অনুভূতি part 13
#Roja_islam
বর্ণ বেলা’কে টেনে এনে ধাক্কা দিয়ে গাড়ি’র ভিতরে বসিয়ে দেয়। বেলা ভয়ে চুপসে আছে। বর্ণ নিজেও বসে গাড়ি স্টার্ট দেয় খুব ফাস্ট ড্রাইভ করছে। বর্ণ নিজের চুল বার ঠিক করছে আর টানছে।
নাহ আজ বর্ণ নিজের রাগ কন্ট্রোল করতে পারছে না। রাফি আর বেলা’কে পুতে ফেলতে ইচ্ছে করছে । বর্ণ বার বার গাড়ির সাথে হাত বাড়ি দিচ্ছে।
বেলা এসব দেখে ঢোক গিলছে।
.
– আল্লাহ্ আজ’কে লাস্ট বাঁচায় দেও আর কোনো দিন এই হনুমান’টার কথা’র বিরুদ্ধে যাবো না প্লিজ প্লিজ। — মনে মনে
.
বেলা মনে মনে আল্লাহ্ কে ডাকতে থাকে।
বাড়ি এসে গাড়ি থামে। বর্ণ বেলা’কে টেনে রুমে নিয়ে যায়। আর নিজে’র সামনে দার করায়।
আর বেলা কে উপর থেকে নিচ পর্যন্ত দেখতে থাকে।
বেলা একটা জিন্স পরেছে হাটুর দিকে অনেক টুকু ছেড়া। আর একটা ওয়াই শার্ট পরেছে অনেক’টা পাতলা। এগুলা দেখেই বর্ণ ওর হাট অটোমেটিক বেলা’র গালে ঠাসসস করে একটা চড় বসিয়ে দেয়।
.
সাথে সাথে বেলা পাশের বেডে পরে যায়।
বর্ণ আবার টেনে তুলে বেলা’কে।
বেলা চড় খেয়ে কেঁদে’ই যাচ্ছে।
বর্ণ চিল্লিয়ে বলে।
– বলেছিলাম না তোকে এগুলা না পরতে? বাইরে না বেরুতে আমার পারমিশন ছাড়া। হ্যা তারপর ও কেনো গেলি বল????
.
বর্ণ বেলা’কে ঝাঁকিয়ে ঝাঁকিয়ে কথা গুলি বলছে। বেলা ভয়ে শুধু চোখে’র পানি ফেলছে। বর্ণ বেলা’কে চুপ থাকতে দেখে আরো রেগে বেলা’র হাত চাপ দিয়ে ধরে বলে।
– কথা বলছিস না কেনো এখন???
এতো সাহস কে দেয় তোকে?? বল??
.
বেলা হাতে’র ব্যথা’য় কাতরিয়ে উঠে আর বর্ণ’কে ধাক্কা দিয়ে বলে।
– আহহ, লাগছে আমার।
.
বেলা’র ধাক্কায় বর্ণ আরো রেগে যায়। আর বেলা’কে ধাক্কা দিয়ে বেডে ফেলে। নিজে’র বেল্ট খুলতে থাকে। বেলা এটা দেখে তাড়াতাড়ি বেডে গুটিসুটি দিয়ে বসে ভয়ে ভয়ে কাঁদতে কাঁদতে বলে।
– বর্ণ ক…..কি কর…….ছেন আপ….নি?
– আজ তোঁর এমন অবস্থা করবো। আর জীবনে আমি ছাড়া নিয়ানে’র নাম ও মুখে নিবি না।ওকে’ই খুঁজতে তোঁ তোঁর সাহস বেড়েছে তাই না???
ঐ সাহস’ই আর দেখাতে পারবি’না। এই বর্ণ ওর ভয়ে।
.
বলে’ই বর্ণ বেলা’র কাছে বেল্ট হাতে এগুতে নিলেই।
বেলা তোঁ বেলা’ই। বেলা বর্ণ’কে ওর দিয়ে এগুতে দেখে ভয়ে গিয়ে কম্বলে দিয়ে নিজেকে ঢেকে। মাথা টা বের করে কাঁদকাঁদ হয়ে বাচ্চা দের মতো বর্ণ’কে বলে
.
– প্লিজ মারবেন না!
আমি না আপনার সুন্দরী বউ? মারলে আপনার সুন্দরী বউ এর শরীলে কালো দাগ হয়ে যাবে পরে আর সুন্দর লাগবে না আপনা’র বউ কে। আপনি কি তাই চান বলুন??
.
বর্ণ বেলা’র কাজ কাড়বার আর কথা শুনে। কাঁদবে না হাঁসবে কি আরো রাগবে বুঝতে পারছে না। কত্ত সিরিয়াস কথা’র মধ্যে কি কথা বলছে এই মেয়ে। বর্ণ ড্যাবড্যাব করে তাকিয়ে আছে বেলার দিকে।
ব্যাপার টা এমন। বেলা’র একটু আগের কথা গুলি মই ছিলো। যেটা দিয়ে বর্ণ’ওর সব রাগ পালিয়ে গেছে। তাই সে শান্ত হয়ে দারিয়ে আছে।
.
বর্ণ কে আরো অবাক করে দিয়ে। বেলা আস্তে আস্তে উঠে এসে ভয়ে ভয়ে জরিয়ে ধরে বর্ণ’কে আর বলে।
– প্লিজ বর্ণ আমার একটা কথা রাখুন তারপর।আমি আপনার সব কথা শুনবো। আপনাকে ভালো ও বাসবো। প্লিজ লাস্ট কথা’টা রাখুন???
.
বর্ণ বেলা’র কথা শুনে অবাক হয়।
বর্ণ ভাবছে বেলা নিশ্চয় ঐদিন এর মতো কিছু চাইবে। তাই বেলা’কে নিজের থেকে সরিয়ে। বেলা’র গাল চেপে ধরে বলে।
– তোমার যত্তসব ফালতু কথা আমি রাখবো না বেলা। নিজের মাথা থেকে নিয়ান’কে ঝেরে ফেলে দাও তা না হলে। নিয়ান এর কি করবো ভাবতে পারবে না তুমি কথা টা মনে রেখো।
.
– প্লিজ আমি বললাম তো আপনি একটা বার আমার কথা’টা রাখুন আমি সব ভুলে যাবো প্লিজ, প্লিজ একটা চান্স দিন। একটা বার আমাকে বাবা’র কাছে নিয়ে যান শুধু এটুকুই চাই প্লিজ। আর সেটা এক্ষুনি প্লিজ বর্ণ আর কিছু চাইবো না কোনো দিন প্লিজ?
.
বর্ণ এবার অবাক হয়।
– বাবা’র কাছে কেনো যেতে চাইছে এই মেয়ে??? যাই হোক বাবা’র কাছে’তো নিয়ে যেতে’ই পারি দেখি এই মেয়ে করে’টা কি?– মনে মনে।
.
তারপর বর্ণ গম্ভীর মুখে বেলা’কে।
– ওকে বাট উলটাপালটা যদি কিছু করো না।
এবার আর কেউ তোমাকে আমার হাত থেকে বাঁচাতে পারবে না! মনে থাকবে কথা’টা।
.
বেলা কিছু’না ভেবে’ই লাফ দিয়ে উঠে বলে।
– হ্যা, হ্যা মনে থাকবে সব মনে থাকবে এখন নিয়ে চলুন বাবা’র কাছে প্লিজ।
.
বলে বর্ণ হাত ধরে টান’তে থাকে বেলা।কিন্তু বর্ণ নিজের জায়গা থেকে এক্টু ও নড়ে না। তাই বেলা বলে।
– কি হলো যাবেননা???
.
বর্ণ কিছু না বলে বেলা’র হাত ধরে টেনে চেঞ্জিং রুমে নিয়ে দার করিয়ে। বেলা’র সব জিন্স,শার্ট,টি-
শার্ট বের করে নিচে ফেলে পকেট থেলে গেসলাইট বের করে জ্বালিয়ে একটা কাপড় ধরে আগুন ধরানো’র চেস্টা করে সব কাপড় গুলাতে। এসব দেখে’তোঁ বেলা ভয়ে শেষ যদি পুড়া বাড়ি’তে আগুল লেগে যায় তোবে?
এই চিন্তা করে বেলা ভয়ে ভয়ে বর্ণ ওর কাছে গিয়ে হাত থেকে গেসলাইটা নিয়ে ফেলে দেয়। তারপর ভয়ে ভয়ে বলে।
.
– আমি বললাম তো আজকে’র পর থেকে আপনার সব কথা আমি শুনবো। তবে কেনো আগুল লাগিয়ে সবাই কে মারতে চাইছেন??
.
বর্ণ অগ্নিদৃষ্টিতে তাকিয়ে আছে বেলা’র দিকে। বেলা’র কথা শুনে রেগে বসিয়ে দেয় এক থাপ্পড় আর বেলা’র দু বাহু ধরে বলে।
– এতো দিন আমার কথা শুনলে তুই মাড়া যেতিস হ্যা???
কেনো রাগিয়েদিস আমাকে সব সময় ওয়াই বেলা ওয়াই ?????
.
বেলা চড় খেয়ে গালে হাত দিয়ে কাঁদছে চুপ করে। তাই বর্ণ রেগে বলে।
– তোর শরীলে আগুন লাগাতে পারলে ভালো লাগতো আমার।
তাহলে না থাকতো বিন না বাজতো বাছুরি – চেঁচিয়ে।
.
বলেই বর্ণ বেলা’র টি-শার্ট টান দিয়ে খুলে ফেলে। বেলা বড় বড় চোখ করে তাকায় গায়ে হাত দিয়ে ঢেকে। আর বিড়বিড় করে বলে।
– লুচু হনুমান সব লুচু গিরি করার ধান্দা।
– কিছু বললে? – রেগে।
– কই না… না তো! কি আর বলবো?
– চেঞ্জ করে আসো বাবা’র বাড়ি যেতে চাইলে।
– করিয়ে দিন!
.
এবার বর্ণ বড় বড় চোখ করে তাকায়। তা দেখে বেলা বলে।
– কি হলো! লুচু গিরি’তো আর কম করেন’নি আমার সাথে তবে চেঞ্জ করিয়ে দিতে কি সমস্যা???
– খুব শখ আমার হাতে চেঞ্জ হওয়ার ঐদিন এর কথা ভুলে গেছো??? — রেগে।
– হ্যা, আমাকে তো ব্যথা দিবেন আর মারবেন’ই। আর ভালোবাসবেন ঐ কনা’র বাচ্চা থুক্কু অনা’র বাচ্চা’কে তাই না…..
.
বেলা’র কথা শুনে বর্ণ বেলা’র ঠোঁটে খুব জরে একটা বাইট বসিয়ে দেয়।
.
.
.
বেলা ঠোঁটে’র ব্যথা’য় কাঁদছে।
আর বর্ণ বেলা’কে শাড়ি পরিয়ে দিচ্ছে।
বর্ণ ছেলে মানুষ নিজেও পারেনা বেশি শাড়ি পরাতে। অনেক কস্টে শাড়ি পরিয়ে। তারপর বেলা’র চোখে’র পানি আলতো করে মুছে দেয়।
আর হাত ধরে নিচে নামে।
.
.
.
গাড়ি’তে বসে আছে দুজন কেউ কোনো কথা বলছে না। বেলা চুপচাপ বাইরে তাকিয়ে আছে।বেলা’কে চুপ দেখে বর্ণ ওর ভালো লাগছে না তাও কিছু বলেনি।
.
বর্ণ ওর মনে অনেক টা অভিমান বেলা’কে নিয়ে। কারন সে একাই চেষ্টা করে যাচ্ছে ভালোবাসা’র সম্পর্ক তৈরি করার।আএ সেই দিকে বেলা সব সময় উল্টাপাল্টা কাজ করে বসে বর্ণ ওর কথাও শুনে না। বুঝতে চেষ্টা করে না বর্ণ ওর অনুভূতি গুলা। কেনো বুঝে না বেলা? আমার অনুভূতি গুলা যে শুধু তাকে নিয়ে’ই। কেনো বুঝেনা??বাচ্ছা তো নয় বেলা! তবুও বাচ্ছা দের মতো’ই করে অবুঝ দের মতন। অবুঝদের মতো কাজ করে কেনো বেলা???
.
একটা দীর্ঘ শ্বাস ফেলে বর্ণ।
এসব হাজার চিন্তা করতে করতে বেলা’র বাড়ি পৌঁছে যায় তারা।
গাড়ি বেলাদের বাড়ির সামনে থামতে’ই বেলা দৌড়ে ভিতরে চলে যায় বর্ণ ওর দিকে না তাকিয়ে’ই।
অবাক হয় বর্ণ বেলা’র দৌড় দেখে।
-কি এমন কারনে বাবা’র সাথে দেখা করতে পাগল হয়েছে এই মেয়ে??
সত্যি বলছি যদি তুমি আমার থেকে দূরে যাওয়ার চিন্তাও করো না বেলা! তোমায় মেরে নিজেও মরে যাবো। তাও অন্য কারোর হতে দিবো না তোমায়। হ্যা এতো’ই ভালোবাসি তোমাকে।কেনো বুঝো না কেনো। — মনে মনে
.
তারপর বর্ণ গাড়ি সাইড করে রেখে। ভিতরে পা বাড়ায়।কিন্তু ভিতরে গিয়েই বর্ণ ওর চোখ মুখ আবার লাল হয়ে উঠে।
কারন বেলা……….
.
চলবে…..
[ বড় করে লিখেছি তারপর ও অনেকে বলবা ছোট্ট হইছে কিন্তু আমি এর থেকে বেশি বড় লিখতে পারিনা। আর লেইট করে দেওয়ার জন্য আর রেগুলার না দেওয়া’র জন্য সরি। আর হ্যা তোমাদের নেক্সট, নেক্সট কমেন্ট দেখলে আমার লেখার ইচ্ছা থাকে না। তাই কেউ নেক্সট, নেক্সট কমেন্ট করবে না প্লিজ।]