অদ্ভুত_সেই_বাড়িটি পর্ব-১

0
1206

#অদ্ভুত_সেই_বাড়িটি
পর্ব-১
লেখা- #মুসাফফা_মারহামা_মিম

সাদিয়ারা মাত্রই এসে পৌঁছলো প্রত্যন্ত এই গ্রামে।সেই সকালে তারা বাড়ি থেকে বের হয়েছে।আর এখন বাজে রাত ৮ টা।বাসস্ট্যান্ডে পৌছেই ড্রাইভার জানিয়েছে গাড়ি আর সামনে নেওয়া যাবেনা। কারন তারা যেখানে যেতে চায় সেখানে যেতে পিচডালা কোনো রাস্তা নেই।কয়েকটা মাটির রাস্তা রয়েছে তাও আঁকা বাঁকা।কিছু রাস্তাতো আবার গভীর অরণ্যে মিলিয়ে গিয়েছে।সেদিকে দৃষ্টি দিলেই কেমন গা ছমছম করা করে উঠে। সানজানা তার ছোট চাচিকে জানিয়ে রেখেছিলো তারা কয়েকজন বন্ধু মিলে তাদের পুরনো বাড়িটিতে কয়েকদিন থাকবে।তাই তার চাচি তাদের ম্যানেজারকে আগেই বিষয়টি জানিয়ে দিয়েছিলেন।বাসস্ট্যান্ডে ৫ জন বরকা পরিহিতা মেয়েকে দাঁড়িয়ে থাকতে দেখেই আফজাল সাহেব সেদিকে এগিয়ে গেলেন।সাথে সাদিয়ার ভাইও এসেছে।সাদিয়ারা এক ভাই এক বোন, সাদিয়া বড়।সাদিয়া হেফজ শেষ করে জেনারেল লাইনে পড়া লেখা করেছে, এবার সে অনার্স শেষ করেছে। তার ভাই সাজিদ স্কুল থেকে নবম শ্রেণিতে পরীক্ষা দিয়েছে।সাদিয়ার অভিভাবকের কাছে সেখানে একা যাওয়াটা বেমানান লেগেছে তাই সাথে করে তার ভাইকে দিয়ে দিয়েছে। আফজাল সাহেব সানজানার সম্মুখে আসতেই সানজানা মুচকি হেসে বললো।

“আসসালামু আলাইকুম আংকেল ভালো আছেন?

” হ্যাঁ মা ভালো আছি এখন তো রাত হয়ে গিয়েছে কোনো রিকশা পাবেনা মনে হচ্ছে।

“রিকশা না পেলে কিভাবে হবে আংকেল আমাদের সাথে ব্যাগ রয়েছে।

” আচ্ছা দেখি কোনো ভ্যান খুজে পাই কিনা।
আফজাল সাহেব বয়োজ্যেষ্ঠ মানুষ।বহুকাল ধরেই তিনি সানজানার চাচাদের এই বাড়িটি দেখা শোনা করছেন।বাড়িটি জমিদার আমলের। কোনো এক বিত্তবান ব্যাক্তি জংগলের মাঝখানে এই বাড়িটি নির্মান করেছিলেন।বাড়িটি নিয়ে মানুষের ভিত্তিহীন রটনার শেষ নেই।অনেকে দাবী করেন যেই লোক এই বাড়িটি নির্মান করেছিলেন তিনি মানুষ পাচার করতেন।আর নয়তো জংগলে বাড়ি বানাতে যাবেন কেন?কেউ কেউতো আবার বলেন লোকটি নারী লোভী ছিলেন।তখন অনেক নারীর যন্ত্রণাদায়ক হাহাকার, চিৎকার দিয়ে বাড়ির দেয়াল গুলো ভারী হত।যামীনির নিকষকালো আধার যখন ভূলোককে গ্রাস করে নেয় তখনই নাকি ওই আর্তনাদের জঘন্য ভীতিজনক ধ্বনি পুরো গ্রামে ছড়িয়ে পড়ে।যদিও এক কালে এই গ্রাম সকলের কাছে ঝোপঝাড় পূর্ণ বিস্তীর্ণ অঞ্চল বা জংগোল রুপেই পরিচিত ছিলো।কিন্তু এখন সেখানে মানুষজনের বসতি বেড়েছে।তাই এখন তার নাম হয়েছে গ্রাম।মানুষদের বসতি বেড়ে যাওয়ার পরপরই সানজানার চাচা বাড়িটি ক্রয় করেন।সানজানা তার পরিবারের সাথে এ বাড়িতে অনেক এসেছে। তার কাছে কখনোই বাড়িটিকে ভূতুরে মনে হয়নি।সে কোনো দিন ভুতপ্রেতের উপস্থিতিও এখানে ঠাওর করেনি।তাই বাড়িটিকে ঘিরে যত লোককাহিনি রয়েছে পুরোটাই সানজানার কাছে গুজব হিসেবে বিবেচিত। তারা পাচঁজন বান্ধবী একটি বেঞ্চে বসে গল্পে করছে।রিফা,আর ফিজা তাদের ফোন নিয়ে হাত উঁচু করে বসে আছে।এর পিছনেও যথেষ্ট কারন রয়েছে তা হলো এ জায়গায় তেমন নেটওয়ার্ক পাওয়া যায়না।এই আসে এই যায়। তাদের মধ্যে থেকে রাজিয়া সানজানাকে লক্ষ্য করে বললো

“দোস্ত এইখানেই নেটওয়ার্কের এই অবস্থা। তোদের বাড়িতো আরো ভিতরে সেখানে কি আদৌ নেটওয়ার্ক পাবো?

” নারে এ কদিন পুরোই নেটওয়ার্কের বাহিরে থাকতে হবে।কারো কোনো প্রয়োজনীয় কথা থাকলে এখানেই বলে নে।

“সাদিয়া বললো।দোস্ত ফোন ছাড়া থাকা যায় নাকি?

” ফিজা আর রিফাও সাদিয়ার সাথে তাল মিলালো।

“সানাজানা বললো।কি আর করার বল।এই গ্রামে ইলেক্ট্রিসিটি এসেছে কয়েকমাস হলো।এর আগে মানুষ জন হারিকেন বা কুপি ব্যবহার করতো।

” সাদিয়া বললো।আচ্ছা নেটওয়ার্ক নাই এটা কোনো ব্যাপার না।আগে বল আমাদের সেখানে গিয়ে ভালো লাগবেতো?

“হু কি বলিস বাড়ির পিছনটাতেই পাহাড় রয়েছে।আর তোরাতো পাহাড়েই সময় কাটাতে চেয়েছিলি তাইনা?

তাদের কথার মাঝখানে আফজাল সাহেব ভ্যান নিয়ে হাজির হলেন।তারা ৬ জনই ভ্যানচালককে দেখে কিছুটা অবাক হলো।এই গরমেও লোকটি চাদর দিয়ে পুরো শরীর আবৃত করে রেখেছে।ফিজা অনেকটা সাহস নিয়ে ভ্যানচালককে বলে ফেললো।আংকেল আপনি কি অসুস্থ?

” লোকটি ফিজার দিকে ভয়ানক দৃষ্টিতে তাকালো। লোকটির দুটো চোখ যেন লাল হয়ে আছে।চোখে মুখে ফুটে উঠেছে এক প্রকার চাপা উদ্বেগ। ফিজা ঘাবড়ে গেলো।এক হাত দিয়ে সানজানার হাত শক্ত করে ধরলো। সানজানা ফিজার কর্ণে ফিসফিস করে বললো।থাক কথা বলিস না কোনো।এদিকের মানুষগুলো খুবই অদ্ভুত। ফিজা চুপ হয়ে গেলো।আফজাল সাহেব সাজিদের সাহায্যে ভ্যানে সকলের মাল গুলো উঠালেন।এবং সবাইকে ভ্যানে উঠে বসতে বললেন।আফজাল সাহেব, আর সাজিদ লোকটির পিছনে বসলো।সাজিদের পিছনে সাদিয়া বসলো।আর আফজাল সাহেবের পিছনে সানজানা বসলো। বাকিরাও পিছনে বসে পড়লো।সাদিয়া এক হাত দিয়ে শক্ত করে ভাইকে ধরে রেখেছে।ভ্যান চলতে শুরু করলো।ভ্যান চালক এবার কথা বললেন।তিনি গম্ভীর স্বরে সকলের উদ্দেশ্যে বললেন, সবাই সাবধানে বইসেন।সামনের রাস্তা কইলাম অতডা ভালানা।

ভ্যান মাটির রাস্তা দিয়ে সামনে এগিয়ে যাচ্ছে।পথের দু পাশে উঁচু উঁচু বৃক্ষলতাপাতা সারিপাতে দাঁড়িয়ে আছে। আলোর ছিটেফোঁটাও নেই।দূর থেকে ভেসে আসছে শিয়ালের হাঁক।ঝিঁঝিঁরা এক শ্বাসে ডেকে যাচ্ছে।যেন তাদের শ্বাস নিতে মানা।গভীর অরণ্যে দৃষ্টি পড়তেই মনে হয় কেউ যেন তাদের দিকে সেথায় দাঁড়িয়ে অনিমিখে চেয়ে আছে। দু নয়ন বন্ধ হলেই অন্তরিন্দ্রিয় বলছে কেউ তাদের কাছে পশ্চাত দিয়ে দৌড়ে আসছে।এখনই তাদের ধরে জংগোলের দিকে নিয়ে যাবে।খুবই গা ছমছমে এক পরিস্থিতি। সাদিয়া চারপাশের ভয়াবহ পরিবেশ দেখে সাথে সাথে চার কুল( সুরা ইখলাস,নাস, ফালাক,কাফিরুন) আয়াতুল কুরসি পাঠ করলো।প্রথমেই তার ভাইয়ের গায়ে ফুঁ দিলো এরপর নিজের গায়ে,এরপর আবারো পড়ে বান্ধবীদের গায়ে ফুঁ দিলো।তারা অনেকটা পথ চলে এসেছে, অবশ্য এটা আফজাল সাহেবের ভাষ্যমত।কিন্তু তারা এখনো বৈদ্যুতিক আলোর কোনো ছিটেফোঁটাও দেখতে পাচ্ছেনা।তবে তারা নিরাশ হলোনা।কারন সানজানাও বলেছে এইতো আর কিছুটা পথ বাকি এরপরই তারা তাদের গন্তব্যে পৌঁছে যাবে।সাদিয়া তার ভাইয়ের থেকে হাত সরিয়ে তার পিঠে হাত বুলালো এবং নরম স্বরে বললো।সাজিদ ভয় লাগছে?

“আরে না আপু।তোমার কি আমাকে এখনো ছোট মনে হয়।

” না না তোকে ছোট মনে হবে কেন ভাই।তুইতো উচ্চতায় আমার থেকেও বড়।

“হু সেটাই বুঝতে হবে।

” ক্ষুধা পেয়েছে ভাই।

“হু আপু অনেক ক্ষুধা পেয়েছে।

” আমার কাছে ছোট বিস্কুটের প্যাকেট আছে একটা দিবো খাবি?

“না থাক আর কিছুক্ষণ পরেতো আমরা পৌঁছে যাবো তখনই খাবো।

সাদিয়া তার ভাইকে প্রচন্ড ভালোবাসে। যতই হোক ছোট ভাই বলে কথা। সাজিদ ভালো একজন ছেলে, খুব পরিবার কেন্দ্রিক, সেও তার বোনকে খুব ভালোবাসে।ভ্যানের সকলকে নিরব থাকতে দেখে সাজিদ নিরবতা ভেঙে বললো।

” সানজানা আপু আমার কিন্তু ভিষণ ক্ষুধা পেয়েছে।আমার জন্য বিড়িয়ানির ব্যবস্থা করবেন।

“সানজানা মুচকি হেসে বললো। জানিনা আজকে তোমাকে বিড়িয়ানি দিতে পারবো কিনা।তবে কথা দিচ্ছি কাল তোমাকে আমি নিজ হাতে বিড়িয়ানি করে খাওয়াবো।

” আফজাল সাহেব তাদের কথার রেশ ধরে বললেন।বিড়িয়ানি না পাইলেও সমস্যা নাই আমি মুরগি রান্না কইরা রাইখা আসছি। ওইটা দিয়া আজ খাইও।কাল না হয় বিড়িয়ানি খাইবা।

“সাজিদ অস্ফুট স্বরে শুধু বললো হুঁ।কারন তার দৃষ্টি এখন ভ্যান চালকের দিকে নিবদ্ধ। ভ্যান চালকের গা থেকে চাদর টি সরে গিয়েছে।চাঁদের মৃদু আলোয় ভ্যান চালকের ঘাড়ের দিকটা পরিস্ফুট দেখা যাচ্ছে।তার গাত্রের চর্ম আর চার পাঁচটা মানুষের মত স্বাভাবিক না।সেটা কেমন যেন ভাজ ভাজ দেখাচ্ছে।মনে হচ্ছে তিনি কোনো একসময় আগুনে দগ্ধ হয়েছিলেন।দেখতে খুব ভয়ানক লাগছে।সাজিদের হৃদপিণ্ড ঈষৎ কেঁপে উঠলো।মুখ দিয়ে সে আপু শব্দ উচ্চারিত করবে এমন সময় সাদিয়া তার ওষ্ট চেপে ধরলো।এবং তার কর্ণে ফিস ফিস করে বললো।চুপ থাক ভাই কোনো কথা বলিসনা।আমিও বিষয়টি লক্ষ্য করেছি আগে।ভয় পাসনা আমিতো আছিই তোর সাথে।সাদিয়া দু হাত দিয়ে সাজিদকে পিছন থেকে জড়িয়ে ধরে রাখলো।কিছুক্ষণ পর আফজাল সাহেব অভয় গলায় বললেন।এইতো আমরা চলে এসেছি। সাদিয়া,ফিজা,রিফা,রাজিয়া,সানজানা,সকলেই লক্ষ্য করলো অদুরে অদুরে কয়েকটা বাড়িতে বৈদ্যুতিক আলোকচ্ছটা দেখা যাচ্ছে।তারা সকলেই মৃদু আওয়াজে আলহামদুলিল্লাহ বললো।কয়েকটা বাড়ি পেরিয়েই সানজানাদের সেই প্রাচীন যুগের বাড়ির টির সামনে ভ্যান থামলো। আফজাল সাহেব ভ্যান থেকে সকলের জিনিসপত্র আগে নামালেন।এরপর ভ্যান চালকের হাতে একটি চকচকা টাকার নোট গুজে দিলেন।ভ্যান চালক এবারো কোনো কথা বললেন না।হাত দিয়ে গাত্রে থাকা চাদর খানা ঠিক করে ভ্যানে উঠে পড়লেন। ভ্যানের চক্র ( চাকা) নিয়ন্ত্রণ যন্ত্রের উপর পা পড়তেই তিনি আবারো ভ্যান থেকে নেমে পড়লেন।ডান হাত দিয়ে আফজাল সাহেবকে ইশারা করে ডাকলেন।আফজাল সাহেব বাড়ির সদর দরজা খোলায় ব্যস্ত ছিলেন।সাদিয়ার বিষয়টি দৃষ্টিগোচর হলে সে আফজাল সাহেবকে বিষয়টি সম্পর্কে অবগত করলো।আফজাল সাহেব চাবি সানজানার হাতে দিয়ে সেদিকে এগিয়ে গেলেন।লোকটি আফজাল সাহেবের কানে কানে কিছু একটা বললেন।আফজাল সাহেব উত্তর দিকটার পরিত্যক্ত বাড়ির দিকে নজর দিলেন এবং এক দিকে মাথা নাড়ালেন।মনে হচ্ছে লোকটি তাকে গুরুত্বপূর্ণ কোনো বিষয় সম্পর্কে অবগত করেছেন।আফজাল সাহেবকে দেখে আপাতত তাই মনে হচ্ছে।আফজাল সাহেব তাদের দিকে এগিয়ে আসলে সানজানা জানালো আমি এখনো তালা খুলতে পারিনি। তালাতে জং ধরেছে মনে হচ্ছে।আফজাল সাহেব ঈষৎ মাথা নাড়ালেন।তিনি বুঝাচ্ছেন হতে পারে।কারন কয়েকমাস যাবত তিনি এই বাড়ির ভিতরে প্রবেশ করেননা। বাড়ির সম্মুখে থাকা ছোট্ট টিনের ঘরটিতে তিনি বসবাস করেন।এখনো বাড়ির ভিতরে কেউ প্রবেশ করতে পারছেনা দেখে ফিজা ব্যাপারটি নিয়ে খুব বিরক্ত। সে জোর গলায় বললো।সানজানা কোথায় নিয়ে আসলি আমাদের বলতো? আমি প্রচুর ক্লান্ত, ইচ্ছে করছে এখানেই ঘুমিয়ে পড়ি।সানজানা কিছুই বললোনা। আফজাল সাহেব খুব চেষ্টা করেও ব্যর্থ হলেন।তিনি সানজানাকে উদ্দেশ্য করে বললেন মামুনি আজ টিনের ঘরটিতে থাকো কাল সকালে না হয় কাওকে দিয়ে আমি তালা খুলে দিবো।আফজাল সাহেবের কথায় সকলে নিরবতা অবলম্বন করলো।কিন্তু সাদিয়া নিরব থাকলোনা সে ক্লান্ত গলায় বললো।আংকেল যেটা বলছে সেটাই আমাদের করা উচিত তাছাড়া এখন অনেক রাত হয়ে গিয়েছে যদি ভেতরে প্রবেশ করে দেখি সেখানে লাইট গুলোও নষ্ট তখন কি করবো বুঝতে পারছিস? সাদিয়ার কথা শুনে সকলেই বিষয়টি নিয়ে অনুধ্যান করলো।এবং টিনের বাড়িতেই রাত্রিযাপন করার ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নিলো।

সেখানে যাওয়ার সময় ফিজা আফজাল সাহেবকে উদ্দেশ্য করে বললো।

“আংকেল লোকটি আপনাকে কি বললো?

” বললো উত্তরের ওই বাড়িটিতে যেন তোমরা কেউ ভুলেও না যাও।

“সাজিদ বললো- লোকটি খুব অদ্ভুত তাইনা?

” আফজাল সাহেব বললেন- লোকটি আগে আর চার পাঁচ টা মানুষের মতই স্বাভাবিক ছিলো।কিন্তু কয়েক বছর আগে সে নিখোঁজ হয়,এরপর অনেক মাস তাকে খুজে পাওয়া যায়নি।কয়েকমাস পর সে বাড়িতে ফিরে আসে।এবং অদ্ভুত রকমের আচরণ করতে থাকে।তাদের বাড়িতে পুলিশও এসেছিলো।কিন্তু তারা তার থেকে কোনো তত্ত্বই নিতে পারেনি।

“রিফা বললো।আংকেল উত্তর বাড়িটিতে গেলে কি হবে? যদিও বা বাড়িটি ভুতুড়ে টাইপ কিন্তু এ ছাড়া আর কোনো সমস্যাই আমি দেখতে পাচ্ছিনা।

” আফজাল সাহেব বললেন।লোকটিকে দেখোনি তাই তার কথাটাকে তেমন গুরুতর মনে হচ্ছে না তোমাদের কাছে। তাকে দেখেলে আর এ কথা বলতে না।

“সাদিয়া আর সাজিদ সম্মেলিত স্বরে বললো।আংকেল দেখছি।সাজিদ বললো- লোকটির পুরো শরীরের চামড়া কেমন যেন অদ্ভুত রকমের।দেখে ভয় লেগে যায়।আমিতো সামনে বসে ছিলাম তাই দেখতে পেয়েছি।

” আফজাল সাহেব থেমে গেলেন, এবং সকলকে চাপা গলায় বললেন, এই লোকটির এ অবস্থা নাকি ওই উত্তরের বাড়িটি করেছে।যদিও বা তার থেকে এমন শুনিনি আমি।কিন্তু মানুষেরা বলাবলি করে।

“এবারের কথা টি শুনে সকলে নিরব হয়ে গেলো একটি বাড়ি কি করে মানুষকে পুড়াতে পারে।পুরো বিষয়টি তাদের কাছে অদ্ভুত আর রহস্যময় মনে হলো।তারা হাঁটতে হাঁটতে টিনের বাড়িটির সম্মুখে চলে আসলো।সাদিয়া ঘরে প্রবেশ করার পূর্বে উত্তরের বাড়িটির দিকে একবার তাকালো।তার ভিতরে ভয়েরা কম্পন সৃষ্টি করলো।সে সেথা থেকে দৃষ্টি হটাবে অমনি সে খেয়াল করলো উত্তরের সেই বাড়িটির ছাদ থেকে আগুনের ধোঁয়া উড়ছে, সাদিয়া সানজানাকে ডাক দিলো।কিন্তু সে পিছনে ফিরে দেখলো সবাই ঘরে ঢুকে গিয়েছে।সে এক মুহুর্তও সেখানে দাঁড়িয়ে থাকলোনা। অপেক্ষা না করেই দ্রুত ঘরে প্রবেশ করলো।

_________________

গল্পটি কন্টিনিউ করবো কিনা অনুগ্রহ করে আমাকে জানাবেন।যদি আপনারা না চান তবে আমি গল্পটি দ্রুতই শেষ করে দিবো।আর যদি চান তবে চলে থাকবে।এ গল্পে অনেক বড় একটি রহস্য উন্মোচন করা হবে।যেটা সাদিয়ার জীবনে অনেক উপকার করবে।সাদিয়া মানসিকভাবে কিছুটা অসুস্থ। তার পরিস্থিতি আর চার পাঁচ টা মানুষের মত নয়।তবুও সে সকলের মধ্যে হেসে খেলে জীবন পাড় করছে।সে কেন মানসিক ভাবে অসুস্থ সেটা পরের পর্বে জানানো হবে। তাই আপনারা আমাকে জানাবেন অনুগ্রহ করে গল্পটি কেমন হচ্ছে ?আর লাইক বা সুন্দর মন্তব্যের মাধ্যমে আপনাদের স্বরব উপস্থিতি রাখবেন।আপনাদের থেকে পাওয়া উৎসাহ আমাকে লিখার ক্ষেত্রে অনুপ্রেরণা দেয়।?

চলবে

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here