা দিয়ে দৌড়ে পালালো! হঠাৎ কেমন শকড হলো ইমরান নিজেই বুঝতে পারছে না!
ইমরান- পালাও, কতোক্ষন আর পালিয়ে থাকবে মিসেস সাঈফা ইমরান!
ইমা আপুর সাথে খেয়েছে নাফিসা। ফাহিম ভাইয়া এসেছিলো, খেয়ে সবার সাথে দেখা করে চলে গেছে। জরুরি কাজ আছে তাই এখানে বেশিক্ষণ থাকেনি। কাল হয়তো আবার আসবে, ইমরানের মামামামী বলে দিয়েছে। মা বাবা ও সাঈদ এসেছে। অন্য কোথাও নাকি দাওয়াত আছে তারা আবার সেখানে চলে যাবে। নাফিসা বাবা মায়ের সাথে কথা বললো। একটু পর রিমা আপুকে নিয়ে স্টেজে গেলো। বেশ কয়েকজন মেয়ে আছে। ইমরান নাফিসার দিকে তাকিয়ে হেটে যাচ্ছে। নাফিসা লক্ষ্য করেছে বিষয়টা। দুজনেই মুচকি হাসছে! হঠাৎ করে ইমরান কারো সাথে ধাক্কা খেলো! সামনে তাকিয়ে দেখলো রাফসান! বেচারা গরুর মাংসের বাটি নিয়ে যাচ্ছিলো, ইমরানের ধাক্কা খেয়ে তার গজব হয়েছে! মাংসের ঝোল গিয়ে তার নতুন শার্টে লেগে মাখামাখি! অথচ ইমরানের উপর ছিটাফোঁটাও নেই! ইমরান হা হয়ে আছে! নাফিসা স্টেজে থেকে হেসে যাচ্ছে! আর রাফসান রেগে বললো,
রাফসান- ব্যাটা! বউয়ের সাথে প্রেম করবি, আশেপাশে জায়গার কি অভাব পড়ছে! প্রেমে অন্ধ হয়ে হেটে হেটে আমার জামা ই নষ্ট করার ছিলো!
রাফসানের কথা শুনে জিভে কামড় দিয়ে রাখছে নাফিসা! কিসব বলছে ভাইয়া! আল্লাহ বাচাইছে কেউ এদিকে কান দেয়নি! সবাই যার যার কাজে ব্যস্ত! আর ইমরান জবাব দিলো,
ইমরান- সরি ভাই, নে একটুকরোর জায়গায় দু টুকরো মাংস খা!
রাফসান- তুই খা নাক মুখ ডুবাইয়া! ধর, রেখে আয়।
ইমরানের হাতে বাটি ধরিয়ে দিয়ে রাফসান চলে গেলো আর ইমরান হাসতে হাসতে বাটি রাখতে গেলো। রাফসান ড্রেস চেঞ্জ করে এসেছে।
রিমার পাশে বসে বান্ধবীরা ও বোনেরা আড্ডা দিচ্ছে। ইতি নাফিসাকে ইশারা করে দেখিয়ে দিলো সেই মেয়েটিকে। দেখতে তো ভালোই! এক্সট্রা স্মার্টও। চেহারা ফর্সা, চুল কালার করে বানরের ন্যায় করে রেখেছে। বয়সে ইতির সমানই হবে হয়তো! এই পিচ্চি মেয়ে ইমরানের পিছু লেগেছে! অবশ্য পিচ্চি বলা যায় না, ইমরানের সাথে সাত আট বছরের ডিফারেন্স হবে !
নাফিসা- ইতি কোন ক্লাসে পড়ে?
ইতি- আমার ক্লাস মেটই। ভার্সিটিতে ভর্তি হয়েছে।
নাফিসা- ওহ আচ্ছা!
বরযাত্রী চলে এলে স্টেজ ফাকা হয়ে গেছে। সবাই গেইটে চলে গেলো আর ইমরান স্টেজে উঠে এলো। নাফিসা এখানেই দাড়িয়ে আছে। মেয়েটি ইতির সাথে নেমেছিলো ঠিকই, কিন্তু ইমরান উঠে আসার পরপরই সে উঠে এসে রিমা আপুর কাছে বসে পড়লো। রেহান ইমরানের ক্যামেরা এনে কি যেন বললো আর ইমরান একপাশে দাড়িয়ে সেটা দেখে কিছু করছে। নাফিসা এসে রিমার আরেক পাশে বসলো। রিমা আপু মেয়েটিকে বললো,
রিমা- কিরে সোনালী, তুই যাস না কে?
– এমনি, আমার ভালো লাগে না এসব!
রিমা- ওমা! ইমরানকে দেখে ভালো লাগা মন্দ হয়ে গেছে নাকি!
– ইশ! কি বলো আপু!
নাফিসা- নাম কি সোনালী?
– না, আই’ম স্বর্নালী!
নাফিসা- ওহ! আমাকে চেনো?
– এতো কাউকে চেনার টাইম নেই!
নাফিসা- বাবাহ! এতো ব্যস্ত তুমি! ইমরানকে চেনো?
মেয়েটি শুধু ইমরানের দিকে তাকালো কিন্তু নাফিসার কোনো জবাব দিলো না। নাফিসা রিমাকে উদ্দেশ্য করে বলতে লাগলো,
নাফিসা- আপু, তোমার জানামতে কোনো মেয়ে থাকলে বলো তো। ইমরানকে বিয়ে করাবো।
ইমরান ক্যামেরা থেকে চোখ সরিয়ে নাফিসার দিকে তাকালো আর নাফিসা তার দিকে তাকিয়ে হাসলো। এই হাসি সুবিধার না, ইমরান বুঝতে পারছে মাথায় খিচুড়ি পাকাচ্ছে, কিছু একটা করবে! রিমা আপু মিটিমিটি হেসে বললো,
রিমা- মেয়ে আর খুজতে কি, হাতের কাছেই তো আছে আমাদের সোনালী!
– আপু তুমিও না!
মেয়েটি লজ্জা পেয়েছে বুঝা যাচ্ছে আর উৎফুল্ল হয়ে নাফিসাকে বললো,
– আপু তুমি কে?
নাফিসা- আমি! তুমি এতো ব্যস্ত মানুষ, আমাকে চিনে কি করবা?
– তুমি ওনার বউ না!
নাফিসা- আমিতো মিসেস সাঈফা ইমরান। কিন্তু এখন তোমার কথার স্টাইল দেখে তো মনে হচ্ছে তুমিই ওর বউ! যাইহোক, ওকে আরেকটা বিয়ে করাবো। কোনো অধিকার থেকে বঞ্চিত হবে না নতুন বউ! তুমি রাজি আছো নাকি সোনালী, রূপালী, বর্ণালী?
মেয়েটি একবার ইমরানের দিকে তাকাচ্ছে আর একবার নাফিসার দিকে তাকাচ্ছে। আর ইমরান তাকিয়ে আছে শুধুই নাফিসার দিকে! কিন্তু নাফিসা ইমরানের দৃষ্টিকে গুরুত্ব দিচ্ছে না। সে আবার বলতে লাগলো,
নাফিসা- ওর দিকে তাকাও কেন? আমি যা বলি সেটাই ফিক্সড! বুঝতে পেরেছো? রাজি থাকলে বলে ফেলো। তবে শর্ত বিদ্যমান।
– কিসের শর্ত?
নাফিসা- শুনো, তুমি বউ হয়ে গেলে তিনটা শাশুড়ী মা পাবে, তিনটা শশুর, তিনটা দেবর, দুইটা ননদ, একটা সতীন পাবে। আলাদা রুম পাবে, এক পয়সাও যৌতুক দিতে হবে না। প্রয়োজনীয় সবকিছু পাবে। সবসময় শাশুড়ী মায়েদের যত্ন নিবে। প্রতিদিন সকালে উঠে একতলা, দোতলা সম্পূর্ণ বাড়ি ঝাড়ু দিবে, মুছে দিবে, তিনবেলা রান্না করবে, থালাবাটি ধুবে। খবদার কারো কথায় অসন্তুষ্ট হবে না। বাড়ির সকলের কাপড়চোপড় ধুয়ে রোদে শুকাতে দিবে৷ সিড়ি দিয়ে উঠানামা করলে ফিটনেস ভালো থাকবে। বাসায় দুইটা বাচ্চা আছে, দিনে পাচ ছয় বেলা খায়িয়ে দিবে, গোসল করাবে, ঘুম পারাবে, তাদের নিয়ে খেলাধুলা করবে। মাঝে মাঝে আমার পা টিপে দিবে। যতইহোক, বড় বোন তো আমি! সপ্তাহে একদিন একরাত ইমরানকে কাছে পাবে। দিনশেষে আমার পক্ষ থেকে একটা ললিপপ গিফট পাবে। এসব করতে পারলেই এনাফ! তুমি আদর্শ বউ হয়ে বাড়ির রানী হয়ে থাকবে। এখনই তো চুল পেকে লাল হয়ে বুড়ি হয়ে গেছো, তখন দেখবে আবার কালো হয়ে যৌবনা হয়ে যাবে। বলো কবুল?
মেয়েটি বড় বড় চোখ করে তাকিয়ে আছে নাফিসার দিকে আর রিমা হাসছে! ইমরানের মুখেও হাসি লেগে আছে! রেহান চলে গেছে ক্যামেরা নিয়ে কিন্তু ইমরান এখানেই দাড়িয়ে আছে।
নাফিসা- আপু তুমি এভাবে হাসছো কেন! তোমার না আজ বিয়ে, কোথায় কান্না করবে, উল্টো হেসে যাচ্ছো! কি গো সোনালী, রূপালী, বর্নালী রাজি থাকলে বলো কাজি তো বাসায়ই আসবে, একসাথে দুই বিয়ে পড়ানো হয়ে যাবে! তারাতাড়ি বলো? মিয়া বিবি রাজি তো বিয়ে পড়াবে কাজি! বলো বলো তারাতাড়ি বলো, কবুল?
মেয়েটি মুখ ফুলিয়ে মনে মনে নাফিসাকে বকতে বকতে ইমরানের সামনে দিয়ে নেমে গেলো স্টেজ থেকে! আর এদিকে তারা তিনজনই হাসছে। ইমরান এসে রিমার অপর পাশে বসলো। সাদাফ ভাইয়া এসে স্টেজে উঠলো।
রিমা- কি ভাইয়া, চলে এলেন যে?
সাদাফ- আর বলো না! বিয়ে বাড়িতে এসেছি নাকি রণক্ষেত্রে! দুই পক্ষ কি চাপা! বরকে তো দেখাই যায় না, মৌচাক বেধেছে সবাই মিলে! কার ছবি তুলবো! কান আমার ঝালাপালা হয়ে গেছে, যা খাইছি সব হজম! না জানি আমার ক্যামেরার উপর দিয়ে ঝড় যায়! তাই আমি পলাতক! এর চেয়ে ভালো তোমাদের ছবি তুলি, কাপলের মাঝে তুমি বসে আছো কেন! একপাশে যাও। কিরে ইমরান, আজ কি দ্বিতীয়বার বিয়ে করবি তোরা?
ইমরান- করতাম, পাত্রী তো পালাইছে!
সাদাফ- হায় হায়! ঘরে বউ রেখে আবার পাত্রী খুজছ! ভাবি, আপনার সামনে বলে আর আপনি কিছু বলেন না!
নাফিসা- কি আর বলবো! পাত্রী তো আমি নিজেই ঠিক করছিলাম! কিন্তু পালিয়ে গেলো!
সাদাফ- রিমা, কি চলে এসব! তোমার বিয়েতে এসে তো আমার হার্টের প্রব্লেম হয়ে যাচ্ছে! সবদিকেই নিজেকে পাগল পাগল লাগতাছে আজ!

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here