অনুভূতি part 5
#Roja_islam
বেলা উপরে এসে নিজের কাজ করে ওতপেতে বসে আছে বর্ণ রুমে আসার অপেক্ষায়।
কিছুক্ষন পর বেলা পায়ের শব্দে বুঝতে পারলো বর্ণ আসছে তাই তাড়াতাড়ি করে গিয়ে বেডে ঠিক মধ্যে খানে বসে পরে।আর মনে মনে খুব খুশি বেলা।
– বুঝবা চান্দু বেলা কে মারার মজা।- মনে মনে
.
বর্ণ দরজা খুলে খাবার হাতে রুমে পা রাখতেই ধারাম করে পা পিছলে ঠাস করে পরে।
– আউউউউচচচ…..এটা কি হলো আল্লাহ আমি কিভাবে পরলাম? – মনে মনে
আকস্মিক কাটিয়ে…..
হতভম্ব বর্ণ যখন নিচে তাকায় দেখে অনেক টুকু জায়গায় অলিভ অয়েল ফেলে রাখা। বর্ণ সামনে তাকাতেই দেখে বেলা হেসে কুটিকুটি হচ্ছে বেডে বসে বর্ণ ওর বুঝতে বাকি রইলো না এই কাজ বেলার।বর্ণ তেড়ে যায় বেলার দিকে।
বর্ণ কে তেরে আসতে দেখেও বেলার কোনো ভ্রুক্ষেপ নেই বেলা হাসতেই ব্যস্ত
– কেনো করেছো এসব? হাউ ডেয়ার ইউ?- বিষণ রেগে।
.
এবার বেলা হাসি থামিয়ে বর্ণ এর সামনে এসে বলে।
– একদম চুপ। তুই কি ভেবেছিস তুই অকারণ এ আমায় মারবি আর আমি আবলা নারী চুপ করে থাকবো? ভাবলি কি করে তুই? আমি চুপ করে থাকবো না।আর আমায় ডিভোর্স না দিলে বুঝাবো বেলা কি কি করতে পারে।
– বেলায়ায়ায়া। – রেগে
– চুপ একদম চুপ।হনুমান লুচু কোথাকার।
.
বলেই বেলা চেঞ্জিং রুমে ঢুকে পরে।
ঢুকেই বুকে হাত দিয়ে ধরে দুইটা ফু দিলো।
– আল্লাহ গোঁ আল্লাহ আমি কতো সাহসী। হনুমান টাকে আচ্ছা মতো ঝাড়তে পারলাম। এবার কলিজাটা শান্তি লাগতেছে।
ভয় ও করতেছিলো না জানি আর একটা দেয়। আল্লাহ তুমি বাচাইছো হনুমানটা যা পরা পরছে উচিত শিক্ষা হইছে একদম । – বলেই বেলা একা একা হাসতে লাগলো বেলা।
.
এইদিকে।
বর্ণ থ হয়ে রইলো বেলার ধমক খেয়ে।
– এই টুকুনি মেয়ে আমায় ধমকিয়ে গেলো? ছেলে মানুষ পারতে ভয় পায় বউ নামক জিনিষ কে। আল্লাহ বাচাও।কেনো লোভে পরে বিয়ে করছিলাম আমি? আর জীবনেও লোভ করবোনা।
.
বর্ণ বিড়বিড় করতে করতে ওয়াশরুমে ঢুকে গেলো।
এদিকে বেলা এখনো একা একা বকবক করছে।
– হনুমান তুই কি মনে করেছিস আমি ভেসে এসেছি আমায় মাড়বি? মার কিন্তু তোর শাস্তিরর ও অপেক্ষায় থাকিস।বেলা কাউ কে ছেড়ে দিতে শিখেনি হুহ।
.
বেলা চেঞ্জ করে নিচে চলে গেলো।বর্ণ ওয়াশরুম থেকে বের হয়ে বেলা কে দেখতে না পেয়ে খুঁজতে খুঁজতে নিচে গেলো।গিয়ে দেখে বেলা চেয়ারে পা তুলে বসে ইচ্ছে মতো গাপুসগুপুস খাচ্ছে।
– এই মেয়ের প্রবলেম টা কি হ্যা মানে সব জায়গায় পা তুলে কেনো বসে? এলিয়েন একটা। কি আছাড় টাই না খাওয়ালো আমাকে। এখন দেখো কিভাবে খাচ্ছে।দেখাচ্ছি মজা বেলা বেইবি।
.
বর্ণ বেলার সামনে গিয়ে বেলার প্লেট টা সরিয়ে নিলো।
– তুমি খেতে পারবেনা।-রেগে
– ওকে আমি অলরেডি ৭/৮ রুটি খেয়ে নিয়েছি।আর না খেলেও চলবে হিহিহি।
– কিহহহ ৭/৮ রুটি খাইছো তুমি একা? – অবাক হয়ে।
– এই হনুমান তুই আমার খাবারে নজর দেস কেন হ্যা তোর সাথে বিয়ে দিবে বলেই তো বাবা আমাকে হস্টেল থেকে মিথ্যে বলে আনিয়ে তিন দিন শুনেছিস তিন তিনটা দিন আটকিয়ে রেখেছে খেতে পর্যন্ত দেয় নাই হারামি বাবা।আর তুই আমার খাবারে নজর দিস তিন দিন পর খায়েছি আমি আজ হুহ। কিপটা হনুমান লুচু কোথাকার।
.
বলেই বেলা রাগে গজগজ করতে করতে উপরে চলে জায়।
– তার মানে কালকে রাতে বেলার হাতে ঐ টা পানির বোতল ছিলো। খিদের চটে মেয়েটা পানি খাচ্ছিলো। আমাকে বললেই পারতো কিন্তু না হুদাই ঝগড়া করলো। আর তিন দিন খেতে দেয় নি এ কেমন বাবা আজব – মনে মনে।
.
তারপর।
বর্ণ বসে খেয়ে নিয়ে উপরে গেলো।
গিয়ে দেখে বেলা কোথাও জাওয়ার জন্য রেডি হচ্ছে।
– এই তুমি কই যাচ্ছ?- ভ্রু কুঁচকে।
– কলেজ। কোনো সমস্যা?- বিভক্তি নিয়ে।
– হ্যা সমস্যা। তুমি জিন্স পরে কোথাও যেতে পারবেনা। – রেগে
– আমি ১০০ বার যাবো।- চিল্লিয়ে
.
বর্ণ ওর এবার রাগ উঠে গেলো।নিজের রাগ কন্ট্রোল করতে না পেরে।
বর্ণ বেলার সামনে যায় গিয়ে। বেলার ঘাড়ের দিকে হাত দিয়ে ধরে নিজের সাথে মিশিয়ে নিয়ে। আর বেলার ঠোঁট কামড়ে ধরে।বর্ণ ওর রাগ গুলি বেলার ঠোঁটে ঝাড়তে থাকে বর্ণ। বেলার ব্যথায় চোখ দিয়ে শুধু পানি পরছে।ব্যথায় হাত-পা নড়ছে না বেলার চোখ মুখ খিচে দারিয়ে আছে।কিছুক্ষন পর বর্ণ বেলা কে ছেড়ে ধাক্কা দিয়ে বেডে ফেলে দেয়।
– আমার কথা উপর আর একদিন কথা বললে। তোর এমন হাল করবো নিজেকে চিনতে পারবিনা। সো বি কেয়ারফুল।
.
বলেই বর্ণ রুম থেকে বেরিয়ে গেলো।বেলা বিছানায় মুখ গুঁজে ফুঁপিয়ে কান্না করছে।
– কেনো বাবা কেনো আমার পছন্দের মানুষের সাথে বিয়ে দিলে না। তাহলে আজ এমন হতনা। – বলছে আর কান্না করছে বেলা।
.
কিছুক্ষন পর বর্ণ আবার রুমে আশে।আর বেলাকে টেনে তুলে বলে।
– যাও এটা পরে আসো। তাহলে কলেজ যেতে পারবে।
– কোনো দিন ও পরতাম না আমি এসব কিন্তু এখন আমার কলেজ যেতে হবে। নিয়ান কে খুঁজতে হবে কই গেলো সে।- মনে মনে।
– বেলা কি ভাবছো?
.
বেলার মুখ ধরে উচু করে বর্ণ দেখতে পায় কামড়ের কারনে বেলার ঠোঁট অসম্ভব লাল হয়ে গেছে।
– এই খাটাশ টা আবার কিছু করবেনা তো। এভাবে ধরেছে কেনো আল্লাহ বাচাও লুচু টার হাত থেকে। – মনে মনে
.
বর্ণ একটা ঘোরের মধ্যে চলে যায় বেলার রক্ত লাল ঠোট দেখে।
বেলার ঠোঁট বর্ণ কে খুব টানছে বর্ণ বেলার ঠোট আয়াত্তে নিবে এমনি বেলা বর্ণ কে ধাক্কা দিয়ে সরিয়ে। ড্রেস নিয়ে ওয়াশরুমে দৌড় দেয়। গিয়েই বর্ণ এর চৌদ্দগুসষ্টি উদ্ধার করতে লাগলো।
.
– আল্লাহ এই খাটাশ আবার আমার ঠোটের সর্বনাশ করতে যাচ্ছিলো উফফফ অসহ্য।বলি আমার ঠোট তোর কেনা ললিপপ যে যখন খুশি মুখে ঢুকিয়েনিস লুচু হনুমান কোথাকার।- বিড়বিড় করে।
.
বর্ণ ওখানেই দারিয়ে আছে।
– কি হয় তোমায় দেখলে আমার বেলা। আমি নিজের মধ্যে থাকিনা। অন্য রকম অনুভূতি হয় ভালোলাগা কাজ করে।এ কোন মায়ায় ফেলে দিলে ১ দিনে। এ কোন অনুভূতি আমার তোমার প্রতি বেলা।আমি যে ছাড়তে পারবোনা তোমায় কেনো ডিভোর্স ডিভোর্স করছো তুমি সত্যি কি অন্য কাউকে ভালোবাসো তুমি? বেসে থাকলেও ভুলে যেতে হবে তোমার তাকে। আমি ভুলিয়ে দিবো। আমার ভালোবাসা অনুভূতি দিয়ে।
.
বর্ণ এসব ভাবতে ভাবতে বেলা চেঞ্জ করে চলে আসে।একটা ওয়াইট কালার ২পিছ পরেছে বেলা খুব সুন্দর লাগছে সাদাতে বেলা কে।
– এই যে চলুন। আমি রেডি। – ভেংচি কেটে
.
বেলার কোথায় বর্ণ চিন্তাজগত থেকে বেরিয়ে বেলার দিকে তাকিয়ে মুগ্ধ হয়ে যায় বেলাকে দেখে।বর্ণ বেলার উপর থেকে নিচ পর্যন্ত একবার দেখে।যা বেলার চোখ এরালো না।
– কি দেখে লুচু টা এমনে আল্লাহ। লাস্টে একটা লুচু গলায় ঝুলায় দিলা তুমি আমার।- মনে মনে
– হুল এবার ঠিক আছে আমার সুন্দরী বউ এবার চলো।
.
বলেই বেলার হাত ধরে নিচে নামে বর্ণ।বর্ণ আগে থেকেই রেডি ছিলো। দুজনে এসাথে বেরুতে দেখে গার্ড রা তাকিয়ে থাকে তাদের দিকে দুজকেই খুব সুন্দর লাগছে।
.
তারপর বেলা কে গাড়িতে বসিয়ে নিজেও বসে। বেলার সিট বেল্ট লাগানোর সময় বেলার গালে শব্দ করে একটা চুমু দেয় বর্ণ। তারপর মুচকি হেসে গাড়ি স্টার্ট দেয়।
– ঢং – রেগে
.
চলবে..
[ হয়তো ছোট হইছে তাই সরি লেইট করে দেওয়ার জন্য ও সরি।এখন কথা হচ্ছে তোমাদের মতামত চাই এক্টু। গল্পটা কি তাড়াতাড়ি শেষ করে দিবো নাকি এক্টু বড় করবো।তোমরা যা বলবা তাই করবো।তাই জানাইও কি চাও তোমরা]