অনুভূতি part 14

0
3966

অনুভূতি part 14
#Roja_Islam

তারপর বর্ণ গাড়ি সাইড করে রেখে। ভিতরে পা বাড়ায়।কিন্তু ভিতরে গিয়েই বর্ণ ওর চোখ মুখ আবার লাল হয়ে উঠে।
কারন বেলা তার বাবা’র পা ধরে বলছে।
.
– প্লিজ বাবা তুমি নিয়ান’কে ছেড়ে দাও। আমি তোমার কথা সব শুনবো বাবা প্লিজ তুমি ছেড়ে দাও নিয়ান’কে আমি প্রমিস করছি আমি ব……..
.
বেলা’র পুরো কথা শেষ হওয়া’র আগেই বর্ণ এসে বেলা’র হাত ধরে টেনে দাড় করায় আর বলে।
– বলেছিলাম না তোমাকে উল্টাপাল্টা কিছু না করতে। নিয়ান’কে ছাড়াতে তুমি এখানে এসেছো?? আর আমি তোমাকে নিয়ান এর নাম টাও নিতে বাড়ন করেছিলাম তুমি আবারো শুনলে না আমার কথা। এর জন্য তুমি পস্তাবে বেলা জাস্ট ওয়েট এন্ড সি।
.
বেলা ফ্যালফ্যাল করে তাকিয়ে আছে বর্ণ ওর দিকে। বর্ণ বেলা’কে কথা গুলে বলে’ই।
.
বেলা’র বাবা’র সামনে যায়। তিনি আকস্মিক ভাবেই তাকিয়ে আছে বর্ণ ওর দিকে। বর্ণ বেলা আর তার বাবা’কে অবাক করে দিয়ে বর্ণ বললো।
.
– আপনারা বাবা’রা এমন কেনো বলুন তো। কেনো ছেলে মেয়ে কে জোড় করে বিয়ে দেন হ্যা??
দেখুন তো আমার কি একটা অবস্থা এখন। বিয়ে করবোনা করবোনা করে করে। টাকার লোভে পরে বিয়ে করেছি। তাও ভেবেছি কি হয়েছে বিয়ে করেছি তো টাকা হাতে পেলে ডিভোর্স দিয়ে দিবো পরে সব ঠিক। কিন্তু আমার আগেই আপনার মেয়ে আমার কাছে ডিভোর্স চেয়ে বসে। কিন্তু আপনার মেয়ে’কে দেখে তো আমি আপনার মেয়ের প্রমে পরে যাই আমার অনুভূতি কে ঘিরে এখন শুধু আপনার মেয়ে। কিন্তু আপনার এই সাইকো মেয়ে নিয়ান নিয়ান তছবী জবতে থাকে। আমার অনুভূতি গুলি বুঝেই না আমি’যে আপনার এই সাইকো মেয়ে কে ভালোবাসি সেটা বুঝেই না। কেনো এমন হলো বলুন আমার সাথে?????
.
বেলা’র বাবা এখনো আকস্মিকতা কাটাতে পারেনি তিনি চুপ করে তাকিয়ে আছে বর্ণ ওর দিকে।
বেলাও ফ্যালফ্যাল করে তাকিয়ে আছে বর্ণ ওর দিকে।
বেলা’র ভাবছে কি বলতে চাইছে’টা বর্ণ??
বাপ বেটি কে চুপ থাকতে দেখে বর্ণ আবার বললো।
.
– ওকে, ওকে আমিই বলছি।
.
বেলা’র বাবার সামনে আঙুল তুলে বর্ণ বললো।
– সব আপনার জন্য হয়েছে আমার সাথে।হ্যা, হ্যা আপনার জন্য আপনি জানতেন আপনার মেয়ে অন্য কাউকে ভালোবাসে তাও আপনি আমার সাথে কেনো বিয়ে দিলেন আপনার এই সাইকো মেয়ে’র। আপনি আমাকে বা আমার বাবা কে বলেছেন আপনার মেয়ে’যে সাইকো?? জানি’না আপনাদের মতো বাবার জন্য আর আমার মতো বাবার জন্য আমার মতো কত্ত অসহায় ছেলে’র আমার মতো অবস্থা হয়। আমি বউ কে ভালোবাসি আর বউ আমার অন্য ছেলেরে খুঁজে হুহ।কি কপাল আমার।
.
বর্ণ নিজের মধ্যে নেই যা বলেছে সবই রাগে’র মাথায়।
.
সেটা বেলা’র বাবা বুঝেছে তাই চুপ করে আছে। আর সত্যি উনার ভুল আছে মেয়ে অন্য কাউকে ভালোবাসে তা জেনেও তিনি জোড় করেই বিয়ে দিয়েছেন।
আর বেলা কি কি করতে পারে তাও উনার ভালোই আইডিয়া আছে।
আর তাই যে বর্ণ বেলা কে সাইকো বলছে সেটাও বুঝতে পারছেন।
তাই উনি শুধু শুনছেন বর্ণ ওর কথা।
কিন্তু উনার ভালো ও লাগছে অবশেষে এইপাগল মেয়েটা একজন সত্যিকার ভালো বাসার মানুষ পেয়েছে। তিনি ভালোই বুঝেছে বর্ণ অল্পদিনেই বেলাকে ভালো বেশে ফেলেছে তাই বেলার মুখে নিয়ান এর নাম টাও শুনতে চাইছে না।
.
বেলা’র বাবা সব বুঝলেও বেলা’র রাগ হচ্ছে তাকে সাইকো বলেছে বর্ণ।
তাই বেলা বলে।
– এই হনুমান কে সাইকো হ্যা, হ্যা।
— চেঁচিয়ে।
– কেনো নিজেকে আয়নায় দেখোনা চোখে তুমি যে সাইকো?? — রেগে।
– নিজেকে দিখে ও আর জানিও আমি ভালো। সাইকো তো আপনি হুহ্।
– আমি কয়টা সাইকো’র মতো কাজ করেছি??? করেছো তো তুমি! পাগল সাইকো মেয়ে
– হ্যা আমি পাগল তো কি করবেন আপনি।
– পাবনা নিয়ে যাবো ধানিলংকা গিরিনা ছুটে যাবে একদম।
— রেগে।
– বাবা দেখেছো তুমি কি হারামি এই ছেলে। অনেক খারাপ এই ছেলে আমি যাবো না এর সাথে।
.
বাবা কে ধরে ন্যাকা কান্না করে বেলা।
বেলা”র বাবা এভাবে দুজন কে ঝগড়া করতে দেখে কাঁদবে না হাসবে কি রাগবে বুঝতে পারছে না।ফ্যালফ্যাল করে তাকিয়ে আছে। বেলার এই ন্যাকা কান্না দেখে বর্ণ রেগে বলে।
– হ্যা আমি ভালো না তুমি তোমার নিয়ান কে নিয়েই থাইকো ওকে আমি গেলাম।
.
বলেই বর্ণ রাগে গজগজ করতে করতে হন হন করে বাইরে চলে যায়।
বর্ণ চলে যাওয়া দেখে বেলা’র মন’টা খারাপ হয়ে।
তারপর পাশে তাকিয়েই দেখে বেলা তার বাবা কে ধরে দারিয়ে আছে এটা দেখেই বেলা ভয়ে তার বাবা’কে ছেড়ে উপরে দৌড় চলে যায়।
.
এবার বেলা’র বাবা হো হো করে হেসে দেয়।
অনেক্ষন তিনি অনেক কস্টে হাসি আটকিয়েছে দুজনের কাহিনী দেখে এবার আর পারলেন না তিনি হেসেই দিলেন।
– আমার মেয়ে যেমন আমার জামাতখানা ও তেমন তোমার কাছে লাখলাখ শুকরিয়া আল্লাহ। এতো সুন্দর মিল রাখার জন্য দুজনা’র।
.
দু হাত উপরে তুলে খুশি খুশি শুকরিয়া করছেন বেলা’র বাবা।
.
বেলা ছাদে গিয়ে দারিয়ে দেখে বর্ণ ওর গাড়ি আছে কিনা।
বেলা নিরাশ হয় কারন বর্ণ রেগে মেগে বেলাকে রেখেই চলে গিয়েছে।
নিচের সব কথা মনে হতেই বেলা তার বাবা কে ধরে দারিয়ে ছিলো সেটা মনে হয়।
বেলা কোনো দিন তার বাবার এতো কাছে যায় নি।
মিনিমাম বারো হাত দূর থেকে কথা বলেছে।
কিন্তু আর বর্ণ ওর জন্য বেলা তার বাবার এতো কাছে যেতে পেরেছে।
এসব হাজার কথা ভাবছে বেলা।
– তুমি আমাকে ভুল বুঝলে বর্ণ। আমি তো আমাদের জন্যই করেছি সব। আর তুমি আমাকে ফেলে চলে গেলে। এখন আমি কি করবো??
.
চলবে….
[ শীত খুব বেশি হাত চলে না শীতে বিশ্বাস করো সবাই। তাই ছোট হইছে এক্টু তাই সরি। তাই ভুল ত্রুটি ক্ষমা’র চোখে দেখবা সবাই ]

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here