অপছন্দের জামাই (সিজন২),পর্বঃ১

0
6509

অপছন্দের জামাই (সিজন২),পর্বঃ১
লেখকঃরনি হাসান

রিমাকে তালাক দেওয়ার কিছুদিন পর, যখন পারমানেন্টলি কোডে গিয়ে ডিভোর্স “দিবার সিন্ধান্তই উপনীত হলাম,সেদিন মা আমাকে বলল” বাবা রাগের ঘোরে বউমাকে ডিভোর্স দেওয়া তোর ঠিক হবে না, যদিও তোদের স্বামী স্ত্রী সম্পর্ক ঠিক ছিলো না, কিন্তু সময় সাপেক্ষে তো সব ঠিক হয়ে যেত,। তাছাড়া রিমার বাবা মা আমার কাছে অনেক কান্নাকাটি করে রিকুয়েষ্ট করেছে যাতে রিমাকে আবার ফিরিয়ে নিই। মার হঠাৎ

এমন ধারা কথা শুনে আশ্চর্য হয়ে গেলাম, রিমাকে পুনরায় আমাদের বাসায় ফিরিয়ে আনা কেমনে সম্ভব_? আনমনে ভেবে মার উদ্দেশ্য বললাম ” মা তোমার মাথা ঠিক আছে, রিমাকে তালাক দিয়ে ফেলছি, এখন শুধু কোডে গিয়ে কাগজ কলমের কাজটা সেরে নেওয়াই বাকি, এরমাঝে কেমনে রিমাকে ফিরিয়ে আনাবো_?

–“প্রয়োজনে তোদের বিয়ে আবার করাবো তবুও সম্পর্কের বিচ্ছেদ আমি হতে দিবো না।

–“সম্ভব না মা, তুমি যেটা ভেবে রেখেছো তা কখনোই সম্ভব না, আমি যেহেতু রিমাকে ডিভোর্স দেওয়া সিন্ধান্তই মনোস্থির করেছি, আমি সেটাই করবো, কারো বাধা মানবো না

–“পাগলামি করিস না বাবা, একটু বুঝার চেষ্টা কর, ডিভোর্স দেওয়ার পর মেয়েটার কি হবে

–“যা হবার হক, তাতে আমার কিছু যায় আসে নাহ,

মার সঙ্গে এবিষয়ে কথা বলার সময় বাবা এসে বলল” –“এখানে কি কথা হচ্ছে শুনি

–“এই দেখো না, তোমার ছেলে কেমন পাগলামি করছে বলছে কারো কথায় নাকি সে শুনবে না,রিমাকে ডিভোর্স দিবেই সে

মার কথা শুনে বাবা শান্ত সুরে আমার উদ্দেশ্যে বলল” বাবা যা হবার তা তো হয়েই গেছে, কেনো মেয়েটার জীবন নষ্ট করে দিচ্ছিস, আচ্ছা বুঝলাম রিমাকে তুই ডিভোর্স দিলি, তারপর আমরা নই তোকে আরেকটা বিয়ে করলাম কিন্তু মেয়েটার কি হবে একবার ভেবে দেখেছিস_?

–“নিশ্চুপ

–“একদিকে রিমার বাবা মাও অনেক রিকুয়েষ্ট করে বলছে রিমাকে যেন আমরা ফিরিয়ে নিই। আর সবচেয়ে বড় কথা হচ্ছে কি জানিস_? আমাদের বাপ দাদা থেকে শুরু করে আমার ভাই ব্রাদারের মাঝে কেউ কখনো তার সহধর্মিণীকে বাদ দেইনি, যতকিছু হক না কেনো তারা দিনশেষে একত্রে হয়েছে, সুতরাং আমি চাই তুই রিমাকে ক্ষমা করে আবার স্ত্রীর মর্যাদা দিয়ে ফিরিয়ে নিবি।

–“বাবা এটা কেমনে সম্ভব রিমাকে তো আমি তিন তালাক দিয়ে ফেলছি এখন শুধু কোডে গিয়ে কাগজ কলমের কাজটাই বাকি, এরমাঝে তোমরা হঠাৎ কিসব অদ্ভুত কথা বলছো কিছুই তো বুঝতে পারছি না

–“বুঝতে হবে না, তোকে আমি যেটা বলছি সেটাই শুন কাল রিমার বাবা মা আসবে, তাদের সঙ্গে বসে সমস্যার সমাধান করে নিবো। আর তোর মাথা থেকে ডিভোর্স দেওয়ার ভুতটা সরিয়ে নে।কারন আমি থাকতে এসব কিছু হতে দিবো না বুঝলি

বাবা এই বলে চলে গেলো, মা ও তার সঙ্গে চলে গেলো, আর আমি ব্যকুব বন হয়ে তাদের প্রস্থান করার দিকে তাকিয়ে ভাবছি বাবা মা হঠাৎ কি বুঝে রিমাকে ফিরিয়ে নিয়ে আসতে চাচ্ছে _? কিছুই তো বুঝতে পারছি নাহ, ব্যস পরেরদিন দুই পরিবার একটা বৈঠকে বসল সবদিক থেকে বিবেচনা করে পরিশেষে আমার উদ্দেশ্য বলল” রাগের ঘোরে ভুল সিন্ধান্ত নেওয়া ঠিক না। এখন হইত তোমাদের স্বামী স্ত্রী একটু বনিবনা হচ্ছে না, সেটা তো বেশি দিন থাকবে না। কিছুদিন যাওয়ার পর এমনি সব ঠিক হয়ে যাবে। তুমি বরং রিমাকে আর একবার সুযোগ দাও, তারপর ও যদি কোনো ঘটনা ঘটে তখন আমরা নিজেরাই তোমাদের ডিভোর্সের ব্যবস্থা করে দিবো।

তারপর সকলের কথা শুনে আর রিমার বাবা মার দিকে তাকিয়ে রিমাকে আবার ফিরিয়ে নিতে বাধ্য হলাম, তালাক দেওয়ার কারনে রিমাকে পুনরায় বিয়ে করতে হলো। ব্যস সকল কিছু ঝামেলা শেষ করে বাসায় চলে আসলাম, আজ কেমন জানি একটা অন্যরকম ফিল হচ্ছে, দিনটা কোনোরকম কেটে গেলো, রাতে নিজের রুমে যেতে কেনো জানি সংকোচ বোধ হচ্ছিলো, তারপর ও দরজা ঠেলে রুমে প্রবেশ করলাম, রিমা আমাকে দেখে মাথা নিচু করে রইলো, দুইজনের মাঝে কোনো প্রকার কথা নেই, আমি ও কিছু বলছি না আচমকাই রিমা আমার পা জড়িয়ে বলতে লাগলো

(চলবে)

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here